Tag: মৃত্যু

  • বাঘায় বজ্রপাতে গাছ কাটা শ্রমিকের মৃত্যু।

    বাঘায় বজ্রপাতে গাছ কাটা শ্রমিকের মৃত্যু।

    বাঘায় বজ্রপাতে গাছ কাটা শ্রমিকের মৃত্যু

    বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
    রাজশাহীর বাঘায় বজ্রপাতে মুক্তার হোসেন (৩৭) নামের এক গাছ কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার পদ্মার চরে মধ্যে আম বাগানে গাছ কাটছিল। এ সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাতে মুক্তার গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মাকসুদুল হক সিয়াম তাকে মৃত ঘোষনা করে।
    মুক্তার হোসেন উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের ইনছার আলী সরদারের ছেলে।
  • উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রে’র মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে কলেজ ছাত্রে’র মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে সুজন মাহমুদ(১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কালিয়া‌কৈড় গ্রামে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।নিহত সুজন ওই গ্রামের মোহাম্মদ নবীনূরের ছেলে।

    জানা যায়,বুধবার সকালে সুজন মাহমু ধান বিক্রির জন্য দহকুলা হাটে আসে। দুপুরে হাটের কাজকর্ম শেষে করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে বাড়িতে ফিরে আসছিল।ওই গ্রামের শাহিন মন্ডলের বাড়ির উঠানে পৌঁছা মাত্র বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুজনের মৃত্যু হয়। প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান,কালিয়া‌কৈড় গ্রামে সুজন মাহমুদ না‌মের এক ক‌লেজছাত্রের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। কোন ক্লেইম পাওয়া যায়নি। পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • উল্লাপাড়ায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় তুলাগারা বিলে মাছ ধরতে গিয়ে সাপের কামড়ে সোহেল রানা (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    নিহত যুবক উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।বেতকান্দি তুলাগারা বিলে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

    জানা যায় শনিবার রাতে বিলের পানিতে ফাঁস জাল পেতে সাতবাড়ীয়া-বেতকান্দি আঞ্চলিক সড়কের তুলাগারা বিলের উপর নির্মিত ব্রীজের পাশে শুয়ে ছিলেন। রাত ১১ টার দিকে শুয়ে থাকা অবস্থায় তাকে বিষাক্ত সাপ কামড় দিলে সোহেল দ্রুত বাড়ীতে চলে আসে। রোববার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফাড করে। সদর হাসপাতালে যাওয়ার পর জরুরী বিভাগে ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান সোহেল রানার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

  • বালিয়াডাঙ্গীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মোন্তাকিম আলিফের মৃত্যু।

    বালিয়াডাঙ্গীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মোন্তাকিম আলিফের মৃত্যু।

    স্বার্থপরতার এই দুনিয়ায় মোন্তাকিম আলিফ (২৫) একেবারেই ব্যতিক্রম। জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও মেয়ে সহকর্মীর প্রাণ বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত সহকর্মীকে সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেও নিজেই রক্ষা পাননি। তাদের ছুরিকাআঘাতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আলিফের। তবে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হলেও মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন এই যুবক। ঘটনাটি ঘটছে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায়। মোন্তাকিম আলিফ রাজধানীর একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করতেন।
    জানা গেছে, অফিসের নাইট শিফট শেষ করে ভোররাতে  আলিফ তার সহকর্মীকে (নারী) বাসায় এগিয়ে দেওয়ার সময় কুড়িল ফ্লাইওভারের সামনে তিনজন বখাটে ছেলে ছিনতাই ও মেয়েটিকে  উত্যক্ত করার জন্য কাছে আসে। এসময় মোন্তাকিম আলিফ মেয়েটিকে ছিনতাইকারীদের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। এবং তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। মেয়েটির ভাষ্যমতে আলিফ ওই তিনজনকে মারধরও করেছে। তবে ছিনতাইকারীরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলো। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আলিফ মেয়েটিকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলে যাতে মেয়েটির কিছু না হয়।
    এসময় ছিনতাইকারীরা আলিফের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তৎখানিক আলিফকে হাঁসপাতালের নিলে প্রচণ্ড রক্তক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়।
    আলিফের এমন মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর। আলিফের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের দোগাছি মধুপুর গ্রামে। থাকেন জেলা শহরের টিকাপাড়ায়। আলিফের মৃত্যুর খবরে তাঁর বাড়িতে ভিড় করছে আত্মীয়স্বজনরা। তাঁর বাবা জুলফিকার আলী ও মা কহিনুর বেগমকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন প্রতিবেশীরা। উপস্থিত সবার চোখে পানি।
    আলিফের মায়ের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, আমার কলিজার ধনকে আনে দেও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আহা রে ধনটা কই গেল। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য ঢাকা শহরে ভালো কলেজ ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কাকে টাকা পাঠাব। এখন আমি কাক নিয়ে বেঁচে থাকব। আমাক একা করে এভাবে চলে যাবি। আমাকে সঙ্গে করে কেনে নিয়ে গেলি না।
    মোন্তাকিম আলিফ ২০১৬ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতেও চাকুরি করেন।
     একটি মেয়েকে বাঁচাতে আলিফের এমন মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে মৃত্যুঞ্জয়ী আখ্যা দিচ্ছেন।
    আলিফের বন্ধু মুনিজা হোসেন প্রিথিলা তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, একটা মানুষ নিজের জীবনের শেষটুকু দিয়ে একটা মেয়ের জীবন বাঁচিয়ে গেলো। আসলে কত বড় মন হলে এবং কতটুকু ভালো মানুষ হলে একজন নিজের জীবনের শেষ সময়েও আরেক জনের জীবন বাঁচায়? কেউ বলতে পারবেন? অনেক রাগ ছিলো আমার প্রতি তোর। মাফ করে দিস আমাকে আলিফ।
    শাহারিয়ার জাকির রিম্পু লিখেন, আলিফের জন্য আমরা গর্বিত। ওর বাবা-মাকে কোনোভাবেই সান্ত্বনা দেওয়া যাবে না। প্রিয় সন্তান আলিফকে হারানোর অভাব কেউ কোনো দিনই ওর বাবা-মাকে পূরণ করে দিতে পারবে না। কিন্তু আলিফকে নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি। সেটি হলো, আমাদের  তরুণ, যুবক সমাজ এখনো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে, পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়ায়নি। আমরা আশান্বিত হতেই পারি, সমাজে এখনো আলিফের মতো যুবকরা আছে, যারা নিজের সমূহ সর্বনাশ হতে পারে জেনেও মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একজন নারীকে রাক্ষুসদের হাত থেকে রক্ষ করে।
    শ্রাবণী বর্মণ নামে আরেক বন্ধু লিখেন, সকাল সকাল এই নিউজটা পেয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেছে। ওর বাসা পার হয়েই আমার বাসা যেতে হতো, সেই সুবাদে আলিফকে রাস্তায় প্রায়শই দেখতাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোন চাপতে। আলিফ শুধু ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতেই নিহত হয়নি,একজন মেয়েকে তাদের হাত থেকে সর্বোচ্চ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়েছে।
    আলিফের আরেক বন্ধু লিখেছেন, ‘আহ জীবন! আমার সহপাঠী, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শুরু থেকে যার সাথে ওঠাবসা, ওরে আজ হারাইলাম; অন্যকে বাঁচাইতে গিয়ে সে নিজে চলে গেল না ফেরার দেশে। আমি বাকরুদ্ধ। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক, ভাই।
    মানসুরুল হক (বাবু) লিখেন, আলিফের মৃত্যুতে একটি মেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেও তাঁর মা-বাবা কখনো ভুলতে পারবেন না ছেলের এভাবে চলে যাওয়া। তবে মহাকাল সবকিছুকে ধ্বংস করে দিলেও কিছু কর্ম, ত্যাগ, সৃষ্টি কখনো বিলীন হয় না। তেমনি মহৎ
  • ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল শিক্ষকের বিষপানে মৃত্যু।

    ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুল শিক্ষকের বিষপানে মৃত্যু।

    ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লীতে বিষপানে অক্ষয় কুমার রায় (৫৮) নামের এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সাসলাপিয়ালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
    মৃত প্রধান শিক্ষক একই গ্রামের মৃত তুলেশ্বর বর্মনের ছেলে। সে কচুবাড়ী মোলানীপাড়া-২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
    স্থানীয়রা জানান পরিবারের লোকজন বিষের বোতল দেখতে পেয়ে বুঝতে পারে সে বিষ খেয়েছে। তাৎক্ষণিক তাঁকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এরপর দিনাজপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। কি কারণে বিষপান করেছেন ওই শিক্ষক তা এখনো নিশ্চিত নন তার পরিবার।
    এ ব্যাপারে ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।  পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। লাশ বিনা ময়নাতদন্তে নেওয়ার আবেদন জানালে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
  • উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ২ শ্রমিকের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ২ শ্রমিকের মৃত্যু।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ২ জন শ্রমিক মারা গেছে। নিহতরা হলেন উপজেলার নাগরৌহা গ্রামের রুহুল আমিন (৩৫) ও মোঃ আশরাফ আলী(৩৩)।

    জানা যায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের মাঠে তারা দুই জন কাজ করছিলো।সন্ধার দিকে হঠাৎ আকাশে ঝড় ও বৃষ্টির আভাস দেখে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

    এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই গ্রামের ছাত্র অধিকার পরিষদের সিরাজগঞ্জ জেলার যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্দুল মালেক। এ সময় তিনি গণমাধ্যম কে জানান আশরাফ ও রুহুল আমিন মাঠে কাজ করার জন্য গেছিলেন। বৃষ্টি নামার পর বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতের ঘটনায় তারা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার উদ্যোগ নেয়া হবে।

  • ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নার্সের ভুলে এক নবজাতকের মৃত্যু।

    ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নার্সের ভুলে এক নবজাতকের মৃত্যু।

    ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নার্সের ভুলে ৩ দিন বয়সী এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
    সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নাভির ইনজেকশন হাতের শিরায় পুশ করার কারণে শিশুটির মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
    নিহত শিশুটির বাবা সাব্বির হোসেন ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের ফকিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
    শিশুটির বাবা সাব্বির হোসেন বলেন, ১৫ তারিখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। বাচ্চাটা বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। আমি নার্সদের ডেকে নিয়ে আসি। চিকিৎসক সানিকোর্ড (Sanicord) নামে একটি ঔষধ নিয়ে আসতে বলেন। আমি সাথে সাথে নিয়ে আসি। একজন নার্স সেই ঔষধ সিরিঞ্জে করে নিয়ে হাতের ক্যানুলাতে পুশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সন্তানটি মারা যায়। আমরা এর বিচার চাই।
    ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, খবর পেয়ে শিশু ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। তিনদিন বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিভাগীয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
  • বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়াই ছিলো শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য-মামুনুল হক।

    বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়াই ছিলো শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য-মামুনুল হক।

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল, ১৫ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে তিনি প্রতিশোধ গ্রহণ করেছেন। এদেশের মানুষ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন। দেশটা যেন তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হয় সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন।

    আ.লীগের কাছ থেকে নিজের বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা, এমন দাবি করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিলো। এর কারণেই শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরেই আ. লীগের কাছ থেকে কিভাবে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া যায়, তার চিন্তা করছিলো। প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে পালিয়েছেন ভারতে।

    রবিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন।

    মামুনুল হক আরও বলেন, শেখ হাসিনা এই ১৬ বছরে শুধুমাত্র অন্যান্য দলের সাথে প্রতিশোধ নেননি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথেও তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও এরশাদ তাদের নেতাকর্মীদের ছেড়ে দেশ ছেড়ে পালায়নি। কারাবাস গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদি, স্বার্থবাদী হাসিনা সরকার শুধু নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে একা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বাংলাদেশ কোনো দেশের দাসত্ব করবে না। এই দেশে মুসলিম বিরোধী কর্মকাণ্ড হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না।

    তিনি বলেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। বিপ্লবকে ছিনতাই করার পায়তারা চলছে। আমাদের অতীতের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সকল নেতাকর্মী সহ দেশের সাধারণ জনগণকে সজাগ ও সোচ্চার থাকতে হবে।

    মামুনুল হক ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যদি বন্ধুত্বের চিন্তা নিয়ে আমাদের দিকে হাত বাড়ান তাহলে আমরা হাত আপনাদের দিকে প্রসারিত করব। আর যদি প্রভুত্বের চিন্তা নিয়ে হাত বাড়ান তবে সেই হাত আমরা উপড়ে ফেলবো।

    তিনি বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। খুবই ভালো উদ্যোগ, তবে তাদের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। শেখ হাসিনা এবং তার দোসর- যারা এই দেশে গুম, খুন, করেছে, এই দেশের অর্থ বিদেশে যারা পাঁচার করেছে তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।

    বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিয়ে মামুনুল হক আরো বলেন, আমাদের সন্তানেরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বিজয় অর্জন করেছে। সেই অর্জন যতটা কঠিন হয়েছে তার থেকে বড় কঠিন অর্জন ধরে রাখা। তাই এই বিজয় ধরে রাখতে মানুষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।

    বাংলাদেশ খেলাফল মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীর সভাপতিত্বে এসময় বাংলাদেশ খেলাফল মজলিস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।

  • উল্লাপাড়ায় হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়ায় হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হিটস্ট্রোকে জিল্লুর রহমান (৩৪)নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার সলপ ইউনিয়নের চর তারাবাড়িয়া মাঠে ধান কাটার সময় হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।  তিনি চর তারাবাড়িয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
    সলপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে ঘটনার সময় জিল্লুর রহমান অপর দিনমজুরদের সঙ্গে তারাবাড়িয়া মাঠে ধান কাটছিলেন। প্রচন্ড তাপদাহে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা প্রথমে উল্লাপাড়া কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছু দুর যাওয়ার পর রাস্তায় তিনি মারা যান।
    উল্লাপাড়ার কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আলামিন হোসেন জানান, জিল্লুর রহমানকে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইসিজিও করা হয়। পরে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে তাকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
  • সেপটিক ট‍্যাংকিতে ৩ জন শ্রমিকের মৃত‍্যুর রহস‍্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানববন্ধন।

    সেপটিক ট‍্যাংকিতে ৩ জন শ্রমিকের মৃত‍্যুর রহস‍্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানববন্ধন।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগরে সেপটিক ট‍্যাংকির ভেতরে তিনজন নির্মান শ্রমিকের মৃত‍্যুর ঘটনাকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে রহস‍্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানবন্ধন বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় এলাবাসীর  আয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ,প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সুষ্ঠু তদন্তের মাধ‍্যমে মৃত‍্যুর রহস‍্য উদঘটান করে দোষীদের  আইনের আওতায় আনার জন‍্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

    স্বজনদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত‍্যাকান্ড। বক্তব‍্য রাখেন আদাঐর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠান,কাউন্সিলর সামসুল ইসলাম পিন্টু পাঠান, আফজাল মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সারারণ সম্পাদক  উজ্জল পাঠান,সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ জয়নাল আদাঐর ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস‍্য মিনারা বেগম ,জাকির হোসেন প্রমূখ।

    পার্শবর্তী উপজেলা নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা বাজারের পাশে আহাদ আলীর স্ত্রীর নামে স্বপ্না মার্কেটে  সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে থেকে গত (১৪ এপ্রিল) সকালে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়।

    নিহতরা হলেন হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের মোঃ নজব আলী ছেলে চুন্নু মিয়া (২২), মৌজপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সম্রাট মিয়া ( ২৩) ও মাধবপুর পৌরশহরের কৃষ্ণনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আলম মিয়া( ২২)।