Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে খামারিতে প্রতিহিংসার আগুনে খড়ের গাদা পুড়ে ছাই।

    লক্ষ্মীপুরে খামারিতে প্রতিহিংসার আগুনে খড়ের গাদা পুড়ে ছাই।

    লক্ষ্মীপুরে খামারিতে প্রতিহিংসার আগুনে খড়ের গাদা পুড়ে ছাই।


    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাতে প্রতিহিংসাবসত আমিন হাওলাদার নামে এক খামারির খড়ের গাদা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা তিনি বলতে পারেননি।

    মঙ্গলবার ২২/০৩/২২ইং দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন। এই ঘটনায় লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি। আমিন হালাদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামে তার খামারের পাশে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গরুর খাবারের জন্য প্রায় ২দুই লাখ টাকার খড় কিনে মজুত করেন তিনি। প্রতিবেশি রাজা মিয়া খামারের কাজে বিভিন্ন সময় তাকে বাধা দিতো। সম্প্রতি রাজার সঙ্গে তার বাকবিতন্ডাও হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজে অথবা লোক দিয়ে খড়ের গাদায় প্রতিহিংসাবসত আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আগুনে খড়গুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

    তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমিন হাওলাদারকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। অভিযুক্ত রাজা মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি। বাড়িতে ছিলেন না বলে জানায় তার পরিবারের লোকজনা।
    এই ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক জানান, ঘটনাটি কেউ আমাদের জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে সড়কের ধুলোয় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের জনজীবন।

    লক্ষ্মীপুরে সড়কের ধুলোয় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের জনজীবন।

    লক্ষ্মীপুরে সড়কের ধুলোয় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয়দের জনজীবন।


    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্তায় গ্রামীণ একটি সড়কের ধুলোয় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীয় জনজীবন। অবৈধ পাহাড়-ট্রলির দাপটে ধুলোর রাজ্যে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে গ্রামবাসী।

    প্রতিদিন শতাধিক অবৈধ পাহাড়-ট্রলি চলাচল করছে এই সড়কে। তবে এই বিষয়ে প্রভাবশালী মহলটির ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। সড়কে বর্তমানে হাঁটুসমান ধুলো জমে গেছে।
    রাস্তার ধুলোবালি প্রতিনিয়ত তাঁদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। ভাত খেতে গিয়েও থালায় বালুর দেখা পান এলাকার বাসিন্দারা। আর বালুর আবরণে ঘর-বাড়ি, আসবাব, আঙিনায় থাকা শাকসবজি এবং ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। রান্না করা খাবারেও মিশে যাচ্ছে ধুলোবালি। গত বুধবার বিকেলে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

    স্থানীয়রা গোপনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও প্রকাশ্যে কিছু বলতে রাজি নয়। এই জন্য তারা সংবাদকর্মীদের কাছেও নিজের নাম-পরিচয় বলতে চাননি। তাঁদের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলা শতাধিক ট্রাক্টরের মালিক ও ইটভাটার মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় তাঁরা।

    সরেজমিন দেখা যায়, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের সুতার গোপ্তা থেকে পূর্ব দিকে দেড় কিলোমিটার ‘আইজিপি গণকবর সড়ক’। কাঁচা সড়কটির দুপাশে সহস্রাধিক লোকের বসবাস। সড়কের পূর্ব অংশটি তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের এলাকা। শুষ্ক মৌসুম শুরু হলে আশপাশের প্রায় ২০বিশ টির বেশি ইটভাটার জন্য এই সড়কের দুই পাশে থাকা কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা হয়। মাটি বহনের কাজে ব্যবহার করা হয় দেড় শতাধিক অবৈধ ট্রলি। এগুলো দিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভাটার ইট।

    কয়েকজন নারী তাঁদের রান্না করা খাবার দেখিয়ে বলেন, আমরা ভাতের সাথে বালু খাই। কয়েক সেকেন্ডের জন্যও খাবার ঢাকনা দিয়ে না রাখলে বালু এসে পড়ে। ঘরের প্রত্যেকটি অংশে বালুর আবরণ। হাঁড়ি-পাতিল এবং ভাতের থালায় পর্যন্ত বালু। আঙিনায় থাকা কোন শাক বা সবজি নিয়ে যে রান্না করব-সে অবস্থা নেই। সবকিছুতে বালুর আস্তরণ পড়ে গেছে। কয়েকজন কৃষক তাদের সয়াবিন তে দেখিয়ে বলেন, রাস্তার নোনা বালু এসে পড়েছে কচি সয়াবিন গাছের চারার মধ্যে। ফলে গাছ মরে যাচ্ছে। এলাকার গাছপালা, তর ফসল বিবর্ণ হয়ে পড়েছে।

    স্থানীয় মসজিদের এক ইমাম জানান, মুসুল্লিরা নামাজ পড়তে আসতে পারেন না। নামাজের জন্য একটি পোশাক পরে আসলে সেটি মুহূর্তেই বালুতে নষ্ট হয়ে যায়। মসজিদের প্রতিটি জায়গায় বালুর আবরণ পড়ে আছে। ইটভাটার মালিক ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি বলেন, কয়েক মাস আগে রাস্তাটি পরিষদের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু আবারও নষ্ট হয়ে গেছে।

    জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, রাস্তায় ট্রাক্টর চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। ট্রাক্টর ব্যবহার করার কথা কৃষি কাজে। ইতিপূর্বে কয়েকটি ট্রাক্টরকে জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ ট্রাক্টর রাস্তায় চলাচল বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরের সরকারি গাছ কাটার সময় ধরা খেলো ইউপি সদস্য আবু মিয়া।

    লক্ষ্মীপুরের সরকারি গাছ কাটার সময় ধরা খেলো ইউপি সদস্য আবু মিয়া।

    লক্ষ্মীপুরের সরকারি গাছ কাটার সময় ধরা খেলো ইউপি সদস্য
    আবু মিয়া।


    লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে সড়কের পাশ থেকে সরকারি ২৫ হাজার টাকার একটি গাছ কেটে নেওয়ার সময় আবু মিয়া নামে এক ইউপি সদস্যকে (মেম্বার) হাতেনাতে ধরা হয়েছে। পরে গাছগুলো জব্দ করে চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়ার জিম্মায় রাখা হয়। শনিবার ১৯ /০৩/২২ইং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আবু মিয়া ৪নং চরমার্টিন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য। তোরাববগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের মুন্সিরহাটের পশ্চিম বাজার এলাকা থেকে মেম্বার শ্রমিক দিয়ে গাছটি কাটেন।

    উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুল কাদের জানান, মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র ‘প্রশিকা’ তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে চরমার্টিন ইউনিয়নের বলিরপোল পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে গাছ রোপন করে। কিন্তু প্রশিকার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাছগুলো সরকারের অধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়। ওই গাছগুলোর কিছু আবার প্রশিকার স্থানীয় লোকজনের অন্তর্গত। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে সরকারি একটি চাম্বুল গাছ ইউপি সদস্য আবু মিয়া কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যার আনুমানিক মূল্য ২৫ হাজার টাকা। পরে গাছটি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, গাছগুলো সরকারি অধীনে হলেও সরাসরি বনবিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয়। এর মালিক জেলা প্রশাসক। তার রেজুলেশন না পেলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হবে না। বক্তব্য জানতে দুপুর ১২টায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আবু মিয়ার মুঠোফোনে কল করলেও ধরেননি। এসএমএস পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, ঘটনার সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। গ্রাম-পুলিশের মাধ্যমে গাছটি আমার জিম্মায় রাখা হয়। মেম্বার কী কারণে গাছ কেটেছেন জানতে পারিনি।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রোববার সভা রয়েছে। সেখানে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। জেলা প্রশাসক ও জেলা বন কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার।


    লক্ষ্মীপুরে বালু ড্রেজিংয়ে কাজ করতে গিয়ে আঘাত পেয়ে আবুল কালাম (২৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে আঘাতের ঘটনা রহস্যজনক।

    শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনীমোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাট এলাকার বালু মহাল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

    নিহত আবুল কালাম উপজেলার চর আলী হাসান গ্রামের সৈয়দ আহম্মদের ছেলে। তিনি পেশায় এক জন শ্রমিক।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,আবুল কালাম মজচৌধুরীরহাটের বালু ব্যবসায়ী বাবুলের বালুমহালে ড্রেজার মেশিনে কাজ করছিলেন। কাজ করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ মধ্যরাতে মাথায় ও পায়ে আঘাত লাগে। ধারণা করা হচ্ছে,ড্রেজিং মেশিনের সঙ্গেই তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। সকালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এতে তাকে আর হাসপাতালে আনা হয়নি।

    চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, স্থানীয়রা ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। খবরটি পুলিশকে দেওয়া হয়।

    লক্ষ্মীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের মাথার পিছনে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরের স্বামীর সাথে অভিমান করে গৃহবধূ আত্মহত্যা।

    লক্ষ্মীপুরের স্বামীর সাথে অভিমান করে গৃহবধূ আত্মহত্যা।

    লক্ষ্মীপুরের স্বামীর সাথে অভিমান করে গৃহবধূ আত্মহত্যা।


    লক্ষ্মীপুরে সিমকার্ড নিয়ে ঝগড়ার পর স্বামীর সাথে অভিমান করে সানজিদা সুলতানা (২২) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।

    বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ রাত ১১ টার সময় পৌর শহরের লাহারকান্দি এলাকার মাস্টার কলোনির রোজ ভিলায় এই ঘটনা ঘটে। সানজিদা সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজন হোসেনের স্ত্রী। তাদের সংসারে ৪ চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে সানজিদা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মাস্টার কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রায় দেড় মাস আগে রাজন মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন।

    পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুরে মোবাইলফোনের একটি সিমকার্ড নিয়ে রাজন ও সানজিদার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় রাজন। এরপর তারা বাসায় ফেরেনি। বাসায় সানজিদার মা আসমা বেগম ও ছোট বোন ছিল। এশার সময় মা ও বোনকে নামাজের কথা বলে শয়নকক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছু সময় পার হলে দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় তাদের। পরে জানালা দিয়ে সানজিদার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।

    সানজিদার মা আসমা বেগম বলেন, মোবাইলে সিমকার্ড নিয়ে ঝগড়ার পর ছেলেকে নিয়ে ঘোরার জন্য রাজন বাসা থেকে বের হয়। রাত বাড়তে থাকলেও তারা ফিরে আসেনি। পরে সানজিদা নামাজের কথা বলে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করে।

    লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ বলেন,পারিবারিক কলহে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে বুকের ব্যাথায় আসামির মৃত্যু।

    লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে বুকের ব্যাথায় আসামির মৃত্যু।

    লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে বুকের ব্যাথায় আসামির মৃত্যু।


    লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে বুকে ব্যথা উঠে হাসপাতাল নেওয়ার পথে মোঃসায়েদ (৩২) নামের এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।বুধবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টার সময় এই ঘটনা ঘটে।

    সায়েদ সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তার সংসারে স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। কারাগার সূত্র জানায়, ৬ মার্চ মাদক মামলায় সায়েদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    সায়েদের স্ত্রী মুন্নি আক্তার বলেন, কারাগার থেকে ফোনে জানানো হয়েছে আমার স্বামী মারা গেছেন। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে আসি।

    এই বিষয়ে জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদীন বলেন, হাসপাতাল নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার রফিকুল কাদের জানান, সকালে সায়েদ অন্য হাজতিদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ তার বুকে ব্যথা উঠে। পরে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে গোয়ালঘরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে গোয়ালঘরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    লক্ষ্মীপুরে গোয়ালঘরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।


    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাতে গোয়ালঘর থেকে শিমু আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৬ মার্চ) ভোরে ১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের হারিছ মাঝির বাড়ির গোয়ালঘর থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকেই তার শ্বশুর হারিছ মাঝি পলাতক রয়েছেন।

    শিমুর পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শিমুর পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় আট বছর আগে চরমনসা গ্রামের ওমানপ্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে কুশাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড কুশাখালী গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে শিমুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে শাহাদাত হোসেন নামে ছয় বছরের ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শিমুর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর হারিছ মাঝি, শাশুড়ি রহিমা বেগম, ননদ সুমি আক্তার, সাবনুর আক্তার ও শাহনাজ আক্তারের কলহ লেগে থাকত। অন্যদিকে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে কলহ-বিবাদের জের ধরে শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন দিয়ে শিমুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে বাশার। তার সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলেও জানান তিনি।

    কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিমুর মা বকুল বেগম বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

    এই দিকে শিমুর ননদ সাবনুর আক্তার বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো ঝগড়া হয়নি। রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে সে ঘুমাতে যায়। ফজরের নামাজের সময় উঠে ভাবির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়েছি।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন মাঝি বলেন, ওই পরিবারে পূর্ব থেকেই কলহ চলে আসছে। একাধিকবার আমি সালিস করেছি। মৃত্যুর ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কলহের জের ধরেই ঘটনাটি ঘটেছে। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলতে পারছি না।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

  • লক্ষ্মীপুরের আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-২০।

    লক্ষ্মীপুরের আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-২০।

    লক্ষ্মীপুরের আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-২০।


    লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ৮নং চরকাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মধ্যরাতে ভোটের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু সভাপতি পদে ভোট গ্রহণ না করে সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।

    পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০বিশ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বুধবার (৯নয় মার্চ) বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া সম্মেলনে দিবাগত রাত ১২টার দিকে চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজুমিয়ার হাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সম্মেলনস্থলে অতিথিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এই সময় আওয়ামী লীগ নেতারা জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সম্মেলনস্থল উত্তপ্ত করে তোলেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেছি।

    স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান,পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা শুরু থেকে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা উপস্থিত ছিলেন। রাত বাড়তে থাকলে অধিকাংশ নেতা-কর্মী সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। ইউনিয়নের ১৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে শেষ পর্যায়ে ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। কারণ সবাই ধারণা করেছেন সম্মেলনের আলোচনা শেষে সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু রাত ১২টার দিকে অতিথিরা হঠাৎ ভোটের ঘোষণা দেন। এতে কাউন্সিলররা তাদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু সভাপতি পদে ভোট না নেওয়ায় কথা-কাটাকাটি থেকে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    এতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা একে অন্যকে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে অন্তত ২০বিশ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক সম্মেলনস্থল নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়ে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম নুরুল আমিন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না ও কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুজ্জাহের সাজু প্রমুখ।

    এই বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মারামারির ঘটনা ঘটেছে কি না, তারা আমাকে জানায়নি। ঘটলেও হয়তো বেশি হয়নি। তবু আমি খোঁজ নিচ্ছি।

  • লক্ষ্মীপুরে চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ-গ্রেফতার ২।

    লক্ষ্মীপুরে চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ-গ্রেফতার ২।

    লক্ষ্মীপুরে চাকরির প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণ-গ্রেফতার ২।


    লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভায় গৃহপরিচারিকার চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। পরে ওই কিশোরীকে রাতভর সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

    এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে রায়পুর পৌর শহরের নতুন বাজার খেঁজুরতলা এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মোঃ দুলাল হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম।

    পুলিশ সূত্রে জানায়,ঘরে অভাব থাকার কারনে ভুক্তভোগী কিশোরী গৃহপরিচারিকার কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাকির হোসেন নামের এক বখাটে তাকে উপজেলার চরআবাবিল গ্রাম থেকে রায়পুর পৌর শহরে নিয়ে আসে। জাকির হোসেন ওই কিশোরীকে রায়পুর পৌরশহরের নতুন বাজার এলাকার মুদি দোকানি দুলাল হোসেনের বাসায় নিয়ে রেখে দেয়। কিশোরীর অজান্তের রাজিব নামের আরেক দালাল ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে দুলালের কাছে বিক্রি করে দেয়।

    গত মঙ্গলবার (৮আট মার্চ) রাতে দুলাল ও তার স্ত্রীর ফাতেমার সহযোগিতায় ৪/৫ জন যুবক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে স্বামীস্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদিকে বাদী করে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয়ের সাক্ষী মাদাম ব্রিজ।

    লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয়ের সাক্ষী মাদাম ব্রিজ।

    লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয়ের সাক্ষী মাদাম ব্রিজ।


    লক্ষ্মীপুরে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয়ের সাক্ষী মাদাম ব্রিজ স্বাধীনতা সংগ্রামে লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসের সাক্ষী মাদাম ব্রিজ। যেটিকে ধ্বংস করেছে মুক্তিবাহিনীরা। যার লক্ষ্য ছিল পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ। ফলে পাকহানাদার বাহিনী শহরে প্রবেশ করতে না পেরে মাদাম ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌকায় করে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।
    রহমতখালী নদীটি নামে লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। তখন এটি ছিল খরস্রোতা নদী। এই নদীর ওপর দিয়ে ব্রিটিশদের তৈরি ব্রিজটি। বর্তমান লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউস সংলগ্ন রায়পুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে এটি।

    জানা যায়, ৭১’র এপ্রিলের শেষ দিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সর্বপ্রথম লক্ষ্মীপুর প্রবেশ করে। এই সময় মুক্তিযোদ্ধারা খবর পেয়ে মাদাম ব্রিজটি ভেঙে দেয়। পাকহানাদর বাহিনী শহরে প্রবেশ করতে না পেরে মাদাম ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌকায় করে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

    ৭১ সালের মে মাসে পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করতে গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দেয় মুক্তিবাহিনী। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হয়নি পাক হায়েনারা। এর পাশেই পরবর্তীতে তারা তৈরি করে একটি বেইলি ব্রিজ। স্থানীয় আলবদর রাজাকারেরা এতে সহায়তা করে। এদের সহায়তায় বিভিন্ন স্থান থেকে বহু নারী-পুরুষকে ধরে এনে এই ব্রিজের পাশে হত্যা করে ফেলে দেয়। ব্রিজের পাশে রহমতখালী নদীতে ভাসিয়ে দিত তাদের লাশ। মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে এই ব্রিজের নিচে ফেলত পাকবাহিনীরা।

    ঐতিহাসিক সেই রহমতখালী খাল, মাদামব্রিজ, বাগানবাড়ি, বাগানবাড়ির কুরুয়ার চর আজও ভয়াল সেই দিনগুলোর সাক্ষ্য বহন করছে।

    জানা যায়, ১৯৭১ইং সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় রাজাকার বাহিনীর হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনার নির্মম সাক্ষী হয়ে আছে লক্ষ্মীপুর জেলার মাদাম ব্রিজ। এখনো দুই পায়ে দাঁড়িয়ে আছে চিরচেনা ব্রিজটি।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির তোফায়েল বলেন, পাক বাহিনী তাদের গাড়ি বহর নিয়ে এই ব্রিজের সামনে দিয়ে লক্ষ্মীপুরে প্রবেশের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমরা মুক্তিবাহিনী মাদাম ব্রিজে মাইন পুঁতে ধ্বংস করে দিয়েছি। যাতে করে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। তারপরেও বিভিন্নভাবে তারা শহরে প্রবেশ করেছে স্বাধীনতাকামী মুক্তিবাহিনী অনেককে হত্যা করেছে ।

    প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ জানান, ১৯৭১ইং সালে যুদ্ধকালীন সময়ে পাকবাহিনীদেরকে নাস্তানাবুদ করতে বিভিন্নভাবে ছক আঁকে মুক্তিবাহিনীরা। পূর্ব থেকেই তথ্য ছিল পাকিস্তানী বাহিনী এই সড়কে প্রবেশ করবে মূল শহরে। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয় মাদাম ব্রিজকে ধ্বংস করা হবে। পরবর্তী সেটি হয়েছে আর পাকিস্তানী বাহিনী ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা হয়েছে।

    তিনি বলেন, সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর জন্য ধ্বংসস্তূপ ব্রিজ সংরক্ষণ করা দরকার।
    ধ্বংসাবশেষ ব্রিজটির দাঁড়িয়ে থাকা শেষ দুই পা সংস্কার করে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে ফুটিয়ে তোলার আবেদন স্থানীয়দের।