Tag: কৃষি

  • কৃষিতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পারভেজের বাগানে হামলা, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।

    কৃষিতে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পারভেজের বাগানে হামলা, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের রোড এলাকার সফল উদ্যোক্তা মাইনুল ইসলাম পারভেজ। ৬ বছরের অধিক সময় ধরে ফল চাষের সাথে জড়িত তিনি।
    ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং এলাকার বু্ড়ি ব্যারেজ সংলগ্ন দুই একর জমি লীজ নিয়ে শুরু করেন পেয়ারা, কুল ও পেঁপে চাষাবাদ। ফল চাষে সফলতার পাশাপাশি এটিএন নিউজ থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ফলচাষী হিসেবে পুরস্কৃত হোন তিনি৷
    লিজের কাগজপত্র অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাগানে চাষাবাদ করতে পারবেন উদ্যোক্তা পারভেজ৷ তবে কোন ধরনের কারণ ছাড়াই গত ৩০ জানুয়ারি বাগানের সব ফল গাছ কেটে ফেলেছেন জমির মালিক আখতারুজ্জামান। এ ঘটনায় ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকার গাছ ও ফলের ক্ষয়ক্ষতি দেখিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন উদ্যোক্তা পারভেজ৷
    উদ্যোক্তা মইনুল ইসলাম পারভেজ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি গভীর রাতে আমার লিজ নেওয়া ফল বাগানে জমির মালিকের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ২৭০টি আপেল কুল, ২০০টি মাল্টা, ১০০টি কমলা ও ১,৮০০টি পেয়ারা গাছ কেটে ফেলে। এমন কাজের মাধমে আমাকে সর্বশান্ত করে ফেলা হয়েছে। আমার আর উঠে দাড়ানোর কোন শক্তি রইলো না। পূর্ববর্তী চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে নতুন চুক্তি সম্পাদন করি। আবার ফল বাগানের পরিচর্যা শুরু করি।  গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী জমির লীজ মূল্য হিসেবে ৯৪ হাজার টাকা জমির মালিককে দেই। সেই সাথে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালে ৯৪ হাজার ও ২০২৬ সালে ৯৪ হাজার টাকা দিতে হবে। কোন কারন না জানিয়ে বাগানে ফলনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বাগানের অস্তিত্ব বিলীন করে দিয়েছেন তিনি। আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি জমির মালিক আখতারুজ্জামান।
  • কৃষি জমি রক্ষায় জীবন দিব তবুও জলাধার খনন করতে দিব না-স্থানীয় জনগোষ্ঠি।

    কৃষি জমি রক্ষায় জীবন দিব তবুও জলাধার খনন করতে দিব না-স্থানীয় জনগোষ্ঠি।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলা বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প খননের উদ্দোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিন ফসলি কৃষিজমি নষ্ট করে বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের জলাধার খননের উদ্দোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুঁসে ফেঁপে উঠেছে উপজেলা কুঠির ডাঙ্গা এলাকার স্থায়ী জনগোষ্ঠি । তাদের দাবী তাদের বৈধ কৃষিজমি দখল করে জলাধার খনন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে নীলফামারী জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার কুঠিরডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পচারহাট, চিড়াভিজা ও খারিজা গোলনা মৌজার কৃষকদের তিন ফসলি ১২১৭ একর আবাদী জমিসহ আধা পাঁকা ও কাঁচা ঘরবাড়ী, মসজিদ ও স্কুল গুলো বিনষ্ট হবে। এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহন সংক্রান্ত কোন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। জমির মালিক জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল আলিম, স্বপন ইসলাম, আল-আমীন, বীরেন্দ্র নাথ সিংহ রায়, অবিলাস চন্দ্র রায়, জনগোষ্ঠির নেতা শহিদুল ইসলাম মাস্টার বলেন, আমাদের পৈত্রিক মালিকানা সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জোর পূর্বক জলাধার খননের নামে তারা ইতিপূর্বে ৭০০ কৃষকের নামে দফায় দফায় মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা করে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিসহ হয়রানী করে আসছে। আবারও তারা বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খনন করবে “কৃষি জমি রক্ষায় জীবন দিব তবুও জলাধার খনন করতে দিব না”। সারা দেশে যে ভাবে নদী খনন হচ্ছে সেই নিয়মে নদী খনন হোক আমাদের কোন আপত্তি নেই। প্রকৃত জমির মালিকগন বলেন, আমাদের না জানিয়ে বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০১০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জমিগুলোর মালিকানা দাবী করে ৪৯২ দশমিক ৭১ হেক্টর ব্যক্তি মালিকানা জমি মের্সাস তুষকা লিমিটেডকে ইজারা দেন। তুষকা লিমিটেড এই জমিতে কার্যক্রম শুরু করলে স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা বাধা দেয়। জমি রক্ষায় প্রকৃত মালিকরা উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হলে এক আদেশে তাদের কার্যক্রম স্থগিত হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, মালিকানা সুত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা পাঁকা ঘরবাড়ী নির্মান করে ধান, ভুট্টা, কপি, আলু, মরিচ, রসুন, পিয়াজ, বেগুন ও অন্যান্য কৃষিফসল চাষাবাদ আসছেন এসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে। এসব জমির ফসল স্থানীয় জনগোষ্ঠিরা চাষাবাদ করে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য উপজেলারও চাহিদা মিটিয়ে আসছেন। বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্পের নামে অপরিকল্পিত ভাবে জলধার খনন করলে এসব জমিতে বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন  হ্রাস পাবে ।

  • ৭ম বার সাংসদ নির্বাচিত ও কৃষি মন্ত্রী আব্দুস শহীদ এর শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে আগমন।

    ৭ম বার সাংসদ নির্বাচিত ও কৃষি মন্ত্রী আব্দুস শহীদ এর শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে আগমন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন মৌলভীবাজার-৪(শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) বার বার নির্বাচিত মাটি ও মানুষের নেতা উপাধ্যক্ষ ড.মোঃআব্দুস শহীদ এমপি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৭ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তিনি শপথ নিতে ঢাকা চলে যান। সেখানে শপথ নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জবাসীকে মুল্যায়ন করে উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপিকে কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রিত্ব উপহার দেন।
    শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ তার নির্বাচনী এলাকায় ফিরছেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এদিকে এলাকায় আসছেন শুনে মানুষের মধ্যে আনন্দের শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপিকে অভিনন্দন জানিয়ে ভেনার ফেস্টুন ও তোরণে তোরণে ছেয়ে গেছে শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার পাশে জেলা পরিষদ মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যেখানে অন্তত ১০ হাজার মানুষ জমায়েত হবেন বলে জানা যায়।
    বুধবার ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সরজমিনে দেখা যায় শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনী থেকে মৌলভীবাজার সড়ক, ষ্টেশন-ভানুগাছ সড়ক ও হবিগঞ্জ সড়ক অভিনন্দন সংবলিত ফেস্টুন ও তোরণে ভরে গেছে।
    শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডস্থ ফুলের দোকান গুলোতে দেখাযায় শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ফুলের তোড়া বানাতে মানুষের ভীড়। শত শত তোড়া গতকালই তৈরী করে রেখেছেন ফুলের দোকানীরা। অনেকে নতুন করে অর্ডার নিতে পারছেন না তারা।
    এ বিষয়ে ভূনবীর দশরথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক কান্তি চক্রবর্তী বলেন, উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি গণমানুষের নেতা। তাদের প্রিয় নেতা কৃষি মন্ত্রী হয়েছেন মানুষতো ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, অভিনন্দন জানাবেই।
    শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন বলেন, উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি মানুষের কাছে থাকতে পছন্দ করেন। তিনিও মানুষকে ভালোবাসেন এই ভালোবাসার প্রতিদানে তিনি ভালোবাসাতো পাবেনই।
    এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বলেন, কৃষি উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি কে তৃণমুল থেকে শহর শহরতলী সকল মানুষই ভালোবাসেন। তাইতো একবার দুইবার নয় তিনি যতবার সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন প্রত্যেকবারই তারা ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে তাঁকে বিজয়ী করেছেন। জনগনের জন্য এই নেতার দরজা সব সময় খোলা। তিনি বিজয়ী হওয়ার পর পরই ঢাকায় চলে যান। এর পর থেকে তার বাসায় শত শত মানুষ ভীড় করছেন। এই মানুষ গুলোর জন্য তারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন কৃষি মন্ত্রীর কাছ থেকে সময় নিয়ে গণ সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন।
    তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ১১টায় তিনি শ্রীমঙ্গলে আসবেন। তাই শ্রীমঙ্গলের প্রবেশদ্বার থেকেই শত শত মানুষ তাকে বরণ করে নিতে আসবে শ্রীমঙ্গলে। পরে সাড়ে ১১টার সময় শ্রীমঙ্গলের জেলা পরিষদ মাঠে দেয়া হবে গণ সংবর্ধনা। পরের দিন শুক্রবার বিকেলেও আয়োজন করা হয়েছে অনুরুপ অনুষ্ঠান।
    এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার এলাকার মানুষের ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী। তাঁরা আমাকে বার বার নির্বাচিত করেছেন। আমিও চেষ্টা করি তাঁদের পাশে থাকার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার আমাকে কৃষি মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। এখন থেকে আমার দায়িত্ব বেড়েগেছে অনেক গুন। আমি আমার দায়িত্ব পালন করবো।
  • রানীসংকৈলে ঢাকা ব্যাংক ও পেট্রোকেমের বিনামূল্যে কৃষি  উপকরণ বিতরণ।

    রানীসংকৈলে ঢাকা ব্যাংক ও পেট্রোকেমের বিনামূল্যে কৃষি  উপকরণ বিতরণ।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে বোরো ধান চাষের জন্য ধান বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় সকল বালাইনাশক বিতরণ করা হয়েছে।
    ঢাকা ব্যাংক এর অর্থায়নে ও পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিমিটেড এর সহযোগিতায়  বুধবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ নেকমরদ কারিগরি কলেজ মাঠে এসকল উপকরণ বিতরনের আয়োজন করা হয়।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, রানীসংকৈল একটা প্রত্যন্ত অঞ্চল। এখানে এত সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে এ জন্য ঢাকা ব্যাংক ও পেট্রোকেম কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এক বিঘা ধান করতে যা যা দরকার তা সব কিছু এখানে দেওয়া হচ্ছে। যারা পাচ্ছেন আপনার অনেক ভাগ্যবান।
    এখন আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে, এজন্য উৎপাদন  ভালো হচ্ছে।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ডিএই) শামীমা  নাজনীন বলেন, আমাদের দেশে দিন দিন জমি কমে যাচ্ছে, আগে যেখানে ৭ কোটি মানুষের খাবার যোগান দেওয়া যাচ্ছিল না সেখানে এখন ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে উন্নত জাত আবিষ্কার করার কারনে। এ জন্য বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এ সময় তিনি  বলেন, আমাদের ধানের আবাদ বাড়াতে হবে।
    সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার কাছে মনে হয়েছে কৃষকদের জন্য ভালো কিছু করতে হবে। এ জন্য খায়রুল সাহেবকে বলেছি শুধু ব্যবস্যা করলে হবে না। যার ফলে ঢাকা ব্যংক ও পেট্রোকেম কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছে এ জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
    বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার রকিবুল হাসান, জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামীমা নাজনীন, আবু রায়হান জি.এম সুগার মিল ঠাকুরগাঁও, আজম মেহরাব এসএভিপি ঢাকা ব্যাংক দিনাজপুর শাখা, বিজয় কুমার সাহা ম্যানেজার পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিঃ, কামরুল হাসান ডেপুটি সেলস ম্যানেজার পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিঃ, খাইরুল ইসলাম পরিবেশক পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিঃ প্রমুখ।
  • কৃষি জমিতে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানাসহ দুই জনের কারাদণ্ড।

    কৃষি জমিতে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানাসহ দুই জনের কারাদণ্ড।

    নাহিদ মিয়া মাধবপুর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবাধে কৃষিজমিতে মাটি উত্তোলনের অপরাধে এক ব্যক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দু ব্যাক্তিকে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে  ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    মঙ্গলবার (১৪ ই নভেম্বর ) বিকালে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান ও  সহকারি কমিশনার (ভূমি)  রাহাত বিন কুতুব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রামামাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর( গঙ্গানগর) গ্রামের লিচু মিয়ার পুত্র  শিবলু মিয়া(৪২), আশুগঞ্জ এর হৃদয় মিয়া(৩৫) এবং কল্টু মিয়া নামে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।ভ্রামামাণ আদালতের মাধবপুর থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন। পরে দন্ডপাপ্তদের মাধবপুর থানা সোপর্দ করা হয়। সহকারি কমিশনার (ভূমি)  রাহাত বিন কুতুব ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
  • ৬০ জন উদ্যোক্তার মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি, সার ও বীজ বিতরণ।

    ৬০ জন উদ্যোক্তার মাঝে কৃষি যন্ত্রপাতি, সার ও বীজ বিতরণ।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে ৬০ জন উদ্যোক্তার মাঝে উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি, সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৮-নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উদ্যোক্তাদের হাতে কৃষি উপকরণ তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান।
    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)মাধবপুর শাখার উদ্যোগে সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে কৃষি খাতে সহায়তা দেয়ার জন্য এগ্রো-সিএসআর প্রকল্প ২০২৩ ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের আওতায় এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
    ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) মাধবপুর শাখার ব্যবস্থাপক মোহিত রঞ্জন ভট্টাচার্যের  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে নানা দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মন্জুর আহ্সান।বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান,মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ এরশাদ আলী,ইউসিবি (পিএলসি) মাধবপুর শাখার অপারেশন ম্যানেজার সাইদুর রহমান মোল্লা ,জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক মোঃ বদু মিয়া প্রমুখ।
    ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)মাধবপুর শাখার ব্যবস্থাপক মোহিত রঞ্জন ভট্টাচার্য  জানান, এ উপজেলার কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের ৬০ জন উদ্যোক্তাদের মাঝে ৯ লাখ টাকার ,পানির পাম্প, ধান মাড়াই যন্ত্র, ফ্যান,কিটনাশক যন্ত্র,সার ও বীজ সহ বিভিন্ন উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ও উদ্যোক্তাদের কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতের বিশেষ উন্নয়নে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
  • ডিমলায় কৃষি মেলার শুভ উদ্বোধন।

    ডিমলায় কৃষি মেলার শুভ উদ্বোধন।

    নীলফামারীর ডিমলায় তিনদিন ব্যাপী কৃষি মেলা-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গ উপজেলা চত্ত্বরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তিনদিন ব্যাপী এই কৃষি মেলার আয়োজন করে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে একদিন বাড়িয়ে আগামী ২৫ জুন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবু নীরেন্দ্র নাথ রায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়শা সিদ্দীকা।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে কৃষি মেলা আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

    উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফায়জুল বারী’র সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান প্রমুখ। কৃষি মেলায় ২৫টি স্টল স্থান পেয়েছে। আলোচনা শেষে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সকল সদস্য বৃন্দসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

  • তানোরে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ।

    তানোরে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ।

    তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে। সেই সাথে কৃষি কর্মকর্তার শাস্তি ও জরুরী ভাবে দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছেন প্রকৃত কৃষকরা। গত ২০মার্চ সোমবার উপজেলার প্রায় ৪হাজার কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত এমপির কাছে একাধিক প্রকৃত কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা বিতরণের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেন।

    কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা তার মাঠ পর্যায়ের বিএস কর্মকর্তাদের দিয়ে নামমাত্র কৃষি প্রণোদনার তালিকা তৈরি করে প্রকৃত কৃষকদের সহায়তা প্রদান না করে নিজের ইচ্ছে মতো অকৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি কৃষক না হয়েও যাদের কৃষক বানিয়ে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তারা সকলে সেই কৃষি প্রণোদনার সার বীজ খুচরা সার ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অথচ প্রকৃত কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন না। যা শুধু একমাত্র কৃষি কর্মকর্তার সেচ্ছাচারীতায় এসব অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে।

    জানা যায়, একজন কৃষক এক কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ২০ কেজি এমওপি সার, ১০০ টাকার বালাইনাশক এবং জমি প্রস্তুতি, সেচ ও বাঁশের বেড়া তৈরিতে বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার ৮০০ টাকা পাবেন। সেই সঙ্গে ২ হাজার ১০০ টাকার পলিথিন ও ১৫০ টাকার নাইলনের সুতা দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানেও কৃষক প্রতি বরাদ্দের ২ হাজার ১০০ টাকার পলিথিনের বদলে দিয়েছেন বড়জোর ৫০০ টাকার পলিথিন। ১৫০ টাকার নাইলনের সুতার বদলে দিয়েছেন ৬০ টাকার প্যারাসুট সুতা। আর এসব কৃষি প্রণোদনা গুলো যেসব কৃষকদের দেয়া হয়েছে তারা কেউ প্রণোদনা গুলো ব্যবহার না করে প্রায় কৃষক বিক্রি করে দিয়েছেন। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে এসব অনিয়ম দুর্নীতি।

    তানোর পৌরসভার বেশকিছু কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তানোর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী বিএস এমদাদুল হকের মাধ্যমে কৃষি কর্মকর্তা যোগসাজশ করে এসব কৃষি প্রণোদনার সার বীজ গুলো নামমাত্র ভুয়া কৃষকের তালিকা তৈরি করে আত্মসাৎ করে আসছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
    এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে করা কৃষকের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কৃষি কর্মকর্তা কৃষকের কিসে ভালো আর কিসে খারাপ আমি জানি,এমপি সাহেব না বুঝে কৃষকের কথায় আমাকে গালাগালি করেছে। তিনিতো আর মাঠ পর্যায়ে থাকেন না সে কি বুঝবে। আমরা সারাদিন মাঠেঘাটে থাকি কে কৃষক আর কে অকৃষক আমার চাইতে এমপি সাহেব বেসি চিনেন না। তাই আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আমাকে ক্ষমতার দাম্ভিকতা দিয়ে গালাগালি করেছেন। আমি বিষয়টি আমার উদ্ধর্তন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি,দেখা যাক তারা এমপি সাহেবের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহন করছে।

  • বাঘা উপজেলা  প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের পাশে।

    বাঘা উপজেলা  প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের পাশে।

    বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর বাঘায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ-১/২০২৩-২৪ মৌসুমে পাট ফসল এবং রোপা আউশের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির  লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ  করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) উপজেলা  প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাঘা, রাজশাহী এর আয়োজন করেন।
    উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার  গ্রাম পর্যায়ে  ৫শ ৫০ জন প্রত্যেকে ৫ কেজি উফসী আউশ বীজ  ১০ কেজি  ড্রাই এমোনিয়াম ফসফেট( ডিএপি) ১০ কেজি মিউরেট অব পটাস (এমওপি) বিতরণ করা হয়। সেই সাথে উপজেলার ২ হাজার ৩২০ জন কৃষকের মাঝে উন্নতমানের ১ কেজি পাটবীজ  সরবরাহ করা হয়েছে।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুত অফিসের  ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার  সবীর কুমার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলী প্রমুখ।
  • বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।

    বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে হাজার হাজার বিঘা কৃষি জমি চাষাবাদ হয় একবার।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কৃষি জমি বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। স্থানীয় কৃষকরা আমন ধান রোপন করতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঐ এলাকার কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করে। বর্ষার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নেই। কেউ বোরো ধানের বীজতলার পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত আবার কেউ পতিত জমির আইল (মাল্লি) ছাটাই ও সেচ পাম্প দিয়ে পানি তুলে যান্ত্রিক টিলার দিয়ে হাল চাষে ব্যস্ত। পতিত কৃষি জমিতে কৃষকের পরিশ্রমে ফলবে সোনালী ফসল বোরো ধান ।

    জানা যায়, বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা হইতে দক্ষিন সুন্দর খাতা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিঃ মিঃ বুড়ি তিস্তার বাঁধটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে নির্মিত। ১৯৮৮ সালের প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে কচুবাড়ীর দলার বাঁধের অংশ প্রায় ৬০ মিটার ভেঙ্গে যায়। এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও জমির মালিকগনের নিজস্ব অর্থায়নে বাঁধটি এক সময় বাঁধা হলেও পুণরায় উজানের পানির ঢলে ভেঙ্গে য়ায়। তখন থেকে এ অবধি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে উজানের ঢল ও বুড়িতিস্তা নদীর পানি ঢুকে ভুট্টাসহ আমন ও বোরো মৌসুমে রোপনকৃত বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ৬০ মিটার ভাঙ্গা বাঁধটি সংস্কারের অভাবে এলাকার কৃষকদের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমি পতিত থাকে বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদের অনুপযুক্ত। বাঁধটি মেরামত সহ বুড়িতিস্তা নদী খননের দাবী এলাকাবাসীর।

    স্থানীয় কৃষক পাষান আলী জানান, বুড়িতিস্তা নদীর পশ্চিম পার্শ্বের বাঁধটি কিছু অংশ অনেকে আগে বন্যায় ভেঙ্গে যায়, নদীর পানি ঢুকে আমাদের জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধানের আবাদ ছাড়া কিছুই হয়না জমিগুলোতে “বছরের অর্ধেক মাসেই পতিত থাকে কৃষি জমি একবার হয় আবাদ, সে আবাদ দিয়ে কি আর সংসার চলে ”। জমির মালিক আব্দুল হামিদ জানান, বুড়িতিস্তা নদী খনন ও বাঁধটি সরকারী বরাদ্ধে মেরামত করা হলে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা আমন-ইরি দুই ফসল উৎপাদিত করতে পারবে, তখন জমিগুলো এক ফসল থেকে দুই ফসলে রুপান্তরিত হবে । এতে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবে। বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জমিগুলো বৎসরে একবার পতিত থাকে শুধু বোরো ধান চাষ হয়। বোরো ধানের উপর আর নির্ভরশীল না থেকে আমন মৌসুমে যাতে পতিত জমিগুলোতে কৃষকেরা চাষাবাদ করতে পারে সে জন্য নীলফামারী-০১ মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকারের কাছে দৃষ্টি আর্কষন করছি ।

    এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সেকেন্দার আলী বলেন, বাঁধটি মেরামত হলে জমিগুলো পতিত থাকবে না তখন আমন ধান রোপন করা সম্ভব। কৃষকেরা নিজেদের খাদ্য চাহিদা মিটেয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। সরে জমিনে দেখা যায়, বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষা কচুবাড়ীর দলার বাঁধটি সংস্কারের অভাবে মেরামত করা হয়নি। মেরামত না হওয়ায় নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমি আমন ধান রোপন করতে পারে না ফলে কৃষকদের জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে পতিত থাকে। যার ফলে প্রতিনিয়ত কৃষকেরা অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর দিনাতিপাত করছে।

    পতিত জমিগুলোতে বোরো ধান চাষাবাদ করলেও বোরো ধানকাটা মৌসুমে বুড়িতিস্তা নদীর পানি বাঁধটির ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে বোরো ধান কাঁটা মৌসুমে চাষাবাদকৃত পাঁকা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বর্ষা মৌসুমে মধ্যম সুন্দর খাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যায়লয়টির মাঠ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বাঁধটি বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ায় সুন্দর খাতা কচুবাড়ীর দলা হইতে খোকসারঘাট ব্রীজের উজানের কৃষি জমিগুলো বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর পতিত থাকে।