Tag: মামলা

  • উল্লাপাড়ায় হজ্ব এজেন্সি মালিকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে-মামলা।

    উল্লাপাড়ায় হজ্ব এজেন্সি মালিকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে-মামলা।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হজ্ব এজেন্সি মালিকের টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। স্বজন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস্ এর মালিক উপজেলার বিনায়েকপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারী-২৪ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -৩৭/২৪। আগামী ১৪ মার্চ তারিখের মধ্যে উল্লাপাড়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মামলার আসামিরা হলো- উপজেলার বিনায়েকপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে মোঃ আবু তালেব (৪২), মোঃ জাকির হোসেন (৩৮) এবং সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মহিশলুটি গ্রামের মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (৩৬)।

    বাদীর অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত আসামিরা আমি হজ্ব এজেন্সির ব্যবসা করি বলে মাঝেমধ্যেই চাঁদার দাবি করে আসছিল। ঘটনার দিন উপজেলার উধুনিয়া এলাকা থেকে হজ্জের টাকা কালেকশন করে বাড়ী ফেরার পথে কায়ড়া বাজারের পাশে আসামিরা বাদীর মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ব্যাগে থাকা সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

    মামলার বিবাদী মোঃ আবু তালেব এ সব ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার ভাগ্নি জামাই সাইফুল ইসলামকে কয়ড়া ফাজিল মাদ্রাসায় প্রভাষক পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে সুপার সামাদ সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে সাড়ে ২১ লক্ষ টাকা নেয়। পরে চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতের একটি এফ. আই.আর পেয়েছি। খুব শীঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হবে।

  • রাণীশংকৈলে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য ওয়াসিম সহ ও গ্রেপ্তার-২।

    রাণীশংকৈলে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি সদস্য ওয়াসিম সহ ও গ্রেপ্তার-২।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাঁচোর ইউপি সদস্য ওয়াসিম (৩৫) ও সহযোগী শাহীনুর (২৮) কে চাঁদাবাজি ও মোটরসাইকেল চুরির অপরাধে গত শনিবার ৯ মার্চ গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
    আজ রবিবার (১০ মার্চ) তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁচোর ইউনিয়নের চোপড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মুনির ইসলাম (২০) গত ৪ মার্চ বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে বাকসা-সুন্দরপুর এলাকা দিয়ে যাবার সময় ইউপি সদস্য ওয়াসিম ও তার লোকজন মুনিরের পথরোধ করে।
    তারা মুনিরকে বেধড়ক মারপিট করে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলটি হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। তার দুদিন পর, গত ৬ মার্চ ওয়াসিম ও তার সহযোগীরা মুনিরের বাড়িতে গিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। টাকা না দিলে মোটরসাইকেল ফেরৎ দেওয়া হবেনা বলে তারা জানায়। তারা মুনিরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। উপায় না পেয়ে মুনির গত ৯ মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওইদিনেই পুলিশ ওয়াসিম ও শাহিনুরকে গ্রেপ্তার করে।
    রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
  • বাড়ী ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা। 

    বাড়ী ফেরার পথে স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা। 

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জুড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর পালক মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার জুড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
    জানা যায়, গত সোমবার কেউ বাড়িতে ছিলেন না। দুপুর ১২টার সময় মেয়েটি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে আসে। বাড়ির গেটে আসা মাত্র পূর্বে থেকে ওঁৎপেতে থাকা পার্শ্ববর্তী ভোগতেরা গ্রামের আব্দুর রশীদের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম কালা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ঘরের পেছনে খড়ের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তিনি বলেন-সে প্রায় দিনই আমাদের ঘরের পেছনে এসে দিনে রাতে বসে থাকে। আমরা ভয়ে কিছু বলি না। আমাদের ঘরে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমরা ভয়ে ভয়ে থাকতাম। আজ আমাদের সর্বনাশ করল।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিনগর ও ভোগতেরা গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন-কালা ইতিপূর্বে ৫/৬টি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও ছেলে শিশুকে বলাৎকার করেছে এবং বেশ কয়েকজন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে।
    জুড়ী থানার ওসি এসএম মাঈন উদ্দিন বলেন-ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা তারিখ হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
  • ঝিনাইদহে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত

    ঝিনাইদহে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারিক আদালত

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

    ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় মোঃ তরিকুল ইসলাম জোয়ারদার নামের আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (৬মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত মোঃ তরিকুল ইসলাম জোয়ারদার উপজেলার রয়েড়াগ্রামের মৃত মেন্দা আলী জোয়ারদারের ছেলে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বজলুর রহমান জানান ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি শৈলকুপার রয়েড়া গ্রামের পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে তরিকুল। নির্যাতিতা ওই শিশু তার উপর ঘটে যাওয়া ঘটনা পরিবারকে জানালে শৈলকূপা থানায় তার চাচা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ বুধবার মামলার আসামিকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।এই টাকা অনাদাযে আরো চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।

  • উল্লাপাড়ায় গভীর রাতে কৃষকের বসতঘরে আগুনের ঘটনায় থানায় মামলা।

    উল্লাপাড়ায় গভীর রাতে কৃষকের বসতঘরে আগুনের ঘটনায় থানায় মামলা।

    উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের গোনাইগাঁতী গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম (৫৫) এর বসতঘর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে রবিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছে আলিম। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আলিম ও পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তার বসতবাড়ি।

    আসামিরা হলো উপজেলার গোনাইগাঁতী গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে মোঃ আব্দুল হাই (৬০), গোলাম কিবরিয়া (৫৫), একই গ্রামের নুরাল প্রামাণিকের ছেলে মোঃ টুটুল প্রামানিক (৪৫), শাহীন প্রামাণিকের স্ত্রী কুরিছ খাতুন (৩৫), আব্দুল হাই এর স্ত্রী রনজিতা খাতুন (৪২), ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২), গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী ফজিলা খাতুন (৪০), টুটুল প্রামাণিকের স্ত্রী শিরিনা খাতুন (৩৫)।

    থানায় বাদীর মামলা সুত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ আসামিরা তার চাচা আমিরুল ইসলামকে হাতুড়ি ও ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে হত্যা করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। আসামিরা হত্যা মামলায় জামিনে এসে রাস্তা-ঘাটে বাদী পক্ষের লোকজনকে বেশকিছু দিন ধরে আর্থিক ক্ষক্ষতি, হত্যা ও গুম করার হুমকি দিয়ে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে আলিম। গভীর রাতে আলিম ও তার স্ত্রী হঠাৎ প্রচন্ড গরম অনুভব করে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। দেখতে পায় তাদের ঘরের চারপাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘরের পিছন থেকে আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে কিছু লোক। তখন আলিম ও তার স্ত্রী ঘর থেকে বাহির হওয়ার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু দরজা খুলতে দেখে বাহির থেকে দরজা লাগানো। পরে দরজা ভেঙ্গে ঘর থেকে বাহির হয়। ইতিমধ্যে তার বসতবাড়ি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা নগদ টাকা, ফ্রিজ, খাটপালং, স্বর্ণালষ্কার, আসবাবপত্র, জরুরি কাগজপত্র, ধান, চাল, সরিষা সহ গবাদিপশু পুড়ে তার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।

    উল্লাপাড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর জানান, বাদীর অভিযোগ মামলা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ফতুল্লায় দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান গ্রেপ্তার।

    ডেস্ক নিউজঃ ফতুল্লায় আল আমিন ওরফে দানিয়াল হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিক প্রধান(২৭)কে বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট সদর থানার ড্রাইভার পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১১’র সদস্যরা।

    বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১’র সিপিসি-১ এর উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।

    আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়,গত ০৯ ফেব্রুয়ারি রাতে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদক বেচাকেনায় বাধা সৃষ্টি করায় আসামিরা দানিয়াল ও শুভকে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় আক্রমণ করে মারধর করে।এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরকে ফেলে চলে যায়।

    পরে ওই রাতে ভুক্তভোগীরা আহত অবস্থায় ফতুল্লা থানার বাড়ৈভোগ ফারিয়া গার্মেন্টসের পাশে খানকার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা পুনরায় হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র (চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু)দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে দানিয়াল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এ সময় আসামিরা পালিয়ে যায়।

    ভুক্তভোগী দানিয়াল ও শুভকে রক্তাক্ত ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের স্বজনরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল(ভিক্টোরীয়) নিয়ে যান পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

    পরে নিহত দানিয়ালের মা মুক্তা বেগম ১০ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লা মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    র‍্যাব জানায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি অনিক প্রধানকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য।

     

  • রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গ্রেফতার।

    রাণীশংকৈলে গ্রাম পুলিশের মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গ্রেফতার।

    (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় এক গ্রাম পুলিশকে বেদড়ক মারপিট করার অপরাধে ইউপি সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ ।
    জানা যায়, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার রাতে নেকমরদ বাজারে  উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামসহ তার ছেলে রুবেল ইসলাম ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায়কে অতর্কিত ভাবে বেদড়ক মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
    এঘটনায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ বাদি হয়ে দবিরুল ইসলাম সহ তার ছেলেকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। ঘটনার পরদিন সোমবার রাতে ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
    অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশ শ্রী জগেন্দ্র নাথ রায় ইকো সোশ্যাল অর্গানাইজেশন(ইএসডিও) বে-সরকারী ঋণ বিতরণ এনজিও থেকে ১ বছর আগে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। সে টাকার কিন্তি পরিশোধের সময় অতিবাহিত হয়ে পড়ে। এনজিও কর্মকর্তাদের চাপের মুখে সে ইউপি সদস্য দবিরুলের মধ্যস্থতায় ইএসডিও এনজিও’র সর্বশেষ ৯ হাজার পাওনা টাকা ব্যবস্থাপকের হাতে তুলে দেন।
    ইএসডিও’র ব্যবস্থাপক সে টাকা জমা না করে, অন্যত্রে বদলি হয়ে পড়েন। ব্যবস্থাপকের কাছে কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার কোন  প্রমাণ না থাকায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথকে আবারো ৯ হাজার টাকা ইউএসডিও কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়। এদিকে নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদে এক সভায় ওই ব্যবস্থাপককে দেখতে পায় গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ। এবং সেদিন লোকজনের উপস্থিতি বেশি থাকায় তিনি তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারেননি বলে জানান ইউপি সদস্য দবিরুলকে।
    গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ রায়ের এমন কথায় ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে বেধরক মারপিট করে । এসময় গ্রাম পুলিশের পোষাক পরিহিত ছিল। তার পোষাকের বিভিন্ন অংশেও ছিড়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে।এবং সাথে থাকা টাকাও ছিড়ে দেন।
    সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে  ইউপি সদস্য দবিরুল ইসলাম বলেন, তিনি একটি মাত্র থাপ্পড়  দিয়েছেন।
    সংশ্লিষ্ট নেকমরদ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি দু:খ জনক। গ্রাম পুলিশ জগেন্দ্র নাথ বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা হওয়ার তা হবে।
    থানা অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
  • মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে আলোচিত পাভেল হত্যা মামলার আরো ১৬ আসামিকে ঢাকা শাহবাগ থানার মাজার গেইট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা ।
    জানা যায়, মাধবপুর থানার মামলার আসামীদের ঢাকা র‍্যাব-৩ এর সহযোগীতা তাদের আটকের বিষয়ে খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৬ জন আসামি র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার পূর্বক নিজ হেফাজতে মাধবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সিরাজ মিয়া,জহিরুল্লাহ পাঠান বশির,হাফিজুল্লাহ,শফিক মিয়া,বদিউজ্জামান,উম্মেত আলী,লোকমান মিয়া,সেলিম মিয়া,রাসেল মিয়া, আলমগীর, নুর আলী,নাসির মিয়া,শের আলী,সুমন আলী,ফারুক মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন।সকল আসামি বেজুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
    উল্লেখ্য গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত পাভেল মিয়া’র বড় ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে মামলায় প্রধান আসামি জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানার পুলিশ।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃরকিবুল ইসলাম খাঁন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাবের সহযোগিতায় পাবেল হত্যা মামলার ঢাকা শাহবাগ থানা এলাকা থেকে ১৬’জন পলাতক আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • উল্লাপাড়ায় স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা।

    উল্লাপাড়ায় স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম কে মারধর ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি ও তিন অভিভাবক সদস্য’র বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

    মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি,উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কোনাগাঁতী গয়হাট্রা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে মোঃ আল আমিন সরকার (৪৫), অভিভাবক সদস্য ও পারকুল গয়হাট্টা গ্রামের মীর মতিয়ার রহমান ছেলে মানিক উদ্দিন (৪০), একই গ্রামের আকবর সরকারের ছেলে আইনুল হক (৫২), গয়হাট্টা দহপাড়া গ্রামের ওছমান গণির ছেলে গোলাম মোস্তফা (৪০)।

    মামলার বাদী শহিদুল ইসলামের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উল্লেখিত অভিভাবক সদস্যরা যোগ সাজোস করে গত ২০২৩ সালের বিদ্যালয়ের পুকুর লীজের ৫ লক্ষ১০ হাজার টাকা, শিক্ষার্থী উপবৃত্তির ১ লক্ষ টাকা,গাছ বিক্রির ৪০ হাজার টাকা এবং পুরাতন আসবাবপত্র ও দ্রব্য সামগ্রী বিক্রির ৫০ হাজার টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করে। আত্মসাতকৃত টাকার ভুয়া ভাউচার ও রেজুলেশনে জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষকের (আমাকে দিয়ে) স্বাক্ষর করিয়া নিতে চায়। উক্ত ভাউচার ও রেজুলেশনে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করিলে গত ২৯ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আসামিরা প্রধান শিক্ষক (আমার) কার্যালয়ে প্রবেশ করে।

    এ সময় তারা অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে আমাকে অবরুদ্ধ অবস্থায় বিভিন্ন গালি-গালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে তারা আমার উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে বেদম মারপিট করে।

    তিনি আরও জানান, ইতিপূর্বেও বিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বৈধতা নিয়ে মতবিরোধ হলে সে থেকে আসামিরা আমাকে মারপিট করে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান,প্রধান শিক্ষকের অভিযোগটি মামলা হিসেবে আমলে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম চলছে।

  • তাড়াশে ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা।

    তাড়াশে ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টি আর মোঃ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। তিনি উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেনের মেয়ে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের পেশকার মোঃ মুনতাসীর মামুন।তিনি জানান বাদীর মামলা আদালত আমলে নিয়েছেন এবং ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন সিআইডি কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন মহামান্য আদালত।

    মামলা সূত্রে জানা যায়,গোন্তা আলিম মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ,অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়াসহ মোট ৪টি পদের জন্য গেল বছর ২৭ জুন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যথানিয়মে আয়া পদে চাকুরির জন্য আবেদন করেন ফাতেমা। তৎকালীন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদরাসার উন্নয়ন তহবিলের নামে তার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন জানান, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ২০২০ সালে অধ্যক্ষ টি আর মোঃ আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।তিনি টাকা নিয়েছেন এমন ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

    গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ টি আর মোঃ আব্দুল মান্নান টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,নিয়োগ বোর্ড ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে ওই ৪ টি পদের নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।