Tag: সমিতি

  • ওসমানীনগরে শিক্ষক সমিতি‘র উদ্যোগে অর্থ বিতরণ।

    ওসমানীনগরে শিক্ষক সমিতি‘র উদ্যোগে অর্থ বিতরণ।

    ওসমানীনগরে শিক্ষক সমিতি‘র উদ্যোগে অর্থ বিতরণ


    সিলেটের ওসমানীনগরে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখা। এরই ধারবাহিকতায় বুধবার দুপুরে উপজেলার প্রথমপাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি ৬০টি পরিবারের হাতে অর্থিক সহায়তা তুলে দেয়া হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফ মো. নেয়ামত উল্যা, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল।

    সংগঠনের উপজেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনোজ কুমার দাশের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর শাখার উপদেষ্ঠা সুজিত দেব, সাবেক সভাপতি প্রণেশ দাশ, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি মলয় দেব, অজয় কুমার পাল, সেলিম আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক সীমা রানী দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সুবর্ণা রানী দত্ত, অর্থ সম্পাদক শেখর দেব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরুপ দেব, সদস্য শংকরী রানী পাল, প্রধান শিক্ষক নুহেল আহমদ, মহেশ কুমার দাশ, আব্দুর রব, ইউপি সদস্য শেখ আসাদ্দুজামান জুবায়ের, সহকারী শিক্ষক পিংকু দেব প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি যে কোন দূর্যোগে আর্থমানবতার সেবায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের অর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ইউনিয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। ওসমানীনগরে বন্যায় পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের শিক্ষক সংগঠনের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা প্রদান একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

  • ওসমানীনগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলন ও অবসর প্রাপ্তদের সংবর্ধনা।

    ওসমানীনগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলন ও অবসর প্রাপ্তদের সংবর্ধনা।

    ওসমানীনগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সম্মেলন ও অবসর প্রাপ্তদের সংবর্ধনা।


    সিলেটের ওসমানীনগরে অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান ও উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলন পূর্ববর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের পর থেকে অবসরে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষকদের সম্মননা প্রদান করা হয়।

    ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার তাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফ মো: নেয়ামত উল্লাহ।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: সানাউল হক,বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজিত পাল,সহ সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাশ,প্রচার সম্পাদক মতি লাল দাশ গুপ্ত, জেলা কমিটির সভাপতি সুহেল আহমদ,সাধারণ সম্পাদক বিমল দাশ,মহানগর কমিটির সভাপতি নীল কন্ঠ দাশ,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পিন্টু চক্রবর্তী, জুবায়ের আহমদ,উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য প্রধান শিক্ষক তরুন চন্দ্র দেব।

    সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রানেশ দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন,অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক শীলা রানী দাশ,বীনা পানি দে,আব্দুল মনাফ,রানী বেগম,অশেষ চন্দ্র দাশ,গৌছুর রহমান,নিশা ধর,সুভাষ চন্দ্র ঢালী,ফাতেমা বেগম, সাহেরা সুলতানা ও ফাতেমা খানম।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি। নানা ধরণের লাঞ্চনা বঞ্চনায় থাকা শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় সংগঠনটি নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজও শিক্ষকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়, মর্যাদা রক্ষার প্রত্যয়ে আগামীতেও সংগঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহবান জানাই।

    এদিকে, অনুষ্ঠানের ২য় ধাপে বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি সুহেল আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক বিমল দাশ বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতি ওসমানীনগর উপজেলা শাখার নবগঠিত কমিটি ঘোষনা করেন। ঘোষিত কমিটির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন থানা গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন রাজ চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনোজ কুমার দাশ। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নবগঠিত কমিটিতে স্থান পেয়েছেন কলারাই সুরুজ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: কবির আহমদ।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,শিক্ষক মলয় কান্তি দেব,শিল্পি ধাম,চমক আলী,স্বপন আচার্য,জাহাঙ্গীর আলম,আবু ইউসুফ,বশির আহমদ, সুহেব আহমদ,রাশেদ আলী,আবুল বাশার সুমন,সুপ্রিয়া রানী দাশ, বাবলু রঞ্জন দাশ,শিল্পি বেগম,অরুপ চন্দ্র দেব,সুলেমান আহমদ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সীমা আক্তার,সুন্তোষ কুমার দেব,সুভাষ চন্দ্র ধর, সুজিত কুমার দেব,ফিরুজা খানম,আনোয়ারা বেগম,ঝলক লাল গুষ্মামী,সুমি বেগম,বিলকিস আক্তার,দিপা রানী চক্রবর্তী,মল্লিকা দেবনাথ,যুতিকা চক্রবর্তী,মাধূরী পুরকায়স্ত,মজাহারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম,কালাম উদ্দিন,পবিত্র কুমার বেপারী,অনুপম দেব, ফারহানুজ্জামান,কিশোর ভট্টাচার্য্য,শেখর চন্দ্র দেব,নারায়ণ দেবনাথ, সেলিম আহমদ,হেপি রানী দাশ,কলি দেব,মনছুর আহমদ,নির্মল কান্তি ধর,বাবুল চন্দ্র দাশ আয়শা আক্তার,পাপ্পু কুমার বৈদ্য।

  • ছাতকে দলিল লিখক সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি।

    ছাতকে দলিল লিখক সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি।

    ছাতকে দলিল লিখক সমিতির অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি।


    সুনামগঞ্জের ছাতক সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লিখকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি(কলম বিরতি) পা‌লিত হ‌য়ে‌ছে।১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করে‌ছেন দলিল লিখক সমিতি।

    গত মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতি ছাতক উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দরা সংবাদকমীদেরকে এ তথ্য নি‌শ্চিত করছেন। সাব-রেজিস্ট্রার ফখরুল ইসলাম ও সাব রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান সহকারী আব্দুর রহিমের সাথে কার্যালয়ে ছাতক পৌর সভার মেয়রের বড় ভাই কামাল চৌধুরীর অ‌সৌভমুলক অশালীন আচরণ, হুমকি ও সরকারি কাজে বাঁধা দি‌য়ে‌ছে গত সোমবার বিকেলে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসে দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনসহ একাধিক দলিল লিখক কে(ডিড রাইটার) সা‌থে গালি-গালাজ, অপমান ও লাঞ্চিত ক‌রা হয়।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে দলিল লিখক সমিতির উদ্দ্যোগে গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দলিল লিখকরা (ডিড রাইটার) অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ঘোষনা দিয়েছেন।

    জানাযায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি কামাল চৌধুরী প্রথমে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসে সাব রেজিস্ট্রার ও অফিস সহকারীকে লাঞ্চিত করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরে তিনি জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে ছাতক অফিসে বিভিন্ন দুর্নীতি হচ্ছে মৌখিকভাবে এমন অভিযোগ দেন। তার মৌখিক এ অভিযোগের কারণে গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা রেজিস্ট্রার মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ছাতক অফিসে এসে তদন্ত করলে ও এসব দুনী‌তির কোনো সত্যতার পায়নি তদন্ত ক‌মি‌টি।

    গত সোমবার বিকা‌লে আবারও অফিসে আসেন কামাল চৌধুরী। তিনি সাব-রেজিস্ট্রারের খাস কামরায় বসেই দলিল লিখকদেরকে অশালীন ভাষায় গালা-গালি করতে থা‌কেন। এক পর্যায়ে ২/৩ জন দলিল লেখককে লাঞ্চিত করে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অ‌ভি‌যোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

    এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জা‌নি‌য়ে বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতি ছাতক শাখার উদ্দ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় সর্বসম্মতিতে কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

    সোমবার রাতে দলিল লিখক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন তালুকদার,সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার দাস, সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজুল ইসলাম, দলিল লিখক সমিতির সদস্য রঞ্জিত কুমার দাস, খুরশিদ মিয়া,শফিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার,মুহিবুল হক,নুরুল ইসলাম, ফয়ছল আহমেদ, বাকি বিল্লাহ, মুরাদ মিয়া,ওয়াছির আলী, আব্দুল মমিন, আব্দুস সালাম নোমান, আব্দুল কাইয়ুম, নজমুল হোসেন, লিকছন দাস,সুমন মিয়া,কদর আলী, হিফজুল বারী শিমুল, দেলোয়ার হোসেন নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

    এ সময় বক্তারা ব‌লেন জান মাল নিরাপত্তার নি‌শ্চিত না হওয়া পযন্ত তারা এ কমসু‌চি পালন কর‌বে ব‌লে হুসিয়া‌রি দেন।

    এব‌্যাপারে কামাল চৌধুরী জানান,তার বিরুদ্ধে আ‌নিত অ‌ভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জায়গার দ‌লিল করতে সাবরে‌জিষ্টার অ‌ফিসে পৌছা মাত্র দ‌লিল লিখকরা তাকে লা‌ঞ্চিত ও হামলার প্রচেষ্টা করছেন।

    এব‌্যাপারে সাব রে‌জিষ্টার ফখরুল ইসলাম জানান,কামাল চৌধুরী তার কাছে আসছে। তি‌নি এসে তার খাস কামরায় বসার পর
    ও দলিল লেখকদের সঙ্গে কথাকাটাকা‌টি হয়। এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃ‌ষ্টি হয়েছে।‌তি‌নি এ বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রার, জেলাও দলিল লিখক সমিতিকে অবহিত করছেন তি‌নি।

  • চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার চায় আইনজীবী সমিতি।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার চায় আইনজীবী সমিতি।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার চায় আইনজীবী সমিতি।


    বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণকারী, বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী ও মিথ্যাচারী জেলা প্রশাসক দাবি করে চট্টগ্রাম থেকে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিচার বিভাগের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।

    বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির মান-মর্যাদা, সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যা সত্যিই অপমানজনক, মানহানিকর, দুঃখজনক এবং পাশাপাশি উদ্দেশ্যমূলকও বটে।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘জেলা প্রশাসক সিডিএ-র সচিব এবং প্রশাসনের বিভিন্ন ক্যাডারের মাধ্যমে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে সমিতির ভবনসমূহ অনুমোদিত নয় মর্মে সিডিএ থেকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে অব্যাহতভাবে চাপ প্রদান করে আসছে। এতে ব্যর্থ হয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে একটি এক তরফা প্রতিবেদন নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। তাই চট্টগ্রামের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণকারী, বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী ও মিথ্যাচারী জেলা প্রশাসককে চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের সাথে বিচার বিভাগের অতীতের মতো সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রতি আমরা আস্থাশীল বিধায় জেলা প্রশাসকের অবৈধ কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় আইনি পথে হেঁটেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসক এই আইনি মোকাবিলাকে দুর্বলতা মনে করেছে, যা ভাবার সুযোগ নেই।’

    সংবাদ সম্মেলনে  চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান কর্তৃক আইনজীবী সমিতির ভবন, আদালত ভবন সংক্রান্তে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, ঐতিহ্যবাহী পুরাতন আদালত ভবনের সামনে পার্কিং নির্মাণ করে চলাচলের পথ সংকীর্ণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে  কথা বলেছেন সমিতির নেতারা।’

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলা প্রশাসক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের নাম ব্যবহার করে জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ‘‘পরীর পাহাড়’’ লিপিকৃত ছাপানো পুরাতন ফেস্টুন ও ব্যানার অপসারণ না করে এখনো তা পুরাতন আদালত ভবনে ঝুলিয়ে রেখেছে। যা আদালত অবমাননার সামিল।’

    তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি চট্টগ্রাম পুরাতন আদালত ভবনের সামনে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে চলাচলের একমুখী রাস্তার অংশে এবং ভবনের পূর্বপাশের সামনের খোলা জায়গায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাতের অন্ধকারে বাগান নির্মাণ, ফুলের টব স্থাপনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী জনগণ, বিজ্ঞ বিচারক, বিজ্ঞ আইনজীবীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আদালত অঙ্গনে আসা-যাওয়া করেন। যার কারণে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা হয় এবং অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করে। জেলা প্রশাসন কর্তৃক সৌন্দর্যবর্ধনের নামে রাস্তা সরু করে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কারণে আদালতে আসা সকল পেশা-শ্রেণির মানুষ হাঁটাচলা, গাড়ি চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টি, যানজট সৃষ্টিসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছে। কিন্তু ডিসি পুলের গাড়িগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে পুরাতন আদালত ভবনের সামনে রেখে যানজট তৈরি করা হচ্ছে।’

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আইনজীবী সমিতির পুরাতন পানির সংযোগ সংস্কারকালে জেলা প্রশাসক সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে কাজ বন্ধ করার জন্য লোকজন পাঠিয়ে বাধা প্রদান করেন এবং ওয়াসার চেয়ারম্যান ও এমডিকে ফোন করে পুরাতন পানির লাইনে কাজ না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।এছাড়া আদালত ভবন এলাকায় আনসার ব্যাটেলিয়নের সদস্য এনে নিরাপত্তার নামে বরিশালের মতো ঘটনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘জেলা প্রশাসকের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আইনজীবী সমিতির আইনি অবস্থান উল্লেখপূর্বক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সমিতির কোনো বক্তব্য না শুনে, সমিতি জায়গার দলিলাদি ও ভবনের অনুমোদন পত্রসমূহ যাচাইবাছাই না করে মিথ্যা পরিদর্শনের নাটক সাজিয়ে মনগড়া একটি তদন্ত প্রতিবেদন হাসিল করতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।’

    সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এল এ শাখাসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের দুর্নীতি ওপেন সিক্রেট। জনগণের ভোগান্তি দূর করতে কোনো প্রকার পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেননি। জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিগ্রস্ত শাখা সমূহের অনিয়মসমূহ তদন্ত করা উচিত।’

    সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সমিতির জায়গা, স্থাপনা ইত্যাদি সম্পর্কে জেলা প্রশাসন থেকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে সত্য গোপন করে গোপন প্রতিবেদনের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’

    এ সময় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেমসহ সমিতির বর্তমান ও সাবেক নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • চিতলমারীতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন সভাপতি মুকুল, সম্পাদক ইব্রাহীম।

    চিতলমারীতে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন সভাপতি মুকুল, সম্পাদক ইব্রাহীম।

    বাগেরহাটের চিতলমারীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ৫ম বার্ষিকী সম্মেলন ও কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মুকুল কিশোর মজুমদারকে সভাপতি ও মো: ইব্রাহীম ফকিরকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

    বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চিতলমারী উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির অস্থায়ী কার্যালয়ে বিকাল ৩টায় মো: দাউদুল ইসলাম লিন্টু খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী স: প্রা: বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি এম এ হামিদ। উক্ত সম্মেলনে খড়িয়া-আরুলিয়া স: প্রা: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল কিশোর মজুমদারকে সভাপতি ও দক্ষিণ শিবপুর স: প্রা: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইব্রাহিম ফকিরকে সাধারন সম্পাদক, মো: নজরুল ইসলামকে সি: সহ-সভাপতি, মো: আবুল বাসারকে সি: যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, মো: শহিদুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মো: মোজাহিদুর রহমানকে দপ্তর সম্পাদক, হিমাংশু হালদারকে কোষাধ্যক্ষ, মো: মাসুদ আলমকে তথ্য ও প্রচার সম্পাদক, অজিউর রহমানকে কাব/স্কাউট বিষয়ক সম্পাদক, শংকর কুমার মন্ডলকে ক্রীড়া সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক, তারাপদ বিশ্বাসকে সমবায় সম্পাদক, কাজল হালদারকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত করে মোট ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

  • লক্ষ্মীপুরের বিএনপি মা-ছেলের সমিতি সংসদে এমপি নয়ন।

    লক্ষ্মীপুরের বিএনপি মা-ছেলের সমিতি সংসদে এমপি নয়ন।

    লক্ষ্মীপুর- রায়পুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, বিএনপি নেতা ওবায়দুর রহমানের সহধর্মিনী; তিনি বলেছিলেন, এই বিএনপি হলো মা-ছেলের সমিতি। অর্থাৎ কখনো তারা স্বাধীনতার বিরোধী সমিতি, কখনো মা-ছেলের সমিতি। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও প্রস্তাব আলোচনা বিষয়ে এসব কথা বলেন এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। সংসদের শুরুতে স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আলোচ্য বিষয় অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের প্রশংসা করেন এমপি নয়ন।

    এই সময় এমপি নয়ন আরো বলেন, দুর্নীতিতে যখন তারা নিমজ্জিত হয়েছিল; যখন হাওয়া ভবন, খোয়াবন সৃষ্টি করে রাজনৈতিক পথকে কলুষিত করেছিল; রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছিল, সরকারের কেভিনেটের ডিশিসনের আগে হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হতো। এমনি ধরনের একটি নষ্ট এবং ভ্রষ্ট রাজনীতির জনক যখন তারা হয়েছিল; সেই বিএনপির কাছে আমরা যখন রাজনীতির কথা শুনি, গণতন্ত্রের কথা শুনি, আদর্শের কথা শুনি, উন্নয়নের কথা শুনি, তখন আমাদের আসলেই কষ্ট লাগে।

  • চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি সেলিনা, সম্পাদক সজীব কুমার।

    চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি সেলিনা, সম্পাদক সজীব কুমার।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী প্রার্থীরা পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি২২) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
    এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীপন্থী হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা আখতার এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন হলুদ দলের মনোনিত প্রার্থী মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।
    এ নিয়ে টানা দশমবারের মতো নির্বাচিত হলো আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হলুদ প্যানেল।
    এদিকে গত দুই বছরের মতো এবারের নির্বাচনেও অংশ নেয়নি বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সাদা দল। ফলে সাধারণ সম্পাদকসহ ৬টি সদস্যপদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে- জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের নাজনীন নাহার ইসলাম, বাংলা বিভাগের শারমিন মুস্তারী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, রসায়ন বিভাগের ফণীভূষণ বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সৈয়দা করিমুন্নেছা ও আইন বিভাগের প্রভাষক হোছাইন মো. ইউনুছ সিরাজী।
    বাকি ৪টি পদে হলুদ দলের মনোনিত প্রার্থীদের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
    হলুদ দলের মনোনিত প্রার্থীদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক এবং কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জসিম উদ্দিন। যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস.এ.এম. জিয়াউল ইসলাম।
    নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক সেলিনা আখতার বলেন, সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। যারা আমাকে ভোট দিয়ে এত বড় দায়িত্ব দিয়েছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করে এখানেই শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছি। আর এখন শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করব। যে দায়িত্ব পেয়েছি তা যথাযথ পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
  • চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিচ্ছে-অভিনেত্রী নাসরিন।

    চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিচ্ছে-অভিনেত্রী নাসরিন।

    বিনোদন ডেস্কঃ প্যানেলে নয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছেন অভিনেত্রী নাসরিন।তিনি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ বা মিশা-জায়েদ প্যানেলের একটাতেও অংশ নিচ্ছি না, স্বতন্ত্র হিসেবে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।

    তিনি কোন প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত নয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কার্য্যনির্বাহি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী নাসরিন।
    অভিনেত্রী নাসরিন বলেন,আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি এবং কার্যকরী পরিষদে আমি থাকতে চাই। আমাকে অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে বলছেন। তাদের কথা ও নির্দেশায় আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি।

    এই অভিনেত্রী বলেন,এখন যেহেতু একটু কাজ কম, নির্বাচনে জিততে পারলে শিল্পী সমিতিতে যাওয়া-আসা থাকবে, একটা দায়িত্ব থাকবে, সে কারণেই স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করা।

    এর আগেও শিল্পী সমিতির কমিটিতে ছিলেন নাসরিন। আবারও নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রের এ অভিনেত্রী নাসরিন বলেন,আমি অনেক দিন হলো চলচ্চিত্রে কাজ করছি। আমি নিজে চলচ্চিত্রের জন্য কিছু করতে চাই। নির্বাচনে না এসেও চলচ্চিত্র শিল্পীদের জন্য, বিশেষ করে যারা জুনিয়র, তাদের জন্য কাজ করে আসছি। তবে নির্বাচন করলে যেটা হয়, আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা যায়।

     

  • শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদের প্যানেলে মৌসুমি কেন ?

    শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-জায়েদের প্যানেলে মৌসুমি কেন ?

    বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে শিল্পীদের মধ্যে বেশ উদ্দিপনা ও উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে দুটো প্যানেলে বিভক্ত হয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্যানেল দুটো হলো মিশা-জায়েদ পরিষদ ও ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ। এরা দুটো প্যানেলেই চমকপ্রদ প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবছে।

    তবে মিশা-জায়েদ পরিষদের কার্য্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসাবে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু সে গত নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করে হেরে গিয়েছিলেন। ঐ সময় একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছড়াছড়ি করে মিশা-জায়েদের সাথে সম্পর্কের তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই তিক্ত সম্পর্কের কথা ভূলে গিয়ে মৌসুমি এবার তাদের পরিষদের প্যানেলে নির্বাচন করছে। তবে এ ব্যাপারে মিশা-জায়েদ কিছু না বললেও মৌসুমির তরফ থেকে তাদের প্যানেল থেকে নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এ বিষয়ে চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা ধারনা করছে মিশা-জায়েদের সাথে তিক্ত সম্পর্ক ঘুচিয়ে মৌসুমির নির্বাচনে পিছনে অন্য কারন থাকতে পারে।যেমন গত বছর গুলশানের মৌসুমির ছেলে ফারদিনের রেষ্টুরেন্টে মাদকের ঝামেলা হয়েছিলো।সে সময় জায়েদ খাঁন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ কৃতজ্ঞতা থেকে বিরুপ সম্পর্কের কথা ভূলে তাদের সাথে নির্বাচন করছেন।শুধু এখানেই শেষ নয় সম্প্রতি একটি সিনেমায় জায়েদ খাঁন মৌসুমি ও ওমরসানি এক সাথে কাজ শুরু করেছে।

  • চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১ পদে ১৫ প্রার্থী।

    চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১ পদে ১৫ প্রার্থী।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১ পদের বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ১৫ প্রার্থী।  বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর২১) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময়।তবে প্রার্থীদের কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর।
    এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ ছাড়া ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। তবে প্রার্থীদের আবেদনে নির্বাচন ২৫ দিন পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন।
    ১১ ও ১৩ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অগ্রীম ভোট দিতে পারবেন শিক্ষকরা। এ ছাড়া ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
    এর আগে ১৯ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এতে আওয়ামীপন্থী হলুদ দল থেকে ১১টি পদে পূর্ণ প্যানেল মনোনয়ন জমা দেয়।
    তবে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।
    এদিকে সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দলের প্রার্থীদের বিপরীতে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যাদের সবাই নিজেদের হলুদ দলের বলে দাবি করেছেন।
    নির্বাচনে হলুদ দলের ১১ প্রার্থী

    সভাপতি পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাে. হানিফ সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি পদে ভূগােল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক, কোষাধ্যক্ষ পদে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মাে. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘােষ, যুগ্ম সম্পাদক পদে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, সদস্য পদে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, বাংলা বিভাগের ড. শারমিন মুস্তারী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, রসায়ন বিভাগের ফণী ভূষণ বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সৈয়দা করিমুন্নেছা ও আইন বিভাগের হোছাইন মোহাম্মদ ইউনুছ সিরাজী।
    ৪ পদে বিদ্রোহী প্রার্থী

    সভাপতি পদে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা আখতার, সহ-সভাপতি পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএএম জিয়াউল ইসলাম।