Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ সভাপতি গোলাম ফারুকের গাড়িতে সন্ত্রাসীর হামলা।

    লক্ষ্মীপুরে আ.লীগ সভাপতি গোলাম ফারুকের গাড়িতে সন্ত্রাসীর হামলা।

    লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িতে হামলা চালিয়ে কাঁচ ভাঙচুর করা হয়েছে।

    সোমবার (২১ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউপি নির্বাচন চলকালীন সময়ে তোরাবগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

    হামলার ঘটনায় তোরাগঞ্জ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতনকে দায়ী করেছেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। এ সময় তার সাথে থাকা ৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আওয়ামীলীগ সভাপতি পিংকু জানান, কমলনগরের তোরাবগঞ্জ ইউপি নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের অফিসে যান। অফিসটি ভোট কেন্দ্র থেকে প্রায় ৯শথ মিটার দূরত্বে ছিলো। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল আহম্মেদ রতন লোকজন নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা পিংকুসহ অনান্য আওয়ামীলীগ নেতাকে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
    পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। হামলাকারীরা তার গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে এবং তাদের দলীয় নেতাদের ৬টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেলের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। রাসেলের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রতন (ঘোড়া)। নির্বাচনী কেন্দ্রের পরিস্থিতি পরিদর্শনে আওয়ামী লীগ নেতা পিংকু দুপুরে তোরাবগঞ্জে আসলে হামলার শিকার হন ।

    তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, আমি ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যস্ত ছিলাম। ঘটনার সময় আমি ওই কেন্দ্রে ছিলাম না। কারা আওয়ামীলীগ সভাপতি পিংকুর গাড়িতে হামলা চালিয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে ভোট চালাকালীন সময়ে কেন্দ্রগুলোতে তিনি নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রভাবিত করেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন রতন।
    কমলনগর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু, চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে হত্যা মামল।

    চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু, চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে হত্যা মামল।

    চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে গণপিটুনিতে আহত চিকিৎসাধীন অবস্থায় নোয়াখালী সদর হাসপাতালে আবদুস শহীদ নামের একজনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর সদরের চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়ালকে জড়িয়ে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানা গেছে।

    ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ১৪ জুন সোমবার রমনী মোহন ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আব্দুল হক লাড়ির ঘরে চুরির সময় একই এলাকার আব্দুস শহীদকে হাতেনাতে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।

    খবর পেয়ে আবদুস শহীদের স্বজনরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্মরত চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুস শহীদের মৃত্যু হয়।

    এ ঘটনায় আবদুস শহীদের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    এতে চর রমণীমোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানিয়েছেন যে, চেয়ারম্যানের আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘায়েল করার জন্য একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং তাকে নানাভাবে হেস্তনেস্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এই হত্যা মামলায় তাকে জড়িয়ে সেটি প্রমাণ করছে তারা।

    এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার ড. এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন -‘ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

     

  • লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলে হত্যার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলে হত্যার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে পশ্চিম চররমনী মোহন গ্রামে চোর সন্দেহে আবদুস শহিদ নামে এক জেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা একটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের স্ত্রী কুলছুম বেগম।

    পরিবারের অভিযোগ, সোমবার (১৪ জুন) রাত ১০টার দিকে আবদুস সহিদ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই এলাকার একটি খালের পাড়ে আসলে তাকে গণধোলাই দেয় কয়েকজন স্থানীয় লোক। স্থানীয় আবদুল হক লাড়ীর ঘরে চুরির অভিযোগে আবদুস শহিদকে আটক করে চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়ালের ছেলে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে নির্যাতন ও মারধর করা হয়। পরে মৃত ভেবে তাকে একটি সুপারী বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে।

    পরদিন মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যমে পরিবারের লোকজন মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য নোয়াখালীর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।হাসপাতালে নেওয়ার পথে বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে তার মৃত্যু হয়। রাতেই নিহতের স্ত্রী সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    নিহত আবদুস শহিদের মা ছকিনা বেগম অভিযোগ করে জানান, তার ছেলেকে চুরির অপবাধ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে চুরি করেনি। মিথ্যা অপবাধ দিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও তার ছেলে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক শহিদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

    এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, আবদুস শহিদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৭জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যা- নাকি চুরির করার সময় গণপিটুনিতে মারা গেছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

  • লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু না থাকলে ভোটগ্রহণ বন্ধ-সিইসি।

    লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু না থাকলে ভোটগ্রহণ বন্ধ-সিইসি।

    প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন চরম অবস্থানে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকলে সাথে সাথে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যাবে। কোন ত্রুটিযুক্ত নির্বাচন করা হবে না, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হবে।

    বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। এর আগে আগামী ২১ জুন অনুষ্টিতব্য লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ উপ-নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, পুলিশ সুপার ড. এ এইএম কামরুজ্জামান, রিটার্নিং অফিসার দুলাল তালুকদার প্রমুখ।

    সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিস্টদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিশন যা যা করার তা করবে। ভোটে কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই। ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে এখানে (লক্ষ্মীপুর-২ আসন) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবে ভোটগ্রহণ এবং গননা করা হয়। একটি ভোট নিতে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড সময় লাগে।

    তিনি বলেন, ভোটে কারচুপি হলে প্রার্থীর সুযোগ আছে আইনের আশ্রয় নেওয়ার। ভোট গ্রহণে যদি অনিয়ম হয়, প্রিজাইডিং অফিসার বা রিটার্নিং অফিসার ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখতে পারবে। নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা (লক্ষ্মীপুরের প্রশাসন) যেখানে আছেন, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা কাজ করছেন। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকরা সহায়ক শক্তি, আমাদের ভুল ভ্রান্তি হলে আপনারা (সাংবাদিক) ধরিয়ে দেন।

  • লক্ষীপুরে নৌকার সমর্থকের উপর হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর।

    লক্ষীপুরে নৌকার সমর্থকের উপর হামলা ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর।

    লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ৯নং তোরাবগজ্জ ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থক এর উপর অতর্কিত হামলা।

    জানা যায় রোববার ১৩ই জুন বিকেলে ৯নং তোরাবগঞ্জ ৭ নং ওয়ার্ডে নৌকা সমর্থকের লোকজন নৌকার মার্কায় অফিসে বসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক ফয়সাল আহমেদ রতন চেয়ারম্যান ওতার ক্যাডার বাহিনী মটরসাইকেল দিয়ে এসে রড,হকিস্টিক, রামদা,নিয়ে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে ও সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে রক্তাক্ত জখম করেন।

    রোববার (১৩ জুন) বিকেলে তোরাবগঞ্জের চরপাগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুদম পুষ্প চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    আহতরা হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক নাছির, সোহেল হোসেন, রুবেল হোসেন ওদেরকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, মির্জা আশ্রফুল জামান রাসেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমেদ রতন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

    মির্জা আশরাফুল জামাল রাসেল জানান, ৯নং তোরাবগঞ্জে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তার নির্বাচনী কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রতন চেয়ারম্যান ও তার বাড়াটে গুন্ডা বাহিনী নিয়ে নৌকার সমর্থক এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে রতনসহ তার লোকজন নির্বাচনী কার্যালয়ে কয়েকজন কে পিটিয়ে আহত করেন।

    এ বিষয়ে ফয়সল আহমেদ রতন চেয়ারম্যানের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নিতে ব্যর্থ হন।

    কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে এসি ল্যান্ড ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কর্মকর্তা কিংবা পুলিশের কাছে কেউই অভিযোগ করেনি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারপ্রচারণার শব্দযন্ত্র ছিনতাই এর অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারপ্রচারণার শব্দযন্ত্র ছিনতাই এর অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারপ্রচারণার শব্দযন্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ। মাইকের যন্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেল ৩টায় ওই প্রার্থীরা ঘোড়া প্রতীকের প্রচারণা চালানোর সময় শব্দযন্ত্রটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আরও একটি শব্দযন্ত্র ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।

    ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান জানান, সোমবার বিকেলে তার প্রচার কর্মী মো. সোহাগ ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় করে নির্বাচনী প্রচারে বের হন। প্রচারণায় ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি জাজিরা এলাকায় পৌঁছালে আট থেকে ১০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে গিয়ে হামলা করে।

    ওই সময় হামলাকারীরা প্রচারকাজে ব্যবহৃত মাইকের শব্দযন্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এড়াও বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আরও একটি শব্দযন্ত্র (মাইক) ছিনিয়ে নেয়।তাৎক্ষণিক ঘটনাটি তিনি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুদম পুষ্প চাকমা জানান, শব্দযন্ত্র ছিনতাইয়ের বিষয়টি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান তাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য ওই প্রার্থীকে বলা হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীকে পরিকল্পিত হত্যার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।

    লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীকে পরিকল্পিত হত্যার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।

    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। নিহত পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীর স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।এ বিষয়ে রবিবার (১৩ জুন) সাংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের স্বজনরা ।

    গত বুধবার ( ০৯ জুন) সকালে ইমরান হোসেন (৩০) নামের এক পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোনাপুর থেকে পানিওয়ালা যাওয়ার পথে পল্লীবিদ্যুৎ সাব ষ্টেশন অফিসে। নিহত ইমরান হোসেন চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার নাসির কোট গ্রামের মুন্সি বাড়ির শাহজাহান মুন্সির ছেলে।

    নিহতের বাবা শাহজাহান মুন্সি সাংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত বুধবার সকালে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস থেকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে আমার ছেলে খুবই অসুস্থ্য। তাড়াতাড়ি রামগঞ্জে আসার জন্য। কি অসুস্থ্য জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে আগে আসেন তারপর বলব। এই বলে ফোন কেটে দেয়।
    আমরা পরিবারের লোকজন মিলে তাড়াতাড়ি রামগঞ্জে আসলে ওনারা থানায় যেতে বলেন গিয়ে দেখি আমার ছেলের লাশ। এ সময় তারা বলেন আমার ছেলে নাকি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমাদের দাবি এটি আত্মহত্যা নয় তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

    নিহতের বোন সালমা আক্তার বলেন, আমার ভাই পল্লীবিদ্যুৎ এর লাইন ম্যান হিসাবে কাজ করত। কিন্তু তাকে সাব ষ্টেশনে কাজ করতে বলেন তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।এ বিষয়ে আমার অপারকতা প্রকাশ করলে কর্মকর্তা সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। আমার ভাই এ বিষয় আমাদের ফোনে সব খুলে বলেছে এবং এই চাকুরী আর করবে না বলে জানিয়েছে। এ কথাও বলেছে যে উচ্চপদস্থ্য কর্মকর্তার আচার ব্যবহার ভালো লাগে না।এহেনবস্থায় আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে খুন করা হয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমও আমাদের কোনো সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। যদি এটি আত্মহত্যা হয় তবে কেন? ইমরানের মুখের এক পাশ কালো হয়ে গেল?বুকের এক পাশে কেন কালো হয়ে গেল? শরীরের পরা জামাকাপড়ে মাটি থাকবে কেন? আমরা প্রশাসনের কাছে এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই। আমার ভাইয়ের হত্যাকারী রামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ এ কর্মরত ডিজিএম নুরুল আলম ভূঁইয়া, এজিএম কিষোর চন্দ্র পাল ও সহকারী ইন্জিনিয়ার বিজয় কুমার দাসের বিচার চাই।

    পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম নুরুল আলম ভূঁইয়া বলেন,নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে। যদি এটি হত্যা হয়ে থাকে তাহলে তার পরিবারের সাথে আমরাও চেষ্টা করবো যেন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন ও ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস জানান,আমরা লাশ উদ্ধার করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তার পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেছি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর বুঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।

  • লক্ষীপুরে পাঁকা সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে।

    লক্ষীপুরে পাঁকা সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে।

    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সিটি প্লাজা সংলগ্ন চৌরাস্তা থেকে ডাগগাতলি বাজার পর্যন্ত, ১০ কিলোমিটারের সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেছে অনেক আগেই। কোথাও কোথাও খোয়া-বালুর আস্তর পর্যন্ত নেই। সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় খানাখন্দের। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুই পাশ ভেঙে সঙ্কুচিত হয়ে গেছে রাস্তা। তার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বেহাল এ রাস্তা চাঁদপুর থেকে রামগঞ্জ হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসমের যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

    সুত্র জানায়, চাঁদপুর থেকে রামগঞ্জ হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধটিতে যানবাহন চলাচলের জন্য এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২০০৫ সালে কার্পেটিং করা হয়। এরপর আর সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। একসময় এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, চার্জারভ্যান ও ভটভটি মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করত। নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে অল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য এ রাস্তাটি ব্যবহার করতেন বেশির ভাগ পথচারী। এখন রাস্তাটি এতই খারাপ একদিকে খানা খন্দে পরিনত অন্যদিকে রাস্তা কেটে বহু পাকা স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় যে কোন সময় বেঁড়ি বাঁধে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশাল বিশাল গর্তের কারনে রাস্তাটি ভেঙে সঙ্কুচিত ও দুর্বল হয়ে পড়ায় বর্ষা মৌসুমে খালের পানি বাঁধে এসে আঘাত হানলে এলাকাবাসীর নির্ঘুম রাত কাটে। এ সময় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কায় রাত জেগে পাহারা দিতে হয় তাদের।

    স্থানীয় অটোরিকশা চালক কামাল হোসেন বলেন, মালবাহী ট্রাক্টর ও বেশি ওজনের ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কের করুন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ঝাঁকুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ে অধিকাংশ যাত্রী। এছাড়া মাঝে-মধ্যে তাদের যানবাহনেও বিপত্তি ঘটে। সড়কের খানা-খন্দের কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে তিনগুণ, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। মাঝে মধ্যে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে।

    লামচরের বাসিন্দা ডা: ইমরান হোসেন সোহেল জানান, বর্তমানে রাস্তাটি অত্র এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের খানাখন্দে পানি জমে যায়। ফলে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী নিয়ে যানবাহনে চলতে মানুষের কষ্ট চোখে দেখলে খুবই কষ্ট হয়।

    রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, বেঁড়ী বাধ এবং রাস্তাটি সংস্কার মানে একটি মেঘা প্রজেক্ট। এ কাজের সাথে পৌরসভা, এলজিএডি, পানি উন্নয়নর্বোড সংশ্লিষ্ট। এতে খরছ হবে প্রায় দশ কোটি টাকা। বেঁড়ী বাঁধ কেটে অনেকগুলো পাকা স্থাপনা করা হয়েছে। বন্যানিয়ন্ত্রক বেঁড়ী বাঁধ দখলকারী সকল পাকা স্থাপনা উচ্চেদ করতে হবে। এমপি মহোদ্বয় এ বেপারে খুবই আন্তরিক। তিনি বার বার তাগিদ দেওয়ায় আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি প্রেরন করেছি।

    লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ড. আনোয়ার হোসেন খান জানান, গত আড়াই বছরে নতুন এবং সংস্কারসহ ১৭০টি রাস্তার কাজসহ ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। ওয়াপদা সড়কটি প্রক্রিয়াধীন।

     

  • লক্ষ্মীপুর রামগতিতে পাঁকা সড়ক ভেঙ্গে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম দুর্ভোগ । 

    লক্ষ্মীপুর রামগতিতে পাঁকা সড়ক ভেঙ্গে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম দুর্ভোগ । 

    লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরে ঘুর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও মেঘনার অস্বাভিক জোয়ারের ফলে দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কালভার্ড সহ পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলে গ্রামীণ জনপদে পাঁকা সড়ক ভেঙ্গে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় দুর্ভোগ চরমে।

    সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চরসেকান্তর-মুন্সিরহাট সড়ক, রামগতি বাজার-আলেকজান্ডার সড়ক,বিবিরহাট-রামদয়াল সড়ক ও বিবিরহাট মাজার রোড সহ মোট ৮ টি পাকা সড়কের ১১ কিলোমিটার ও ৪ টি কালভার্ট ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

    অন্যদিকে কমলনগর উপজেলার চরফলকন, সাহেবেরহাট, পাঠারিরহাট, চরমার্টিন, চরলরেন্স ও চরকালকিনি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের পাকা রাস্তা ও কালভার্টগুলো অতিরিক্ত জোয়ারের প্রভাবে ভেঙে গেছে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তোরাবগন্জ -মতিরহাট সড়ক, বলিরপোল সড়ক, নটমার্টিন সড়ক সহ মোট ১২ টি পাকা রাস্তার ১০ কিলোমিটার এলাকা ও ৪ টি কালভার্ট ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেন কমলনগর উপজেলা এলজিইডি অফিস। এই সড়কগুলোর উপর  জোয়ারের পানি প্রবেশ করে কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে এসব সড়কে চলাচলকারী হাজার-হাজার মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

    চরমার্টিন শান্তিরহাট এলাকার আনিছুর রহমান, বলিরপোলের আবুল বাসার জানান, কয়েকদিন আগে চলাচল উপযোগী হওয়া এসব সড়কগুলোর উপর জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এখন ভেঙে গেছে।

    কমলনগর উপজেলা এলজিইডি অফিস সুত্রে জানাযায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কমলনগরে ৪ টি কালভার্ট, ১২ টি পাকা সড়কের ১০ কিলোমিটার রাস্তা ও ব্রীজ  ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এদিকে রামগতির চরসেকান্তর -জনতা বাজার সড়কটির সংষ্কার কাজ (কার্পেটিং) শেষ হয়েছে মাত্র এক সাপ্তাহ আগে। এরই মধ্যে মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি উঠে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গেছে। গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে ওই সড়কে চলাচলকারী প্রায় ২০ হাজার মানুষ ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। হঠাৎ করে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ সড়কে চলাচলকারী হাজারো মানুষ। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামেই প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে একাধিক গ্রামে। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ব্যাপক জনদুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

    চরসেকান্তর এলাকার মনির হাওলাদার, নুরুল ইসলাম ও ইরফান সহ কয়েকজন জানান, কয়েকদিন আগে যানচলাচলের উপযোগী করা সড়কটিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় এখন তা ভেঙে গেছে। রামগতি উপজেলার চরগাজী,বড়খেরী, চরআলেকজান্ডার, চররমিজ ও চরআলগী ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামেই প্রবেশ করেছে মেঘনানদীর জোয়ারের পানি। ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলজিইডির নির্মাণকৃত বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক ও কালভার্ট। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের দাবী এলাকাবাসীর।

    রামগতি উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী মোঃ আব্দুর রহিম জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রামগতিতে ৪ টি কালভার্ট,৮ টি পাকা সড়কের ১১ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্য রামগতি-আলেকজান্ডার সড়ক ও চরসেকান্তর-জনতাবাজার সড়ক অন্যতম।

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রামগতি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন মাসুম ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বলেন, নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও কালভার্টের তালিকা প্রনয়ণ করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে।

    জানতে চাইলে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়ে রাস্তঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে তালিকা প্রনয়ণের কাজ চলমান। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত মেরামতের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানালেন তারা।

  • সরকারি সম্পত্তির উপর তৈরি করা ঘর গুড়িয়ে দিল ভূমি অফিস -মানবেতর জীবনযাপন।

    সরকারি সম্পত্তির উপর তৈরি করা ঘর গুড়িয়ে দিল ভূমি অফিস -মানবেতর জীবনযাপন।

    লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের এমলিতলার মৃত আখতারুজ্জামানের ছেলে বেলাল হোসেন জমি কিনে দখলে যেতে পারছেন না বলে জানা গেছে। সরকারি সম্পত্তির উপর তৈরি ঘর গুড়িয়ে দিল ভূমি অফিস।

    চরমনসা গ্রামের বেল্লালের বাড়ির দিনমজুর বেল্লাল হোসেন ৩১ শতাংশ নাল জমি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা  দামে স্থানীয় সাইফুল ইসলামের সাথে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বায়না করলে জমির মালিক সাইফুল ইসলাম বেলালকে দখলে যেতে বলেন। বাকি টাকার মধ্যে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা ৬ মাস মাস পরে ও বাকি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমি রেজিস্ট্রি করার সময় পরিশোধ করবেন বেলাল।

    জমি দখলে গিয়ে বসত ঘর তোলার সময় স্থানীয় তহশীলদার এসে বাধা দেয় ও উক্ত জমি সরকারি বলে বেলালকে দখল ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়। ঘটনাটি সাইফুল ইসলামকে জানালে তিনি উক্ত জমি তার বাবার নিজস্ব সম্পত্তি বলে বেলালকে দখলে থাকতে বলেন। সাইফুল এও বলেন যদি বেলাল দখল ছেড়ে যায় তাহলে তাকে জমি বা টাকা কোনটাই দেয়া হবে না। এমনটি স্থানীয় নাসির মিয়া, বাচ্চু মিয়া ও মসজিদের ইমামও জানিয়েছেন।

    এদিকে স্থানীয় তহশীলদার, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিক্রেতা সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে দখল না ছেড়ে দেয়ায় নিবার্হী কর্মকর্তা (ভূমি) ভেকো দিয়ে বেলালের বসতঘর গুড়িয়ে দেয়। তখন সাইফুল বেলালকে অন্যত্র জমি দেয়ার আশ্বাস দিলেও অদ্যবধি জমি না দেয়ায় বোনের বাড়ীতে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিনমজুর বেলাল।

    বেলাল কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই প্রতিবেদকে বলেন-আমি জমি কিনতে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করেছি। কিন্তু জমি সরকারি হওয়ায় আমি চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। আমার দুই ছেলে রাগ করে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছি।’

    এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন-ওখানে একটা সিন্ডিকেট কাজ করে। ওটা আমার বাবা হাবিবুর রহমানের খরিদকৃত সম্পত্তি। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।’

    স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ আমিন মাঝি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-বেলাল যে জমি কিনেছে ওটা সরকারি হওয়ায় এসিল্যান্ড দখল উচ্ছেদ করেছে। বেলালের একটা দোচালা টিনের ঘর ছিলো ওটা ভেকো দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে। ‘