Tag: সড়ক

  • দেওয়ানগঞ্জে ব্রীজের টোলবক্সের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু।

    দেওয়ানগঞ্জে ব্রীজের টোলবক্সের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু।

    দেওয়ানগঞ্জে ব্রীজের টোলবক্সের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু।


    জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ী পিআইসির আওতাধীন পাথরেরচর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় টোলবক্সের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    ২২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার  ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বকশিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রৌমারী গামী সাদিয়া পরিবহন ও সিএনজি পাথরেরচর ব্রিজের টোলবক্সের সামনে আসলে টোল আদায়ের জন্য রশির মাধ্যমে সংকেত দেওয়া হয়। এতে সিএনজির চালক গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সিএনজি উল্টে যায়। এ ঘটনায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনা স্থলেই আবু রায়হান নামে ২০ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হয়।

    জানা যায়, মৃত শিশু বকশিগঞ্জ নতুন বাজার এলাকার বাট্টাজোর ঝোরার পাড় গ্রামের শাহীন আলম ও রেনু বেগম দম্পতির পুত্র।

    এব্যাপারে সানন্দবাড়ী পুলিশ পরিদর্শক জোয়াহের হোসেন খান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হই। মৃত্যু শিশুটির বাবা শাহীন আলমের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে লাশটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

  • কলাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১, আহত-২।

    কলাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১, আহত-২।

    কলাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১, আহত-২।


    পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টমটম ও মটোরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সোবহান তালুকদার (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শাকিল (৩০) ও ইমন হোসেন (২০) নামের দুই যুবক। গতকাল রাত নয়টায় বালিয়াতলী এলাকার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সোবাহান লালুয়া ইউনিয়নের হাসনাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারেফ তালুকদারের ছেলে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে বালিয়াতলী এলাকা থেকে আসা একটি মটোরসাইকেলের সঙ্গে একটি টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় টমটমটি উল্টে সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা সোবহানের গায়ে পরে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোবাহানকে মৃত ঘোষনা করে। মটোরসাইকেলের ওই দুই আরোহীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরন করে।

    কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন, লাশ ময়না তদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। টমটম ও মটোরসাইকেলটিকে জব্দ করা হয়েছ।

  • বড়লেখার যুবক মুন্না কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত।

    বড়লেখার যুবক মুন্না কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত।

    বড়লেখার যুবক মুন্না কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত।


    কাতার সড়ক দুর্ঘটনায় বড়লেখার যুবক মুহিবুজ্জামান মুন্না (৩৩) নিহত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সোনাপুর গ্রামে।

    জানা গেছে, মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় ১১টায় কাতারের রায়হান নামক এলাকার সড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হামাদ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) তাঁর মৃত্যু হয়। দেশে নিয়ে আসার সব কার্যক্রম সম্পূর্ণ হলে মুন্নার লাশ দেশে নিয়ে আসা হবে এবং গ্রামের নির্ধারিত কবরস্থানে তাঁর দাফনকার্য সম্পাদিত করা হবে।

    সুজানগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম শহিদ এ প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মুহিবুজ্জামান মুন্না বড়লেখা উপজেলার ৯নং সুজানগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মনিরের ছেলে। মুন্নার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু।

    বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু।

    বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু।

    রাজশাহীর বাঘায় মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া মোড়ে নাদির উদ্দিন (৬৫) নামের এক ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে।
    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের তেপুকুরিয়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত বয়েজ উদ্দিনের ছেলে নাদির উদ্দিন নিজ বাড়ি থেকে মঙ্গলবার দুপর দেড়টার দিকে মোটর সাইকেল নিয়ে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি আড়ানী-বাঘা সড়কের আড়পাড়া মোড়ে পৌঁছালে সামনে একটি ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাঁকা রাস্তার ছিঁটকে পড়ে যান।
    এ সময় তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন।
  • রামগঞ্জে নিম্নোমানের ইটের কংক্রিট দ্বারা সড়ক মেরামতের অভিযোগ।

    রামগঞ্জে নিম্নোমানের ইটের কংক্রিট দ্বারা সড়ক মেরামতের অভিযোগ।

    লক্ষীপুর রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর-জকসিন সড়কের সমিতির বাজার থেকে নাগেরহাট সড়ক মেরামত ও সংস্কারে নিম্নোমানের ইটের কংক্রিট দ্বারা সড়ক সংস্করনের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিবার নির্ম্মমানের কংক্রিট দেওয়াতে বাধা দিলে ও লক্ষীপুর জেলার চার ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজ অব্যাহত রাখায় উপজেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

    স্থানীয় সুত্রে জানায়,উপজেলার সমিতির বাজার থেকে নাগের হাট পর্যন্ত ৬ছয় কিলোমিটার সড়ক এলজিইডির চলতি অর্থবছরে ৪চার কোটি ৫৭লক্ষ টাকার টেন্ডার পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ আহমেদ এবং মের্সাস সাইমা এন্টারপ্রাইজ মোটা অংকের টাকার বিনিময় লক্ষীপুরের রাব্বানী,দুলাল,ইমতিয়াজ ও সাহাবুদ্দিন কাজ কিনে নেয়। ২১ ডিসেম্বর-২০২১ইং সালে কার্যাদেশ পেয়ে অদৃশ্য ব্যক্তির ছাত্রছায়া ইট ভাটার নির্ম্মমানের কংক্রিট ক্রয় করে সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজ শুরু করে। নির্ম্মমারে কংক্রিট দিয়ে কাজ করায় দরবেশপুর, আইয়েনগর, ৬নং লামচর, ফতেহপুর,৮নং করপাড়া গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার বাধা দিলেও বীরদর্পে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন।

    ফতেহপুর গ্রামের লোকজন শনিবার সাংবাদিকদের জানান,শ্রমিক নেতা হেলাল কারো কথাকেই তোয়াক্কা না করে নির্ম্মমানের ইটের কংক্রিট দিয়ে উপরে লোক দেখানো ভালো মানের কংক্রিট দিয়ে রোলার দিয়ে ফিনিশিং করছে। শ্রমিক নেতা হেলাল বলেন,গাড়ীতে করে ইটভাটা থেকে যেই কংক্রিট আসে শ্রমিকেরা তাই দিচ্ছে। গ্রামের লোকজন আমাদের সাথে কথা না বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে কথা বললেই সমাধান হয়।

    ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সলেহ আহমেদ এর স্বত্তাধীকারী সালেহ আহমেদ বাবুল এবং লক্ষীপুরের রাব্বানীকে মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও রিসিভ করেনি। রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন রোববার বিকেলে নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, নির্ম্মমানের কংক্রিট দিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী গিয়ে সত্যতা পেয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্ম্মমানের কংক্রিট অপসারনের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

  • রামগতিতে সড়ক সলিংকরণের টেন্ডারে কাগজপত্র ও পে-অর্ডার যাচাই না করেই লটারির।

    রামগতিতে সড়ক সলিংকরণের টেন্ডারে কাগজপত্র ও পে-অর্ডার যাচাই না করেই লটারির।

    লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহিরুল ইসলাম টেন্ডারের দাখিল করা কাগজপত্র ও পে-অর্ডার যাচাই না করেই সড়ক সলিংকরণ (এইচবিবি) কাজের লটারিতে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এতে লটারি নিয়ে গরমিল দেখা দিয়েছে। একই কাজের জন্য একই সময় দু’বার লটারি করা হয়েছে। পিআইও কয়েকজন ঠিকাদারের কাছে ‘ম্যানেজ’ হয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এন.আমিন কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিন ইয়াদ এ অভিযোগ করেছেন। একই ঘটনায় নুরুল আমিন ইয়াদ জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, দূর্যোগ-ব্যবস্থাপনা শাখার অধীনে ২০২১ইং সালের ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের স্লুইস গেট পাকা রাস্তা হতে ভুলুয়া নদীর ব্রীজ পর্যন্ত আশ্রয়ণ রাস্তা এইচবিবিকরণ (৪৫০.০০ মিটার) এবং চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ২ নং সাইচ গেট হতে বাশু পাটোয়ারীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা এইচবিবিকরণের (৫৫০ মিটার) দরপত্র আহবান করা হয়।

    ৬০ লাখ ৪২ হাজার ১৯০ টাকার এ কাজের জন্য মেসার্স এন.আমিন কনস্ট্রাকশনসহ ১০৪টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিডিউল জমা দেন। নির্ধারিত সময় ২৪ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় প্রকল্পের সভাপতি ও রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরীসহ ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে লটারি করা হয়। এতে মেসার্স এন.আমিন কনস্ট্রাকশন প্রথম হয়। কিন্তু ১৩টি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার টেন্ডারে পে-অর্ডার ও সিকিউরিটি পর্যাপ্ত পরিমাণ দেননি। এতে কয়েকজন ঠিকাদারের আপত্তিতে পিআইও জহিরুল ইসলাম টেন্ডারের পুনরায় লটারি করেন। এটি নিয়ম বহির্ভূত।

    জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার দাখিল করার পর কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করবেন। সে অনুযায়ী টেন্ডারের লটারি করা হবে। কিন্তু তা না করেই লটারি করা হয়। এতে লটারির পর জানা যায়, ১৩ টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পে-অর্ডার পর্যাপ্ত পরিমাণ জমা দেননি। যদি লটারিতে এ ১৩ প্রতিষ্ঠানের কেউ প্রথম হতো, তাহলে তাদের কাজ বাতিল হলে পুনরায় লটারিতে আপত্তি থাকে না। কিন্তু কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সঠিক নিয়মে টেন্ডার দাখিল করে কাজ পেলে তা বাতিল আইনসিদ্ধ নয়।

    আরএস ট্রেডার্স স্বত্ত্বাধিকারী খায়রুল এনাম ও রামগতি উপজেলা এলজিইডির সাবেক কম্পিউটার অপারেটর নুর নবী জানান, লটারিতে এন.আমিন কনস্ট্রাকশন প্রথম বিজয়ী হয়েছে। সেটি দেখে তারা চলে আসেন। কিন্তু পরে পুনরায় লটারিতে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। পুনরায় লটারি করা নিয়ম বহির্ভূত। অভিযোগকারী নুরুল আমিন ইয়াদ বলেন, আমি সকল নিয়ম কানুন মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিকিউরিটি ও পে-অর্ডার দিয়ে টেন্ডার দাখিল করেছি। লটারিতে আমি প্রথম হই। আমার টেন্ডারে কোন ত্রুটি ছিল না। কিন্তু আমার ক্ষতি করতে কিছু ঠিকাদারের কাছে ম্যানেজ হয়ে পিআইও পুনরায় লটারি করেছেন। কিছু ঠিকাদারের পর্যাপ্ত টেন্ডার সিকিউরিটি না থাকার কারণে দ্বিতীয়বার লটারি দেওয়া আইনগতভাবে সিদ্ধ নয়।

    তার বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহিরুল ইসলামকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, টেন্ডারের জন্য জমাদানকৃত কাগজপত্র ও ব্যাংক ডিপোজিট যাচাই বাছাই না করেই লটারি করে পিআইও কার্যালয় নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। প্রথম লটারির পর বিষয়টি জানতে পেরেই পিআইওর কাছ থেকে মৌখিকভাবে জবাব চেয়েছি। কোন রকম অনিয়ম যেন না হয় সেজন্য ঠিকাদারদের উপস্থিতিতেই দ্বিতীয়বার লটারি করা হয়েছে।

    পিআইও কার্যালয়ের অনিয়মের বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে তারাই ব্যবস্থা নেবেন। তবে পুনরায় লটারি করার অনিয়ম নয়।

  • দাঁড়িয়ে উচু ব্রীজ সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ চরমে।

    দাঁড়িয়ে উচু ব্রীজ সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ চরমে।

    সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নে এরান্দহ পাড়া রশিদ মাষ্টারের বাড়ি হতে পশ্চিমদিকে তিনান্দিনা যাওয়ার নতুন রাস্তা এরান্দহ-বোয়ালিয়া বিলের মধ্যে মানুষের চলাচলের আঞ্চলিক সড়কের উপর নির্মান করা হয়েছে ব্রীজ। কিন্তু দু’পাশে নামমাত্র মাটি দিলেও বন্যার পানিতে ভেঙে যায়। এতে চলাচলে দুর্ভোগ চরমে।

    এ কারণে ব্রিজটির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা জনসাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই।ব্রিজ হলেও ব্রিজের দু’পাশে মাটি না থাকায় ভোগান্তির শিকার এলাকা বাসী। প্রায় ১০-১১ বছর আগে নির্মান করেছে ব্রিজটি। কিন্তু নির্মান করলেও যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই। নামমাত্র ব্রিজ কিন্তু উপকারে আসে না।

    সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজটির দু’পাশে প্রায় ৬ ফুট উচু সংযোগ সড়কের দুই পাশে মাটি নেই। এ জন্য ব্রীজটি ব্যাবহৃত হচ্ছে না। ব্রীজের নিচ দিয়ে পা রাস্তায় চলাচল করছে পথচারীরা।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘ্য দিন ধরে এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছি এলাকার জনসাধারন।এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন আমরা ইউনিয়নের সুযোগ সুবিধা ও সকল সেবা থেকে থেকে বঞ্চিত ।

    আমাদের ইউনিয়নে কোন জরুরী কাজ থাকলে তা আমরা দ্রæত সেখানে যেতে পারি না রাস্তার অভাবে। আমাদের এখানে ব্রিজ দিয়েছে কিন্তু চলাচল করার জন্য কোন রাস্তা নেই নামমাত্র ব্রিজ দিয়ে রেখেছে আমাদের কোন উপকারে আসেনা।

    তিন নান্দিনার রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে এখানে ব্রিজ। করেছে কিন্তু ব্রীজের দুপাশে রাস্তা না থাকায় ব্রীজটি কোন উপকারে আসছে না। এমনিতেই দু’পাশে মাটি নেই, তার ওপর বন্যার পানির স্্েরাতে দু’পাশে ব্যাপক গর্ত হওয়ায় ব্রিজটি চলাচলে অকেজো হয়ে পড়েছে। তাই এমন জায়গায় ব্রিজ হওয়া যৌক্তিকতাই তারা ভেবে পায় না।

    এসময় তিনি আরো বলেন, তিননান্দিনা ও রামপুরা গ্রামটি নদীবেষ্টিত গ্রাম। এলাকায় জনগনের আবাদি শস্য, ভারি মালামাল হাট-বাজারে নিতে নদী পারাপার হয়ে যেতে একদিকে সময় অপচয় অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। আমাদের যদি কোন জরুরী রোগী জেলা সদর ও ক্লিনিকে নিতে হয় তাহলে আমাদের খেয়া নৌকার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তাই নতুন রাস্তা করে খালের মধ্যে ব্রিজটি নির্মান হলেও দু’পাশে মাটি না থাকায় চরম কষ্টে যাতায়াত করতে হয়। এক কথায় আমাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। এই ভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি চাই।

    এবিষয়ে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ২০১১ সালে ব্রীজটি নির্মান করা হয়েছিলো দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য। ব্রীজটি নির্মান হলেও ব্রীজের দুপাশে রাস্তা করা সম্ভব হয়নি। রাস্তা না হওয়ায় ব্রীজটি অকেজো হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। আমার ইচ্ছা আছে ব্রীজের দুপাশে রাস্তা নির্মান করা যদি উপজেলা থেকে বাজেট পাই তাহলে ব্রীজের দুপাশে রাস্তা নির্মান করবো ।

    এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তার মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভূমি কর্মকর্তার মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আব্দুস ছালাম (৪৮) নামে এক উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মৃত্যু বরন করেছে ।

    সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার সময় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    জানা গেছে, গত রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া গ্রামের মজিবুর রহমান খদগীরের ছেলে আব্দুল সালাম মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে পৌর ভূমি অফিসে যাচ্ছিলেন। পথে শ্যামলীপাড়ার মাছের আড়ৎ এলাকায় ঢাকাগামী সি-লাইন পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়।

    পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত আব্দুস সালামকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এখানে সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আব্দুস সালাম উল্লাপাড়া পৌর ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক দুর্ঘটনায় আব্দুস সালামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনার পর নিহতের পরিবার থেকে সি-লাইন বাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।

  • রামগঞ্জে সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ)এর কোটি টাকার সম্পত্তি দখল।

    রামগঞ্জে সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ)এর কোটি টাকার সম্পত্তি দখল।

    লক্ষীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরে রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সড়কের সোনালী ব্যাংকের পূর্বপাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ)এর কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে আধা পাকা ইমারত।এর আগে ইমারত নির্মানবন্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।নিষেধাঞ্জা উপেক্ষা করে ইমারত নির্মান করার সর্বোস্থরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

    স্থানীয় সুত্রে জানায়,সোনালী ব্যাংকের পুর্বে জনপথ বিভাগের সম্পত্তিতে মাটি ভরাট করার সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ বন্ধ রাখতে নিষেধাঞ্জা জারী করে। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় মাহমুদ টাইলস’এর মালিক মাহমুদ মির্জা ওই স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ অব্যাহ রাখে।

    এই ব্যাপারে মাহমুদ টাইলসের মালিক মো. মাহমুদ মির্জা জানান-আমি পৌরসভার সাতারপাড়ার মৃত পিংকু মিয়ার ছেলে মোঃ ফরিদের নিকট থেকে সম্পত্তি ক্রয় কওে ব্যবসা করার জন্য ইমারত নির্মান করেছি।

    এই বিষয়ে মন্তব্য সংগ্রহের জন্য রামগঞ্জস্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসে কয়েকবা গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।

  • ওসমানীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২।

    ওসমানীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২।

    ওসমানীনগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

    ওসমানীনগর প্রতিনিধি
    সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার দয়ামীর ও ব্রাম্মণগ্রাম এলাকায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনা দুটি ঘটে। দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুইজন নিতহ হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্দার করে মর্গে প্রেরণ করে।

    জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার দয়ামীর-গহরপুর রোডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন থানাগাঁও কোনাবন গ্রামের রায়হান আহমেদ নামের এক যুবক। একই রাতেআনুমানিক ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাম্মনগ্রাম ও শশারকান্দি এলাকার ভাঙ্গা পুল নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক আখতার মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন।

    তিনি উপজেলার মোতিয়ারগাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।পৃথক সড়কদূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নবী হেসেন।