Tag: গুলি

  • রামপালে গুলি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ঃ মুল হোতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

    রামপালে গুলি উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ঃ মুল হোতা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ’র রাইস মিল থেকে ২৫ রাউন্ড শটগান ও এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধারের ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ মাত্র দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। অন্য আসামিদের এখনও পুলিশ প্রশাসন আটক করতে সক্ষম না হওয়ায় জনমনে তীব্র  অসন্তোষ বিরাজ করছে।

    এ ঘটনায় আবু সাঈদ (৬০)সহ ২১ জনকে আসামি করে বাঁশতলী এলাকায় এস কে আল মামুন(৩৯) নামের এক ব্যক্তি গত (১৮ জানুয়ারি) বাদি হয়ে রামপাল থানায় একটিমা মলা দায়ের করেছেন।

    মামলার অন্য আসামিরা হলো- বাঁশতলী এলাকায় শেখ মোহাম্মদ আলী(৫৮), মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল(৪৬), শেখ নাজিম উদ্দিন(৫২), শেখ কুতুব উদ্দিন(৫৮), শেখ বায়েজীদ হোসেন(৫৫), শেখ মুজিবর(৫৫), মনি শেখ(৪২), শেখ মাতলুব হোসাইন শিহাব(২৯), শিকদার শরিফুল(৫৫), শিকদার জিয়া(৪৬), আল আমিন সরদার(৩৫), শেখ সরোয়ার হোসেন(৪৫), শেখ কামরান হোসেন(৩৮), শেখ সোহাগ(৪৩), শেখ রুবেল(৩৩), দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার  সাংবাদিক মোঃ ইকরামুল হক রাজিব(৩৯), সরদার মিকাইল(৪৩), শেখ মাকসুদুর রহমান(৫৫), হাওলাদার বুলু(৪৫) ও হাওলাদার মিঠুন(৪২)।

    ঘটনার দিন রাতে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষনাৎ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ’র ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাতলুব হোসাইন ও দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র বাগেরহাট জেলার সহ-সভাপতি রাজিবকে আটক করে।

    থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবু সাঈদ ও বাকি আসামিরা হাসিনা সরকারের পতনের পর তারা সবাই আত্নগোপনে চলে গেলেও গত ১৭ জানুয়ারি, সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তারা এলাকায় প্রবেশ করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন আবু সাঈদের সোনালী রাইস মিলের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একত্রিত হতে থাকে। এ খবরে স্থানীয় বিএনপি, জামায়াত ও

    সাধারণ লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এসময় আবু সাঈদ জনতার দিয়ে উদ্দেশ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। গুলির শব্দে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আবু সাঈদ ও তার সঙ্গীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।এদিকে আত্মগোপনে থেকে আবু সাঈদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে এ

    প্রতিবেদককে জানান যে, সরকারের সাথে চাউল সরবরাহের চুক্তি মোতাবেক কিভাবে চাউল সরবরাহ করবো-তা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলাম। আমি গোপন সূত্রে জানতে পারি এলাকার কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলার জন্য ও রাইস মিল লুটপাট করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে আমি মিলের প্রধান গেইট বন্ধ করে কর্মচারীদের সাথে নিয়ে ভেতরে অবস্থান করি। সন্ধ্যার পর আড়াই শতাধিক লোক মিলের প্রধান গেইট ভেঙে ভেতরে আসার চেষ্টা করে। তারা একনাগাড়ে ইট-পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করে। তাদের হামলায় মিলের পাশে গবাদি পশুর ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবু সাঈদ আরো জানান যে, আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল এ নাটক সাজিয়েছে এবং রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করছে।

    অন্যদিকে সাংবাদিক রাজিবের স্ত্রী পারুল বেগম এ প্রতিবেদককে জানান যে, আমারস্বামী রাজিব এলাকায় একজন পরিচিত সাংবাদিক। সে জাতীয় দৈনিক অভয়নগরসহ কয়েকটি পত্রিকার সাথে যুক্ত। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র বাগেরহাট জেলার সহ-সভাপতি, বাগেরহাট রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। ঘটনার কালীগঞ্জ বাজারে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে আমার স্বামী রাজিব পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে উপস্থিত হয় এবং মুঠোফোনে পুলিশ প্রশাসনকে এলাকার পরিস্থিতি জানায়। এরপর পুলিশ আমার স্বামীকে বিষয়টি জানার জন্য থানায় নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তাকে মামলায় ১৭ নম্বর আসামি করে কোর্টে চালান দেয়। কি কারণে তাকে মামলায় দেয়া হলো-বিষয়টি আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তিনি আরো বলেন যে, তাকে মামলায় আসামি করে কোর্টে চালান দেয়ার পর একটি পক্ষ আমাদের বসত বাড়িতে হামলা চালায়, বাড়ির মালামাল লুটপাট করে এবং সেই সাথে ১ লক্ষ ৭ হাজার নগদ টাকাও লুটপাট করে নেয়। আমাদের এখন একটি পক্ষ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্ট চালাচ্ছে এবং আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।

    এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা আমারজমিনকে জানান, পুলিশ বসে নেই, পুলিশের কাজ পুলিশ করছে। এ মামলার অন্য আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি অন্য আসামিদের আটক করতে সক্ষম হবো বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

  • সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু।

    সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শ্রমিকের মৃত্যু।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইন থেকে ৩৬ বছর বয়সী চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির (৩৬) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপাল বাক্তি শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, সকালে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে পাথারিয়া পাহাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার পরিবার এবং সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বের হন। রবিবার ভোরে খবর পাওয়া যায় যে, বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের বিওসি টিলা বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মধ্যে জিরো লাইনে (গভীর জঙ্গলে) একটি লাশ পড়ে রয়েছে।
    স্থানীয়দের অভিযোগ, গোপাল অসাবধানতাবশত ভারতীয় সীমান্তের জিরো লাইনে চলে গেলে বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) তাকে গুলি করে হত্যা করে এবং লাশটি সীমান্তে ফেলে দেয়। গোপালের সঙ্গে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা বিএসএফের গুলির ভয়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। বিজিবি পরে স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেয় এবং নিহত গোপালের লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করে।
    গোপাল বাক্তি বড়লেখা উপজেলার নিউ সমনবাগ চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাক্তির ছেলে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইমরান আহমদ বলেন, গোপাল বাক্তি ও তার সহকর্মীরা বাঁশ কাটতে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএসএফ গুলি করে তাকে হত্যা করে এবং তার লাশ ফেলে রেখে যায়। তিনি আরো বলেন, বাকিরা গুলি দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে আসেন।
    বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, খবর পাওয়ার পর বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত পিলার ১৩৯১ ও ১৩৯২ এর মাঝে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০ গজ দূরে গোপালের লাশ উদ্ধার করেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তবে প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। লাশটি পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
  • রামপাল থানা পুলিশের অভিযানে পাইপগান ও গুলি সহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    রামপাল থানা পুলিশের অভিযানে পাইপগান ও গুলি সহ ৪ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে থানা পুলিশের অভিযানে দুইটি পাইপগান ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ চার সন্ত্রাসীকে আটক করেছে।
    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটক ও আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোমেন দাস।
    আটককৃতরা হলেন-খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকার মতলেব শেখের ছেলে হুমায়ুন কবির হুমা (৩৬), রমজান ঢালীর ছেলে ইসতিয়াক শাহারিয়ার(২৩), কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী রায়হান (২১), ওবায়দুর রহমানের ছেলে মোঃ আসিফ মোল্লা(২০) ও আলমগীর হোসেনের ছেলে মোঃ ইমন হাওলাদার(২১)।
    থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়,গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার ফয়লা বাজার এলাকা থেকে ফয়লাহাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর আনসার আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাদের সন্দেহজনকভাবে আটক করে। তাদের সাথে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অবৈধ অস্ত্র ও গুলির কথা স্বীকার করে। এরপর তাদের সাথে নিয়ে থানা পুলিশের একটি চৌকস দল উপজেলার ভাগা বাজার সংলগ্ন জনৈক সাইফুলের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায়। এসময় ভাড়া বাড়িতে থাকা টিনের ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে কালো রংয়ের ব্যাগে থাকা দেশীয় তৈরী দুইটি টি পাইপগান খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়াও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
    ওসি সোমেন দাস আরো জানান, আসামিরা ভাগা এলাকার সাইফুলের ভাড়া বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে গত দেড়মাস অবস্থান করছিল। গতকাল অভিযান চালিয়ে দুটি পাইপগান, ছয় রাউন্ড গুলি, পাঁচটি স্মার্ট মোবাইল ও দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
  • মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরীর পরিবারের পাশে-তারেক রহমান।

    মৌলভীবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরীর পরিবারের পাশে-তারেক রহমান।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ’আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের নির্দেশনায় মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক হত্যার শিকার স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল। রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ইং, সকাল ১১টার সময় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার খাগটেকা বাজার সংলগ্ন এলাকায় স্বর্ণা দাসের বাবা ও ভাইয়ের সাথে দেখা করে প্রতিনিধি দলটি।
    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা আলমগীর কবীর, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন।
    মৌলভীবাজার বিএনপি’র উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক সাজুর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন— ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোঃ মোকছেদুল মোমিন (মিথুন), সদস্য মাসুদ রানা লিটন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, সিদ্দিক আহমদ, সায়ফুর রহমান, কুদ্দুস আহমদ, কামাল হোসেন, এনাম উদ্দিন, গুলজার আহমদ রাহেল, হোসেন আহমদ দোলন, জালাল উদ্দিনসহ আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র অর্থ সম্পাদক, পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব মনোয়ার আহমেদ রহমান, মৌলভীবাজার জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান দিনার, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রুবেল আহমদ-সহ বড়লেখা উপজেলা বিএনপি ও অন্যান্য অংগ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
    এদিকে, বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, হামলা হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, গুম ও খুন করা হয়েছে। তারপরও বিএনপি’র একজন নেতাকর্মীকেও লক্ষ্য থেকে তারা সরাতে পারেনি। দলের প্রতিটি নেতাকর্মী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াইয়ে কাজ করে গেছেন। দেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।
    বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার চূড়ান্ত লড়াইয়ে অনেক প্রাণ গেছে। এতো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারের দোসরদের স্থান হবে না বলে জানান তিনি।
  • শতাধিক ছররা গুলি শরীরে-যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের লিটন।

    শতাধিক ছররা গুলি শরীরে-যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের লিটন।

    বাড়িতে ঢুকতেই একটি কক্ষে লিটনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় লিটনের মা মাথায় হাত দিয়ে বুলিয়ে দিচ্ছিলেন।

    শরীরে অন্তত দেড় শতাধিক ছররা গুলির চিহ্ন। গুলিগুলো মাথায় ও শরীরের ভেতরে চামড়ার নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এসব গুলির যন্ত্রণায় ছটফট করে দিনাতিপাত করছেন লিটন (১৯)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন। তাঁর শরীর থেকে ১২টি ছররা গুলি অস্ত্রোপচার করে বের করা হলেও বাকিগুলো রয়ে গেছে।

    চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ছররা গুলিতে লিটনের শরীরের বাঁ পাশে অবশ হয়ে গেছে। এখন জরুরি ভিত্তিতে তাঁর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।

    তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিক সামর্থ্য লিটনের পরিবারের নেই। নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে লিটন আগে ওষুধ ফার্মেসিতে কাজ করে চলতেন। শারীরিক অবস্থার কারণে এখন সে কাজও করতে পারছেন না।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র জনতা নিহত হওয়ার খবর শুনে অন্যান্যদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন লিটন আলী। মায়ের বারণ অমান্য করেই গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এ আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কাল হয় লিটনের।

    আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগের দিন মিছিল নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। ওই কর্মসূচিতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন লিটন। মাথা থেকে শুরু করে হাত, পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে দেড় শতাধিক ছররা গুলি লাগে তার।

    সেসনয় সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু তাদের চিকিৎসা দিলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে হামলা করবে- এ ভয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে সেভাবে চিকিৎসা দেয়নি। পরে পাশের এক প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন লিটন।

    লিটন আলীর ইচ্ছা ছিলো লেখাপড়া শেষে পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার। কিন্তু বর্তমানে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যথায় বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এখনও মাথায় ১৫টি এবং পুরো শরীরে আরও শতাধিক ছোররা গুলি রয়েছে। এই যন্ত্রণায় কত দিন থাকতে হবে তাও তিনি জানেন না তিনি। তবে উন্নত চিকিৎসায় শরীর থেকে গুলিগুলো বের করা সম্ভব হলে তিনি স্বাভাবিক হবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

    এদিকে দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কোনো রকমে প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো করানো সম্ভব হলেও উন্নত চিকিৎসার অর্থ জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছেন। নিজেকে এখন অসহায় ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছেন না লিটন।

    ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মিলননগর এলাকার ইয়াকুব আলী ও লিলি বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তানের মধ্যে লিটন সবার ছোট। ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। মা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। আর বাবা থেকেও তাদের দেখভাল করে না।

    লিটন সেই দিনের ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে জানান, ছাত্র আন্দোলনে ডাকা সব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
    গত ৪ আগস্ট দুপুরে কোর্ট চত্বরের পূর্ব পাশের গলিতে শিক্ষার্থীরা  অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ তাদের গুলি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলে। কিন্তু তাঁরা চলে যাওয়া শুরু করলে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে জ্ঞান ফেরার পর উঠে দাঁড়ালে তাঁর খুব কাছে থেকে আবারও এলোপাতাড়ি ছররা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে তাঁর পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরো শরীর গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাঁকেসহ গুলিবিদ্ধ অন্যদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
    সেখানে চিকিৎসকরা সেদিন ঠিকমতো চিকিৎসা দেননি। পরে একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করে ১২টি গুলি তাঁর শরীর থেকে বের করা হয়।

    পরের দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে তিন দিন চিকিৎসার পর রংপুর সিএমএইচ হাসপাতালে দুই সপ্তাহ ভর্তি ছিলেন। সেখানেও অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু শরীর থেকে একটি গুলিও বের করা সম্ভব হয়নি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এখন তিনি বাড়িতেই রয়েছেন।

    লিটন বলেন, এখন সরকারের কাছে একটি চাওয়া আমার শরীর থেকে গুলিগুলো বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা যেন করা হয়। আবার আমি স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে চাই। এই দেশের জন্য, আমার পরিবারের জন্য কাজ করতে চাই।

    লিটনের মা লিলি বেগম বলেন, টানাটানির সংসারে ধারদেনা করে ছেলের জন্য ওষুধ কিনতে হচ্ছে। বড় স্বপ্ন ছিল ছেলেটা পড়ালেখা শেষ করে একদিন সংসারের হাল ধরবে। পরিবারের অভাব দূর হবে। কিন্তু আমাদের সাজানো স্বপ্ন এখন শেষ হয়ে গেল!

    ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ শিহাব মাহমুদ শাহরিয়ার জানান, প্রতিটি গুলি খুঁজে বের করা খুব ক্রিটিক্যাল এবং রোগী-ডাক্তার দুজনের জন্যই কষ্টকর। তবে কোনো গুলির কারণে শরীরে ইনফেকশন বা পুঁজ বের হয়, তখন সেটা আমরা বের করে চিকিৎসা দিই। তবে এত বেশিসংখ্যক গুলি বের করা একেবারে প্রায় অসম্ভব।

    এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, লিটনের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। লিটন যাতে আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করবো।

  • বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ছেলে নিহত, আহত বাবাসহ ২।

    বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ছেলে নিহত, আহত বাবাসহ ২।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জয়ন্তের বাবা মহাদেব চন্দ্র (৪৪) এবং প্রতিবেশী দরবার হোসেন (৪৮)। আজ সোমবার ভোর ৪টায় সময় ধনতলা সীমান্তের নিটালডোবা গ্রামের ৩৯৩ নম্বর পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির। তিনি বলেন, বিএসএফের গুলিতে একজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুজন আহত হয়ে রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
    তবে নিহত কিশোরের মরদেহ ভারতের ডিঙ্গাপাড়া বিএসএফর সদস্যরা সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় নিয়ে গেছে বলে জানান স্বজনরা।
    নিহত কিশোর জয়ন্ত কুমার ও তার বাবা মহাদেব উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জয়ন্ত লাহিড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপর আহত দরবার হোসেন নিটালডোবা গ্রামের বাঠু মোহম্মদের ছেলে।
    স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে মহাদেব, তার একমাত্র ছেলে জয়ন্তসহ আরও ১৫-২০ জন ৩৯৩ নম্বর পিলার দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় ভারতের ডিঙ্গাপাড়া সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে মারা যায় জয়ন্ত কুমার। এ সময় পায়ে গুলি লেগে আহত হোন মহাদেব ও প্রতিবেশী দরবার হোসেন।
    আহত দরবার হোসেনের ভাতিজা হামিদুল ইসলাম জানান, সকালে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন চাচা। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে কোন হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলতে পারছেন না তিনি।
    নিহত কিশোর জয়ন্তের মা ও মহাদেবের স্ত্রী অধিকা রানী ঘটনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
    জয়ন্তের বড় বোন স্মিতা রানী বলেন, ‘ভাইয়ের মৃত্যু এবং বাবার গুলি লেগেছে শোনার পর মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর থেকে চিকিৎসা চলছে।’ বাবা কোনো হাসপাতালে আছেন বলতে চাননি স্মিতা। তবে ভাইয়ের মুখ শেষবারের মতো দেখার জন্য লাশ ফেরতের দাবি জানান তিনি।
    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহাম্মদ জানান, ‘আমরাও স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছি একজন মারা গেছেন, দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
  • মুরাইছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহত, আহত-১।

    মুরাইছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে কিশোর নিহত, আহত-১।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মুরাইছড়া বস্তি এলাকার এক কিশোর নিহত হয়েছে। তার লাশ সোমবার বিকালে ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।
    কুলাউড়া কর্মদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে।
    স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীদের পরিবার জানান, রবিবার বিকালে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ওরফে পারভেজ (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছিদ্দিকুর রহমান (৩৪) ওই সীমান্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চড়াতে যান। একপর্যায়ে তারা শূন্যরেখার কাছাকাছি চলে যান।
    আহত ছিদ্দিকুরের বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। বাম পায়ে গুলি লেগে আহত ছিদ্দেকুর রহমান পালিয়ে এলেও গুলিবিদ্ধ পারভেজকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে তিনি মারা যান। নিহত পারভেজের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ সময় আহত অবস্থায় ছিদ্দিকুর ফিরে এলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাংয়ের দাবি, বিজিবির সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন, নিহত সাদ্দামের লাশ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে আছে। লাশ ফেরত আনার জন্য তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগও করছেন।
    তিনি বলেন, দুপুর থেকেই নিহতদের স্বজনদের নিয়ে বর্ডার এলাকায় আছি। লাশ দেশে এলে গ্রহণ করা হবে।
    কুলাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বিএসএফ সদস্যের গুলিতে একজন নিহত ও অপর একজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।
  • সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষকের ছড়া গুলিতে ছাত্র গুলিবিদ্ধ-আহত ২।

    সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষকের ছড়া গুলিতে ছাত্র গুলিবিদ্ধ-আহত ২।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিক্ষকের ছোড়া গুলিতে মেডিকেলের ছাত্র আরাফাত আমিন তমাল গুলিবিদ্ধ হয়েছে।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন।

    সোমবার (৪মার্চ) বিকেল ৩ ঘটিকার ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাশ চলাকালিন সময়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

    কলেজ ছাত্রছাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডা.রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্রছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো।

    এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনিক ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার স্বত্তেও তার নিজস্ব ক্ষমতা দেখিয়ে ফরেনসিক বিভাগে তিনি ক্লাস নিয়ে থাকেন। ক্লাস চলাকালীন সময় ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।

    সোমবার বিকেলে ক্লাশ চলাকালিন সময়ে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩ টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক ৮ম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে। আত্মচিৎকারের খবর শুনে সবাই এগিয়ে আসলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় ও ছাত্র তমালকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন তৈরী করা পর্যন্ত ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী বিচার দাবীতে আন্দোলন করছে।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ আরিফুর রহমান।এ সময় তিনি বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষনিক পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছেন। ঘটনার মুলহোতা শিক্ষক ডা. রায়হান শরিফকে আটক করেছে পুলিশ এবং পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে।

  • রাণীশংকৈল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত।

    রাণীশংকৈল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে জিন্নাত আলী (৫২) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
    আজ শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২ টার সময় রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তের ৩৭৪ নম্বার মেইন পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
    নিহত জিন্নাত আলী উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোস্ট কলোনির মৃত মহিউদ্দীনের ছেলে।
    স্থানীয়রা জানান, জিন্নাত আলীসহ আরও কয়েকজন দুপুরে বাড়ির অদূরে ভারতের  সীমান্তে ঢুকেছিলেন ঘাস কাটার জন্য।
    পরে নাগর নদীতে ঘাস পরিস্কার করতে যান। একপর্যায়ে তারা নদী থেকে উঠে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গেলে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কুকরাদহ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।এ সময় গুলিবিদ্ধ জিন্নাত আলীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
    রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান,পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
    বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জগদল ক্যাম্পের কমান্ডার আ: মোমিন জানান,গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
    বিজিবির ঠাকুরগাঁও-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ  জানান, আজ দুপুরে জিন্নাত আলী নামে এক বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তের শুন্যরেখা অতিক্রম করলে বিএসএফ তাকে গুলি করেন। আহত অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ সীমান্তে চলে আসেন। চিকিৎসার  জন্য ঠাকুরগাঁও নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
  • উল্লাপাড়ায় এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়িকে গুলি করে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই।

    উল্লাপাড়ায় এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়িকে গুলি করে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিকাশ ও ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায়ির পায়ে গুলি করে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তোরা।

    উপজেলার পৌর শহরের চৌকিদহু ব্রিজের ঢাকা  নগরবাড়ি  মহাসড়ক মেসার্স আর,এম,এস এলপিজি অটো গ্যাস ফিলিং কনভার্শন সেন্টারের সামনে ওত পেতে থাকা ছিনতাই কারীরা দুটি মোটরসাইকেল যোগে এসে গাড়ির গতি রোধ করে গুলি করে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সরেজমিনে, গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে থেকে জানা যায়, মোঃ তারিকুল হক মোবারক সদর ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ী গ্রামের হাজী জহুরুল ইসলামের ছেলে। মোঃ তারিকুল হক( মোবারক) দীর্ঘদিন হলো বিকাশ ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যবসা করে আসছিল।

    শুক্রবার সারাদিন বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে টাকা কালেকশন করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন  সন্ধ্যা সারে ৭ ঘটিকার সময় উল্লাপাড়া মেসার্স আর,এম,এস এলপিজি অটো গ্যাস ফিলিং কনভার্শন সেন্টারের সামনে এলে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারিকুল হক মোবারককে গুলি করে তার কাছে থাকা ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্হল থেকে মোঃ তারিকুল হক মোবারককে উদ্ধার করে  সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তবে তিনি এখন আশংকা মুক্ত বলে জানিয়েছেন তার ভাই মাহমুদুল হাসান।

    প্রত্যক্ষদর্শী সুমন হোসেন জানান গুলির শব্দ শুনে আমরা এগিয়ে এসে দেখি ছিনতাইকারীর  তারিকুল হকের পায়ে গুলি করেছে রক্ত ঝরছে। ভুক্তভোগী তারিকুল হকের সঙ্গে কথা তিনি বলেন, আমি আাগে বিকাশ ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং চাকুরী করতাম। এখন আমি নিজে ব্যবসা করি। টাকা পয়সা নিয়ে চলাচল তো আজকে নতুন কিছু নয়।এরকম ঘটনা তো এর আগে ঘটেনি। আজকে সারাদিন বাজারে থেকে প্রায়( ৫.৫০.০০০) হাজার  টাকা কালেকশন করে বাড়ি ফিরছিলাম হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেল আমার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ৪ জন আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং বলে যা-কিছু আছে দিয়ে দে নইলে গুলি করে দিব টাকা দিতে না চাইলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার পায়ে গুলি করে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। দুটি মোটরসাইকেল যোগে ৬ জন লোক ছিল বলে তিনি জানান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে শ্রীকোলা মোড়ে অবস্থিত ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।