Tag: অভিযোগ

  • রেমা কালেঙ্গা’য় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রী’র উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

    রেমা কালেঙ্গা’য় স্বামীকে বেঁধে স্ত্রী’র উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

    চুনারুঘাট থেকে ফিরে এডিসন সুঙয়ের রিপোর্টঃ

    চুনারুঘাট উপজেলা অধীনে  রেমা কালেঙ্গার গারিংপাড়া (মঙ্গল্যাবাড়ী)বাসিন্দা   সুকুরানী দেববর্মা(৩০) ও স্বামী সুদিনা দেববর্মা(৩৫) উপর রাস্তা আটকিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    মঙ্গলবার(১৬এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় রেমা কালেঙ্গা  গ্রামের লেবু বাগানের  নির্জন রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
    নির্যাতিতদের ভাষ্যমতে জানা যায় কালেঙ্গা গ্রামের মারুফ মিয়া ও এমতাজ মিয়া সহ ৪/৫ জন মিলে রাস্তা আটকিয়ে তাদের শারীরিক নির্যাতন করে। সুকুরানী দেববর্মা হাত ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে তারা চুনারুঘাট উপজেলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ।

    ভিকটিম সুকুরানী দেববর্মা বলেন বাড়িতে ফেরার পথে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছে দুজন ব্যক্তি( মারুফ মিয়া ও এমতাজ মিয়া) । আমার গালে দাঁত দিয়ে কামড়ে দিয়েছে, নাকে মুখে নখ দিয়ে আঁচড় কেটেছে। হাতে আঘাত পেয়েছি। শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত করেছে।”

    গ্রেটার  সিলেট ত্রিপুরা ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট জনক দেববর্মা বলেন,এই ঘটনাটি খুবই্ ঘৃণ্য কাজ, নির্যাতিত ব্যক্তি  বক্তব্য ও শরীরের আঘাতের চিহ্নে পরিস্কার বুঝা গেছে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। নারী ধর্ষণ কারীদের রক্ষার জন্য চুনারুঘাট এর কতিপয় রাজনৈতিক নেতা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাদেরকে চাপ প্রয়োগ করে আপষ মিমাংসায় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে, যদি বাধ্য করে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের মুখোশ উন্মুক্ত করা হবে।

    এ বিষয়ে মারুফ ও এমতাজ মিয়া’র সাথে শত চেষ্টা করেও  কথা বলতে পারিনি।

  • বিজিবি সদস্য’র বিরুদ্ধে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ।

    বিজিবি সদস্য’র বিরুদ্ধে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ।

    মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃ
    খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিজিবি সদস্য জাহিদুল ইসলাম(২৫)র বিরুদ্ধে। পুলিশের কাছে ঐ কিশোরীর মা ধর্ষণের কথা জানিয়ে থানায় মামলা করেন।
    জাহিদুল ইসলাম(২৫)  মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড হাতিয়া পাড়া এলাকার মো: মোশাররফ মিয়ার ছোট ছেলে। সে বর্তমানে কক্সবাজার টেকনাফে বিজিবি’তে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
    ধর্ষণের শিকার কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, বিজিবি সদস্য জাহিদুল ইসলামের সাথে তাঁর চার মাস প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে জোরপূর্বকধর্ষণ করে জাহিদুল। গত শনিবার ১৩/০৪/২০২৪খ্রী: রাত অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় জাহিদুল ফোন দিয়ে মেয়েকে ঘর থেকে বের হতে বলে এবং পরে তাঁর বাড়ির পাশে জংগলে নিয়ে যেতে চাইলে আমি চিৎকার করলে এলাকার প্রতিবেশীরা আসলে জাহিদুল পালিয়ে যায়।
    হাতিয়া পাড়া এলাকার সর্দার মো: রাকিব উদ্দিন ও এলাকার  বেলাল হোসেন সহ একাধিক লোক জানান, হাতিয়া পাড়া এলাকার মোশাররফ মিয়ার বাড়ীর পাশ থেকে শনিবার রাত সাড়ে নয় ঘটিকার সময় হঠাৎ মেয়ে কন্ঠের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় জাহিদুল দৌড়ে পালিয়ে যায়, পরে ঐ কিশোরীকে কান্না করতে দেখে মেয়েকে জিগ্যেস করলে মেয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। এবং বলে এর আগেও জাহিদুল এই মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।
    পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন লিটন বলেন, গত শনিবার রাতে এলাকার যুবসমাজ থেকে একটি ফোনের মাধ্যমে বিজিবি সদস্য জাহিদুল ইসলাম ও এক কিশোরীকে আটকের বিষয় অবগত হই। বিষয়টি শিশু ধর্ষণ সংক্রান্ত হওয়ার কারণে আমি মেয়র মহোদয়কে বিস্তারিত ঘটনা জানাই, পরে মেয়র ও এলাকার সর্দার, মুরুব্বিদের মতামতের ভিত্তিতে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিই। এবং শুনেছি ইতিমধ্যে ঐ কিশোরীর মা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
    মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, কিশোরীর জবানবন্দির ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। ঐ কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ভিকটিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ।

    ভিজিএফের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিনামূল্যে ভিজিএফর খাদ্য শস্যের চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়া অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা  কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
    এসময় স্থানীয় সংবাদকর্মীরা চাল বিতরণের ছবি ধারণ করতে গেলে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করেন।
    সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ কেজির স্থলে ৯ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল বিতরণ করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগ কার্ডধারীদের।
    সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু কার্ডধারীদের ৯ থেকে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গরিব অসহায়দের না দিয়ে ভিজিএফের কার্ড দেওয়া হয়েছে বিত্তবানদেরও। এমন অভিযোগ চাল নিতে আসা সুবিধাভোগীদের।
    এমন খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছবি ধারণ  করতে গেলে মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যার ছেলে বাধন ইসলাম সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা-মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেস্টা করেন। এবং ভিডিও ডিলিট করার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেন।
    পরে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ জানালে মেয়র তেরে এসে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে লাঞ্চিতের স্বীকার হন সিএনএন এর সংবাদকর্মী আব্দুল আওয়াল। এসময় পরিবেশ উত্তপ্ত হলে সাময়িকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সংবাদকর্মীরা ফিরে গেলে আবারো চাল বিতরণ করা হয় সুবিধাভোগিদের।
    তবে মেয়রের এমন উগ্র আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী। তারা বলছেন, মেয়রের এমন আচরণ মোটেও আশা করা যায় না। তিনি মেয়র গুন্ডা নন। কেউ গোন্ডগোল সৃষ্টি করলে তিনি তা সমাধান করবে। তা না করে মেয়র নিজেই মারামারিতে অংশ নিচ্ছেন।
    তারা আরো বলেন, চাল বিতরণে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু তিনি যেভাবে সংবাদকর্মীদের সাথে আচরণ করলো এটাতে পৌরবাসী হতাশ।আর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা বলেন, চাল ওজনের কম দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি।
    এ বিষয়ে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ শুনে দ্রুত পৌরসভায় ছুটে আসি। পরে ১০ কেজি পুরন করে তালিকাভুক্তদের চাল বিতরণ করা হয় বলে দাবি তার।
    পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৬২১জন ভিজিএফ কার্ডধারীর জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
  • মাধবপুরে মাটি উত্তোলন ও রাস্তা দখল রাখার অভিযোগে দুই জনকে জরিমান।

    মাধবপুরে মাটি উত্তোলন ও রাস্তা দখল রাখার অভিযোগে দুই জনকে জরিমান।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি  
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে বহরা ইউনিয়নের পৃথক দুইটি স্থানে অবৈধভাবে ফসলি মাটি ও বালু উত্তোলন এবং সরকারি রাস্তা দখল করে ইট বালু দোকানে মালামাল রাখার অভিযোগে দুই জনকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    শনিবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের ঘিলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ফসলি মাটি ও বালু উত্তোলনের দায়ে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী
    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আশুগঞ্জ উপজেলার আশুগঞ্জ গ্রামের চোরাব আলীর ছেলে হৃদয় আহমেদ (২১)কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
     মাধবপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাহাত বিন কুতুব অভিযান চালিয়ে উপজেলার মনতলা স্টেশন বাজারে ব্যস্ত সরকারী সড়কের অংশ দখল করে দোকানের মালামাল, ইট,বালু রাখায় এবং জনস্বার্থের ক্ষতি করায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন,২০০৯ অনুযায়ী বহরা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আক্তার হোসেন সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
    পৃথক দুটি স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এক জনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা ও অপর এক জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে মোট দুই জনকে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
    এসময় মাধবপুর থানাধীন মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই হুমায়ূন কবিরসহ পুলিশের একটি দল ও আনছার সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন।
    ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট,মো: রাহাত বিন কুতুব সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধ ফসলি জমির মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
  • কানাইঘাটে আগুনে পুড়ে গেছে দুটি গাড়ীসহ গ্যারেজ-থানায় অভিযোগ।

    কানাইঘাটে আগুনে পুড়ে গেছে দুটি গাড়ীসহ গ্যারেজ-থানায় অভিযোগ।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ

    সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নে আগুনে পুড়ে গেছে গ্যারেজে রাখা মিনি ট্রাক ও অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ী। এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থিত একটি গ্যারেজে।

    এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পুড়ে যাওয়া টাটা মিনি ট্রাকের মালিক পৌরসভার নিজ চাউরা দক্ষিণ গ্রামের অলিউর রহমানের পুত্র সেলিম আহমদ। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে সেলিম উদ্দিনের মালিকানাধীন সিলেট মেট্রো-ন-১১-২১৩১ টাটা পিকআপ গাড়ীর চালক স্থানীয় দুর্গাপুর গ্রামের ফয়সাল আহমদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জাকির আহমদ এর গ্যারেজে গাড়ী রেখে বাড়ি চলে যান।

    গ্যারেজে আরো একটি অটোরিক্সা সিএনজি গাড়ী রাখা ছিল। সেহরির শেষ দিকে রাত সাড়ে ৪টার দিকে কে বা কাহারা টাটা মিনি ট্রাক ও সিএনজি গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিলে আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন, গাড়ী দুটি পুড়ে যায়। তবে মিনি ট্রাকের মালিক সেলিম উদ্দিন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ১৬ লক্ষ টাকা মূল্যের গাড়ীটি অজ্ঞাতনামা আসামীরা পুড়িয়ে দিতে পারে।

    অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানার এস.আই সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, কিভাবে গ্যারেজে আগুন লেগে দুথটি গাড়ী পুড়ে গেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

  • রাণীশংকৈলে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

    রাণীশংকৈলে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় এলাকার পূর্ব চেংমারীতে একটি বাড়ীর বিভিন্ন ঘর ভেঙ্গে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে।এতে একজন গুরতর আহত হয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পূর্ব চেংমারী এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে সমিরউদ্দীন বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ৮জনকে বিবাদী করে রাণীশংকৈল থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
    এজাহার সুত্রে জানা গেছে,জমিজমার জের ধরে গত মঙ্গলবার অতর্কিতভাবে হামলা চালায় একই এলাকার মৃত জয়নাল উদ্দীনের ছেলে হবিবর রহমানসহ তার পরিবার। সমিরউদ্দীনের অভিযোগ তারা তাদের বাড়ীর ভেঙ্গে পড়া চুলা ঘর ঠিক করছিলেন। ঠিক সেসময় হবিবর রহমানরা এসে চুলা ঘর নির্মাণে বাধা দিয়ে তাদের সাথে মারামারি লাগিয়ে দেয়। এক পযার্য়ে একটি ঘর আগুন ধরিয়ে দেয়।তাছাড়া বাড়ীর ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভেঙ্গে নগদ ৯৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই।  পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিভানো হয়। মারামারিতে সমিরউদ্দীনের বাবা মফিজুল ইসলাম মারাত্নকভাবে জখম হয়। এ ঘটনার সমিরউদ্দীন বাদী হয়ে হবিবর রহমানকে প্রথম আসামী করে মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় এজাহার দিয়েছে। তবে পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    এদিকে প্রতিপক্ষ হবিবর রহমানের আত্নীয় মতিবুর রহমান বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে আগুন ধরানো বা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সোহেল রানা বলেন, মঙ্গলবার এমন ঘটনা ঘটেছে তিনি জানেন না। তবে এ ঘটনায় যদি এজাহার দেওয়া হয় তাহলে তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
  • রানীশংকৈলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে-অভিযোগ অভিভাবকের।

    রানীশংকৈলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে-অভিযোগ অভিভাবকের।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রানীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাসে ঘটেছে। শিক্ষার্থীর শারীরিক আঘাতের পাশাপাশি মুখে ও ঠোঁটে ক্ষত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    জানা গেছে, মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তাহসিন আলীসহ সকল শিক্ষার্থীকে রুমে এসে শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ দাড়াতে বলেন। শিক্ষার্থী তাহসিন বে-খেয়ালে দাড়াতে না পারায় তাকে অতর্কিতভাবে ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ রায়।
    শিক্ষার্থী তাহসিন জানায়, তাকে ডাস্টার দিয়ে মারার পর সে চরম ভয় পায়। পরে ক্লাস শেষে বাড়ীতে ফিরলে মুখে ঠোট রক্তাক্ত দেখে পরিবারের লোকেরা তার কাছে জানতে চাই। কেন এমন হয়েছে?
    পরে সে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
    তাহসিনের চাচা মঞ্জুর আলম বলেন, তার ঠোঁটে ও মুখে রক্তাক্ত দেখে আমরা অবাক হয়েছি। তাকে এ কারণ জিজ্ঞেস করতেই সে কান্না শুরু করে দিয়ে, ঘটনার বিবরণ জানাই। তাহসিনের চাচা বলেন, সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ রায় পঞ্চম শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাশ নিতে এসে সকলকে দাড়াতে বলেন, কিন্তু তাহসিন তা খেয়াল না করায়, সে দাড়ায়নি। এ কারণে শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ তাকে প্রথমে পিঠে পরে মুখে ও ঠোটেঁ ডাস্টার দিয়ে আঘাত করেন। সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথের এমন অনেক ঘটনার অভিযোগ উঠলেও তার বিরুদ্ধে কোন প্রযোজনীয় ব্যবস্থা না হওয়ায়, সে বেপোরায়া হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের প্রায় সময় এমন মারপিট দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন।
    রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা চিকিৎসক ফিরোজ আলম বলেন, শিশু শিক্ষার্থী তাহসিনের মুখের থুতনি ও ঠোটেঁ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
    এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাণীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ রায় মুঠোফোনে বলেন, এমন কোন ঘটনা তিনি ঘটনানি। যদি ঘটতো তাহলে তো বিদ্যালয়ের প্রধানরাসহ অন্যরা জানতো, অভিযোগ হতো। এই ঘটনাকে তিনি পূর্ব শুত্রুতার জেরে সাজানো বলে দাবী করেছেন।
    রাণীশংকৈল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) ছেলিমা সিদ্দিকার মন্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তাতে সাড়া দেননি।
    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহিম উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাত করা যাবে না। এমন পরিপত্র রয়েছে। তারপরেও কেউ যদি অহেতুক আঘাত করে তাহলে এটি ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান(ইউএনও) অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি থানায় বলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
  • টিসিবির পণ্য প্যাকেটজাতে অনিয় দুর্নীতির অভিযোগ সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে।

    টিসিবির পণ্য প্যাকেটজাতে অনিয় দুর্নীতির অভিযোগ সরকারি কর্মচারির বিরুদ্ধে।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    টিসিবির পণ্য প্যাকেটজাতে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে গেল বুধবার (৬ মার্চ) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোলেমান আলীর বরাবরে অভিযোগ করেন ডিলাররা। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে একটি মামলাও চলমান রয়েছে।
    ডিলারদের এমন অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় একষট্টি জন ডিলারের মাধ্যমে বিরানব্বই হাজার ছয়শত আটাশি জন স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে কম দামে টিসিবি পণ্য নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল ও তেল বিক্রি শুরু করছে। তবে টিসিবি পণ্য প্যাকেটজাত করণে এক টাকা ও শ্রমিক মুজরী এক টাকা করে ডিলারদের কাছে আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী শহিদুল ইসলাম ও মিন্টূ।
    ফলে প্রতি বার ডিলারদের কাছ থেকে শুধু প্যাকেজিং বাবদ ৯২,৬,৮৮ টাকা করে। এভাবে গেল সাত মাসে আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ আটচল্লিশ হাজার আটশত ষোল টাকা। আর শ্রমিকদের খরচেও নেয়া হয়েছে এক টাকা করে। সবমিলে ডিলারদের কাছ থেকে আদায় করা হয় প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা।
    অথচ প্যাকেজিং ও আনলোডিং বাবদ ৩,৯৭,৩৩২ টাকা খরচ হয়েছে বলে টিসিবির ক্যাম্প অফিস দিনাজপুরে পত্র পাঠান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোলেমান আলী। পরবর্তীতে ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করে প্যাকেট প্রতি ২ টাকা ৬১ পয়সা হারে ২,৪১,৯১৬ টাকার একটি চেক প্রদান করেন টিসিবি ক্যাম্প অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান।
    তাহলে প্রশ্ন ওঠে ডিলারদের কাছ থেকে যে অর্থ আদায় করা হয়েছে সেগুলো গেলো কথায়?
    অনুসন্ধানের সময় ডিলাররা অভিযোগ করে বলেন, অফিস সহকারী শহিদুল প্যাকেটজাত ও শ্রমিক খরচের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সাত মাসে শহিদুল ও মিন্টু প্রায় ১০ লাখ টাকা আদায় ডিলারের কাছ থেকে। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কে টাকা নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছি। তিনি টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান তারা।
    মেসার্স স্বর্গ সমুদ্র টের্ডাসের সুব্রত সরকার, মেসার্স শিফা ট্রেডার্স’র সাইফুল ইসলাম, মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ’র আনোয়ার হোসেন ও মেসার্স সাহেদী মুদি স্টোর’র রোকনুজ্জামান সাহেদী জানান, শহিদুলের নির্দেশে মিন্টু শ্রমিক খরচ এক টাকা ও প্যাকেতজাত করণে এক টাকা করে নিয়েছে। টাকা দিতে না চাইলে তারা চাপ দিতো। আটকে দেয়া হতো গাড়ি। পরবর্তিতে টাকা ফেরত চেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে অভিযোগ করেন ডিলাররা।
    তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি শুরুতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলেন, টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক অবগত রয়েছেন। তবে সাত মাস নয় কয়েক মাস দায়িত্বে ছিলেন। আর একা এই কাজটি করেননি বলে দাবি তার।
    আর এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোলেমান আলী জানান, টিসিবি পন্য প্যাকেটজাতে টাকা নেওয়ার কথা জানা ছিল না। অফিসের কর্মচারির বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ডিলাররা। লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এর আগে, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আয়ের অভিযোগ উঠেছিলো। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। তিনি গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে জমি ক্রয় করেন। এরপর সেই জমি সরকারি প্রকল্পে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন। এভাবে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। হঠাৎ করেই এত সম্পদের মালিক হওয়ায় শহরজুড়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা।
    ডিসি অফিসে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এখন ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠের পাশে নির্মাণ করছেন ছয় তলাবিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। বাড়িটিতে রয়েছে লিফটের ব্যবস্থাও। তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
  • সিরাজদিখানে হিজাব না পড়ে স্কুলে আসায় ৯ ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ।

    সিরাজদিখানে হিজাব না পড়ে স্কুলে আসায় ৯ ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ।

    মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিজাব না পড়ায় সপ্তম শ্রেণির ৯ ছাত্রীর মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ শিক্ষিকা মোছাঃ রুনিয়া সরকারের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ক্লাস চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

    অভিযুক্ত রুনিয়া সরকার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীরা হলো তাসফিয়া আক্তার, মাইসা জাহান, আনীল আক্তার,তানজিলা আক্তার, মাহাদিয়া পারভীন, সুমাইয়া খাতুন ও ইফা খাতুন হিজাব পরে ক্লাসে না আসার অপরাধে তাদের চুল কেটে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা।

    এ সময় গণমাধ্যমকে স্বাক্ষাতকারের সময় তারা বলে, হিজাব না পরার কারণে হঠাৎ করে অভিযুক্ত শিক্ষিকা আমাদের ৯ জন ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেন।

    এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন,হিজাব না পরার কারণে আমার মেয়ের চুল কেটে দিয়েছে। আমি বিচার চাই।

    সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,ঘটনা ঘটার পর বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি। মেয়েদের সামান্য চুল কাটা হয়েছে তবে হিজাব না পরার কারণে নয়। মেয়েরা একটু উশৃঙ্খলতা করার কারনে শাস্তি দিয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবার বসা হবে। অপরাধ প্রমান হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃমিজানুর রহমান ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান মাথার চুল কাটার বিষয়টি ওই শিক্ষিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদর কাছে স্বীকার করেছেন। আমি অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম তবে মোবাইল বন্ধ থাকার কারনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।অধ্যক্ষ আমাকে জানিয়েছেন তাকে শোকজসহ আইনগত সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

    সিরাজদীখান উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ সাব্বির আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ওই শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেনির মোট ৯ জন ছাত্রীর মাথার চুল কেটে নিয়েছে। আমি ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়েছি। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হতে পারে।

  • যৌতুকের দাবীতে ৪ সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ।

    যৌতুকের দাবীতে ৪ সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ।

    মাধবপুর প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে যৌতুকের দাবীতে ৪ সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে।   স্ত্রীর বাড়ি স্বামীর নামে লিখে না দেওয়ায় রত্না বেগম মিতু (৩২) নামে এক নারীকে নির্যাতন করছে আলমগীর মিয়া নামের পাষণ্ড স্বামী।
    এ ব্যাপারে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) রত্না বেগম বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পনেরো বছর আগে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের  জহুর আলীর পুত্র আলমগীর মিয়া (৪৫)এর সাথে রত্না বেগমের বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের চারটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন যাবত তার স্বামী পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্ত্রী ও কন্যাদের অবহেলা করছে এবং রত্না বেগম এর বাড়ি তার স্বামী আলমগীর মিয়ার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এরই জেরে সোমবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আলমগীর মিয়া তার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
    প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে দুপুরে মাধবপুর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন।
    এ বিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসআই দ্বীন মোহাম্মদকে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।