Tag: উদ্ধার

  • সিলেট পৃথক স্থান থেকে ২ ব্যক্তি লাশ উদ্ধার ; আটক-৩।

    সিলেট পৃথক স্থান থেকে ২ ব্যক্তি লাশ উদ্ধার ; আটক-৩।

    সিলেট পৃথক স্থানে ২ ব্যক্তি লাশ উদ্ধার ; আটক-৩।


    সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ঘাঠেরচটি ও নয়াটিলা নামক পৃথকস্থান থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশের সদস্যরা। উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাঠেরচটি এলাকার মৎস্য খামার ও নয়াটিলা জামে মসজিদ সংলগ্ন কৃষি জমি থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে উপজেলার ঘাঠেরচটি এলাকার নায়াটিলা জামে মসজিদ সংলগ্ন কৃষি জমিতে মাটি চাপা অবস্থায় নিখোঁজ হওয়া ডালিম আহমদ (২২) নামের যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ডালিম আহমদ উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাঠেরচটি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে । তবে পূর্বের উদ্বার হওয়া লাশটি বটেশ্বর এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া ব্যাক্তি হতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

    গত সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে একই এলাকার তারেক হাজীর মৎস্য খামারের পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় দড়ি পা বাঁধা ও মাথার পিছনে আঘতের চিহ্ন ছিল। নিহত ব্যাক্তির পরিচয় এখনো সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

    প্রাথমিক ভাবে ঐদিন লাশ টি ডালিমের লাশ বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারনা করছিল, ময়না তদন্ত শেষে লাশটি দাফন করে ডালিমের পরিবার। দাফন করার কিছুক্ষন পর পুলিশ নিশ্চিৎ হয় লাশটি ডালিমের নয়। নড়ে-চড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন, সাধারণ ডায়রি নিয়ে আবাও মাঠে নেমে পড়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়ান্দা সংস্থার প্রতিনিধি।

    জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়, উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের কামরান(২৫), মানিক(৩৮) ও নাম নাজান আরেক ব্যাক্তিকে।

    তাদের দেওয়া তথ্যের বৃত্তিত্বে মঙ্গলবার ৮ মার্চ রাত ১০টার দিকে ডালিমের সন্ধানে বের হয় পুলিশের একটি ইউনিট। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পুলিশ বিদ্যুতিক খুটির মধ্যে রক্তের দাগ দেখতে পায়, আরেকটি সামনে অগ্রসর হয়ে রক্ত মাখা ছুরা উদ্বার করে রাত ১টার দিকে ঘাঠেরচটি এলাকার নায়াটিলা জামে মসজিদ সংলগ্ন কৃষি জমিতে মাটি চাপা অবস্থায় ডালিমের লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। ৭ মার্চ জৈন্তাপুর থানা পুলিশ অঞ্জাত আরেকটি লাশ উদ্বার করলে তার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ৫ মার্চ ডালিম তার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ী ঠাকুরের মাটি এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে রাতে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করলে ও সে আর বাড়ি ফিরে যায়নি। বাড়ীতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। নিকট আত্মীয় সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নিয়ে কোন রকম সন্ধান না পেয়ে তার বাবা বাচ্চু মিয়া রবিবার ৬ মার্চ জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।

    মঙ্গলবার ৮ মার্চ রাত ১০টার দিকে ডালিমের সন্ধানে বের হয় পুলিশের একটি ইউনিট। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত ১ টার দিকে ঘাঠেরচটি এলাকার নায়াটিলা জামে মসজিদ সংলগ্ন কৃষি জমিতে মাটি চাপা অবস্থায় ডালিমের লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। রাত ২টায় পুলিশ ডালিমের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

    এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমদ সাংবাদিকদের জানান, ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা ডালিমকে গলা কাটে, হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে ফেলে যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সন্দেহ জনক হওয়াতে ডালিমের সাথে চলাফেরা করে এমন তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর হত্যার রহস্য জানা যাবে।

  • চট্টগ্রামে মাদ্রাসার পেছন থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার 

    চট্টগ্রামে মাদ্রাসার পেছন থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার 

    চট্টগ্রামে মাদ্রাসার পেছন থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার। 

    চট্টগ্রামের মুরাদপুর আলী বিন আবী তালিব মাদরাসার পেছন থেকে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
    আজ মঙ্গলবার (০৮ মার্চ২২)সকাল ১০ টার দিকে ওই মাদরাসার পেছন থেকে আমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
    পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান জানান, লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।ময়নাতদন্তের জন্য আরমানের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
    ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. আরমান (১৪); তার বাবার নাম আব্বাস উদ্দিন। মুরাদপুর ডানকান হিল পিলখানা এলাকার ‘আলী বিন আবী তালিব’ মাদ্রাসায় পড়তেন তিনি।
    এর আগে গত শনিবার চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ এলাকার আল্লামা শাহ ছুফি অছিয়র রহমান মাদ্রাসা ও হেফজখানা থেকে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
  • গোদাগাড়ীতে পুলিশ সদস্য এস আই নুর ইসলাম এর লাশ উদ্ধার।

    গোদাগাড়ীতে পুলিশ সদস্য এস আই নুর ইসলাম এর লাশ উদ্ধার।

    গোদাগাড়ীতে পুলিশ সদস্য এস আই নুর ইসলাম এর লাশ উদ্ধার।


    রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এস আই নুর ইসলাম(৪০)এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোদাগাড়ী-আমনূরা সড়কের বিশ্বনাথপুর কাজীপাড়া এলাকায় সড়কের পাশে তার লাশ পড়ে ছিলো।নিহত এস আইয়ের নাম নূর ইসলাম (৪০)।তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলায়।

    গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুল ইসলাম জানান, সড়কের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে গোদাগাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে। এরপর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের রামেক হাসপাতলে মর্গে প্রেরণ হয়।
    রাস্তার পাশে এসআই নূর ইসলামের মোটরসাইকেলটিও পড়ে ছিল। হেলমেটটি ভাঙা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে এস আই নূর ইসলাম গাছের সাথে ধাক্কা লাগে।এতে হেলমেট ভেঙে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়।

    ‘তবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাবে বলে জানান।

  • শেখঘাট কলোনি থেকে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।

    শেখঘাট কলোনি থেকে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।

    শেখঘাট কলোনি থেকে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।

    সিলেট শেখঘাট এলাকার একটি কলোনি থেকে মোঃ শরিফ (১৪) নামের কিশোরে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তাৎক্ষনিক ওই কিশোরকে সিলেট এম.এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং, রবিবার দুপুর ১টার দিকে।

    সিলেট এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় এবং পরবর্তীতে ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিফ সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার মৌলাপাড়া গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে। তারা নগরীর শেখঘাট এলাকার শুভেচ্ছা-২৯৭ বাসার মালিক মবশ্বির আলীর কলোনিতে থাকতেন। শরিফের বাবা মোস্তফা দিনমজুর ও তার মা বাসা-বাড়িতে কাজ করতেন। মাসখানকে আগে শরিফের বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর শরিফের মা তাকে যে কোনো কাজে লেগে পড়তে বলেন। সর্বশেষ রবিবার সকালে শরিফকে তার মা শাসিয়ে কাজে চলে যান। পরে বেলা ১টার দিকে শরিফ ঘরের দরজা লাগিয়ে তীরের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়। প্রতিবেশিরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ঘরের চালার টিন খুলে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
    বিকেল ৩টা সময় সিলেট এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, স্থানীয়রা ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
    লাশের ময়না তদন্ত চলছে, ময়না তদন্ত শেষে, রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
  • ডিমলা থানা পুলিশের তৎপরতায় ব্যবসায়ীর হারানো টাকা উদ্ধার।

    ডিমলা থানা পুলিশের তৎপরতায় ব্যবসায়ীর হারানো টাকা উদ্ধার।

    ডিমলা থানা পুলিশের তৎপরতায় ব্যবসায়ীর হারানো টাকা উদ্ধার।


    ডিমলায় থানা পুলিশের তৎপরতায় ব্যবসায়ীর হারানো টাকা উদ্ধার ও মুলমালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানা সূত্রে জানা যায়,মোঃ দুলাল হোসেন পিতা মৃত মতিউর রহমান গ্রাম দক্ষিণ গয়াবাড়ি ডিমলা থানায় আসিয়া জানায় সে গয়াবাড়ী শুটিবাড়ী হোটেল ঝিলিক হোটেলে চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য ২১ ফেব্রুয়ারী  সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় শপিং ব্যাগে ২,০০,০০০/=(দুই লক্ষ) টাকা নিয়ে মেহের আলী সেলিম হোসেন সহ  ঝিলিক হোটেলে নাস্তা খাইতে বসেন।

    নাস্তা খাওয়া শেষে মনের অজান্তে টেবিলে উপরে টাকার ব্যাগটি রেখে হোটেল থেকে বের হয়ে পানের দোকানে যায়। কিছুক্ষণ পর টাকার ব্যাগটির কথা মনে পড়লে সে হোটেলে বসে নাস্তা খাওয়ার টেবিলে কাছে গিয়ে দেখে টাকার ব্যাগটি নাই। হোটেলের ম্যানেজারকে বিষয়টি জানার পরে দুলাল হোসেন জানতে পারে পাশের টেবিলে বসে থাকা আবুল হোসেন  নামে একজন ব্যক্তি সেই সময় নাস্তা করছিল। সে খাওয়া শেষে চলে যায়। তাকে খোঁজা খুজি করিয়া সন্ধান পাওয়া যায় নাই।
    পরবর্তীতে টাকা হারিয়ে যাওয়ার মালিক দুলাল হোসেন থানায় সংবাদ প্রদান করে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলামের   নির্দেশ মোতাবেক পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বিশ্বদেব রায়, এসআই কালাম, এসআই জগদিশ চন্দ্র  ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান করিয়া আবুল হোসেনকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে শনাক্ত করে।
    আবুল হোসেন জানায় খাওয়া শেষে কাউকে না পেয়ে টাকার ব্যাগটি নিয়ে বাড়িতে চলে আসি । স্থানীয় মেম্বার সহ তার পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে টাকা ফেরত প্রদান করে। উদ্ধারকৃত টাকা ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল হোসেনকে ফেরত প্রদান করা হয়। দুলাল হোসেন হারিয়ে যাওয়া টাকা পেয়ে পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
  • মাধবপুরে অভিযান পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী উদ্ধার।

    মাধবপুরে অভিযান পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী উদ্ধার।

    মাধবপুরে অভিযান পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী উদ্ধার।

    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ও বহরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় থেকে বুধবার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারি) স্থানীয় পাখি প্রেমিক সোসাইটির তথ্যের ভিত্তিতে সারাদিন ব্যাপি হবিগঞ্জের বন্য প্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের ফরেষ্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্ত্বে ও র‍্যাব-৯ এর অংশগ্রহনে বন্য পাখি  উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

    অভিযানে র‍্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ উপ শাখার এস আই ত্রিপন চাকমা সহ সঙ্গী ফোর্স ও হবিগঞ্জ বন বিভাগের  জিয়াউল হক রাজু পিএম,মোঃ রানা মিয়া পিএম,টিপুল দেব,হবিগঞ্জ পাখি প্রেমিক সোসাইটি সভাপতি সাংবাদিক মুজাহিদ মসি,হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব সদস্য সাংবাদিক হৃদয় শাহ আলম,সাংবাদিক ও ব্লগার মোঃ জসিম উদ্দিন,পাখি সংগঠক মোঃ তুষার সহ মাধবপুরস্থ সেচ্ছাসেবী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটি সদস্যরা।
    ওই অভিযানে ডাহুক পাখি ০৩টা,ঘুঘু ১০টা,শালিক ০৩টা এছাড়া বিপুল পরিমাণ সংখ্যক পাখির ফাদ উদ্ধার করা হয়।পরে আরো জানা যায় ফরেষ্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান,অভিযানে বরুড়া,রাজনগর, কমলপুর,মংগলপুর,বেলাপুর গ্রামে  আমরা ১৬টি পাখি শিকারি সন্ধান পেয়েছি তাদের বিরুদ্ধে বন্য প্রানী আইনে খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    এ বিষয়ে আরো জানা যায় হবিগঞ্জের বন্য প্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান,আমাদের সকলে পাখি সংরক্ষনে এগিয়ে আসা উচিত।এই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে আমরা সচেতনতামূলক সেমিনার চলমান রয়েছে।বন্যপ্রাণী ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক এ.এস.এম জহির উদ্দিন আকন ময়মনসিংস থেকে ফোনে জানান,আমাদের  ক্রমাগত অভিযানে মানুষের সচেতনতা বাড়ছে।তিনি উন্মুত করা হটলাইনে সকলকে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার অনুরোধও জানান।
  • দেওয়ানগঞ্জে আফ্রিকান মাগুর মাছ  ও জরিমানা

    দেওয়ানগঞ্জে আফ্রিকান মাগুর মাছ ও জরিমানা

    দেওয়ানগঞ্জে আফ্রিকান মাগুর মাছ উদ্ধার ও জরিমানা।

    জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী পিআইসি’র আওতাধীন ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর ব্যাপারি পাড়া অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ আফ্রিকান মাগুর মাছ জব্দ করেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অহনা জিন্নাত।

    আজ সোমবার ১৪ফেব্রুয়ারি ২০২২ অভিযান পরিচালনা করেন দেওয়ানগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অহনা জিন্নাত এর নেতৃত্বে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম, ডাংধরা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন, সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান, এস আই তরিকুল ইসলাম সহ পুলিশ টিম।
    জানা যায়, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে আফ্রিকান মাছ, আমদানি করে আসছিলো আঃ করিম পিং নেছার উদ্দিন, আঃ রশীদ পিং শামসুল হক, আঃ খালেক পিং কাচ্চু আলী, আবু বক্কর পিং শেখ আহমেদ, সর্ব সাং বাঘারচর ব্যাপারি পাড়া। তাদের আমদানি কৃত প্রায় ৫০ মণ আফ্রিকান মাগুর জব্দ ও আঃ রশীদ পিং শামসুল হককে আটক করেন। পরে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে জব্দ কৃত আফ্রিকান মাগুর গুলো কয়েকটি এতিম খানা ও মাদ্রাসার গরীব ছাত্রদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।
    ২০১৪ সালের জুন থেকে বাংলাদেশে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপননের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস ১৯৮৫ এর কয়েকটি ধারা সংশোধন করে আফ্রিকান মাগুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ ছাড়াও বিদেশ থেকে আফ্রিকান মাগুর ও পিরানহা মাছ, মাছের রেনু ও পোনা আমদানি করলে জেল জরিমানার বিধান রেখে মৎস্য সংঘ নিরোধ আইন-২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রী পরিষদ।
    সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অহনা জিন্নাত বলেন- আমরা খবর পেয়েছি ৬০ মণ এর অধিক নিষিদ্ধ আফ্রিকান মাগুর আমদানি করে এলাকার হাট বাজার গুলোতে বিক্রি করছে একটি চক্র। আমরা অভিযান চালিয়ে সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি, একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছি ও জব্দ কৃত আফ্রিকান মাগুর গুলো এলাকার এতিম খানা এবং মাদ্রাসার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে আবারও এসব মাগুর আমদানি করলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
    আঃ রশীদের স্ত্রী রশেদা বেগম মৌখিক অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে হাতকড়া পড়ালে দৌড়ে ম্যাডামের পায়ে পরলে সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান তাকে থাপ্পড় মেরে সরিয়ে দেয়।
    এব্যাপারে সানন্দবাড়ী পিআইসি’র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসাইন খান এর নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন- আমি থাপ্পড় দেইনি আমি তাকে সরিয়ে দিয়েছি। তারা এটা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
  • সলঙ্গায় হাসপাতাল কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    সলঙ্গায় হাসপাতাল কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    সলঙ্গায় হাসপাতাল কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।


    সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় হাটিকুমরুল রোড গোলচত্বর (চড়িয়া) এলাকা হতে কামাল হোসেন (৫৩) নামের এক হাসপাতাল কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯ টার দিকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড (চড়িয়াশিকার) গ্রামের পরিত্যক্ত ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ।

    কামাল হোসেন নরসিংদী জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানায়, কামাল প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে হাটিকুমরুল রোডের আশপাশে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন।

    গত কয়েক বছর ধরে ইদানিং তিনি সিরাজগঞ্জ রোডের একটি বেসরকারী হসপিটালে চাকরী করতেন।এলাকাবাসী জানান, কামাল পরিবার নিয়ে ১৭ বছর আগে সিরাজগঞ্জ রোডে আসেন। দীর্ঘদিন এখানে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। গত কয়েক বছর ধরে সিরাজগঞ্জ রোডের ধারে চড়িয়া গ্রামে একটি বাড়ি ক্রয় করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে স্থায়ী বসবাস করেন। প্রথমে ভাঙ্গুড়ির ব্যবসা শুরু করলেও পরে রোডের বিভিন্ন হসপিটালে চাকরি করতেন।

    স্থানীয়রা আরও জানায়, সে গত কিছুদিন ধরে বাড়িটি বিক্রি করেন এবং কয়েক সপ্তাহ আগে স্বপরিবারে এখান থেকে অন্যত্র চলে যায়। বিক্রি করা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত থাকায় বাড়ির নতুন মালিক মানিক হোসেন আজ শুক্রবার রাতে বাড়িতে ঢুকে কামালের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, লাশের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

  • রাজশাহীর বাঘায় চুরি হওয়া তিনটি গরু দৌলতপুরে উদ্ধার।

    রাজশাহীর বাঘায় চুরি হওয়া তিনটি গরু দৌলতপুরে উদ্ধার।

    রাজশাহীর বাঘায় চুরি হওয়া তিনটি গরু দৌলতপুরে উদ্ধার।

    শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাতে চুরি হওয়া তিনটি গরু কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  এই গরুগুলো উদ্ধার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ । এই ঘটনায় জড়িত নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    জানা যায়, বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা হেদাতীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুস সুবাহান মোল্লার ছেলে আবদুর রউফ মোল্লার বাড়ি থেকে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে তিনটি গরু চুরি হয়। পরেরদিন আব্দুর রউফ মোল্লা বাদি হয়ে বাঘা থানায় অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ আশেপাশের থানায় ম্যাসেজের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করেন। ঘটনার দুইদিন পর শুক্রবার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে তিনটি গরু উদ্ধার করে পুলিশ। এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নুরুল ইসলাম কল্যানপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
    এ বিষয়ে গরুর মালিকের ছেলে মখলেসুর রহমান বলেন, উদ্ধারকৃত গরুগুলো আদালতের মাধ্যমে আমাকে দেওয়া হবে। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া গরু দৌলতপুর থানার হেফাজতে রয়েছে। আমি গরুগুলো রক্ষনাবেক্ষণের জন্য একটি লোককে দায়িত্ব দিয়েছি। আদালতের অনুমতি পেলে গরুগুলো দৌলতপুর থানা মালিককে বুঝিয়ে দিবেন। গরু তিনটির আনুমানিক মূল্যে ৩ লাখ টাকা।
    এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া, লালপুর, বাগাতিপাড়া এলাকায় বিশাল একটি গরু চুরির গ্যাংবাহীনি রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত নুরুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে গরু চুরির গ্যাংবাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত করে অন্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।
  • মাটিরাঙ্গায় পুলিশের অভিযানে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার।

    মাটিরাঙ্গায় পুলিশের অভিযানে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার।

    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে ১২ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। এসময় ভারতীয় শাড়ী পাচারের সাথে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।

     শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ও দুর্গম এলাকা মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মনোরঞ্জন কার্বারী পাড়ার পাহাড়ি পথ পারি দিয়ে মতিলাল ত্রিপুরা’র বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে এসব ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

    জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী’র দিক-নির্দেশনায় ওসি (তদন্ত) আমজাদ হোসেন’র নেতৃত্বে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুর্গম এলাকা’ মনোরঞ্জন কার্বারী পাড়ায় অভিযান চালায় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।

    এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারী খলিলুর রহমান গং পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মনোরঞ্জন কার্বারী পাড়ার মতিলাল ত্রিপুরার বসত বাড়ী থেকে ৪০১ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় চোরাকারবারি খলিলুর রহমান, মতিলাল ত্রিপুরা সহ ৫/৬ জনকে আসামী করে মাটিরাঙ্গা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

    অভিযানকালে মাটিরাঙ্গা থানার (এসআই) মাহমুদুল হাসান ইরফান, (এসআই) সাদ্দাম হোসেন, (এসআই) মোঃ হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    অবৈধ পথে ভারতীয় মালামাল দেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না জানিয়ে মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী বলেন,অবৈধ ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে,জড়ীত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধারকৃত শাড়ির আনুমানিক বাজারমূল্য ১২ লাখ টাকা বলেও জানান তিনি।