Tag: মামলা

  • উল্লাপাড়ায় আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, মামলা।

    উল্লাপাড়ায় আ.লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, মামলা।

    রাজু আহমেদ সাহান,স্টাফ রিপোর্টারঃ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমিন সরকারের নির্বাচনী প্রচারণা ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত গয়হাট্টা কোনাগাঁতী স্বপ্ন চুড়া ক্লাব থেকে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। আল আমিন সরকার ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোতাহার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি একদল পুলিশ নিয়ে উক্ত স্বপ্ন চুড়া ক্লাবে অভিযান চালান। এসময় আল আমিন চেয়ারম্যানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ওই ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন।পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সবই পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ক্লাবে ঢুকে ২টি রামদা, ১টি হাসুয়া ও ৪৮টি লাঠি সেখান থেকে উদ্ধার করে। উপপরিদর্শক আরো জানান, উদ্ধারকৃত এসব দেশীয় অস্ত্র নির্বাচনী প্রচারণায় সহিংসতা চালানোর জন্য ওই ক্লাবে আনা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ রয়েছে। তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আল আমিন সরকারের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মমিন ভুইয়া, তাকমিদুর রহমান দুলাল, মনিরুজ্জামান মনি, আরিফ হোসেন, সুজন, বাবু, টুটুল, রাব্বিসহ প্রায় ২৫ জনের নামে উপ পরিদর্শক মোতাহার হোসেন বাদি হয়ে উল্লাপাড়ায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

    এ ব্যাপারে পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আল আমিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি স্বপ্ন চুড়া ক্লাবটি তার নির্বাচনী ক্যাম্প নয় বলে উল্লেখ করে জানান, এই ইউনিয়নে তার ব্যাপক জনসমর্থন থাকায় বিপক্ষ দল তাকে ফাঁসানোর জন্য এবং তার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য ওই ক্লাবে দেশীয় অস্ত্র রেখে পুলিশকে ফোন দিয়েছেন।

  • উল্লাপাড়ায় মাদক ও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় ১৭ আসামি গ্রেপ্তার।

    উল্লাপাড়ায় মাদক ও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় ১৭ আসামি গ্রেপ্তার।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও নাশকতাসহ আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত ১৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে উপজেলার বাবলীদহ গ্রামের মৃত খোদা বক্্েরর ছেলে ইউনুছ (৪০) কে নাশকতা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার রয়েছেন।

    মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাহেব গণি জানান, উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৭ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো- উপজেলার নয়ানগাতী গ্রামের জাহিদুল, ভট্র কাওয়াক গ্রামের মজনু মিয়া, ঝিকিড়া মহল্লার লিমন, রানা, হাসমত, সুমী, ইয়াকুব, উপজেলার শাহজাহানপুর মওলা, মোমেনা, সাত্তার, মনি, রহিম উদ্দীন, মজনু, উল্লাপাড়ার দুলাল, শিবপুর গ্রামের বাবু, পূর্ব ভদ্রকোল গ্রামের জাহিদুল বাবু।

    এদের মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্ত আটজন ও নাশকতা মামলায় একজনসহ বাকী আটজনকে মাদক , সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোা হয়েছে।

  • তানোরে মাদক ও জিআর মামলায় গ্রেফতার ৫ জন।

    তানোরে মাদক ও জিআর মামলায় গ্রেফতার ৫ জন।

     

    সারোয়ার হোসেন,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে জিআর মামলার আসামি ও গাঁজাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২১ অক্টোবর)রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মালশিরা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী খুসবর আলীর স্ত্রী সাথী খাতুন(২০),নওগাঁ জেলার মান্দা থানার হোসেনপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী আঃ রাজ্জাকের ছেলে রাসেল হোসেন(২০) ও তানোর পৌর এলাকার রায়তান বড়শো গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে তুষার হোসেন(২৩),জিওল চাঁদপুর গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে বাদল আলী(৪৫),ভদ্রখন্ড গ্রামের সালামের ছেলে সারোয়ার হোসেন সাকিল(২২)জে জিআর মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

    তানোর থানার অফিসার ওসি রাকিবুল হাসান রাকিব জানান,গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিধি মোতাবেক পুলিশ স্কটের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • লক্ষ্মীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামীর ফাঁসি।

    লক্ষ্মীপুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার প্রধান আসামীর ফাঁসি।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে চাঞ্চল্যকর সাত বছরের শিশু নুসরাত জাহান শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় শাহ আলম রুবেল নামের একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলা কুতুবী এ রায় দেন। একইসঙ্গে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও আরও চার বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।

    একই মামলায় বোরহান উদ্দিন নামের অপর এক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
    রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী এডভোকেট মো. আবুল বাশার। এদিকে রায়ের পর আদালতপাড়ায় অপেক্ষমান মামলার বাদি শিশু নুসরাতের মা রেহানা বেগম ও চাচা আকবর হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং রায় দ্রুত কার্যকরের দাবী জানান।

  • ওসমানীনগরে হত্যা ও মাদক মামলার ২ আসামী গ্রেফতার।

    ওসমানীনগরে হত্যা ও মাদক মামলার ২ আসামী গ্রেফতার।

    ওসমানীনগর(সিলেট)প্রতিনিধিঃসিলেটের ওসমানীনগরে পুলিশের অভিযানে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন ও মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার কুমিল্লা ও ওসমানীনগরে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    জানা গেছে, বুধবার রাতে ওসমানীনগর থানার একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা থেকে হত্যা মামলার আসামী জলাল মিয়াকে গ্রেফতার করে। সে উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের বড় ধিরারাই গ্রামের রইছ মিয়ার ছেলে।

    এদিকে, একই রাতে উপজেলার গোয়ালাবাজারে অভিযান চালিয়ে মাদক মামলায় ৬ মাসের কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাইদুর হচ্ছে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের পূর্ব ব্রাহ্মণগ্রামের আব্দুল ছালিকের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, পরোয়ানাভূক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ।

    শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ।

    কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ ঐহিত্যবাহী কানাইঘাট সড়কের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫শিক্ষক সহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ফুসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।

    সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় স্কুলের পাশে অবস্থিত সড়কের বাজারে শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে প্রায় ঘন্টা খানিক অবস্থান করে শত শত শিক্ষার্থীরা মানব বন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। মানববন্ধনে সড়কের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ আশপাশ প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করেন।

    মিছিল পরবর্তী স্কুলের শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় শিক্ষার্রথীরা বলেন সড়কের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মুখে সড়কের পাশে অবস্থিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা জবর দখল করে স্থানীয় দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের রফিক উদ্দিন অবৈধ ভাবে দোকানপাঠ করেন। কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমির মৌখিক নির্দেশে রফিক উদ্দিন ও তার ছেলেরা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলে। পরের দিন সড়ক ও জনপথের জায়গায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে স্কুলের পক্ষ থেকে গাছের চারা রোপন সহ পরিস্কার পরিছন্নতা কাজে শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করেন। তখন বৃক্ষরোপন কার্যক্রমে বাধা প্রদান করেন রফিক উদ্দিন সহ তার পরিবারের লোকজন।

    তারা গাছের চারা উপড়ে ফেলে স্কুলের শিক্ষকদের নানা ভাবে গালিগালাজ সহ মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানী করবে বলে হুমকি দেয়। সৃষ্ট ঘটনার জের ধরে রফিক উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না করে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে সিলেটের বিজ্ঞ আদালতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন ও সহকারি শিক্ষক আব্দুন নুর, শিমুল আহমদ, জুনেদ আহমদ নৈশ্য প্রহরি রুহুল আমিন সহ স্কুলের ৫ প্রাক্তন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে সাজানো দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন করোনায় দেড় বছর স্কুল বন্ধ ছিল। যখন স্কুল খুলেছে ১৫শতাধিক শিক্ষার্থী ক্লাস নিচ্ছেন তখন তাদের স্কুলের ৫জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার কারনে বর্তমানে ভয়ে শিক্ষকরা স্কুলে আসতে পারছেন না। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। স্কুলের পাঠদানে বিঘন্ন ঘটছে ও শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক ভাবে ক্লাস করতে পারছেন না।

    অবিলম্বে শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হলে শিক্ষার্থীরা এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে যে কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করতে বাধ্য হবেন বলে প্রতিবাদ সভায় শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ার উচ্চারন করেন। তদন্ত পূর্বক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী রফিক উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন সহ স্কুলের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সিলেটের উর্ধ্বতন প্রশাসনের প্রতি মানব বন্ধন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা থেকে দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্রথী।

    প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন স্কুলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী,আব্দুল্লাহ আল মহির,সুয়িয়া বেগম,আমিনা বেগম শিক্ষার্থী কামাল আহমদ প্রমুখ।

  • তাড়াশের নওগা ডিগ্রী কলেজ মামলা উপেক্ষা করে নিয়োগ।

    তাড়াশের নওগা ডিগ্রী কলেজ মামলা উপেক্ষা করে নিয়োগ।

    তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের নওগা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ  নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে মামলা থাকা সত্ত্বেও আইন অমান্য করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য করা হয়েছে।

    মামলা সুত্রে জানা গেছে ,গত ০৪.০৫.২০১৯ইং ও ০২.০৬.২১ইং তারিখে উপাধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য পত্রিকাতে বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে মোতাবেক মামলার বাদী মোঃ দুলাল হোসেন ১ হাজার টাকা জমার রশিদ ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ কলেজ অফিসে  দরখাস্ত জমা দেন।

    উল্লেখিত আবেদন পত্র যাচাই বাচাই অন্তে সঠিক বিবেচনায় সাক্ষাৎকারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।কিন্ত অনিবার্যকারন বশতঃ নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবেদন কারীগনের বরাবর কোন প্রকার সাক্ষাৎকার পত্র প্রেরন না করে মামলার ৬ নং বিবাদী  মোঃ আব্দুর রহিম এর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।


    মামলার বিবাদী কে এম আব্দুল আলীম ও মোঃ আবুল হাসান জানান,নিয়োগের ব্যাপারে খোজ খবর নিতে গেলে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম বলেন, ওই পদে কমিটি আব্দুর রহিমকে যোগ্য মনে করে নিযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। লোক দেখানো একটি সাক্ষাৎকার গ্রহন ও ওই কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে মেধা সম্পন্ন এবং যোগ্য প্রার্থীর নিয়োগের লক্ষে বর্তমান কলেজ পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবেদন পত্র গ্রহন ও পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য মেধা সম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের স্বার্থে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া হোড়পাড়া গ্রামের মোঃ ফজলুর হকের ছেলে  মোঃ দুলাল হোসেন ।

    মামলা নং ২৩৮/২০২১ তাং ২৩.০৯.২১ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট ডিবিশনের হাইকোট বেঞ্চ ২৪.০৯.২১ তারিখের নিয়োগ বোর্ড বাতিল চেয়ে রিট পিটিশন করা হয় যার নং ৮২৮৬ তাং ২৩.০৯.২১।

    মামলার বাদী মোঃ দুলাল হোসেন বলেন, ২৪.০৯.২১ তারিখে লোক দেখানো বোর্ড গঠন করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলেই কোর্টে মামলা দেওয়া হয়েছে।

    এ ব্যাপারে নওগা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল কাশেম বলেন,কলেজের নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত কোর্টের কোন নোটিশ আমরা পাইনি। বিধায় নিয়োগ স্থগিত করার কোন কারন নেই।

  • নারীকে মাদকে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় অভিযোগে ৬ পুলিশ বরখাস্ত।

    নারীকে মাদকে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় অভিযোগে ৬ পুলিশ বরখাস্ত।

    রাজশাহীতে দুই নারী বাসযাত্রীকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এক লাখ নগদ টাকা চাঁদা নেওয়া ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের অপরাধে তাদের বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।

    বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তাদের বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।

    এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা বিকাশে আদায় এবং সাড়ে চার হাজার টাকা নগদ ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দুই নারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

    শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করার অপরাধে তাদের বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • গোদাগাড়ীতে খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার-৪।

    গোদাগাড়ীতে খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার-৪।

    রবিউল ইসলাম,গোদাগাড়ী (রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চাঞ্চল্যকর খুন ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামি গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী থানা রাজশাহী গোয়েন্দা শাখার চৌকস টিম। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

    গত ৩০ আগস্ট গোদাগাড়ী থানার রাজশাহী চাঁপাই মহাসড়ক সংলগ্ন গোগ্রাম ইউনিয়নের লালাদিঘি গ্রামের একটা পুকুরে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে মাছ চুরি করে নেয়ার জন্য। এর প্রেক্ষিতে গোদাগাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। দীর্ঘ ২৪ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাজশাহীর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম( বার)দিকনির্দেশনায় জেলার বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারকৃত তিন আসামি তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নওগাঁর বদলগাছী থানার ভোলার পালশা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল লতিব(৪০),একই এলাকার ফারাদপুর গ্রামের মৃত মন্টুর ছেলে রেজাউল করিম(৫০),নওগাঁ সদর থানার চকদেব গ্রামের ফসির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম(জনি)(২৫) ও একই থানার আরজি নওগাঁ নাপিত পাড়া গ্রামের মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা(৩৪)।

    উল্লেখ্য নামিক আসামি রেজাউল ইসলাম, আব্দুল করিম(জনি) ও শাহীন রেজা আজ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

    তাদের ভাষ্য, তারা পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরি করাই তাদের পেশা। ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে থাকে । ঘটনার রাতে তারা নয়জন একটা মিনি ট্রাকে করে নওগাঁর ফারাদপুর থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরে আসে মাছ চুরি করতে। অপ্রত্যাশিতভাবে মো: মাসুদ রানা ও লিটন নামের দুইজন পাহারাদারকে পেয়ে তাদের বেধে ফেলে। মাসুদ রানা মারা যায়। আটজনই ধরা বাধার কাজে অংশ নেয়। মাছ ধরা শেষ হবার আগেই লোকজন চলে এলে তারা পালিয়ে যায়।বাকি আসামিদের ধরার জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

  • রায়পুর ইসলামী ব্যাংকে এক চাবিতে খোলে দু’টি লকার, উধাও স্বর্ণালঙ্কার।

    রায়পুর ইসলামী ব্যাংকে এক চাবিতে খোলে দু’টি লকার, উধাও স্বর্ণালঙ্কার।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে রায়পুর ইসলামী ব্যাংক শাখার লকার থেকে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার উধাওয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে ব্যাংক ম্যানেজার ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

    বাদীর আইনজীবী মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, আদালতের বিচারক তারেক আজিজ অভিযোগটি আমলে নিয়ে রায়পুর থানাকে এফআইআর দাখিরে নির্দেশ দিয়েছেন।

    এজাহার সূত্র জানায়, ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার উপজেলার বামনী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের নজির আহমেদের স্ত্রী। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংক রায়পুর শাখায় তিনি একটি লকার হিসাব (হিসাব নম্বর-৬৯) খোলেন। হিসাব অনুযায়ী ১৮ নম্বর চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকারে তিনি ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জমা রাখেন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে চাবি হস্তান্তর করে। লকারে রাখা স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

    গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকে এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিনি লকারের কক্ষে যান। এসময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাস্টার চাবি ও বাদীর কাছে থাকা চাবি দিয়ে ১৮ নম্বর লকার খোলেন। কিন্তু লকারে কোন স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়নি। পরে একই চাবি দিয়ে ২০ নম্বর লকার খুলে স্বর্ণের বক্স বের করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বক্সের সঙ্গে থাকা স্বর্ণের ওজনের রশিদ পাওয়া যায়নি। রশিদ কোথায় ? এমন প্রশ্নে সঠিক কোন জবাব দিতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এতে বক্স খুলে ২টি আংটি,১ জোড়া নুপুর,১ জোড়া কানের দুল ও ১ চেইন পাওয়া যায়নি।

    পরবর্তীতে নাজমুন নাহার স্বর্ণের ওজন পরিমাপ করতে গিয়ে দেখেন ৬ ভরি স্বর্ণ কম রয়েছে। উধাও হওয়ার স্বর্ণের দাম প্রায় ৪ লাখ টাকা। ভূক্তভোগী নাজমুন নাহার বলেন, আমি ১৮ নম্বর লকারে স্বর্ণ রেখেছি। কিন্তু যথাস্থানে না পেয়ে ২০ নম্বর লকার থেকে স্বর্ণের বক্স বের করে দিয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা। দুটি লকারেরই একই চাবি।

    এ ব্যাপারে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অবহিত করলে, তিনি কোন সঠিক জবাব দিতে পারেননি। ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও লকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার স্বর্ণালংকার আত্মসাত করেছে। আমি এর সুবিচার চাই।

    ব্যাংক ব্যবস্থাপক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়টি আমি শুনেছি। চার স্তরের নিরত্তাবেষ্টিত লকার থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি বা উধাও হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নাজমুন নাহার যা রেখেছেন তাই পেয়েছেন। তার অভিযোগটি সঠিক নয়।