Tag: সংঘর্ষ

  • উল্লাপাড়ায় শ্রমিক অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১।

    উল্লাপাড়ায় শ্রমিক অফিস দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-১।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শ্রমিক অফিস দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক শ্রমিক নেতা গুরুতর আহত হয়েছে। পরে উভয় পক্ষ পাল্টা পাল্টি মহড়া দিয়েছে। দেশীয় অস্ত্রের ঝংকারে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে শহরের অলিগলি।

    এ ঘটনার আগে উভয় পক্ষের মধ্যে শ্রমিক অফিস দখল করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং দুই পক্ষকে নিয়ম অনুযায়ী কাগজ পত্র তৈরী করতে বলেন।

    শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেনের ছোট ভাই রাশেদের নেতৃত্বে ১০/ ১৫ জন থানার সামনে দিয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা ও এসএস পাইপ হাতে নিয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হয়ে গুলিস্তানে গিয়ে শ্রমিক অফিসে হামলা করে ভাংচুর ও শ্রমিকদের মারপিট করে।এ ঘটনায় এক শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পরলে শ্রমিক গ্রুপের আরেক পক্ষের নেতা মিজানুর রহমান বাবুর লোকজন এসে রাশেদের লোকজনকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে।

    এসময় পুরো শহরের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, ভয়ে দোকান মালিকগণ মার্কেটের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। সপ্তাহে শুক্রবার উল্লাপাড়া বড় হাটবার। এই দিন গ্রামাঞ্চালের মানুষ হাট করতে আসে। অস্ত্র ঝংকারের মহড়ায় মানুষ ভয়ে এদিকসেদিক ছুটে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে।
    ঘটনার একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)
    মো.রাকিবুল হাসান জানান,এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দেননি। অভিযোগ দিলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • বাঘায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু।

    বাঘায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কিশোরের মৃত্যু।

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ  রাজশাহীর বাঘায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরহী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

    জানাযায়, ১৩ জানুয়ারী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বানেশ্বর – ঈশ্বরদী আঞ্চলিক সড়কের বাঘা উপজেলার  মনিগ্রাম ইউনিয়নের বিনোদপুর সাজির বটতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে ।

    এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয় । পরে দেখা যায় একটি মোটরসাইকেল বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে সরাসরি ধাক্কা দেয় । এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন আরহী ছিটকে রাস্তায় পরে যায়। এসময় পেছনে থাকা একটি আখ পরিবহনের ট্রাক্টর দুই   জনকে চাপা দিয়ে চলে যায় ।

    এসময় এলাকা বাসী তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে দুই জনের  অবস্থা আশংক্ষা জনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের দুই জনকে  মৃত ঘোষণা করেন।

    জানাযায় , নিহত দুইজনের বাড়ি লালপুর উপজেলার মোমিনপুর বাকনা গ্রামের মোঃ বাবর আলীর ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ (১৬) ও একই গ্রামের মানিক হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন (২১)। এবং আহত হামজা আহম্মেদ দিপু প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যান।

    এলাকাবাসি জানায় এই জায়গায় প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও গায়ে হলুদের দিনে জুয়েল নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

    এবিষয়ে বাঘা থানার এস আই মোঃ ইমরান আলি জানান , খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমরা যায়। আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখান থেকে আমরা দুরঘটনা কবলিত মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।  তবে ঘাতক ট্রাক ও ট্রাক্টরটি পালিয়ে গেছে ।

  • কালিয়াকৈরে ট্রাক ও অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত-৩, আহত-১।

    কালিয়াকৈরে ট্রাক ও অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিহত-৩, আহত-১।

    কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

    গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় ট্রাক ও অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রিপন মিয়া নামে আরেক যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, উপজেলার নয়ানগর এলাকার গোপাল চন্দ্র রায়ের ছেলে অয়ন রায়, সুত্রাপুর এলাকার মৃত বাসুদেব দাসের ছেলে সুদেব সুদেব দাস, বড়গোবিন্দপুর এলাকার অটোচালক করিম মিয়া।
    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানয়, জৈনা বাজার থেকে কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা অপরিক্সাটি মেদি কাঞ্চনপুর এলাকায় পৌঁছালে ইট বোঝা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলে অটো রিক্সা যাত্রী অয়ন রায় ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং গুরুতর অবস্থায় বাকি তিনজনকে টাঙ্গাইল মির্জাপুর কুমুদিনী হসপিটালে নেওয়ার কর্তব্যরত ডাক্তার অটোচালক করিম মিয়া ও সুদেব রায়কে মৃত ঘোষণা করেন ও রিপন মিয়ার অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকায় ফজিলাতুন্নেসা হসপিটালে রেফার করা হয়।
    কালিয়াকৈর থানার এস আই মোঃ জাহিদ হাসান বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে একটি লাশ উদ্ধার করি এবং জানতে পারি হসপিটালে নেওয়ার পর আরো দুইজন মারা গেছে ও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হসপিটালে ভর্তি আছে। তবে ঘাতক ট্রাক আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

  • কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১।

    কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত-১।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চাঁদা উঠানো কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আবুল কালাম(২৪)নামের এক যুবক নিহত হয়েছে ।নিহত কালাম টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মসদই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।বর্তমানে কালামের পরিবার উপজেলার কালাম পুর এলাকার খাজার ডেক নামক স্হানে ভাড়া থাকেন।
    স্হানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে নিহত কালাম, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের কলেজ ছাত্রলীগ শাখার নেতা ছিলেন।স্হানীয় সন্ত্রাসী পিচ্চি আকাশের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাঁদা উঠানো ও আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিলো।পিচ্চি আকাশ সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে এলাকায় আসেন। গত শনিবার রাত ৮ টার দিকে কালাম তার দল বল নিয়ে স্থানীয় “আল্লাহর দান” নামের একটি বেকারিতে চাঁদাবাজি করতে গেলে পিচ্চি আকাশ সংবাদ পেয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কালামের উপর হামলা চালায় একপর্যায়ে পিচ্চি আকাশের লোকজন পিটিয়ে কালামকে মারাত্মক আহত করেন। পরে স্থানীয়রা কালামকে উদ্ধার করে, প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিন হসপিটালে স্থানান্তর করেন। সেখানে কালাম মারা যান।
    কালিয়াকৈর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেননি। তবে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিহতের পরিবার বা স্বজনেরা লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • বাহুবলে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে ৪ গ্রামের সংঘর্ষে-পুলিশসহ শতাধিক আহত।

    বাহুবলে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে ৪ গ্রামের সংঘর্ষে-পুলিশসহ শতাধিক আহত।

    অনলাইন ডেস্কঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে ৫ টাকা টমটম অটোরিকশার ভাড়াকে কেন্দ্র করে চার গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

    রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের বাড়ি-ঘর দোকানপাঠে হামলা ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    জানা গেছে, উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে টমটম অটোরিকশার ৫ টাকা ভাড়া দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয় পার্শ্ববর্তী গ্রাম কবিরপুরের এক ব্যক্তির। এ নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিষয়টি উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কবিরপুর গ্রামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ভেড়াখাল গ্রাম ও সাতপাড়িয়া গ্রামের পক্ষে অবস্থান নেয় বহরুয়া গ্রাম। ভয়াবহ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত শতাধিক লোকজন আহত হয়।

    এদিকে, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপর সংঘর্ষ চলায় সড়কের দু’পাশে আটক পড়ে শত শত যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সংঘর্ষ চলায় দীর্ঘ হতে থাকে যানবাহনের সাড়ি। পরে বাহুবল থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

    এ বিষয়ে বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম বলেন, টমটম অটোরিকশার ভাড়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ অনেকেই আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

     

  • মৌলভীবাজারে পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ আরোহী নিহত।

    মৌলভীবাজারে পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ আরোহী নিহত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের রাজনগরে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।
    সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, রাত সাড়ে আটটার সময় রাজনগরের ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের মশুরিয়া মাদ্রাসার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
    নিহত দুজন হলেন, রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের সুপরাকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রাফি আহমদ (২১) ও হলদিগুল গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে সাকিন আহমদ (১৯)। দুজনই ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। অপর মোটরসাইকেল আরোহী রাজু ধর (১৮) গুরুতর আহত হয়েছেন। রাজু ধর উপজেলার খলাগাঁও গ্রামের মনজু ধরের ছেলে।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোটরসাইকেলে করে সমবয়সী তিনজন নিজ এলাকা থেকে মৌলভীবাজার শহরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের মশুরিয়া নামক স্থানে মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন মোটরসাইকেল আরোহী তিনজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রাজু ধরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
    রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মুবাশ্বির সড়ক দুর্ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিকআপ ভ্যানের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় এনেছি। ঘটনার পর থেকেই পিকআপচালক পলাতক রয়েছেন। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।
  • মোটরসাইকেল ও সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত।

    মোটরসাইকেল ও সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত।

    মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মোটরসাইকেল ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী হামাদন সোহান(২১) নামের কলেজ ছাত্র মারা গেছে। নিহত সোহান মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের বাকী দুই আরোহী আহত হয়েছে। নিহত হামদান সোহান মৌলভীবাজার শহরের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার মঈন আহমদ এর ছেলে।
    আজ শনিবার ৯ নভেম্বর,সকালে উপজেলার ধলাই নদীর চৈত্রঘাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটনাটি ঘটে।
    এ ঘটনায় তার সাথে থাকা অপর আহত দুজন তার আপন ছোট ভাই ও তার এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক তাদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে হামদান সোহান তার ছোট ভাই সহ বন্ধুকে নিয়ে তিনজন একই মোটরসাইকেল যোগে চৈত্রঘাট ব্রিজের কাছে পৌঁছালে, বিপরীত দিক থেকে একটি দ্রুতগামী সিএনজি’র সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালের নিয়ে গেলে সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
    বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান।
  • মাইকিং করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত-১০।

    মাইকিং করা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত-১০।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির মাইকিং করাকে কেন্দ্র করে রেদো সাহা এবং আলম শাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন এবং দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে এদিন রাতে মো. নুর আলম সাহার ছেলে মো. সোহেল এবং তমিজ উদ উদ্দিনের ছেলে বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ৯টায় গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে রেদো সাহা ও আলম শাহা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    এতে রেদো সাহা গ্রুপের লেলিনের ছেলে উৎপল গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য আহতরা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া বাজারে তারেক রহমান নামে একটি ক্লাব আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি মাইকিং বের করা হয় যার নেতৃত্ব দেন আখতারুল। তিনি গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম গ্রুপের সদস্য। আখতারুল নিজেকে তারেক রহমান ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন।

    পরবর্তীতে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি রেদো সাহা বিষয়টি জানতে পেরে তার লোকজন পাঠিয়ে সেই মাইকিংয়ের মেমোরি কার্ড নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবারও আক্তারুলের লোকজন মাইকিং বের করে। পরে রেদো সাহার লোকজন আবার এলে তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি এবং এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আখতারুল গ্রুপের শ্রাবণ, রেদো সাহা গ্রুপের উৎপলের বুকে খুর মারেন। এতে উৎপল গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আনা হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে উৎপল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হন রেদো শাহা গ্রুপের, হাসান, নুর মোহাম্মদ, বাপ্পি ও মিলটন এবং আলম শাহ গ্রুপের রাশেদ অন্তর।

    এ ঘটনায় উৎপলের মা করুনা রানী বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় ১০ জনের নামে ও অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে এদিন রাতে সোহেল ও বুলবুলকে আটক করে পুলিশ।

    গড়েয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সাহকে রাতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে তবে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে এখনই আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। আগামীকাল (শনিবার) আপনার সঙ্গে দেখা করে বলবো।

    এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি রেদো সাহা বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

    ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত্রে গড়েয়া ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে উৎপলের মা বাদী হয়ে শুক্রবার সদর থানায় একটি মামলা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এদিন রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করি।

  • মিয়া খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ,নিহত-১।

    মিয়া খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ,নিহত-১।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফখরুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।
    সোমবার ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং, এ ঘটনায় সুমনা (২৩) নামে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
    হতাহতের বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ মাহবুবুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করে বলে, গতকাল রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আগিউন গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ফখরুল মিয়া আপার কাগাবলা ইউনিয়নের আগিউন গ্রামের আব্দুল বাছিত মিয়ার ছেলে। হতাহতের ঘটনার পর রবিবার রাতে থানায় মামলার দায়ের করা হয়।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ফখরুল মিয়া খালে মাছ ধরতে যান। এ সময় একই এলাকার গোলাপ মিয়ার সঙ্গে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোক জড়ো হলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ফখরুল মিয়ার ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত ফখরুল মিয়াকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
  • ছাগলে মসজিদের আম গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত-১।

    ছাগলে মসজিদের আম গাছের পাতা খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত-১।

    গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহী গোদাগাড়ীতে ছাগলে স্থানীয় মসজিদের আম গাছের চারা – পাতা খাওয়া কেন্দ্র করে,১৫ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৩ টার সময় দিগরাম ঘুন্টিঘর এলাকায় মোঃ সাদেকুলের ছাগলে স্থানীয় মসজিদের আম গাছের পাতা খায়। ওই দিন সন্ধ্যা পণে টার সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক মেম্বর নিজাম উদ্দিন, সাদেকুলকে ডেকে তার ছাগল মসজিদের আমগাছের পাতা খাওয়ার বিষয়ে বললে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর কিছুক্ষন পর ঘটনাস্থলে আরিফুল ইসলাম,জামাল হোসেন,মজিবর হোসেনসহ আরো অনেকে লাঠিসোটাসহ উপস্থিত হয়ে পূর্বের বিষয় নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতির সাথে তর্ক বিতর্ক শুরু করেন।

    এসময় মোঃ রুহুল আমিন(৪২) দিগরাম ঘুন্টিঘর সভাপতির পক্ষ নিয়ে কথা বললে তার উপর চড়াও হয় এবং বাঁশের লাঠি, ইট দিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাকে রক্ষার জন্য হাজরাপুর গ্রামের মোঃ নাজিরুল ইসলাম আগাইয়া আসলে তাকেও মারপিট করে জখম করে। এক পর্যায়ে গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গোদাগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। নাজিরুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় যায়।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন এই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলার রুজু করা হয়েছে।এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার এর চেষ্টা অব্যাহত আছে।