ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল কেন্দ্রীয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ তম সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে । সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ই মে) সকালে পৌরশহরে বিভিন্ন সড়কে একটি শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
Tag: রাণীশংকৈল
-
রানীশংকৈল কেন্দ্রীয় হাইস্কুলের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন।
রানীশংকৈল কেন্দ্রীয় হাইস্কুলের ৫০তম সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন !
কেন্দ্রীয় হাইস্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ের মাঠে সম্মাননা প্রদান, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷শোভাযাত্রা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পৌরমেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সদস্য ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি জাহিদুর রহমান, গেষ্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহাম্মদ , উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, আ.লীগ যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লব, কেন্দ্রীয় হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু শাহানসাহ ইকবাল, পৌর আ.লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত বসাক মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ জেড সুলতান, বিএনপি উপজেলা সম্পাদক আতাউর রহমান ও শাহাদত হোসেন, কাউন্সিলর ইসাহাক আলী, সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন আহব্বায়ক ও বিদ্যালয়টির প্রাক্তন ছাত্র শিক্ষা অফিসার নাজিম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গপেন্দ্রনাথ বর্মন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুঈনুদ্দীন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মাখলাকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মাহাতাব উদ্দিন সহকারী শিক্ষক শাহিনুর রেজা প্রমূখ।এসময় বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সুধীমহল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷আলোচনা শেষে ২য় পর্ব বিকালে বিদ্যালয়টির স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানএবং ৩য় পর্ব রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদযাপন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুবর্ণজয়ন্তী পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক তারেক আজিজ। -
রাণীশংকৈলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা।
রাণীশংকৈলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩টি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩টি দোকানে অর্থ জরিমানা করেন। সেগুলো হলো- পৌর এলাকার ভান্ডারা গ্রামে সিয়াম মুড়ি তৈরির কারখানা, পৌর শহরের বন্দরে মুদি দোকান দুলাল ষ্টোর ও সনজিত ষ্টোর।
বৃহস্পতিবার (৭এপ্রিল) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ সাদী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সহোযোগী স্যাানিটারি ইন্সপেক্টর সারোয়ার হোসেন।
পৌর এলাকার ভান্ডারা গ্রামে সিয়াম মুড়ি তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে খোলা লবন ব্যবহার এবং অসাস্থকর পরিবেশে মুড়ি তৈরির দায়ে ৪৩ ধারা লঙ্ঘন করায় কারখানা মালিক আলেফ উদ্দীনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একইদিনে পৌরশহরে মুূদি দোকান দুলাল ষ্টোরের মালিক সুশান্ত সাহাকে ১০ হাজার টাকা ও সনজিত ষ্টোরের মালিক সনজিত মন্ডলকে ৫ হাজার টাকা মেয়াদবিহীন খাদ্যপণ্য রাখা,খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী, সাংবাদিক, পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ সাদী।
-
আইপিএল ক্রিকেট খেলা ঘিরে রাণীশংকৈলে জমজমাট জুয়ার আসর।
আইপিএল ক্রিকেট খেলা ঘিরে রাণীশংকৈলে জমজমাট জুয়ার আসর।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে ঘিরে রাণীশংকৈল উপজেলার সর্বত্র শুরু হয়েছে জমজমাট জুয়ার আড্ডা। এ খেলায় অংশগ্রহণ করে কেউ রাতারাতি পকেট ভারি করছেন আবার কেউ নিঃস্ব হয়ে শূন্য পকেটে বাড়ি ফিরছেন। উপজেলার শহর-গ্রাম সর্বত্রই চলছে রমরমা ক্রিকেট জুয়া। আগে কেবল শহর এলাকায় ক্রিকেট জুয়ার বাজি ধরতে দেখা গেলেও এখন তা মহামারির মতো প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল-কলেজপড়ুয়া যুবকসহ সব শ্রেণির মানুষ। এমনকি যারা নিরক্ষর তারাও বাজি ধরছেন আইপিএল ক্রিকেট খেলায়।
ক্রিকেট জুয়ার নেশায় পড়ে লাখ লাখ টাকা হারিয়ে অনেকেই এখন সর্বশান্ত। এই জুয়ার বাজি হয় মোবাইলেই বেশি। অধিকাংশ লেনদেন হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। তাই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাই এক প্রকার ধরাছোঁয়ার বাইরে। পরিচয় গোপন করে জুয়াড়িদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়াও জুয়াড়িরা বিভিন্ন নামে ওয়েব সাইট খুলে জুয়ার কারবার করছেন।
অনেকে বলছেন, কিছু ক্রিকেট জুয়াড়ি জুয়ার টাকা জোগাতে গিয়ে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে ক্রিকেট জুয়ার হার-জিতকে কেন্দ্র করে পারিবারিক ও সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই আইপিএল বিশ্বের সব তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এ ক্রিকেট খেলার উন্মাদনার ঝড় বইছে রাণীশংকৈলের সর্বত্র। ক্রিকেট প্রেমিক যুবসমাজের মাঝে বিরাজ করছে এক ধরনের ক্রিকেট উন্মাদনা।
কাপড় গার্মেন্টস দোকান, সেলুন, ক্লাব, পাড়ায়, মহল্লায়, অফিসে, বাসায় ও চায়ের দোকানে এই ক্রিকেট জুয়া এখন চলছে বেপরোয়াভাবে। জুয়াড়িরা ওড়াচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ক্রিকেট জুয়ার ছড়াছড়ি সমাজের অভিজাত ও শিক্ষিত শ্রেণি ছাড়িয়ে তরকারি বিক্রেতা, নাপিত, হোটেল কর্মচারী, রিকশাচালক, দোকানি, বেকার, ফল বিক্রেতা, বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিক (হেলপার ও কন্ডাক্টর) নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন নিম্ন পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে; বাদ পড়ছে না স্কুল-কলেজগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও।
কেবল স্থানীয় পর্যায়েই নয়, ইন্টারনেটে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদ পেতে আছে বহু ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ।
উপজেলার নেকমরদ বাজারের এক তরুণ বলেন, তিনি চার-পাঁচ বছর ধরে ক্রিকেটের বিভিন্ন আয়োজনে বাজি ধরে আসছেন। আগে স্থানীয়ভাবে বাজী ধরতেন। এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তিনি বাজি ধরেন। সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইটের কাছে ১২ হাজার টাকা পাওনা করেন। তবে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ওয়েবসাইটটি। এখন অন্য ওয়েবসাইটে বাজি ধরেন তিনি।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, যুবসমাজের একটি বড় অংশ এই খেলাটিকে জঘন্য জুয়ার আসরে পরিণত করেছেন। তারা মূলত আইপিএল খেলা উপভোগ করেন জুয়া খেলার উদ্দেশ্যেই। খেলা শুরু হলে প্রতি ওভারে ওভারে জুয়া খেলায় টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এমনকি প্রতি বলে বলেও ধরা হয় হাজার হাজার টাকার বাজি। কোন ব্যাটসম্যান বেশি রান তুলবে, কোন বোলার অধিক উইকেট শিকার করবে, কোন তারকা ব্যাটসম্যান কতটি ছক্কা অথবা চার হাঁকাবেন এ নিয়ে চলে জুয়ার দর কষাকষি।
সবশেষে পছন্দের দলের হারজিত নিয়েও চলে বড় অঙ্কের টাকার খেলা। এভাবে প্রতিটি খেলা উপলক্ষে উপজেলার সর্বত্র চলে লাখ লাখ টাকার বাজি ও মোটা অঙ্কের টাকার জুয়া খেলা। যেখানে খেলা দেখার লোকসমাগম বেশি হয় মূলত সেখানেই এই জুয়ার আসর জমজমাট হয়।
সাধারণত পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে অথবা যেখানে বড় স্ক্রিনে আইপিএলের খেলা দেখানো হয় সেখানেই এ জুয়ার আসর বসে, যা কেউ বুঝতে পারে কেউ পারে না। এসব । এভাবে রাণীশংকৈলে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে ও প্রত্যন্ত গ্রামে বিপিএলকে ঘিরে বসছে জুয়ার আসর। ফলে জুয়াড়িদের পাতা ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ উদীয়মান যুবসমাজ।
-
রাণীশংকৈলে জাতীয় যুব সংহতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
রাণীশংকৈলে জাতীয় যুব সংহতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে জাতীয় যুব সংহতির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নে কাঁচাবাজার ধানহাটি মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন যুব সংহতির সভাপতি আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পীরগঞ্জ জাতীয় পাটির সহ-সভাপতি দবির ইসলাম, রাণীশংকৈল উপজেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের।
প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ও প্যানাল মেয়র(২) ইসহাক আলী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব সংহতির পীরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জহির আহমেদ, উপজেলার যুব সংহতির সভাপতি গফুর আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন, নেকমরদ ইউনিয়নের যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাজু।
সম্মেলন শেষে আব্দুল ফাত্তাহ কে সভাপতি ও রাজিউর রাজুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের জাতীয় যুব সংহতির কমিটি ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন,জাতীয় পার্টির সব নেতাকর্মীদের পার্টির পতাকা তলে একতাবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে দেশ ও দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে। এ দেশে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ যত উন্নয়ন হয়েছে, তা হয়েছে জাতীয় পার্টির আমলে। জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ দেশের উন্নয়নের রূপকার।
সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তাহের বলেন,পিকে হালদার ও তার দোসররা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং বর্তমানেও করছে। নিত্যপণ্যের দাম এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থায় দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জাতীয় পার্টির কথা বলতে হবে। জাতীয় পার্টির সময়কার উন্নয়নের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।
-
রাণীশংকৈলে সাংবাদিক বিপ্লবের মায়ের ইন্তেকাল।
রাণীশংকৈলে সাংবাদিক বিপ্লবের মায়ের ইন্তেকাল।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ বিপ্লব হোসেনের মা সুরাইয়া বেগম (৮০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন )।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) উপজেলার পাটগাঁও এলাকায় বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাড়িতে ভোররাতে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিকেল সাড়ে ৩ টায় গাংগুয়া মুগদুম মাঠে জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সাংবাদিক বিপ্লবের মা সুরাইয়া বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাণীশংকৈল প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মকর্তারা।
এছাড়াও ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব, ঠাকুরগাঁও অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঠাকুরগাঁও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, পীরগঞ্জ প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁও জেলা পরিবার সহ রাণীশংকৈল উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, সাবেক সাংসদ ইয়াছিন আলী, পৌরমেয়র আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা আ.লীগ বিএনপি’ নানা অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
তারা মরহুমার আত্মার মাফফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এবং শোক সন্তুষ্ট পরিবারের শোক কাটিয়ে উঠার জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।
-
রাণীশংকৈলে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
রাণীশংকৈলে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশের সদস্যরা।
বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে উপজেলার নেকমরদ চৌরাস্তা এলাকা থেকে মহসিন আলী(৪০) নামে একজনকে ২৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মহসিন আলী উপজেলার ভবানন্দপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।
রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি)এস এম জাহিদ ইকবাল এর নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক এরশাদ আলী, এএসআই নুরে আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযানে আটক মহসিন আলীর কাছ থেকে এসময় ২৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।
ইয়াবাসহ আটক মহসিন আলীর নামে রাণীশংকৈল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করে তাকে জেলা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল বুধবার রাতে ইয়াবা ট্যবালেট সহ মহসিন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ ২৪ মার্চ বৃহষ্প্রতিবার সকালে আসামীকে ঠাকুরগাঁও জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
-
রাণীশংকৈলে অফিসে বসে ধূমপান সেবন করছেন উপজেলা প্রকৌশলী !
রাণীশংকৈলে অফিসে বসে ধূমপান সেবন করছেন উপজেলা প্রকৌশলী !
সরকারি অফিসে বসে ধূমপান সেবন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী কে.এম সাব্বিরুল ইসলামের প্রকাশ্যে ধূমপানের চিত্র ক্যামেরাবন্দি করা হয়।
রানীশংকৈল উপজেলার ৩নং হোসেনগাও ও ৪নং লেহেম্বা ইউনিয়নের মাঝে ব্রহ্মপুরে মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো নিয়ে একটি সংবাদের জন্য ওই প্রকৌশলীর কাছে বক্তব্য নিতে গেলে দেখা যায়,অফিসেন চেয়ারের মধ্যে বসেই ধুমপান করছেন তিনি। এরপর তার কাছে সেই সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে চান না। পরে মোবাইল ফোনে প্রকৌশলীকে ধুমপানের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি বলে উঠেন আপনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার নামে বিচার দিতে পাড়েন।
এদিকে অফিসে বসে উপজেলা প্রকৌশলীর প্রকাশ্যে ধূমপানের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। প্রকৌশলীর প্রকাশ্যে ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলের মধ্যে।
যানা যায়,চলতি বছরের ১৬ ফেব্রয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী কার্যালয়ে উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কে.এম সাব্বিরুল ইসলাম। এর আগে তিনি গড়ের জেলা পরিষদে প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০০৫ এর সংশোধনী ২০১৩ সালের আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্বশাসিত অফিস ও বেসরকারি অফিস, হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, আদালত ভবনসহ পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা দন্ডনীয় অপরাধ। এই অপরাধ করলে তিনশত টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন এবং দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে দন্ডের দ্বিগুন হারে দন্ডনীয় হবেন।
রাণীশংকৈল উপজেলা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী কে.এম সাব্বিরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ধূমপান করার বিষয়টি আপনি প্রধানমন্ত্রীকে নাশিল করেন। আমি ইতোমধ্যে যেসব স্যারের সাথে কাজ করে এসেছি তাদের সাথেও ধূমপান করেছি। তারা ডিসি পর্যায়ের লোক ছিল। আমি তো তাদের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছি ধূমপান করার। আমি তো আর বাইরে গিয়ে সিগারেট খাচ্ছি না, অফিসে বসেই সিগারেট খাচ্ছি তাই না।
রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, অফিসে বসে ধূমপান করার সুযোগ নেই, অবশ্যই এটি দন্ডনীয় অপরাধ। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানতে পারলাম। অবশ্যই এ বিষয়ে এলজিইডির দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হবে সেই সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।