Tag: মামলা

  • আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেনের জামিন। 

    আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার হোসেনের জামিন। 

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ের আলোচিত শাকিল হত্যা মামলার দুই নাম্বার  আসামি দেলোয়ার হোসেনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
    বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ এই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. সৈয়দ আলম নিশ্চিত করেছেন।
    তিনি বলেন, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবি লীগের সভাপতি শাকিল আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও দুই নাম্বার আসামী দেলোয়ার হোসেন জামিনের আবেদন করলে মহামান্য আদালত দেলোয়ার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন আর প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে পুনরায় জামিনের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য্য করেছেন।
    এদিকে দুই নাম্বার আসামীর জামিনে আতংকে রয়েছে শাকিলের পরিবার।
    এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) প্রায় দুই শতাধিক লোকের শোডাউন নিয়ে আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিন চাইতে গেলে জামিন না মঞ্জুর করে মামালার প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। চেয়ারম্যানকে কারাগারে নেওয়ার সময় আদালতে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মীদের উপর হামলার চেষ্টা করেন তার ভাড়াটে লোকজন।
    আদালত চত্বরে হত্যা মামলার প্রধান আসামীর দুইশতাধিক লোকের শোডাউন ও সাংবাদিকদের উপর হামলার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিশিষ্টজনরা জানান, আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে একজন হত্যার মামলার প্রধান আসামীর সাথে এতো লোকজন কিভাবে শোডাউন দিয়ে আদালত চত্বরে কিভাবে প্রবেশ করল?
    আদালতের বারান্দায় সন্ত্রাসীদের এমন ঘটনা সত্যিই হতাশজনক। দায়িত্বরত পুলিশ-প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। সাংবাদিকদের সাথে সন্ত্রাসীরা কেন এমন মারমুখী আচরণ করল? অবশ্যই প্রশাসন এর জবাব দিবেন। আর বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তারা।
    উল্লেখঃ গত ০৩ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাঈদ আলমের ভাই মৎসজীবিলীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যায়। পরে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় আটজনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
  • সুদখোরের ফাঁদে নিঃস্ব পরিবার চেক জালিয়াতির মামলায় হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা।

    সুদখোরের ফাঁদে নিঃস্ব পরিবার চেক জালিয়াতির মামলায় হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা।

    সুদখোরের ফাঁদে নিঃস্ব পরিবার চেক জালিয়াতির মামলায় হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা।


    ব্যবসা ও চিকিৎসার জন্য দাদন ব্যবসায়ী আবু তাহেরের কাছ থেকে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে দুই লাখ টাকা সুদে নেন দবিরুল ইসলাম। শর্ত ছিল প্রতি মাসে সুদ হিসেবে দশ হাজার টাকা দিতে হবে। সেই অনুযায়ী সুদের দশ হাজার টাকা করে আঠারো মাসে দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করেন দবিরুল। এরপর হঠাৎ অসুস্থ্য হওয়ায় বাকি টাকা আর তিনি দিতে পারেননি। টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন আবু তাহের। তিনি ফাঁকা চেক স্ট্যাম্প পূরণ করে ইউনুস আলী নামে একব্যক্তিকে দিয়ে  ঠাকুরগাঁও আদালতে দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ  টাকা আত্মসাতের মামলা করেন। টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হন দবিরুল। কারাগার বাসও করেন। পরে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে গেলে আদালত থেকে জামিন পান।

    দবিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিবিষ্ণুপুর গ্রামের সমির উদ্দীনের ছেলে। অন্যদিকে আবু তাহের ও ইউনুস আলী একই এলাকার বাসিন্দা।

    ভুক্তভোগী দবিরুল ইসলাম জানায়, ২০২০সালে করোনার সময় আমি আবু তাহেরের কাছে সুদে দুই লাখ টাকা নেয়। ছয় মাস পর আমার বাবা এক লাখ টাকা দেয় আর তার এক মাস পর এক হুজুরের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা দেয় আবু তাহেরকে। পরে বাকি ৫০ হাজার টাকা আমি দিতে গেলে আবু তাহের আরো দেড় লাখ টাকা চেয়ে বসেন। না হলে সে আদালতে মামলা করবে। দেড় লাখ টাকা ছয় মাস আগে দিয়েছি একথা বললে তাহের বলেন ওই টা সুদ। আসল আরো দুই লাখ টাকা দুইদিনের মধ্যে না দিলে আদালতে পাঁচ লাখ টাকার মামলা করবো। পরে আমি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে বসতে চাইলে তাহের না বসে ইউনুস নামে একব্যক্তিকে  দিয়ে আদালতে আমার বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা আত্নসাতের মামলা করেন।

    দবিরুল আরো বলেন, আমি  টাকা নিয়েছি আবু তাহেরের কাছে আবার দেড় লাখ টাকাও দিয়েছি। কিন্তু ইউনুস আমার নামে পাঁচ লাখ টাকার মামলা করলো কেন? আমি তো ইউনুসকে চিনিনা। ইউনুসকে?  আমি প্রায় নিঃস্ব। আমি যেন সুষ্টু বিচার পাই আদালতের কাছে এটাই অনুরোধ।

    ভুক্তভোগীর বাবা হাজী সমির উদ্দীন বলেন, আমার ছেলে দবিরুল ব্যবসা ও অন্যান্য কাজের জন্য আবু তাহের কাছে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প জমা দিয়ে দুই লাখ টাকা নেয়। সেই টাকার সুদ ও আসল টাকা প্রায় সব দেওয়া হয়েছে, অল্প কিছু টাকা বাকি আছে। সেটাও আমরা দিতে চাইছি। কিন্তু টাকাটা দিতে দেরি করায় আবু তাহের ইউনুসকে দিয়ে আদালতে মামলা করায়। আর সেই মামলায় আমার ছেলে কয়েক দিন জেলে ছিলো। সে সুদ ব্যবসায়ীর সঙ্গে জড়িত। তার কারণে এলাকার অনেক মানুষ অতিষ্ট। ইউনুসের কাছে তো কোন টাকা নেয়নি। তাকে আমরা চিনিনা। ইউনুস কেন মামলা করলো? আমি চাই তদন্তের মাধ্যমে আসল কাহিনী বেরিয়ে আসুক।

    সুদ ব্যবসায়ী আবু তাহের ও ইউনুস আলীর অত্যাচারের অভিযোগে সত্যতা মিলেছে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, ‘ আবু তাহের ও ইউনুস আলী দুজনেই সুদের ব্যবসা করে। সময় মতো টাকা দিতে একটু দেরি হলে গবির মানুষের উপর অত্যাচার করে। আবু তাহের নিজে বাদি না হয়ে অন্য মানুষকে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা বসিয়ে আদালতে মামলা করে। আমরা চাই তার বিচার হোক।

    অপর দিকে ইউনুস আলী মামলার এজাহারে নিজেকে ধান চাল ব্যবসায়ী দাবি করলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিনি কোন ব্যবসার সাথে জড়িত নন। তিনি একজন শ্রমিক। টাকার লোভে মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানী করাই তার পেশা বলে জানান স্থানীয়রা।

    এ বিষয়ে আবু তাহের এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, অনেকের কাছে আমি টাকা পায়। তবে দবিরুল ইসলামের সাথে আমার কোন লেনদেন হয়নি। অন্যদিকে মামলার বাদি ইউনুস আলী সাথে কথা বললে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

    রুহিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: সোহাগ বলেন, কয়েকদিন আগে ইউনুস আলী নামে এক ব্যক্তি দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাকা আত্নসাতের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করেন। আমার জানামতে দবিরুল টাকা নিয়েছে আবু তাহেরের কাছে ইউনুসের কাছ থেকে নয়। সুদের টাকা সময় মত পরিশোধ না করায় তিনি মামলা করেছে। কিন্তু টাকা হলো আবু তাহেরের ইউনুস আলী কেন মামলা করলো বুঝলাম না। স্থানীয় পর্যায়ে  বসে এটা সমাধান করা হবে।

    এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ওসি মো: সোহেল  রানা বলেন, সুদের টাকা দিতে না পারায় আদালতে মামলা হয়েছে এটা আমার অজানা। তবে ভুক্তভোগীর সাথে কথা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • লক্ষ্মীপুরে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চেয়ারম্যান কারাগারে।

    লক্ষ্মীপুরে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চেয়ারম্যান কারাগারে।

    লক্ষ্মীপুরে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় চেয়ারম্যান কারাগারে।


    লক্ষ্মীপুরে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু ইউছুফ ছৈয়ালকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এই নির্দেশ দেন।

    বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না জানান, বাদী ইউনুছ হাওলাদার রূপম অভিযুক্ত ইউছুফ ছৈয়ালের কাছে ৩২ লাখ টাকা পান। এনিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসলেও তিনি টাকাগুলো দেননি। সোমবার আদালতে হাজিরা ছিল। বাদীর টাকা না দেওয়ায় আদালত ইউছুফকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দের।

    ইউছুফ ছৈয়াল সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বাদী রূপম হাওলাদার সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

    মামলার এজাহার সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০ইং সালে রূপম হাওলাদার মেঘনা নদীর মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট ইজারার জন্য ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। ঘাটটি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়ালের চররমনী মোহন ইউনিয়নে। এতে তিনি রূপমের সঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করবেন ও তার নামেই ঘাট ইজারা নেওয়ার অনুরোধ করেন। রূপম তাতে রাজি হন। তখন চেয়ারম্যানকে ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার ও আরও ১০ বিশ লাখ টাকা দেন রূপম। এতে তারা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ঘাটটি ইজারা পান। কিন্তু কাগজপত্রে ইউছুফ ছৈয়ালের পরিবর্তে তার ভাতিজা বাবুল ছৈয়ালের নাম দেখা যায়। কারণ জানতে চাইলে ইউছুফ তখন রূপমকে জানান, চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে নিজ নামে তিনি ইজারা নিতে পারবেন না। এর কিছুদিন পরে রূপমের অংশীদারিত্বের কথা তিনি অস্বীকার করেন। টাকা চাইলেও দেবেন না বলে জানান। এতে বাধ্য হয়ে রূপম লক্ষ্মীপুর আদালতে ইউছুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ টাকা পাওনা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

    এই দিকে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য একাধিকবার ইউছুফ ও রূপম সদর মডেল থানায় লোকজন নিয়ে বৈঠকে বসেন। বারবারই তিনি টাকা দেবেন বলে জানান। সবশেষ গত ইউপি নির্বাচনের আগ মুহূর্তে আদালতে মামলাটির হাজিরা ছিল। তখন বৈঠকের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি মীমাংসার কথা বললে জামিন পান। কিন্তু এরপরও তিনি টাকা ফেরত দেননি। আদালতে রূপম ৩২ লাখ টাকা পাওনা বলে প্রমাণিত হয়। ওই টাকা না দেওয়ায় আদালত তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন

  • লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলায় পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন  কারাদন্ড।

    লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলায় পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড।

    লক্ষ্মীপুরে অপহরণ মামলায় পলাতক আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড


    লক্ষ্মীপুরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে যুবককে অপহরণের ঘটনার মামলায় মো.স্বপন নামের এক পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশও দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

    আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম সোমবার (০৬ জুন) এই রায় দেন।

    লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসেকিউটর (পিপি) জসীম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার আবির নগর গ্রামের বাসিন্দা অহীদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আলীকে চাকরি দিবে বলে দুই লাখ টাকা নেন প্রতিবেশী মৃত আব্দুর রবের ছেলে মো. স্বপন। পরে চাকরি না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকলে তার কাছ থেকে টাকাগুলো ফেরৎ চান আলীর পরিবার। পরে ২০১৩ইং সালের ১৩ মে তারিখে মো. আলীকে অপহরণ করা হয়।

     

    এখনো তার কোন হদিস মেলেনি। এই ঘটনায় তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার নয়ন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালে ২৩ এপ্রিল মো. স্বপন ও মো. হেলাল নামে এ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে স্বপনকে কারাদন্ড প্রদান ও হেলালকে বেকসুর খালাস দেন। এর আগে আসামীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠালে স্বপন জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যায়।

  • চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে মুক্ত সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুল হক।

    চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে মুক্ত সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুল হক।

    চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে মুক্ত সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক আজিজুল হক


    টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বহুল আলোচিত চক্রান্তমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সত্যনিষ্ঠ ও সাহসী সাংবাদিক আজিজুল হক বাবু।

    সোমবার (২৩ মে) সকালে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পায় নাগরপুর উপজেলা তথা টাঙ্গাইল জেলার জনপ্রিয় এই সাংবাদিক নেতা।

    জামিনে মুক্ত হয়ে সার্বিক বিষয়ে ‘দৈনিক আমার সংবাদ’ ও ‘দৈনিক যুগধারা’ পত্রিকার সাংবাদিক মো: আজিজুল হক বাবু বলেন, আমি সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে আজ প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে কারাগারে যেতে হয়েছে। আমি দীর্ঘ সময় যাবৎ সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে সাংবাদিকতায় জড়িত অভিযুক্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক রামকৃষ্ণ সাহা রামার বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: ফরহাদ আলী তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে সেটা বানচালের পক্ষ নেয়। আমি তদন্ত বানচালের সেই প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশ করার পর থেকে তারা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। পুরো নাগরপুর উপজেলাবাসী এই প্রতিষ্ঠিত সত্য জানে যে, আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বিভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অকুতোভয় এই সাংবাদিক নেতা আরো জানায়, আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দাবায়ে রাখা যাবে না। প্রথমেই আমরা যারা প্রকৃত সাংবাদিক আছি নাগরপুরে সুষ্ঠ ধারার সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নাগরপুরে অশিক্ষিত আর হলুদ সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যে প্রকৃত সাংবাদিকেরা বিভ্রান্ত। এছাড়াও ধর্ষণ মামলার আসামী ও প্রতিষ্ঠিত চাঁদাবাজ কিছু ভুয়া সাংবাদিক আজ নাগরপুরে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের বড় বড় পদে রয়েছে তাদের নির্মূল করতে হবে।

    উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল তারিখে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: ফরহাদ আলী এক লিখিত বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করার পরিপ্রেক্ষিতে, উক্ত দিনেই নাগরপুর থানা পুলিশ সাংবাদিক আজিজুল হক বাবু কে আটক করে এবং থানা হাজতে রেখে পরের দিন ২২ এপ্রিল আদালতে প্রেরণ করে। (নাগরপুর থানা মামলা নং ১২/৫৬) ; এছাড়াও ভিত্তিহীন চাঁদাবাজি মামলায় সাংবাদিক আজিজুল হক বাবু কে আটকের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবীতে নাগরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও বিভিন্ন সাংবাদিক মহল মানববন্ধন সহ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

  • ওসমানীনগরে ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ৫ জনকেই চেনে না বাদি।

    ওসমানীনগরে ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ৫ জনকেই চেনে না বাদি।

    ওসমানীনগরে ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ৫ জনকেই চেনে না বাদি


    সিলেটের ওসমানীনগরর থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকেই চেনে না মামলার বাদি নির্যাতিতা গৃহবুধু। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে ওই গৃহবধূ আদালতে এফিডেভিট প্রদান পূর্বক এজহারভুক্ত ৫ জনকে চেনে না এবং তাদেরকে তিনি মামলায় অভিযুক্ত করেন নাই বলে দাবি করেছেন মামলার বাদি ও ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু।

    অভিযোগ উঠেছে, স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে কতিপয় প্রভাশালীদের কাছে বিচার চাইতে গিয়ে তাদের খপ্পরে পড়ে স্বামীসহ সাতজনের নামে দায়েরকৃত ধর্ষন মামলার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর নেয় ওই প্রভাবশালীরা। মামলা থানায় নথিভুক্ত হওয়ার পর বাদি জানতে পারেন সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীরা নিজ স্বার্থ হাছিলের জন্য ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকেই হয়রানীর উদ্দেশ্যে মামলায় আসামী করা হয়েছে। যা তিনি পুলিশসহ আদালতে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। চাঞ্চলক্যর ঘটনাটি নিয়ে গোটা এলাকায় এখন তুলপার সৃষ্টি হয়েছে।

    প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ন্যাক্কারজনক ভাবে ধর্ষণ মামলায় পাঁচ জনকে আসামী করে হয়রানী করায় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ফুঁেস উঠেছে এলাকাবাসীসহ স্থানীয়রা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তাজপুর ইউপির কাদিপুর গ্রামের ধন মিয়ার বাড়িতে কয়েক শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভা করে এলাকাবাসী। ওই সভায় ভোক্তভোগী লোকজন ও নির্যাতিতা উপস্থিত হয়ে এলাকার চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।

    মামলার বাদি নির্যাতিতা গৃহবধু বলেন, প্রায় ৯ মাস পূর্বে উপজেলার কাদিপুর গ্রামের চুনু মিয়ার ওকালতিতে বালাগঞ্জ উপজেলার বাবরকপুর গ্রামের নজির মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর স্বামী নজির আমাকে নিয়ে উপজেলার গোয়ালাবাজার এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় উঠেন। এরপর থেকে স্বামীসহ চুনু মিয়া জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষনসহ নানা ভাবে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আমি ৬ মাসের অন্তসত্তা হয়ে পড়লে তাদের কবল থেকে পালিয়ে গিয়ে আমার হতদ্ররিদ্র মাসহ পরিবারের সবাইকে বিষয়টি অবগত করি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে বিচারের আশায় উপজেলার তাজপুর ইউপির ৯ নং ওর্য়াডের সাবেক সদস্য কাদিপুর গ্রামের নেপুর আলী ও সজ্জাদ মিয়ার দ্বারস্থ হই। তাদের মাধ্যমে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) তে ভর্তি হই। সেখান থেকে বের হওয়ার পর আমি অনেকটা মানুষিক ভারষাম্যহীন থাকা অবস্থায় মামলার লিখিত অভিযোগ পত্রে কৌশলে আমার স্বাক্ষর নিয়ে ওই অভিযোগ দিয়ে নেপুর আলী ও সজ্জাদ আলী আমাকে মামলা করার জন্য থানায় পাঠায়।

     

    আমি লেখাপড়া না জানায় ওই কাগজে কাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সে বিষয়েও আমি কিছুই জানিন না। মামলা দায়েরর পর জানতে পারি উপজেলার তাজপুর ইউপির কাদিপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, দুধাই মিয়া, কবির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন ও রিপন মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। যা আদৌও তারা আমার ঘটনায় জড়িত নয় এবং আমি তাদেরকে চিনিও না তাদের সাথে আমার কোনো ধরণের সম্পর্কও নেই।

    কাদিপুর গ্রামের বাদিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য দরছ আলী বলেন, প্রতিহিংসাবসত হয়ে একজন নির্যাতিতা নারীকে ব্যবহার করে বিচারের নামে গ্রামের নির্দোষ ৫জন ব্যাক্তিকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের মান সম্মানহানী করেছেন নেপুর আলী ও সজ্জাদ মিয়া গংরা।

    মামলায় আসামি হয়ে হয়রানির শিকার মিজানুর রহমানের বড় ভাই লুৎফুর রহমান বলেন, প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে নেপুর আলী ও সজ্জাদ মিয়া আমার ভাই সহ গ্রামের অন্য আরো চার সম্মানী ব্যক্তিকে ধর্ষণ মামলায় আসামি করে আমাদের মান-সম্মান বিনষ্ট করেছে। আমরা প্রশাসনের নিকট বিচার দাবী করছি।

    সাবেক ইউপি সদস্য নেপুর আলী বলেন,আমি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রটানোসহ বিভিন্ন ভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
    ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাইন উদ্দিন বলেন,মামলাটি এখনও তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে কে জড়িত আছে,কে জড়িত নেই বের হয়ে আসবে।

  • কুয়াকাটায় ভাইকে বেঁধে বোনকে ধর্ষন-মামলা রুজু ।

    কুয়াকাটায় ভাইকে বেঁধে বোনকে ধর্ষন-মামলা রুজু ।

    কুয়াকাটায় ভাইকে বেঁধে বোনকে ধর্ষন-মামলা রুজু ।


    কুয়াকাটায় হাচান শরীফ (১৬) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিশুর মা মহিপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন। হাচান কুয়াকাটা পৌর শহরের ইব্রাহিম শরীফের ছেলে। শুক্রবার দুপুরের দিকে শিশুটির অভিভাবক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট ধর্ষক ইব্রাহীমকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে গনমাধ্যমকে এ সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি সম্পর্কে অবহিত করেন।

    স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে পশ্চিম কুয়াকাটা এলাকার ওই শিশু তার বড় ভাইয়ের (৯) সাথে পাশ্ববর্তী একটি মাছের ঘেরে মৌ ফল খেতে যায়। এসময় হাচান ওই শিশুর ভাইকে আম গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে। পরে পাশের ঝোপের মধ্যে নিয়ে ওই শিশুকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এঘটনায় ওই শিশুর প্রচুর রক্তক্ষরন হলে তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।

    মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, শিশুটিকে পরিক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে , বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, অসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

  • মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত তরুণী হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার।


    চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হবিগঞ্জের মাধবপুরে তরুণী হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামীকে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯।

    গত ১৯ এপ্রিল মাধবপুর থানাধীন বাঘাসুরা ইউনিয়নের এক তরুনীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাম হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তরুনী কর্তৃক প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়া বখাটে যুবক ও তার বন্ধুরা। গুরুতর জখম প্রাপ্ত তরুনীকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ০৬জনকে আসামী করে গত ২৫ এপ্রিল ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার দাখিল করেন। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এর প্রেক্ষিতে আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব-৯ তার গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।

    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত মামলার প্রধান আসামী মাহাবুবুর রহমান @ সুমন মিয়া (২২), পিতা- মারুফ মিয়া, গ্রাম- মানিকপুর (শাহজিবাজার), উপজেলা- মাধবপুর কে অদ্য ২৮ এপ্রিল ভোররাতে ০৪.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়।

    ঘটনার বিবরণ ও আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী মাহবুবুর রহমান@সুমন মিয়া ভিকটিমকে গত কয়েকমাস ধরে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এবং প্রেমে ব্যর্থ হয়ে একাধিকবার ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকায় ভিকটিম সেহেরি খাওয়ার জন্য বসতঘর থেকে বের হয়ে হাত মুখ ধোয়ার জন্য টিউবওয়েলের কাছে পানি আনতে যায়। এ সময় মাহবুবুর রহমান@সুমন মিয়া ভিকটিমকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ভিকটিমের হাতের কব্জি এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত করে। ভিকটিমের আত্ম চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী নিজের কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‍্যাব-৯ এর চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ সহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • ধর্ষণ মামলার আসামী রজত ধর ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার। 

    ধর্ষণ মামলার আসামী রজত ধর ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার। 

    ধর্ষণ মামলার আসামী রজত ধর ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার।


    ধর্ষণ মামলা ও গ্রেফতারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ভারতে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না প্রধান আসামী রজত ধরের।

    র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা তথ্যপ্রযোক্তির সাহায্যে সিমান্ত এলাকার চাতলাপুর বর্ডার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র এএসপি বাসু দত্ত চাকমা এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী রজত ধর। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মৌলভীবাজারের কমলঞ্জের চাতলাপুর থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি রজত ধরকে আটক করে র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা। আটক রজত ধর উবাহাটা গ্রামের মৃত লক্ষী ধরের ছেলে।

    র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প সুত্র জানায়, আটক রজত ধরের বিরুদ্ধে গত ৫ মার্চ নারী ও শিশু (সংশোধনী/০৩)-এর ৯(১) ধারায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। জনা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার ধাতাইলগাঁও এলাকার জনৈক এক পিতা তার প্রতিবন্ধী মেয়ে (২৫)কে অভাবের কারণে রজত ধরের বাড়ীতে বিগত ১০ মাস আগে কাজে দেন।

    কিছুদিন পর রজত ধর প্রতিবন্ধি মেয়েটিকে বিভিন্ন প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি সেখানে কাজে যাওয়া বন্ধ করলে কিছু দিন পর মেয়েটি তার শরীরে অস্বাভাবিকতা দেখতে পায়।

    এক পর্যায়ে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করলে ৬ মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানা যায়। এই ঘটনায় রজত ধরের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়।

     

  • উল্লাপাড়ায় একাধিক মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ মৈত্র বড়হর গ্রামবাসী।

    উল্লাপাড়ায় একাধিক মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ মৈত্র বড়হর গ্রামবাসী।

    উল্লাপাড়ায় একাধিক মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ মৈত্র বড়হর গ্রামবাসী।


    কথায় কথায় প্রশাসনের হুমকি ও একাধিক মিথ্যা মামলায় অতিষ্ঠ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মৈত্র বড়হর গ্রামবাসী। আব্দুল আলীম নামের এক ব্যক্তি গ্রামে ঘর জামাই হিসেবে বসতি গড়ে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে একাধিক মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরজমিন গ্রামে গেলে বাসিন্দারা মিথ্যা মামলার বাদী আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ করেন।

    মৈত্র বড়হর গ্রামের বাসিন্দা আমীর হোসেন অভিযোগ করে জানান, কয়েক বছর আগে গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করার সুবাদে আব্দুল আলীম নামের ঐ ব্যক্তি গ্রামে বসতি স্থাপন করে। আলীম তার সাংসারিক প্রয়োজনে আমার (আমীর) কাছ থেকে বেশকিছু নগদ টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে আলীম বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এই গোলযোগের জের ধরে মামলাবাজ আলীম মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমার ছেলে রাজুর বিরুদ্ধে।

    সাবেক মেম্বর শহিদুল ইসলাম ও গ্রামের বাসিন্দা মোমিন, আব্দুল হাই, লিটন জানান, মামলার বাদী আলীম মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করায় গ্রামবাসি বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেয়। বৈঠকে গ্রামবাসি ঘটনার মিমাংসা দিলে বাদী আলীম রায় না মেনে গ্রাম্য প্রধানদের বিরুদ্ধে পুণরায় আদালতে আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

    ভুক্তভোগী রাশেদা ও গ্রামের আবু বকর, হাছেন এবং আব্দুল মালেক জানান, নৌবাহিনীর থেকে চাকরিচ্যুত ঘর জামাই আব্দুল আলীম একজন মামলাবাজ ও দুর্ধষ লম্পট লোক। মানুষের ক্ষতি করাই তার কাজ। আলীম তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন। তখন থেকে নিজ গ্রাম হতে বিতাড়িত হয়ে মৈত্র বড়হর গ্রামে দ্বিতীয় বিবাহ সুত্রে বসতি গড়ে তোলে।

    তারা আরো জানান, অহেতুক গ্রামবাসির বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

    আলীম জানান, গ্রামের নতুন বাসিন্দা হওয়ায় তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক সাহেব গণি জানান, ঐ গ্রামের নানাবিধ গোলযোগের বিষয় নিয়ে থানা পুলিশ মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নইলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।