Tag: মৌলভীবাজার

  • মৌলভীবাজারে ‘ইত্যাদি’ প্রচার হবে ২৯ ডিসেম্বর।

    মৌলভীবাজারে ‘ইত্যাদি’ প্রচার হবে ২৯ ডিসেম্বর।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। দেশ-বিদেশের অজানা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধারণ করা হয় গণমানুষের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সুন্দর জেলা মৌলভীবাজারে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা বাগান আবৃত মাঠে। ঘন সবুজ অরণ্য, পাহাড়ের বুকে মুগ্ধতা ছড়ানো চায়ের বাগান, লেক আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে চা গাছ দিয়ে মোড়ানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। অধিকাংশ সময়ই রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে পড়ন্ত বিকেলে ধারণ শুরু হয়।
    অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয় ১৫ ডিসেম্বর। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো মৌলভীবাজার জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানীরা। ইত্যাদির শুটিং দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করে। স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় বিকাল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনেক দর্শক আশেপাশের টিলা, রাস্তা ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন। ধারণ চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এই দীর্ঘ সময় ধরে উপভোগ করেছেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানের ধারণ। এবারের অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ।
    উল্লেখ্য, তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিলো ইত্যাদির মাধ্যমে। এছাড়াও মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সঙ্গীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী। নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন খাজা সালাউদ্দিন ঝন্টু, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম স্মরণ। দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী, ধারণস্থান মৌলভীবাজারকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে ৪ জন দর্শক নির্বাচন করা হয়। ২য় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় বাঙালি ও মণিপুরী সম্প্রদায়ের কয়েকজন নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্র শিল্পী। শেকড় সন্ধানী ইত্যাদি সবসময়ই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিবেদিত মানুষদের তুলে ধরার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অচেনা-অজানা বিষয় ও তথ্যভিত্তিক শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে মৌলভীবাজারের উপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। ব্যতিক্রমী পলিথিনের হাটের উপর রয়েছে একটি জনসচেতনতামূলক প্রতিবেদন।
    সবশেষে রয়েছে একজন আদর্শ মায়ের হৃদয়ছোঁয়া স্বপ্নের গল্প। এবারের বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত ‘এন সিউল টাওয়ার’-এর উপর একটি প্রতিবেদন। এছাড়াও মৌলভীবাজারের মঞ্চে যথারীতি সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে রয়েছে নানি-নাতির কথার মাতামাতি। চিঠিপত্র বিভাগে মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র ও স্মারক সংগ্রাহক হিসাবে পরিচিত শ্রীমঙ্গলের বিকুল চক্রবর্তীর কার্যক্রম তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন দেখানো হয়। নিয়মিত অন্যান্য পর্বসহ রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ। খাঁটি মাটির মানুষ, নিত্যপণ্য মূল্যে নিম্নবিত্তের নাভিশ^াস, দুয়ারে খাবার-দুঃচিন্তায় অভিভাবক, তারকা বাজার, মূল্যহীনকে মূল্যবান বানানোর পরিণতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের করুণ হাল, ঘরোয়া অশান্তি, অযথা কথা, উপরে ওঠার শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রয়েছে বেশ কয়েকটি নাট্যাংশ। বরাবরের মত এবারও ইত্যাদির শিল্প নির্দেশনা ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ইত্যাদির নিয়মিত শিল্প নির্দেশক মুকিমুল আনোয়ার মুকিম। পরিচালকের সহকারী হিসাবে ছিলেন রানা সরকার ও মোহাম্মদ মামুন।
    ইত্যাদির এই পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার-রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সৌজন্যে এটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।
  • মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানের নেতৃত্বে মশাল মিছিল।

    মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানের নেতৃত্বে মশাল মিছিল।

     জালাল উদ্দিন নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে (১২ ও ১৩ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার ও বুধবার অবরোধের সমর্থনে একদফা দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) এর নেতৃত্বে জেলা বিএনপির পক্ষে থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষক দলের সমন্বয়ে মশাল মিছিল করেছে। সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং, রাতে মৌলভীবাজারের শমশেরনগর রোডে মশাল মিছিলটি অনুষ্টিত হয়।
    মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান)।
    এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সাধারন সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, স্বেচ্ছাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক গাজী মারুফ, স্বেচ্ছাসেবক দল জেলা শাখার সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোনাইম কবির। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আব্বায়ক আব্দুল মমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য আবু বক্কর তালুকদার, সিনিয়র সদস্য আব্দুস শহীদ, সদস্য জুয়েল আহমেদ, আব্দুল কাইয়ুম, শেখ আবেদ. আলামিন।
    মৌলভীবাজার জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বেলাল, সৈয়দ রিপন আলী, আনোয়ার হোসেন, সদস্য নানু মিয়া। মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মুমিন, নুরুল ইসলাম, সিনিয়ার সদস্য আবু বক্কর, সদস্য আব্দুস শহীদ, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক আপিয়ান আহমদ শিপু। মৌলভীবাজার জেলা তাঁতি দলের যুগ্ন আহ্বায়ক সৈয়দ জমশেদ আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন, তাজুদ চৌধুরী, শেখ জুয়েল আহমদ, নাহিদ আহমদ, মহসিন মিয়া-সহ প্রমুখ।
  • মৌলভীবাজারের ৭ থানার ওসি রদবদল।

    মৌলভীবাজারের ৭ থানার ওসি রদবদল।

    জালাল উদ্দিন নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চার সপ্তাহ আগে সারাদেশের ৩৩৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদলির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি করা প্রস্তাবের ওপর এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়।
    বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ইং, এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ৩৩৮ জনের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার ৭ থানার ওসি বদলি করা হয়েছে।
    মৌলভীবাজার জেলার ৭টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরীকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) শাহপরাণ থানায় বদলি করে মৌলভীবাজার সদর থানার নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলামকে।
    বড়লেখা থানার ওসি মোঃ ইয়ারদৌস হাসানকে এসএমপির দক্ষিণ সুরমা থানায় বদলি করে বড়লেখা থানার নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তীকে।
    জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনকে এসএমপি’র মোগলাবাজার থানায় বদলি করে জুড়ী থানার নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসএমপি’র মোগলাবাজার থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিনকে।
    কুলাউড়া থানার ওসি মোঃ আব্দুছ ছালেককে রাজনগর থানায় বদলি করে কুলাউড়া থানায় নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসএমপি’র কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদকে।
    রাজনগর থানার ওসি বিনয় ভূষন রায়কে শ্রীমঙ্গল থানায় বদলি করে রাজনগর নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুলাউড়া থানার ওসি মোঃ আব্দুছ ছালেককে।
    শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসনে সরদারকে সিলেটের কানাইঘাট থানায় বদলি করে শ্রীমঙ্গল থানার নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজনগর থানার ওসি বিনয় ভূষন রায়কে।
    কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বড়লেখা থানায় বদলি করে কমলগঞ্জ নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসএমপির জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল আলমকে।
    এর আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বেশিরভাগ থানার ওসিদের পর্যাক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বুধবার ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির তালিকা ইসিতে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বৃহস্পতিবার সে তালিকা প্রকাশ করা হয়।
  • মৌলভীবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে বৈধ প্রার্থী ২৫জন,৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল।

    মৌলভীবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে বৈধ প্রার্থী ২৫জন,৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজার জেলায় মোট চারটি আসন। চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ০৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ইং, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই পরে বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম নিশ্চিত করে ঘোষণা দেন।
    মৌলভীবাজার-১: আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্রের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমেদ এবং মোহাম্মদ ময়নুল ইসলামের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।
    এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহাব উদ্দিন, জাতীয় পার্টির আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন এবং তৃণমূল বিএনপির মোঃ আনোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
    মৌলভীবাজার-২: আসনে ১০জন প্রার্থীর মধ্যে বিকল্পধারা মনোনীত প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান সিমুর মনোনয়ন কাগজপত্রে ঘাটতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
    এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে.এম সফি আহমদ সলমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল মতিন, আওয়ামী লীগের শফিউল আলম চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোছাইন রহমানী, তৃণমূল বিএনপির এম এম শাহীন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব, জাতীয় পার্টির মোঃ আব্দুল মালিক, জাসদের মোঃ বদরুল হোসেন এবং জাতীয় পার্টির মোঃ মাহবুবুল আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
    মৌলভীবাজার-৩: আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহিদ, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ূম, ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোঃ ফাহাদ আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
    এই আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মোসাব্বির, জাতীয় পার্টির মোঃ আলতাফুর রহমান, আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির তাপস কুমার ঘোষ, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন ও এপিপির আবু বক্কর আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় মৌলভীবাজার-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহীদের সমর্থনকারী তালিকায় মৃতব্যক্তির নাম থাকায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার।
    মৌলভীবাজার-৪: আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মুহিবুর রহমান আজাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
    এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ আব্দুস শহীদ, স্বতন্ত্র মোঃ নজরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের আনোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির মোঃ মস্তান মিয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আব্দুল মুহিদ হাসানীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
    জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, মনোনয়নপত্র স্থগিত হওয়া প্রার্থীরা ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করে দিলে তাদেরকেও বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাদের জন্য আপিলের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজার ৩-আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনকারী মৃত।

    মৌলভীবাজার ৩-আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনকারী মৃত।

    জালাল উদ্দিন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহীদের সমর্থনকারীদের তালিকায় মৃত ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। ফলে তদন্তের জন্য তার মনোনয়নপত্র স্থগিত রেখেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
    সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ইং, সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মৌলভীবাজার-৩ ও ৪ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহীদের দাখিল করা মোট ভোটারের এক শতাংশ সমর্থনকারীর স্বাক্ষর যাচাইকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাশিমপুর এলাকার ভোটার বশির মিয়া ১১ মাস আগে মারা যান বলে জানা যায়। মৃত ব্যক্তি কীভাবে স্বাক্ষর করলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেখানে থাকা আইনজীবী ও অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া, সমর্থনকারী জেলি বেগমের ভোটার ঠিকানায় ওই নামে কোনো ভোটার পাওয়া যায়নি। সমর্থনকারী বাছিত মিয়া নিজ এলাকায় অবস্থান করেন না, তিনি ঢাকার বাসিন্দা। এসব কারণে তার মনোনয়নপত্র স্থগিত করা হয়েছে।
    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন ও পরিপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। এর বাইরে আমাদের যাওয়ার সুযোগ নেই। আইনে যা আছে তা-ই হবে।
    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসনে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিল্লুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিম সিআইপি, জাসদের আব্দুল মছব্বির, ওয়ার্কার্স পার্টির তাপস কুমার ঘোষ, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন ও মোঃ আলতাফুর রহমান, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের ফাহাদ আলম, ইসলামী ফ্রন্টের আব্দুর রউফ, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, এনপিপির আবু বক্কর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদেক আহমদ।
  • মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের অনিয়ম দুর্নীতি যেন নিয়মে পরিণত।

    মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের অনিয়ম দুর্নীতি যেন নিয়মে পরিণত।

    জালাল উদ্দিন,নিজস্ব প্রতিবেদকঃমৌলভীবাজার জেলা কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতি  চলছে দাপটের সহিত। বন্দীদের অভিযোগের যেন শেষ নেই। অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্য, ওয়ার্ড বাণিজ্য, মোবাইল কল বাণিজ্য, সাক্ষাৎ বাণিজ্য ও বন্দীদের খাবার চড়া দামে কেন্টিনে বিক্রিসহ নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জেলা কারাগারের কর্মকর্তাসহ কারারক্ষীরা।
    কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়া শয়ন তাঁতী (শিক্ষক), রিপন রায় (জনপ্রতিনিধি), নামের দুই ব্যক্তি জানান, কারাগারে হাসপাতালের বেড পেতে হলে অসুস্থ হওয়া জরুরী নয়। কোন নিয়ম ও বিধি অনুসরনেরও প্রয়োজন নেই। প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা দিলেই সুস্থ বন্দীদের দিয়ে দেয়া হয় কারা হসপিটালের বেড। আর অসুস্থ বন্দীরা কম্বল বিছিয়ে থাকেন মেঝেতে। কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন রোগী যদি সাহস করে মুখ খোলে তাহলে তাদের উপর চলে নির্যাতন। এভাবে ১০-১২ জনের অধিক প্রভাবশালীদের মাসের পর মাস মেডিকেলে রেখে সিট বাণিজ্যের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও জানান তারা।
    আরোও জানান তারা, শুধু তাই নয় কারাগারের সরকারী খাবার নিম্নমানে হওয়াতে অনেকই এমন খাবার খেতে নারাজ। টাকা হলেও মিলে ভিআইপি খাওয়া দাওয়ারও রাজকীয় ভাবে। কারা ফটকে দায়িত্বরত কারারক্ষীর সহযোগিতায় বাহির থেকে মাছ, মাংস, ডিম, ফল ও সবজি কিনে এনে দুই বেলা বিক্রি হয় ডায়েড নামের খাবার। বিক্রি হয় ১টি ডিম ৭০ টাকা, ১পিচ পোনা মাছ ১০০-১২০ টাকায়, সবজি ৬০ টাকা। চৌখার মাধ্যমে বন্দীদের দিয়ে রান্না করে সরবরাহ করা হয় এসব ডায়েড নামীয় খাবার বন্দীদের কাছে। ডায়েড বিক্রি, সিট বানিজ্যের ব্যাপারে সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন কারাগারের জেল সুপার মোঃ মুজিবুর রহমান মজুমদার।
    সদ্য নাশকতার মামলায় হাজতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন্দির পিতা জানান, তার ছেলে প্রায় ১ মাস ধরে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছে। ছেলের প্রতিমাসের চাহিদা মেটাতে নগদ টাকা প্রয়োজন হলে কারাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিকাশে টাকা পাঠান তিনি। সেক্ষেত্রে বিকাশে প্রতি হাজারে কারা কর্তৃপক্ষকে কমিশন দিতে হয় ২’শ টাকা। অর্থাৎ ১ হাজার টাকা তার বন্দী ছেলের জন্য পাঠালে সে পায় ৮শ টাকা। সপ্তাহে একদিন সাক্ষাৎ নিয়ম থাকলেও প্রতিদিন ৫শত টাকার বিনিময়ে করা যায় সাক্ষাৎ। প্রতিদিন এই ভাবেই বন্দীর স্বজনদের কাছ থেকে কারাগারের কর্তৃপক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায় বন্দীদের দেখতে আসা স্বজনদের কাছ থেকে।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কারারক্ষী জানান, কারাগারের ক্যান্টিনে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকায় বন্দিদের কাছে খাবার বিক্রি করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন কারাগারের কর্তৃপক্ষ। বন্দীদের বরাদ্দকৃত খাবার পরিমাণে কম দিয়ে গুদামে বোঝাই করে পূর্ণরায় দেখানো হয় বিল ভাউচার। বন্দীদের তৈল, সাবান ক্যান্টিনে নিয়ে বিক্রি করে বাহির থেকে বানিয়ে আনা হয় ক্যান্টিনের নামে বিল ভাইচার। আর এসব কাজ করেন অসীম পাল,ও কিবরিয়া নামের দুই কারারক্ষী তাদের মাধ্যমেই বিল ভাউচার সংগ্রহ করে ক্যান্টিনের নামে ক্রয় দেখানো হয় পণ্যগুলোর। বন্দীদের প্রতিটি পণ্য কিনতে হয় বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে। এ ছাড়াও তাদের কারা ক্যান্টিনের বিক্রি বাড়ানোর জন্য সরকারি খাবারের নীতিমালার কোন তোয়াক্কা না করে বন্দীদের দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। যা খাওয়ার উপযোগী নয় বলেও জানান অনেকেই। কিনেই যদি খেতে হয় সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে দুপুর ও রাতের খাবার মাছ, মাংস, ডিম তাহলে বরাদ্দের সরকারী খাবার যায় কোথায়? এমন প্রশ্ন অনেকের মাঝে বিরাজ করছে!
    আদালতে হাজিরা দিতে আসা কয়েকজন আসামী জানান, কারাগার থেকে ৭ দিন পরপর ফোনে স্বজনদের সাথে কথা বলার নিয়ম থাকলেও টাকার বিনিময়ে প্রতিদিন কথা বলার সুযোগ রয়েছে কারাগারের কর্তৃপক্ষের কাছে। কারাগারে বন্দী আসামীরা জানান, কারাগারের টেলিফোন অবৈধভাবে লিজ দেওয়া হয়েছে ইয়াবা কারবারিদের কাছে। আর এসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাদকের অভিযোগে চাকুরিচ্যুত হয়ে চাকুরী ফিরে পাওয়া কারারক্ষী ইকবালের হাতে। গেইটে দাঁড়িয়ে স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ এর জন্য আসা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে নিয়ম ভেঙ্গেও টাকা হাতিয়েও নিচ্ছেন এই কারারক্ষী ইকবাল। মৌলভীবাজার জেলা কারাগারের এমন অনিময় দুর্নীতির নিয়মের আমুল পরিণত করছেন সদ্য যোগদানকারী জেল সুপার মোঃ মুজিবুর রহমান মজুমদার।
    এ বিষয়ে সিলেট বিভাগীয় কারা উপ মহাপরিদর্শক মোঃ ছগির মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক এব্যাপারে খতিয়ে দেখবো। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোঃ জুবাইর হোসেন এখন মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে (ভারপ্রাপ্ত) জেলার হিসেবে যোগদান করেছে উনার সাথে এব্যাপারে কথা বলুন।
  • সপ্তম ধাপের অবরোধের সমর্থনে মৌলভীবাজারে কৃষক দলের বিক্ষোভ মিছিল।

    সপ্তম ধাপের অবরোধের সমর্থনে মৌলভীবাজারে কৃষক দলের বিক্ষোভ মিছিল।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। সপ্তম ধাপের বিএনপির ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথমদিনে অবরোধের সমর্থনে মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে।
    রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ইং সকাল সাড়ে ০৭ টার সময় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) এর নির্দেশে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় জেলা শহরের চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে শুরু হয়ে ইসলামপুর পর্যন্ত, পরে ইসলামপুর থেকে শুরু হয়ে শমশেরনগর রোড মাতারকাপন বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
    মিছিলে জেলা কৃষক দলের নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে সরকারের পতনসহ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ‘একতরফা’ তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার দাবি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
    এ সময় মৌলভীবাজার জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মোঃ মোনাহিম কবির এর নেতৃত্বে বিক্ষোভে অংশ নেন জেলা কৃষক দলের নেতাকর্মীরা।
    বিক্ষোভ মিছিলে পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজীর ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত উর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যন্ত, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ কৃষক দলের সংগ্রামী সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাকির তুহিন ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল মিথ্যা মামলা ও আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ে দেশব্যাপী সর্বাত্নক অবরোধ।
    এ দিকে রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ইং সকাল সাড়ে ০৯ টার সময় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ রুবেল আহমেদ এর নির্দেশে জুড়ী উপজেলা ছাত্র দলের আয়োজনে জুড়ী শহরের ছাত্র দলের বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
    জুড়ী উপজেলা ছাত্র দলের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনগণ সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে দ্বাদশ সংসদের ফরমায়েশি নির্বাচনী তফসিল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। একতরফা ও তামাশার এ নির্বাচন কেউ মানে না। গণবিচ্ছিন্ন ফ্যাসিস্ট এই গনবিরোধী দল আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে সরকারে টিকে থাকাতে চায়। সে আশা দূরেবালি হবে। তাই এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে রয়েছে। দাবি আদায় না করা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
  • মৌলভীবাজারে জমি সংক্রান্ত জেরে চাচা হাতে ভাতিজা গুরুতর আহত।

    মৌলভীবাজারে জমি সংক্রান্ত জেরে চাচা হাতে ভাতিজা গুরুতর আহত।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :রাজনগর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের জের ধরে চাচা ইউপি সদস্য  লুৎফুর রহমান   হামলায় আপন ভাতিজা কামরুল ইসলাম  গুরুতর আহত হয়েছেন।এবং মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এ ঘটনায় বুধবার (২২নভেম্বর)  পুলিশ ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমানসহ ২জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সদস্য তুলাপুর গ্রামের আবলুছ মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমানের সাথে আপন ভাতিজা কামরুল ইসলাম ও তার ভাইদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি ভাতিজা তার মায়ের কাবিনে থাকা জমিতে হাল চাষ করতে গেলে লুৎফুর বাধা দেন এবং গালাগালি করেন।
    এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত প্রায় ১০টায় কামরুল পাশের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী খেয়াঘাট বাজারে গেলে ওই ঘটনার জেরে লুৎফুর তার উপর হামলা চালান।
    তাৎক্ষনিক বাজারের লোকজন ওই ইউপি সদস্যের হাত থেকে কামরুলকে রক্ষা করে একটি দোকানে নিয়ে আসেন।
    পরবর্তীতে রাত ১০ টার দিকে ভাতিজা খেয়াঘাটস্থ ওই ইউপি সদস্যের দোকানের সম্মুখ দিয়ে গেলে আবার লুৎফুর ও তার লোকজন কামরুলের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে কামরুল গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষনিক আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজনগর থানায়  ইউপি সদস্যকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। রাজনগর থানার পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই লুৎফুরকে আটক করে। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
    এদিকে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভুষন রায় বলেন, ইউপি সদস্য লুৎফুর সহ আরও ১ জনকে গ্রেফতারসহ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ২৭ জন।

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ২৭ জন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সরকারবিরোধী অবস্থানের মধ্যেই শনিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ইং, দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করছেন। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে দলটি।
    মৌলভীবাজার জেলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিতে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন ২৭ জন নেতা। এরমধ্যে রয়েছেন এসব আসনের সংসদ সদস্যসহ কেন্দ্র ও জেলা পর্যায়ের প্রথম সারিরা নেতারা।
    শনিবার, রবিবার ও সোমবার বিকেল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলার পৃথক ৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যারা।
    মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুর ইসলাম সুন্দর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংঘঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম।
    মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রধানমন্ত্রীর প্রোটকাল অফিসার মোহাম্মদ আবু জাফর, পৌর মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম শফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আতাউর রহমান শামিম।
    মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ, সংরক্ষিত নারী আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর সহধর্মিনী সৈয়দা সায়রা মহসিন, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার (ভিপি সোয়েব), যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ রহিম (সিআইপ), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, জেলা যুবলীগ সভাপতি সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আব্দুল গফ্ফার, রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাজাহান খান।
    মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে দলটির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক্ষ রফিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড.আজাদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মনসুরুল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পরিবেশ বন উপ কমিটির সদস্য নবারন দাস রিপন।
  • মৌলভীবাজারে হরতালের সমর্থনে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল।

    মৌলভীবাজারে হরতালের সমর্থনে জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল।

    নিজস্ব প্রতিবেদক জালাল উদ্দিন। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবীতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে।
    সোমবার ২০ নভেম্বর ২০২৩ইং, বিকাল তিনটার সময় শহরের পুরাতন হাসপাতাল সড়কে বাজার স্কুলের সামন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এর পর মিছিলটি সৈয়দ সিকন্দর আলী সড়কে গিয়ে শেষ হয়।
    হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন- জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমদ চৌধুরী মামনুন, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।
    এ সময় বিক্ষোভ মিছিল উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জু হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজল মাহমুদ, সদর উপজেলা যুব বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহাবুর রহমান রুমেল, সাবেক যুবনেতা সৈয়দ রুমেল আহমদ, জেলা তাতিদলের সাবেক সদস্য সচিব জগলু আহমদ, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য আবেদ আলী, যুবদল নেতা আবু সুফিয়ান সিপন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আলম, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তানিম আহমেদ ও ছাত্রনেতা পাপ্পু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দরা বক্তব্যে বলেন, আমাদের আন্দোলন সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। সরকারের বিরুদ্ধে চারদিক থেকে অন্ধকার ধেয়ে আসছে। অবৈধ সরকার মসনদ আর ধরে রাখতে পারবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। অচিরেই সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
    মিছিলে অংশ নেওয়া নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, আগের মতো প্রহসনের নির্বাচন করলে জনগণ মানবে না, সারা বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশ অচল করে দেওয়া হবে বলে জানান তারা।