Tag: হত্যা

  • বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।

    বালিয়াডাঙ্গীতে পরকীয়ার জেরে যুবককে হত্যার অভিযোগ।


    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সলিম উদ্দীনকে (৪৬) হত্যার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় মৃতের ছেলে বাবু রানা এ অভিযোগ করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    মৃত সলিম উদ্দীন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বুনিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

    অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম একই এলাকার খেজু মোহাম্মদের ছেলে।

    জানা গেছে, গত চার বছর ধরে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সলিম উদ্দীনের স্ত্রী আকলিমার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে একাধিকবার বিচার-সালিস করা হলেও সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। গত মঙ্গলবার সকালে সলিমের বাড়িতে গেলে রফিকুলকে আটকে রেখে স্থানীদের কাছে পুনরায় বিচার চান।

    মৃতের ছেলে বাবু রানা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম আমার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসেন। এরপর বিকেলে বাবা বালিয়াডাঙ্গী বাজারে গেলে তাঁকে জোর করে গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। পরে ইজিবাইকে করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে রফিকুল পালিয়ে যান। খবর পেয়ে বাবাকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি।

    বাবু রানা আরও বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বাবার মরদেহ নিতে এসেছি। ময়নাতদন্ত শেষ মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরব। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামসহ জড়িত কয়েকজনকে আসামি করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

    বালিয়াডাঙ্গী থানা পরিদর্শক (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে। এ ঘটনায় সলিম উদ্দীনের পরিবারের লোকজন বালিয়াডাঙ্গী থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বাঘায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।

    বাঘায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।

    বাঘায় সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা।


    রাজশাহীর বাঘায় ঠিকাদার কর্তৃক সাংবাদিককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। রোববার (২৮ মে) বিকেলে বাঘা প্রেস ক্লাবে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবাদ সভায় ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

    জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার হরিনা মাষ্টার পাড়া গ্রামে মহসিনের বাড়ি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৩১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫৯ টাকা মূল্যো রাস্তা সংস্কারের কাজ করছিলেন ঠিকাদার ও বাঘা পৌর আ.লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। রাস্তার কাজ নিন্মমানের হচ্ছে মর্মে, স্থানীয়রা সাংবাদিক আখতার রহমানেক অবগত করেন। আখতার রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ওই স্থানে তদন্ত করতে যায়। সরেজমিন তদন্ত শেষে ফেরার পথে প্রথমে তাকে মোবাইল ফোনে ও পরে উপজেলা সদরের সামনে পৌঁছলে বিকেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া ও প্রাণনাশের হুমকি দেন ঠিকাদার।

    এই ঘটনায় বাঘা প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা। প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুল হক আমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম আলী,অর্থ সম্পাদক লালন উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ফজলুর রহমান মুক্তা, সদস্য শাহানুর রহমান বাবু, আবদুল হামিদ মিঞা, সুব্রত কুমার সরকার প্রমুখ।
    আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে অতিদ্রæত আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
    এ বিষয়ে সাংবাদিক আখতার রহমান বলেন, আমার বিরদ্ধে আবদুল কুদ্দুস থানার করা অভিযোগে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, সেই সময় আমি চারঘাটের ভায়ালক্ষীপুর গ্রামে একটি সংবাদ সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলাম। তার করা অভিযোগটি ভিক্তিহীন।
  • মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।


    চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হবিগঞ্জের মাধবপুরে তরুণী হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামীকে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯।

    গত ১৯ এপ্রিল মাধবপুর থানাধীন বাঘাসুরা ইউনিয়নের এক তরুনীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তরুনী কর্তৃক প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়া বখাটে যুবক ও তার বন্ধুরা। গুরুতর জখম প্রাপ্ত তরুনীকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ০৬জনকে আসামী করে গত ২৫ এপ্রিল ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার দাখিল করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এর প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মামলার প্রধান আসামী মাহাবুবুর রহমান @ সুমন মিয়া (২২), পিতা- মারুফ মিয়া, গ্রাম- মানিকপুর (শাহজিবাজার), উপজেলা- মাধবপুর কে অদ্য ২৮ এপ্রিল ভোররাতে ০৪.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়।

    ঘটনার বিবরণ ও আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মাহবুবুর রহমান@সুমন মিয়া ভিকটিমকে গত কয়েকমাস ধরে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং প্রেমে ব্যর্থ হয়ে একাধিকবার ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকায় ভিকটিম সেহেরি খাওয়ার জন্য বসতঘর থেকে বের হয়ে হাত মুখ ধোয়ার জন্য টিউবওয়েলের কাছে পানি আনতে যায়। এ সময় মাহবুবুর রহমান@সুমন মিয়া ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ভিকটিমের হাতের কব্জি এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত করে। ভিকটিমের আত্ম চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী নিজের কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • কক্সবাজারে সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধ;যুবককে কুপিয়ে হত্যা।

    কক্সবাজারে সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধ;যুবককে কুপিয়ে হত্যা।

    কক্সবাজারে সেচ প্রকল্প নিয়ে বিরোধ;যুবককে কুপিয়ে হত্যা।


    কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে সেচ প্রকল্পের ইজারা নিয়ে বিরোধের জেরে মোর্শেদ আলী (৩৮) নামের যুবককে চেরাঙ্গর বাজারে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের চেরাঙ্গর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোর্শেদ মাইছপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

    কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সেলিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    নিহতের খালু আলী আহাম্মদ কোং জানান, মোর্শেদ অনেক দিন ধরে সরকারি একটি সেচ প্রকল্প ইজারা নিয়ে চালিয়ে আসছিলেন। ওই সেচ প্রকল্পটি মাহমুদুল হকসহ স্থানীয় কয়েকজন জবর দখল করে নেন। এ নিয়ে মোর্শেদের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল।

    আলী আম্মান আরও জানান, কিছু দিনের মধ্যে ওই সেচ প্রকল্পটি আবার নতুন করে ইজারা হওয়ার কথা আছে। ইজারা পেতে মোর্শেদ আবেদন করে রেখেছিলেন। বিষয়টি মাহমুদুল গং জানতে পেরে মোর্শেদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চেরাঙ্গর বাজারে ইফতারি কিনতে গেলে মোর্শেদের ওপর হামলা চালায় মাহমুদুল, মো. জয়নাল, কলিম উল্লাহসহ অন্তত ২০ জন। তারা মোর্শেদকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।কোপে আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মোর্শেদ। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সন্ধ্যার পর তার মৃত্যু হয়।

    সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, হামলাকারীরা চিহ্নিত হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি।


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে স্ত্রী রুবিনা আক্তারকে মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মো. লিটনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন এ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

     

    তিনি বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে লিটন গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে। পরবর্তীতের ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে এটি শ্বাসরোধে হত্যা বলে প্রমাণিত হয়। এতে লিটন দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ফাঁসির আদেশ দেয়। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
    দণ্ডপ্রাপ্ত লিটন কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের উত্তর চরকাদিরা গ্রামের চৌধুরী মাঝির ছেলে।

    আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ইং সালের ১৩ এপ্রিল উত্তর চরকাদিরা গ্রামের একটি আম গাছ থেকে রবিনার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে বলে প্রচার করে হয়। এতে আত্মহত্যা বলেই তার শ্বশুর চৌধুরী মাঝি কমলনগর থানায় লিখিতভাবে সংবাদটি জানায়। থানার তখনকার ওসি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেনকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়। ঘটনাস্থল গিয়ে মোশাররফ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি পাননি। চৌধুরী মাঝির ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন সুরতহাল প্রস্তুতকালে তিনি দেখতে পান রুবিনার মরদেহের ঠোঁটসহ মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কানের নিচে ও গাঁঢ়ের পেছনে রশির দাগ ছিল।

     

    পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। একই বছর ২৯ মে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে আসে। এতে প্রমাণিত হয় মাথায় আঘাতের পর রুবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এতে এসআই মোশারফ বাদী হয়ে লিটনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি এসআই অনিমেষ মন্ডলে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।

  • রামগঞ্জে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।

    রামগঞ্জে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।

    রামগঞ্জে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।


    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ফাতেমা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পৌর ৭নং ওয়ার্ডের মধ্য শ্রীপুর মিঝি বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেন ও তার ভাই পৌর শহরের নূর প্লাজার জুতার ব্যবসায়ি এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ ৩ এপ্রিল রোববার উপজেলার কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।

    শুক্রবার রাত ৭:৪৫ মিনিটে উপজেলার ফতেহপুর এলাকায় ফাতেমাকে বহনকারী সিএনজি’র গতিরোধ করে এ হামলা চালিয়েছে অভিযুক্তরা। গুরুতর আহত গৃহবধু ফাতেমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখলে শনিবার দুপুরে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।

    সুত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌর সাতারপাড়া গ্রামের গৃহবধূ ফাতেমা আক্তার শুক্রবার ব্যক্তিগত কাজ শেষে লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে সিএনজি যোগে রামগঞ্জ শহরে আসার সময় ফতেহপুর নামক স্থানে পৌঁছানো মাত্রই তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে। এসময় গৃহবধুর চিৎকার শুনে গ্রামবাসী দ্রুত ছুটে আসলে দুস্কুতিকারীরা পালিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধু ফাতেমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আমার সাথে রামগঞ্জ শহরস্থ নুর প্লাজার জুতার ব্যবসায়ী ও শ্রীপুর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির এনায়েত উল্যাহর দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত পারিবারিক ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।

    উক্ত বিরোধের সুত্রধরে এনায়েত উল্যাহর নেতৃত্বে তারই ভাই আক্তার হোসেন, কালিকাপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেন,শাকতলা গ্রামের মাহবুবুর রহমান সহ ৪/৫ জনের গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে।খবর পেয়ে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দেন। এ ব্যাপারে জানতে বার বার যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।

  • লক্ষ্মীপুর আদালতের স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুর আদালতের স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুর আদালতের স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড।


    লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী আরজু বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী কামাল উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    আজ বুধবার ৩০ মার্চ বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী এ রায় দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আইনজীবী আবুল বাশার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যায় আদালতে কামাল দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। এতে আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত কামাল সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বড় বল্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বাদী জগলুর রহমান দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দ।

    আদালত সূত্রে জানা যায় ২০০৯ইং সালের ২ জানুয়ারি আরজু বেগমকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগে তার বড় ভাই জগলুর রহমান বাদী হয়ে কামালের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ আদালতে কামালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

  • মাধবপুরে স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী ও শিক্ষিকা ঝর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    মাধবপুরে স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী ও শিক্ষিকা ঝর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    মাধবপুরে স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী ও শিক্ষিকা ঝর্ণা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার প্রতিবাদে ২ বারের মতো মানববন্ধন করেছে জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এ্যন্ড কলেজের,প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা।

    রবিবার (২৭মার্চ) বিকেলে উপজেলার জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
    মানববন্ধনে বক্তারা স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত খুঁজে বের করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এতে বক্তব্য রাখেন জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এ্যন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল্লা ভূইয়া,সহকারী শিক্ষক আবিদ মিয়া, কাজী ফারুক আহমেদ,সহকারী শিক্ষিকা গৌরী বণিক,অভিভাবক সদস্য, সৈয়দ শামীম, অফিস সহকারি শহীদ উল্লাহ ইসহাক ঝার্ণার চাচা পলাশ কুর্মী প্রমুখ।
    উল্লেখ্য ১৮মার্চ রাতে জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল এন্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চাতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মীর কে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুরভীপাড়ায় বাসায় পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে বাসার ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে ঝর্ণার চাচা রামপ্রসাদ কুর্মী বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় কুর্মী কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
  • লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড।

    লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড।


    লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী বশির মিস্ত্রিকে (৬০) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার এক হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। বুধবার ২৩ মার্চ বেলা ১১ টার সময় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় প্রদান করেন।

    জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যার ঘটনা আদালতে বশিরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    দণ্ডপ্রাপ্ত বশির রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর (আদর্শ গ্রাম) গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। রায় ঘোষণার পর বশিরের চোখে মুখে চাপা আতঙ্ক দেখা গেছে। ঘোমড়া মুখেই পুলিশের সঙ্গে কিছু একটা বলছিল। যেন তার আকাশ জুড়ে আঁধার নেমে এসেছে। রায়ের সময় তার কোন আত্মীয়-স্বজনকে আদালতে দেখা যায়নি।

    মামলার এজাহার সূত্র জানায় ২০০৬ সালে নোয়াখালী জেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে মমতাজকে বশির বিয়ে করে। এটি বশিরের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম সংসারে তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।

    বশির ও মমতাজ বেগমের সংসারে হোসেন আহম্মদ ও আপন নামে দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মমতাজকে বশির মারধর করতো। ঘটনাগুলো স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য একাধিবার সালিসি বৈঠকও করা হয়।

    এরপরও মমতাজ বেগমের উপর নির্যাতন ও মারধর বন্ধ করা হয়নি। বিভিন্ন সময় মমতাজ বেগম তার বাবার বাড়ির লোকজনকে ফোন দিয়ে কান্না কাটি করতো। বশিরের আগের সংসারের ছেলে মেয়েরা মমতাজ বেগমকে ভালো চোখে দেখতো না।

    এ দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ২০১৬ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতাজকে বশির ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মমতাজের গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে বশির সেখান থেকে স্থানীয় টাংকি বাজারে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজির নাটক রচনা করে।

    নিজেই রেখে আসা সয়াবিন ক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করেন এবং প্রচার শুরু করে কে বা কারা আমার স্ত্রী মমতাজকে হত্যা করে লাশ সয়াবিন ক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে।

    কিন্তু ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে তাকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। পরে নিহত মমতাজ বেগমের ভাই মোঃ জসিম বাদী হয়ে বশির ও অজ্ঞাত ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি রামগতি থানা পুলিশ আদালতে বশিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানির পর ও ৮ আট জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেয়।

  • নাপা খেয়ে নয়,পরকীয়ার জেরে দুই সন্তানকে বিষ পানে হত্যা-মা গ্রেপ্তার।

    নাপা খেয়ে নয়,পরকীয়ার জেরে দুই সন্তানকে বিষ পানে হত্যা-মা গ্রেপ্তার।

    নাপা খেয়ে নয়,পরকীয়ার জেরে দুই সন্তানকে বিষ পানে হত্যা-মা গ্রেপ্তার।


    নাপা সিরাপ খেয়ে নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সেই দুই শিশুকে পরকীয়ার জেরে মিষ্টির সাথে বিষ খাইয়ে তাদের মা লিমা বেগমই হত্যা করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন এ তথ্য জানান। এ ঘটনায় নিহত দুই শিশুর বাবা ইসমাঈল হোসেন বাদী হয়ে লিমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

    অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, লিমা আশুগঞ্জের একটি চালকলে কাজ করেন। আর তার স্বামী কাজ করেন ইটভাটায়। চালকলে কাজ করার সুবাদে আরেক শ্রমিক সফিউল্লার সাথে লিমার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেয়।

    তিনি আরও জানান, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সাথে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে খাইয়ে হত্যা করে মা লিমা বেগম। মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করে। কিন্তু লিমার আচরণে প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসায় সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় লিমার প্রেমিক সফিউল্লাকে চলছে বলেও জানায় পুলিশ।

    উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াছিন ও মোরসালিন নাপা সিরাপ খেয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ তোলা হয়।