Tag: লক্ষ্মীপুর

  • লক্ষ্মীপুরে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ঝাড়ুদার কাম-নৈশ প্রহরী সাময়িক বরখাস্ত।

    লক্ষ্মীপুরে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের ঝাড়ুদার কাম-নৈশ প্রহরী সাময়িক বরখাস্ত।

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ঝাড়ুদার কাম-নৈশ প্রহরী সোহেলকে কমলনগরে বদলি করার পর এবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে, যা চাকরিবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

    ২৯ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো: লোকমান হোসেনের একটি আদেশপত্র লক্ষ্মীপুর জেলা রেজিস্ট্রারে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন।

    এর আগে, (২০অক্টোবর২৪ইং) জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ৩৭৩(৮) নং স্বারকাদেশে কমলনগর সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে ঝাড়ুদার কাম- নৈশ প্রহরী পদে প্রেষনের বদলী করা হয়।

    রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দীর্ঘদিন যাবত ব্যাপক অনিয়ম দুনীতি অভিযোগ ওঠে সোহেলের বিরুদ্ধে যা ইতির মধ্যে বিভিন্ন জাতীয় ও লোকাল পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত সংবাদ, ও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক এর কার্যলয়ের সূত্র ও একাধিক আলোক চিত্র ও লিখিত পত্রে অভিযোগে তদন্ত সার্থে সোহেলকে বদলি করা হয়। জেলা রেজিস্ট্রার মো: লোকমান হোসেনের সই করা এক আদশে তাকে বদলি করা হয়েছিল।

    আদেশ কপিতে উল্লেখ করা হয় গত ২৯ অক্টোবর পযর্ন্ত বদলীকৃত কমলনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযুক্ত সোহেল যোগদান করেনি এবং নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেনি,

    এর আগে সোহেলের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহন করার অপরাধে মানবজমিন প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় দুদকের একটি টিম তদন্ত চলমান রেখেছেন।

    এখানে শেষ নয় ঝাড়ুদার সোহেলকে বদলি, সাময়িক বরখাস্ত করার পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রায়পুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সন্ধ্যার পর অফিসের কেচি গেট বন্ধ করে নিয়মিত অফিস করার অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক। এবং তাকে রাখার জন্য রায়পুর সাব রেজিস্ট্রার ইউনুস সোহেল দলিল লেখকদের থেক গণ স্বাক্ষর নেয়ার একটি ভিডিও স্থিরচিত্র এসেছে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের কাছে।

    এ বিষয়ে মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো: লোকমান হোসেন বলেন, ঝাড়ুদার কাম- নৈশ প্রহরী সোহেলকে কমলনগর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রথমে বদলি করা হয়। এর পর তাকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়। এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে

  • মামলা চলমান অবস্থায় জোড় পূর্বক রাতের অন্ধকারে জমি দখলের অভিযোগ।

    মামলা চলমান অবস্থায় জোড় পূর্বক রাতের অন্ধকারে জমি দখলের অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে মোজাম্মেলের ভোগদখলকৃত জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রাতের অন্ধকারে দা,চেনী নিয়ে জমির দখল করে চলাচলের রাস্তার নিমার্ণের অভিযোগ ওঠেছে নুর হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে। এর আগে ২০২২ইং সালে মোজাম্মেল হোসেনের বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে মারধোর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন অভিযুক্ত নুর হোসেন।
    মোজাম্মেলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার জানিয়েছেন, রাস্তা জমি নিয়ে নুর হোসেন গংরা আদালতে মিছ মামলা করলে তা খারিজ করে দেয় এডিএম কোট।
    গত রবিবার দিবাগত রাত ২৭ অক্টোবর নুর হোসেন খোকনের নেতৃত্ব ৫-৬ জনের একটি দল মিলে ২৯০ দাগে জোর পূর্বক সোয়া এক শতাংশ জমিতে নতুন রাস্তা নিমাণ করেন খোকন গংরা।
    এঘটনা ঘটে বশিকপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ২৯০ দাগের সোয়া এক শতাংশ জমিন দখল করে রাস্তা নিমাণ করেন নুর হোসেন।
    তপসিলকৃত ভূমি প্রায় ৫৪ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন আবুল হোসেন গংরা।  নুর হোসেনের কাছে রাস্তা জন্য কোন জমি বিক্রি করা হয়নি। তারাও ক্রয় করেনি। বেদখল জমি নিয়ে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং স্বত্ব ঘোষণা মামলা চলমান রয়েছে যাহার মামলা নং ৪৮৯/২১।
    এদিকে নুর হোসেনের নেতৃত্বে  নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে মোজাম্মেল হোসেন ও তার বড় ছেলে কামরুল হাসান সজিবকে খোঁজাখুজি করছেন জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে  স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। জমির মালিক মোজাম্মেল হোসেনের পরিবার নূর হোসেনের বাহিনীর ও দলবলের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছেন এবং তারা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগতেছেন যে কোন মুহূর্তে রক্ত ক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটনা করতে পারে এমন দাবি এ রাস্তা জমি নিয়ে দুই পক্ষ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
    নূর হোসেন খোকন জানান বাদী পক্ষের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।অভিযোকারীর সাথে পরামর্শ করে রাস্তার কাজ শুরু করা হয়। হিংসা ও মানঅভিমান করে এখন রাস্তা দিতে অস্বীকার করছেন। জায়গা ব্যক্তিগত ভাবে ভোগ করার জন্য নেয়নি।জনসাধারন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে।
    চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) কায়সার হামেদ চৌধুরী জানিয়েছেন জমি দখলের বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনার স্থানে পুলিশ প্রেরন করেন নিমাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। পুলিশের আদেশ অমান্য করে তারা রাতের অন্ধকারে নির্মাণ কাজ শেষ করে।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
  • নারিকেল পাড়ার কারন জানতে চাওয়ায় ভূমিদস্যুদের হামলা-নারীসহ আহত-৩।

    নারিকেল পাড়ার কারন জানতে চাওয়ায় ভূমিদস্যুদের হামলা-নারীসহ আহত-৩।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে নিজ বাড়ি থেকে নারিকেল পেড়ে নিয়ে যাওয়ার কারন জানতে গেলে ভূমিদস্যুদের হামলায় তানিয়া,স্বপ্না ও তাঁর ছোট ভাই প্রবাসী তোহা গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

    শুক্রবার ২৫ শে অক্টেম্বর লাহারকান্দি ইউনিয়ন আঠিয়াতলীর কসাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় ৭ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলো, বিপ্লব, বাবুল, আরিফ, মানিক,রিনা, শিখা, রিমু সহ অজ্ঞতনামা আরও অনেকে।

    সরজমিনে গিয়ে ও মামলা সূত্রে জানাযায়,দীর্ঘদিন থেকে অভিযুক্তরা তানিয়া আক্তারে ক্রয়কৃত জমি থেকে নারিকেল, সুপারি পেড়ে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন তারা লোকজন নিয়ে প্রকাশ্যে নারিকেল পেড়ে লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভোক্তভোগি বাড়িতে গিয়ে নারিকেল পাড়ার বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে তানিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

    এ সময় তাঁর ছোট তোহা বাবী স্বপ্না এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে আসামিরা। এসময় আসামিরা তাদের কাছে থাকা ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

    পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের শোরচিৎকার শুনে দৌড়ে আসলে ভূমিদস্যুরা পালিয়ে যার। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহত তানিয়া ও তাঁর ভাইকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অপর দিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রবাসী পরিবারের লোকজনকে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভূমিখেকোরা।

    এছাড়া দীর্ঘদিন যাবত জোর জবরদস্তি করে অবৈধ দখলবাজ নুরু আলম গংরা একই বাড়ির অন্য লোকদের সম্পক্তিও জোর পূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় জবর দখল করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর মডেল থানার (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষই থানায় এজাহার দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • মা ইলিশের নির্বিঘ্নে প্রজনন’র লক্ষ্যে মধ্যরাত থেকে মৎস্য শিকার নিষেধ।

    মা ইলিশের নির্বিঘ্নে প্রজনন’র লক্ষ্যে মধ্যরাত থেকে মৎস্য শিকার নিষেধ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষীপুর প্রতিনিধি।

    ইলিশ সম্পদ’র উৎপাদন বৃদ্ধি এবং মা ইলিশের বাধাঁহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য শিকারে ২২দিনের নিষেধাজ্ঞা। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ থাকবে। বিগত কয়েক বছর ধরে মৎস্য বিভাগের সময়পোযোগী এমন সিদ্বান্তে বাড়ছে ইলিশের উৎপাদন। তবে এ সময়ে প্রকৃত ইলিশ জেলেদের জন্য প্রদেয় প্রনোদনা বাড়ানোর দাবী
    লক্ষ্মীপুর সহ উপকুলীয় জেলেদের।উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের অবরোধ চলবে ৩ নভেম্বর ২০২৪ইং পর্যন্ত। শনিবার ( ১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে এর কার্যকারিতা। এসময়ে সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করনসহ ক্রয়- বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। আইন অমান্যকারীকে এক থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্বান্তে খুশী জেলেরা। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রনোদনা। তবে প্রদেয় এ প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়েই তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরনের দাবী জেলেদের।
    সভাপতিত্ব করেন প্যানেল চেয়ারম্যান নয়ন বেগম চর রমণী মোহন ইউনিয়ন পরিষদ,এই সময় প্রধান অতিথি, জসীমউদ্দীন সিনিয়র পরিচালক জেলা মৎস্য অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুর।
    বিশেষ অতিথি নৌ পুলিশ শহিদুল ইসলাম,স্বপন ইউপি সদস্য ৫ নং ওয়ার্ড,জেলে প্রতিনিধি ইদ্রিস আলী,
    হানিফ সমাজসেবা সদর লক্ষ্মীপুর

    লক্ষ্মীপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন জানান, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় সাগরে বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। অবরোধ সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গনসংযোগ। সমুদ্রসহ স্থলভাগে সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

  • লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালকের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর নারী সহ আহত-৩।

    লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালকের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর নারী সহ আহত-৩।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা চালক রুবেলের বসতবাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ঘরদুয়ার ভাঙচুর ও পেয়ারা বেগম সহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এসময় নগদ টাকাসহ ৩০,০০০/ হাজার টাকার ও স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    আনোয়ার,আব্দুল গনি, আবুল কাশেম, শারমিন রুমি, মিতু  শুক্রবার (১১ই আক্টেম্বর ) সকাল ১০টায় সদর উপজেলার ১৬নং শাকচর ইউনিয়নের

    খোসাল মিঝি বাড়িতে  অটো চালক রুবেলের বসত ঘরে একদল লোক এ ঘটনা ঘটায়। এটি ডাকাতি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

    আহতরা হলেন, রুবেল,সেলিনা, পেয়ারা বেগম। পুলিশ ও ভূক্তভোগীরা জানায়, ঘটনার সময় ৮-১০ জনের একদল ‘ডাকাত’ রুবেল বসত ঘরে ঢুকে পড়ে। ওই সময় সেলিনা আক্তার গলা-কান থেকে স্বর্ণের চেইন-দুল ও আংটি ছিনিয়ে নেয়। এই সময় বাধা দিলে সেলিনা কাঠ দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।

    অভিযোগ অস্বীকার করে, আবুল কাশেম বলেন, আমার বাবার কেনা ৩৬ শতাংশ জমি রুবেল ও তার ভাই বোনেরা দখল করেছে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যারা হামলা করেছে তাদেরকেও আমি চিনি না। তারা নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব ছড়িয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা ঘটনা ঘটেছে। এটি ডাকাতি নয়। ঘটনাস্থল গিয়ে পুলিশ উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে।ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে

  • লক্ষ্মীপুরে সেনাবাহিনীর হাতে ভুয়া সিআইডি আটক।

    লক্ষ্মীপুরে সেনাবাহিনীর হাতে ভুয়া সিআইডি আটক।

    লক্ষ্মীপুরে সিআইডি সদস্য পরিচয় দেওয়া মো. সোহেল নামের এক প্রতারককে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    অভিযুক্ত সোহেলের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাপুর উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। তার মারধরের শিকার ব্যক্তির নাম শাখায়েত হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুর বাজারের তৌহিদিয়া স্টোরের মালিক।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহেল মদপান করে বিভিন্ন সময় উত্তর তেমুহনী এলাকায় শাখায়েত হোসেন নামের ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করেন।

    এটি দেখে বণিক সমিতির এক সদস্য বাংলাদেশ সেবাহিনীকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে সেনাবাহিনী উত্তর তেমুহনী মজিব চত্বর ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

    সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সিআইডির ভুয়া আইডি কার্ডধারী সোহেলকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার সময় একটি চাইনিজ চাকুসহ আটক করা হয়। তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. আবদুল মুন্নাফ বলেন, সোহেল নিজেকে সাধারণ মানুষের কাছে সিআইডি সদস্য পরিচয় দেয় এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে

  • লক্ষ্মীপুরের খাসিয়ারা চরে পুকুর থেকে ধরা পড়লো কুমির স্থানীয়রা আতঙ্কিত।

    লক্ষ্মীপুরের খাসিয়ারা চরে পুকুর থেকে ধরা পড়লো কুমির স্থানীয়রা আতঙ্কিত।

    লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে পুকুর থেকে বিশাল আকৃতির কুমির ধরা পড়েছে। কুমিরটির ওজন প্রায় ৬ মনের কাছাকাছি বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খাসিয়ার চরের মাঝি বাড়ির একটি হাঁসমুরগির খোড়ায়ে হানা দিলে বাড়ির লোকজন কুমিরটি ধরে ফেলে। সেটিকে দক্ষিণ চরবংশীর চান্দারখাল মাছঘাটে নিয়ে আসে তারা।

    পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। আজ শুক্রবার দুপুরে কুমিরটিকে বন বিভাগের লোকজন তাদের হেফাজতে নেয়।
    স্থানীয়রা জানায়, খাসিয়ার চরের একটি বাড়ির হাঁস-মুরগির খামারের নীচ থেকে কুমিরটি ধরা হয়েছে। গতকাল সকালে স্থানীয় লোকজন কুমিরটিকে দেখতে পায়।সেটি নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ছিল। রাতে হাঁসমুরগি খেতে উপরে উঠে আসে কুমিরটি, সেখান থেকে ধরা হয়৷

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই পুকুরে আরও চার-পাঁচটি কুমির রয়েছে। বন্যার পর থেকেই তাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। খালে নামলেই আক্রমণ করছে কুমির। বাবলু ও আবু নামে দুজন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এক কৃষকের একটি গরুও নিয়ে গেছে বলে জানান তারা। বর্তমানে কুমির আতঙ্কে রয়েছে খালপাড়ের বাসিন্দারা। ভয়ে খালে নামছে না অনেকে।

    রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও তার প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কুমিরটি উদ্ধার করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে কুমিরটিকে উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    রায়পুর বনবিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে এমপি নয়ন ও প্যানেল চেয়ারম্যান লিকার অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীিতর অনুসন্ধানে-দুদক।

    লক্ষ্মীপুরে এমপি নয়ন ও প্যানেল চেয়ারম্যান লিকার অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীিতর অনুসন্ধানে-দুদক।

    দুর্নীতি ও শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা।

    দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত কাজে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র সাংবাদিক দেকে নিশ্চিত করেছে।

    অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর ২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের ২০২১ইং সালে নির্বাচনী হলফনামায় দাখিল করা তথ্যানুসারে বাৎসরিক আয় ৩৭ লাখ ১০ হাজার ২৯০ টাকা এবং ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৮ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। অন্যদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে দাখিল করা সম্পদের তথ্য অনুযায়ী তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

    সচিবালয়ে ‘বুলেটপ্রুফ গ্লাস’ লাগাতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা কর্মস্থলে না ফেরা ‘অপরাধী’ কর্মকর্তাদের খুঁজছে পুলিশ কিন্তু দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজ রোডের ১০ শতাংশ জমির উপর ৫ তলা ভবন সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৪০-৫০ শতাংশ জমি ক্রয় এবং ধানমন্ডিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। সব মিলিয়ে তার ঘোষিত সম্পদের বিবরণের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সম্পদের খোঁজ মিলেছে দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে।

    দুদক জানায়, টাকার বিনিময়ে নয়ন নিজস্ব ব্যক্তিদের টেন্ডার পাইয়ে দিতেন এবং বাজার দখল, বাসস্ট্যান্ড থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাঁদা তুলতেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগে প্রভাব খাটিয়ে নিজ ও তার পক্ষের অন্য ব্যক্তিদের নামে এবং তার উপর নির্ভরশীলদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে জানা যায়। এছাড়াও তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

    অন্যদিকে, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন লিকা ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে নিজ নামে ও তার পরিবার পরিজনের নামে অবৈধভাবে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। ২০২২ইং সালে মহিলা সদস্য পদের নির্বাচনের জন্য দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে তার অতি সামান্য পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর হতে নিজ নামে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট থাকার তথ্য পাওয়া যায়।

    অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও তার উপর নির্ভরশীলদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে জানা যায়। এছাড়াও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বলে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

  • লক্ষ্মীপুরে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা-খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান।

    লক্ষ্মীপুরে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা-খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান।

    লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানি কমছে না নিম্নাঞ্চলের। খালে বাঁধ, কচুরিপানাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকায় ধীরে নামছে পানি। পানি প্রবাহের এসব বাঁধা অপসারণে এবার উদ্যোগ নিয়েছে লক্ষ্মীপুর ডিসি। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরের মাদাম ব্রীজ সংলগ্ন রহমতখালী খাল ও ডাকাতিয়া নদী পরিস্কারের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমদ, জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনসহ কাউন্সিলর ও স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

    জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, যতই প্রতিকূলতা থাকুক সকলকের সময়ন্বয়ে লক্ষ্মীপুরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবো। বন্যা পরিস্থিতি, বন্যার দীর্ঘ সূত্রীতা কিংবা জলাবদ্ধতা, দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানি থাকার বড় কারণ হচ্ছে পানির অবাধ প্রবাহ, যা এখানে ছিল না। বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, মানবসৃষ্ট প্রতিকূলতা। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছে। আমরা সমস্ত প্রতিকূলতা পরিস্কার করতে চাই।

    আরও বলেন, আমরা আজকে হয়তো একটি জলাশয় পরিস্কার করছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অঙ্গিকার করছি- লক্ষ্মীপুর জেলা কে জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য, পরিস্কার করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করবো। লক্ষ্মীপুর আসলেই সমৃদ্ধ নগরীতে রুপান্তরিত হতে পারে। আমরা লক্ষ্মীপুর বাসীকে একটা স্থায়ী সমাধান দিতে চায়। যেন এ বন্যা ও বন্যার সময় ছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে কোন ধরণের সংকট বা দূর্ভোগ পোহাতে বা হয়। এতে সকলের সহযোগীতা কামনা করি। সবার সহযোগীতা পেলে আরও বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে জেলা প্রশাসন।

    উল্লেখ্য: বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকে খালে অবৈধ বাঁধ অপসারনে কাজ করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানসহ জেলার প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রায়পুর রামগঞ্জ ব্লাড ডোনেট ক্লাব, কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞসহ বিভিন্ন সংগঠন

  • লক্ষ্মীপুরে আর কোন গডফাদার তৈরি হতে দেওয়া হবে না জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

    লক্ষ্মীপুরে আর কোন গডফাদার তৈরি হতে দেওয়া হবে না জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

    জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর এর আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন,শকুনরা বাংলাদেশকে আবারো চক্রান্তের বেড়াজালে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য সবাইকে জাগ্রত থাকতে হবে।

    তিনি বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন যায়গায় রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার দোসরা পরাজিত শক্তি দোসরা যারা লুকিয়ে আছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কোন চক্রান্তকে বাংলাদেশে আর বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবেনা বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার্তদের মাঝে উপর সামগ্রী বিতরণের সময় জেলা জামায়াত আয়োজিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন,
    জামায়েত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ এর সেক্রেটারী ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ,কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তর এর সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, লক্ষ্মীপুর জেলা আমীর রুহুল আমিন ভূঁইয়া,সেক্রেটারী জেনারেল ফারুক হোসাইন মোহাম্মদ নুর নবী।

    সোমবার দুপুরে জেলা জামায়াতের আয়োজনে লক্ষ্মীপুর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এক পথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

    এসময় পথসভায় বিশেষ অতিথি ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বলেন, জামায়াত ইসলামী তৈরি করে দেশের সূর্য সন্তান ছাত্রশিবির, আর আপনারা(আওয়ামীগ) তৈরি করেন সন্ত্রাসীদের গডফাদার। একের পর এক ব্যাংক ডাকাতি ও শেয়ার বাজার লুট করেছেন। গত ৫ আগষ্টের আগ মুহুর্তে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ট্রাম্পকার্ড দিয়ে আমাদের আন্দোলন নস্যাৎ করতে চেয়েছেন কিন্তু পারেননি। এই দেশের ছাত্র-জনতা জামায়াত-শিবিরকে বুকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আপনাদের পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফিরেন।
    এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় নেয়ামক শক্তি বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ছাত্রশিবির শিবিরকে নিষিদ্ধ করলে আন্দোলন থেমে যাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই আমাদেরকে সে দিন নিষিদ্ধ করে প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা ঐ আন্দোলনকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছেন। আর আপনি শুধু নিষিদ্ধ হন নাই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরষিদ সদস্য ও ঢাকা উত্তর মহানগরীর সেক্রেটারী ড. মুহামম্মদ রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিন ভূইয়া, সেক্রেটারী ফারুক হোসাইন নুরনবী, নায়েবে আমীর এআর হাফিজ উল্যাহ, সহ-সেক্রেটারী এডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ ও নাছির উদ্দিন মাহমুদ, শহর জামায়াতের আমীর আবুল ফারাহ নিশান ও সেক্রেটারী জহিরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী ও সেক্রেটারী এডভোকেট মুঞ্জুরুল আলম, জেলা শিবিরের সভাপতি মনির হোসেন,শহর শিবির সভাপতি আরমান হোসেন পাটওয়ারী ও সেক্রেটারী ফরিদ উদ্দিনসহ জেলা-উপজেলা ও পৌরসভা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

    এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।