Tag: মামলা
-
মাদক মামলা দিয়ে টাকা নিতেন ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ সাংবাদিককে টাকা অফার।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের পাহাড়। লাভবান হওয়া ছাড়া কোনো অভিযান পরিচালনা করেন না তিনি। অফিসের তিন সদস্যকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন বলয়।তাদের মাধ্যমে নগদ ও অনলাইন পেমেন্টে হাতিয়ে নেন লাখ টাকা। মাদক দিয়ে মামলায় ফাঁসানো, টাকা নিয়ে আসামিকে ছেড়ে দেওয়া, টাকা নিয়েও মামলা দেওয়া, এজাহার থেকে নাম কেটে দেওয়াসহ প্রতি মাসে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন ফরহাদ। এর আগে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত থাকলেও তার বদলির পর নিয়মিত দায়িত্ব পাননি কোনো কর্মকর্তা। পাশের জেলা নীলফামারীর কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিলেও নিয়মিত অফিসে আসেন না তিনি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজস্ব বলয় গড়ে অনিয়মের কারখানা তৈরি করেছেন তিনি।তেমনি এক ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের মিলন নগরের বাসিন্দা রঞ্জু। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। আচমকা তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আকন্দ টিম। ঘটনা না বোঝার আগে কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সেখান থেকে আটক করে আনা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে করা হয় দুর্ব্যবহার।রঞ্জুকে গাড়িতে ওঠানোর পর আড়াই লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন আকন্দ। টাকা দেওয়ার অপারগতা জানালে তাকে নিয়ে চলে যাওয়া হয় অফিসে। তারপরে আকন্দের সহযোগী কনস্টেবল বাধন, খালেক ও ইউনুসের মাধ্যমে শুরু হয় দর কষাকষি। সেখানে ডেকে নেওয়া হয় রঞ্জুর ছোট ভাই শাকিলকে। টাকা দিলে হালকা মামলার প্রস্তাব দেন তারা। দাবি করা হয় ১ লাখ টাকা। ভাইয়ের মাদকের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান শাকিল। তাতেও ক্ষান্ত হননি আকন্দ বলয়। নানা ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে শুরু করেন চাপ।পরে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও কনস্টেবল বাধন তার মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আরও ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। টাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন আকন্দ।রঞ্জুর ভাই শাকিল বলেন, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে আমি জানতে পারি। পরে তাদের অফিসে গেলে তারা টাকা দাবি করে আমার কাছে। আমরা অনেক গরিব, টাকা কোথায় পাব। অনেক মিনতি করি কিন্তু আকন্দ কোনো কথা শোনে না। পরে আমি কোনোভাবে টাকা ম্যানেজ করে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিই ও কনস্টেবল বাধনের নম্বরে ৫ হাজার টাকা দিই।ভুক্তভোগী রঞ্জু ইসলাম বলেন, আমাকে শুধু টাকার জন্য ফাঁসানো হয়েছে। এলাকা, পরিবারের কাছে আমার সম্মানহানি করা হলো। আমি তো মাদক ব্যবসায়ী না, তারপরও আমার সঙ্গে অন্যায় করা হলো। আমি এটার বিচার চাই।শুধু একটি ঘটনাই না, এমন নানা ঘটনার মূল হোতা ফরহাদ আকন্দ। জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিতেও অর্থ নেন তিনি। কিছুদিন আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সহকারী পরিচালকের সিল ও সই জালিয়াতি করে মামলার চার্জশিট থেকে পুলিশ কনস্টেবল মোশাররফ হোসেনের নাম বাদ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়াও জেলায় অভিযান পরিচালনাকালে মাদক পেলেও টাকা, না পেলেও টাকা ও বাড়িতে থাকা নগদ অর্থ নিয়ে আসেন তিনি।আরেক ভুক্তভোগী লাকি আক্তার বলেন, আকন্দ উনার বাহিনী নিয়ে প্রায় আমার বাসায় রেট দেয়। প্রায়ই তারা আমাদের বাসায় এসে টাকা নিয়ে যায়।সব অভিযোগ অস্বীকার করে আনীত অভিযোগ বানোয়াট ও মিথ্যা আখ্যা দেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর ফরহাদ আকন্দ। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে না স্বীকার করে প্রতিবেদন না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। প্রতিবেদনটি প্রচার না করার জন্য খামে করে প্রতিবেদককে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত) মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -
কাফরুল থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা ৪ টি চাঁদাবাজি মামলা খারিজ।
ডেস্ক নিউজঃ ওয়াইন ইলেভেনের সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় দায়ের করা চারটি চাঁদাবাজির মামলা খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে ওই চাঁদাবাজি মামলা বাতিল করেন। আদালত চত্বরে প্রেস ব্রিফিং করে তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় তারা জানান,আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মামলার সুরাহা করতে চান তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৮০টির মতো মামলা রয়েছে। যেগুলো আইনিভাবে মোকাবিলা করে মামলা নিষ্পত্তি করা হবে।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানিয়েছেন,নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সব রাজনৈতিক মামলা নিষ্পত্তির পরই তারেক রহমান নিজের মামলার নিষ্পত্তির ব্যাপারে আগ্রহ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় চাঁদাবাজির ৪ মামলা দায়ের করাহয়েছিল।
-
ঠাকুরগাঁওয়ে আট মামলার আসামি আড়াই হাজার।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে বিরোধী দল ও সাধারণ জনতাকে হামলা-মামলায় জর্জরিত করে রাখা হতো। তবে পট পরিবর্তনেই সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের হচ্ছে একের পর এক মামলা।
সারাদেশের মতো ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে সরকার পতনের দুই মাসে বিদায়ী সরকারের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আন্দোলনে নিহত-আহত ও বোমা হামলার ঘটনায় ৮টি মামলা রুজু হয়েছে। এরমধ্যে ভাঙচুর ও আন্দোলনে হত্যার চেষ্টা ও হাসিনা পতনের দিন অগ্নিদগ্ধ হয়ে চারজন নিহতের ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত তিন সাবেক সংসদ সদদ্য ও পৌসসভার মেয়রকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চলছে পুলিশের অভিযান। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
আগস্টে পুলিশি কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গত ১৬ আগস্ট পর্যন্ত এই মামলাগুলো হয়েছে। এসব মামলায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নিহতের ঘটনায় আগস্টে ৩টি, সেপ্টেম্বরে ৩টি এবং অক্টোম্বরে ২টি। ২টা মামলায় আবার বিএনপি কয়েকজন নেতাকর্মী কেউ আসামি করা হয়েছেন। যদিও মামলার বাদীরা বলছেন ভুল করে অনেকের নাম মামলায় দেওয়া হয়েছে। আর কেউ কেউ বলছেন আসামিদের তারা চেনেই না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, গুরুত্বর জখম, ভয়ভীতি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার মামলাগুলোর মধ্যে বিদায়ী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার এমপি রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যানসহ জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ মামলার প্রধান আসামি রমেশ চন্দ্র সেন, অরুনাংশ দত্ত টিটো, আব্দুল মজিদ আপেল ও দেবাশীষ দত্ত সমীরকে আসামি করা হয়েছে।এদিকে ঢালাও মামলায় শুধু আওয়ামী দলীয় লোকজনই নয়, মামলাগুলোর কয়েকটিতে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই এমন ব্যক্তিবর্গ, বিএনপি সমর্থক ও ব্যবসায়ীর নাম দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এদিকে বাদী মাহাবুব হোসেন নিজেই জানেন না তার মামলার আইনজীবী কে। আর কীভাবে এজাহারে ৮৫ জনের নাম এলো, তাও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকেই চেনেন না বাদী। বাদীর ভাষ্যমতে, অচেনা কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও নাম দেখিয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে কীভাবে ৮৫ জনের নাম এলো, তিনি নিজেই জানেন না। এমনকি স্থানীয় যুবদলের ওয়ার্ড প্রচার সম্পাদকের নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই।
আরেক বাদী শামীম ইসলাম (সিফান) জানান, অনেকের নাম ভুল করে মামলায় দেয়া হয়েছে। পরে আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু যাদের নামগুলো দিয়েছি, তাদের আমি চিনি না। তা সংশোধন করা হবে।
এখন পর্যন্ত রুজু হওয়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, আমি সদ্য জয়েন করেছি থানায়। আমাদের নিয়মিত সকল পুলিশিং কার্যক্রম চালু রয়েছে। আশা করছি আর অল্প সময়ের মধ্যেই সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারবো।
হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতি শীঘ্রই আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযানে নামবো। সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।
-
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক,দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জিএম সুফি নিয়াজি, সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মার্জিনা আক্তার ঝতু, রয়েল বড়ুয়া এবং ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক শ্রী দেবদাস ঘনাসহ ৮৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মাহাবুব হোসেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মাহাবুব হোসেন ভুল্লী থানার দেবীপুর ইউনিয়নের কালেশ্বরগাঁও গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনে ছেলে। তিনি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বলরামপুর বিএম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
মামলার এজাহারে ৮৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০জনকে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারা তৎসহ ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ১৪৩/১৪৯/৩২৩/ ৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/ ৫০৬(২)/১১৪/৩৪ ধারায় আসামি করে মামলাটি করা হয় বলে জানা গেছে।
তবে মামলার বাদীর আইনজীবী কে তা বাদী নিজেই জানেন না। আর কিভাবে এজাহারে ৮৫ জনের নাম এলো তাও তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। একমাত্র ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকেই চেনেন না বাদী।
বাদীর ভাষ্যমতে, অচেনা কয়েকজন সমন্বয়ক পরিচয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও নাম দেখিয়ে এজাহারে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। পরবর্তীতে কিভাবে ৮৫ জনের নাম এলো খোদ তিনি নিজেই জানেন না। এমনকি স্থানীয় যুবদলের ওয়ার্ড প্রচার সম্পাদকের নাম থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই।
বাদী জানান, মামলা করে আমি নিজেই বিপদে পড়েছি। মামলায় ভুল করে অনেকের নাম দেওয়া হয়েছে। পরে আমি তা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু যাদের নামগুলো দিয়েছি, তাদের আমি চিনি না। এমনকি তাদের সঙ্গে যোগাযোগেরও কোনো ব্যবস্থা নেই আমার। নানা চাপে আছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান বাদী মাহাবুব হোসেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জামিরুল ইসলাম, ওসমান গণি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহানুর রহমান সোহান, নিউমুন, শাওন সাব্বির, আশ্রমপাড়ার জ্যোতি, টিকাপাড়ার মো. প্রিন্স, মনিরুল ইসলাম মনির, বাহাদুরপাড়ার বিশাল, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সফি আলম, ঘোষপাড়ার মো. সুরকাব, শাহাপাড়ার মো. লিমন, আর্ট গ্যালারি এলাকার ল্যাংড়া সাদ্দাম, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, বরুনাগাঁও এলাকার নাজমুল হুদা, গোয়ালপাড়ার সাব্বির হোসেন হৃদয় টুকু একই এলাকার হোসেন সাদ্দাম, সরকারপাড়ার সৌরভ চন্দ্র রায় , আরিফ হোসেন দানেশ আরিফ, রুহিয়ার অনিক চক্রবর্তী, টিকাপাড়া রুস্তম আলী, মুক্তা, ভুল্লীর হামিদুর রহমান, মকবুল হোসেন মিঠু, বাঙ্গালীপাড়ার আব্দুর রশিদ, জগন্নাথপুরের দাউদ, আসিফ হক আদর, বরুনাগাঁওর আনোয়ার, আশ্রমপাড়ার অমৃত মদক, সরকারপাড়ার সিফাত, কলেজপাড়ার বাবুল, বসিরপাড়ার রিফাত ককটেল, গোয়ালপাড়ার ইসা, গড়েয়ার রায়হান উদ্দিন, রোড এলাকার শাহের আলী, পূর্ব গোয়ালপাড়ার মাহাবুব হোসেন, রাসেল ইসলাম রিসাদ, শিবগঞ্জের মিলন, কলেজপাড়ার সাহেব আলী, ভেলাজান নবীনপাড়ার রমজান আলী, আকচা কাটুপাড়ার শম্ভু বর্মন, গড়েয়ার মাসুদ রানা, যুবলীগনেতা গুলজার হোসেন, বড় বালিয়ার বাহার সরকার, কৃষ্ণপুর এলাকার রুহুল, যুবলীগনেতা আলমগীর, ভুল্লীর ষ্টিফান দাস, ভুল্লী শোল্টহরীর ফজলে করিম মন্টু, বড়বাড়ী গোবিন্দনগরের ফজলুর রহমান, গোবিন্দনগর উত্তর পাড়ার শাহিন, মারুফ আলী শান্ত, আবুল মালেক, পিয়া, আব্দুল, আনিছুর রহমান নেন্দ, গোবিন্দনগর মুন্সিরহাটের আলমগীর, হাজিপাড়ার মশিউর রহমান, রহিমানপুরের রাজু, তানজিমুল, সরকারপাড়ার মমতাজুল (মক্কা), ভুল্লী থানার ইয়ামুল বিএসসি, মিজানুর রহামান, ইয়াসিন আলী, হারুন, রাসেল, বাবুল হোসেন, মাসুদ মেম্বার, মশিয়ার রহমান, যমিনুল ইসলাম মুন, রবিউল ইসলাম রবি, মোশারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, জগদীশ বর্মন, পেয়ার আলী, রেহান রহমান হরিক, মানিক, বেলাল, নুরে আলম, মনোরঞ্জন দেবনাথ মনি ও ময়নুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ৮৫জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভাস্থ আর্ট গ্যালারি মোড়ের পাকা রাস্তার উপর বাদী সহ অন্যান্যরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে আসামিরা ধারালো ছুরি, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, বোমা-বারুদ, লোহার রড, চাপাতি, ডেগার, রাম-দা, হকি, চাইনিস কুড়াল, ইট, পাথর সহ মারাত্মক অস্ত্রে-সস্ত্রে সু-সজ্জিত হয়ে ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।
এসময় তাদের হাতে থাকা শর্টগান দিয়ে গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি বাদীর কপালে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। প্রকাশ্য দিবালোক বাদীকে হত্যা করার জন্য আসামিরা রামদা দিয়ে একের পর এক কোপ মারতে থাকে এবং এলোপাথারি মারপিট, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বোমা নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি করেন। এতে অনেকেই আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। গত ৪ঠা আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বাদীসহ অন্যান্যরা। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়েরে বিলম্ব হয়েছে।
-
গণহত্যার অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রীসহ আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুস শহীদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অর্ধ শতাধিক নেতার বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২নং আমল আদালতে এ দুটি মামলা রুজু হয়। মামলা নং- সি/আর ৪২৩/২৪ইং (শ্রী) ও সি/আর ৪২৪/২৪ইং (শ্রী)।শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহররের কালিঘাট রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার ও কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ের এইচ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্র একই এলাকার শাহদাত হোসেন পৃথকভাবে মামলা দুটি দায়ের করেন।সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ ছাড়াও মামলার অপরাপর আসামীরা হলেন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দ্র কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি ধর শুভ্র , শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী, সহ-সভাপতি ডা. হরিপদ রায়, যুগ্ম-সম্পাদক এনাম হোসেন চৌধুরী মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আকরামুল হক সোহাগ, আবিদ হোসেন তানভীর, সাবেক পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কায়েস আহমেদ, কৌশিক ভট্টাচার্য্য, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি উজ্জল দাস, আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ, কৃষকলীগ নেতা বদরুল আলম শিপলু, শ্রমিক লীগ নেতা মোঃ শাহজাহান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মামুন আহমেদ, পৌর যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন সাহিন, ছাত্রলীগ নেতা মোশাহিদ মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান সুজাদ, ছাত্রলীগ নেতা আইবুর রহমান আকাশ, আজিজুর রহমান নাঈম, মোঃ আজমান মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকাশ দেব জুয়েল, যুবলীগ নেতা শেখ নোমান, কাউসার আলী, হারুনুর রশিদ, ফয়সল আলী, সজিব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুতি বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজু, কৃষকলীগনেতা শহীদ মিয়া, জুবায়ের আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ মিয়া, যুবলীগ নেতা ছাত্রনেতা সাদিকুল ইসলাম, মোঃ আজমান মিয়া ও আইবুর রহমান আকাশ, প্রমুখ।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলনে গণহত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচী চলাকালে কৃষিমন্ত্রীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের হুকুমে ছাত্রলীগ যুবলীগের সশ্বস্ত্র নেতাকর্মীদের হামলা, জখম করা, বাড়িঘর ভাংচুর, নগদ অর্থ, স্বর্নলংকার লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।মামলা দুটিতে শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। -
সিরাজগঞ্জে শামীম হত্যা মামলার আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দোকান কর্মচারী শামিমকে অপহরণের পর হত্যা ও অর্থ লুটের অপরাধে আমৃত্যু দণ্ড প্রাপ্ত আসামি ইসমাইল হোসেন শেখ (২৬)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) সদস্যরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১২’র কোম্পানি কমান্ডার (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন) এম আবুল হাশেম সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ সময় তিনি জানান শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে র্যাবের সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-১২ সদর কোম্পানির একটি অভিযানিক দল বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকার মৃত সাইফুল শেখের ছেলে।
তিনি আরো জানান, ২০১৬ সালের ২৫ জুন সিরাজগঞ্জ পৌর শহরে অবস্থিত আলাউদ্দিন স্টোরের কর্মচারী শামীম শেখ দোকানের বকেয়া টাকা তোলার জন্য জেলার উল্লাপাড়ায় যান। ওইদিন রাত ১০টার দিকে তার সঙ্গে দোকানের মালিক ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়। পরেরদিন উল্লাপাড়ার বড়হর দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে শামীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতর বাবা মামসুল হক বাদী হয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।শামীমকে অপহরণের পর হত্যা ও অর্থ লুটের অপরাধে ১৫ দিন আগে ইসমাইল শেখকে আমৃত্যু সাজা দেন আদালত । ওই সময় থেকে গ্রেফতারকৃত আসামি পলাতক ছিলো। পরে বিষয়টি র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় শুক্রবার রাতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তাকে তল্লাশি করে দুইটি মোবাইল, চারটি সিম ও নগদ ১ হাজার ৪’শ ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামিকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
-
ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা।
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে দুই সাংবাদিক ও ৩৫ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে।মামলায় বেসরকারি যমুনা টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস ও দেশ টেলিভিশন-আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি শাকিল আহমেদ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত, পৌর যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর দত্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রয়েল বড়ুয়া, পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাইয়ুম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে।বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থী মো. মামুন ইসলাম ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের আদালত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।মামলার বাদী মো: মামুন ইসলাম (১৯) সদর উপজেলার দৌলতপুর সিঙ্গিয়া গ্রামের মো. তাজেল এর ছেলে।মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা রয়েল বড়ুয়া, ঠাকুরগাঁও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালার ছেলে ও জেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজীব পোদ্দার শশী, সজীব দত্ত, ল্যাংড়া সাদ্দাম, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, আতাউর রহমান, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সিদ্দিক, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রুবেল, আট-গ্যালারি এলাকার জাকারিয়া প্রমানিক, আশ্রম পাড়ার খোকন চৌধুরী, টেংগাঁ বাবু, পশ্চিম মুন্সিপাড়ার এলাকার বাবুর্চি রানা, শিল্পকলার এলাকার তনু, আশ্রম পাড়ার মিরাজ ইসলাম, মুন্সিপাড়ার রায়হান ইসলাম, মামুস রানা, ডিসিবস্তি এলাকার সোহাগ ইসলাম, ভুল্লী কুমার এলাকার সরকার আসাদুজ্জামান, শাসলাপিয়ালা এলাকার তাজউদ্দীন, আশ্রমপাড়ার উৎপল গুহ ঠাকুরতা, মুন্সিপাড়ার মিন্টু, রানা ইসলাম, জমি দাস, সুয়েল, বাপ্পি, কলেজপাড়ার ইকবাল, বাপ্পী, দুওসুও ইউনিয়নের নোমান (অভি) শ্রী শচীন বর্মণ ও ভুল্লীর শাসলাপিয়ালা এলাকার রফিক মিয়া।মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, ককটেল, হাতবোমা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামরা চালান। ছাত্রদের প্রতিহত করতে ককটেল ও হাতবোমা ছোড়েন। বেলা আড়াইটার দিকে মামুন ইসলাম শহরের আর্টগ্যালারি মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা তাঁকে ঘিরে ফেলে ককটেল ও হাতবোমা ফাটান। পরে আসামিরা রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও পিস্তল দিয়ে মামুনকে ভয়ভীতি দেখান। আসামি মো. সিদ্দিক তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেন। তাজউদ্দিন নামে আরেক আসামি রামদা দিয়ে মামুনের মাথায় কোপ দেন। আসামি ফরহাদ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মামুনের পায়ে আঘাত করেন। ইকবাল লোহার রড দিয়ে বুকের পাঁজরে আঘাত করলে পাজরের হাড় ভেঙে যায়। পরে মামুনকে আসামিরা সমীর দত্তের চেম্বারে নিয়ে গিয়ে মামুনের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মামুনের বাবা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এলে আসামিরা তাঁর কাছ থেকে মামলা না করার শর্তে ফাঁকা নন–জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেন। পরে তাঁরা মামুনকে ছেড়ে দেন।এব্যাপারে মামলার বাদী মামুন ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।এই মামলায় যমুনা টেলিভিশনের প্রতিনিধি পার্থ সারথি দাশকে ৩০ নম্বর আসামি ও দেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধি শাকিল আহমেদকে ৩৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।মামলা প্রসঙ্গে পার্থ সারথি দাশ বলেন, ‘আমি সাংবাদিকতা করি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমরা সব সময় ছাত্রদের পাশে থেকে সমর্থন দিয়ে এসেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলা ও আন্দোলনের এক ছাত্রকে মারধর করার পর অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো মামলায় নিজের নাম দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি।’শাকিল আহমেদ বলেন, ‘মামুন ইসলাম নামের ওই শিক্ষার্থী কেন আমার বিরুদ্ধে এমন একটি মামলা করলেন, তা বুঝে উঠতে পারছি না। মামলার এজাহারে তাঁর মুঠোফোন নম্বরও নেই যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করব। রাজনৈতিক এই মামলায় দুই সাংবাদিকের নাম দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাংবাদিক মহল।এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, এখন পর্যন্ত মামলার কাগজপত্র হাতে পাইনি। পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -
শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার।
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২’র সদস্যরা।
১৪ এপ্রিল রবিবার রাতে শাজাহানপুরে বনানীর আড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন-শিবগঞ্জের ঘাগুর দুয়ার গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান৷ তারা দুজনই শাহিনুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১২’র বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন। এ সময় তিনি জানান,বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের ঘাগুর দুয়ার গ্রামের নিহত শাহিনুরের স্ত্রী শাহান আরা বেগম থানায় অভিযোগ করেন যে গত ২৭ মার্চ তাদের বসতবাড়ীর গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় তার স্বামী শাহিনুর একটি মুদি দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার পৌছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধর আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লোহার রড, গাছের ডালপালা দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে।এ ঘটনায় তার স্বামী গুরুতর আহত হয়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করায় পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৯ মার্চ রাত সোয়া ৯ টার সময় মারা যায়। এ ঘটনায় ৩০ মার্চ শাহান আরা বেগম শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে নামিক আসামিদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
-
রাণীশংকৈলে নান্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বারী’র বিরুদ্ধে সচিবের মামলা।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দবিরুল ইসলাম (৩৮) কে মোবাইল দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ায় অপরাধে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে ।জানা গেছে ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ইউপি সচিব দবিরুলের কাছে সরকারি রাজস্ব আদায়ের জমাকৃত টাকার চেক চাইলে এ নিয়ে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান তার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে সচিবের মাথায় আঘাত করেন। এসময় ইউপি সচিবের মাথা ফেটে যায়। ইউপি সচিব বর্তমানে রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।ইউপি সচিব দবিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান আমার কাছে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চেক চায়। আমি সরকারি নিয়মের মধ্যে একাউন্ট পে চেক দিতে চাইলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। আমার মাথায় ৩ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমি এবিষয়ে থানায় এজাহার দিয়েছি।এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান আব্দুল বারী’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।মামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সোহেল রানা বলেন গতকাল রাতে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার আসামীকে ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে -
পাওয়া যায়নি ধর্ষণের আলামত মামলার বাদী কারাগারে।
ডেস্ক রিপোর্টঃ
পাওয়া যায়নি ধর্ষণের আলামত মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় কোহিনুর আক্তার (৩০) নামের নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১৬ মার্চ) চাঁদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পালগিরি উত্তর পাড়াবাড়ী থেকে কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে এস আই মিন্টু কুমার বলেন, নাজির উল্লাহ স্বপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন কোহিনুর। মামলাটি আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এর ফলে আদালত মামলাটি খারিজ করেন এবং কোহিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেন স্বপন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থানা-পুলিশকে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্তির নির্দেশ দেন এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী নাজির উল্লাহ স্বপন বলেন, আমার ভাই বুলনের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ জন্য আমার ভাই কোহিনুরকে ব্যবহার করে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করান। ওই মামলায় আমি ৩ মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাই। এরই মধ্যে আমার ডিএনএ টেস্ট করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। ফলে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ হয়।কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে নাজির উল্লাহ স্বপনের মামলাটি এফআইআরভুক্ত হয়। ওই মামলায় কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।