Tag: অভিযোগ
-
মাধবপুরে একাধিক পুলিশি মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ।
নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সেলুন কর্মচারীকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ধরে থানায় এনে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক এসআই এর বিরুদ্ধে।এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।তিনি ঢাকায় সেলুন কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন।কিছুদিন আগে স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন করানোর প্রয়োজনে বাড়ি এসেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বেজুড়ার লস্কর আলী নামে এক ব্যক্তি নতুন বাড়ি থেকে পুরাতন বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তার বন্ধু একই গ্রামের শাহীন মিয়ার সাথে দেখা হয়।দুই বন্ধুর আলাপের মধ্যেই হঠাৎ মাধবপুর থানার একটি পুলিশ ভ্যান এসে থামে।ভ্যান থেকে নেমে এসআই আবু রায়হান দেশের অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে এতো রাতে তারা রাস্তায় কি করছে জানতে চান।এসময় লস্কর আলী জানান, নিজের গ্রামে বন্ধুর সাথে কথা বলার সাথে দেশের অবস্থার সম্পর্ক কি?ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই আবু রায়হান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।এসময় সাথে থাকা ভ্যানচালক কনস্টেবল মোঃ আলমগীর দুজনের দেহ তল্লাশী শুরু করে পকেটে থাকা সাড়ে ২১ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে এসআই আবু রায়হানের হাতে দেন।এসআই রায়হান লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যান।তাদের মোবাইল কেড়ে নেন।থানায় নেওয়ার পর হেরোইন ও গাঁজার মামলায় কোর্টে চালান করার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন রায়হান।চাহিদা মতো টাকা দিলে তাদের ‘নরমাল’ মামলায় পুলিশ ফরোয়ার্ডিং দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়ার আশ্বাস দেন রায়হান। এতো টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই জানালে শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকায় নামেন এসআই আবু রায়হান।পরদিন (২৬ নভেম্বর) সকালে লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা অলিদ মিয়াকে ঘটনা জানালে অলিদ মিয়া এসআই রায়হানের সাথে কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান।উপায়ান্তর না দেখে ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা অলিদ মিয়ার হাতে তুলে দেন লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া। ওই দিন (২৬ নভেম্বর)লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান করে পুলিশ।ওইদিনই জামিন হয় তাদের।জামিন পাওয়ার পরদিন (২৭ নভেম্বর) ঘটনা উল্লেখ করে এসআই রায়হানের এমন কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।অলিদ মিয়া জানান,’ লস্কর আলীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে কারো সাথে আমার কোনো কথা হয়নি।এরকম কিছুই আমি জানি না।এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার এসআই আবু রায়হান জানান, ‘আমি লস্কর আলী ও অপর একজনকে বেজুড়া থেকে থানায় এনেছি ঠিকই তবে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।ওসি রকিবুল ইসলাম খান জানান, এ রকম কিছু আমার জানা নেই তবে কেউ যদি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখবেন।ফোন রিসিভ না করায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। -
রাণীশংকৈলে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট ও বালু’ ব্যবহারের অভিযোগ।
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার একটি নতুন রাস্তা নির্মাণে নির্ন্মমানের ইট ও রাবিশ বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।ইটভাটার পরিত্যক্ত, ভাঙ্গাচোরা, সাল্টি, গড়েয়াসহ নির্ন্মমানের ইট দিয়ে খোয়া করে রাস্তার সাব ব্যাচে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কম দামের রাবিশ বালু দিয়ে রাস্তার সাব ব্যাচ তৈরী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি মাটি খনন করে তাতে সাব ব্যাচের জন্য খোয়া ও রাবিশ বালু দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় চাপোড় পার্বতীপুর দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ইটের স্তুপ করে সেখানেই খোয়া ভেঙ্গে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। ইটের স্তুপে দেখা যায়, ভাটার যত ভাঙ্গাচোরা,গড়েয়া পরিত্যক্তসহ নির্ন্মমানের ইট রয়েছে সেগুলো সেখানে স্তুপ করা হয়েছে। সেখান থেকেই ভাঙ্গা হচ্ছে খোয়া।স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব আলম বলেন,দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একটি পাকা রাস্তা পেতেঁ যাচ্ছি। অথচ ভাটার যত ময়লা ইট আছে সেগুলো খোয়া করে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে। ভাটার যত পরিত্যক্ত ইট এখানে খোয়া হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।আরেক বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, এক টলি বালু’র দাম কমপক্ষে বর্তমান বাজারে এক হাজার পাচঁশত টাকা। আর এক ট্রলি রাবিশ বালু পাঁচ থেকে সাতশত টাকা। তাই ঠিকাদার বালু’র বদলে রাবিশ বালু দিয়ে একদিকে যেমন সরকারের টাকা আত্মসাত করছেন।অন্যদিকে সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজেও ব্যঘাত ঘটাচ্ছেন। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, রাবিশ বালু প্রায় মাটির মত। এই রাস্তায় রাবিশ দিয়ে রোলার করার পর মাটির মত শক্ত হয়ে গেছে। সেখানে পানি দেওয়া হলে কাদাঁ হয়ে যায়। বালু কি কখনো কাদাঁ হয়। তারা বলেন এভাবে রাস্তা নির্মাণ করলে রাস্তাটি তাদের মতে বেশিদিন ভালো থাকবে না। তারা দাবী জানিয়েছেন সঠিক নিয়মে যেন রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন চাপোড় পার্বতীপুর মাদ্রাসা থেকে পার্বতীপুর লেহেম্বা সুইচগেট প্রযর্ন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ প্রায় এক কোটি ৯লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৩ টাকায় কাজটি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এম এস অটো রাইস মিল নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।এ প্রসঙ্গে এম এস অটো রাইস মিল নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার আব্দুস সামাদ মুঠোফোনে বলেন, ইট,বালু ভালো মানের দেওয়া হচ্ছে। সেখানে কোন ধরনের নির্ন্মমানের মালামাল নেই।উপজেলা প্রকৌশলী মাঈনুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, নির্ন্মমানের ইট বা বালু ব্যবহার হলে সেগুলো সেখান থেকে অপসারণ করা হবে। -
প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।এক প্রবাসীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাধবপুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে মামলাটি দায়ের করেছে ভিক্টিমের মা লিপি আক্তার৷ ভিক্টিম আহম্মদপুর গ্রামের আঞ্জব আলীর মেয়ে। তরুণীর বাবা ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাসে আছেন। সূত্রে জানায়, রোববার বিকেলে ৩ টায় মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ির বসতঘরের বারান্দায় ভিকটিম ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বসিয়ে রেখে তার মা বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যান।এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বৈষ্টবপুর গ্রামের মরতুজ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী (৫০) এসে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে বসতঘরের একটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় মেয়ের মা গোসল শেষে ফিরে এসে মেয়েকে বারান্দায় না দেখে ডাকাডাকি করতে থাকেন।একপর্যায়ে বাথরুম থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে গেলে লিয়াকত দৌড়ে পালিয়ে গেছে। কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল কাদের জানান, ‘ওই মেয়েটি ঠিক মতো ঘুচিয়ে কথা বলতে পারে না।মাঝে মধ্যে একটুআধটু কথা বললেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। লিয়াকত প্রায় সময়ই আঞ্জব আলীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।মেয়েটি লিয়াকতকে দাদা ডাকতো।তিনি আরো জানান,‘আঞ্জব আলী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। ৪ মাস আগে তার বড় ছেলে রুবেল মিয়া (২২) কে মালয়েশিয়াতে নিয়ে গেছেন।অপর ছেলে রানা মিয়া (১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর থেকে লিয়াকত পলাতক। ভিকটিমের নানা আব্দুল হাশিমের সাথে কথা হয় মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসারের রুমে।তিনি জানান, ‘সরল মনে লিয়াকতকে আমরা বিশ্বাস করে ছিলাম।সে যে এমন দুঃশ্চরিত্র তা জানা ছিল না।এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। -
মন্দির নিয়ে মন্তব্য করা ইউএনওর বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভদ্রেশরী মালিপাড়া দুর্গামন্দির কমিটি। গতকাল রোববার মন্দির কমিটির সভাপতি দীনেশ মালাকার ও সম্পাদক নিরেন চন্দ্র শীল এই অভিযোগ করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় রাণীশংকৈলের ইউএনও শাহরিয়ার পুলিশসহ ভদ্রেশরী মন্দিরে যান। সেখানে গিয়ে মন্দির কমিটির লোকজনকে বলেন সাবেক কমিটির সভাপতি পবন শীলকে কেন ডাকা হয়নি। জবাবে মন্দির কমিটির সভাপতি-সম্পাদক বলেন, পবন মন্দিরের দায়িত্ব পালনকালে মন্দিরের চার শতক জমি নিজের নামে বন্দোবস্ত করে নিয়েছেন। মন্দিরের জমিতে কলাগাছ লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেছেন, প্রতিমা ভাঙচুর করেছেন। এ ছাড়া তিনি বর্তমান পূজা কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। জেল খাটিয়েছেন। তাই তাঁকে ডাকা হয়নি। এসব কথা শোনার পর ইউএনও হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোমরা অন্যের জমিতে অবৈধ পূজা করো, জোড়-বিজোড় কমিটি গঠন করেছো। এখানে যদি হট্টগোল হয়, তাহলে কমিটির অস্তিত্ব রাখব না।’লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার এই ধরনের হুমকিতে পূজা উদ্যাপন নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ভুগছে কমিটি।এদিকে গতকাল রোববার ভদ্রেশরী মালিপাড়া মন্দিরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভদ্রেশরী মন্দিরের সামনের একটি কাঠের চৌকিতে প্রতিমা নির্মাণ কারিগর পরেশ মালাকার বসে রয়েছেন। এ প্রতিবেদককে দেখে তিনিসহ স্থানীয়রা মন্দিরের সামনে এগিয়ে আসেন। মন্দিরের কাজ কতদুর এমন প্রশ্নে কারিগর পরেশ মালাকারসহ কয়েকজন নারী বলে উঠেন, ইউএনও তাদের পূজাকে অবৈধ পূজা বলায় তারা পূজার কাযর্ক্রম বন্ধ করে রেখেছেন।এসময় পূজা কমিটির ১৭ বছরের সাবেক সম্পাদক চৈতু বণিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূজা পালন করছি। শুনছি গতকাল ইউএনও এখানে এসে এই মন্দিরের পূজাকে অবৈধ পূজা বলেছে, যা দু:খজনক। গীতা রাণী, মহারাণী ও সমিতা রাণীসহ অন্তত দশজন নারী বলেন, দীর্ঘ দিনের পূজা মন্ডবকে অবৈধ বললেন ইউএনও। অবৈধ পূজা যখন, ইউএনও বৈধ ঘোষনা করবে তখন আমরা পূজা পালন করবো। তারা আরো বলেন, ইউএনও’র কারণে এবার বুঝি আমাদের পূজা পালন করা হবে না।পূজা কমিটির সভাপতি দীনেশ মালাকার বলেন, ‘ইউএনও হুমকি দেওয়ায় আমরা প্রতিমা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পূজা পালন হবে কি না, তা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। পূজা পালন না হলে এর দায় ইউএনওকে নিতে হবে।’ধর্মগড় ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চন্দন অধিকারী বলেন, এই মন্দিরের জমিকে কেন্দ্র করে একটি মামলা চলমান রয়েছে। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে ইউএনও এই মন্দিরে এসে বলেছেন এটি অবৈধ মন্দির। দীর্ঘ দুই যুগের অধিক বয়সের মন্দিরকে ইউএনও অবৈধ মন্দির বলায় আপাতত পূজার প্রস্তুতি কাযর্ক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটির সঠিক সুরাহা না হলে আন্দোলনে যাওয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ারী দেন।ভদ্রেশরী মালিপাড়া দূর্গা মন্দিরের সাবেক সভাপতি পবন শীলের বক্তব্য নিতে তার বাড়ীতে গেলে তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। পরিবারের অন্য সদসর্যা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।রাণীশংকৈল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধন বসাক বলেন, ইউএনও মন্দিরকে অবৈধ বলতে পারে না।ওই মন্দির নিয়ে যদি কোন সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে ইউএনও আমাদের বলবে, আমরা উপজেলা কমিটি বিষয়টি দেখবো।এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘মন্দিরের জমিটি খাস হলেও বন্দোবস্তের কারণে আপাতত ব্যক্তি মালিকানায় রয়েছে। জমির বন্দোবস্ত বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়ে গতবছর পূজায় হট্টগোল হয়েছিল। এ কারণে মন্দির কমিটির লোকজনকে ডেকে বলেছি, কোনো হট্টগোল যেন না হয়। তবে অবৈধ মন্দির বা জোর বিজোর কমিটি করা হয়েছে এ নিয়ে সেভাবে কথা বলা হয়নি।ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুন ভুঁইয়া বলেন, অভিযোগটি এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি সুরাহার জন্য ইউএনওকে বলা হয়েছে। তিনি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করবেন। -
মাধবপুরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে মান্নাফ মিয়া আটক।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক কিশোরী (১৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে মো: মান্নাফ মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।শুক্রবার (২১ শে জুলাই) ভোররাতে উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের কবিলপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।সে ওই গ্রামের মো: দিয়ারিশ মিয়ার পুত্র ও এক সন্তানের জনক।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভিকটিম কিশোরী রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির বারান্দার রুমে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে দুই ঘটিকার সময় মান্নাফ মিয়া তার বন্ধু মো: সাবিদ মিয়া কে নিয়ে কৌশলে দরজা খোলে কিশোরীর রুমে ডুকে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেধে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।এসময় ভিকটিম কৌশলে মুখের ওড়না খুলে জুড়ে চিৎকার করলে পরিবার ও আশপাশের লোকজন এসে ধর্ষক মান্নাফ মিয়া কে আটক করে। এসময় তার সহযোগী সাবিদ মিয়া দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে লোকজন নিয়ে ফিরে এসে জুড় পূর্বক তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম এর পরিবার ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চায়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধর্ষকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ধর্ষক মান্নাফ মিয়া কে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।এব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে ভিকটিম এর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার সহযোগী সাবিদ মিয়ার নামে মাধবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মাধবপুর থানার ওসি মো: আব্দুর রাজ্জাক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। -
লক্ষ্মীপুর সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ।
লক্ষ্মীপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরধরে সাংবাদিক মোঃ সোহেল হোসেন,দৈনিক আমারজমিন পত্রিকার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন ) হাজী মোহু মাঝি জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায়।
সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্য অতর্কিত ভাবে হামলা করা করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় সাংবাদিক সোহেল হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন-সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের জনতা বাজারের আব্দুল লতিফ ডাক্তার বাড়ি আব্দুস শহীদ. বাহার হোসেন।
সাংবাদিক সোহেল হোসেন বলে আমি পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ পড়তে ঈদ গায়ে যাই সেখানে দুষ্কৃতীরা আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে।তাদের উপর্য্যপরি হামলায় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন।পরে চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
ডিমলায় চলাচলের রাস্তা কেটে দখলের অভিযোগ-দুর্ভোগ জনসাধারণের।
নীলফামারীর ডিমলায় চলাচলের রাস্তা কেটে দখলের অভিযোগ উঠেছে হামিদার রহমান নামের এক ব্যক্তি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এতে জমির মালিকসহ আশপাশের কয়েকটি পরিবারের শতাধিক মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ নিয়ে জমির মালিক মোকছেদ আলীর ছেলে অভিযোগকারী গত ১০ জুলাই রাত ১১টায় ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া মৌজার বাসিন্দা অভিযোগকারী আব্দুল হকের পিতা মোকছেদ আলী গত ১২/০৬/১৯৬৬ ইং তারিখে ২৪০৪ নং কবলা দলিল মুলে এসএ রেকর্ডীয় মালিক সামছুল হক গং এর নিকট হতে জমি খরিদ করেন। মোকছেদ আলী ভোগদখল থাকা অবস্থায় চলাচলের সুবিধার্থে মৌজা- ছাতনাই বালাপাড়া,জেএল নং-০৯, খতিয়ান-এস,এ- ৭০৩, বিএস ডিপি-১৬৮৯, দাগ নং- এস,এ-৩১৪০ দাগের হাল ৩৫৪৪ দাগে ১২ শতাংশ জমি সরকারী রাস্তার অংশ হিসেবে বি,এস রেকর্ড করে দেয়। রাস্তাটি সরকারী নক্সায় অর্ন্তভুক্ত হয়।
মোকছেদ আলী বলেন, গ্রামের লোকজনের চলাচলের সুবিধার্থে আমার নিজস্ব জমির উপর দিয়ে রাস্তা করে দেই সেটি বি,এস রেকর্ডে সরকারী নক্সা ভ‚ক্ত হয়। এই রাস্তাটি দিয়ে গ্রামের প্রায় ৪০/৫০টি পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে। সম্প্রতি রাস্তার দুই পার্শ্বের জমির মালিক অত্র এলাকার বাসিন্দা মৃত নায়েব আলীর পুত্র হামিদার রহমান গং রাস্তাটি নিজেদের দাবী করে রাস্তার ১০/১২ ফুট কোদাল দিয়ে কেটে জবর দখল করে এবং পাশ্ববর্তী জমির বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ এলোপাতাড়ি কেটে রাস্তায় ফেলে রেখে চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
রাস্তাটি কেটে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় সাধারন মানুষ। কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী বলেন, আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি জবর দখল করে কেটে ফেলায় ভ্যান, অটোরিক্সা, কৃষি কাজের জন্য ট্রাক্টর চলাচল করতে পারে না। আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে, হাট বাজারে কোন মালামাল নিতে পারছি না।
অভিযুক্ত আব্দুল হক বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম, বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সহ ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ম্যাপের রাস্তা নিয়ে ইতি পূর্বে বহুবার বিরোধ নিষ্পত্তি চেষ্টা করেও তা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবী বিএস রেকর্ড মুলে সরকারী ম্যাপের নক্সার রাস্তাটি দখল মুক্ত করে সাধারন জনগনের দূর্ভোগ দুর করতে প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ডিমলা থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, রাস্তা কাটার একটি অভিযোগ পেয়েছি। এস.আই ইমরানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরে জমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
ছাতকে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি-থানায় অভিযোগ।
সুনামগঞ্জের ছাতকে মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেটদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংক, বাসা-বাড়ি ও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামন থেকে চোরেরা একের পর এক মোটর সাইকেল চুরি করে প্রতিনিয়ত হজম করছে আসছে। প্রশাসন তৎপর না থাকায় এখানে দীর্ঘদিন ধরে বেশ দাপটের সাথে সংঘবদ্ধ চোরেরা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
একাধিক ভুক্তভোগিরা জানান, মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট ২০১৭ইং থেকে ছাতক উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যাংকের সামন থেকে ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোকজনের মোটর সাইকেল চুরি করে আসছে। দুই একটি ছাড়া এখন পর্যন্ত চোরাই যাওয়া কোন মোটর সাইকেল উদ্ধার হয়নি। এ ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাত (৯ জুলাই) উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের দিঘলী রামপুর গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে, ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য আশফাকুর রহমান ছায়েম এর ব্যবহৃত লাল-কালো রঙের হিরো ফ্যাশন প্রো মোটর সাইকেল (সিলেট-হ-১৩-৩৮০৪) নিজ বাসা থেকে চুরি হয়। পেশাগত কাজ শেষে রাত ১টার দিকে মোটরসাইকেলটি ঘরের বারান্দায় রেখে প্রতিদিনের মতো তিনি ঘুমিয়ে পড়েন।
সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে যথাস্থানে তার মোটর সাইকেলটি না পেয়ে আশপাশ এলাকায় খোজতে থাকেন। অবশেষে সন্ধান না পেয়ে ওইদিন বিকেলে তিনি ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, গত চার বছর আগে ছাতক প্রেসক্লাবের সদস্য, উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের মৈশাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক মোশাহিদ আলীর ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি গোবিন্দগঞ্জের ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সামন থেকে চুরি হয়। চকলেট কালারের ১০০ সিসি ডিসকভার মোটর সাইকেলটি চোরেরা নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি ছাতক থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করলেও আজ পর্যন্ত কোন সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খাব মুহাম্মদ মাঈনুল জাকির বলেন বিষয়টি জানার পরপর সকল থানায় ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছে মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জন্য পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
-
বেকারি ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার।
বাগেরহাটের রামপালে পেড়িখালী ইউনিয়নের পেড়িখালী বাজারে বেকারি ব্যবসায়ী বিধান সাহাকে হত্যার চেষ্টাকারী যুবক মোঃ ইসমাইল ইজারাদার(১৯)কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত ওই যুবক উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের পেড়িখালী গ্রামের জাফর ইজারাদারের ছেলে।জানা যায়,গত ২৩ জুন রাত ১১ টার সময় বিধান সাহা তার বেকারি ফ্যাক্টরিতে বসে ব্যবসার হিসাব নিকাশ করছিলেন। সে মূহুর্তে হঠাৎ করে তার কর্মচারী ইসমাইল ইজারাদার কাঠের চলা দিয়ে বিধান সাহার মাথায় সজোরে আঘাত করে। বিধান সাহা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।৩ জুলাই সোমবার বিধান সাহা বাদী হয়ে রামপাল থানায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করা হয়েছিল এমন অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর পুলিশ রাতে অভিযান পরিচালনা করে ইসমাইলকে গ্রেফতার করেন।এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আশরাফুল আলম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেড়িখালী ইউনিয়নের বেকারি ব্যবসায়ী বিধান সাহাকে হত্যার চেষ্টাকারী যুবক ইসমাইল ইজারাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে। ইসমাইলের নামে বিধান সাহা বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেছেন।আসামীকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। -
মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার।
নীলফামারীর সদর উপজেলায় অবস্থিত হযরত ফাতেমা তুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী মাওলানা শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আলো মামুন, শাহিনুর ইসলাম(৪০)কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশের সদস্যরা।
মেয়ের বাবার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় তার ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে গত তিন বছর যাবৎ হযরত ফাতেমা তুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক হোটেলে রেখে লেখাপড়া করাচ্ছেন। এ সুযোগে লম্পট শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন(শাহিনুর ইসলাম) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিক বার ধর্ষণ করে। লজ্জায় বাবা মাসহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট মেয়ে/ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। সর্বশেষ ২৯ জুন মাদ্রাসায় একা পেয়ে একটি কক্ষে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের বাবা শনিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান মেয়ের বাবা শনিবার(১ জুলাই)অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাহিনুর ইসলাম)এর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ রাতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি গোড় গ্রাম কীর্তনীয়া পাড়া থেকে গ্রেফতার করে।রবিবার(২ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যেম তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।