Tag: রামপাল
-
রামপালে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন।
বাগেরহাটের রামপালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে রামপাল উপজেলা প্রশাসন।২৮ মে রবিবার সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীত্তর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন’র সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মোস্তফা কামাল পলাশ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অলিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী গোলজার হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান, প্রভাষক শেখ শাহ নেওয়াজ প্রমুখ।বঙ্গবন্ধুর শান্তি পদক ‘জুলিও কুরি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। তার এই কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করে। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে এ অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। -
রামপালে গাঁজাসহ দুই ব্যক্তি আটক।
বাগেরহাটের রামপালে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গাঁজাসহ শিমুল শেখ (৩৫) ও মোহাইমিনুল ইসলাম শোভন ওরফে ময়না (২০) নামের দুইজনকে আটক করেছে। ২৭ মে শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ও রাত ১১ টায় রামপাল থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটককৃত শিমুল শেখ উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের কওসর শেখ’র পুত্র ও অপরজন মোহাইমিনুল ইসলাম শোভন রামপাল সদর ইউনিয়নের চিত্রা গ্রামের আমিনুল ইসলাম’র পুত্র। এসময় তাদের কাছ থেকে ৯২ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আশরাফুল আলম এ প্রতিবেদককে জানান, এসআই শ্রীবাস কুন্ডু ও এসআই দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ পৃথক অভিযান চালিয়ে আসামীদের গাঁজাসহ আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত থাকবে। -
রামপালের হুড়কা ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা।
বাগেরহাটের রামপালের ৬নং হুড়কা ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মে শুক্রবার বিকাল ৪.০০ টায় হুড়কা ইউনিয়ন বিট পুলিশের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার’র সভাপতিত্বে ও এসআই শ্রীবাস কুন্ডু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পঙ্কজ চন্দ্র হালদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিচিত্র বীর্য পাড়ে, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিজেন্দ্রলাল মন্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র পাড়ে প্রমুখ। সভায় ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষকবৃন্দ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলেন।সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রামপাল থানার (ওসি) এস.এম আশরাফুল আলম বলেন যে, পুলিশ জনগনের সেবক। দেশের যেকোন দূর্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী জনগনের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যুব সমাজকে মাদক সেবন ও জুয়া থেকে রক্ষা করতে হবে। দেশের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে পুলিশ সর্বদা মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। ইউনিয়নের কিশোর গ্যাং,মাদক ব্যবসায়ী, ক্রিকেট জুয়া, চুরি-ছিনতাই ও বাল্য বিবাহ রোধ করতে সঠিক তথ্য দিয়ে রামপাল থানা পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য উপস্থিত সকলের কাছে অনুরোধ জানান।এ সময় তিনি আরো বলেন যে, যেকোন ধরনের আইনি সহায়তা পেতে কোন দালালের সহযোগিতা না নিয়ে সরাসরি সরসরি ওসি’র সাথে যোগাযোগ করবেন। থানার সর্ব সাধারণের জন্য ওসি’র দরজা সব সময় খোলা থাকবে। আপনাদের সহযোগীতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত হবে। -
বজ্রপাতে রামপালে এক ব্যক্তির মৃত্যু।
বাগেরহাটের মোংলায় ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তলনের কাজ করার সময় বজ্রপাতে এনামুল শেখ (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন ও মিলন শেখ (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন । ২৭ মে শনিবার দুপুরে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর মাঠ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে যে, মোংলাউপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিগরাজ বালুর মাঠ মেঘনা সিমেন্ট ফ্যাক্টারী’র বিপরীতে গ্রামে বালু ভরাটের কাজ করাকালীন সময়ে তারা বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা এনামুল শেখ কে উদ্ধার করে দিগরাজ বাজারের বে-সরকারি চপলা রহিমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উদয় শঙ্কর বিশ্বাস। নিহত এনামুল সেখ রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কালেখারবেড় গ্রামের মোঃ ফজিলত শেখ’র পুত্র এবং আহত মিলন শেখ মোংলা উপজেলার গোয়ালের মাঠ এলাকার মোঃ রেজাউল শেখ’র পুত্র। নিহত এনামুল শেখ’র মরদেহ বর্তমানে চপলা রহিমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রয়েছে।মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সামসুদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। তবে বজ্রপাতে একজন মারা গেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। -
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি-প্রতিবাদে রামপালে মিছিল ও সমাবেশ।
বাগেরহাটের রামপালে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁন কর্তৃক প্রকাশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বিকাল ৪.০০ টায় উপজেলার রামপাল সদরে রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোজাফফর হোসেন’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ (অবঃ) মোতাহার রহমান,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন,উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ মান্নান,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি,হুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ নূরুল আমিন,বজলুর রহমান,আলহাজ্ব গাজী গিয়াস উদ্দিন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সভায় বক্তারা রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁন’র এহেন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তার ফাঁসি দাবী জানানো হয়। -
রামপালে সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা- আটক-১।
বাগেরহাটের রামপালে সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরে রাজকুমার বিশ্বাস (৬০) নামের এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে। ১৯ মে শুক্রবার ভোর ৫.২০ মিনিটে আত্মহত্যা করে। সে উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের জিতেন কুমার বিশ্বাসের পুত্র।এ ঘটনায় ১৯ মে রামপাল থানায় একই গ্রামেরমৃত হারান চন্দ্র রায়’র পুত্র তুহিন রায় এবং মৃত অজিত অধিকারী’র পুত্র মিলন অধিকারী(৪৫) কে আসামী করে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।রামপাল থানার ওসি(তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে খুলনার লবণচরা এলাকা থেকে তুহিন রায়কে আটক করেছে।রামপাল থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে যে, রাজকুমার বিশ্বাস বিভিন্ন সময়ে তুহিন রায়ের নিকট থেকে প্রতি লাখে ৬ হাজার টাকা সুদে ৭ লক্ষ টাকা ধার করেন। এ বাবদ সে তুহিন রায়কে সুদ বাবদ ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা পরিশোধ করে।অন্য দিকে ২নং আসামী মিলনের নিকট থেকে প্রতি লাখে ৬ হাজার টাকা সুদে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন এবং সুদ বাবদ ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।সুদ বাবদ ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা দেওয়ার পরেও ১ ও ২ নং আসামী মূল টাকা প্রদানের জন্য রাজ কুমারকে চাপ প্রয়োগ করে।এ নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মূল টাকা হতে প্রদানকৃত সুদ বাবদ পরিশোধকৃত টাকা বাদ দিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের জন্য বললেও আসামীগণ মোবাইল ফোনে ও প্রকাশ্যে চাপ দিতে থাকে।এক পর্যায়ে রাজকুমারকে ১৮ মে গৌরম্ভা বাজারের কাছে মাছের চান্দির সামনে আসামীগন টাকার জন্য গালিগালাজ করে ও টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয়।এতে রাজকুমার মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে কাঠাল গাছের সাথে সাদা লায়লনের ফিতা গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করে।আত্মহত্যার পূর্বে রাজকুমার তার পরিহিত জামার পকেটে একটি চিরকুট লিখে রাখেন।যাতে লেখা ছিল, তুহিন+মিলন আমাকে বাঁচতে দিলনা। তুহিন আমাকে অনেক গালিগালাজ করে তাই আমি এ পথ বেঁছে নিয়েছি।এ বিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস, এম, আশরাফুল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান যে, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে। -
রামপালে প্রতি পক্ষের হামলায় উভয় গ্রুপের ২ নারী আহত।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে বিথীকা বালা এক সংখ্যালঘু নারী।১৫ মে সোমবার সকাল ৯ টার সময় উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের বড় নবাবপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।জানা গেছে যে, বিথীকা বালা’র স্বামী রমেশ বালা’র সাথে একই গ্রামের ফরিদ শেখ’র পুত্র ইব্রাহিম শেখ’র দীর্ঘ দিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।বিরোধের জের ধরে ইব্রাহিম শেখ আহতের স্বামী রমেশ বালাকে জোর করে তাদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। তার স্ত্রী বিথিকা বালা বিষয়টি টের পেয়ে ইব্রাহিমের বাড়ীতে গেলে তাকে রুমের মধ্যে আটকে ইব্রাহিম, স্ত্রী আরিফা আক্তার রত্না এবং অজ্ঞাত এক মহিলা বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে তারা বিথীকা বালার কানের দুল ছিড়ে নেওয়ায় তার কান ছিড়ে যায় বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।বিথীকা এ ঘটনা ফয়লাহাট পুলিশ ফাঁড়িতে জানিয়েছেন বলে জানান। স্থানীয় লোকজন বিথীকা-কে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। জানা গেছে যে, বিথীকার আঘাতে ইব্রাহিমের স্ত্রী রত্না’র নাক ফেটে গেছে। এ বিষয়ে বিথীকার কাছে জানতে চাইলে বলেন যে, তারা তিন জন মিলে আমাদের মারপিট করেছে। তাদেরকে আমরা কিভাবে মারপিট করব। ওরা মিথ্যা কথা বলছে।উজলকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড সা়ংবাদিকদের জানান যে, বিথিকা বালা অত্যন্ত নিরীহ মানুষ। তাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তারা যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারে, সে বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি এস. এম আশরাফুল আলম জানান যে, তিনি ঘটনাটি জেনে পুলিশ পাঠিয়েছেন। মারামারির ঘটনায় বিথিকার কান ছিড়ে গেছে ও রত্নার নাক ফেটে গেছে। কেউ এখন ও থানায় অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। -
উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্যের প্রতিবাদে সমাবেশ।
বাগেরহাটের রামপালে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ এপ্রিল বুধবার সকাল ১১.০০ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার’র সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মন্তব্য করায় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গত ১৩ই এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সে সমাবেশে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আঃ রউফ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে তিনি সমাবেশে জানান। শেখ মোঃ আবু সাঈদ বলেন যে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আঃ রউফ জাল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করার কারণে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং একজন অসহায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জমির হারির টাকা না দিয়ে সে জমি ভোগ দখল করছেন । আলহাজ্ব জামিল হাসান জামু বর্ণালী ঘোষ হত্যা মামলার একজন আসামী ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের মুখে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করা তাদের মানায় না। শেখ মোঃ আবু সাঈদ আরো বলেন যে, আওয়ামী লীগের দূর্দিনে ও বিপদের সময় মাঠে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর দলের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল’র টাকা আত্মসাৎ করে খুলনায় বাড়ি নির্মান করা, সরকারি জমি দখল করা ও আবুল কালাম ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ সংক্রান্ত যে অভিযোগ গত ১৩ই এপ্রিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি বলেন যে, টিউবওয়েল দেওয়ার জন্য যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, তিনি তাদের প্রত্যেককে টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সরকারি চরের যে জমিটি ভোগ দখলে আছেন, তা তিনি নিয়ম মাফিক-ই ভোগ দখল করছেন। তিনি আরো জানান যে, কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নিতীর প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে তিনি স্ব-ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন যে, যারা তার বিরুদ্ধে দূর্নিতীর অভিযোগ তুলেছেন তারাই জনগণকে নানাভাবে হয়রানি করছে ও তাদের দ্বারা জনগণ দূর্নিতীর শিকার হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন যে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি টেলিভিশনের ইলেকশন এক্সপ্রেস নামক অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তার কয়েকটি বিষয় তার বলা ঠিক হয়নি । ব্যস্ততা ও অপ্রস্তুতির কারণে কিছু কথা তার ভুল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) যাকে মনোনয়ন প্রদান করবেন, তিনি তার পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন দলের মধ্যে যে, বিভাজন তৈরি হয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দীন হাওলাদার বলেন যে, পক্ষপাত মূলক আচরণের কারণে দলে সুস্পষ্ট বিভেদ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন যে, তারা বর্তমানে সংসদ সদস্যের কোটা ও উপজেলা পরিষদ থেকে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে কোন প্রকার বরাদ্দ দেওয়া হয়না। এছাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করে থাকেন। নানামুখী কারণে দলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে এবং এ দূরত্ব শুধু বেড়েই চলছে। তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন যে, তাকে রামপাল-মোংলার সবাই অত্যন্ত ভালোবাসে। দলের সমূহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রতি অনুরোধ জানান।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন যে, আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নেতা। তাকে নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছিল, তা সত্যিই দুঃখ জনক। কারণ আলহাজ্ব শেখ মোঃ আবু সাঈদ দূর্দিনে দলের পাশে থেকে দলকে যেমন সহায়তা করেছেন, একই ভাবে তিনি এলাকার গরীব-দুঃখী মানুষকে অর্থনৈতিক সহায়তা, চিকিৎসা সেবা, মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানায় দান, অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ নানামূখী সামাজিক কাজকর্ম করে থাকেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে সকল বক্তারা রামপাল উপজলা আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজন তৈরী হয়েছে, তার শান্তিপূর্ন সমাধান কামনা করেন। তারা এও বলেন যে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক মহোদয় একটু উদ্যোগী হলে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার হাফিজুর রহমান, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, উজলকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি বোরহান উদ্দিন জেড, গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাজিব সরদার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরদার বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ চয়ন মন্ডল, বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রাজু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একটি অংশ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
-
রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ-উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
বাগেরহাটের রামপালে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ চেক বিতরণ করা হয়।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ শাহিনুর রহমান’র সঞ্চালনায় বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার (এম.পি) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকার ভোগীদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রাণী মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলজার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নূরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মাননীয় উপমন্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত ১১ জন ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। এছাড়া তিনি উপজেলার বেশকিছু পরিবারের মধ্যে পানির ট্যাংক ও ছাগল বিতরণ করেন।
-
রামপালে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার’র ঈদ উপহার বিতরণ।
বাগেরহাটের রামপালে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি এবং বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় পবিত্র কুরআন শরিফ বিতরণ করা হয়েছে।বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
১৯ এপ্রিল বুধবার সকাল ৮.০০ টায় তিনি উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে এ ঈদ উপহার বিতরণ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি পর্যায়ক্রমে রাজনগর, হুড়কা, রামপাল সদর, উজলকুড়, পেড়িখালী, বাঁশতলী ও বাইনতলা ইউনিয়নে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এ ঈদ উপহার বিতরণ করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল হক লিপন, রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান।
উপহার সামগ্রী বিতরণ কালে প্রত্যেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।