Tag: অভিযোগ

  • লক্ষ্মীপুরে সরকারি ভূমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে সরকারি ভূমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ। 

    লক্ষ্মীপুরে সরকারি ভূমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ। 


    লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার তহশিলদার ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে মেয়র মেজু দাবি করছেন, এটি তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি। রোববার (১ মে) বিকেলে রামগতি পৌর ভূমি কার্যালয়ের তহশিলদার মীর জিয়াউদ্দিন কাজ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মেয়র মেজু জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক।

    ভূমি কার্যালয় সূত্র জানায়, রামগতি পৌরসভার আলেকজান্ডার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে সরকারি ৮ শতক জমি দখল করে মেয়র মেজবাহ উদ্দিন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছিলেন। ১৮ এপ্রিল স্থানীয় ৩ জন বাসিন্দা লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সরকারি ৭টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের নির্দেশে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়র বিভিন্নভাবে ফের কাজ শুরুর পাঁয়তারা করছেন।

    স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকা নির্মাণ কাজ শুরু করতে শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে মেয়র প্রয়োজনীয় ইট-বালুসহ সরঞ্জামাদি এনেছেন। প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে তিনি ভবন নির্মাণ করে দখল করতে পাঁয়তারা করছেন।

    অভিযোগ সূত্র জানায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মেয়র মেজুর বাবা এম ওয়াজি উল্যা মিয়া সরকারি জমি দখল করে একটি টিনশেট ঘর নির্মাণ করেন। সম্প্রতি আগুনে পুড়ে ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে মেজু ওই জমিটি পুনরায় দখল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাবেক উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুচিত্র রঞ্জন দাস ও উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বাঁধায় তিনি জমিটি দখল করতে পারেননি। কিন্তু বর্তমান সহকারী কমিশনার ও পৌর তহশিলদারের তদারকির অভাবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে মেয়র সেখানে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

    তহশিলদার মীর জিয়াউদ্দিন বলেন, জমিটি সরকারের। মেয়র নিজের জমি দাবি করলেও কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আমরা কাজ বন্ধ রাখার জন্য বারবার তাকে বলছি। কাজ চলাকালীন বাঁধাও দিয়েছি। এখন আবার কাজ শুরু করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে শুনেছি।

    রামগতি পৌরসভার মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু বলেন, সরকারি নয়, পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করছি। ৫০ বছর ধরে জমিটি আমাদের দখলে রয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এটি মিথ্যা।

    এই ব্যাপারে রামগতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, ঈদের ছুটিকে পুঁজি করে মেয়র ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার পাঁয়তারা করছেন, বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাস্থল লোক পাঠানো হচ্ছে। কাজ যেন না করতে পারে- এজন্য আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।

  • বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উদ্যোক্তা নিয়ে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ।

    বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উদ্যোক্তা নিয়ে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ।

    বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উদ্যোক্তা নিয়ে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ।


    রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউপির নিয়োগপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাকে কোন কারণ ছাড়াই বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তার ব্যাক্তিগত লোক দিয়ে উদ্যোক্তার কাজ করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে একজন চেয়ারম্যানের এমন সেচ্ছাচারীতায় এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে সমালোচনার ঝড়। বর্তমান উদ্যোক্তা সুইট চেয়ারম্যানের আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে হয়ে উঠেছে বেপরোয়া। চেয়ারম্যানের কথাই ইচ্ছে মত পরিষদে আসা সেবা গ্রহিতাদের কাছে থেকে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব, চারিত্রিক সনদ ছাড়াও বিধবা ভাতার কার্ড,বয়স্ক ভাতার কার্ড বা সংশোধনী কোন কাজে আসলে নেয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

    এমনকি কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাকে আজ সার্ভারের সমস্যা, কাল নেট সমস্যা বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন মাসের পর মাস ঘোরানো হচ্ছে। এতে করে একপ্রকার বাধ্য হয়ে উদ্যোক্তাকে দিতে হচ্ছে টাকা নয়তো মিলছে না সনদ পত্র। অথচ ভুক্তভোগীরা বিষয়টি একাধিকবার চেয়ারম্যান আতাউর রহমানকে অবহিত করলেও চেয়ারম্যান কোন প্রতিকার না করে উল্টো তাদেরকে বলা হয় অফিসিয়াল কাজ করতে অনেক খরচ হয়। তাছাড়া উদ্যোক্তার কোন বেতন নাই। সেজন্য আপনাদের কাছে থেকে সামান্য কিছু টাকা নেয়া হয় বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান।

    জানা গেছে,২০১১ সালে জেলা ডিসি অফিস থেকে বাধাইড় ইউপিতে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ পান ইউপির নারায়ণপুর উঁচা ডাঙ্গা গ্রামের শরিফুল ইসলাম নামের একজন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে শরিফুল ইসলাম সচ্ছ ভাবে উদ্যোক্তার কাজ পরিচালনা করে আসছিলো। কিন্ত আতাউর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন কারণ দর্শনোর নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে উদ্যোক্তার পদ থেকে শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তাঁর ব্যাক্তিগত নিজস্ব লোক সুইট নামের একজনকে দিয়ে অবৈধ ভাবে উদ্যোক্তার কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। ফলে চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের এমন জঘন্য কান্ডে চরম মানবেতর হয়ে পড়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম ও তার পরিবার।

    জেলা ডিসি অফিস থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত বাধাইড় ইউপির উদ্যোক্তা শরিফুল ইসলাম জানান, আমি জেলা ডিসি অফিস থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যথাক্রমে সচ্ছ তাঁর শহিদ কাজ করে যাচ্ছিলাম কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই আমাকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তাঁর অনুগত সুইট নামের একজনকে দিয়ে অবৈধ ভাবে উদ্যোক্তার কাজ করাচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে তাহলে চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতো। নয়তো তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন নোটিশ ছাড়াই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    এবিষয়ে বাধাইড় ইউপির বর্তমান উদ্যোক্তা সুইট ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, আপনাকে কোন তথ্য দেয়া যাবেনা। আপনার যা খুশি লেখার লিখেন কোন সমস্যা নাই। বাধাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান,আমি এ ইউপির চেয়ারম্যান আমি যে কাউকে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে নিতে পারি। আগের উদ্যোক্তা আমার কোন কথা শুনতো না সেই জন্য তাকে বাদ দিয়ে নতুন উদ্যোক্তা নেয়া হয়েছে। তবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি এড়িয়ে যান।

  • উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সলপ ইউনিয়নের কৃষকগঞ্জ বাজারের পূর্ব পাশে রাস্তা সংলগ্ন ৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে ১৪৪ ধারা মতে মামলা দায়ের করেছে।

    গত ২১শে মার্চ ২০২২ ইং আদালতের মামলার বিবরণে জানা যায়, সলপ ইউনিয়নের সলপ গ্রামের মৃত হাবিব রহমানের ছেলে কে এম আবু সাঈদের নিজ নামীয় কৃষকগঞ্জ বাজার সংলগ্ন রাস্তার পূর্ব পাশে
    খতিয়ান নং এস,এ ৩৬১ আর,এস ৩১৬ দাগ নং সাবেক ৪৬৯ , হাল দাগ নং ৫২৪(ভিটা) ৪৫ শতক ভূমির কাতে দক্ষিণ ছাহামের রাস্তা সংলগ্ন হতে ৫ শতক জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছে এলাকার প্রভাবশালী দাঙ্গাবাজ উক্ত ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মো, হেলাল আকন্দ গং।

    বাদী, কে এম আবু সাইদ গত ২১ মার্চ সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দায়েরের পরিপেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফুন নাহার, বিবাদী মো, হেলাল আকন্দ, রাশেদ আকন্দ, শাহেদ আকন্দ ও শাওন আকন্দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মতে অভিযোগ তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি)উল্লাপাড়া ও অফিসার ইনচার্জ উল্লাপাড়া মডেল থানা কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদাণ করেছেন।

  • উল্লাপাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৮ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে বিদ্যালয় হতে যাওয়া আসার পথে শ্লীলতাহানী করায় মঙ্গলবার সন্ধায় উল্লাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা।

    থানায় অভিযোগ সুত্রে ভুক্তভোগীর পিতা জানায়, আমার মেয়ে বাড়ী হতে প্রায় দিন যাতায়াত পথে বিবাদী শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময় রাস্তায় উত্যক্তসহ অশ্লীল কথা বার্তা ও যৌন কামনার প্রস্তাব দেয় । বিষয়টি আমাকে জানালে আমি বিবাদী শফিকুল ইসলামকে মৌখিক ভাবে শাসন করিয়া দেই । কিন্তু শাসন করার পরে আরও বেপরোয়া হয়ে গত সোমবার ( ২১ মার্চ) সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দহকুলা ব্রীজের রাস্তা থেকে এলাকার সুদ ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম অসৎ উদ্দেশ্য মটর সাইকেল যোগে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তার মা ও ভাতিজা বেড়িয়ে এসে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের হাত থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে এবং এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় শফিকুল । অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী সময়ে মেয়েটিকে উঠিয়ে নেওয়া ও মারধর করার হুমকি প্রদান করে। আমি এখন আমার জীবন ও মেয়েকে নিয়ে জীবনাশের ভয়ে আছি ।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান , এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি । অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে ।

    উল্লেখ্য , অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম এলাকায় মেয়েদের উত্যক্ত ও দাঙ্গাবাজী করে আসছে বহুদিন ধরে তাকে । তার বেপরয়া সন্ত্রাসী কার্যকলপে বাদ যায়নি সদ্য মোহনপুর ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগের ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি সেলিম পারভেজ রঞ্জু । তাকে সঙ্গী সাথী নিয়ে বেধম মারধর করার ফলে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ।

  • টিসিবির কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ।

    টিসিবির কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ।

    টিসিবির কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ।


    ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির মালামাল ক্রয়ে কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নে টিসিবির মালামাল বিতরণের সময় এমন অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা।

    এ সময় তারা আরও বলেন, শুধু কার্ড লেখা বাবদ নয়, কার্ড পাইয়ে দিতে এক থেকে দুইশো টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্য।

    এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বলেন, লেখা বাবদ দশ টাকা করে গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কাউকে কার্ড পাইয়ে দিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি অজানা।

    ওই ইউনিয়নের ৯১১টি পরিবারের মাঝে টিসিবির কার্ডের জন্য তালিকা করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ। তবে তালিকা তৈরির দুদিন পর টিসিবির মালামাল বিতরণ করা হলেও তালিকা অনুযায়ী কার্ড হাতে পৌঁছাননি দায়িত্বরত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। ফলে পণ্যবঞ্চিত হয়েছেন কার্ডধারীদের অনেকে।

    এ ছাড়া ইউপি সদস্য ইমান আলী সুবিধাভোগীদের কাছে কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক থেকে দুইশো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন স্থানীয় জনতার কাছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

    অন্যদিকে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মিন্না রাণী বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে কার্ড লেখা বাবদ সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে দশ টাকা করে আদায় করা হয়।

    ওই ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিজা বিশ্বাসসহ সুবিধাভোগীরা বলেন, ‘কার্ড লেখার নামে দশ থেকে পঞ্চাশ টাকা আর কার্ড পাইয়ে দিতে দুই থেকে তিনশো টাকা আদায় করেছে ইউপি সদস্যদের অনেকে। শুধু তাই নয়, কার্ড পাইয়ে দিতে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অনেকে পেয়েছেন নকল কার্ড। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি। কারণ, সরকার বিনা মূল্যে কার্ড দিতে বলেছে। অথচ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা টাকা ছাড়া কার্ড দেননি কাউকে।’

    এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র বলেন, ‘দশ টাকার বেশি কারও কাছ থেকে আদায় করার কথা আমার জানা নেই। তবে প্রথম দিন সবার কার্ড পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী দিনে তা সংশোধন হবে।’

    আর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান জানান, টিসিবির কার্ড প্রদানে সুবিধাভোগীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মামলার বাদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ সন্ত্রাসী মেম্বার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

    মামলার বাদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ সন্ত্রাসী মেম্বার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

    মামলার বাদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ সন্ত্রাসী মেম্বার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। 

    বাঁশখালীতে ভূয়া ওয়ারিশ সনদের মামলায় জেল থেকে বের হয়ে মামলার বাদী মাওলানা আবুল কালামকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে ইউপি সদস্য এবাদুল হক ও তার বাহিনীর লোকজন। এসময় তার ভাই মাহবুবুর রহমানকেও মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত মাওলানা আবুল কালাম ও মাহবুবুর রহমানকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    গতকাল (১০ মার্চ২২) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের পুর্ব রত্নপুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভুয়া ওয়ারিশ সনদ দেয়াকে কেন্দ্র করে মাওলানা আবুল কালামের মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৩ জন গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করেন। দু’একদিন আগে মেম্বার এবাদুল হক জেল থেকে জামিনে ছাড়া পান। গতকাল ওই মামলায় বাদী মাওলানা আবুল কালাম বাড়ী থেকে বের হয়ে আদালতের দিকে যাওয়ার পথে মেম্বার ও তার বাহিনীর লোকজন আবুল কালামের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে তার ভাই মাহবুবুর রহমান এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। গুরুতর আহত ২ জনকেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য, ইউপি সদস্য এবাদুল হক এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার নেতৃত্বে রয়েছে এলাকায় কিশোর গ্যাং। এলাকায় জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ, মাদক ইয়াবা সরবরাহ ও এলাকার নানা অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এবাদুল হক ও তার বাহিনী। এবাদুলের কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে এলাকায় কারো মুখ খোলার সাহস নেই। একজন বিএনপি নেতা হয়েও এবাদুল হক স্থানীয় সরকারী দল নেতাদের ম্যানেজ করে সরকারের সব ধরণের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ ও এলাকায় দেদারছে অপরাধ কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলছে।
    বাঁশখালী থানার ওসি মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন জানান, বাহারছড়ার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত পুর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    ছবি ক্যাপশন (১), বাঁশখালীতে মেম্বার এবাদুল হক ও তার বাহিনীর হাতে হামলার শিকার মাওলানা আবুল কালাম ও মাহবুবুর রহমান।
  • ত্যাগীদের বঞ্চিত করে অনিয়মতান্ত্রিক বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্নর অভিযোগ।

    ত্যাগীদের বঞ্চিত করে অনিয়মতান্ত্রিক বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্নর অভিযোগ।

    ত্যাগীদের বঞ্চিত করে অনিয়মতান্ত্রিক বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্নর অভিযোগ।


    দলের ত্যাগী নেতাদের কৌশলে বঞ্চিত করে অনিয়তান্ত্রিক ভাবে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে উপজেলা বিএনপির কমিটির নামে প্রহসন কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ রয়েছে,ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দলের নীতি আদর্শ ভুলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কমিটি ঘোষনা দিয়ে উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনকে ধ্ধংস করার হীন উদ্দেশ্যে মেতে উঠেছেন ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রশিদির লুনার অনুসারী উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নূল হক চৌধুরী। এনিয়ে উপজেলা বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ করছে।

    একাধিক ত্যাগী নেতারা বিষয়টি নিয়ে দলের মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগসহ অনিয়মের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিতে শুনা গেলেও অনেকে আবারও মূয়নূল হক চৌধুরী সিন্ডিকেটের ভয়ে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনিত হয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অক্লান্ত প্ররিশ্রমে ময়নূলহক চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মকান্ড থেকে নিজেকে আড়াল রাখার পাশাপাশি বিএনপির তথা জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শ ভুলে তিনি হয়ে উঠেন দিনের আওয়ামীলীগ ও রাতের বিএনপি।

    এ ক্ষেত্রে দিনের বেলা সরকারী বা সামাজিক অনুষ্টনের দোয়াই দিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের রাজনীতি চালিয়ে গেলেও রাতে ইলিয়াস পত্নী লুনার সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি বনে বিগত পঁাচ বছর কাঠিয়ে দিলেও আগামী উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সমর্থন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ ক্ষেত্রে তঁার নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কমর্ীদের হুমকি-ধামকি অব্যাহত রাখছেন। নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠনে কলকাটি নাড়েন।

    এমতাবস্থায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এই কমিটি বাতিল করে গোপন ভোটের মাধ্যমে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, গোপন ব্যালটে নির্বাচন হবার বিধান থাকলেও মৌখিকভাবে ভোট গ্রহণ করে ইচ্ছে মতো ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যা বিএনপি‘র দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের নিয়ম থাকলেও নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে ৪০ জন কাউন্সিলরের মৌখিক ভোট গ্রহণ করেন।

    এতে ভোটাররা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দ্বারা প্রভাবিত হন বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।জানা গেছে,দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার দয়ামীর বাজারে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপিথর চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপিথর আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী। কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনের অলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপিথর আহবায়ক জরিদ আহমদ। ২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপিথর আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।দ্বিতীয় অধিবেশনে দয়ামীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা বিএনপিথর সভাপতি ঘোষণা করা হয়।সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় মৌখিক ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।

    পদ পদবী বঞ্চিত বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান,পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাউন্সিলারদের প্রকাশ্যে প্রভাবিত করে এস টি এম ফখর উদ্দিনকে সভাপতি,মুজাহিদুল ইসলামকে সহ সভাপতি, আব্দুল্লাহ মিছবাহকে সাধারণ সম্পাদক, কয়েছ আহমদ চৌধুরীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,রায়হান আহমদকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষনা দিয়ে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির আশিংক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।

    উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কাউন্সিলের পূর্বে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাথর্ীতা প্রত্যাহারকারী এক বিএনপি নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এসব অনিয়মতান্ত্রিক বিষয়গুলো পূর্ব থেকে আচঁ করতে পেরে মান-সম্মানের ভয়ে নিজের প্রাথর্ীতা প্রত্যাহার করেছি।সদ্য ঘোষনাকৃত মনগড়া কমিটির মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেটের মিশন বাস্থাবায়নর হলেও বিএনপি ও ইলিয়াস আলীর নীতি আদর্শকে ধংস্স করা হয়েছে।

    উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গয়াছ মিয়া বলেন, বিএনপি‘র আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।গোপন ব্যালটে নির্বাচন হবার বিধান থাকলেও মৌখিকভাবে ভোট গ্রহণ করে ইচ্ছে মতো ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনভাবেই এই ভোটকে স্বচ্ছ বলা যায় না। এটা দলের কাউন্সিলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবৈধ।

    উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ এনামুল হক পীর এনাম বলেন বিএনপিথর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে,ভোটার তালিকা প্রণয়ণ করে কাউন্সিলের ভোট গ্রহণের বিধান রয়েছে। কিন্তু উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দ সারি বেধে প্রকাশ্য টেবিলে বসে ভোটারদের ভোট নেন। এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নূল হক চৌধুরী ভোটারদের প্রভাবিত করে নিজ স্বাথ হাছিলে পকেট কমিটি ঘোষনা দিয়ে বিএনপির ঘাটি খ্যাত ওসমানীনগরে বিএনপিকে ধংস্স করার পায়তারায় মেতে উঠেছেন।

    উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী সৈয়দ এনায়েত হোসেন বলেন, কাউন্সিলের অন্তত ৭ দিন পূর্বে প্রার্থী ও ভোটারদের ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কাউন্সিলের মাত্র ২ দিন আগে (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী) তাজপুর, গোয়ালাবাজার ও উসমানপুর ইউপিতে মনগড়া কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটিতে যোগ্যতার বিচার না করে ময়নূল হক চৌধুরী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তঁার পছন্দের লোকদের অন্র্Íভূক্ত করিয়েছেন। রাতারাতি (২৮ ফেব্রুয়ারী) উপজেলা বিএনপি সম্মেলনের আয়োজন করে ইউনিয়ন বিএনপির ভোটারদের একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাবিত করে ভোটের নামে প্রহসন করে মনগড়া কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।এখানে ভোটাধিকার হচ্ছে জাস্ট আইওয়াশ। বিএনপি নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী আড়ালে থেকে এসব নীল নকশার বাস্তবায়ন করে বিএনপিকে ধংস্স করে দিচ্ছেন।

    এ ব্যপারে জানতে ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা বিএনপি নেতা ময়নূল হক চৌধুরীর মুঠো ফোনে শনিবার একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভি করেননি।
    সিলেট জেলা বিএনপিথর আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন,কমিটি গঠন এটা আমাদের দলীয় অভ্যান্তরীণ বিষয়।এটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করাই ভালো। ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন,এটা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে লাভ নেই এ বিষয়ে  কেন্দ্রে লিখিত ভাবে অভিযোগ করতে পারেন।

  • ১৮ বছর আগে বিচ্ছেদ হঠাৎ কেন? এমন অভিযোগ।

    ১৮ বছর আগে বিচ্ছেদ হঠাৎ কেন? এমন অভিযোগ।

    ১৮ বছর আগে বিচ্ছেদ হঠাৎ কেন? এমন অভিযোগ। 


    ঢাকাই সিনেমার একসময়ের ব্যস্ত নায়িকা জনা। প্রায় ৪০টির মতো সিনেমায় কাজ করেছেন। ২০০২ সালে তার প্রথম সিনেমা ‘হৃদয়ের বাঁশীথর নায়ক ছিলেন শাকিল খান। সে বছরই বিয়ে করেন তারা। কিন্তু এই দম্পতির সংসার টেকেনি। পরের বছরই (২০০৩) বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন শাকিল-জনা। আরিয়ান খান নামে সাবেক এই দম্পতির এক পুত্রসন্তান রয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন জনা। বর্তমানে আরিয়ান মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বাবার সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। গেল শিল্পী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর এফডিসিতে এসেছিলেন জনা। সে সময় অনলাইনে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শাকিল খানের বিরুদ্ধে এই নায়িকার অভিযোগ, শাকিল খান তার সন্তানের দায়িত্ব নেননি।

    জনার গণমাধ্যমকে জানান প্রতিবেশীদের মতো মাঝেমধ্যে খবর নেয়। দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে শাকিল খান নিয়মিত আসতো। আরিয়ানের বয়স যখন সাত-আট বছর, তখন প্রতিবার ঈদে ওকে (আরিয়ান) নিয়ে শপিংয়ে যেত। ২০১৮ সালেও এসেছিল।তার সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে।

    সর্বশেষ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শাকিল খান কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সেখানে হেরে গেছেন তিনি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সে সময় সাবেক স্ত্রীর অভিযোগের ভিডিও বার্তাটি ছড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শাকিল খান।

    সাবেক স্ত্রীর অভিযোগের জবাবে শাকিল খান বলেন, ‘১৮ বছর আগে বিচ্ছেদ হয় আমাদের (শাকিল-জনা)। এত বছর পর হঠাৎ কেন অভিযোগ- এটাই বড় প্রশ্ন।

    জনার অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শাকিল খানের ভাষ্য, ‘আমি আমার সন্তানের দায়িত্ব নেব না এটা কেমন কথা! সে (আরিয়ান) যদি এখনো বাবার কাছে চলে আসে তবুও আমার আপত্তি নেই। জনাকে প্রশ্ন করুন, সে আমাকে আমার সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিয়েছিল কিনা?থ

    প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্রকে বিদায় জানিয়ে ২০০৭ সালে আমেরিকা পাড়ি জমান চিত্রনায়িকা জনা। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জুবায়ের হোসেনকে বিয়ে করেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে ডাক্তারবাড়ি, জন্ম, বাজাও বিয়ের বাজনা এবং মন ছুঁয়েছে মন।

  • লক্ষ্মীপুরের উপ-সহকারী কর্মকর্তার ভূমির বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদনের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের উপ-সহকারী কর্মকর্তার ভূমির বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদনের অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের উপ-সহকারী কর্মকর্তার ভূমির বিরুদ্ধে মনগড়া প্রতিবেদনের অভিযোগ।


    লক্ষ্মীপুরে তহশিলদার মোঃইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে চাহিদা মতো ঘুষ না দেওয়ায় আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে। ইসমাইল সদর উপজেলার ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার)।

    বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের কামানখোলা এলাকার প্রবাসী ইসমাইল হোসেনে স্ত্রী লাকি বেগম এই অভিযোগ করেন। তিনি বুধবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অভিযোগে বলা হয়, প্রায় ৪০ বছর আগে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে লাকির স্বামী ইসমাইল ও শ্বশুর সাড়ে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।সেখানে একটি টিনের ঘর করে তারা বসবাস করে আসছেন। পুরনো ঘরটি ঝরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় তারা পাকা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এতে লাকির চাচা শ্বশুর সৈয়দ আহমদ জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আদালত ইউনিয়ন তহশিলদারকে দায়িত্ব দেন। তহশিলদার ইসমাইল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাকির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। নিরুপায় হয়ে লাকি তাকে ২০বিশ হাজার টাকা দেয়। বাকি টাকা না দেওয়ায় সৈয়দ আহম্মদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি মনগড়া প্রতিবেদন করে আদালতে জমা দেন। ক্রয়কৃত মালিক ও দখলে থাকা সত্ত্বেও তহশিলদার ঘুষের জন্য লাকিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন তৈরি করেন।

    লাকি বেগম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের পক্ষে দেওয়ার কথা বলে তহশিলদার ইসমাইল ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চায়। পরে নিরুপায় হয়ে ২০বিশ হাজার টাকা দিয়েছি। দাবিকৃত পুরো টাকা না পেয়ে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

    ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছেন।

    এই ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় বলেন, অভিযোগটি এখনো আমি হাতে পাইনি। অভিযোগটি পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • মির্জাগঞ্জে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কনের বাবার জরিমানা।

    মির্জাগঞ্জে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কনের বাবার জরিমানা।

    মির্জাগঞ্জে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কনের বাবার জরিমানা।


    পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক কিশোরীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অপরাধে কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

    সোমবার দুপুর আড়াইটার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান উজ্জামান এর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে তাকে জরিমানা করা হয়।

    উপজেলা প্রসাশন সূত্রে জানা যায়,উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নরে শ্রীনগর গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে একই গ্রামের এক ছেলের বিয়ের আয়োজনের খবর পায় উপজেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান উজ্জামান ওই কিশোরীর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।

    এসময় বরযাত্রী ও কাজী উপস্থিত না থাকায় বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কনেকে বরের বাড়িতে যেতে দেবেন না এবং বরকে কনের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেন। অভিযানের সময় মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ সহযোগিতা প্রদান করেন।