Tag: সম্মেলন

  • রাণীশংকৈলে সরকারি রাস্তা জবর দখল করায় সাংবাদিক সম্মেলন।

    রাণীশংকৈলে সরকারি রাস্তা জবর দখল করায় সাংবাদিক সম্মেলন।

     ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ২নং নেকমরদ ইউনিয়নের গন্ডগ্রাম আমপাথারী নামক গ্রামে আবু হানিফের ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব ইব্রাহীম আলীর সভাপতিত্বে গত ৪মার্চ সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে অভিযোগ পাঠ করে শুনান স্কুল শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।

    প্রকাশ থাকে যে, একই গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক , আব্দুল মোমিন, ও জুলকার নাইনসহ  সম্মিলিত ভাবে সরকারি ১নং খাস খতিয়ান ভুক্ত ৮শতাংশ জমি রাস্তা সম্পূর্ণ রুপে বেড়া দিয়ে জবর দখলে করে রেখেছে।

    উলেখ্য যে, ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীরা মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাঁহ মাঠে আসা যাওয়া করতো।

    এ ব্যাপারে রাস্তা উদ্ধারের জন্য ১২১জন গ্রামবাসীর গনস্বাক্ষরে নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে রাস্তা উদ্ধারে লাল নিশান ও সিমানা পিলার দিয়েছেন।

    জবর দখলকারীরা রাস্তা ছেড়ে দিচ্ছি দিব বলে কালক্ষেপণ করেই চলেছেন। জবরদখলকারীরা মসজিদ, মাদ্রাসা ও ঈদগাঁহ এী মুসল্লিদের উপর মিথ্যা মামলা করার হুমকি প্রদান করছে।

    এ প্রসঙ্গে  ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, সরকারি রাস্তা আমরা বের করবো, তাদের নিজস্ব যে জমিজমা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য ৫ জন সার্ভেয়ার মাপ যোগ করেছে। কিন্তু আব্দুল মোমিনের লোকজন তা মেনে না নেওয়ায় বিষয়টি ঝুঁলে রয়েছে।

    এব্যপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ আমি পেয়েছি, তাদের দুইপক্ষের মধ্যে একটি ঝামেলা রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • দেওয়ানগঞ্জে অপহৃত কলেজ ছাত্রী দিশা’কে ফিরে চায় তার পরিবার।

    দেওয়ানগঞ্জে অপহৃত কলেজ ছাত্রী দিশা’কে ফিরে চায় তার পরিবার।

    ফরিদুল ইসলাম,দেওয়ানগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কাঠারবিল এলাকায় দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার।
    উপজেলার হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের মেয়ে কলেজ ছাত্রী দিশা আক্তারের সন্ধান চেয়ে ও অপহরণকারী সিফাতের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের কাঁঠারবিল ভিকটিম পরিবারের নীজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় বক্তারা বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি দিশা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে গেলে একই গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র সিফাত তার কয়েকজন বন্ধুসহ জোরপূর্বক কিশোরী দিশাকে তুলে নিয়ে যায়।
    এ বিষয়ে দিশার পরিবার দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কলেজ ছাত্রী দিশাকে ফিরে পেতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী।
  • ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে লংগদুতে ইউপি সদস্য’র সংবাদ সম্মেলন।

    ফেসবুকে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে লংগদুতে ইউপি সদস্য’র সংবাদ সম্মেলন।

    রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে চাচা এবং ফুফাকে মারধর করেছে বলে ফেসবুকে একে আজাদ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ১০টার সময় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন ও তার পরিবার।
    সোশ্যাল মিডয়াতে মিথ্যা প্রচারের ফলে আব্দুল মতিন মেম্বার ও মতিন মেম্বারের ইউনিয়ন পরিষদের মানহানি হয় বলে  দাবী করেন আব্দুল মতিন।মতিন মেম্বার জানান,  আমার ফুফা মোশারফ আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি নিজের নামে কাগজ করে সাক্ষর নিতে আমাদের বাড়িতে আসে,পরে যখন আমি কাগজ পড়ে বুঝতে পারি এইসব জালিয়াতি কাগজ তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করি যে আমাদের বর্তমান বসতবাড়ি আপনারা লিখে নিচ্ছেন এই কাগজে আমরা কেন সাক্ষর করবো।
    এ কথা জানতে চাইলে আমার ফুফা মোশারফ তিনি লজ্জিত হয়ে তিনি এখান থেকে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়,চলে যাওয়ার পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি তারা হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আমাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করে।এছাড়াও এখান থেকে গিয়ে তার ছেলে এবং তারা আমার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একে আজাদ নামে আইডিতে মিথ্যা বানোয়াট প্রপাকান্ড ছড়ানোর মাধ্যমে আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান হানিকর প্রচারনা চালায়। যা আমার মান সম্মানে ব্যাপক আগাত লেগেছে। আমি এহেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আগামী রবিবার সমাধার জন্য বসার সময় নির্ধারণ করবে, সেটা হলো জমিজমা নিয়ে মিমাংসার বিষয়। আজ সংবাদিক সম্মেলন হচ্ছে ফেসবুকে আমার এবং আমার পরিবারকে নিয়ে যে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে তার প্রতিবাদ এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে।
  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহেশখালী উত্তর শাখার সম্মেলন।

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহেশখালী উত্তর শাখার সম্মেলন।

    মহেশখালী প্রতিনিধিঃ

    ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহেশখালী উত্তর শাখার সভাপতি ইয়াহয়া সাঈীদ এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা শফিউল আলমের সঞ্চালনায় দ্বি-বার্ষিক থানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার দুপুর ২ টায় এই এবি মিলনায়তন উত্তর ঝাপুয়া সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার শাখার সেক্রেটারি এ, আর এম ফরিদুল আলম।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহেশখালী শাখার প্রধান উপদেষ্টা -মাওলানা ইসমাঈল নজিব সাহেব।

    প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, আজ দেশের সাধারণ নাগরিক সরকারের কাছে জিম্মি। সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করা হচ্ছে। এবং যারা নতুন নেতৃত্বে আসবেন তারা আগামীর নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এবং সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ; স্বাধীনতা অর্জনের মূল প্রতিপাদ্য ছিলো সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা।

    তিনি আরো বলেন মরহুম পীর সাহেব চরমোনাই যখন চট্টগ্রাম আসেন তিনি প্রশ্ন করেছিলেন বলেছিলেন আপনার মৃত্যুর পর কি সংগঠন থাকবে, উত্তরে মরহুম পীর সাহেব (রহ) বলেন এই সংগঠন যদি রবের কাছে কবুল হয় অবশ্যই থাকবে আর যদি কবুল না হয় সংগঠন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
    দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২১-২২ সেশনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২০২৩-২৪ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    এতে সভাপতি মাওলানা ইয়াহয়া সাঈদ , সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ফয়জুল্লাহ সাকি ও সেক্রেটারি মাওলানা সাহাব উদ্দিন সাহেব।

    সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক মাওলানা শফিউল আলম ও মহেশখালী উত্তর শাখার যুব আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ ইব্রাহিম , ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার সহ সভাপতি ইমরানুল হক, ওলামা আইম্মা পরিষদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সহ থানার থানার বিভিন্ন দায়িত্বশীলবৃন্দু,।

    ইসলামি শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ  মহেশখালী শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম , ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ মহেশখালী শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাঈন উদ্দিন , ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ পটিয়া সাংগঠনিক জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এইচ এম আহমদ শোয়াইব, মহেশখালী উত্তরের সভাপতি করিম উল্লাহ সহ প্রমুখ।

  • উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপে উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কৃষকগঞ্জ বাজারে সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

    সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তরুণ নেতা মোঃ মোবারক হোসেন এবং অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান আশিক সরকার।

    সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লিটন হোসেন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল কাদের রুমি।

    সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল।

    এ সময় অন্যানোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পনির খাঁন, আ’লীগ নেতা মোঃ শরিফুল ইসলাম লিটন ও সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান স্বপন প্রমুখ।

    সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠনিক কাঠামোকে আরো শক্তিশালী ও সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীকে আবারও ভোট দেওয়ার আহবান জানান বক্তারা। তারা আরও বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদী জামায়াত-বিএনপি’র বিরুদ্ধে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় এনে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে হবে আমাদের মাতৃভূমিকে।

    সম্মেলনে সভাপতি পদে ৪ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন প্রার্থী পতিদ্বন্দ্বিতা করে। উভয় পদে সমম্বয় না হওয়ার কারণে আগামী ৩ দিনের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটি ঘোষণা দিবেন বলে সম্মেলনের সমাপ্ত ঘোষণা করেন।

  • ৯ বছর অপেক্ষার পর হরিপুরে আ.লীগের সম্মেলন, তবুও সংশয় !

    ৯ বছর অপেক্ষার পর হরিপুরে আ.লীগের সম্মেলন, তবুও সংশয় !

    ৯ বছর অপেক্ষার পর হরিপুরে আ.লীগের সম্মেলন, তবুও সংশয় !


    আজ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সর্বশেষ ২০১৩ সালে সম্মেলন হয়েছিলো। প্রতি তিন বছর পর সম্মেলন করার কথা থাকলেও নানা টানাপোড়েনে গত নয় বছরেও সেই সম্মেলনটি হয়নি।

    অবশেষে আজ সোমবার (১৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে বহু আকাঙিক্ষত এ সম্মেলনকে ঘিরে প্রার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে  টানটান উত্তেজনা। দলীয় সূত্রে জানা যায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মোট ২৬১ জন কাউন্সিলর থাকবেন। তাদের মাধ্যমিক হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে।

    উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে তিনজন আর সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা সংখ্যা তিন জন। পদ প্রত্যাশীদের অনুসারী ও শুভাকাঙ্খিরা পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় সরব রয়েছেন।

    উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনে সভাপতি পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউর হাসান মুকুল, সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শামীম ফেরদৌস টগর ও আবুল কাইয়ুমকে নিয়ে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো।

    সাধারণ সম্পাদক পদে পদ প্রত্যাশীরা হলেন, উপজেলা আ.লীগের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এস এম আলমগীর, জেলা আ.লীগের সদস্য ও উপজেলা আলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমেদ মানিক, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রিপন।

    হরিপুর উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নগেন কুমার পাল এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন, সাবেক মন্ত্রী ও আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঠাকুরগাঁও এক আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক।

    সম্মেলনটি উদ্বোধন করবেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি মো: সাদেক কুরাইশী। গেস্ট অব অনার হিসেবে থাকবেন, ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, আলহাজ্ব মো: দবিরুল ইসলাম এমপি, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি অ্যাড্‌ভোকেট্‌ সফুরা বেগম রুমি, বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড্‌ভোকেট্‌ হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।

    সভাপতি পদ প্রত্যাশী জিয়াউর হাসান মুকুল বলেন, দীর্ঘ দিন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলের যেকোন দুঃসময়ে ছিলাম এবং আমৃত্যু থাকবো। যদি তৃনমূলের নেতাকর্মীরা মনে করে আমি থাকলে উপজেলা আ.লীগের জন্য মঙ্গলজনক হবে তাহলে আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী আনোয়ারুল ইসলাম রিপন বলেন, তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সাথে আমার সম্পর্কও ভালো। জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের সাথে সবসময় আমার অবস্থান সু-দৃঢ় ছিলো, আশা করছি কাউন্সিলররা আমাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবে।

    আরেক সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী এস এম আলমগীর বলেন, আমি সবসময় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজনীতি করেছি। দলের এবং নেতাকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। সরাসরি ভোটে আমি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমেদ মানিক বলেন, আমি দীর্ঘসময় যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি তাই অগ্রাধীকার ভিত্তিতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব আমি পাওয়ার কথা। এখন কাউন্সিলররা আশা করি আমাকে সেভাবে মুল্যায়ন করবে।

    আ.লীগের নেতা কর্মীরা জানান, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে গত ৯ বছরে ধরে দলের সম্মেলন হয়নি। এতে দল ঝিমিয়ে পড়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্মেলনটি হবে কি না, তা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই রয়েছে সংশয়।

    তবে কাউন্সিলে দলীয় আদর্শে বিশ্বাসী ত্যাগী আর নিবেদিতদের স্থান দিতে আহবান জানিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত করা হতে পারে এমন ধারণা সকলের।

    ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি মো: সাদেক কুরাইশী বলেন, সব ঠিক থাকলে আজ সম্মেলনের মাধ্যমে হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে কারা কারা প্রার্থী হচ্ছেন এটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

  • ওলামা সম্মেলনে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, আইম্মা পরিষদের দাবী ও কর্মসূচি।

    ওলামা সম্মেলনে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, আইম্মা পরিষদের দাবী ও কর্মসূচি।

    ওলামা সম্মেলনে বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন, আইম্মা পরিষদের দাবী ও কর্মসূচি।


    কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে বানোয়াট শ্বেতপত্র এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক ওলামা সম্মেলন আয়োজনে প্রশাসনিক বাঁধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
    .
    আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসুলিহিল করীম, আম্মাবাদ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
    অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

    আপনারা জানেন, গত ১২ মার্চ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কর্তৃক গঠিত কথিত গণকমিশন একটি শ্বেতপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেছে। ১২ মে সেই শ্বেতপত্রের ভিত্তিতে দুদকে তারা নালিশও করেছে। ঘাদানিকের সেই শ্বেতপত্রে ভিত্তিহীন, বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যাচার করা হয়েছে। ভুল তথ্য ও ব্যাখ্যা হাজির করা হয়েছে। ইতিহাসের বিকৃতি করা হয়েছে। দেশের সম্মানিত নাগরিকদের মানহানি করা হয়েছে। দেশের কোটি মানুষের চর্চিত আচারকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। স্বভাবতই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

    একই সাথে যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে, তাদের অধিকার রয়েছে সেই মিথ্যাচারের জবাব দেওয়ার।
    জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ওলামাদের সম্মিলিত মঞ্চ হিসেবে এই মিথ্যাচারের জবাব দেওয়ার লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে। আমরা গত ১৬ মে সংবাদ সম্মেলন করে শ্বেতপত্রের আইনী ও নৈতিক ভিত্তিহীনতা তুলে ধরেছি। গত ২৮ মে নাগরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে নাগরিক বিশ্লেষণ জাতির সামনে তুলে ধরেছি। সর্র্বশেষ শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা ওলামাদের মুখ থেকে উত্থাপিত মিথ্যাচারের উত্তর জাতির সামনে তুলে ধরতে আজকে ওলামা সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল।
    জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ শ্বেতপত্রে উল্লেখিত আলেমদের মধ্যে যারা কারাবন্দি নয় এমন সকল আলেমের সাথে সমন্বয় করেছে এবং তারা সকলে এই সম্মেলনে উপস্থিত থেকে শ্বেতপত্রের মিথ্যাচারের উত্তর দিতে প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন।

    যেসব মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের অধিকাংশের প্রতিনিধিগণ ওলামা সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সামগ্রিকভাবে শ্বেতপত্রে যাদের দিকে অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছিল এমন সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এক অভূতপূর্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    সংবিধানের ধারা ৭(ক)-এ জনগণকে প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক বলা হয়েছে। ধারা ৩৭ এ প্রত্যেক নাগরিককে সভা সমাবেশ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
    ধারা ৩৯ এ সকল নাগরিককে কথা বলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এসব সাংবিধানিক অধিকার বলে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের চিরন্তন নীতি অনুসরণে শ্বেতপত্রে যে সব আলেমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে তাদের কথা বলা, সম্মেলন করা খুবই যৌক্তিক কর্মসূচি ছিল।
    কিন্তু দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, আমরা সভা-সমাবেশ, সম্মেলন করার সকল নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা সত্ত্বেও একেবারে শেষ মুহূর্তে আমাদের সম্মেলন করার পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। আমরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে হল বুকিং দেওয়া সহ যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরন করেছিলাম। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করা হয়। এর পরে আমরা গতকাল তাৎক্ষনিক জাতীয় প্রেসক্লাবেও হল বুকিং করি। কিন্তু ঘন্টাখানেকের মধ্যেই তা বাতিল করা হয়।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আমরা জানি, জাতীয় প্রেসক্লাব মতামত প্রকাশের একটি উন্মুক্ত স্থান। কিন্তু সেখানেও কোন এক অশুভশক্তির কুটচালে আমাদের সম্মেলনকে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের মত একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এধরণের আচরনে আমরা ব্যাথিত ও বিস্মিত।
    স্বাধীনতার ৫১তম বছরে এসে সংবিধানের এমন লঙ্ঘন ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আমরা তীব্র  ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আধুনিক জাতি রাষ্ট্রে বিভিন্ন নাগরিক বর্গের মধ্যে চিন্তা-চেতনার মধ্যে ইতিবাচক-নেতিবাচক মিথস্ক্রিয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এখানে রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো, পরস্পর বিরোধী চিন্তার মধ্যে যেন সংঘর্ষ না বাঁধে তা নিশ্চিত করা। কারো মানহানি না হয়, তা নিশ্চিত করা এবং সকল বর্গের জন্য সুযোগ সমান রাখা। এটা জাতি রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলক নীতি। আমরা তীব্র বেদনার সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলাদেশ সরকার এই সর্বজনবিদিত নীতি রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি নির্লজ্জভাবে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। ঘাদানিক দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও দেশের সবচেয়ে বিস্তৃত সামাজিক প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা এবং দেশের সার্বজনীন সংস্কৃতি ওয়াজ মাহফিলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যাচারে ভরপুর শ্বেতপত্র প্রকাশ করল। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল মন্ত্রী তার মোড়ক পর্যন্ত উন্মোচন করলেন।
    কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলো, তাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের সম্মেলন করতে দেয়া হচ্ছে না। এরচেয়ে নির্লজ্জ পক্ষপাত ও বিদ্বেষমূলক আচরন আর কি হতে পারে।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    শ্বেতপত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজনকে সাম্প্রদায়িকতার উৎস বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রধান সমস্যা ভোটাধিকার হরণ, নাগরিক পরাধীনতা, দরিদ্রতা, জননিরাপত্তাহীনতা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি,কল্পনাতীত দুর্নীতি, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক হানাহানিকে আড়াল করতেই কথিত সাম্প্রদায়িকতাকে মুখ্য করে তোলা হয়েছে। একই সাথে মানব ইতিহাসের নির্মম নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের ভেতরে কথিত সন্ত্রাসবাদকে আলোচ্য বিষয় বানিয়ে মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বৈধতা দেওয়ার একটি অশুভ প্রয়াস শ্বেতপত্রে লক্ষনীয়।

    সামগ্রিক বিবেচনায় আমরা মনে করি যে,
    ১) কথিত শ্বেতপত্র বাংলাদেশের গণ-মানুষের হাজার বছরের চর্চিত ধর্ম-বিশ্বাস, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিরোধী একটি অপচেষ্টা।
    ২) শ্বেতপত্রটি বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক প্রস্তাবনার বিরোধিতা করেছে। মৌলিক প্রস্তাবনাকে সাম্প্রদায়িকতার সূত্র বলে অপব্যাখা করেছে। ফলে এই শ্বেতপত্র সংবিধান বিরোধী।
    ৩) কথিত শ্বেতপত্র মানব সভ্যতার প্রধান ভিত্তি নাগরিক স্বাধীনতা, অধিকার ও মর্যাদার নীতি লঙ্ঘন করে নাগরিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সার্বজনীন মানবাধিকার লংঘনের অপরাধ করেছে।
    ৪) এই শ্বেতপত্র স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত সাম্য,মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের চেতনাকে আঘাত করেছে।
    ৫) কথিত এই শ্বেতপত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত অপরাধ এবং ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি অশুভ চেষ্টা।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আপনাদের মাধ্যমে আমরা আবারো একটি কথা স্পষ্ট করতে চাই যে, এই শ্বেতপত্র কেবল ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত তাই না বরং এই শ্বেতপত্রে যেভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িকতাকে চিত্রায়িত করা হয়েছে এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে যেভাবে কথিত সন্ত্রাসবাদকে ফোকাস করা হয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, এর সাথে ভূরাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতির কুটিল ও জটিল সম্পর্ক রয়েছে। এবং আশঙ্কাজনক কথা হল, এই শ্বেতপত্রে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী নানা বয়ান দৃশ্যমান। এমন একটা শ্বেতপত্রের বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরাম যখন বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে সরকারের মধ্যে ঘাপটি মারা একটি অংশ উলামাদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপশক্তিই আমাদের আজকের ওলামা সম্মেলন বাঁধাগ্রস্ত করার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে বলে আমাদের মনে হয়।

    আমরা বিস্মিত হয়েছি, ঘাপটি মারা এই অংশটি আপাতত হলেও জয়ী হয়ে যাচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ চিন্তার বিষয়।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ
    আজ যে ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তা ইসলামপন্থার অন্তর্নিহিত এক চিরন্তন চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ হতে যাচ্ছিল। ইসলামী জ্ঞানতত্ত্বের বিশালতা ও ইসলামী চিন্তার অন্তর্গত স্বাধীনতার কারণে বাহ্যত ইসলামপন্থায় নানা মাসলাক, মাযহাব দেখা যায়। বাহ্যত বিচ্ছিন্ন নানা মত, পথ ও কর্মপন্থা দেখা যায়। কিন্তু দেশ-জাতি-মানবতা ও ইসলামের প্রশ্নে ইসলামপন্থা সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশবিরোধী শক্তি ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।

    আজকের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইসলামপন্থার সেই চিরন্তন চরিত্র ও শক্তির একটি বুদ্ধিবৃত্তিক উপস্থাপন হতে যাচ্ছিল। কুচক্রীদের অপচেষ্টায় আপাতত তার দৃশ্যায়ন না হলেও আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, ওলামারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের স্বার্থ রক্ষায় সদা প্রস্তুত, ইনশাআল্লাহ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ

    আজকের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দেশের সর্বধারার আলেমগণ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছেন, সেজন্য জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।

    মানুষের আগ্রহ-উদ্দীপনার প্রতি বিনীত সম্মান জানাচ্ছে এবং দেশের আলেম-ওলামা, মাদরাসা, ধর্মপ্রাণ মানুষ ও দেশ প্রেমিক সকলকে আশ্বস্ত করছে যে, আমরা হতোদ্যম হবো না, আমরা নিরব হব না, আমরা পিছিয়ে যাবো না, আমরা থেমেও যাবো না; ইনশাআল্লাহ।

    বরং দেশপ্রেমিক ইসলামপন্থীদের সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।

    প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ

    ঘাদানিক সহ দেশ, জাতি, ধর্ম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নিয়মতান্ত্রিক বহুমাত্রিক সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। আমরা সকল অপশক্তির মোকাবিলায় বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনি লড়াই অব্যাহত রাখব, ইনশাআল্লাহ।

    তারই প্রেক্ষিতে দেশের বৃহত্তর ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীর ধর্ম, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা ও নাগরিকদের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার নিমিত্তে আমাদের দাবী সমূহ-

    ১) অবিলম্বে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিকে জনতার কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে শ্বেতপত্র প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
    ২) এই শ্বেতপত্রের সাথে জড়িত সকলের রাজনৈতিক গোপন অভিলাষ প্রকাশ ও ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
    ৩) ঘাদানিকের অর্থের উৎস খুঁজে বের করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
    ৪) এই শ্বেতপত্র স্পষ্টভাবেই সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরোধিতা করেছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
    ৫) এই শ্বেতপত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছে এবং মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ঘাদানিকের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
    ৬) এই শ্বেতপত্রে মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের এই মিথ্যাচারের তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
    ৭) গণকমিশন নিজ থেকে ক্ষমা চেয়ে শ্বেতপত্র প্রত্যাহার না করলে এই শ্বেতপত্র রাষ্ট্রকে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
    ৮) এই শ্বেতপত্রে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সবকিছুর পেছনে দেশের ইসলামী রাজনৈতিকে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, মাদরাসা শিক্ষা এবং আলেম-ওলামাদেরকে একতরফাভাবে দায়ী করা হয়েছে। অতএব, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। একটি শক্তিশালী বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করে সংখ্যালঘু নির্যাতন, সংখ্যালঘুদের সম্পদ অবৈধভাবে ভোগ-দখল এবং সংখ্যালঘু সংক্রান্ত সকল অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং তদন্ত রিপোর্ট জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে।
    ৯) যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়, তাদের কার্যক্রমকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
    ১০) দেশের সম্মানিত আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
    ১১) কারাবন্দী সকল মজলুম আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
    ১২) ওয়াজ মাহফিল নিছক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই সারা দেশে ওয়াজ মাহফিল সকল প্রশাসনিক বিধি নিষেধের আওতামুক্ত রাখতে হবে।
    ১৩) সারা দেশের আলেম ওলামা ও মাদরাসার বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানী বন্ধ করতে হবে।
    ১৪) আল্লাহ, রাসূল (স.), ধর্মীয়-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজে সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মানহানিকর শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধে আইন করতে হবে এবং তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
    ১৫) দুর্নীতিমুক্ত ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ সুনাগরিক গড়ে তুলতে সারা দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম সন্তানদের জন্য নামাজ শিক্ষা, কুরআন শিক্ষা এবং রাসূল (স.)-এর জীবনী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

    কর্মসূচিঃ

    ১) গণবিরোধী ‘গণকমিশনের’ কথিত শ্বেতপত্রের মিথ্যাচার ও অসৎ উদ্দেশ্যের মুখোশ উম্মোচন করে বস্তুনিষ্ঠ শ্বেতপত্র প্রকাশ করা।
    ২) দেশের সকল  মসজিদ ও জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানে কথিত গণকমিশনের মিথ্যাচার ও দেশবিরোধী কর্মকান্ডের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করা।
    ৩) গণকমিশন ও ঘাদানিকের মিথ্যাচার ও দেশবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে জন সচেতনতা তৈরির লক্ষে গণ-মতবিনিময় সভাসহ জন সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
    ৪) দেশের সকল জেলা/মহানগর, থানা/উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূল ওলামা সম্মেলনের আয়োজন করা।
    ৫) এরপরও কথিত শ্বেতপত্র ও গণকমিশনের বিষয়ে সরকার কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করলে রাজধানী ঢাকায় ওলামা-মাশায়েখ ও সূধী সমাবেশ করা হবে।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি, আল্লাহ হাফেজ।

  • রাণীশংকৈলে জাতীয় যুব সংহতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈলে জাতীয় যুব সংহতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

    রাণীশংকৈলে জাতীয় যুব সংহতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে জাতীয় যুব সংহতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শনিবার (২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে কাঁচাবাজার ধানহাটি মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন যুব সংহতির সভাপতি আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ।

    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পীরগঞ্জ জাতীয় পাটির সহ-সভাপতি দবির ইসলাম, রাণীশংকৈল উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের।

    প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ও প্যানাল মেয়র(২) ইসহাক আলী।

    অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব সংহতির পীরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জহির আহমেদ, উপজেলার যুব সংহতির সভাপতি গফুর আলী প্রমুখ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন, নেকমরদ ইউনিয়নের যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাজু।

    সম্মেলন শেষে আব্দুল ফাত্তাহ কে সভাপতি ও রাজিউর রাজুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের জাতীয় যুব সংহতির কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন,জাতীয় পার্টির সব নেতাকর্মীদের পার্টির পতাকা তলে একতাবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, আগামীতে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে দেশ ও দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে। এ দেশে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ যত উন্নয়ন হয়েছে, তা হয়েছে জাতীয় পার্টির আমলে। জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ দেশের উন্নয়নের রূপকার।

    সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের বলেন,পিকে হালদার ও তার দোসররা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং বর্তমানেও করছে। নিত্যপণ্যের দাম এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থায় দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।

    তিনি বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জাতীয় পার্টির কথা বলতে হবে। জাতীয় পার্টির সময়কার উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।

  • ওসমানীনগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলন ও অবসর প্রাপ্তদের সংবর্ধনা।

    ওসমানীনগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলন ও অবসর প্রাপ্তদের সংবর্ধনা।

    ওসমানীনগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলন ও অবসর প্রাপ্তদের সংবর্ধনা।


    সিলেটের ওসমানীনগরে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান ও উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলন পূর্ববর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের পর থেকে অবসরে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষকদের সম্মননা প্রদান করা হয়।

    ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফ মো: নেয়ামত উল্লাহ।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: সানাউল হক,বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল,সহ সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাশ,প্রচার সম্পাদক মতি লাল দাশ গুপ্ত, জেলা কমিটির সভাপতি সুহেল আহমদ,সাধারণ সম্পাদক বিমল দাশ,মহানগর কমিটির সভাপতি নীল কন্ঠ দাশ,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী, জুবায়ের আহমদ,উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য প্রধান শিক্ষক তরুন চন্দ্র দেব।

    সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রানেশ দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন,অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক শীলা রানী দাশ,বীনা পানি দে,আব্দুল মনাফ,রানী বেগম,অশেষ চন্দ্র দাশ,গৌছুর রহমান,নিশা ধর,সুভাষ চন্দ্র ঢালী,ফাতেমা বেগম, সাহেরা সুলতানা ও ফাতেমা খানম।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি। নানা ধরণের লাঞ্চনা বঞ্চনায় থাকা শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় সংগঠনটি নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজও শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়, মর্যাদা রক্ষার প্রত্যয়ে আগামীতেও সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানাই।

    এদিকে, অনুষ্ঠানের ২য় ধাপে বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সুহেল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক বিমল দাশ বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষনা করেন। ঘোষিত কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন থানা গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন রাজ চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনোজ কুমার দাশ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নবগঠিত কমিটিতে স্থান পেয়েছেন কলারাই সুরুজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: কবির আহমদ।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,শিক্ষক মলয় কান্তি দেব,শিল্পি ধাম,চমক আলী,স্বপন আচার্য,জাহাঙ্গীর আলম,আবু ইউসুফ,বশির আহমদ, সুহেব আহমদ,রাশেদ আলী,আবুল বাশার সুমন,সুপ্রিয়া রানী দাশ, বাবলু রঞ্জন দাশ,শিল্পি বেগম,অরুপ চন্দ্র দেব,সুলেমান আহমদ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীমা আক্তার,সুন্তোষ কুমার দেব,সুভাষ চন্দ্র ধর, সুজিত কুমার দেব,ফিরুজা খানম,আনোয়ারা বেগম,ঝলক লাল গুষ্মামী,সুমি বেগম,বিলকিস আক্তার,দিপা রানী চক্রবর্তী,মল্লিকা দেবনাথ,যুতিকা চক্রবর্তী,মাধূরী পুরকায়স্ত,মজাহারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম,কালাম উদ্দিন,পবিত্র কুমার বেপারী,অনুপম দেব, ফারহানুজ্জামান,কিশোর ভট্টাচার্য্য,শেখর চন্দ্র দেব,নারায়ণ দেবনাথ, সেলিম আহমদ,হেপি রানী দাশ,কলি দেব,মনছুর আহমদ,নির্মল কান্তি ধর,বাবুল চন্দ্র দাশ আয়শা আক্তার,পাপ্পু কুমার বৈদ্য।

  • নওগাঁ জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিকি সম্মেলনে সভাপিত মালেক, সম্পাদক সাধন।

    নওগাঁ জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিকি সম্মেলনে সভাপিত মালেক, সম্পাদক সাধন।

    নওগাঁ জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিকি সম্মেলনে সভাপিত মালেক, সম্পাদক সাধন।


    নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকি সম্মেলনে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক এমপি মোঃ আব্দুল মালেক ও সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।

    বৃহস্পতিবার (৩১মার্চ) নওগাঁ নওজোয়ান মাঠে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুর রহমান। নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম কামাল হোসেন।

    এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, নওগাঁ সদর আসনের সাংসদ ব্যারিষ্ট্যার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ নওগাঁ জেলার ৫জন এম পি উপস্থিত ছিলেন।কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ ও নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নওগাঁ মান্দা-৪ মোঃ ইমাজ উদ্দীন প্রাং সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

    এর আগে নওগাঁ সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন,নির্বাচন বিমূখ রাজনীতির কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে দুরে সরে গেছে।

    তিনি বলেন,বিএনপির যেকোন বক্তব্য,বোঝা আসলে মুশকিল। বিএনপির একেক নেতা একেক ধরণের কথা বলে। জনগণকে জিম্মি করা তাদের রাজনীতি। জনগণকে পুড়িয়ে মারা তাদের রাজনীতি। সেই কারণে তারা নানা ভাবে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগেও তারা ডান ও বামপন্থিসহ বিভিন্ন দলকে নিয়ে একটি জোট গঠন করতে চেয়েছিল এবং গঠনও করেছিল। কিন্তু সেই জোটের ফলাফল হচ্ছে নির্বাচনে মাত্র পাঁচটি আসন। এবারও তারা চেষ্টা করছে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলকে কাছে টানার। নির্বাচনের পরে তারা কোন ধরণের সরকার গঠন করবে সেটা নিয়েও তাদের বক্তব্য রয়েছে। তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না বলছে। তাহলে নির্বাচনের পর কি করে সরকার গঠন করবে।

    বিএনপি জনগণ থেকে অনেক দুরে সরে গেছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যদি সন্ত্রাসের, পেট্রোল বোমা, মানুষ পুড়িয়ে মারা এবং তালেবান আশ্রয়ের রাজনীতি পরিহার করে ক্ষমা না চাই তাহলে জনগণের কাছে আসতে পারবে না।

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি সংগঠন হিসেবে ইতিমধ্যেই তাদের গ্রহণ যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছিল তখন তারা বিচার বন্ধ করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছিল। আমাদের দেশে যখন বিএনপি-জামায়াত পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষকে হত্যা করছিলো তখন তারা কোন বিবৃতি দেয়নি।

    ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনির পাখি শিকারের মত মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করছিল তখন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অনেক ক্ষেত্রেই নিশ্চুপ ছিল। তারা কি বললো সেটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও মুখ্য বিষয় নয়। যদিও আমাদের দেশের কিছু কিছু পত্র-পত্রিকা সেটাকে আবার খুব গুরুত্ব দিয়ে ছাপায়। আসলে আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের এটি একটি অংশ মাত্র।

    পরবর্তীতে মন্ত্রী নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

    বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আব্দুর রহমান নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এর নাম ঘোষনা করেন।

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পর নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ এবার অনুষ্ঠিত হলো।