Tag: মৌলভীবাজার

  • মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যুবদল নেতা নোমান হোসেন (৩৪) হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বর্ণি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের ছবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ (২৩) ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস সহিদের ছেলে রায়হান আহমদ রেহান (২৪)।
    জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উপজেলার বাড্ডা বাজারে যুবদল নেতা নোমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
    ঘটনার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    এই ঘটনায় নিহত নোমানের বাবা লেচু মিয়া গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাদি হয়ে দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নামোল্লেখ এবং ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
    মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নোমান হোসেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি আগর-আতর ব্যবসা করতেন। নোমান রায়হান আহমদ রেহানের নিকট আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পান। কিন্তু রায়হান দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা না দিয়ে নোমানকে ঘোরাচ্ছিলেন। আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে নোমান এলাকার মুরব্বিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন।
    বিচার প্রার্থী হওয়ায়  আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নোমানকে প্রাণে হত্যার সুযোগ খুঁজে। ঘটনার দিন গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার সময় নোমান উপজেলার বাড্ডা বাজারের জনৈক জায়েদ আহমদের দোকানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে পান খাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহান একটি মোটরসাইকেলে এবং আসামি নাঈম আহমদ, আবেদ আহমদ ও জাকির আহমদ অপর আরেকটি মোটরসাইকেল যোগে বাড্ডা বাজারে এসে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নোমান হোসেনের চারিদিকে ঘিরে ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছার পর নোমান হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
    বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাইয়ূম বলেন, নোমান হোসেন হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার গভীর রাতে আটক করা হয়েছে। তাদের আজকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
  • মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নোমান নিহত।

    মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নোমান নিহত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নোমান আহমদ (৩৫) নামের যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার বাড্ডা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
    নিহত নোমান উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে। তিনি সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
    সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস শহীদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নোমান বাড্ডা বাজারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ দুই যুবক এসে নোমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
    পরে নোমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
    সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে নোমানকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
    তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই যুবক পালিয়ে গেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় তারা জানতে পেরেছেন।
    তারা হলেন সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের সবির মিয়ার ছেলে মারজান আহমদ ও কালাইউরা গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে রেহান আহমদ।
    সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের নেতা নোমান আহমদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে মারজান আহমদ গং। নোমান দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
    বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানা গেছে, টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নোমানকে অভিযুক্তরা এই ছুরিকাঘাতের হামলা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন। এখনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন আছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
  • ছাত্র জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে আদিবাসীদের বিক্ষোভ মিছিল।

    ছাত্র জনতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে আদিবাসীদের বিক্ষোভ মিছিল।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
    এনসিটিবি কর্তৃক বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে আদিবাসী শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বাতিল করার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র জনতা’ আহুত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিক্রিয়াশীল সন্ত্রাসী সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ এর নৃশংস সন্ত্রাসীর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার(১৬জানুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে মৌলভীবাজার চৌমুহনা চত্বরে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজনে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল পালন করা হয়।
    বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি ফ্লোরা বাবলী তালাং এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জনক দেববর্মার সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলিমেষ ঘোষ বলু,বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ জেলা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, আদিবাসী নেতা ফিলা পতমী,কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত, কৃষক নেতা খছরু চৌধুরী,আদিবাসী নেতা চিত্তরঞ্জন দেববর্মা,আদিবাসী নেত্রী ববিতা দিও, মনিকা খংলা, যুব ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুকান্ত নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব সূত্রধর প্রমুখ।
    প্রতিবাদ  সভায় বক্তারা বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) ভুঁইফোড় সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ নামক সংগঠন আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যে পৈশাচিক হামলা করে আদিবাসী  শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করেছে এটা গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার সাথে সাংঘর্ষিক। তারা সংগঠনের নামে সভেরেন্টি রেখেছে, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় যারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে তারা কিভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। বাংলাদেশের আদিবাসীদের পূর্ণ সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও ভুমির অধিকার দিতে হবে। আদিবাসীরা কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী নয়, এই বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যারা মুখ্য ভুমিকা রেখেছেন। আদিবাসী শব্দের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে একটা বিচ্ছেদে রাজনীতি জিইয়ে রাখা হচ্ছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
    বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১সালে পরাজিত আলবদররা বাংলার রাজনীতিতে অদিষ্ট হয়ে মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট ফর সভারেনটি তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে। দেশে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, সকল জাতি গোষ্ঠীর সঠিক ইতিহাস-সংস্কৃতি তুলে ধরা সময়ের দাবি। পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী সম্বলিত গ্রাফিতি পুনরায় সংযুক্ত করতে হবে। একই সাথে আজকে (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় মিছিলে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এই সমাবেশ শেষে শহরের বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে টিসি মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়।
  • মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি’র ফলাফল প্রকাশ।

    মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি’র ফলাফল প্রকাশ।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি ২০২৪ এর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। মৌলভীবাজার ইসলামী সোসাইটি পরিচালিত মেধাবৃত্তি ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের ইম্পেরিয়েল কলেজের হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
    এ সময় ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে জেলা পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মামুনূর রশীদ’র সভাপতিত্বে ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ সিতাব আলী’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, মৌলভীবাজার ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব। এতে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার ইসলামিক সোসাইটির সেক্রেটারি ও জেলা পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক মোঃ ইয়ামীর আলী, সদস্য মোহাম্মদ আলী বেগ, হারুনুর রশীদ তালুকদার, সৈয়দ তারেকুল হামিদ, মোহাম্মদ শাহীন মিয়া, শাহিন আহমদ, খায়রুল আমীন সেহেল, মাসরুর আহমদ, হাবিবুর রহমান হারিছ ও হাফিজ আলম হোসাইন।
    জানা যায়, জেলার ৭ উপজেলা থেকে প্রেরণা মেধাবৃত্তি ২০২৪ পরীক্ষায় গেল ২৮ ডিসেম্বর জেলা ব্যাপী ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর ২৫৮৩ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। এতে ৮ম শ্রেণীর জেলা ব্যাপী মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী আফরিদা জান্নাত অরিন, দ্বিতীয় স্থান করে বিএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী পরমাধ্যা চক্রবর্তী ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে দি বাডস্ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাইশা বিনতে হুমায়ুন। ৫ম শ্রেণীতে জেলা ব্যাপী মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে আনন্দ বিদ্যাপিঠ এর শিক্ষার্থী তানজিলা ইসলাম চৌধুরী, দ্বিতীয় স্থান করে দি বাডস্ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী রাজশ্রী হালদার রাজন্যা ও তৃতীয় স্থান করে আনন্দ বিদ্যাপিঠ এর শিক্ষার্থী স্নেহা দাশ।
    উল্যেখ্য, মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলা থেকে পরীক্ষায় ২৫৮৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে কৃতকার্য হয় ১৮০ জন। প্রথম স্থান অধিকারকারীদের নগদ ১০ হাজার টাকা-সহ ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান-সহ অন্যান্যদের পর্যায়ক্রমে পুরুস্কিত করা হবে বলে প্রেরণা মেধাবৃত্তি ২০২৪ইং, পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থী।
  • হাকালুকি হাওড়ে পতিত জমিতে হলুদ জোয়ারে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।

    হাকালুকি হাওড়ে পতিত জমিতে হলুদ জোয়ারে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওড় মৌলভীবাজারের হাকালুকি পাড়ের পতিত অনাবাদি জমিতে সরিষার চাষাবাদ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ বছর প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওড় পাড়ের চাষিরা সরিষা চাষ করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে তা বিক্রি করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
    প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে দেশের বৃহত্তম হাকালুকি হাওড়ের পানি সরে গেলে হাওড় পাড়ের উর্বর জমি এমনিতেই অনাবাদি পড়ে থাকে। এসব জমিতে বছরের পর বছর কোন রকম চাষাবাদ হয় না। তবে গত কয়েক বছরে কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার ফলে হাওড় পাড়ের পতিত জমি সরিষা চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতি বছর সরিষা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    এতে বদলে গেছে মৌলভীবাজার হাওড় পাড়ের জনপথ। হাকালুকির বুক জুড়ে এখন শুধুই হলুদ সরিষার আবাদ। সরেজমিন হাওড় পাড়ে গেলে দেখা যায়, শীত শুষ্কতার এ মৌসুমে গাঢ় হলুদের মাখামাখি বিস্তৃত প্রান্তর। তা দেখে যে কারোরই মন ভরে যাবে মুগ্ধতায়।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় মৌলভীবাজারে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। শুধু হাকালুকি হাওড় পাড়ের বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলায় এ বছর ৪ হাজার ৩১৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ হয়েছে। বিনামূল্যে সার ও বীজ পেয়ে চাষীরা উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি- ১৪, ১৫ ও ১৭ জাতের সরিষা চাষ করেন। এতে সরিষার খুবই ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
    এ বছর প্রতি হেক্টরে এক দশমিক ৪২ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে, বড়লেখার উপজেলার সোজানগর, তালিমপুর ও বর্ণি ইউনিয়ন। গত বছরের চেয়ে এ বছর হাওড়ে ৬১৩ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বাড়ানো হয়েছে।
    কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরিষা চাষের এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে পতিত হাকালুকির হাওড়ের পুরো জমি এক সময় চাষের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেলের ঘাটতি মেটানো সহজ হবে। এছাড়া এ বছর জেলার সাত উপজেলায় এক হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত সরিষা চাষ হয়েছে।
    হল্লা গ্রামের সরিষা চাষি রুহেল আহমদ, সেলিম হোসেন, মাসুক আহমদ, ফয়জুর রহমান ও আব্দুস ছালাম-সহ কথা হয় একাধিক চাষিদের সঙ্গে। তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তারা সরিষা চাষ করছেন হাওড়ের এসব পতিত জমিতে। ভালো লাভবান হওয়াতে দিনকে দিন সরিষার চাষ বদ্ধি পাচ্ছে। চাষিরা বাড়তি আয় রোজগারের পাশাপাশি ভোজ্য তেল নিজের পরিবারের চাহিদা মিটাতে পারছেন।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত ২ হাজার হেক্টর পতিত জমি সরিষা চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ৬ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হলেও, উৎপাদন ধরা হয়েছে- ৭ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন বলে জানান তিনি।
  • হৃদরোগ আক্রান্তে গাজী মারুফের মৃত্যুতে মৌলভীবাজার বিএনপির শোক প্রকাশ।

    হৃদরোগ আক্রান্তে গাজী মারুফের মৃত্যুতে মৌলভীবাজার বিএনপির শোক প্রকাশ।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক কমিটির ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক গাজী মারুফ আহমেদ (৪৭) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। সোমবার রাত ১২টার সময় হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে শহরের লাইফ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরিবারের অন্যান্য সদস্য বিদেশ থেকে আসার পর মঙ্গলবার বিকেলে নামাজে যানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে অসংখ্য রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলার গ্লানি টানতে হয় তাকে। মৃত্যুকালে দুই ছোট্ট শিশু সন্তান, স্ত্রী,আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্যগুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। বিনয়ী ও সদালাপী গাজী মারুফের মৃত্যুতে জেলা জুড়ে তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে।
    গাজী মারুফের মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিবের শোক : মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি’র অন্যতম সদস্য গাজী মরুফ আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন “গাজী মারুফ আহমেদ” এর মৃত্যুতে তার পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে সমব্যতী। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন গাজী মারুফ আহমেদ।
    বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। বিনয়ী ও সদালাপী মরহুম গাজী মারুফ আহমেদ মৌলভীবাজার জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। দোয়া করি- মহান রাব্বুল আলামীন যেন তাকে বেহেশস্তনসীব ও শোকার্ত পরিবারবর্গকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।
    জেলা বিএনপির শোক :বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন, জেলা বিএনপি’র সন্মানিত সদস্য, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), জেলা কমিটির সদস্য মনোয়ার আহমেদ রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বদরুল আলম, মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মমসাদ আহমদ-সহ নেতৃবৃন্দরা শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়াও জেলা, উপজেলা, পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল-সহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
  • মৌলভীবাজারে জেলা জামায়াতের ৬৭ ইউনিয়ন দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত।

    মৌলভীবাজারে জেলা জামায়াতের ৬৭ ইউনিয়ন দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দিনব্যাপী জেলার ৬৭ ইউনিয়নের তিনজন হারে ২০১ জন প্রতিনিধি নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, সকাল ১০টা হতে বিকেল ০৪টা পর্যন্ত মৌলভীবাজার পৌর অডিটোরিয়ামে দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
    এ সময় জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামির আলীর সঞ্চালনায় এই শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনা রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মোঃ ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান। প্রাণবন্ত এ প্রোগ্রাম বিষয়ভিত্তিক সাজানো ছিল।
    শুরুতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী। পরে দারসে কুরআন পেশ করেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি  মাওলানা হারুনুর রশিদ তালুকদার। “সাংগঠনিক গনভিত্তি রচনার উপায়”- শীর্ষক আলোচনা পেশ করেন সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন  আলোচনা পেশ করেন জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী। “আত্নগঠন, কর্মী গঠন ও মান উন্নয়নে দায়িত্বশীলের ভুমিকা” বিষয়ক আলোচনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মোঃ ফখরুল ইসলাম। শিক্ষা শিবিরের প্রধান আলোচক সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তিনি বক্তব্যে বলেন, “আদর্শ সংগঠকের গুনাবলী” শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ, বক্তব্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দায়িত্বশীলদের ব্যক্তিগত ও দ্বীনি যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি দাওয়াতি চরিত্র নিয়ে প্রতিটি মানুষের কর্ণ কুহরে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে জাতির নিকট ইসলাম ছাড়া আর অন্য কোন আদর্শ নেই।
    দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন সভাপতি, সেক্রেটারি ও টিম সদস্যবৃন্দরা। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম সদর উপজেলা আমীর ফখরুল ইসলাম, রাজনগর উপজেলা আমীর আবুর রাইয়ান শাহীন ও জেলা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুস সুবহান, সদর উপজেলা সেক্রেটারি দেওয়ান আশিক আল রশিদ চৌধুরী, প্রমুখ।
  • ক্যাবের মৌলভীবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি মহসীন, সম্পাদক হোসাইন।

    ক্যাবের মৌলভীবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি মহসীন, সম্পাদক হোসাইন।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর মৌলভীবাজার জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির আত্মপ্রকাশ করা হয়।
    কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জামিল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইয়া স্বাক্ষরিত প্যাডে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিনকে সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর ও এসএটিভি’র মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ’কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট মৌলভীবাজার জেলা কমিটি’র অনুমোদন দেন।
    কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আজিজ আহমদ কিবরিয়া, প্রফেসর মোঃ রফি উদ্দিন, সৈয়দ তফজ্জল হোসেন, ডা. এ.কে এম জিল্লুল হক, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মোতাইন চৌধুরী (সুবিন), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলা উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোঃ মেরাজ, সদস্যরা হলেন, আব্দুল মুমিত চৌধুরী, সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ উমেদ আলী, আয়শা শাহনাজ (রিমি), এডভোকেট আব্দুর রহিম তরফদার, মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, মামুনুর রশিদ মহসিন, এডভোকেট আব্দুর রউফ, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, মোঃ মাহবুবুর রহমান রাহেল, আশরাফ আলী, শাহ ফাহিম, ডা. সৈয়দ আজিজুল হক, ব্যাংকার নুরুল ইসলাম ও চন্দর কুমার দেব।
  • মৌলভীবাজারে হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মেধাবৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত।

    মৌলভীবাজারে হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মেধাবৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে “প্রেরণা মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২৪” অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, সকাল ১১টার সময় মৌলভীবাজার ইসলামিক সোসাইটির উদ্যোগে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, জুড়ী সহ মোট ৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলার সাতটি উপজেলায় ৩৫০০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং ৮৯ টি পরীক্ষা কক্ষে ১৯৯ জন পর্যবেক্ষক দায়িত্ব পালন করেন। পরীক্ষার শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন।
    এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে অভিভাবক বদরুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রেরণা কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষার নিয়মকানুন আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।
    তিনি বলেন, বাচ্চারা খুবই উৎসাহিত। আমার মনে হয়, এর আগেও অনেকগুলা মেধাবৃত্তিক পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু এত সুশৃংখলভাবে পরীক্ষা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। এটা আমার কাছে এক কথায় অসাধারণ লেগেছে।
    তিনি আরও বলেন, তাদের পরিবেশ বা তাদের শৃঙ্খলা বিধি গুলো অসাধারণ। আর বাচ্চারও খুব উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। আগামীতে তারা এভাবে আয়োজন করবেন, আমি তাদের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি।
    এই পরীক্ষা পরিচালনা জেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও ইম্পেরিয়েল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মামুনুর রশীদ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মেধাবী নতুন প্রজন্ম তৈরীর ক্ষেত্রে আমাদের এ উদ্যোগ ছাত্র অভিভাবকদের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। অত্যন্ত কষ্ট করে পরীক্ষা পরিচালনায় যারা সহযোগিতা করেছেন সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
    কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন পরিদর্শক হিসেবে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মনসুর আলমগীর, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আবু ইউসুফ মু. শেরুজ্জামান, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর মামুনুর রশিদ, মৌলভীবাজার ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান ও প্রবীন রাজনীতিবিদ দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহেদ আলী, জেলা সমন্বয়ক মোঃ ইয়ামীর আলী ও সদস্য সচিব সীতাব আলী, প্রমুখ।
    সম্মিলিত মেধা পুরস্কার হিসেবে থাকছে ১ম পুরস্কার শ্রেণি ভিত্তিক নগদ ১০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। ২য় পুরস্কার শ্রেণি ভিত্তিক নগদ ৮ হাজার টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। ৩য় পুরস্কার শ্রেণি ভিত্তিক নগদ ৬ হাজার টাকা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। শ্রেণি ভিত্তিক মেধার ক্রমানুসারে পরবর্তী ১৭ জনকে নগদ ২ হাজার টাকা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। সম্মিলিত মেধা তালিকার ২০ জনের বাহিরে প্রত্যেক উপজেলায় শ্রেণি ভিত্তিক সর্বোচ্চ মেধার ক্রমানুসারে ১০ জনকে নগদ ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
  • মৌলভীবাজারে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লির মৃত্যু।

    মৌলভীবাজারে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লির মৃত্যু।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক মসজিদে নামাজরত অবস্থায় বশির মিয়া (৬০) নামের এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার সময় তিনি মারা যান। পরে দুপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। বশির মিয়া কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলাইরপার গ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে।
    মৃত বশির মিয়ার ফুফাতো ভাই মোঃ ইব্রাহীম মিয়া বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায় করতে বাড়ির পাশে দক্ষিণ ধলাইরপাড় জামে মসজিদে যান। মসজিদে সুন্নত নামাজ পরা অবস্থায় হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    স্থানীয়রা জানান, বশির মিয়া অত্যন্ত দরিদ্র ঘরের সন্তান। তবে তিনি সৎ ও প্রতিবাদী ছিলেন। কখনো নামাজ কাজা করতেন না। দ্বীনের পথে ছিলেন তিনি। বশির মিয়ার নয় সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী লোক ছিলেন।
    বশির মিয়ার বড় ছেলে রকিব মিয়া বলেন, বাবা মসজিদে প্রতিদিনের মতো নামাজ আদায় করতে আসছিলেন। হঠাৎ তিনি ঢলে পড়েন। তবে আমার বাবার ভাগ্যটাই ভালো। এমন মৃত্যু সবার হয় না। আল্লাহ যেন বাবাকে বেহেশত নসিব করেন।
    কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজেদুল কবির বলেন, বশির মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছেন তিনি।