Tag: হামলা

  • ফেসবুকে চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ায় শিক্ষার্থীর উপর হামলা।

    ফেসবুকে চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ায় শিক্ষার্থীর উপর হামলা।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের হামলার শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলা হয়েছে।

    ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম রেজাউল করিম । তিনি উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেষা ঘাটের পাড় গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও নীলফামারী সরকারি কলেজের এমবিএ শিক্ষার্থী এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক।
    মামলায় চিহ্নিত মাদক ও অবৈধ গরু ব্যবসায়ী পশ্চিম ছাতনাই এলাকার বাসিন্দা পিয়ারুল ইসলাম, নুর আলম, নুর ইসলামসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনের নামে আসামি করা হয়েছে।
    ভুক্তভোগী রেজাউল করিম বলেন, নীলফামারীতে আমরা শিক্ষার্থীরা মিলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছি। স্বৈরাচার পতনের পর এলাকায় এসেছি। নিজের এলাকায় ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিদের ব্যাপক বিস্তার দেখে বালাপাড়া বিজিবি কমান্ডারকে বিষয়টি জানাই। কোন সুরাহা না পেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি ফেসবুকে লিখি-আজ সকাল ৬ টার দিকে পশ্চিম ছাতনাই এলাকায় ভারত থেকে অবৈধ গরু ও মাদক  আনার সময় চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে ভারতীয় বিএসএফ। এরপর বিজিবি- বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়। পতাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সীমান্তে যেন স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ না যায়। আমার প্রশ্ন হলো- চোরাকারবারিদের জন্য সাধারণ মানুষ ভুগবে কেন ? এসব চোরাকারবারি কারা ? কারা এদের নেতৃত্ব দেয়? কেন সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরেও চোরাচালান সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে আছে। প্রশাসন কি করে? জাতি জানতে চায়? যারা সীমান্ত এলাকায় বসবাস করে তাদের চাষাবাদ থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে বর্ডারের কাছাকাছি যেতে হয়। চোরাকারবারিদের কারণে ভারতের বিএসএফ যদি একটা সাধারণ মানুষের উপরেও হামলা করে। এর দায় পুরোপুরি প্রশাসনকে নিতে হবে।
    এরপর সন্ধ্যায় আমার ওপর হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ী ও গরু চোরাকারবারি পিয়ারুল-নুর আলমসহ তাদের সঙ্গীরা। মারধর করার পাশাপাশি আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মৃত্যুর হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি ডিমলা বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের  প্রতিনিধিদের জানালে তারাও ঘটনাস্থলে এসে হামলার শিকার হয়েছেন।
    ডিমলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান ও শাকিল প্রধান বলেন, ওই দিনসন্ধ্যায় খবর পেয়ে আমরা ঠাকুরগঞ্জ বাজারে যাই। সেখানে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী পিয়ারুল- নুর আলমসহ ২৫-৩০ জন আমাদের পথরোধ করে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলে ‘হয় সীমান্তে তোরা থাকবি না হয় আমরা ব্যাবসা করবো’। এ সময় মোবাইল ফোন বের করে ভিডিও করার চেষ্টা করলে কেড়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে। আরেকজনের স্মার্টফোন পকেটে ছিল, সেটিও লাথি মেরে ভেঙে ফেলে। আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলা করা হয়েছে।
    রেজাউলের বাবা আব্দুল মান্নান বলেন, আমার ছেলে কলেজে পড়ে। সে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে সংগ্রাম করেছে। অথচ নিজের এলাকায় সীমান্ত দিয়ে  মাদক ও চোরাচালান নিয়ে কথা বলায় হামলার শিকার হয়েছে। এটা দুঃখজনক। হামলাকারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক ও গরু চোরাকারবার করে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
    স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতের সীমান্তবর্তী ডিমলা উপজেলা। ভারতের সঙ্গে ডিমলার সীমান্ত এলাকা রয়েছে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় গরু ও মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে। বিজিবি এসব দেখেও না দেখার ভান করে। তাদেরকে বারবার জানিয়েও কোন লাভ হয়না।
    শিক্ষার্থী রেজাউল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের ওপর হামলার ঘটনাটি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দা জানান অনেকে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার সাইফুর জামান বলেন, তথ্য প্রমান ছাড়া কাউকে আটক করা সম্ভব নয়। চোরাচালান বন্ধ করতে বিজিবি সবসময় তৎপর রয়েছে।
    এ বিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলে এলাহি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়েছে । ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলানো হয়েছে।
  • লক্ষ্মীপুরে সিএনজি চালকেরা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-১১।

    লক্ষ্মীপুরে সিএনজি চালকেরা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার-১১।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।

    লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সিএনজি চালকদের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিন জুয়েল বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এর আগে রাতে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। দুপুরে আটক ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, সোহেল হোসেন (৩৫),সোহাগ হোসেন (২৮), জহির উদ্দিন (৫৫), মহিউদ্দিন (৫০), ইছমাইল হোসেন (৩৫), মোশারেফ হোসেন (৩১), জিয়াউর রহমান বাবু (৩১), শিপন হোসেন (২৬), বেলাল হোসেন (৪৭), মিরাজ হোসেন (২১) ও মো.কামাল মোল্লা (৫০)। গ্রেফতারকৃতরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়াডের্র বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা-মারধর ও সরকারী কাজে বাধা প্রদান করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। পাশাপাশি গ্রেফতার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

    উল্লেখ্য, ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন সিএনজিসহ সড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করছে। অবৈধ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকে শহরের বাড়বাড়ির মেঘনা সড়কের মুখে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে। এসময় কয়েকটি বৈধ কাগজপত্র না থাকায় কয়েকটি সিএনজি আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। এঘটনার জের ধরে সিএনজি চালকরা ট্রাফিক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় দুই পুলিশ কনস্টেবল দৌঁড়ে পাশের হাজি মার্কেটে আশ্রয় নেয়। অপর পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে উত্তেজিত সিএনজি চালকরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এতে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে অবরুদ্ধ দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

  • ছাত্র জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে আদিবাসীদের বিক্ষোভ মিছিল।

    ছাত্র জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে আদিবাসীদের বিক্ষোভ মিছিল।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
    এনসিটিবি কর্তৃক বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’ আহুত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসী সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ এর নৃশংস সন্ত্রাসীর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার(১৬জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে মৌলভীবাজার চৌমুহনা চত্বরে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল পালন করা হয়।
    বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ফ্লোরা বাবলী তালাং এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জনক দেববর্মার সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলিমেষ ঘোষ বলু,বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ জেলা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, আদিবাসী নেতা ফিলা পতমী,কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত, কৃষক নেতা খছরু চৌধুরী,আদিবাসী নেতা চিত্তরঞ্জন দেববর্মা,আদিবাসী নেত্রী ববিতা দিও, মনিকা খংলা, যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুকান্ত নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর প্রমুখ।
    প্রতিবাদ  সভায় বক্তারা বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) ভুঁইফোড় সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ নামক সংগঠন আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যে পৈশাচিক হামলা করে আদিবাসী  শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে এটা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে সাংঘর্ষিক। তারা সংগঠনের নামে সভেরেন্টি রেখেছে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে তারা কিভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। বাংলাদেশের আদিবাসীদের পূর্ণ সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভুমির অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীরা কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়, এই বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা মুখ্য ভুমিকা রেখেছেন। আদিবাসী শব্দের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে একটা বিচ্ছেদে রাজনীতি জিইয়ে রাখা হচ্ছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
    বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১সালে পরাজিত আলবদররা বাংলার রাজনীতিতে অদিষ্ট হয়ে মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট ফর সভারেনটি তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। দেশে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, সকল জাতি গোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস-সংস্কৃতি তুলে ধরা সময়ের দাবি। পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী সম্বলিত গ্রাফিতি পুনরায় সংযুক্ত করতে হবে। একই সাথে আজকে (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় মিছিলে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এই সমাবেশ শেষে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে টিসি মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়।
  • লক্ষ্মীপুরে সিএনজি চালকদের হাতে ট্রাফিক পুলিশ হামলার শিকার।

    লক্ষ্মীপুরে সিএনজি চালকদের হাতে ট্রাফিক পুলিশ হামলার শিকার।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
    লক্ষ্মীপুর শহরে ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে সিএনজি চালকদের হামলায় তিন পুলিশসহ চার জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর শহরের বাগবাড়ি এলাকার মেঘনা সড়কের মুখে এই ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা হচ্ছেন, পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সবুজ মিয়া, ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল ঝোটন ভট্টাচার্য, টারজান বড়ুয়া ও সিএনজি চালক খোরশেদ আলম। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন সিএনজিসহ সড়কে বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করছে। অবৈধ এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রতিদিনের মতো বুধবার সকাল থেকে শহরের বাগবাড়ির মেঘনা সড়কে ট্রাফিক পুলিশ অভিযান শুরু করে। এ সময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কয়েকটি সিএনজি জব্দ করে ট্রাফিক পুলিশ।
    এঘটনার জের ধরে কয়েকটি সিএনজির চালক একত্রিত হয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই সময় ৩ পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে ক্ষুব্ধ সিএনজি চালকরা। পরে উত্তেজিত সিএনজি চালকরা লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ এসে অবরুদ্ধ দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ তিনজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
    এদিকে কয়েকটি সিএনজির চালক জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়কে সিএজি চালাতে হলে তাদেরকে মাসোহারা দিতে হয়। কোন অজুহাত ছাড়াই কয়েকটি সিএনজি আটক করে মামলা দেয় ট্রাফিক পুলিশ। এর জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
    লক্ষ্মীপুর ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) প্রশান্ত কুমার দাস বলেন, ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন পরিবহনের বিরুদ্ধে সকাল থেকে অভিযান চালায় ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় মেঘনা সড়কের মুখে অভিযান চালানোর সময় ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালায় চালকরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    লক্ষীপুর পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কি কারনে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
  • লক্ষ্মীপুরে ভূমিদস্যু’র হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত।

    লক্ষ্মীপুরে ভূমিদস্যু’র হামলায় ৩ জন গুরুতর আহত।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি।

    লক্ষ্মীপুরে ভূমিদস্যু ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ওসমানগণি গংদের হামলায় তিন জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    মঙ্গলবার(২৪ ডিসেম্বর)দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের আনিস মোহাম্মদের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে অভিযুক্তরা খোকনের বাবা টুকা মিয়া খরিদকৃত জমির ওপর ঘর নির্মাণ করতে গেলে অভিযুক্তরা খবর পেয়ে রায়পুর থেকে আওয়ামী লীগের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় খোকনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
    এ সময় খোকনের ছেলে সোহেল ও তার স্ত্রী  এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট গামছা পেচিয় গলা আটকিয়ে সার্বরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ (২৭০০০/ হাজার) টাকা,নাকফুল ও টেকনো ব্রান্ডের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    পরে এলাকাবাসী তাদের শোরচিৎকারে দৌড়ে আসা মাত্র অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন

    অভিযোগ করে খোকন জানান,জমি আমার, দলিল আমার, খতিয়ান আমার,তারা শালিশি বৈঠকে বসতে রাজি নাই,গায়ের জোরে বার বার আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে।সোহেল স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন আমাদের বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় আ’লীগের সন্ত্রাসীসহ ভূমিদস্যুরা দলবদ্ধ হয়ে আমাদের জায়গা দখল করেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এই কুচক্র মহলটি বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে।
    দীর্ঘ ১০ দশ বছর যাবত জোর জবরদস্তি করে অবৈধ দখলবাজ ওসমান গনি গংরা আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সোহেলের পরিবারের সম্পক্তি জোর পূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার বিষয় জানতে অভিযুক্ত রেহেনা আক্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সাংবাদিকদের আমার কিছুই বলার নাই।
    লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মুন্নাফ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • রাজাগঞ্জ বাজারে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমানের উপর হামলা থানায় অভিযোগ।

    রাজাগঞ্জ বাজারে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমানের উপর হামলা থানায় অভিযোগ।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ

    কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ বাজারে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান (৫৪) কে গত ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে বাজারে পাহারা দেওয়ার সময় অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্তায় রয়েছেন বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। এঘটনায় আহত মুজিবুর রহমান এর ছেলে রাজাগঞ্জ ইউ/পির মইনা গ্রামের সেবুল আহমদ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় গতকাল শনিবার পার্শ্ববতী মইনার পাহাড় গ্রামের মৃত নুর উদ্দীনের ছেলে কামাল আহমদ (৪০) এর নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা জ্জ জনের বিরোদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেথ করা হয় প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৯ ডিসেম্বর রাত ১০ টা থেকে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান বাজারে পাহারাদারের দায়িত্বে ছিলেন। রাত অনুমান আড়াই টার দিকে কামাল আহমদ সহ আরো ৩/৪ জন বাজারের রুপালী ব্যাংক ও আশপাশ মার্কেটের সামনে উদ্দ্যেশ্য মূলক ভাবে ঘুরাফেরা করিতে থাকিলে নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমান তাদের কে বাজার থেকে চলে যাওয়ার অনুরুধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল আহমদ সহ তার সাথে থাকা লোকজন লাঠি নিয়ে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মুজিবুর রহমানকে এলাপাতাড়ি ভাবে পিঠিয়ে কোমরে গুরুত্বর ভাঙ্গা যখম করে এবং শরিলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে আহত অবস্তায় রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায় হামলাকারীরা। পরে তাকে আহত অবস্তায় বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বাজাররে ব্যবসায়ী স্থানীয় লোকজন রাজাগঞ্জ বাজারের নৈশ্যপ্রহরী মুজিবুর রহমানের উপর হামলাকারীদের বিরোদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ।

  • প্রধান অতিথি না করায়  ফুটবল খেলায় বিএনপি নেতার হামলা, গ্রামবাসীর প্রতিবাদ।

    প্রধান অতিথি না করায়  ফুটবল খেলায় বিএনপি নেতার হামলা, গ্রামবাসীর প্রতিবাদ।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ফুটবল খেলায় প্রধান অতিথি না করায় বহিরাগতদের দিয়ে খেলোয়ার ও আয়োজকদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে  প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের মেদী দেওয়ানপাড়া এলাকায় গ্রামবাসীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
    অভিযুক্ত ওই নেতার নাম ডিজি রাব্বানী, তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে রয়েছেন বলে দাবী করেন।

    অনুষ্ঠানের আয়োজক ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকায় একটি ফুটবল খেলার আয়োজন করেন। ওই খেলা প্রচারে লিফলেট বিএনপির সভাপতি দাবী করা নেতা ডিজি রাব্বানীকে প্রধান অতিথি না করায় আগের দিন গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বহিরাগত লোকজন ভাড়া করে এনে স্টেজ ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে খেলার আয়োজক নাজমুল (৩৫) ও জাহিদ (২৮) কে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

    এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি হেলাল উদ্দিন বলেন, ওই এলাকা থেকে আমাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যারা কাজটা করেছে তারা ভালো করেনি। এটা আমদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে।

    অভিযোগের বিষয় নিশ্চিত করে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ বলেন, অভিযোগের তদন্ত করতে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

  • লক্ষ্মীপুরে প্রবাসী রাকিব সন্ত্রাসী হামলার শিকার।

    লক্ষ্মীপুরে প্রবাসী রাকিব সন্ত্রাসী হামলার শিকার।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ

    লক্ষ্মীপুরে প্রবাসী রাকিব বোনের বাড়ি থেকে জামতলী দিয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী নাজিম ও বাহিনীরা রাকিবকে মুখোশ বেঁধে ডেঙ্গার ভিতরে উঠিয়ে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। নাজিমকে যদি কোন সহৃদয় বান ব্যাক্তি তার সন্ধান পেয়ে বা দেখে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে পারেন তাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।

    এ ঘটনায় প্রবাসী রাকিব বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি
    মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলো, নাজিম, ইয়ামিন, মহিম, ইয়াসিন, মুক্তার অজ্ঞতনামা কয়েকজন।

    বুধবার (২৭ নভেম্বর ) রাত ৮ টায় সদর উপজেলার ৩নং দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর মিয়াজান চৌকিদার বাড়ি প্রবাসীর রাকিব উপর নাজিম ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়। এটি ডাকাতি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

    পুলিশ ও ভূক্তভোগীরা জানায়, ঘটনার সময় ১০-১৫ জনের একদল ‘ডাকাত’ রাকিবকে জামতলী সড়ক থেকে মুখোশ বেদে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় আসামিরা রাকিবের কাছে থাকা পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, iphone ও ৩,২০,০০০ ( তিন লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
    স্থানীয়দের সহযোগিতার সদর হাসপাতাল ভর্তি হয় রাকিব

    অপর দিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রবাসী রাকিবের পরিবারের লোকজনকে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সন্ত্রাসী নাজিম তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।

    পাখি আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে এনিয়ে আমি থানাতে মামলা করেছি। হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যারা হামলা করেছে তাদেরকেও নাজিম চিনি না। তারা নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে নাজিম কে ফাঁসানোর জন্য এসব ছড়িয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ বলেন, প্রবাসী রাকিবকে মুখোশ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এই বিষয়টি মামলা হয়েছে পলিশ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের খালাসের রায়ে নাগরপুরে আনন্দ মিছিল।

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের খালাসের রায়ে নাগরপুরে আনন্দ মিছিল।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের নাগরপুরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিদের মুক্তিতে আনন্দ মিছিল হয়েছে।

    রবিবার ১ ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুরে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির
    নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল হয়েছে। মিছিলটি নাগরপুর সদর বাজারে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয় সামনে সমাপ্ত করা হয়েছে।

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান,বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনের আসামি খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার ১১ টায় বিচারপতি এনায়েত ও একেএম আসাদুজ্জামান হাইকোর্ট বেঞ্চে এরায় দেন।খালাস পেয়ে রায় পর্যবেক্ষন হাইকোর্ট বলেন, ঘটনার বর্নণা করেছেন স্বাক্ষীরা। কে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছেন তা উল্লেখ করেননি তদন্ত কর্মকর্তা।এছাড়াও ২১ আগস্ট হামলায় কে গ্রেনেড সরবরাহ করেছেন তাও বলেননি। ফলে বিজ্ঞ আদালত সকল আসামিদের খালাস দেন।

    এ আনন্দ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন।নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আহাম্মদ আলী রানা,সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি, যুবদলের সদস্য সচিব ভারপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান লাভলু, কৃষক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জিহাদ হোসেন ডিপটি,নাগরপুর উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক মীর খালিদ মাহবুব রাসেল, সদস্য সচিব মনির প্রমুখ।

  • মাধবপুরে সাংবাদিক ও নারী উদ্যোক্তা দুষ্কৃতকারীদের হামলার শিকার।

    মাধবপুরে সাংবাদিক ও নারী উদ্যোক্তা দুষ্কৃতকারীদের হামলার শিকার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় দুষ্কৃতকারীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক ও নারী উদ্যোক্তা চাঁদ সুলতানা চৌধুরী ও সাংবাদিক মাসুদ লস্কর। রবিবার (২৪ নভেম্বর) উপজেলার চৌমুহনী ইউপির কমলপুর গ্রামে রাত্রিবেলায় ওই ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ব্রাক এনজিওর কর্মকর্তা জমিলা খাতুনের লাঠিয়াল বাহিনীর নেতা মরম আলির নেতৃত্বে স্হানীয় কমলপুর এলাকায় ১০/১৫ জনের একটি দল এদের উপর অতর্কিত হামলা করে। খবর পেয়ে কাশিমনগর পুলিশ ফাড়ির এএসআই গোলাম কিবরিয়া এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
    জানা যায়, সাংবাদিক চাঁদ সুলতানা চৌধুরী বিগত বেশ কিছুদিন আগে মরম আলীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা রবিবার রাতে ফাড়িতে মরম আলী কে হাজির হতে নির্দেশ দিলে উত্তেজিত হয়ে জমিলা বেগমের ভাইজি জামাই মরম আলী ফাড়িতে না গিয়ে মামলা আপোষ মিমাংসা করতে চাপ দেয়। পরিকল্পনামতো বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর আক্রমণ করে।
    এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য ও মাধবপুর জিসাসের সভাপতি কায়েস সালমান জানান,আমাদের সাংবাদিক সহকর্মীদের উপর এ ধরনের হামলা তীব্র নিন্দনীয়। প্রাশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা মানববন্ধনের আয়োজন করব।
    যোগাযোগ করা হলে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হামলার বিষয়টি আমরা অবগত আছি । এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।