Tag: ছাত্রী

  • বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রী গুরুতর আহত।

    বড়লেখায় সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রী গুরুতর আহত।

    শাহরিয়ান আহমেদ শকিল,বড়লেখা প্রতিনিধিঃ বড়লেখায় কলেজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সুলতানা খাতুন (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।

    সোমবার (১৫নভেম্বর)সকাল সাড়ে ১০ টার সময় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের সুজানগর পাথরিয়া কলেজ গেইট সংগলগ্ন এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

    সুলতানা খাতুন সুজানগর পাথরিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ও উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের তেরাকুড়িঁ গ্রামের লুৎফুর রহমানের মেয়ে।

    সুজানগর পাথরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারনে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এবং আমাদের ছাত্রী সুলতানা গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠান।

    সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল হাসপাতালে সুলতানা বেগমের সাথে থাকা তার চাচাতো ভাই জানান, সুলতানার ডান পা ভেঙ্গে গেছে, বাম পা এবং ম্যাথায় প্রচন্ড চোট লেগেছে। বর্তমানে সুলতানা সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল হাসপাতালের ওটিতে চিকিৎসাদীন অবস্হায় রয়েছে।

    ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার আমারজমিনকে বলেন,দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি (মাইক্রবাস)পুলিশ হেফাযতে রয়েছে,এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

  • উল্লাপাড়ায় কলেজ ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় কলেজ ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এইচটি ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মিতু খাতুন (১৭) কে অপহরণের অভিযোগে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর বাবা মহশিন আলী।

    ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাখুয়া গ্রামে।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯.১০.২১ তারিখে ৭ টার সময় মিতু খাতুন প্রাইভেট পড়ার জন্য বাখূয়া অফদা মোড়ে পৌঁছালে মহিরের ছেলে কাওসার আলী (২০), সামাদের ছেলে হাসান আলি (২২), মৃত এলাহীর ছেলে শুকুর আলী (৫০), বাবুর ছেলে জিহাদ (১৯), রেজাউলের ছেলে মাসুদ (২২), সাইফুলের ছেলে রাসেল (২০), মৃত ভাদুর ছেলে সামাদ(৬০), মৃত সুবহানের ছেলে মহির (৫৫) সর্ব সাং বাখুয়াগণ জোরপূর্বক ভাবে পাজা কোলে করিয়া একে অপরের সহায়তায় মাইক্রোবাসে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে চলে যায়।

    ওই সময় মিতু খাতুনের চিৎকারে জেলহকের ছেলে বাবু (৩০), মৃত এনামুলের ছেলে আমিরুল (৪০), আলতাফ হোসেন (৫৫) আগাইয়া এসে দেখেন নামিক আসামিরা মিতু খাতুনকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা মাইক্রোবাসটি থামানোর চেস্টা করে ব্যার্থ হন।ঘটনার পরে  ভুক্তভোগীর বাবা মহশিন আলী গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে অভিযুক্ত কাওসারের পরিবারের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে কাউছারের বাবা তার মেয়েকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ফেরত দেয়নি। মেয়েকে ফেরত চাইতে গেলে অভিযুক্ত কাওসার এবং তার পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং বাড়াবাড়ি করলে তোকেও গুম করার হুমকি দেন।

    ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানান অপহরণকারীরা এলাকার প্রভাবশালী বলে তারা আমার মেয়েকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন করতেছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দ্রুত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শহীদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • প্রতিবন্ধী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মীম হতে চান না সমাজের বোঝা।

    প্রতিবন্ধী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মীম হতে চান না সমাজের বোঝা।

    মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    স্বপ্ন ছোয়ার অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাঘার প্রমি আক্তার মিম।সারা শরীর একেবারে বিকলাঙ্গ। চলতে ফিরতে তো দুরের কথা,পারেনা নিজে উঠে বসতে,এক মাত্র ভরসা তার জন্মদাত্রী মা । কখন এসে তাকে উঠে বসিয়ে দেবে সেই অপেক্ষাতে থাকতে হয় তাকে। যদিও কেউ তাকে ধরে বসিয়ে দেই তবুও পিছনে বালিশ বা শক্ত কিছু দিয়ে ঠেস দিতে হয়। যাতে করে সহজেই হেলান দিয়ে থাকতে পারে। যদিও হাতখানি একটু নাড়াতে পারলেও পারেনা তার পা দুখানা তুলে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাইতে। জন্মাবধি এমনি করে বেড়ে ওঠা, আজ তার বয়স ১৮ বছর।

    যৌবন উদ্দিপ্ত তরুনী হয়ে নানা রঙ্গের স্বপ্ন বুনানোর কথা আজ তার। অথচ নিয়তির চরম পরিহাসে আজ কোনরকম বেঁচে থাকা। নেই কোন উপায়ান্তর একটু আশা, একটু ভরসার। আধারে অচ্ছন্ন প্রমির জগৎ সংসার। এমনি করে দিন দিন প্রমি আক্তার বড় হচ্ছে আর দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে প্রমির মা বাবা। একটাই চিন্তা কি এর সমাধান!

    প্রমি আক্তার মিম, বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পীরগাছা গ্রামে। তারা ৩ ভাই বোন। বড় ভাই মিলন বয়স ২৮ বছর, গ্রামেন্টস কর্মি আর ছোট ভাই আদিব, বয়স ৮ বছর, সেও তার মত প্রতিবন্ধী। বাবা মজিবর রহমান পেশায় কৃষক, মা ফিরোজা পারভিন গ্রীহিনী। মা ঘর গৃহস্থের কাজের ফাঁকে ফাঁকে কখনও প্রতিবন্ধী মেয়ের কাছে আবার কখনও প্রতিবন্ধী ছেলের কাছে।

    ভাগ্যের পরিহাসে জন্ম থেকেই মিম প্রতিবন্ধী হলে কি হবে! তার লক্ষ্য আকাশ ছোঁয়া। হতে চাননা পারিবার কিংবা সমাজের বোঝা। প্রতিবন্ধী হলেও সে শত বাধা অতিক্রম করে ২০১৯ সালে এস.এস.সি, পরিক্ষায় উর্ত্তিন হয়। বর্তমানে সে কলেজে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ালিখা করছে।

    ইতিমধ্যে নানার দেওয়া হুইল চেয়ারে মায়ের সাহায্যে চলাফেরা করছে। প্রমি এখনও স্বপ্ন বাস্তবায়নে অটল। তাকে দেখা-শুনা,পড়া-লিখা এমন কি কলেজে নিয়ে যাওয়া আসা সব কিছুই করতে হয় মিমের মাকে। মা মেয়ের দারুন মনোবল। মিমের মায়ের সাথে কথা বলতেই চোখে ছল ছল পানি নিয়ে বলেন আমার মেয়েকে আমি সমাজের বোঝা হয়ে রাখতে চাইনা। আমি চাই আমার মেয়ে যেন তার অদম্য ইচ্ছে পুরুন করতে পারে।

    দিনে দিনে বয়স বেড়ে চলেছে মিমের। বয়সন্ধিকাল অতিক্রম করে এখন সে যৌবন উদ্দিপ্ত তরুনী। এই বিকলাঙ্গ মনের দূঃখ ঘুচাতে কে হবে তার সাথি, তাই একাকিত্ব মনের দুঃখ ঘুচাতে মিম লেখালেখিকে করে উপজীব্য।

    সে লিখতে পছন্দ করেন গান, ছড়া, কবিতা, গল্প মনে যা আসে তাই। এমনি করে নিরলস ভাবে লিখে চলেছে শত শত কবিতা গল্প মনের অজান্তে, এখন তার লেখায় মানুষ, সমাজ তথা মানবিকতার দারুন বহিঃপ্রকাশ।

    গোলাপকে যতই ঢেকে রাখা যাক না কেন ; তার সুগন্ধ ছড়াবেই মিম তার উজ্জল দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যে তার লিখা ছড়া গল্প কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হচ্ছে এবং সুধী মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মিমের জনপ্রিয় কবিতা মাটি, ঝর্ণা, শিক্ষক, হঠাৎ পরিচয় ।

    হাজারো সমস্যা অতিক্রম করে মিমের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর যে প্রচেষ্টা তার প্রতি আশাবাদ ব্যাক্ত করে উইপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান শফিক বলেন, প্রতিবন্ধীদের যদি আমরা প্রতিবন্ধী না বলে তাদেরকে যদি আমরা বিশেষ শ্রেণীর মানুষ বলে আখ্যায়িত করলেইতাদের মনোবল অনেক বড় হবে। আমার ইউনিয়নে মীম এর বাসা। তার মনোবল এত বড় তা কল্পনা করা যায় না। আমি সব সময় তার জন্য দোয়া করি, সে যেন বড় একজন মানুষ হতে পারে। আমি সব সময় তার পাশে আছি।

    স্বপ্ন ছোয়ার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে ছুটে চলা মিমকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলনে, প্রমি আক্তার মিম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও তার পড়াশোনায় অদম্য ইচ্ছা শক্তির সহযোগিতায় চালিয়ে যাচ্ছে এই জন্য তাকে ধন্যবাদ ও অভিবাদন জানাচ্ছি। মিম শর্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করে পড়া লিখা চালিয়ে জাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে সীমিত সামথের্যর ভিতর দিয়ে উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।

    আমাদের প্রশ্ন হলো এমন হাজারো মিম আমাদের সমাজে আছে, তারাও চাই আমাদের মত স্বাভাবিক জীবন নিয়ে চলতে ; আমাদেও উচিৎ এই সকল মানুষকে সমাজের বোঝা মনে না করে তাদের আত্মবিশ্বাসকে আরও দূর করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তাদের সাথে সেই ভাবেই আচরণ করা যেটাতে তাকে পাহাড় সমান সাহস যোগাবে তাহলে মানুষ হিসেবে আমরা হয়তো মানবিক দায়টা একটু হলেও এড়াতে পারতাম। এই জন্য সকল মানবাধিকার বাস্তবায়ন সুধী মহলের সুদৃষ্টি আকর্ষন করছি। সামাজিক ভাবে রাষ্ট্রীয় ভাবে তারা যেন এগিয়ে আসেন।

  • হিজলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ;থানায় মামলা।

    হিজলায় ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ;থানায় মামলা।

    অনলাইন ডেস্কঃ বরিশালের হিজলায় ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে তিন সহযোগীর সহায়তায় ধর্ষণ করছে এক লম্পট।এ ঘটনায় হিজলা থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের পর ২০ সেপ্টম্বর সোমবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যাওয়ায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেয়েটির অভিভাবকের কাছে পৌছে দেন।

    জানা যায় আতাউল্লাহ নামের লম্পট শরীফ,রুবেল শিকদার ও সেফায়েতউল্লাহ’র সহযোগিতায় ধর্ষণ করে।ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পরে। অসুস্থ শিক্ষার্থীকে তিন সহযোগী চিকিৎসা দিতেও বাঁধা দান করে।তবে অধিক রক্তক্ষরণ হলে সন্ধাা ৭ টার সময় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

    প‌রিবারের স্বজন‌রা জানায়, মেমানিয়া ইউনিয়ন সেসিপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে আতাউল্লাহ তার সহযোগিদের সহযোগিতায় মুখে কাপড় দিয়ে চেপে পাশের পানের বরজে নিয়ে ধর্ষণ করে।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোতা‌লেব বলেন,ঘটনা জানার পর শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাহরাজ বলেন, মেয়েটির রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    হিজলা থানার উপ পরিদর্শক তারিকুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।এদিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা’সহ এলাকাবাসী ধর্ষক আতাউল্লাহ ও তার তিন সহযোগির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছেন।

  • ভোলার দৌলতখানে স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।

    ভোলার দৌলতখানে স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।

    ভোলার দৌলতখানে জিসমিন(১৬) নামের দশম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। থানা পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার (১৩আগস্ট) সকালে দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ভোলা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    নিহত জেসমিন (১৬) উপজেলার সুকদেব এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের মেয়ে ।

    দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বজলার রহমান জানান, জেসমিন প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে তার রুমে ঘুমাতে যান। রাত ১ টার সময় নিহতের মা আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাসঁ লাগানো অবস্থায় মেয়েকে দেখে চিৎকার করে উঠেন। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগীতায় আড়া থেকে তার লাশ মাটিতে নামানো হয়। সকাল ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ভোলা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। কি কারণে জেসমিন গলায় ফাসঁ লাগিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত বিষয় হতে পারে। তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

  • রাজধানীর আশুলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর আশুলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেফতার-ভোরের কণ্ঠ।

    রাজধানীর সাভার আশুলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রী(১১)কে ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা তৌহিদ বিন আজহারকে (৪৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মিরপুরের কাফরুল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এর আগে বুধবার (২০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

    গ্রেফতার মাওলানা তৌহিদ বিন আজহার নাটোর জেলা থানার গুরদাসপুরের মৃত মো. আজাহারের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

    পুলিশ জানায় যে, কয়েক দিন আগে মাওলানা তৌহিদ বিন আজহারের স্ত্রী বাসায় ছিলেন না। সেই সুযোগে চা বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া বিষয়টি অন্য কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখায়। পরে বুধবার দুপুরে মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালীন কৌশলে পালিয় যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর বাবা লিখিত অভিযোগ করলে মামলা রুজু হয়। এ ঘটনার পরপর আত্মগোপনে চলে যায় অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকার মসজিদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী শিশুকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আসামিকে আগামীকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।