Tag: ক্ষেত

  • লক্ষ্মীপুরে দধি ব্যবসায়ী পারভেজ নিখোঁজ-৩ দিন পর ধানের ক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে দধি ব্যবসায়ী পারভেজ নিখোঁজ-৩ দিন পর ধানের ক্ষেত থেকে মরদেহ উদ্ধার।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর ধানের ক্ষেত থেকে মো. পারভেজ নামে এক দধি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চররুহিতা গ্রামের ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পারভেজ ৩১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ ছিল।

    নিহত পারভেজ একই উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল্লাহ খোকনের ছেলে ও পেশায় দধি ব্যবসায়ী।

    পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ৩১ জানুয়ারি রাতে শাকচর জব্বার মাষ্টার হাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পারভেজ তার মোটরসাইকেলযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। রাতে বাড়ের সামনে মোটরসাইকেলটি পাওয়া গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় পরদিন তার ভাই মো. ফয়েজ সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে একটি ধানক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পারভেজের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছে।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • রাণীশংকৈলে সরিষা ক্ষেতে থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষীরা।

    রাণীশংকৈলে সরিষা ক্ষেতে থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষীরা।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈলের মাঠ এখন সরিষা ফুলে হলুদ রঙে সেজেছে। সে এক অপরূপ দৃশ্য। চোখ মেললেই মন জুড়িয়ে যায়। পুরো মাঠ যেন ঢেকে আছে হলুদ গালিচায়। সরিষার রূপ আর গন্ধে মাতোয়ারা চারিধার। মৌমাছি, প্রজাপতির অবিরাম খেলা গ্রামীণ জনপদকে আরো মুগ্ধ করে তুলেছে।  চাষিদের পদচারণায় প্রকৃতি যেমন সেজেছে ঠিক সেই সঙ্গে মেতে উঠেছেন মধু সংগ্রহে মৌয়ালরা। মৌমাছিরা সরিষার ফুলে ফুলে ঘুরে ঘুরে তুলে নেয় মধু, আর সেই মধু সংগ্রহ করতেই যেন মৌয়ালরা উৎসবে মেতেছেন।
    রাণীশংকৈল কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে জমিতে সরষের আবাদ করা হয়েছে। এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬০৫০ হেক্টর জমিতে। যা গতবছরের তুলনায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে এই মৌসুমে বেশি সরিষার চাষাবাদ হয়েছে।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মৌচাষিরা সাধারণত পছন্দের একটি সরিষা ক্ষেতের পাশে খোলা জায়গায় চাক ভরা বাক্স ফেলে রাখেন। একেকটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়।
    প্রতিটি মৌ বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রানি মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। বাক্সে একটি রানি মৌমাছি রাখা হয়৷ রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে। চাকের বাক্সের মাঝখানের নিচে ছিদ্র করে রাখা হয়। সে পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে।
    উপজেলার গোগর এলাকার মৌচাষি নজরুল ইসলাম জানান, সরিষা ক্ষেতে মধু চাষ খুবই লাভজনক। এতে কৃষক ও মধু চাষি— দু’পক্ষই লাভবান হন৷ বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ছয় থেকে সাত দিন। এরপর মধু চাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের মাধ্যমে মধু বের করে নেন। ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে মৌমাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাড়তি ফলন পান কৃষক, আর মৌচাষিরা পান মধু।
    উপজেলার বলিদ্বারা,গাজিরহাট নন্দুয়ার, বসতপুর  লেহেম্বা, ধুলঝারি ধর্মগড়, মালিবস্তি কাশিপুরসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে সরিষার ফুল ফুটেছে আরো সপ্তাহ দুয়েক আগেই। এসব ফুলের মধু আহরণে নেমেছেন পেশাদার মৌয়ালারা। তাদের বাক্স থেকে দলে দলে উড়ে যাচ্ছে পোষা মৌমাছি। ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুলে ফুলে। আর সংগ্রহ করছে মধু। মুখভর্তি মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা ফিরছে বাক্সে রাখা মৌচাকে। সেখানে সংগৃহীত মধু জমা করে আবার ফিরে যাচ্ছে সরিষা ক্ষেতে। এভাবে দিনব্যাপী মৌমাছিরা যেমন মধু সংগ্রহ করে। ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে পুরো জমির পরাগায়নেও সহায়তা করে। এ মৌসুমে মৌয়ালরা পোষা মৌমাছি দিয়ে প্রচুর মধু উৎপাদন করে যেমন লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি মৌমাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় চাষিরাও বাড়তি আয়ের আশা করছেন।
    উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মালিবস্তি এলাকার মাঠে পোষা মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহে আসা বীরগঞ্জ বলাকা মোড়ের পেশাদার মৌয়াল আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও পোষা মৌমাছির ৫০টি বাক্স নিয়ে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে এসেছেন। তিনি এ বছর প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ মন মধু সংগ্রহ করতে পারছেন।
    উপজেলার নন্দুযার ইউনিয়নের গাজীরহাট এলাকার মাঠে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহে আসা ঠাকুরগাও মুরালিপুরের পেশাদার মৌয়াল আলআমিন হোসেন জানান, তিনি ১৫ দিন ধরে পোষা মৌমাছির ৪৫ টি বাক্স নিয়ে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করছেন। এখানে সরিষার ফুল থেকে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহ করে প্রতিকেজি ৪’শত টাকা দরে বিক্রি করে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি মৌ মাছির ব্যাপক পরাগায়নে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় স্থানীয় চাষিরাও খুশি হচ্ছেন।
    এদিকে, সরিষা চাষিরা বলছেন, সরিষা ক্ষেতগুলো সাধারণত দেড় মাসের মতো ফুলে ফুলে ভরে থাকে। যতদিন ফুল থাকে, ততদিনই চলে মধু সংগ্রহ।
    রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সহিদুল ইসলাম বলেন, তৈলবীজ জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা তৈলজাতীয় ফসল বাড়ানোর জন্য সবধরনের কাজ করে যাচ্ছে। এই তৈলবীজ উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে লাভজনক শস্যবিন্যাস পদ্ধতিতে একই জমিতে বছরে অধিকবার ফসল ফলানোর কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। এসব উদ্ভাবনী কৌশলে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করানোর ফলে এখন অনেক জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ হচ্ছে। সরিষার আবাদ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। আবার ওইসব সরিষার ফুল থেকে পোষা মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহে লাভবান হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পেশাদার মৌয়ালরা।
  • নলডাঙ্গায় আখ ক্ষেতে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার। 

    নলডাঙ্গায় আখ ক্ষেতে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার। 

    নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ

    নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মির্জাপুর দিঘায় আখ ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর দিঘা ঘোষ পাড়া গ্রামের একটি আখ ক্ষেত থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার হয়।তবে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।তবে নলডাঙ্গা থানায় ১৪ দিন আগের একটি নিখোঁজ একটি সাধারন ডাইরি আছে।

    নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান,নলডাঙ্গা উপজেলার মির্জাপুর দিঘা ঘোষ পাড়ায় একটি আখ ক্ষেতে অর্ধগলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অর্ধগলিত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।তবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ১৪ দিন আগে কৃঞ্চপুর গ্রামের রেজাউল নামের একজন সাইকেল মেকার নিখোঁজের সাধারন ডাইরি করা আছে।সেটা কিনা এখনও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে।তবে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।তবে কারা কিভাবে তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    তবে এলাকাবাসী দাবী করছে,বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের নিজামের ছেলে সাইকেল মেকার রেজাউল ইসলামের লাশ হতে পারে।সে ১৪ দিন ধরে নিখোজ রয়েছে।পরিবার এসে লাশ দেখে চিনতে পেয়েছে।

  • হাবিবের হলুদ ক্ষেতে শত্রুর বসবাস।

    হাবিবের হলুদ ক্ষেতে শত্রুর বসবাস।

    হাবিবের হলুদ ক্ষেতে শত্রুর বসবাস

    আড়ানী মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও আড়ানী বাজারের আবদুস সাত্তারের কাছের মানুষ বলতে পারেন আপন আত্মীয় হাবিব। তাই হাবিবকে ২ বিঘা জমি দেখা শুনাকরতে দেন। সেও সেই জমিতে স্বপ্ন বুনতে শুরু করে। ফলে দেড় মাস আগে এই জমিতে হলুদ রোপন করেন। হলুদ ভাল ফলন হবে বলে আশাবাদীও ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম সেই হলুদ ক্ষেতে শত্রুতা করে ঘাস মারা বিষ প্রয়োগ করে।

    রাজশাহীর বাঘায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে উপজেলার আড়ানী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনে হাবিব হোসেনের রোপন করা হলুদের জমিতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
    জানা যায়, আড়ানী মনোমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও আড়ানী বাজারের আবদুস সাত্তার মিঞার দুই বিঘা জমিতে হলুদ রোপন করেন হাবিব নামের এক ব্যক্তি। হাবিব বাগাতিপাড়া উপজেলার মালিগাছা গ্রামের মৃত সাদেক আলী মন্ডলের ছেলে। আত্মীয়তা হিসেবে আবদুস সাত্তার মিঞার জমি দেখাশুনা করেন হাবিব। এই জমিতে শত্রুতা করে রাতের আধারে কে বা কারা ঘাস মারা বিষ প্রয়োগ করে। এতে দুই বিঘা জমির প্রায় হলুদ ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
    এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে।আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, শত্রুতা করে ঘাস মারা বিষ প্রয়োগ করে হলুদ ক্ষেত নষ্ট করার বিষয়ে ক্ষেতের মালিক অবগত করেছেন। বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তবে যারা এমন কাজ করেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন করি।
    এ বিষয়ে হলুদ ক্ষেতের মালিক হাবিব হোসেন বলেন, আত্মীতা হিসেবে আবদুস সাত্তার মিঞার জমি দেখাশুনা করি। তার জমিতে রোপন করা হলুদ ক্ষেতে ঘাস মারা বিষ প্রযোগ করে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি থানাকে অবগত করবো।
    এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিব।