Tag: রাণীশংকৈল
-
হাফিজ উদ্দীন ৫ম বারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়ায় রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জ বাসীর গণসংবর্ধনা।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি হাফিজউদ্দীন আহমদ ৫ম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়েছ। সোমবার দুপুরে পীরগঞ্জ উপজলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে দলের অস্হায়ী কার্যালয়ে হাফিজউদ্দীনকেগন সংবর্ধনা দয়া হয়।পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার জাতীয় পার্টি এবং রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগর নেতারা নব নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।এসময় নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ রাণীশংকৈল উপজলা আ-লীগের সভাপতি শহিদুল হক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম ও জাতীয় পার্টির অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখন।একইদিন সোমবার বিকালে পীরগঞ্জ উপজেলা আ,লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়। এতে উপজপলা আ,লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, সহ-সভাপতি কসিরুল আলম ও শামিমুজ্জামান জুয়েল।সভায় আওয়ামীলীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহোযাগী সংগঠনের নেতারা নব নির্বাচিত সাংসদকে ফুলের মালা দিয় সংবর্ধনা জানান। -
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন জয়ী।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও-৩ সংসদীয় আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৪১ হাজার ৯৪৭ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি পেয়েছেন ১লাখ ৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।তার নিকটতম ১৪ দলীয় জোট সমর্থিত ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় পেয়েছেন ওয়ার্কাস পার্টির গোপাল চন্দ্র পেয়েছন ৬৪ হাজার ৮২১ ভোট।এ ছাড়াও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের খলিলুর রহমান (কুলা) পেয়েছেন ৬০৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি (ঈগল পাখি) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৮৩ ভোট।ভোটগ্রহণ শেষে আজ রবিবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.মঞ্জুরুল হাসান ১২৮ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।ঠাকুরগাঁও ৩ আসনে ১২৮টি ভোট কেন্দ্রে। এ আসন টি পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ।মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৬৬ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৮ জন। এ আসনের ভোটে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পূর্ণ হয়েছে। -
রাণীশংকৈলে নীলগাই জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নিলেন গ্রামবাসী।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বিলুপ্তপ্রায় একটি নীলগাই উদ্ধার করে মাংসের জন্য জবাই করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্হানীয়রা জানান রবিবার বিকালে এলাকার পুকুরপাড়ের ঝোপঝাড়ে ছোটাছুটি করছিল অপরিচিত একটি প্রাণী। গ্রামের কয়েকজনের নজরে এলে তাঁরা প্রাণীটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক গ্রামবাসী সেখানে ভিড় জমান। একসময় গ্রামবাসী প্রাণীটিকে জবাই করে মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ সময় নীলগাইটি জবাই করা হয়। পরে গ্রামবাসী নীল গাইটির গোশত ভাগাভাগি করে নেয়।
রাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় জানান, গ্রামবাসী একটি নীলগাই আটক করে জবাই করে গোশত ভাগাভাগি করে নেয় আমি শুনেছি। কাজটি তারা ঠিক করেনি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, নীলগাইটি জবাই দেওয়া ঠিক হয়নি। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোককে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
খবর পেয়ে বন বিভাগ ও বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের পরিদর্শন দল পাঠানো হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতে ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ -এ নিয়ে জেলায় ৮টি নীলগাই উদ্ধার হলো। যার একটিও বেঁচে নেই।
-
রাণীশংকৈলে ইটভাটা বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে একটি ইটভাটা বন্ধের দাবীতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের মহেষপুর এলাকার শতাধিক বাসিন্দা। জেলা প্রশাসক ছাড়াও ওই দরখাস্তের অনুলিপি দিয়েছেন বন পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সচিব বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়,বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর,বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর, জেলা শিক্ষা অফিসার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবরে।
অভিযোগের সাথে ওই এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইটভাটার কারণে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ্য করে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়ে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন।
গত ১৮ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ বছর যাবত পূর্ব মহেষপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাহাতাব উদ্দীন ও তার ছেলে জসীম উদ্দীনসহ কয়েকজন মিলে আবাদী জমিতে জে.এম.কে নামক ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা করছে। সেখানে ইটভাটার কারণে আশপাশের আম লিচুসহ বিভিন্ন বাগানের ফল ভালো হচ্ছে না। আবাদী জমিতে ফসল ভালো হচ্ছে না। তারা অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করেন,জে.এম.কে ভাটার পাশে ফোর স্টার নামক ইটভাটা রয়েছে। দুটি ইটভাটার কারণে এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া রাস্তার পাশে ইটভাটার মাটি স্তুপ করে রাখায় রাস্তায় গাড়ী চলাচলে ধুলোবালু সৃষ্টি হয়।
ইটভাটা দুটির আধা কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানকার শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া ইটের গাড়ী চলাচলের কারণে রাস্তা দিয়ে চলতে নিরাপদবোধ মনে করে না। ইটভাটার ধোয়ায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ। তাই ওই ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা ইটভাটা বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরের অভিযোগের সাথে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন।
অভিযোগকারীদের মধ্যে ১ম স্বাক্ষরকারী নুর আলম বলেন, ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় ঘরের টিন নষ্ট হয়ে যায়। রৌদে বাসাবাড়ীর কাপড়ের উপরে ছাই এসে পড়ে। ফসলের মাঠ আমের বাগানের পরিবেশ নষ্ট করেছে ইটভাটা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গেল বছর যেমন মাঠের ফসল ভালো হয়নি। একইভাবে আমের ফলনও খুব একটা বেশি ভালো হয়নি। তাই তিনি মহেষপুর এলাকার স্বার্থে ইটভাটা বন্ধের দাবী জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জে.এম.কে ও ফোর স্টার ইটভাটা দুটি মীরডাঙ্গী বাজার থেকে মহেষপুর গ্রামের প্রবেশ পথে। এখানে এলজিইডি কর্তৃক পাকা রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তার দু,পাশেই ইটভাটা দুটি। রাস্তার পাশেই ইটভাটার সংরক্ষিত মাটি স্তুপ করা রয়েছে। ইটভাটার গাড়ীগুলো অনায়াসে উঠানামা করছে। গাড়ী চলাচলের সাথে সাথে ব্যাপক ধুলোবালু উড়ছে। ইটভাটা দুটির পাশে একর একর আবাদী জমি ও আম বাগান রয়েছে। কৃষি জমির ঠিক মাঝেই ইটভাটা পরিচালনা হচ্ছে।
ফোর ষ্টার ইটভাটার স্বত্তাধিকারী হিমেল আলী বলেন, নিয়ম মেনেই ইটভাটা করা হচ্ছে। তার ইটভাটার লাইসেন্স রয়েছে।
জেএমকে ইটভাটার স্বত্তাধিকারী জসিমউদ্দীন বলেন, উদ্যোশ্যে প্রণিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় ধুলোবালু না উড়ানোর জন্য সব সময় পানি দেওয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাণীশংকৈলের আর ১০টি ইটভাটা যেভাবে চলছে তার ইটভাটাটিও সেভাবে চলছে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলায় কোন ইটভাটার লাইসেন্স নেই। লাইসেন্সহীন ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১টি ইটভাটায় অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
রাণীশংকৈল পালিয়ে বাল্যবিয়ে করলেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিবাল্যবিয়ে প্রতিরোধে লড়াই করছে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল। এখন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাহসী স্কুলছাত্রীদের নিজের বাল্যবিয়ে নিজে রোধ করার উদাহরণ অহরহ। বাল্যবিয়ে হচ্ছে-এমন খবর পেলেই ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে খবর যাচ্ছে, সেই বিয়ে বন্ধও হচ্ছে।কিন্তু একি কাণ্ড ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের ? এখানকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) তুলা রায় অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১৪) পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছেন।বিয়ের ছবি সামাজিকগনমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়রা বলছে, একজন ইউপি সদস্য যেখানে বাল্যবিয়ে ঠেকাবেন, সেখানে ইউপি সদস্য তুলা রায় নিজে অপরাধমূলক কাজ করেছেন।স্থানীয় সূত্র জানায়, সদ্য বিয়ে করা জুই রাণী উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের গোবিনাথপুর গ্রামের সুঠিন চন্দ্র রায়ের মেয়ে। ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউপি সদস্য তুলা রায়। এর পর ওই ইউপি সদস্য গোপনে বিয়ে করেন। বর্তমানে তারা আত্নগোপনে রয়েছেন। ১৪ বছর আগে তুলা রায় প্রথম বিয়ে করেন। তার স্ত্রী ও দুই স্কুল পড়ুয়া সন্তান রয়েছে।বাল্যবিয়ের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম দরিদ্রতা, যৌতুক, সামাজিক প্রথা, সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, নিরক্ষরতা ইত্যাদি। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন-২০১৭ তে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।সেখানে বলা হয়, ‘সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নিমিত্ত, জাতীয়, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং উহাদের কার্যাবলি নির্ধারণ করিতে পারিবে।’স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, একজন জনপ্রতিনিধি তাঁর কর্তব্য পালন না করে বাল্যবিয়ে করে অপরাধ করেছেন। তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাল্যবিয়ে করা ইউপি সদস্য তুলা রায়ের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এবিষয়ে রাতোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরৎচন্দ্র রায় বলেন, বাল্যবিয়ে করা দণ্ডনীয় অপরাধ। ইউপি সদস্য বাল্যবিয়ে করার বিষয়টি আমরা জানতে পেরে উভয় পক্ষকে ডাকা হলে কোন সারা পাইনি। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে জানানো হয়েছে।’বাঁচোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জীতেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনাটির আমি ধিক্কার জানাই, আমরা স্থানীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো’।রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,‘বিষয়টি লজ্জাজনক।অভিযোগ পেলে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। -
বিনা অনুমোদনে পরিষদের গাছ কাটলেন চেয়ারম্যান-উদ্ধার করলেন রাণীশৈংকৈলের ইউএনও।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের পুরোনো ইউনিয়ন পরিষদের গাছ বিনা অনুমোদনে কেটেছেন হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেটে ফেলা গাছ জব্দ করেছেন।সোমবার রাণীশংকৈল পৌর শহরের শান্তিপুর ভান্ডারা এলাকায় অবস্থিত হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের দুটি বড় কাঠাঁল গাছ হঠাৎ করেই কাটা শুরু হয়। সেখানে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ দাড়িয়ে থেকে গাছ কাটা তদারকি করেন। সেখানে গিয়ে গাছ কাটার আইনি অনুমোদন সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় গাছ কাটছে তা তাদের জানা নেই।এদিকে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ওই পুরোনো কার্যালয়টি বর্তমানে রাণীশংকৈল পৌরসভার অধীনে রয়েছে। এখানে রাণীশংকৈল পৌরসভার ভবন নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছেন রাণীশংকৈল পৌরসভা। সেই ধারাবাহিকতায় ওই পরিষদের মধ্যে থাকা কাঠাঁল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ১৩টি গাছ কাটার জন্য সব প্রক্রিয়া শেষে দরপত্র আহবান করেন রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র।সেই দরপত্র অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর দরপত্রের সিডিউল বিক্রির শেষ দিন।এর মধ্যেই ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি গাছগুলো কাটা শুরু করেন। এ নিয়ে রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ করলে ইউএনও তাৎক্ষনিক গাছগুলো জব্দ করে উপজেলা পরিষদে সংরক্ষন করেন। ইউএনও ধারনা করে বলেন, গাছগুলো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হতে পারে।গাছ কাটা প্রসঙ্গে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানা জমিতে গাছ কাটা হয়েছে। ইউএনও গাছগুলো জব্দ করেছে। উনি যা ব্যবস্থা নিবেন তাই হবে।রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে। হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো কার্যালয়ে পৌর ভবন করার জন্য দরপত্র আহবান হয়েছে। এ কারণে ওই কার্যালয়ের মধ্যে থাকা গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এরই মধ্যে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোমবার হঠাৎ করেই গাছ কাটা শুরু করেন। ইউএনওকে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিনা অনুমোদনে গাছ কাটতে পারেন না। কেটে ফেলা কাঠাঁল গাছদুটো জব্দ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -
রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সঙ্গে জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও ৩ আসন (পীরগঞ্জ- রানীশংকৈল) এর সংসদ সদস্য জাতীয় পাটির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের উপদেষ্টা ও নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধায় রাণীশংকৈল শান্তা কমিউনিটি সেন্টার হলরুমে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিমিয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পাটির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে বর্তমান উপদেষ্টা সামসুহাব্বিব বিদ্যুৎ।সামসুহাব্বিব বিদ্যুৎ বলেন, আমরা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এ নির্বাচনে সাংবাদিকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ । আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে এবং বেশী বেশী সংবাদ প্রচার করে সহযোগিতা করবেন। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দাবি করেন।মতবিনিময় অনূষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে পরামর্শ মূলক বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ঠিকাদার আবু তাহের, যুবসংহতির সম্পাদক কাউন্সিলর ইসাহাক আলী, নির্বাচন সমন্বয় কারী আধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি নওরোজ কাওসার কানন প্রমুখ।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা পারেন সমাজের আসল চিত্র তুলে ধরতে। সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক। আপনারাই পারেন জাতির কাছে সকল কিছু তুলে ধরতে। সাংবাদিকদের লিখনির মাধ্যমে পিছিয়ে যাওয়া জনপদকে সামনে এগিয়ে আনতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্বের। এ সময় তারা অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।এসময় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, আনোয়ারুল ইসলাম, সম্পাদক মোঃ বিপ্লব, আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল হক, আশরাফুল আলম, খুরশিদ আলম শাওন,বিজয় রায়, হুমায়ুন কবির, সফিকুল ইসলাম শিল্পী ,একে আজাদ, আনোয়ার হোসেন জীবন, সাংবাদিক মাহাবুব আলম,রফিকুল ইসলাম সুজন, নাজমুল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান,অভিশেখ চন্দ্র রায় । -
রানীসংকৈলে ঢাকা ব্যাংক ও পেট্রোকেমের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:কৃষক বাঁচলে, বাঁচবে দেশ, উন্নয়নের বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামুল্যে বোরো ধান চাষের জন্য ধান বীজ, সার ও প্রয়োজনীয় সকল বালাইনাশক বিতরণ করা হয়েছে।ঢাকা ব্যাংক এর অর্থায়নে ও পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিমিটেড এর সহযোগিতায় বুধবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ নেকমরদ কারিগরি কলেজ মাঠে এসকল উপকরণ বিতরনের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, রানীসংকৈল একটা প্রত্যন্ত অঞ্চল। এখানে এত সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছে এ জন্য ঢাকা ব্যাংক ও পেট্রোকেম কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এক বিঘা ধান করতে যা যা দরকার তা সব কিছু এখানে দেওয়া হচ্ছে। যারা পাচ্ছেন আপনার অনেক ভাগ্যবান।এখন আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে, এজন্য উৎপাদন ভালো হচ্ছে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ডিএই) শামীমা নাজনীন বলেন, আমাদের দেশে দিন দিন জমি কমে যাচ্ছে, আগে যেখানে ৭ কোটি মানুষের খাবার যোগান দেওয়া যাচ্ছিল না সেখানে এখন ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেওয়া হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে উন্নত জাত আবিষ্কার করার কারনে। এ জন্য বিভিন্ন কোম্পানি কাজ করছে। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের ধানের আবাদ বাড়াতে হবে।সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার কাছে মনে হয়েছে কৃষকদের জন্য ভালো কিছু করতে হবে। এ জন্য খায়রুল সাহেবকে বলেছি শুধু ব্যবস্যা করলে হবে না। যার ফলে ঢাকা ব্যংক ও পেট্রোকেম কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছে এ জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই।বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার রকিবুল হাসান, জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামীমা নাজনীন, আবু রায়হান জি.এম সুগার মিল ঠাকুরগাঁও, আজম মেহরাব এসএভিপি ঢাকা ব্যাংক দিনাজপুর শাখা, বিজয় কুমার সাহা ম্যানেজার পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিঃ, কামরুল হাসান ডেপুটি সেলস ম্যানেজার পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিঃ, খাইরুল ইসলাম পরিবেশক পেট্রোকেম বাংলাদেশ লিঃ প্রমুখ। -
রাণীশংকৈলে বংশাই এক্সপ্রেসের সুপারভাইজারকে ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে বংশাই এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১২-২৩১৪) নামে এক নৈশকোচের সুপারভাইজারকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার নেকমরদ বাজার এলাকার এম প্লাস মার্কেটের সামনে থেকে রাণীশংকৈল থানার উপ-পরির্দশক (এস আই) এরশাদ আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।রাণীশংকৈল থানার উপ-পরির্দশক(এস আই) এরশাদ আলী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নৈশকোচের সুপারভাইজারকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।আটক নৈশকোচের সুপারভাইজার রাণীশংকৈল পৌর শহরের দক্ষিণ সন্ধ্যারই গ্রামের মৃত আবু সুফিয়ানের ছেলে খোরশেদ আলম ওরফে মুন্না।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্যাগভর্তি ফেনসিডিল নৈশকোচের লোকারে ব্যাগ রাখার সময় হাতেনাতে সুপারভাইজারকে আটক করে পুলিশ।রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মন্ডল জানান ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করা হয়। -
৩ ডিসেম্বর রাণীশংকৈল পাক হানাদার মুক্ত দিবস।
আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:আজ রবিবার ৩ ডিসেম্বর রাণীশংকৈল পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় রাণীশংকৈল উপজেলা। সেই সাথে একই দিনে মুক্ত হয় হরিপুর, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গীসহ ঠাকুরগাঁও জেলা। সেদিন থেকেই ‘৩ ডিসেম্বর রাণীশংকৈল পাকহানাদার মুক্ত দিবস’ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে।এই দিনে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে মুক্তিকামী মানুষ। রাণীশংকৈলের মুক্ত আকাশে উড়ানো হয় লাল সবুজের পতাকা। রাণীশংকৈলের বাঙালী বীর সন্তানদের প্রতিরোধের মুখে পাক হানাদার বাহিনী এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ৩ ডিসেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি রাণীশংকৈল পাক হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।