Tag: মৌলভীবাজার

  • মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস পালন।

    মৌলভীবাজারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস পালন।

    এলিসন সুঙ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    বুধবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে জেলা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালি শেষে জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন  মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমদ, মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন,জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক প্রভাংশু সোম মোহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,মোঃ আজমল হোসেন,পৌর মেয়র  মো. ফজলুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, সিভিল সার্জন জালাল উদ্দিন মোরশেদ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক সৈয়দ নওসের আলী খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সোয়েব, জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী মো:খালেদুজ্জামান,এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ, জেলা তথ্য অফিসার আনোয়ার হোসেন,সদর উপজেলা নিবার্হী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, জেলা শিশু বিষায়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাগণ,সাংবাদিক ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজারে এক জনের মৃত্যু।

    ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজারে এক জনের মৃত্যু।

    ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৌলভীবাজারে রাফি হোসেন (১৭) নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার সময় সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
    রাফি মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা এলাকার আলফালাহ প্রিন্টার্সের স্বত্বাধিকারী মোক্তাদির হোসেনের ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ইং, সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার বইয়ের কোরাসের স্বত্বাধিকারী কবি মুজাহিদ আহমদ।
    পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে রাফি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। অবস্থার অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
    মৌলভীবাজার জেলা সির্ভিল সাজন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি বছর এ পর্যন্ত ২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা বাসাবাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন জানা যায়।
  • মৌলভীবাজারে অনলাইন প্রেসক্লাবের অভিযেক ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।

    মৌলভীবাজারে অনলাইন প্রেসক্লাবের অভিযেক ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন।

    মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব এর ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও অভিষেক ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বুধবার (১৯জুলাই)  দিনব্যাপী জেলার জাতীয় মহিলা সংস্থা  কার্যালয়ের আইভি রহমান অডিটোরিয়ামে প্রেসক্লাব সভাপতি ছালেহ আহমদ সেলিম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ চৌধুরী সুমন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজনগরের মৌলানা মুফজ্জল হোসেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকবাল। প্রধান আলোচক ছিলেন রাজনগর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ট সাংবাদিক রজত কান্তি গোস্বামী, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা শ.ই. সরকার জবলু, সাবেক সভাপতি জিতু তালুকদার।

    অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সাজিদুর রহমান সাজু, পিন্টু দেবনাথ, তাজুদুর রহমান তাজুদ, আবু জাফর বাবলা, মামুনুর রশীদ চৌধুরী মুসু, সফিকুর রহমান, লোকমান হোসেন, রনি আহমদ সহ আরও উপস্থিত ছিলেন  অনলাইন প্রেসক্লাবের বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ কর্মীবৃন্দ  ।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পড়ানো মধ্যদিয়ে  বরণ করা হয়।এবং নবনির্বাচিত দু’বছর মেয়াদে অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যকমিটি সদস্যদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করেন এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। শেষাংশে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের দশ বছর পদার্পণ উপলক্ষ্যে কেক কেটে পালন করা হয়।

  • মৌলভীবাজারে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নেই দর্শনার্থী।

    মৌলভীবাজারে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নেই দর্শনার্থী।

    পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নেই দর্শনার্থী। জেলার সব প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রে সারা বছরই ভিড় করেন দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকরা। আর কোনো উৎসব বা দীর্ঘ ছুটিতে রীতিমতো ঢল নামে পর্যটকদের। তবে সেইসব পর্যটকদের নেই আশানুরূপ সাড়া। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পর্যটক ঘোরাফেরা করছেন। তবে এ সংখ্যা খুবই নগন্য এবং অধিকাংশই স্থানীয়।
    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিরূপ আবহাওয়ার ফলে পর্যটক নেই। এ বছরের শুরুতে প্রচন্ড দাবদাহ পরে অতিবৃষ্টির কারণে পর্যটকরা ঘুরতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এছাড়া আর্থিক সংকটও একটা কারণ। গত শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে পর্যটকশূন্য দেখা যায়। এর আগে ঈদের দিনমাধবকুণ্ডু, লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেইক, হাওর এলাকা ও শ্রীমঙ্গলের চা বাগানসহ জেলার পর্যটন স্থানগুলোতে অল্পসংখ্যক স্থানীয় দর্শনার্থীকে দেখা যায়। ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি কাটাতে প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় করেন পর্যটন অধ্যুষিত জেলার নয়নাভিরাম সবুজ প্রকৃতিতে। তবে বিপরীত চিত্র এবারের ঈদে।
                       পর্দযাটন কেন্দ্রে দর্শনীয় স্থান
    এদিকে ঈদ উপলক্ষে হোটেল-রিসোর্টে বুকিং কম হওয়ার কথা জানান শ্রীমঙ্গলের বন্ধুর বাড়ি ইকো রিসোর্টের মালিক স্বপন বড়াইক। তিনি বলেন, জেলার রিসোর্টগুলো অধিকাংশ ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা ঈদের অপেক্ষায় ছিলাম। অন্যান্য বছর ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই রুম বুকিং হয়ে যায়। কিন্তু এবার আশানুরূপ বুকিং আসেনি।
    লাউয়াছড়া টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা শাহীন মাহমুদ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় ঈদের এই দিনগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। অন্য সময় যেভাবে ভিড় থাকে এবার সেই ভিড় নেই। যারা এসেছেন তাদের মধ্যে স্থানীয়দের সংখ্যা বেশি। এবার পর্যটক কম এসেছেন বলে তিনি জানান। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক প্রবাল সিনহা বলেন, সাধারণ সময়ে যে ভিড় থাকে ঈদের ছুটিতে এই দুইদিন ভিড় নেই বললেই চলে, রাস্তাও ফাঁকা। হয়তো দু’একদিন মধ্যে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
  • ৭৬ টি ট্রেনের টিকেটসহ এক কালোবাজারি গ্রেপ্তার।

    ৭৬ টি ট্রেনের টিকেটসহ এক কালোবাজারি গ্রেপ্তার।

    মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রানা ভট্টাচার্য্য (৩১) নামের এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৭৬টি টিকেটসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়াম র‌্যাব-৯’র সদস্যরা।
    সোমবার ২৬ জুন ২০২৩ ইং, সকালে গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
    র‌্যাব -৯ এর সিনিয়র মিডিয়া অফিসার এএসপি আল আমিন বলেন, রবিবার রাতে শ্রীমঙ্গল দক্ষিণ ভাড়াউড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম রানা ভট্টাচার্য্য (৩১), তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান।
    এএসপি আল আমিন বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজারে রেলওয়ের টিকেট কালোবাজারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধ কালোবাজারি চক্র অবৈধভাবে ট্রেনের টিকেট কেটে জনসাধারণের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা অনলাইনে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও মোবাইল টেলিফোন নম্বর ব্যবহার করে টিকেট সংগ্রহ করে এবং পরে তা চড়া দামে সাধারণ যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছে।
    তিনি আরও বলেন, এসব কালোবাজারিদের গ্রেপ্তারে র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছিল। “দীর্ঘদিন ধরে এরকম একটি চক্রকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ভাড়াউড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন তারিখের ৭৬টি টিকেটসহ রানা ভট্টাচার্য্যকে আটক করা হয়। সেইসঙ্গে একটি মোবাইল ফোন ও কিছু টাকাও জব্দ করা হয়েছে।
    একজন যাত্রী, জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি/জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে সর্বোচ্চ চারটি টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। ট্রেন ভ্রমণের সময় যাত্রীকে জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি/জন্মনিবন্ধন প্রদর্শন করার বাধ্যবাধকতা আছে বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজারে সিএনজি শ্রমিকদের উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ।

    মৌলভীবাজারে সিএনজি শ্রমিকদের উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ।

    পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ২৩৫৯ এর অন্তর্ভুক্ত চৌমুহনা টু একাটুনা শ্রমিক পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ ও চালকদের সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    রবিবার( ২৫ জুন) রাত আট টায় শহরের কুলাউড়া রোডস্থ আমীর ম্যারেজ হল রুমে চৌমুহনা টু একাটুনা ইউনিট কমিটির সভাপতি রুমেল আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ হারুনের সঞ্চালনায় নগদ অর্থ বিতরণ ও চালকদের সচেতনতামূলক আলোচনা সভা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারের বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মুঃ হাবিবুর রহমান, সংবর্ধিত অতিথি ৬ নং একাটুনাৌ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, প্রধান আলোচক বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: নং ২৩৫৯ এর সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম, বিশেষ অতিথি মৌলভীবাজার জেলার টি আই (প্রশাসন ও অপারেশন) মাহফুজ আলম, মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক দিলু আহমেদ, অর্থ সম্পাদক ইকবাল হুসেন মাহমুদ।
    অনুষ্ঠানে চৌমুহনা টু একাটুনা ইউনিটের গত চৌদ্দ মাসের আয়ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হয় যার মধ্যে ব্যয় ৮১১৫২০ টাকা, আয় ৭০০২০০ টাকা, ঘাটতি আছে ১১১৩২০ টাকা। দৈনিক কল্যাণ রশিদ ২০ টাকার মধ্যে জেলা অফিস ৫ টাকা, বাৎসরিক ওয়াজ ফান্ড ৩ টাকা, কমিটি ১২ টাকা পায়।
    প্রধান অতিথি মুঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যারা আবেদন করছেন শিগগিরই তা দেয়া হবে এবং যারা আবেদন করেননি তারা আবেদন করে নিবেন। মৌলভীবাজারে আর কোন সংগঠন শ্রমিকদের জন্য কাজ করছে বলে আমার জানা নেই এবং ২৩৫৯ সংগঠনের কার্যক্রম আমাকে মুগ্ধ করেছে।
    প্রধান আলোচক আজিজুল হক সেলিম বলেন, অনেকের একটা ভুল ধারণা আছে সাধারণ শ্রমিকদের দৈনিক টাকায় নেতৃবৃন্দরা বাড়ি-গাড়ি বানায় কিন্তু বাস্তবতা একটু ভিন্ন কেননা  সড়ক দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, বিয়ে, ঈদ উপহার ও মৃত্যুর পর পরিবারকে এককালীন নগদ অর্থপ্রদানের মাধ্যমে শ্রমিকদের টাকা শ্রমিকদের পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়। শ্রমিকদের সুসংগঠিত করার জন্য আমরা সংগঠন করি নিজের চাহিদার জন্য নয়।
  • মৌলভীবাজারে নদীর ২৭ পয়েন্টে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, বন্যার ঝুঁকিতে জেলা বাসি।

    মৌলভীবাজারে নদীর ২৭ পয়েন্টে বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ, বন্যার ঝুঁকিতে জেলা বাসি।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার জেলাকে বন্যামুক্ত রাখতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েও পুরো জেলা এখনো বন্যার ঝুঁকিতে রয়ে গেছে।
    মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার জন্য নেওয়া ওই প্রকল্পের কাজ চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৭ শতাংশ।এছাড়া প্রতিরক্ষা বাঁধে ঝুঁকিপূর্ণ ৬৭টি পয়েন্টের মধ্যে ২৭টি পয়েন্ট এখন পুরোপুরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি বিএসএফর বাধায় কুলাউড়ায় ৩টি পয়েন্টে কাজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
    আগামী ২০২৪ সালের জুনে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কতটুকু কাজ হবে এলাকাবাসী এ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ফলে জেলার বাসিন্দারা ভুগছেন বন্যা আতঙ্কে।হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৭ শতাংশ। কুলাউড়ায় ৩টি পয়েন্টে বিএসএফর বাধা।
    ২০০ একর জমির মধ্যে অনুমোদন ৭১ একর অধিগ্রহণের টাকা মেলেনি।
    মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানায়, মৌলভীবাজার জেলার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলাকে বন্যা ও নদী ভাঙন মুক্ত রাখতে ২০২০ সালে ৯৯৯ কোটি টাকার এই বৃহৎ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদএর নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর দুই পারের ৬৭টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ৭২টি পয়েন্টে কাজের দরপত্র আহ্বান করে।
    শুরু হয় বাঁধ নির্মাণ চরকাটিং। বিশেষ করে কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রনচাপ, মন্দিরা দক্ষিণ বাড়ইগাঁও, মাতাবপুর, মনু বাজার, দাউদপুর, মিয়ারপাড়া, সাধনপুর কাউকাপন বাজার, টিলাগাঁও ইউনিয়নের মিয়ারপাড়া সন্দ্রাবাজ, চক সালন দুন্দালপুর, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ধলিয়া, আলীনগর, বেলেরতল, শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল, চাঁনপুর, ইটারঘট ও মানগাঁও, রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের একামধুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে কাজ শুরু হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এখন কাজের গতি কমে গেছে বলে জানা যায়।
    পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সুত্র আরও জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম, নিশ্চিন্তপুর, তেলিবিল ও বাগজুর এই ৪টি স্থানে ২ কিলোমিটার ২০০ মিটার অংশে স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজ রয়েছে। এই ৪টি স্থানের বাংলাদেশ অংশে বাঁধে মোট ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩২টি সিসি ব্লক নির্মাণ, ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৭টি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ এবং বাঁধ পুনর্বাসন কাজ রয়েছে। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ তৈরির কাজ সম্পন্ন করে রাখে। ৪টি স্থানের মধ্যে শরীফপুর ইউনিয়নের দত্তগ্রামে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির সহযোগিতায় পতাকা বৈঠকের পর মৌখিক সম্মতিতে কাজ চলমান থাকলেও গত বছরের ১৩ জানুয়ারি থেকে বিএসএফ এর বাধার কারণে নিশ্চিন্তপুর, তেলিবিল ও বাগজুর এলাকায় কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
    পাউবো সুত্র জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রথমবার নদীতে জিও ব্যাগ ফেলতে চাইলে ভারতীয় বিএসএফ তাদের কাজে বাঁধা দেয়। এরপর আরও একাধিকবার সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলত গেলে এতেও বাধার সম্মুখীন হয়। এতে করে টানা এক বছর পাঁচ মাস ধরে নদীর ভাঙন রক্ষায় তীর সংরক্ষণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
    কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, বিএসএফের বাধার মুখে আমার ইউনিয়নের তিনটি স্থানে প্রতিরক্ষা কাজ দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। এই কাজ যথাসময়ে না হলে আগামী বর্ষা মৌসুমে চাতলাব্রিজ ও নিশ্চিন্তপুর এলাকা দিয়ে নদী ভাঙণের আশঙ্কা রয়েছে। এতে শরীফপুর ইউনিয়নসহ হাজীপুর ইউনিয়ন, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়ন ও রাজনগরের কামারচক ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে জানান।
    কাজের এই মন্থর গতির জন্য ৩টি কারণ চিহ্নিত করেছেন মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল। তিনি বলেন, ৩টি পয়েন্টে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাঁধায় কাজ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার বিষয়টি আছে। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণের জটিলতা আছে।
    আরও নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থান মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন অনেক ব্লক তৈরি করেছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ও অর্থের অভাব এবং বিএসএফের বাধায় কাজ এগুতে পারছি না। বিএসএফ এর বাধায় আটকে থাকা ৪টি স্থানের কাজের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি। তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে বিজিবির সহযোগিতায় বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে মৌখিক সম্মতিতে দত্তগ্রাম স্থানের কাজ চলমান রয়েছে। সর্বশেষ গত ৭ মার্চ যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশ হতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন ভারতের নয়াদিল্লীতে একটি ডিওপত্র প্রদান করা হয়।
    আবেদনের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত কোন অনুমোদন পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই স্থানে স্থায়ী নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য ভারত হতে কাজটি বাস্তবায়নের অনুমোদন প্রয়োজন।
    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম বলেন, আমি এ জেলায় নতুন যোগ দিয়েছি। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    মৌলভীবাজারে স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মৌলভীবাজাররে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার ১৯ আগস্ট ২০২২ইং, বিকাল ০৪ টার সময় শহরের কুসুমবাগ আল আরাফা ব্যাংকের সামনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জিএমএ মোক্তাদীর রাজু’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি এম নাসের রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি সহ সভাপতি মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, জেলা বিএনপি সহ সভাপতি মোঃ ফয়ছল আহমদ, জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বকসি মিছবাউর রহমান, জেলা বিএনপি ১ম যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন উজ্জ্বল, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মোঃ রুবেল আহমেদ, সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান নিজাম, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ রশিদ, সহ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
    মৌলভীবাজার জেলা বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, বড়লেখা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, জুড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, কুলাউড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, রাজনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, সহ সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করে। বর্ণাঢ্য র‍্যালীতে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
    আলোচনা সভা শেষে কুসুমবাগ থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে পশ্চিমবাজার হয়ে পুরাতন হাসপাতাল রোড হয়ে সেন্ট্রাল রোড হয়ে চৌমুহনী পদক্ষিণ করে শমসেরনগর রোডে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সমাপ্ত করা হয়।
  • মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। 

    মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। 

    মৌলভীবাজারে পানিবন্দি এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ। 

    মৌলভীবাজারে টানা বৃষ্টিপাত কারণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদী, মনু নদী, ধলাই নদী, ফানাই নদী, জুড়ী নদী, কন্ঠিনালা নদী, ও হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে মৌলভীবাজার জেলার ৭ টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জেলার ১টি পৌর এলাকা এবং ১০টি ইউনিয়নের ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যাদুর্গত পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
    মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শনিবার (১৮ জুন) রাত ১২টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার।
    বড়লেখা উপজেলায় বৃষ্টি কারণে পৌর এলাকার পাশাপাশি পাহাড়ধসে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানে একজন নিহত ও সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামে একজন আহত হয়েছেন। বিদ্যুতের সাবস্টেশন ইতোমধ্যেই পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
    কুলাউড়া উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
    জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে মহিষমারা, বাবনিয়া, হাশিমপুর, ভাতাইয়া ও পুরশাই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
    জুড়ী উপজেলায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ২৮টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৪টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
    এছাড়া জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামত কাজ চলছে।
    এদিকে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে খলিলপুর, মনুমুখ, আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা সাত হাজার ৫০০ জন।
    রাজনগর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
    শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ৫ ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এই ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা চার হাজার।
    কমলগঞ্জ উপজেলায় বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পাড় ভেঙে ৯টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব মালাকার বলেছেন, বন্যাদুর্গতদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। রবিবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
  • ছুটি শেষে যাত্রা  ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ তৎপরতা। 

    ছুটি শেষে যাত্রা  ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ তৎপরতা। 

    ছুটি শেষে যাত্রা  ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ তৎপরতা। 


    এবার ঈদ উল ফিতরের ছুটিতে দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে মৌলভীবাজারে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটকদের আগমন ঘটেছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যটন স্পটগুলো ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি চালানো হয়েছে।

    ঈদের ছুটি শেষে মানুষের কর্মস্থলে ফেরাকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে জেলা পুলিশ।

    জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া  নির্দেশে জেলার বিভিন্ন ট্রাফিক চেকপোস্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অবৈধ ও বেপরোয়া গতির যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা ট্রাফিক বিভাগ। জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ এ বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে সরাসরি তদারকি করছেন।

    এছাড়াও পর্যটন শহর খ্যাত জেলায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঈদের ছুটিতে নানা বয়সী পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে টুরিস্ট পুলিশের সাথে সমন্বয় করে বিশেষ নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছে জেলা পুলিশ।

    মৌলভীবাজার জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সুপার  নেতৃত্বে  সার্বিক তদারকি করছেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুদর্শন কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাউসার দস্তগীর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এ,বি,এম, মুজাহিদুল ইসলাম পিপিএম।