ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু গ্রেফতার হয়েছে ।
Tag: চেয়ারম্যান
-
ডিমলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিন্টু গ্রেফতার।
ডিমলায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিন্টু গ্রেফতার২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট গ্রামে তার ভগ্নিপতি সোলেমান আলীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ। এছাড়া খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সিয়ামকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হবে। -
রামপালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন বরখাস্ত।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন হাওলাদার-কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা বেগম নেলী।
গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পলি কর স্বাক্ষরিত ৪৬.০০.০১০০.০০০.০১৭.২৭.০০০৩.২৩-১০০৭ নং স্মারকের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
জানা গেছে, নাসির উদ্দীন হাওলাদার প্রথম বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে এডিপি’র অর্থ দ্বারা খেলার সরঞ্জামাদি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্কুলের ভূয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা, পরিষদের কার্যক্রমে সদস্যদের বিরত রাখা, বাজেট পরিচালনার ক্ষেত্রে সভা আহবান না করা, ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভা আহবান না করা, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা, ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্প সদস্যদের সম্মতি গ্রহণ না করে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে গ্রাম পুলিশ দ্বারা পরিচালনা, সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত সেলাই মেশিন, বাই সাইকেল, স্কুলব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র গরীব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ না করে চেয়াম্যানের আত্মীয়দের মাঝে বিতরণ করা, এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত অর্থে গৃহিত প্রকল্প সদস্যদের অবহিত না করে গ্রাম পুলিশ হাছিবুর রহমান দ্বারা পরিচালনা করার অভিযোগের সত্যতা তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) ও (ঘ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে একই আইনের ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অনাস্থাপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল একাধিক ইউপি সদস্য।
-
লক্ষ্মীপুরে এমপি নয়ন ও প্যানেল চেয়ারম্যান লিকার অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীিতর অনুসন্ধানে-দুদক।
দুর্নীতি ও শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা।
দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত কাজে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র সাংবাদিক দেকে নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর ২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ২০২১ইং সালে নির্বাচনী হলফনামায় দাখিল করা তথ্যানুসারে বাৎসরিক আয় ৩৭ লাখ ১০ হাজার ২৯০ টাকা এবং ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৮ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে দাখিল করা সম্পদের তথ্য অনুযায়ী তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সচিবালয়ে ‘বুলেটপ্রুফ গ্লাস’ লাগাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা কর্মস্থলে না ফেরা ‘অপরাধী’ কর্মকর্তাদের খুঁজছে পুলিশ কিন্তু দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজ রোডের ১০ শতাংশ জমির উপর ৫ তলা ভবন সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৪০-৫০ শতাংশ জমি ক্রয় এবং ধানমন্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। সব মিলিয়ে তার ঘোষিত সম্পদের বিবরণের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সম্পদের খোঁজ মিলেছে দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে।
দুদক জানায়, টাকার বিনিময়ে নয়ন নিজস্ব ব্যক্তিদের টেন্ডার পাইয়ে দিতেন এবং বাজার দখল, বাসস্ট্যান্ড থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাঁদা তুলতেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগে প্রভাব খাটিয়ে নিজ ও তার পক্ষের অন্য ব্যক্তিদের নামে এবং তার উপর নির্ভরশীলদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে জানা যায়। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে নিজ নামে ও তার পরিবার পরিজনের নামে অবৈধভাবে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০২২ইং সালে মহিলা সদস্য পদের নির্বাচনের জন্য দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে তার অতি সামান্য পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর হতে নিজ নামে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও তার উপর নির্ভরশীলদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে জানা যায়। এছাড়াও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বলে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
-
কানাইঘাট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদের মতবিনিময়।
কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃসিলেটের কানাইঘাটে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবী বেলাল আহমদ এমবিএ কানাইঘাট প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। ২১ এপ্রিল রবিবার দুপুর ১২ টায় কানাইঘাট প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ বলেন, এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারন,রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, আলেম-উলামা, যুবক ও তরুণ সমাজ সহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।ইতিমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে কানাইঘাট বিভিন্ন এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন এবং তাদের সমর্থনও পাচ্ছেন। মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, সিলেটের পূর্ব অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অপরূপ সৌন্দর্য্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর জনপদ হচ্ছে কানাইঘাট। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এ অঞ্চলের মানুষের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি যুগ যুগ ধরে অসংখ্য পীর-মাশায়েখ, আলেম-উলামা, জ্ঞানী-গুণী, প্রতিযশা ব্যক্তিদের পূণ্যভূমি হচ্ছে কানাইঘাট। কিন্তু সিলেট জেলার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উপজেলা হিসেবে সম্পদে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন-শিক্ষা-সংস্কৃতি, যোগাযোগ,কৃষি, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে কানাইঘাট। কানাইঘাটের একজন নাগরিক হিসেবে এ জনপদের মানুষের প্রত্যাশা প্রাপ্তি পূরণে এবং সবদিক থেকে এ অঞ্চলকে একটি সমৃদ্ধশালী এলাকায় পরিনত করতে তিনি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ক্ষেত্রে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সহ সকলের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।বেলাল আহমদ বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে প্রথমে কানাইঘাট উপজেলার গ্রামীণ পাকা-আধাপাকা ও কাঁচা সড়কগুলো ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন, কানাইঘাটবাসীর প্রধান সমস্যা নদী-ভাঙ্গন প্রতিরোধ, অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন, মান-সম্পন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ, প্রবাসী অধ্যুষিত কানাইঘাটবাসীর জন্য প্রবাসী সেল গঠনের মাধ্যমে একটি গাড়ী দিয়ে বিমানবন্দর থেকে যাতায়াতের জন্য ফ্রি ব্যবস্থা করণ, মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী গ্যাস সংযোগ স্থাপনে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করন, কৃষকদের কল্যাণে নানামুখী পরিকল্পনা গ্রহণ, মানুষের একমাত্র কর্মসংস্থান লোভাছড়া পাথর কোয়ারী পুণরায় চালু এবং ভারতের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণ, ছোট-বড় মাঝারি খামার গড়ে তোলে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সাবলম্বি করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী তুলে ধরব এবং বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। এক্ষেত্রে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলমতের উর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ।তিনি আরো বলেন, কানাইঘাটের একজন নাগরিক হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সব-সময় কানাইঘাটের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। ইমেজ ফাউন্ডেশন এর মতো সেবা মূলক সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে নানা ধরনের মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। আমার এসব কাজে সাংবাদিক সমাজ সহ সবাই অকুন্ঠ সমর্থন ও প্রেরনা দিয়েছেন।সব-সময় এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নিয়েছি এবং কানাইঘাটের সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করেছি। মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে পূরণ করা সম্ভব। এ জন্য উপজেলা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে মতবিনিময়কালে চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলাল আহমদ উল্লেখ করেন।মতবিনিময়কালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা রফিক মিয়া, এলাকার মুরব্বী হেলাল আহমদ, বিলাল আহমেদ, জাপা নেতা নিজাম উদ্দিন, হাফিজ আব্দুল হালিম, যুবনেতা ফখরুল ইসলাম, নূরে আলম, নাসির উদ্দিন সহ আরো অনেকে।উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যান প্রার্তী বেলাল আহমদ বাড়ি হচ্ছে কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের মইনা গ্রামে। তিনি ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ইমেজ ফাউন্ডেশন গড়ে তুলে বিভিন্ন ভাবে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। পাশাপাশি জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা এবং ঢাকা উত্তরা সিলেট সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। -
সমাজসেবায় বিশেষ অবদানে সম্মাননা স্মারক পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান রহমান মন্ডল।
রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃসমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য “সোশ্যাল পার্সোনালিটি শাইনিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ (সম্মাননা স্মারক) পেয়েছেন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল।‘জাতীয় ব্যক্তিত্ব স্মৃতি পরিষদ’ নামক একটি সংগঠন সারা দেশ হতে বাছাইকৃত ৪০ জন ইউপি চেয়ারম্যানকে ঢাকা জাতীয় শিশু কল্যাণ মিলনায়তন হতে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করে।বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, এ সম্মাননা আমার একার অর্জন নয়। এ অর্জন আমার ইউনিয়নের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের। এ সম্মাননা আমি আমার প্রিয় ইউনিয়নবাসীকে উৎসর্গ করছি। -
রামপালে মনোনয়ন দাখিলকৃত চেয়ারম্যান, ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর-১২ জন।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃদরজায় কঁড়া নাড়ছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সারাদেশের মত বাগেরহাটের রামপালেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চা এর আড্ডা থেকে চলাফেরার পথে সর্বত্র আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে, কে হচ্ছেন রামপালের নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান। আর এবারের উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকা না দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থান করছে।৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এ রামপালে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা (সংরক্ষিত ) ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত ইসলামীর মোট ১২ জন প্রার্থী উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৫ জন। তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জামিল হাসান জামু, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান ও জেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ইকবাল হোসেন।ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৫ জন। তারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল হক লিপন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, যুবলীগ নেতা মোল্যা মাসুদ বিল্লাল কাবির ,রামপাল উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আসাদুজ্জামান ও মেহেদী হাসান মিন্টু।মহিলা(সংরক্ষিত)ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন,বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা ছায়েরা খাতুন।উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার জানান, আগামী (৮ই মে) প্রথম ধাপে রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলা মোট ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এবার ৪৯ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩০৩ জন। তারমধ্যে ৬৮ হাজার ৬১২ জন পুরুষ ও ৬৯ হাজার ৬৯১ জন নারী ভোটার। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা (সংরক্ষিত)ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে। -
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেলের যোগদান।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:জাকজমকপুর্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেলের যোগদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৮ এপ্রিল) তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। এ সময় জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আ’লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের ঢল নামে।জেলা পরিষদের আয়োজনে যোগদান অনুষ্ঠানে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, বিশেষ অতিথি ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগারওয়ালা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, জেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র হাওলাদার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান দেবাশীষ দত্ত সমীর।এর আগে জেলা পরিষদ চত্বরে নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মজিদ আপেল। পরে তাকে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী, আ’লীগের বিভিন্ন সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। -
রাণীশংকৈলে নান্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বারী’র বিরুদ্ধে সচিবের মামলা।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দবিরুল ইসলাম (৩৮) কে মোবাইল দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় অপরাধে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ।জানা গেছে ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ইউপি সচিব দবিরুলের কাছে সরকারি রাজস্ব আদায়ের জমাকৃত টাকার চেক চাইলে এ নিয়ে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে সচিবের মাথায় আঘাত করেন। এসময় ইউপি সচিবের মাথা ফেটে যায়। ইউপি সচিব বর্তমানে রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।ইউপি সচিব দবিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান আমার কাছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চেক চায়। আমি সরকারি নিয়মের মধ্যে একাউন্ট পে চেক দিতে চাইলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। আমার মাথায় ৩ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমি এবিষয়ে থানায় এজাহার দিয়েছি।এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান আব্দুল বারী’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।মামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সোহেল রানা বলেন গতকাল রাতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার আসামীকে ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে -
মাধবপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অংশ গ্রহন করেন না উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহিদ দিবস, ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ,২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, জাতীয় শোক দিবস, জেল হত্যা দিবস সহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সকল দিবস একটানা ১০ বছর বর্জন করছেন মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান।
এসব জাতীয় গুরুতপূর্ণ দিবস ইচ্ছাকৃত ভাবে বর্জন করায় মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইচ্ছাকৃত ভাবে সব জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন না করে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন। বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন কাজী কবির উদ্দিন বলেন, উপজেলা পরিষদ সরকারের গুরুত্বপূর্ন স্থানীয় সরকার বিভাগ।
কিন্তু মাধবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইচ্ছাকৃত ভাবে গত ১০ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন না করায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি করছি। তিনি আরো বলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকলে ভাইস চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কৌশলে কোন ভাইস চেয়ারম্যানকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দিবসে দায়িত্ব দেয়নি।
আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান জানান, আমরা গবীর ভাবে লক্ষ্য করছি উপজেলা চেয়ারম্যান গত ১০ বছর ধরে জাতীয় দিবসে পতাকা উত্তোলন, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কোন আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেনি। এসব ঘটনা মাধবপুর বাসিকে মর্মাহত করেছে।
মাধবপুর উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ সুফিয়া আক্তার হেলেন বলেন, জাতীয় দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যান অংশগ্রহন করতে কোন সমস্যা থাকলে ভাইস চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিতে পারতেন। কিন্তু গত ১০ বছরে তিনি কোন ভাইস চেয়ারম্যানকে এরূপ দায়িত্ব দেননি। দায়িত্ব দেওয়া হলে জাতীয় গুরুতপূর্ণ দিবস নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠত না। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিব উদ্দিন তালুকদার ওয়াসিম বলেন এটি আমাদের জন্য কলংক।উপজেলা চেয়ারম্যানকে আমরা বার বার অনুরোধ করেছি জাতীয় দিবসে তিনি অংশ নিতে কোন সমস্যা হলে যেন আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি আমাদের কোন দায়িত্ব দেয়নি।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান জানান, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন করতে আমার আন্তরিকতার কোন অভাব নেই। কিন্তু প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আমার উপস্থিতি অনেকেই ভালভাবে দেখে না।
জাতীয় দিবসের প্রতি আমার পূর্ন আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সাল বলেন আমার যোগদানের প্রায় আড়াই মাস। এরমধ্যে শহিদ দিবস, ২৫ মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে উপজেলা চেয়ারম্যানকে অনুপস্থিত ছিলেন। বিগত ১০ বছর জাতীয় দিবসে অংশগ্রহন করেছেন কিনা আমার জানা নেই।
-
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আব্দুল মজিদ আপেল।
ঠাকুরগাঁও,প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. মঞ্জুরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসারের অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে একজন প্রার্থী প্রত্যাহার করলে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার যাচাই-বাছাইয়ে তিনজনের মধ্যে ব্যাংকে ঋণ খেলাপির দায়ে এসএমএ মঈনের মনোনয়ন বাতিল করেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
পরে এসএমএ মঈন প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে রিট করেন। আদালত তার প্রার্থিতা বহাল রেখে তাকে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। পরে গত ৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এসএমএ মঈনের আবেদন খারিজ করে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি সঠিক বলে রায় দেন। এ অবস্থায় জেলা রিটার্নিং অফিসার আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ৭ মার্চ আবারও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল বলেন, আমি সব সময় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছি এবং সততার সঙ্গে কাজ করে যাব। আমার বড় ভাই মরহুম মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করব। সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি মডেল জেলা পরিষদ গড়ে তুলবো।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী মারা যান। এতে তার পদটি শূন্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৭৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৭৮ জন ও নারী ১৮০ জন।