Tag: সীমান্ত

  • আমি চাল চোর নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে বললেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।

    আমি চাল চোর নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে বললেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ‘আমি চাল চোর নই, আমি চাল চুরি করিনি। তবুও এই মামলার দায়ে আমাকে নৌকার প্রতীক হারাতে হলো’। অশ্রুসিক্ত নয়নে সমর্থকদের উদ্দেশ্য নিজের ভাবনা তুলে ধরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলোরহাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।
    বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢোলোরহাট বাজারে সমর্থকদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন সীমান্ত। এসময় তিনি কেঁদেছেন, সেই সাথে কাঁদিয়েছেন উপস্থিত হাজারো সমর্থকদের।
    আসন্ন ২৬ তারিখের নির্বাচনকে ঘিরে বেশ জলঘোলা হয়েছে ঢোলোরহাট ইউনিয়নে। এই ইউনিয়ন থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান সীমান্তকে প্রথমে নৌকা মার্কার প্রতীক দেয় আওয়ামী লীগ। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেরদিন দুদকের করা চাল আত্মসাতের মামলার দায়ে তার নৌকা প্রতীক পরিবর্তন করা হয়। দেওয়া হয় স্কুল শিক্ষক অখিল চন্দ্র রায়কে।
    এর দুইদিন পরেই গত ৩০ নভেম্বর চাল আত্মসাতের মামলায় দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ আদালত মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় তাকে। কিন্তু নৌকার মনোনয়ন আর ফেরত পাননি তিনি। এ অবস্থায় সীমান্ত কুমার বর্মন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। মটর সাইকেল প্রতীকে প্রচারণাও শুরু করেন তিনি।
    ঢোলোরহাট বাজারে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ। ঢোলোরহাট বাজারে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।
    এদিকে নৌকার মনোনয়ন পেলেও নির্বাচন কমিশন থেকে ঋনখেলাপীর দায়ে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় অখিল চন্দ্রের। আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে না পাওয়ায় পরে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। এতে করে হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পায় অখিল। এরপর সীমান্ত কুমার রায়কে দলীয়ভাবে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ানোর চাপ দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ না থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ান সিমান্ত কুমার বর্মন।
    সমর্থকদের মাঝে নির্বাচনী ভাবনা অবগত করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একজন স্কুল শিক্ষক এবং সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও ২০১৬ সালে ভোট দিয়ে আপনারা আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।এই ঢোলারহাট ইউনিয়নের কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তির চক্রান্তে চাল আত্মসাৎ এর মামলা হয় আমার নামে। মামলা করার পেছনে অনেক কারণও রয়েছে, সেদিকে আমি আর বলছিনা। সেই মামলায় আমি ৪৭ দিন জেলে হাজতে ছিলাম। জেল হাজতে আমি অনেক কষ্টে ছিলাম। পরে, আমি উচ্চ আদালত হতে জামিনে মুক্ত হই ।
    তিনি বলেন, আমি নির্দোষ বলেই আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাই। আমাকে দেওয়া নৌকা মার্কা পরিবর্তন করে পরে অখিল চন্দ্র রায়কে দিলেও আমার কোন দুঃখ নেই। আপনারা আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি চেয়ারম্যান না থাকলেও আপনাদের সুখে দুখে পাশে আছি, ছিলাম,থাকব।
    তিনি অশ্রুসজল কণ্ঠে আরও বলেন,আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনাদের ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছিলাম। আজ নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করতে পারছি না। দলের শৃঙ্খলা মাথা পেতে নিয়ে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ালাম। এ সময় শতশত কর্মী সমর্থক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
  • কানাইঘাট সীমান্তে চোরাচালন কঠোর হস্তে প্রতিরোধে প্রশাসনের বিশেষ সভা।

    কানাইঘাট সীমান্তে চোরাচালন কঠোর হস্তে প্রতিরোধে প্রশাসনের বিশেষ সভা।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তবর্তী এলাকায় কঠোর হস্তে চোরাচালান প্রতিরোধ করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বিশেষ সভা ৩ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১২ টার সময় উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়, বিজিবি কর্মকর্তা থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক,ব্যবসায়ী সমিতি ও পরিবহণ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জী ও উপজেলা সহকারী কমিশনানর (ভূমি) মুনমুৃন নাহার আশা বলেন, সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে মটরশুটি পাচার ও ভারত থেকে অবৈধ ভাবে চোরাকারবারী কর্তৃক মাদক দ্রব্য সহ নাসির বিড়ি, ইয়াবা ইত্যাদি মালামাল যাতে করে আসতে না পারে এজন্য স্থানীয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

    এখন থেকে প্রশাসন সীমান্ত এলাকায় সব ধরণের  চোরাচালন প্রতিরোধে প্রয়োজনে চোরাকারবারী ও অবৈধ ভাবে যারা হাট বাজারে,বাসা বাড়িতে মটরশুটি গুদাম জাত করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন আনুগ ব্যাবস্থা মোবাইল কোর্ট সহ জেল জরিমানা করা হবে। এক্ষেত্রে বিজিপি ও থানা পুলিশকে আরো কঠোর হতে হবে।

    সীমান্ত এলাকায় মটরশুটি পাচার বন্ধে টহল জোরদারের পাশাপশি চেকপোস্ট পরিচালনা করতে হবে।

    নিবার্হী কর্মকর্তা চোরাচালান প্রতিরোধে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য জনপ্রতিনিধি,বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও পরিবহণ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, যাতে বাজারে মটরশুটি মজুদ, ভারতে পাচার ও চোরাচালানের মালামাল পরিবহণে কোন ধরণের যানবাহন ব্যবহার না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান করেন।

    চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ এ সভায়, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ব্যাবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ,পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, চোরাচালান প্রতিরোধে প্রশাসনকে সবার্ত্বক সহযোগিতার আশাস্ব প্রদান করেনর।

    বাজারে মটশুটি মজুদকারী এবং কোন যানাবাহন চোরাচালানের মালামাল ও মটরশুটি বহন করলে তাদের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে তারা সহযোগিতা করবেন। সভায় সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া চোরাচালান প্রতিরোধে চিহ্নিত চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করলে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে অনেকেই অভিমত ব্যাক্ত করেন।

    বিশেষ এই সভায় উস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির চেয়ারম্যান ডাক্তার ফয়াজ উদ্দিন,লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির চেয়ারম্যান জেমস লিও ফারগুসন নানকা, বড় চতুল ইউপির চেয়ারম্যান মাও: আবুল হোসাইন চতুলী, সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কামান্ডার নজরুল ইসলাম, আটগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মাজেদ আলী, কানাইঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার রনজিত দাস, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন,কানাইঘাট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন, চতুল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম রুবেল, সুরইঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলেমান আহমদ, কানাইঘাট দক্ষিণ বাজার আটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জুনেদ হাসান জীবান, চতুল বাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি মো: আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুর রহমান সহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • কানাইঘাটে সুরইঘাট সীমান্তে ভারতে পাচার হচ্ছে মটরশুটি আসছে মাদক।

    কানাইঘাটে সুরইঘাট সীমান্তে ভারতে পাচার হচ্ছে মটরশুটি আসছে মাদক।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃসিলেটের কানাইঘাট-সুরইঘাট সীমান্ত এলাকার কয়েকটি পয়েন্ট ও চতুল লালাখাল সড়ক দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতের প্রতিদিন পাচার করা হচ্ছে শত শত বস্তা মটরশুটি ও মটর ডাল। আর ভারত থেকে আসছে চিনি, পাতার বিড়ি, মাদক দ্রব্য,সিগারেট, চা পাতা, মোবাইল সেট সহ ইলেকট্রনিক্স ও প্রসাধনী পণ্য সামগ্রী।

    জানা যায় বিগত মাসের উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা ও চোরা চালান প্রতিরোধ কমিটির সভায় অনেকে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে ভারতে মটর শুটি ও মটর ডাল পাচারের বিষয়টি তুলে ধরে আলোচনা করেন এবং বিজিবি কেন এ ব্যাপারে কঠোর হচ্ছেনা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    সভায় উপস্থিত বিজিবির কর্মকর্তাদের সীমান্ত এলাকায় চোরা চালান প্রতিরোধ সহ মটর শুটি ও মটর ডাল পাচার বন্ধে জিরো টলারেন্সের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জী। এ নিয়ে তিনি কথা বলেন বিজিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে।

    সীমান্ত এলাকার অনেকে সহ স্থানীয় সচেতন মহল জানিয়েছেন প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে ও রাতের বেলায় প্রতিদিন শত শত বস্তা মটর শুটি সুরইঘাট সীমান্ত এলাকার বাদশা বাজার দিয়ে সোনাতনপুঞ্জি ও বড়বন্দ বাজারের আহমদিয়া মাদ্রাসা সড়ক দিয়ে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রকাশ্যে চোরা কারবারীরা ভারতে পাচার করছে মটর শুটি ও মটর ডাল। কিন্তু নেওয়া হচ্ছে না কোন ধরনের বাস্তব পদক্ষেপ। সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় টহল দেওয়ার পরও চোরা চালানি তৎপরতা কমছেনা বরং বেড়েছে বলে অনেকে জানিয়েছেন।

    তবে সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ক্যাম্প কমান্ডার দাবি করে স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন তারা প্রতিদিন মটর শুটি ও মটর ডাল ভারতে পাচার কালে আটক করছেন। বিগত ও চলতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার মটরশুটি আটক করা হয়েছে। অনেক অটোরিক্সা (সিএনজি) ও মটর শুটি বহনের পিক আপ আটক করার পাশাপাশি ভারত থকে চোরাই পথে আসা নাছির বিড়ি মাদকদ্রব্য তারা ধরছেন।

    সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা দুর্গম ও বড় হওয়ার কারনে বিজিবির সদস্যরা কঠোর পরিশ্রম করলেও অনেক সময় চোরা চালান নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমছিম খাচ্ছেন তারা। ভারতে মটর শুটি ও মটর ডাল পাচার বন্ধে বিজিবির টহল আরো বাড়ানো হয়েছে বলে এ বিজিবি কর্মকর্তা জানান। একাধিক সূত্রে জানা গেছে মটর শুটি ও মটর ডাল ভারতে পাচারের ব্যবসার সাথে অনেক প্রভাবশালী ব্যাক্তি ও চোরাকারবারি চক্র জড়িত রয়েছেন।

    অনুসন্ধানে দেখা গেছে কানাইঘাট বাজার ও চতুল বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী ও আরো অনেকে অবৈধ ভাবে গডাউনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে মটর শুটি ও মটর ডাল মজুদ করে ব্যবসা করছেন।

    প্রসাশনের পক্ষ থেকে মটর শুটি ও মটর ডাল মজুদ কারীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

    চোরা কারবারিরা কানাইঘাট বাজার ও চতুল বাজার থেকে মটর শুটি ও মটর ডাল কিনে টাটা পিকআপ গাড়ি ও অটোরিক্সা (সিএনজি) এবং সীমান্ত এলাকায় ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চতুল বড়বন্দ সড়ক ও সুরইঘাট সড়ক দিয়ে মটর শুটি ও মটর ডাল বহন করে সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়ে যায়। পরে পাঁচশত টাকা মজুরী নিয়ে প্রতি বস্তা মটর শুটি ও মটর ডাল এলাকার অনেক শ্রমিক চোরা কারবারিদের কথামতো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে দেয়।

    প্রকাশ্যে চোরা চালান হলেও এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিজিবি বা স্থানীয় প্রসাশন কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে চোরা কারবারিরা ভারতে প্রতিদিন শত শত বস্তা মটর শুটি ও মটর ডাল যেমন পাচার করছে অপর দিকে ভারত থেক নিয়ে আসছে উল্লেখিত জিনিসপত্র।

    এছাড়াও চতুল বাজার থেকে চোরা কারবারীরা মটর শুটি কিনে পার্শ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার করে থাকে। জানা গেছে ভাতের মেঘালয়,আসাম সহ কয়েকটি রাজ্যে মটরশুটি ও মটর ডালের বেপক চাহিদা থাকায় সেখানকার অনেক বড় বড় ব্যবসায়ীরা ভারতীয় খাসিয়াদের মাধ্যমে চোরা কারবারিদের কাছ থেকে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে মটরশুটি ও মটর ডাল কিনে নিচ্ছে। ভারতে পাচারকৃত মটর শুটি ও মটর ডাল দিয়ে সেখানে গরু ও ঘোড়ার খাবারের পাশাপাশি মদ তৈরিতে মটর শুটি ব্যবহার করা হয় বলে জানা গেছে।

    সচেতন মহল জানিয়েছেন বৈধ ভাবে তামাবিল সহ সিলেটের অন্যান্য স্থল বন্দর দিয়ে ভারতের মেঘালয় সহ বিভিন্ন রাজ্যে মটর শুটি ও মটর ডাল রপ্তানি করলে সরকার বড় ধরনের রাজস্ব আদায় করতে পারবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জী জানান কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরা চালানি তৎপরতা বন্ধে বিজিবিকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    মটর শুটি ও মটর ডাল ভারতে পাচার যেনো না হয় এজন্য বিজিবির সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বার বার কথা হচ্ছে। অবৈধ ভাবে মটর শুটি ও মটর ডাল হাটবাজার বা বাসা-বাড়িতে মজুদ করার সংবাদ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

  • সিলেট সুরইঘাট সীমান্তে পরিত্যক্ত গুলি ও পাইপগান উদ্ধার।

    সিলেট সুরইঘাট সীমান্তে পরিত্যক্ত গুলি ও পাইপগান উদ্ধার।

    মিজানুর রহমান,কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে পরিতাক্ত্য অবস্থায় বর্ডারগার্ড বিজিবি’র সদস্যরা ৫ রাউন্ড গুলিসহ ভারতীয় একনালা পাইপ গান বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।

    সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা যায় গত সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় সীমান্তের ১৩০৯নং মেইন পিলারের পাশে ক্যাম্প কামান্ডার সুবেদার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    এ সময় সীমান্তের গঙ্গার জোম নামক স্থান থেকে পরিতাক্ত্য অবস্থায় ৫ রাউন্ড গুলি সহ ভারতের তৈরি এক নালা পাইপ গান বন্দুকটি উদ্ধার করেন বিজিবি সদস্যরা। গত কাল মঙ্গলবার ২১সেপ্টেম্বর জিডি মূলে পাইপ গানটি কানাইঘাট থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।

    সুরইঘাট বিজিবি ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা বলেন,সীমান্ত এলাকায় টহলের পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। গত ১ মাসে সুরইঘাট ক্যাম্পের অধিনস্থ সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পাচারের সময় লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের বাংলাদেশি মটরশুটি ও ভারত থেকে অবৈধ ভাবে আসা নাছির বিড়ি সহ বিপুল পরিমানের মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছে বিজিবি’র সদস্যরা। বর্তমানে সুরইঘাট সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির কড়া নজর থাকার কারণে সবধরনের চোরাচালান কর্মকান্ড একেবারে কমে গেছে।

  • রৌমারী দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত।

    রৌমারী দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত।

    কুড়িগ্রামের রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে শহিবর রহমান(৪০)নামের এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছে। নিহত শহিবর রহমান কাউনিয়ার ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রামের এরাজ আলীর ছেলে।সে কাউনিয়ার চরে শ্বশুর বাড়িতে ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করতো।

    শনিবার রাত ১ টার সময় উপজেলার কাউনিয়ার চর গ্রামের ১০৫৪ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার এলাকায় বিএসএফ’র গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা গেছে।

    কুড়িগ্রাম-৩৫ বিজিবি’র জিএস আইসি’র সহকারি হাবিলদার মুকিত গণমাধ্যমকে জানান শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় ১০৫৪ সীমান্ত পিলার এলাকায় বুলেটের শব্দ পেয়ে দাঁতভাঙ্গা সীমান্তর বিজিবি’র টহলদল ঘটনাস্থল পর্যাবেক্ষণে সেখানে যায়। ওখানে কাউকে না পেয়ে চলে আসার সময় স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন শহিবর রহমান নামের যুবক ওই সীমান্ত এলাকায় গেছে।রাত ১ টার সময় মারা যাওয়ার খবর স্থানীয়রা রৌমারী থানা পুলিশকে জানায়।তবে গুলির বিষয়টি বিজিবি নিশ্চিত করেননি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গভীর রাতে ভারতের দ্বীপচর এলাকায় গরু পাচারের সময় বিএসএফ’র গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়।নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়েছে।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাছির বিল্লাহ জানান ধারনা করা হচ্ছে বিএসএফ’র গুলিতে ওই যুবক নিহত হয়েছে।লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

  • লালমনিরহাট সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু।

    লালমনিরহাট সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু।

    লালমনিরহাট সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ’র গুলিতে গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু।

    মঙ্গলবার ২৯ জুন ভোরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ৩ নং ওয়ার্ড কানিরবাড়ী সীমান্তের মেইন পিলার নম্বর ৮৬২ এলাকায় বিএসএফ’র গুলিতে ঘটনাস্থলে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    নিহত ওই যুবকের নাম রিফাত হোসেন (৩২)। পিতার নাম ইসলাম হোসেন।বাড়ী একই ইউনিয়নের মুন্সিরহাট নাজিরগোমানী।গরু ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রিফাতের লাশ ভারতীয় বিএসএফ টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গেছে।

    রংপুর ৬১ বিজিবি’র শমসের নগর বিওপি’র কমান্ডার বেলাল হোসেন প্রতিবাদ জানিয়ে পত্র পাঠিয়েছেন।

    এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।