Tag: শীত

  • দিনাজপুরে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় মানুষ কাঁপছে।

    দিনাজপুরে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় মানুষ কাঁপছে।

    দিনাজপুর প্রতিনিধি

    দিনাজপুরে বইছে ঠান্ডা হিমেল বাতাস ও চারিপাশে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা রয়েছে বেশ।

    গেল কয়েকদিন থেকে দিনাজপুরে বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।

    মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৬:০০ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬ টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৩% এবং গত ২৪ ঘন্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৩ কিলোমিটার। চূড়ান্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৯ টার পর জানানো হবে।

    সরেজমিনে সকালে ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা বইছে তীব্র হিমেল বাতাস। আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কিছুটা কাহিল হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন। অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো। দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মিললেও ঠান্ডা বিরাজমান। কাজে যাচ্ছেন না অনেকেই। ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

    শৈত্যপ্রবাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু সহ বৃদ্ধারা। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস  শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও পাতলা পায়খানা  রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।

  • শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে: তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: শীত ও ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল। জেঁকে বসেছে শীত। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
    আজ সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, সকাল ৯টার সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। কুয়াশা ভেদ করে ঝলমলে রোধ উঠায় শীত কম অনুভূত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের কোনো কোনো এলাকায় ম‍ৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
    এদিকে গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি ওঠানামা করছে। রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন শনিবার ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
    শীতের দাপট বেড়েই চলছে এই জনপদে। এতে চা বাগানের চা শ্রমিক ও হাওর এলাকার দিন মজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে বিপাকে। শীত অনুভূত হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। শীত উপেক্ষা করে পেটের দায়ে শ্রমিকরা মজুরির আশায় কাজে যাচ্ছে। না হলে চুলায় আগুন জ্বলবে না তাই এমন শীতে জুবুথুবু হয়ে পেটের দায়ে পরিবারের খাবার  যোগাড় করতে অনেকেই ঘর থেকে বের হয়েছেন। আবার অনেকেই তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না বলে জানা যায়।
    ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে ফলে শ্রীমঙ্গল শহরের সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে। তাই শীতের কারণে রোজগার কম হচ্ছে ও শীতে বড় বেশি কষ্টে আছে বলে জানান ভ্যান গাড়ি চালক ও রিকশাচালক এবং এলাকার খেটে খাওয়া  দিন মজুর মানুষরা।
  • ডিমলায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত।

    ডিমলায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত।

    ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় তীব্র শীত উপক্ষো করে কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত । উপজেলার দশটি ইউনিয়ন-বালাপাড়া, ডিমলা, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, নাউতারা ইউনিয়নের কৃষকেরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েকদিন থেকে দেখা যায়, কনকনে তীব্র শীতে উপজেলার বুড়ি তিস্তা নদীর পূর্বপাশ সংলগ্ন বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা ও দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষকেরা বোরো ধান রোপন করছেন । অনেক কৃষকের ধান রোপন শেষের দিকে।  ২৫ জানুয়ারী (শনিবার) সকাল ৯ টায় সরে জমিনে দেখা যায়, উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের কচি চারা রোপনের জন্য শ্রমজীবি শ্রমিকরা ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছেন, কেউবা ধানের কচি চারা উঠানো কাজে ব্যস্ত, কেউ জমিতে মই টানছেন, কেউ কোদাল দিয়ে আইল ছাটানোর কাজ করছেন আবার কেউ জমিতে ধানের চারা সারি সারি লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, জমি বর্গা নিয়ে হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করেছি। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবারে বোরো ধানের চাষাবাদে খরচ বেশি। ট্রাক্টরের ভাড়া, শ্রমিকের দাম, সার, ডিজেল, কীটনাশক সহ সেচমুল্যের দাম উর্দ্ধগতি। আমাদের জমিগুলো নিচু, এক ফসল ছাড়া দুই ফসল ঘরে তুলতে পারি না তাই হাইব্রীড জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করছি। কৃষক সোহরাব আলী জানান প্রাকৃতিক দূয্যোর্গ বন্যার পানিতে বুড়িতিস্তা নদীর পূর্বপাশ ঘেষে বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা গ্রামের কচুবাড়ীর দলায় অবস্থিত একটি বাঁধ আছে সামান্য বন্যার পানিতে বাঁধটি ভেঙ্গে যায়। বাঁধটি সম্পূর্ণ মেরামত করা জরুরী প্রয়োজন। আমাদের এলাকার নিজ সুন্দর খাতা, মধ্যম সুন্দর খাতা, দক্ষিন সুন্দর খাতা গ্রামের প্রায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপন করতে পারি না। বোরো ধান কর্তনের সময় বন্যার পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহে ইরি ধান রোপন করছি। স্থানীয় জমির মালিক জমসের আলী জানান, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে বুড়ি তিস্তা নদীটি খননের উদ্দ্যোগ গ্রহন করলে এ এলাকার কৃষকেরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি এ এলাকার কৃষকের ফসলি জমি বাড়বে। এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মীর হাসান আল বান্না বলেন, কৃষকেরা আমাদের প্রান। উপজেলার কৃষকেরা তীব্র শীত উপক্ষো করে বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত। এবছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১১,২৯২ (এগারো হাজার দুইশত বিরানব্বই) হেক্টর। এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ১১.৮ মেট্রিক টন বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। জাতগুলো হলো-এস,এল,এইট,এইচ, ময়না, টিয়া, ব্যাবিলন সুপার, এসিআই-১ ও ২ এবং উইনল ইত্যাদি। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আব্দুল খালেক বলেন, ডিমলা উপজেলা কৃষি অফিস হইতে স্থানীয় কৃষকদের তীব্র শীতে চলতি বোরো মৌসুমে সর্বাত্মক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে। স্থানীয় কৃষকেরা এ উপজেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের জনগনের খাদ্য চাহিদা পুরন করতে সক্ষম হবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
  • শীতের দাপটে কাবু ছিন্নমূল মানুষ,ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা সড়ক পথ বিপাকে যানবাহন চালক।

    শীতের দাপটে কাবু ছিন্নমূল মানুষ,ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা সড়ক পথ বিপাকে যানবাহন চালক।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কনকনে শীতের কারণে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।
    গত কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া। পড়েছে বৃষ্টির মত পড়ছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে মাঠ ঘাট, পথঘাট সব ঢাকা পড়েছে। বেলা বেড়েছে তবুও দেখা নেই সূর্যের।
    শুক্রবার রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যমতে ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
    সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকদিন থেকে এ উপজেলার সকল এলাকা কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাফেরা করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। একদিকে কনকনে শীত অন্যদিকে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধু মানুষই নয় এই শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষি ও প্রাণিজগতেও৷
    এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। অনেককে খড়কুটো, কাঠ খড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছ।
    ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা ঠাকুরগাওয়ের গ্রামাঞ্চল।
    এ বিষয়ে কথা হয় ভবান্দপুর এলাকার বাসিন্দা নাইম ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, কনকনে শীতের কারণে আমার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে আমি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
    অন্যদিকে হোটেল শ্রমিক নিতাই চন্দ্র বলেন, মানুষ শীতেই বাড়ি থেকে বের হয় না। এই শীতের কারণে আমরা তেমন কাজকর্ম করতে পারছি না। আমাদের আয় কমে গেছে। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না।
    নেকমরদ এলাকার জুতা ব্যবসায়ী  সেকেন্দার আলী বলেন, হঠাৎ করে কয়েকদিন ধরে আবার দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত। কুয়াশার কারণে কোনো দিকে কিছু দেখা যাচ্ছে না। শীত প্রতিবছরই আমাদের জন্য দুর্ভোগ নিয়ে আসে।
    কয়েকজন গাড়ি চালক বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে চলা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ১০-১৫ গজ দূরে গাড়ির লাইটের আলোও কাজ করছে না।
    রিকশাচালক বসির উদ্দীন বলেন, ঠান্ডার কারণে এখন মানুষজন রিকশায় উঠতে চায় না। এ কারণে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
    এবিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) রকিবুল হাসান  বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও শীতের প্রস্তুতি আমরা গ্রহণ করেছি। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও আবেদন করেছি শীতবস্ত্রের জন্য আবারও। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি শীতার্ত মানুষ যেন শীত বস্ত্র পান এবার।
    এছাড়াও বিত্তবানদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।
  • শীত মৌসুমে রস সংগ্রহে-খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছীরা।

    শীত মৌসুমে রস সংগ্রহে-খেজুর গাছ প্রস্তুতে ব্যস্ত গাছীরা।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হালকা কুয়াশা গ্রাম গঞ্জের মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছে শীতের পূর্বাভাস। শীতের পূর্বাভাস দেখেই খেজুরের রস আহরণে গাছ প্রস্তুত করার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে উল্লাপাড়ার গাছিড়া। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে খেজুরের রস ঢগ ঢগ করে খাওয়ার স্বাদই আলাদা। এই সুস্বাদু খেজুর রসের বাহার গ্রামাঞ্চলের মানুষ ঐতিহ্য মনে করে বাড়ীর আঙ্গিনায় বা পুকুর পাড় বা রাস্তার ধারে লাগানো খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কেউ করছে সখের বসে,কেউ বা করছে জীবিকার তাগিদে। মিষ্টি রস থেকে অনেকেই তৈরি করছে খেজুরে গুড়। শীত ঘনীভুত হলে সকালে বাড়ির উঠানে রোদে বসে নিজের হাতে তৈরি করা গুড় দিয়ে মুড়ি,ভাপা পিঠা ও দুধের পিঠা তৈরির নবান্ন উৎসবে মেতে উঠে অজোপাড়া গাঁয়ের মানুষ। এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক ভাবে কউ খেজুর গাছ চাষ করে না।

    গাছিদের নিপুণ হাতে দা আর কোমরে দড়ি বেঁধে গাছ চাঁচাছেলার কাজে রয়েছে আলাদা নিপুণতা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমরে(দড়ি)বেঁধে গাছে ঝুলে রস সংগ্রহের কাজ করে থাকেন।ক’দিন পর থেকে শুরু করবেন রস সংগ্রহের কাজ। প্রতিদিন বিকেলে ছোট-বড় মাটির হাঁড়ি গাছে বেঁধে রাখবেন।সারা রাত রস ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ে হাড়ি পূর্ণ হবে। গাছিরা সকালে রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মেটায়। কেউবা রস জাল করে খেজুরে বা পাটালি গুড় তৈরি করে থাকেন। আনসিজনে ভালো দামের আশায় গুড় সংরক্ষণ করেন।
    উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের পঞ্চক্রোশী গ্রামের মোক্তার হোসেন নামের গাছি প্রতিবেদককে জানান ক’দিন পর থেকে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়বে এ কারনে খেজুর গাছের আবর্জনা পরিষ্কার ও চাচাছেলার কাজ করছি। পর্যাপ্ত খেজুর গাছ ও রস জাল করার উপকরণ না থাকায় আমরা গুড় তৈরি করে বিক্রি করতে পারি না। রাতে হাড়ি লাগিয়ে ১০/১২ কেজির মতো রস পাওয়া যায়। সকালে বাজারে কাঁচা রস বিক্রি করে চাল ডাল কিনে ছেলে মেয়ে নিয়ে দু’বেলা খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।

    কৃষি উপ-সহকারি কর্মকর্তা মো.ওয়াজেদ আলী জানান উপজেলায় কোথাও বাণিজ্যিক ভাবে খেজুর বা তালের চাষ হয় না। বিদ্যুৎ চমক থেকে রক্ষার পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু তালগাছ রোপণ করা হলেও খেজুর গাছ রোপন করা হয়নি। প্রকৃতির আদলে জমি,রাস্তা বা বাড়ির আঙ্গিনায় কিছু খেজুর বা তালগাছ জন্ম নেয়। গাছিরা ওই সকল গাছ থেকে শীত মৌসুমে রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে। গ্রামাঞ্চল মানুষের পুরাতন ঐতিহ্য প্রকোপ শীতের সকালে সুমিষ্টি খেজুর রস ও খেজুরে গুড়ের দুধের পিঠা,ভাপা পিঠা,মুড়ি খাওয়ার উৎসব করে থাকে।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ।

  • চায়ের রাজধানী নামে খ্যাতো শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি।

    চায়ের রাজধানী নামে খ্যাতো শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: চায়ের রাজধানী নামে খ্যাতো মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হঠাৎ শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বয়ে যাচ্ছে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়া। শীতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ভোর পর্যন্ত হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যায়।
    বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, সকাল ৬টার সময় শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে জেলা আবহাওয়া অফিস। এদিকে ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহে এসে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলাবাসীকে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে।
    শ্রীমঙ্গলের শহরতলী হবিগঞ্জ রোডের পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় ভাই ভাই ভ্যারাইটিজ স্টোরের দোকানের মালিক ও একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ দুলাল মিয়া বলেন, শীত কমে গেছে ভেবে গত মাসেই আমরা শীতের কাপড়-চোপড়, কম্বল, লেপ সব রোদে শুকিয়ে ওয়ারড্রবে গুছিয়ে রাখি। কিন্তু হঠাৎ মাঘ মাসের শীত আসবে কে জানে। তাই রাতটি শীতের কষ্টে কাটিয়েছি।
    শহরতলী পল্লী বিদ্যুৎ সংলগ্ন এলাকায় রাতে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন মোঃ রমজান মিয়া। তার সঙ্গে আলেপকালে তিনি বলেন, আমি হাত লম্বা একটি শার্ট পড়ে পাহারা দিতে এসে শীতে কাবু হয়ে গিয়েছি। কারণ শীতের জ্যাকেট বাসায় রেখে দিয়েছিলাম, আর বের করিনি। মার্চ কিংবা ফাল্গুনেও যে শীতের প্রকোপ বাড়ে এটা কখনও শুনিনি, অনেক কষ্ট সহ্য করে ডিউটি করলাম।
    শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ রোডের পুরান বাজার থেকে শাহজিরবাজার রোডের টমটম চালক মোঃ জাহির মিয়া বলেন, বাসা থেকে শুধু একটি পাঞ্জাবি পরে টি শার্ট পড়ে গাড়ি নিয়ে বের হই। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত বাড়ায় বিপাকে পড়ি। তাই রাত ১১টার আগেই গাড়ি বন্ধ করে বসায় চলে আসি।
    শ্রীমঙ্গল ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার সূত্রে জানা যায়, গরমের মৌসুমে হঠাৎ শীত বাড়ায় উপজেলায় বেড়েছে ঠাণ্ড, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ।
    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিবলু চন্দ্র দাশ জানান, গত এক সপ্তাহে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৭ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করে। বুধবার শ্রীমঙ্গলে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, সকালে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
    আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিস জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, ভোর ৬টার সময় উপজেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
  • ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজারের জনজীবন।

    ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজারের জনজীবন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন মৌলভীবাজার জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ।
    গত কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে চলছে শীতের দাপট। তাপমাত্রার পারদ যত কমছে, ততই শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ সঙ্গে হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশা থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
    জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে হাঁড় কাপানো শীতে একেবারে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে জনজীবন। মৌলভীবাজার জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম, সিএনজি চালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
    ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মৌলভীবাজারের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন মানুষের আনাগোনা নেই। জেলার প্রধান সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে।
    মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    পাহাড় আর হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজারে কনকনে শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
    গেল কয়েকদিন থেকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে কম। চলমান কনকনে এ ঠান্ডায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাইও। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়লে কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। যতই দিন যাচ্ছে জেলার তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
    কুয়াশা, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও মৃদু বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে হাওর পাড়ের মৎস্যজীবী, চা শ্রমিক, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
    জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীতে শীতকালীন ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই জেলা ৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
    তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। তবে তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে জেলায়।
  • হাড় কাঁপানো শীতে কাবু রাণীশংকৈলের জনজীবন।

    হাড় কাঁপানো শীতে কাবু রাণীশংকৈলের জনজীবন।

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন রাণীশংকৈল উপজেলার
    দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। হিমেল হাওয়া, কুয়াশা আর শীতের তীব্রতার কারণে ঘরের বাইরে কেউ তেমন বের হচ্ছেন না। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
    শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার কারণে গত পাঁচ থেকে ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাণীশংকৈলে।
    রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
    শীতল সমীরণ, যা হাড় কাঁপিয়ে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় এই সপ্তাহে শীতের অনুভূতিও বেশি ছিল। কনকনে শীতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
    বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। শীত নিবারণে মানুষকে বিভিন্ন স্থানে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সোয়েটার, জ্যাকেট, শাল-চাদর, মাফলার-কানটুপিসহ গরম জামা-কাপড়ের কদর। ফলে বাজারে গরম পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।
    উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষ। দিনভর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। বেড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুদের জ্বর, সর্দি ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ ।
    নেকমরদ এলাকার খোকা মিয়া বলেন, ‘ঠান্ডা গাওত কাটি বইসোছে। ঘরোত একটা কম্বলও নাই। রাইতোত খুব কষ্ট হয়। নদী থাকি হু-হু করি ঠান্ডা বাতাস আইসে। এই ঠান্ডা শুরু হইলে হামার গরিবের কামাই কমে, কষ্ট বাড়ে।’
    পৌরশহরের রিকশাচালক আব্দুল মালেক বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে ঠান্ডার কারণে সকাল সকাল দোকানপাট খুলছে না। যেখানে দুপুরের আগে আমি দেড়-দুই শ টাকা ভাড়া পাই, এখন পঞ্চাশ টাকাও হাতে
    আসছে না।’
    এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। শীতে কাতর মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে; বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে।
    কাজে বের হতে পারছে না শ্রমজীবী মানুষ। দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে হতদরিদ্র পরিবারগুলোর শিশু ও বৃদ্ধদের। বাজার ও বাস টার্মিনালে ছিন্নমূল মানুষ অতিকষ্টে শীত নিবারণ করছে।
    রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামাদ চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় সর্দি-জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে বেশি আসছেন।’যার অধিকাংশ শিশু।
    চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুদের বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। নতুবা ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখা বাড়বে।
    তবে শীতকালীন ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, পেঁয়াজ, মরিচ ও বোরো ধানের বীজতলা শীত বা কুয়াশায় থেকে রক্ষা পেতে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ ও লিফলেট দেওয়ার কথা জানান রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
    ধর্মগড় এলাকার সহিদুল ইসলাম  বলেন, ‘ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা পাইনি। কুয়াশায় চারদিক অন্ধকার হয়ে আছে। এত ঠান্ডা যে, ঘরে থাকা যায় না। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা।’
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)রকিবুল হাসান জানান, ‘দরিদ্র শীতার্তদের জন্য বরাদ্দ পাওয়া সাড়ে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। আরও বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।’
  • ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই চায়ের রাজ্যে হিমেল বাতাসে কনকনে বাড়ছে শীত।

    ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই চায়ের রাজ্যে হিমেল বাতাসে কনকনে বাড়ছে শীত।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিনঃ ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কনকনে শীতের দাপট চলছে মৌলভীবাজার জেলায়। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে হাঁড় কাপানো শীতে একেবারে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে আকাশ-প্রকৃতি।
    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল-সহ অন্যান্য উপজেলা পর্যটন নগরী হওয়ায় প্রকৃতিপ্রেমীরা এসে চা গাছ দেখে তার নিবিড় স্পর্শ নিতে চান আপন হাতে। যারা পরিবেশের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন, সেসব পর্যটকের জন্যই অধীর আগ্রহে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে চা বাগানের শীত সকাল।
    এ সময় মৃদু কুয়াশায় ভরা থাকে। দূরে চোখ যেতেই দেখা মেলে শীতার্ত প্রাকৃতিক দৃশ্যের। চা গাছের পাতায় জমেছে শিশিরকণা। পাকা সড়ক থেকে নেমে চা বাগানের চা গাছেদের অন্তঃপুরে যেতে মন চায়।
    কিন্তু কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ার কারণে গত দুই সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। যার ফলে সর্বসাধারণের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ, বাগানের চা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষজন।
    বিশেষ করে হাড়কাঁপানো শীতে শীতজনিত রোগ সর্দি-কাশি, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানিসহ শীতজনিত নানা রোগ নিয়ে শিশু এবং বয়স্করা ভর্তি হয়েছেন জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে।
    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকালে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং আরও বেশি অনুভূত হতে থাকবে হিমেল বাতাসে কনকনে শীত।
  • চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে কমছে তাপমাত্রা-বাড়ছে শীতের প্রকোপ।

    চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে কমছে তাপমাত্রা-বাড়ছে শীতের প্রকোপ।

    নিজস্ব প্রতিবেদক, জালাল উদ্দিন। বাংলাদেশের চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, দেশের শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আজ পহেলা ডিসেম্বর বিকেল থেকে শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ী অঞ্চলে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
    শ্রীমঙ্গলের সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিন থেকে শীত পড়েছে আমাদের এলাকায়। বিশেষ করে রাতেও প্রচন্ড শীত অনুভূত হয়। আজ বিকেল থেকে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বেও বলে তিনি জানান।
    শ্রীমঙ্গলের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার একাধিক চা শ্রমিকরা বলেন, চা বাগান ঘেরা শ্রীমঙ্গলে গত সপ্তাহ থেকে শীত নেমেছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বিকেল থেকে তীব্র শীত নেমেছে বলে জানান তারা।
    শ্রীমঙ্গল ভৈরবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ/অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মুতালিব বলেন, পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিল হাওরে এখন অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। এছাড়াও বিল, জলাশয়, চা-বাগান লেক-এ অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে অতিথি পাখির কলতানে হাওর, বিল, লেক ও জলাশয়গুলো পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত হয়ে উঠবে। ফলে পর্যটক, দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিপাসুদের আগমন শুরু হবে।
    এদিকে শীত জেঁকে বসার আগেই উপজেলায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। শীত বরণে এক অন্য রকম প্রস্তুতি। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে এখানকার প্রকৃতির রূপ। সকালে সবুজ ঘাসে জমছে নিশির শিশির। ভোরে কুয়াশাও পড়ছে। তবে জেলার চা বাগানগুলোতে শীত একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে।
    আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শ্রীমঙ্গল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর রবিবার ১৪ ডিগ্রি ও সোমবার ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো। মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে হয় ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে বুধবার ফের ১৪. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিলো ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
    শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস সন্ধা সময় মুঠোফোনে বলেন, আজ ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ইং, সকাল ৯টায় এবং সন্ধা ৬টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
    তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছর নভেম্বর থেকেই শ্রীমঙ্গলে শীতের প্রকোপ থাকে। এবার একটু দেরিতে শীত নেমেছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে শীত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে।