Tag: সদস্য

  • উল্লাপাড়ায় এজেন্ট ব্যাংকের টাকা ডাকাতির রহস্য উন্মোচনসহ ডাকাত দলের ১১ সদস্য গ্রেফতার

    উল্লাপাড়ায় এজেন্ট ব্যাংকের টাকা ডাকাতির রহস্য উন্মোচনসহ ডাকাত দলের ১১ সদস্য গ্রেফতার

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ডাচবাংলার এজেন্ট ব্যাংকের আড়াই লক্ষাধিক  টাকা ডাকাতির রহস্য উন্মোচন ও ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার সময় সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা যায় গত ১২ ডিসেম্বর উপজেলার পৌর বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এ কর্মরত মামুনুর রশিদ ও মিরাজ হোসেনকে র‍্যাবের পোশাকে মাইক্রোবাসে অপহরণ করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে জেলার তাড়াশের হামকুরিয়া এলাকায় হাত পা বেঁধে ফেলে রেখে নগদ ২৮ লক্ষ ৫৫হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরের দিন উল্লাপাড়া মডেল থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

    গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন-
    রাজনগর থানার কর্তল এলাকার আফজাল মিয়া (৪০),শাহজাদপুর উপজেলার বাতিয়া গ্রামের জীবন পারভেজ রেজা (৪৭), বাচ্চু মিয়া (৪৭), রবিউল করিম (৪৫), ঝালুকাঠি নলছিড়ি এলাকার মো.জয় (৪০), শ্রীরবদী ধাতুয়া এলাকার সুমন মিয়া (৪৭),ফরিদগঞ্জ ভুটাল এলাকার মোস্তফা কামাল (৪৭)। মাঠবাড়িয়া বড় মাছুয়া এলাকার শাহাদাত হোসেন (৫৫),মতলব উত্তর চাঁদপুরের সুমন মিয়া (৪০) আক্কেলপুর মানিকপাড়া এলাকার মো. আপেল (৩৬), চাটমোহর নবীনপুর পূর্ব পাড়া এলাকার শহিদুল ইসলাম(৪৪)।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়,ডাকাতির মুলরহস্য উদঘাটন ও ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন একটি টিম গঠন করে। পরে সহকারী পুলিশ সুপার উল্লাপাড়া সার্কেল অমৃত সূত্রধর ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. একরামুল হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।পরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন।
    এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি X-NOHA মাইক্রোবাস,১টি মোটরসাইকেল,১ জোড়া হ্যান্ডকাপ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত র‍্যাবের কটি, ১টি খেলনা পিস্তল, ১টি ওয়াকিটকি সেট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।


    গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

  • মৌলভীবাজারে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার।

    মৌলভীবাজারে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
    বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ইং, দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
    প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গতকাল ২৬ মার্চ ২০২৪ইং, বিকেলে মৌলভীবাজার ডিবির অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার পৌরসভার সৈয়ারপুর এলাকার লন্ডনী হারুন মিয়ার মালিকাধীন হারুন মঞ্জিলের ৬ তলার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ টিটুল মোল্লা টিটু (৩৬), পিতা- মৃত রতন মোল্লা। রুবেল শেখ (৩১), পিতা- বিদ্যুত শেখ। সবুজ হাওলাদার(২৯), পিতা-আইয়ুব হাওলাদার। হৃদয় শেখ (২০), পিতা- শেখ ইমফাজ। সাজ্জাদ হোসেন (২৫), পিতা- নওশাদ আহমেদ। সর্ব থানা- ভাঙ্গা। হাসান খালাশি (২১), পিতা- সামছু খালাশি। থানা- সদরপুর, জেলা- ফরিদপুর।
    গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনসহ মোট ২১টি সচল মোবাইল সেট এবং নগদ ৬,৩৯০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
    এছাড়া তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজের উপবৃত্তিভোগী শিক্ষার্থী এবং বয়স্কভাতা ভোগীদের মোবাইল নম্বরসহ ১২ পাতার একটি তালিকা জব্দ করা হয়েছে। যে তালিকা থেকে তারা ভিকটিমদের কল দিয়ে প্রতারণা করতো।
    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এই চক্র অনলাইনে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকার বয়স্কভাতা ভোগী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের উপবৃত্তি ভাতাভোগী শিক্ষার্থীদের তালিকা ডাউনলোড করে সেখান থেকে বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করত। পরবর্তীতে নিজেদেরকে বিকাশের হেড অফিসের স্টাফ পরিচয় দিয়ে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে কৌশলে তাদের কাছ থেকে OTP (ONE TIME PASSWORD) নিয়ে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকা আত্মসাৎ করত।
    তারা এই কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত এবং এই কাজকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবাই ফরিদপুর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে অথবা তাদের কাজের সুবিধার্থে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে এই প্রতারনা করে আসছিল।
    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদের আরো সহযোগী আছে। আমরা তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায় (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম-সহ প্রমুখ।
  • রাণীশংকৈলে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য ওয়াসিম সহ ও গ্রেপ্তার-২।

    রাণীশংকৈলে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য ওয়াসিম সহ ও গ্রেপ্তার-২।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউপি সদস্য ওয়াসিম (৩৫) ও সহযোগী শাহীনুর (২৮) কে চাঁদাবাজি ও মোটরসাইকেল চুরির অপরাধে গত শনিবার ৯ মার্চ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
    আজ রবিবার (১০ মার্চ) তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের চোপড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মুনির ইসলাম (২০) গত ৪ মার্চ বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে বাকসা-সুন্দরপুর এলাকা দিয়ে যাবার সময় ইউপি সদস্য ওয়াসিম ও তার লোকজন মুনিরের পথরোধ করে।
    তারা মুনিরকে বেধড়ক মারপিট করে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। তার দুদিন পর, গত ৬ মার্চ ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা মুনিরের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। টাকা না দিলে মোটরসাইকেল ফেরৎ দেওয়া হবেনা বলে তারা জানায়। তারা মুনিরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। উপায় না পেয়ে মুনির গত ৯ মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওইদিনেই পুলিশ ওয়াসিম ও শাহিনুরকে গ্রেপ্তার করে।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
  • রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গ্রেফতার।

    রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গ্রেফতার।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক গ্রাম পুলিশকে বেদড়ক মারপিট করার অপরাধে ইউপি সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ ।
    জানা যায়, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাতে নেকমরদ বাজারে  উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামসহ তার ছেলে রুবেল ইসলাম ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায়কে অতর্কিত ভাবে বেদড়ক মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
    এঘটনায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ বাদি হয়ে দবিরুল ইসলাম সহ তার ছেলেকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরদিন সোমবার রাতে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
    অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায় ইকো সোশ্যাল অর্গানাইজেশন(ইএসডিও) বে-সরকারী ঋণ বিতরণ এনজিও থেকে ১ বছর আগে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। সে টাকার কিন্তি পরিশোধের সময় অতিবাহিত হয়ে পড়ে। এনজিও কর্মকর্তাদের চাপের মুখে সে ইউপি সদস্য দবিরুলের মধ্যস্থতায় ইএসডিও এনজিও’র সর্বশেষ ৯ হাজার পাওনা টাকা ব্যবস্থাপকের হাতে তুলে দেন।
    ইএসডিও’র ব্যবস্থাপক সে টাকা জমা না করে, অন্যত্রে বদলি হয়ে পড়েন। ব্যবস্থাপকের কাছে কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার কোন  প্রমাণ না থাকায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথকে আবারো ৯ হাজার টাকা ইউএসডিও কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়। এদিকে নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদে এক সভায় ওই ব্যবস্থাপককে দেখতে পায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ। এবং সেদিন লোকজনের উপস্থিতি বেশি থাকায় তিনি তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেননি বলে জানান ইউপি সদস্য দবিরুলকে।
    গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়ের এমন কথায় ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে বেধরক মারপিট করে । এসময় গ্রাম পুলিশের পোষাক পরিহিত ছিল। তার পোষাকের বিভিন্ন অংশেও ছিড়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে।এবং সাথে থাকা টাকাও ছিড়ে দেন।
    সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে  ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বলেন, তিনি একটি মাত্র থাপ্পড়  দিয়েছেন।
    সংশ্লিষ্ট নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি দু:খ জনক। গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা হওয়ার তা হবে।
    থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
  • রাণীশংকৈল পালিয়ে বাল্যবিয়ে করলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

    রাণীশংকৈল পালিয়ে বাল্যবিয়ে করলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
    বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে লড়াই করছে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল। এখন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাহসী স্কুলছাত্রীদের নিজের বাল্যবিয়ে নিজে রোধ করার উদাহরণ অহরহ। বাল্যবিয়ে হচ্ছে-এমন খবর পেলেই ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে খবর যাচ্ছে, সেই বিয়ে বন্ধও হচ্ছে।কিন্তু একি কাণ্ড ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের ? এখানকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) তুলা রায় অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন।
    বিয়ের ছবি সামাজিকগনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়রা বলছে, একজন ইউপি সদস্য যেখানে বাল্যবিয়ে ঠেকাবেন, সেখানে ইউপি সদস্য তুলা রায় নিজে অপরাধমূলক কাজ করেছেন।
    স্থানীয় সূত্র জানায়, সদ্য বিয়ে করা জুই রাণী উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের গোবিনাথপুর গ্রামের সুঠিন চন্দ্র রায়ের মেয়ে। ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউপি সদস্য তুলা রায়। এর পর ওই ইউপি সদস্য গোপনে বিয়ে করেন। বর্তমানে তারা আত্নগোপনে রয়েছেন। ১৪ বছর আগে তুলা রায় প্রথম বিয়ে করেন। তার স্ত্রী ও দুই স্কুল পড়ুয়া সন্তান রয়েছে।
    বাল্যবিয়ের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম দরিদ্রতা, যৌতুক, সামাজিক প্রথা, সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, নিরক্ষরতা ইত্যাদি। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ তে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।
    সেখানে বলা হয়, ‘সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নিমিত্ত, জাতীয়, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং উহাদের কার্যাবলি নির্ধারণ করিতে পারিবে।’
    স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, একজন জনপ্রতিনিধি তাঁর কর্তব্য পালন না করে বাল্যবিয়ে করে অপরাধ করেছেন। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাল্যবিয়ে করা ইউপি সদস্য তুলা রায়ের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
    এবিষয়ে রাতোর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান শরৎচন্দ্র রায় বলেন, বাল্যবিয়ে করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ইউপি সদস্য বাল্যবিয়ে করার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে উভয় পক্ষকে ডাকা হলে কোন সারা পাইনি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাণীশংকৈল থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে জানানো হয়েছে।’
    বাঁচোর ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান জীতেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাটির আমি ধিক্কার জানাই, আমরা স্থানীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো’।
    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,‘বিষয়টি লজ্জাজনক।অভিযোগ পেলে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
  • মাধবপুরে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সংগ্রহ ও কর্মী সভা।

    মাধবপুরে ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সংগ্রহ ও কর্মী সভা।

    নাহিদ মিয়া মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দেশব্যাপী প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রমে অংশ হিসেবে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা যুবলীগের আওতাধীন ৮নং বুল্লা ইউনিয়নের যুবলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে সোমবার (০৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ০৪ টায় বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য ও নবায়ন কার্যক্রম এবং কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন এই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান, সঞ্চালনায় করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুকুর রহমান।
    কর্মী সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এমন মইন উদ্দিন চৌধুরী সুমন, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি বিপ্লব রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক এমএ মামুন, মহিবুর রহমান মাহি, মাধবপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান কুতুব আশরাফুল আলম হিরন, প্রচার সম্পাদক আলাউদ্দিন,এই ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম (শফিকমেম্বার) যুগ্ন সম্পাদক এরশাদ মিয়া প্রমুখ। পরে ইউনিয়ন যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন বিতরণ করা হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা যুবলীগের নেতা সাজু মিয়া আনিসুল রহমান,পৌর ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ নাহিদ মিয়া সহ যুবলীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
  • বালিয়াডাঙ্গীতে ফেন্সিডিলসহ ইউপি সদস্য আটক।

    বালিয়াডাঙ্গীতে ফেন্সিডিলসহ ইউপি সদস্য আটক।

    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম (৩৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
    বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের বারঢালী-পৌকানপুর রাস্তার সনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার নিকট ০৫ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিন্ডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
    আটক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও সর্বমঙ্গলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
    পুলিশ জানায় গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাতে ইউপি সদস্যকে রাস্তায় আটক করে। এ সময় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া ৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানার উপপরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
    বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন বলেন, মামলা দায়েরের পর শুক্রবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
  • রানীশংকৈলে আ.লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু।

    রানীশংকৈলে আ.লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু।

    ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈলে রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়  উপজেলা আ.লীগ দলীয় কার্যালয়ে।
    এসময় রাণীশংকৈল আ.লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সাংগঠনিক কার্যক্রম বিষয়ক দিকনির্দেশনাসহ আসন্ন দুর্গাপূজায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময় করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক দীপক কুমার রায় ও জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
    রাণীশংকৈল উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সইদুল হকের সভাপতিত্বে ছাত্রলীগসহ আ.লীগের  অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ
    ও বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
    সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য নেতাকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাণীশংকৈল উপজেলা আ.লীগের সহ- সভাপতি মুক্তার আলম ও এমএ মমিন,   সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হোসেন বিপ্লব, মামুনুর রশিদ এলবার্ট ও গোলাম সারোয়ার বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ  সম্পাদক আব্দুর রশিদ, পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক মহাদেব বসাক, সাবেক যুবলীগ সভাপতি আলমগীর সরকার, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কৃষক লীগ সভাপতি বাবর আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি  সোহেল রানা সম্পাদক আরথান আলী প্রমূখ।
  • রামপালে চোর চক্রের মূল সদস্য গ্রেফতার।

    রামপালে চোর চক্রের মূল সদস্য গ্রেফতার।

    বাগেরহাটের রামপালে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরাই নছিমনসহ চোর চক্রের মূল হোতা মোঃ আব্বাস শেখ(৩৫)নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
    ৩ জুন শুক্রবার রাত ১২.৩০ টায় ফয়লাহাট পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মোঃ ইসমাইল হোসেন ও এএসআই আল আমিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার ফয়লা বাজারের মৎস্য আড়ৎ এর সামনে থেকে অভিযান চালিয়ে চোরাই নছিমনসহ
    আব্বাসকে গ্রেফতার করে।
    গ্রেফতারকৃত মোঃ আব্বাস শেখ উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের  মানিকনগর গ্রামের মৃত মোন্তাজ শেখ’র পুত্র।
    রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আশরাফুল আলম জানান,  ফয়লা বাজারের মৎস্য আড়ৎ এর সামনে থেকে চোর চক্রের মূল হোতা আব্বাসকে চোরাই নছিমনসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।  আসামীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • রাণীশংকৈলে জিনের পুতুলে প্রতারণা’ চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার।

    রাণীশংকৈলে জিনের পুতুলে প্রতারণা’ চক্রের ৮ সদস্য গ্রেপ্তার।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    জিনের স্বর্ণের পুতুল দেওয়ার কথা বলে মানুষকে বিভিন্ন লোভ লালসা দেখিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের কোচল এলাকার আলোচিত প্রতারক চক্রটির তিন পুরুষ ও ৫ নারী সহ মোট ৮জন সদস্যকে অবশেষে গত শুক্রবার মধ্যেরাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।
    প্রতারণার চক্রটির মধ্যে গ্রেফতার কৃতরা হলেন, রুমা আক্তার,ঝর্ণা আক্তার,আমেনা বেওয়া,রুপালী আকতার,পারুল আকতার ও বিপ্লব,সুমন, মারুফসহ মোট ৮জন।
    আলোচতি এ প্রতারক চক্রটির আটকের বিষয় নিয়ে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে করে। সংবাদ সম্মেলনে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান, উপজেলার কোচল এলাকার নাজমা ওরফে ছুটুনি বুড়ি, তার ছেলে রুবেল, মেয়ে জামাই আকাশ আলী মিলে জিনের স্বর্ণের পুতুল প্রতারণার এ চক্রটি পরিচালনা করে আসছে। তারা মানুষকে প্রতারিত করাসহ বিভিন্ন হয়রানী করে থাকেন। এই প্রতারক চক্রটি গত বৃহস্পতিবার দিনাজুপর জেলার সেতাবগঞ্জ থানা এলাকার মাইনুল হোসেনকে স্বর্ণের পুতুল দেওয়ার কথা বলে, ছুটুনি বুড়ি তার বাড়ীতে মাইনুল হোসেনকে ডেকে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
    একইভাবে দিনাজপুর জেলার বিরল থানা এলাকার উম্মে কুলসুম নামে এক নারীর নিকট সাড়ে ৩লাখ টাকা একই কায়দায় হাতিয়ে নিয়ে পুতুল না দিয়ে তাদের উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে ভুক্তভুগীরা থানায় আশ্রয় নিলে। রাণীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাটি আমলে নিয়ে। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৮জন সদস্যকে গ্রেফতার করে।
    তবে প্রতারক চক্রের মুল হোতা নাজমা ওরফে ছুটনি বুড়ি ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়েছেন জানিয়ে ওসি বলেন, তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। ওসি গুলফামুল ইসলাম মন্ডল আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের হবে। এবং ছুটুনি বুড়ির অন্যতম সহযোগি ছেলে রুবেল ও মেয়ে জামাই আকাশকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে