Tag: অভিযোগ

  • বেলকুচিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।

    বেলকুচিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জ বেলকুচি দৌলতপুর ইউনিয়নে ক্ষিদ্রগোপরেখী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। ১৩ জুন (রবিবার) রাতে মাহবুব আলম খানের বসত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।এতে ঘরসহ ঘরের আসবার পত্রসহ প্রায় দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    জানা গেছে, জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশি মালেকের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তারা ঘটাতে পারে বলে অভিযোগ মাহবুব আলম খানের পরিবারের।

    মামলা সূত্রে জানা যায়- উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ক্ষিদ্র গোপরেখী গ্রামে আমার পিতা মাতা নিয়ে বসবাস করছি। আমার বাড়ির উত্তর পার্শে প্রতিপক্ষের বাড়ি অবস্থিত। প্রতিপক্ষররা দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। ইতিপূর্বে প্রায় ২০/২৫ বার আমাদের বসত বাড়ীতে বিভিন্ন ঘরে মানুষের মল ঢিলায় এবং বসবাসের অনুপযোগী করে তোলে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে মারপিট ও হত্যার হুমকি দেয়।

    আমি একা হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষের সকল প্রকার অত্যাচার নিরবে সহ্য করে বসবাস করতে থাকি। কিন্তু গত ১৩ জুন রবিবার রাতে মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আঃমালেক খন্দকার (৫৫), আঃ মালেক খন্দকারের ছেলে রাজিব খন্দকার (২৫), মরিয়ম বেগম (৫০) দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালাইয়া উক্ত বেড়ায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

    উক্ত আগুন লাগাইয়া দেয়ার ফলে দাউ দাউ করিয়া আগুন জলিয়া উঠে ঘরের ভিতরে রক্ষিত মালামাল সহ ঘর পুড়িয়া ভম্মিভুত হয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। আমার চিৎকারে আমার পিতা মাতা প্রতিবেশী এগিয়ে এসে দেখে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। এ ঘটনায় মাহবুব আলম খান বাদী হয় ১৫ জুন কোর্টে মামলা দায়ের করেন।

  • উল্লাপাড়ায় রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

    উল্লাপাড়ায় রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দাখিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ধর্ষণ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা ৫ জনকে আসামী করে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    এই ধর্ষণ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের গাড়াবাড়ী গ্রামে। ভূক্তভোগী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দাখিল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।

    মামলা সূত্রে জানা যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার সময় পথের মধ্যে মোড়দহ গাড়াবাড়ী গ্রামের রেজাউল করিম খাঁর ছেলে নাঈম উদ্দিন বিভিন্ন সময় উত্তাক্ত ও কুপ্রস্তাব দিতো। গত ৯ জুন আমার মেয়ে রেখে স্বপরিবারে আত্মীয়র বাড়ীতে বেড়াতে যাই।এ সুযোগে রাত ১১ টার সময় ঘরে ডুকে লম্পট নাঈম মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।ধর্ষণের পর চলে যাওয়ার সময় আমার মেয়ে কৌশলে নাঈমকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা আগাইয়া আসিয়া নাঈমকে ঘরের মধ্যে আটক করে।

    ঘটনা জানাজানির পর সুষ্ঠ মিমাংশা দেয়ার কথা বলে তার স্বজনেরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

    অদ্যবদি পর্যন্ত কোন প্রকার বিচার শালিস না পেয়ে গত শনিবার(১৯ জুন)উল্লাপাড়া মডেল থানায় ভূক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

    এ ঘটনা নিশ্চিত করে উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আলা উদ্দিন জানান ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার(২০ জুন) ধর্ষিতা ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিক্ষা করা হয়েছে। মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছে।তাদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলে হত্যার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলে হত্যার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে পশ্চিম চররমনী মোহন গ্রামে চোর সন্দেহে আবদুস শহিদ নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা একটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের স্ত্রী কুলছুম বেগম।

    পরিবারের অভিযোগ, সোমবার (১৪ জুন) রাত ১০টার দিকে আবদুস সহিদ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই এলাকার একটি খালের পাড়ে আসলে তাকে গণধোলাই দেয় কয়েকজন স্থানীয় লোক। স্থানীয় আবদুল হক লাড়ীর ঘরে চুরির অভিযোগে আবদুস শহিদকে আটক করে চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়ালের ছেলে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে নির্যাতন ও মারধর করা হয়। পরে মৃত ভেবে তাকে একটি সুপারী বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে।

    পরদিন মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে পরিবারের লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য নোয়াখালীর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।হাসপাতালে নেওয়ার পথে বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। রাতেই নিহতের স্ত্রী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    নিহত আবদুস শহিদের মা ছকিনা বেগম অভিযোগ করে জানান, তার ছেলেকে চুরির অপবাধ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে চুরি করেনি। মিথ্যা অপবাধ দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক শহিদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

    এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, আবদুস শহিদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা- নাকি চুরির করার সময় গণপিটুনিতে মারা গেছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

  • রৌমারীতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযােগে মাদ্রাসার শিক্ষক আটক।

    রৌমারীতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযােগে মাদ্রাসার শিক্ষক আটক।

    কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাফজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযােগে গােলাম মােস্তাফা (২৪) নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে রৌমারী থানার পুলিশ।

    বুধবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের আবু হােরায়রা নুরানী মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ফুলপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

    পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আবু হােরায়রা নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সজিব (১০)সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘুমাছিল। 

    ঘুমের কিছুক্ষনের মধ্যে ওই মাদা্রসার শিক্ষক গােলাম মােস্তফা শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে বেধরক মারপিট করতে থাকেন। এসময় সজিব, কাউসার, ফাহিম, মিশকাত ও মােস্তফা মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয় সে জন্য তাদেকে মাদ্রাসার শ্রেণীর কক্ষে আটক করে রাখেন ওই শিক্ষক।

    নির্যাতনের শিকার শরিফুল ইসলাম সবুজ(১০)

     

    পরে সন্ধ্যার দিকে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে সজিবক উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সজিবের বাবা বাদী হয়ে হাফেজ গােলাম মােস্তফাকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন।

    এব্যাপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাোন্তাছির বিল্লাহ জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় অভিযােগ পেয়েছি এবং আসামীকে আটক করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারপ্রচারণার শব্দযন্ত্র ছিনতাই এর অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারপ্রচারণার শব্দযন্ত্র ছিনতাই এর অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারপ্রচারণার শব্দযন্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ। মাইকের যন্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেল ৩টায় ওই প্রার্থীরা ঘোড়া প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় শব্দযন্ত্রটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আরও একটি শব্দযন্ত্র ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।

    ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান জানান, সোমবার বিকেলে তার প্রচার কর্মী মো. সোহাগ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় করে নির্বাচনী প্রচারে বের হন। প্রচারণায় ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি জাজিরা এলাকায় পৌঁছালে আট থেকে ১০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে গিয়ে হামলা করে।

    ওই সময় হামলাকারীরা প্রচারকাজে ব্যবহৃত মাইকের শব্দযন্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এড়াও বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আরও একটি শব্দযন্ত্র (মাইক) ছিনিয়ে নেয়।তাৎক্ষণিক ঘটনাটি তিনি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুদম পুষ্প চাকমা জানান, শব্দযন্ত্র ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান তাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য ওই প্রার্থীকে বলা হয়েছে।

  • ভবানীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে ঘর নির্মাণে অভিযোগ।

    ভবানীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে ঘর নির্মাণে অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতার গোপ্টা মহাসড়কের পূর্ব পাশে চর-মনসা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে সরকারি বেড়ির খাল থেকে মাটি কেটে ভিটা করে টিন শেড ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া যায় ।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, স্থানীয় খোকনেগো বাড়ির আলি আহম্মেদ এর ছেলে প্রভাবশালী মো. জহির ও তার শ্যালিকা রোকেয়া বেগম রাতের আঁধারে বেড়ির খালের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো),র জমি কোনো অনুমতি ছাড়া প্রভাব বিস্তার করে দখল করছেন । স্থানীয় মো. জহির ও তার শ্যালিকা রোকেয়া বেগম সরকারী আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে রাতের আধাঁরে সরকারি জমি দখল করে গত কয়েকদিন যাবৎ এ টিন শেড ঘর নির্মাণ করছেন ।

    নাম না বলা স্থানীয় কয়েকজন লোক গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, জহির যখন সরকারি খাল থেকে মাটি কাটে তখন আমরা তাকে নিষেধ করি, কিন্তু, সে আমাদের কথা না শুনে মাটি কেটে সরকারি খালকে গর্ত করে ফেলেছে, এখন এ বর্ষা মৌসুমে মাটি কেটে খাল গর্ত করার কারণে রাস্তার পাড় ভেঙ্গে খালে পড়ে, এবং, খালের পাশে থাকা অন্যান্য ঘর বাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে ।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. জহির এর কাছে জানতে গেলে তিনি বলেন, এ জমিতে আমার আগে একটি ছোট টিন শেড ঘর ছিলো, পরে আমি সেটা ভেঙ্গে জায়গা বাড়িয়ে বড় করে নতুন ঘর নির্মাণ করি, টিন শেড ঘর করবো, মাটি আনবো কোত্থেকে? তাই সরকারি খাল থেকে মাটি কেটে ভিটা করেছি, ঘর এবং, মাটি কেটে ভিটা করার জন্য আমি কারোই কাছ থেকে কোনো অনুমতি আনিনি ।

    পাউবো,র জমি হলে পাউবো,র সাথে বুঝবো, আপনার সমস্যা কি? এখানেই শেষ নই! কিছুক্ষণ পর তিনি সময় সংবাদ  সাংবাদিককে ফোন করে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে, পরিশেষে সময় সংবাদ   সাংবাদিককে ভক্ষক দিয়ে দমানোর জন্য শুরু হয় একের পর এক তালবাহানা।

    এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি অবৈধ ভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে থাকে তাহলে আমরা তাকে প্রথমেই বাধা প্রধান করে থাকি, এরপরেই নোটিশ করে চিঠি দিয়ে তাকে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সব কিছু সরিয়ে নিতে বলা হয়, তার পরেই আমরা ভেঙ্গে ফেলার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

    সুতরাং, অপরাধী যতই ক্ষমতাবান লোক হোক না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নই, অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে । সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি ।

  • সিরাজগঞ্জে নেসকোর বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গণশুনানী।

    সিরাজগঞ্জে নেসকোর বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে গণশুনানী।

    সিরাজগঞ্জে নেসকোর নতুন স্মার্ট প্রিপেইট মিটার লাগানোর পর থেকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

    শনিবার (১২জুন) সিরাজগঞ্জ শহরের হৈমবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে উক্ত গনশুনানী সভায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপস্থিত থেকে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

    গনশুনানীতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন, বিদ্যুৎ গ্রাহকদের পক্ষে নব কুমার কর্মকার ।

    আলোচনা করেন, উপজেলা পরিষদের ভ্যাইস চেয়াম্যান এস, এম, নাছিম রেজা নূর দিপু, এস এম. আসাদুজ্জামান সোহেল. অ্যাডভোকেট মাহবুব -ই- খোদা টুটুল, আবু এহিয়া খান সহ বিভিন্ন গ্রাহক বৃন্দ।

    সভা শেষে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি. সিরাজগঞ্জ গঠন করা হয়।আগামী ২০জুন এই সমস্যা সমাধানের লক্ষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়।

  • কলাপাড়ায় অবৈধ ঘাটে টাকা আদায়;সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ।

    কলাপাড়ায় অবৈধ ঘাটে টাকা আদায়;সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ।

    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবৈধভাবে খেয়াঘাট সৃষ্টি করে ইজারা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

    এ ব্যপারে সত্যতা যাচাইয়ের পর ৪০৭ নাম্বার স্বারকে একটি সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন ধানখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক বাচ্চু।

    দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, সরকারী ইজারাকৃত উত্তর লালুয়া মধুপাড়া নামক খেয়া ঘাট দিয়ে পণ্য পারাপার না করে নিকটবর্তী ধোলাই বাজার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ঘাট পরিচালনা করা হয়েছে। সরকারি রাজস্ব না দিয়ে অবৈধ এই খেয়া ঘাট পরিচলনা করছেন প্রভাবশালী আতাহার তালুকদার, বাদল হাওলাদারসহ আরো বেশ কয়েকজন। এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জমির ভাড়া হিসেবে সাধারণের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন।

    এছাড়া অবৈধভাবে ঘাট সৃষ্টি করে ভাড়া আদায়ের ফলে ভবিষ্যতে ওই ঘাট ইজারা নিতে কেউ আগ্রহী হবেন না বলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    এবিষয়ে অভিযুক্ত আতাহার তালুকদার বলেন,আমার রেকর্ডীয় জমিতে ঘাট তৈরি করে মালামাল পারাপার করি। সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নেয়নি। পায়রা বন্দর কৃর্তপক্ষের কাছে মাল পারাপারের লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, আমি তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। শীঘ্রই আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

     

  • রায়গঞ্জে টায়ার পোড়ানো কালো ধূয়া ও দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষনের অভিযোগ।

    রায়গঞ্জে টায়ার পোড়ানো কালো ধূয়া ও দুর্গন্ধে পরিবেশ দুষনের অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বাঁকাই গ্রামে যানবহনের টায়ার পুড়িয়ে গ্রীন ওয়েল ও কালি তৈরির কারখানার সন্ধান। কারখানার কালো ধোঁয়া আর টায়ার পোড়ানোর দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

    জানাযায়, উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বাঁকাই গ্রামে সোহানুর রহমান সোহান গ্রীণ ওয়েল প্রোডাক্টাস নামের একটি কারখানা গড়ে তোলে। এই কারখানার পরিবেশ দূষনের অভিযোগে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বেশ কয়েকজন মিডিয়া কর্মীরা সরেজমিনে কারখানাটি পরির্দশনে যান।

    এ সময় কারখানার ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার স্বপনের কাছে কারখানার পরিবেশ ছাড়-পত্রের কাগজ পত্র সহ অন্যান্য কাগজ পত্র দেখতে চাওয়া হয়। এসময় তিনি বলেন, এখানে কোন প্রকার কাগজপত্র নেই।

     

    কারখানার সমস্থ কাগজপত্র ঢাকা হেড অফিসে রয়েছে। উক্ত কারখানাটি সরেজমিনে ঘুড়ে দেখা যায়, আবাদী কৃষি জমির পাশের্ব কারখানাটি স্থাপন করায়, কারখানার বর্জ্য নির্গত হয়ে আবাদী জমিতে প্রবেশ করে জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে।

    এছাড়াও কারখানার কালো ধোঁয়া ও টায়ার পোড়ানো দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। আর এই পরিবেশ দূষনের কারনে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের শ্রেনী-পেশার মানুষ নানা ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

    খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, ৬টি শর্তাবলীর মাধ্যমে ধামাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান উক্ত কারখানাটি পরিচালনা করার জন্য একটি ছাড়পত্র প্রদান করেন। কিন্তু সেই শর্ত ভঙ্গ করে কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।

    শর্তাবলীর মধ্যে রয়েছেঃ
    (১) কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ সংরক্ষন আইন ও বিধি যথাযথভাবে অনুসরন করতে হবে।
    (২) পরিবেশ অধিদপ্তর হতে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে।
    (৩) কর্মরত শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। (৪) উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং অগ্নিকান্ড কিংবা অন্যকোন দুর্ঘটানার সময় জরুরী নির্গমন ব্যবস্থা থাকতে হবে।
    (৫) বায়ু ও শব্দ দূষণ করা যাবে না।
    (৬) কারখানায় সৃষ্ট তরল বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় বাহিরে নির্গমন করা যাবে না। উল্লেখিত যে কোন শর্ত লংঘন করলে যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কারখানার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলে উক্ত ছাড়পত্রে উল্লেখ রয়েছে।

    অথচ এই গ্রীণ ওয়েল কারখানাটিতে শর্তাবলীর সব গুলো শর্ত ভঙ্গ করে আইনকে বৃদ্ধাআঙ্গুলী দেখিয়ে যানবহনের নানা ধরনের টায়ার পুড়িয়ে দৃর্গন্ধ আর কালো ধোঁয়ায় এলাকায় পরিবেশ দূষণ করে চলেছে।

    কিন্তু স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপÍর থেকে এই পরিবেশ দূষণকারী কারখানাটির বিরুদ্ধে অজ্ঞাত কারণে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

    এ বিষয়ে ধামাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান সুমনের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উক্ত কারখানাটিকে ট্রেড লাইসেন্স ও ৬টি শর্ত সম্বলিত একটি ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়ার জন্য। এরপর তিনি আর কিছু জানেন না।

    এ বিষয়ে ধামাইনগর ইউনিয়ন আ:লীগের সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব সোহেল বলেন, আমি কারখানাটিতে গিয়ে ছিলাম। কারখানাটিতে টায়ার পোড়ানো দূর্গন্ধে ও কালো ধোঁয়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে বলে তিনি মিডিয়া কর্মীদেরকে জানান। কারখানাটি বন্ধ হোক তিনি এটা চান না, তবে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করা না হলে এলাকায় নানামুখী সমস্যা দেখা দিবে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাজিবুল আলম ও সহকারি কমিশনার ভূমি সুবীর কুমার দাশের সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের কে ফোনে পাওয়া যাইনি।

    এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি আক্তারুজ্জামান টুকুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি এখন ছুটিতে আছি। অফিস না খুললে তিনি কোন তথ্য দিতে পারবেন না বলে জানান।

    এ বিষয়ে কারখানার মালিক সোহানুর রহমান সোহানের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কাগজ পত্র দেখাতে বাধ্য নই।কারখানাটির পরিবেশ দূষণ থেকে এলাকাবাসী বাঁচতে চায়।

  • শাহজাদপুরে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে কৃষি জমি খনন ও ভরাটের অভিযোগ।

    শাহজাদপুরে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে কৃষি জমি খনন ও ভরাটের অভিযোগ।

    সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের নুকালী গ্রামের ২ টি ইরিগেশন প্রজেক্টের প্রায় ২৫ বিঘা কৃষি জমির প্রকৃত মালিক কৃষকদের অনুমতি ছাড়াই জোরপূর্বক মাটি কেটে বালু ফেলে ভরাট করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।

    অবৈধভাবে অন্যের কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা ও বালু দিয়ে ভরাট করা বন্ধের দাবীতে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা। এ ঘটনা জানতে পেরে প্রভাবশালী মহল কর্তৃক অভিযোগকারীদের নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকিও দেয়া হচ্ছে অভিযোগকারী কৃষকদের।

    শনিবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে উপজেলার নুকালী গ্রামের আশরাফুল ইসলাম নান্নু, হাজী মোঃ শাহ আলম, জয়নাল আবেদিন, নাজমুল হুদাসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের অভিযোগ,তাদের দুই ইরিগেশন প্রজেক্টের প্রায় ২৫ বিঘা ফসলী জমিতে ধান উৎপাদন করে নিজেদের রুটিরুজি নিশ্চিতের পাশাপাশি বাড়তি ধান বিক্রি করে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে সহযোগীতা করে আসছে। কিন্তু এলাকার কিছু চিহ্নিত প্রভাবশালী মহল তাদের না জানিয়েই গায়ের জোরে গত ৫ দিন ধরে তাদের ফসলী জমি থেকে মাটি কাটছে ও বালু ফেলে ভরাট করছে।

    এতে তাদের লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে ও ভবিষ্যতে পরিবার পরিজনের রুটিরুজি নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কৃষি জমিতে বালু ফেলা হোক এটা তারা চান না। তারা তাদের জমিতে ফসল ফলাতে চান।

    এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুস সালাম বলেন, ‘কৃষকদের অভিযোগ পেয়েছি। তাদের কৃষি জমি রক্ষায় সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।থ

    অন্যদিকে, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা জানান, ‘কৃষকদের জমি জোর করে ভরাটের কোন সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।