Tag: জমি

  • ঠাকুরগাঁওয়ের দুই সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁওয়ের দুই সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    দীর্ঘ ৭০ বছর ভারতের দখলে থাকার পর ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল ও বালিয়াডাঙ্গী বেউরঝাড়ি  সীমান্তবর্তী ৯১ বিঘা বাংলাদেশি জমি অবশেষে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । উদ্ধার করা জমিতে সাদা পতাকা (নিশানা) টানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
    সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ৯১ বিঘা জমিতে প্রবেশের অধিকার ফিরে পাওয়ায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। জমিগুলো উদ্ধারে গত প্রায় ১ মাস আগে কাজ শুরু করে বিজিবি।
    বাহিনীটি জানিয়েছে, ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর সুচারু পরিকল্পনা এবং সময়োপযোগী উদ্যোগে বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি দলের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করে তারা।
    সেই হিসাবে অধীনস্থ রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার  বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ-ভারতের সার্ভে বিভাগের যৌথ জরিপের মাধ্যমে ভারতের দখলে থাকা জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ১৫ বিঘা জমি এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ৭৬ বিঘা জমি (মোট  ৯১ বিঘা) উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশের অনুকূলে প্রাপ্ত জমির মধ্যে ৭৭ বিঘা আবাদি জমি, ১১ বিঘা চা বাগান ও ৩ বিঘা নদীর চর রয়েছে।
    ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন স্ট্রীপ ম্যাপ পর্যালোচনা করে পূর্ব থেকেই নিশ্চিত ছিলো জমিগুলো বাংলাদেশের। বিজিবির আহ্বানে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে জমিগুলো বাংলাদেশের বলে বিজিবির পক্ষ হতে জোরালো দাবী উপস্থাপন করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ হতে আরও বলা হয় যে, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সার্ভেয়ারের মাধ্যমে যৌথ জরিপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
    উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৬ ও ৭ মার্চ  বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী জরিপ ও চার্জ অফিসার এবং ভারতীয় সার্ভে বিভাগের সহকারী চার্জ অফিসার এর সমন্বয়ে— বিজিবি-বিএসএফ এর উপস্থিতিতে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ জগদল এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্যে যৌথ জরিপ ও পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। সেই  কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৬ মার্চ জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ১৫ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায় এবং অপরদিকে প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়। এরপর গত ৭ মার্চ বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ৭৬ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায়। অপরদিকে প্রায় ১৬ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়।
     উল্লেখ্য, উক্ত জরিপে বাংলাদেশের প্রাপ্ত জমির পরিমান ৯১ বিঘা এবং ভারতের প্রাপ্ত জমির পরিমান ২৩ দশমিক ৫ বিঘা।
    বাংলাদেশ ও ভারতের সার্ভে বিভাগের যৌথ জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত বাংলাদেশি জমিগুলো স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তরের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর পক্ষ হতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে।
    রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তবর্তী এলাকার ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আনসারুল ইসলাম বলেন, “আমি ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি এই জমিগুলো ভারতের অধীনে এবং ভারতের লোকজন এগুলাতে চাষ করে আসছে। কিছুদিন আগেই জমিতে একজন বাংলাদেশি যাওয়ার কারণে তাকে গুলি করে মারা হয়। প্রায় ৭০ বছর পর আমরা জমিগুলো ফিরে পেয়েছি। এতে আমাদের মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ-উৎসাহ বিরাজ করছে। আজকে থেকেই জমিগুলো আমরা চাষবাদ করতে পারব এবং এইগুলো বাংলাদেশের জমি, যেগুলো এতদিন ভারতের মানুষ ভোগ করে আসছিল।”
    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝাড়ি গ্রামের সীমান্তবর্তী বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, “এই যে গম ক্ষেত এটা ভারতের। আমি ছোটকাল থেকেই দেখতেছি। আমরা কখনো এই জমিতে যেতে পারি না। এই জমিতে ভারতের লোকজন চাষবাদ করে। আমাদেরকে কখনো যেতে দেয় নাই। এখন শুনতে পেয়েছি যে এই জমি নাকি বাংলাদেশ পেয়েছে। এতে আমাদের এলাকার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ উৎসব চলছে। সবার মনে অনেক আনন্দ। এখানে প্রায় ৭৬ বিঘা জমি পেয়েছে বাংলাদেশ। এগুলোতে আমাদের স্থানীয় লোকজন চাষবাদ করতে পারবে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাংলাদেশের দিকে আসছে। এর ফলে নদীর ওইপারে যে জমিগুলো রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের। জমিগুলো ভারত দখল করে নিয়েছিল। এখন বাংলাদেশ বিজিবি এটি উদ্ধার করেছে।”
    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তানজীর আহম্মদ বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারি যে এই জমিগুলো বাংলাদেশের এবং জগদল ও বেউরঝাড়ি সীমান্তের কিছু অংশ বাংলাদেশের জমি হিসাবে আমরা ধারণা করি। তারই প্রেক্ষিতে আমরা ভারতের সাথে কথা বলি এবং জরিপ করার জন্য আহ্বান জানাই। তাদেরকে আমরা অনুরোধ করি তারা যেন প্রকৃতপক্ষেই জমির মাপের কাজটি করা হয়। বাংলাদেশ বিজিবি এবং বিএসএফের যৌথ জরিপের মাধ্যমে আমরা এই জমিগুলো পেয়েছি।
  • নালিশী জমিতে ছবি দিয়ে সাইনবোর্ড,অপসারণ করালেন-এমপি সুজন।

    নালিশী জমিতে ছবি দিয়ে সাইনবোর্ড,অপসারণ করালেন-এমপি সুজন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আদালতে মামলা চলা অবস্থায় একটি বাজারের ২৮ শতক জমিতে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজনের ছবি ব্যবহার করে ব্যানার ও সাইনবোর্ড টাঙিয়েছিলেন হামিদুর রহমান নামে এক যুবলীগ নেতা। খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে যুবলীগ নেতাকে ডেকে ব্যানার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করিয়েছেন সংসদ সদস্য। একই সাথে আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত দুপক্ষকে দ্বন্দে জড়াতে নিষেধ করেছেন।
    বুধবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ধনিরহাট বাজারে এই ঘটনা। সদ্য নির্বাচিত হওয়া সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনের এমন উদ্যোগে প্রশংসার ভাসছেন তিনি।
    জানা গেছে, ভানোর ইউনিয়নের ধনিরহাট বাজারের ২৮ শতক জমির বিরোধ নিয়ে ওই এলাকার স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব হামিদুর রহমানের একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা হামিদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলাম ও তাঁর বড় ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য’র ছবি ব্যবহার করে সাইনবোর্ড ও ব্যানার টাঙিয়েছেন।
    স্থানীয়রা বলছেন, আদালতে বিচারাধীন জমি দখল নিতে এমপি’র ছবির ব্যবহার করেছিলেন ওই যুবলীগ নেতা। তবে স্থানীয় এমপি’র কানে যাওয়ার সাথে সাথে ব্যানার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করতে নিজেই ছুটে এসেছেন। নির্বাচনের সময় অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বেশ খুশি ওই এলাকার মানুষ।
    অপসারণের পর ব্যানার যুবলীগ নেতা হামিদুর রহমান বলেন, এমপি সাহেব ঘটনাস্থলে এসেছিলেন, নির্দেশনা দেওয়ার সাথে সাথে ব্যানার ও সাইনবোর্ড অপসারণ করে নিয়েছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন জমির প্রকৃত মালিককে জমি ফিরে পেতে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
    জমির মালিক দাবি করা আরেক পক্ষ স্কুল শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, এমপি’র ছবি ব্যবহার করে দখলের চেষ্টা করেছিল। আমরা বাধা দিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও এমপি’র ছবি ছিড়ে আমাদের মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এমপি সাহেব এগুলো অপসারণ করে আমাদের চিন্তামুক্ত করেছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বলেছেন, আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত দুপক্ষকে দ্বন্দে জড়াতে নিষেধ করেছেন।
    ঠাকুরগাঁও ২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন বলেন, বাজারের বিতর্কিত জমিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার পিতা সাবেক সংসদ সদস্য এবং আমার ছবি ব্যবহার করে সাইনবোর্ড টাঙানোর বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাকে দুপুরে অবগত করে। আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে সেগুলো অপসারণ করিয়েছি। জমিটি নিয়ে যেহেতু বিরোধ রয়েছে, আদালত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিবে।
    তিনি আরও বলেন, আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে কেউ অন্যায় করলে আমাকে অবগত করবেন। এটি নির্বাচনের আগেও বলেছিলাম, এখনও বলছি। কোন অন্যায়কে আমি প্রশ্রয় দেয়নি, আগামীতেও দিবো না।
  • ডিমলায় জমি নিয়ে বিরোধের-প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-১,আটক-২।

    ডিমলায় জমি নিয়ে বিরোধের-প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-১,আটক-২।

    হাবিবুল হাসান,ডিমলা (নীলফামারী)প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক জন নিহত।এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

    শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে জমি জায়গা লইয়া মারামারি সংঘটিত হয়। এসময় অপর পক্ষের আঘাতে ফজিবর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ফজিবর রহমানকে উদ্ধার করে ডিমলা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    নিহত ফজিবর রহমান(৫৩) ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের মৃত মখিমদ্দিনের ছেলে।

    স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার মজিবর রহমান ওরফে ফুনুর ছেলে মহুবর মিস্ত্রি গং দের সাথে নিহত ফজিবর রহমানের জমি জায়গা লইয়া দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ।

    এ ঘটনায় ডিমলা থানা পুলিশ দুই জনকে আটক করেন। তারা হলেন মাহাবুর রহমানের পুত্র মাসুদ ইসলাম ও মহুবার রহমানের সুজন ইসলাম।

    এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ রায় বলেন, লাশ উদ্ধার করে নীলফামারী জেলা মর্গে প্রেরণ করা হবে। মামলা রুজু করা হয়েছে। দুই জনকে আটক করা হয়েছে বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার-গ্রেফতার-২।

    উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার-গ্রেফতার-২।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজ সানজিদা খাতুন(৯) নামের এক শিশুর লাশ ৫ দিন পর ধানের জমি থেকে উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।এ ঘটনায় শিশুর সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ধানের জমিতে পুতে রাখার ৫ দিন পর লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু আমশড়া গ্রামের মোঃশাহিন আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন অলিদহ গ্রামের মোঃনুরাল মিয়া ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম ও হানিফ শেখের ছেলে হাসমত আলী।

    সলঙ্গা থানার ওসি মোঃ এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিন আলীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর শরিফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। কিছুদিন পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।ঘটনার দেড়মাস আগে জরিনা স্বামীর সংসার ছেড়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসে।স্বামী শরিফুল তার স্ত্রী জরিনাকে সংসারে ফিরিয়ে আনতে সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমত আলীর দারস্থ হয়। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আন্তে তারা পরিকল্পিত ভাবে জরিনার মেয়ে সানজিদাকে অপহরন করে। ১০ ফেব্রুয়ারী মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সানজিদাকে অপহরনের চেষ্টা করে। মেয়েটি ঘটনার এক পর্যায় চিৎকার করে। এ সময় মেয়েটির গলা চেপে ধরে হত্যা করে। পরে লাশটি পাশের জঙ্গলে ফেলে চলে যায়।লাশ গুমের উদ্দেশ্যের ঐ রাতে পাশের ধানের জমিতে গর্ত করে পুতে রাখে।মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর সানজিদা বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি।পরের দিন ১১ ফেব্রুয়ারী নানা জহুরুল ইসলাম সলঙ্গা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।

    তিনি আরোও জানান সাধারন ডায়েরি করার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সৎ বাবা শরিফুল ইসলাম ও মামা হাসমত আলীকে গ্রেপ্তার করে।এ সময় সানজিদকে হত্যার কথা তারা স্বীকার করে।তাদের তথ্যমতে ধানের জমিতে পুতে রাখা সানজিদার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • নারী ফুটবলার সাগরিকার পরিবার বসবাস করে ভাঙ্গাচোরা ঘরে অন্যের জমিতে।

    নারী ফুটবলার সাগরিকার পরিবার বসবাস করে ভাঙ্গাচোরা ঘরে অন্যের জমিতে।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের আলোচিত খেলোয়ার মোছাম্মত সাগরিকার পরিবার থাকে অন্যের জমিতে। মানুষের দেওয়া প্রায় ১০ শতাংশ জমির মধ্যে কাশঁবন, বাশেঁর বাতা আর ছাপড়া টিন দিয়ে নির্মাণ হয়েছে বাড়ী। সেই বাড়ীর ঘর হচ্ছে দুটি একটিতে থাকতেন সাগরিকা, আরেকটিতে তার ভাই সাগর। সাগরিকার বাব, মা থাকেন তাদের চায়ের দোকানেই। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের রাঙ্গাটুঙ্গি গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা মিলে।
    সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী ও মা আনজু আরা বেগম মিলে তাদের বাড়ী থেকে আধা কিলো দুরে বাশরাইল গ্রামের মহাসড়কের পাশে মানুষের জমিতে একটি চায়ের দোকান করেন। জীবন জীবিকা চলে এই চায়ের দোকান করেই।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাণীশংকৈল- হরিপুর মহাসড়কের বাশরাইল এলাকা থেকে মহাসড়কের উত্তর দিক দিয়ে সুরু পথ ধরে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে যেতেই দেখা মিলে সাগরিকার বাড়ী। বাড়ীর প্রবেশ পথেই ছোট একটি দরজা রয়েছে। বাড়ীটি কাশঁবন দিয়ে বেড়া বানিয়ে ঘেরা দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও ঘর দুটিও কাশবঁন দিয়ে বাশের বাতা দিয়ে বেড়া বানিয়ে ঘর করা হয়েছে। ঘরের ছাউনি হিসাবে রয়েছে ছাপড়া টিন। অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল। সাগরিকার বাবা মা জানান, টাকার অভাবে ইচ্ছা থাকাও সত্বেও স্বাস্থ্য সম্মত টিউবওয়েল ও ল্যট্রিন নির্মাণ করতে পারছে না। সব মিলে বাড়ী ঘর ভাঙ্গাচোরা।
    স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব আলী,সোহেল রানা বলেন, সাগরিকারা অত্যন্ত গরিব। তারা খুব কষ্ট করে দিননিপাত করছে। অন্যের জমিতে কোন রকম বাড়ী বানিয়ে বসবাস করছে। তারা আরো বলেন, সাগরিকার জন্য আজ আমাদের গ্রাম রাঙ্গাটুঙ্গি সারা দেশের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। সাগরিকার এ অর্জন আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। তারা সাগরিকাকে দেশের সম্পদ আখ্যায়িত করে বলেন, সরকার যদি সাগরিকার পরিবারের পাশে দাড়ান,তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ান। তাহলে সাগরিকার মত অনেক সাগরিকা ভালো খেলোয়ার হওয়ার উৎসাহ পাবেন।
    সাগরিকার বাবা লিটন আলী জানান, অন্যের বলতে উকিল নামে এক ব্যক্তির এ জমির কোন দাবীদার না থাকায় তারা সেখানে কোন রকম বাড়ী বানিয়ে থাকছেন। অর্থের অভাবে জমি কিনতে পারছে না। তাই সেভাবে বাড়ীও বানাতে পারছে না।
    সাগরিকার মা আনজু আরা বেগম বলেন, তার মেয়ে সাগরিকা যে পরিবেশে এখন থাকছে। সেই পরিবেশ তো আর তাদের বাড়ীতে নেই। মেয়ে আসলে কোথায় কিভাবে তাকে থাকতে দিবে সেটি নিয়ে তিনি খুব দূশ্চিন্তায় পড়েছেন। সাগরিকার মা আরো জানান, তার মেয়ে অনেক সময় তার বন্ধুদের নিয়ে তাদের বাসায় আসতে চান। কিন্তু তিনি নিষেধ করেন। সাগরিকার বন্ধুরা আসলে কোথায় বসতে দিবে, আর কোথায় থাকতে দিবে তা ভেবেই তিনি সাগরিকার বন্ধুদের আসতে বাড়ন করেন। সাগরিকার মা বলছেন, সমিতির লোন করে নিজস্ব জমি কেনার চেষ্টা করছেন। কম দামে জমি পেলে তিনি ঋণ করে জমি কিনবেন বলে প্রত্যাশা করছেন।
  • জমি ও সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে নিহত-১,ইউ/পি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৩।

    জমি ও সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে নিহত-১,ইউ/পি চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৩।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের বেজুড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত এবং সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষে আহত পাভেল মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা’র একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। সে মধ্য বেজড়া গ্রামের মাতব্বর মিয়ার ছেলে।

    এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন, বেজুড়া গ্রামে খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়-উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন দক্ষিন বেজুড়া গ্রামের মৃত কিফত আলীর ওয়ারিশ হাজী আসকর আলী ও দুলাল মিয়া গংদের কাছ থেকে ৭/৮ মাস আগে একটি জমি ক্রয় করেন। অপর দিকে ওই জমি একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক মিয়ার সন্তানেরা নিজেদের দাবি করে ভোগ-দখল করে আসছে।

    শনিবার সকাল ৯ টার সময় মাসুদ খানের লোকজন ওই জমিতে ধান রোপন করতে গেলে মৃত বারেক মিয়ার ওয়ারিশগণ ধান রোপণে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাধঁলে মহিলা সহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত মুর্শেদ মিয়া (৪৫), সুমা আক্তার (২৪),আব্দুল হামিদ (৩০), সফিক মিয়া (৪০),পায়েল মিয়া (৩০), মারফতউল্লাহ (৩৫), আউস মিয়া (৪২), জসিম মিয়া (২৪), দুলাল মিয়া ( ২৫), শিমুল মিয়া (৩০), জাকারিয়া (২৩), শামীম মিয়া (২৭), তাহের মিয়া (৬৫), মাসুদ রানা (৪০), জালাল মিয়া (৩২), খোকন মিয়া (৪৭), আয়েদ আলী (২৬), আলমগীর (২৭), রফিক মিয়া (২৮),জসিম মিয়া (২৭), করিম মিয়া (৩০),শাহজাহান মিয়া (২৫),মিজান মিয়া (২৬), সাইফুল ইসলাম (২০),ইজাজুল (২৪), সফিক মিয়া (২৯), আশিক মিয়া (২৮),সামসুউদ্দিন (৩০), সাইফুল (২৯)কে চিকিৎসার জন্য মাধবপুর,হবিগঞ্জ,ঢাকা ও সিলেট উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এ সময় কয়েকটি বাড়ীতে হামলা পাল্টা হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনার্চাজ(ওসি)মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গভীর রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে গুরুত্বর আহত পাভেল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

    ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খাঁন,বেজুড়া গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (৪৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে ফয়সল মিয়া (২৫) কে মাধবপুর থানা পুলিশের সদস্যরা গ্রেফতার করেছে। থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম খাঁন জানান বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

    এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মাসুদ খানকে প্রধান আসামী করে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০/৭০জনের বিরুদ্ধে নিহত পাবেলের চাচাতো ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

  • মাধবপুরে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে জমির ধরন্ত মরিচ গাছ উপড়ে-লাখ টাকার ক্ষতি।

    মাধবপুরে দুর্বৃত্তরা রাতের অন্ধকারে জমির ধরন্ত মরিচ গাছ উপড়ে-লাখ টাকার ক্ষতি।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে একদল দুর্বৃত্ত রাতের আঁধারে ৩০ শতক জমির মরিচ ক্ষেতের ধরন্ত মরিচ গাছ উপড়ে দিয়েছে মর্মে ওই কৃষকের লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে।সোমবার ভোররাতে খড়কী গ্রামের ফুরুকের জমিতে এমন ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা জগদীশপুর ইউনিয়নের খড়কী গ্রামের ফুরুক মিয়ার ৩০ শতাংশ মরিচ ক্ষেত চারা উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
    কৃষক ফুরুক মিয়া জানান, সোমবার সকালে আমার পাশের জমির এক কৃষক মোবাইল করে জানায় আমার মরিচ ক্ষেতের গাছ গুলা কাটা অবস্থা দেখে। তারপর আমি দৌড়িয়ে গিয়ে দেখি ক্ষেতে অধিকাংশ মরিচ গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে এই মরিচ ক্ষেত উপড়ে ফেলার ফলে প্রায় লাখ টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে, তিনি আরও জানান, কয়েক মাস আগে আমার ঘর থেকে ৩ টা গরু চুরি হয় পরে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করলে আমার গ্রাম থেকে বিল্লাল মিয়া,আল আমিন মিয়া,আমিন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল কারাগারে পাঠায়। পরে আসামিরা জেল থেকে বের হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং আমি মনে করি আমার ঘর থেকে যে লোকগুলো গরু চুরির সাথে জড়িত এই লোকগুলো আমার মরিচ ক্ষেত কেটে দিতে পারে বলে অভিযোগ ফুরুক মিয়ার।জগদীশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
    মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, আমরা কৃষি অফিসে থেকে খোঁজ খবর নিয়ে কৃষকের মরিচ ক্ষেতের কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জেনে ওই কৃষককে সর্বোচ্চ সহযোগী করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন।
  • মৌলভীবাজারে জমি সংক্রান্ত জেরে চাচা হাতে ভাতিজা গুরুতর আহত।

    মৌলভীবাজারে জমি সংক্রান্ত জেরে চাচা হাতে ভাতিজা গুরুতর আহত।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :রাজনগর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের জের ধরে চাচা ইউপি সদস্য  লুৎফুর রহমান   হামলায় আপন ভাতিজা কামরুল ইসলাম  গুরুতর আহত হয়েছেন।এবং মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এ ঘটনায় বুধবার (২২নভেম্বর)  পুলিশ ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমানসহ ২জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সদস্য তুলাপুর গ্রামের আবলুছ মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমানের সাথে আপন ভাতিজা কামরুল ইসলাম ও তার ভাইদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি ভাতিজা তার মায়ের কাবিনে থাকা জমিতে হাল চাষ করতে গেলে লুৎফুর বাধা দেন এবং গালাগালি করেন।
    এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত প্রায় ১০টায় কামরুল পাশের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী খেয়াঘাট বাজারে গেলে ওই ঘটনার জেরে লুৎফুর তার উপর হামলা চালান।
    তাৎক্ষনিক বাজারের লোকজন ওই ইউপি সদস্যের হাত থেকে কামরুলকে রক্ষা করে একটি দোকানে নিয়ে আসেন।
    পরবর্তীতে রাত ১০ টার দিকে ভাতিজা খেয়াঘাটস্থ ওই ইউপি সদস্যের দোকানের সম্মুখ দিয়ে গেলে আবার লুৎফুর ও তার লোকজন কামরুলের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে কামরুল গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষনিক আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজনগর থানায়  ইউপি সদস্যকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। রাজনগর থানার পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই লুৎফুরকে আটক করে। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
    এদিকে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভুষন রায় বলেন, ইউপি সদস্য লুৎফুর সহ আরও ১ জনকে গ্রেফতারসহ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মাধবপুরে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রসহ জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা।

    ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মাধবপুরে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রসহ জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শতাধিক হেক্টর আমন ধানের জমি। উপজেলার ইটাখোলা বিএডিসি‍‍`র বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে আমন ধান ও আলু চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
    গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ১৭ নভেম্বর শেষ রাত পর্যন্ত অব্যাহত ভারি বর্ষণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আমন ধান ও আলু চাষে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন চাষিরা।
    জানা গেছে ,ঘূর্ণিঝড় “মিধিলি”র কারণে মাধবপুর ইটাখোলা বিএডিসি সহ উপজেলার প্রায় ৬৫ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতির আশঙ্কা।
    বিএডিসি, ইটাখোলা-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৭.৯৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান ও আলু চাষ করা হয় তার মধ্যে  ০৭ হেক্টর জমিতে আমন বীজ ফসলের ধান গাছ ও ০২ হেক্টর আলু চাষকৃত জমি বৃষ্টিপাতে পানিতে ডুবে যায়।
    উপজেলার মোক্তার হোসেন নামে এক কৃষকের সাথে কথা বললে জানান, তার প্রায় ১৫ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষয় ক্ষতি হয়।
    দিলীপ নামের অপর কৃষকের ২০ হেক্টর জমির ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি পানিতে আমন ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ব‍্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা।
    মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কিছু নিচু আমন ধানের জমি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তাছাড়া পানি নিষ্করনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে আলু জমির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। মনে করছেন তিনি।
  • কৃষি জমিতে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানাসহ দুই জনের কারাদণ্ড।

    কৃষি জমিতে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানাসহ দুই জনের কারাদণ্ড।

    নাহিদ মিয়া মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবাধে কৃষিজমিতে মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দু ব্যাক্তিকে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে  ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    মঙ্গলবার (১৪ ই নভেম্বর ) বিকালে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান ও  সহকারি কমিশনার (ভূমি)  রাহাত বিন কুতুব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রামামাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর( গঙ্গানগর) গ্রামের লিচু মিয়ার পুত্র  শিবলু মিয়া(৪২), আশুগঞ্জ এর হৃদয় মিয়া(৩৫) এবং কল্টু মিয়া নামে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।ভ্রামামাণ আদালতের মাধবপুর থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন। পরে দন্ডপাপ্তদের মাধবপুর থানা সোপর্দ করা হয়। সহকারি কমিশনার (ভূমি)  রাহাত বিন কুতুব ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।