Tag: মানুষ

  • লক্ষ্মীপুর জেলাতে স্বপ্নযাত্রার সুফল পাবেন গ্রামের মানুষ।

    লক্ষ্মীপুর জেলাতে স্বপ্নযাত্রার সুফল পাবেন গ্রামের মানুষ।

    লক্ষ্মীপুর জেলাতে স্বপ্নযাত্রার সুফল পাবেন গ্রামের মানুষ।


    লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র স্বপ্ন আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে স্বপ্নযাত্রার অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরে ৬ ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের কাছে এসব স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আসনের সংসদ সদস্য এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।

    জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডাঃ আহাম্মদ কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর-এ-আলম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু ও সদর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন।

    লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে গ্রাম পর্যায়ে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দ্রুত পেতে ও যাতায়াতের ভোগান্তি কমাতে সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে স্বপ্নযাত্রা হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সগুলো দেয়া হয়।

  • উল্লাপাড়ায় কবর থেকে মানুষের কঙ্কাল চুরি।

    উল্লাপাড়ায় কবর থেকে মানুষের কঙ্কাল চুরি।

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রাতের অন্ধকারে কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। উপজেলার সলঙ্গা ইউনিয়নের নাইমুড়ি ও রুয়াপাড়া গ্রামের সম্মিলিত কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বাদ আছর নাইমুড়ী গ্রামের মৃত বদিউজ্জামান তালুকদারের স্ত্রী হালিমা খাতুনের (৭৬) লাশ দাফন করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে পারে গ্রামবাসীর।

    গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়,নাইমুড়ি গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের স্ত্রী হালিমা খাতুনকে দাফন করতে গিয়ে দেখা যায় দুই বছর আগে মারা যাওয়া ১৬ জনের কবর খোড়া অবস্থায় পরে আছে। পরে বিষয়টি গ্রামের জনসাধারনের মনে সন্দেহ হলে খোড়া একটি কবর পিরোটা খুড়ে দেখা যায় কবরের ভিতরে মানুষের কঙ্কাল নাই।বাকি ১৫টি কবর খুড়ে দেখা যায় ওগুলোতেও লাশ অথবা কঙ্কাল নাই। এলাকাবাসীর ধারনা কিছুদিন আগে সংঘবদ্ধ চোরের দল এসব কঙ্কাল চুরি করে নিয়েছে।

    এ বিষয়ে নাউমুড়ী রুয়াপাড়া সম্মিলিত কবরস্থান কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদার আমারজমিনকে জানান বিষয়টি জানার পর আমি কবরস্থানে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।পরবর্তী সময়ে এ ধরনের কাজ করতে না পারে সে ব্যাপারে কবরস্থান কমিটির পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি রাখা হবে।

    এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী জানান বিষয়টি জানার পরে এক জন মুসলমান হিসাবে মনে কষ্ট পেয়েছি। চোর চক্রের সদস্যদের উপর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কঠোর নজরদারি রয়েছে। যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সংঘবদ্ধ চোর চক্রকে আইনের আওতায় আনার জোড় প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

     

  • ৩৩ বছর সড়ক ছাড়া একা দাঁড়িয়ে সেতু,দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ!

    ৩৩ বছর সড়ক ছাড়া একা দাঁড়িয়ে সেতু,দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ!

    সংযোগ সড়ক না থাকায় ৩৩ বছর ধরে একা দাঁড়িয়ে আছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার আমসারা খালের ওপর একটি সেতু। ১৯৮৭-৮৮ সালের বন্যায় সেতুটির দুই পাড়ের সংযোগ সড়কই ভেঙে যায়। এরপর থেকে সড়কবিচ্ছিন্ন সেতুটি একা দাঁড়িয়ে আছে। বর্ষা ও শুকনো মৌসুমে ১২টি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তি নিয়েই ৩৩ বছর ধরে এই স্থান দিয়ে চলাচল করছেন।

    স্থানীয় খাড়িপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, এই স্থান দিয়ে চলাচল করতে বর্ষায় নৌকা অথবা বুক কোমর পানি পাড়ি দিতে হয়। আর শুকনো মৌসুমেও খাল পাড়ি দিতে নৌকা লাগে। অথবা পাশেই কোনো বাঁশের সাঁকো দিয়ে খাল পার হতে হয়। সড়ক মেরামতের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু পাওয়া গেছে শুধুই আশ্বাস।

    সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় খালের পূর্ব পাড়ের  গ্রামের সঙ্গে পশ্চিম পাড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।  দীর্ঘদিন পার হলেও সড়ক আর মেরামত করা হয়নি। খালের মাঝখানে দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে একা দাঁড়িয়ে সেতুটি। এতে ১২টি গ্রামের কয়েক হাজার  মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়লেও নজর নেই কারো।

    এলাকাবাসীরা জানান, ১৯৮৭-৮৮ সালের বন্যায় সেতুর দুই পাশের সড়কের মাটি খালে বিলীন হয়ে গেছে। তারপরে সড়ক আর মেরামত করা হয়নি। ফলে বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

    সেতুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় খালের পূর্ব পাড়ের কয়েকটি গ্রামের সাথে জাবরহাট ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম দিক এবং বোচাগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে যাতায়াতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।ওই এলাকার ফাইদুল ইসলাম, আবু তারেক বাঁধন, বাদল হোসেনসহ অনেকেই জানান, সড়ক না থাকায় ছেলে মেয়েদের বর্ষাকালে অনেক পথ ঘুরে স্কুলে যেতে হয়।

    সেতুটি মেরামতের জন্য বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি।  জনপ্রতিনিধিরা ভোটের সময় সংস্কারের আশ্বাস দিলেও পরে খোঁজ নেন না।

    এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, আগের যে প্রকৌশলী ছিলেন শুনেছি তিনি সেতুটির অবস্থা দেখে এসেছেন। আমি পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন দেরিতে হলেও সড়কটি মেরামত করা হবে। বিষয়টি আমি  ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের স্হানীয় এমপিকে অবহিত করে দ্রুত কাজ শুরু করার আবেদন জানাবো।

    ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্মণ মুঠোফোনে জানান, পরিত্যক্ত ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ব্রিজটির পরে সে নদীতে আরও একটি বড় ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। সেটা করা না হলে এই ব্রিজটি মানুষের কোন উপকারে আসবে না। ব্রিজটির অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে।

  • রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গরীব,অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গরীব,অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ।

    বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানী প্রাঃ লিঃ) পক্ষ থেকে ৬ হাজার শীতার্ত,অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রবেশ মুখে জিরোপয়েন্ট এলাকায় এ কম্বল বিতরণ করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মাননীয়  মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট লিঃ প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে, উপ-প্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করিম, রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুউদ্দীন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ বিভাগ) সিদ্ধার্থ মন্ডল ও ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ বিভাগ) জি,এম তারিকুল ইসলাম।
    কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে এই এলাকায় একটি উপশহর গড়ে উঠবে। এর সুফল ভোগ করবেন আশপাশের লোকজনই। এছাড়া এটি আলো ছড়াবে এই এলাকাসহ সারাদেশে।
    বাগেরহাটের রামপালের ১০টি, মোংলার ১টি ও খুলনার দাকোপ উপজেলার ২টি ইউনিয়নের মোট ৬ হাজার মানুষের মাঝে সোমবার এ কম্বল বিতরণ করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
    তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ বিভাগ) জি,এম তারিকুল ইসকাম বলেন, আগামী মার্চে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরীক্ষামুলকভাবে চালু করা হবে। এরপর মে-জুনে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এখানে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটি ইউনিটের কাজ চলছে। প্রথম দফায় ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে। প্রথম ইউনিটটির ও চিমনির কাজ প্রায় শেষের পথে। এ পর্যন্ত মুল প্রকল্পের ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
  • পীরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষে নিহতের মামলায় পুরুষ শুন্য দু’গ্রামের মানুষ।

    পীরগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সংঘর্ষে নিহতের মামলায় পুরুষ শুন্য দু’গ্রামের মানুষ।

    রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার দুই গ্রামের শত শত মানুষের গ্রেপ্তার ও হয়রানি আতঙ্কে এলাকা ছাড়া তাদের গ্রেফতার আতঙ্ক এখনো কাটেনি। গ্রাম দুটির কয়েক’শ পুরুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গ্রাম পুরুষশূন্য হওয়ায় নারীরা কাঁধে তুলে নিয়েছেন সংসারের হাল।

    অভিভাবকহীন পরিবারগুলোর শিশু ও নারীরা ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়।উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় কেন্দ্রে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।এ সময় বিজিবির গুলিতে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন গৃহবধূ রহিমা বেগম সহ চারজন।

    ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘিডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার এসআই আবু হামিদ মণ্ডল ৭’শ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এর পর থেকে গ্রেপ্তার ও পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই গ্রামের কয়েক শত মানুষ।সিড ঘিডোব গ্রামের লাভলী বেগম বলেন, ‘স্বামী হারানোর শোকই কাটেনি,আবার পুলিশের হয়রানি।

    এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। শিশু সন্তান নিয়ে আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। তার ওপর মামলা। আত্মহত্যা ছাড়া হামরা কোনো উপায় নেই।’ একই ভাবে নিজের কষ্ট দুর্দশার কথা জানান বিজিবির গুলিতে নিহত শাহাবুলির স্ত্রী লুৎফা বেগম।

    স্থানীয়রা জানায়,এই দুজনের স্বামী ঢাকায় রিকশা চালাতেন। তাঁদের পাঠানো টাকায় চলত সংসার। গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাবুলি ও মজাহারুল নিহত হওয়ায় তাঁদের স্ত্রী-সন্তান নিরুপায় হয়ে পড়েছেন। কষ্টের মধ্যে তাদের দিন কাটছে।

    গুলিতে নিহত মজারুলের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মুন্নি আখতার জানায়,বাবা না থাকায় এখন তাকে মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে হয়।বাবুল নামে এক গুড় ব্যবসায়ী জানান,কৃষির ভরা মৌসুম চলছে।এ এলাকার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ সময় চাষিরা বাড়িতে থাকতে না পারলে বিশেষ করে গম, ভুট্টা ও বোরো ধান উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হতে পারে।

    ১ ডিসেম্বর ঘিডোব এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান। পরে ঘিডোব বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতিবিনিময় করেন তিনি। এলাকাবাসী অতিরিক্ত ডিআইজির কাছে তাঁদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান,গ্রেপ্তারের আতঙ্কে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন।

    এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে অতিরিক্ত ডিআইজি জানান কোনো নিরপরাধ মানুষকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হবে না। আপনারা নির্ভয়ে নিজ বাসায় থাকতে পারেন। যারা এ ঘটনায় দোষী তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ কিন্তু এরপরও থেমে নেই পুলিশের অভিযান ।

    এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান কোন নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না। যারা প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের ভয়ভীতি কাটাতে কাজ করছি আমরা।’

  • রাণীশংকৈলে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের দোকান।

    রাণীশংকৈলে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের দোকান।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বড় মার্কেটের দোকানগুলোতে এখনো জমে ওঠেনি গরম কাপড় বিক্রি। তবে ফুটপাতে পুরোনো কাপড়ের দোকানে পোশাক কিনতে আসা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলো। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার শীতের কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি।

    সরেজমিনে পৌরশহরে ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার শিবদিঘী এলাকার দুই ধারে ও নেকমরদ বাজারের ফুটপাতে বসেছে গরম কাপড়ের দোকান। এ সব অস্থায়ী দোকানে শীতের পোশাক ক্রয় করছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।

    নেকমরদ বাজারে গত ১০ বছর ধরে ব্যবসা করেন মোতালেব হোসেন। তিনি বলেন, ‘বছরের অন্যান্য সময় বিক্রি হয় না। সেই সময় অন্য কাজ করতে হয়। শীতে পুরোনো কাপড়ের ব্যবসা করি। কিন্তু এ বছর এত দিন তেমন শীত পড়ছিল না, হঠাৎ গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। লোকজন শীতের পোশাক কিনতে বাজারে আসছেন। সারা দিন দোকানে ভিড় লেগেই আছে, বেচাবিক্রিও বেড়ে গেছে।’

    শামসুল নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, ‘সারা দিন ক্রেতাদের ভিড় লেগেই আছে। গত এক সপ্তাহ আগেও তেমন বিক্রি ছিল না, কিন্তু চলতি সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি করছি।’

    ওই ফুটপাতে কথা হয় ধর্মগড় ইউনিয়নের মন্ডলপারা এলাকার আমিনুল ইসলাম ও আতিয়া নাসরিন দম্পতির সঙ্গে। তাঁরা জানান, বড় মার্কেটের দোকানগুলোতে শীতের গরম কাপড়ের যা দাম, তাতে স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তাই পুরোনো কাপড়ের দোকানে এসেছি। গত বছরের তুলনায় এবার এখানেও দাম একটু বেশি। তবুও তাঁরা পরিবারের সদস্যদের জন্য সাধ্যমতো গরম কাপড় কিনেছেন।

    পৌরশহরের কলেজ পাড়ার আমিনা খাতুন জানান, অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে ছেলেমেয়েদের জন্য চারটি গরম কাপড় কিনেছেন ৮৫০ টাকায়। রাণীশংকৈল ডিগ্রি  কলেজের শিক্ষার্থী আদিয়া আফরিন বলেন, শীত বাড়ায় দোকানদারেরা কাপড়ের দামও বাড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও বন্দর মার্কেটের এক দোকান থেকে একটি সোয়েটার কিনেছিলাম ৬০০ টাকা দিয়ে। এখন একই সোয়েটারের দাম হাঁকছে ১১ শ টাকা।’

    রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ‘গরিব মানুষের জন্য সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংগঠন, এনজিও ও সমাজের বিত্তবানদের এ গিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

  • নলডাঙ্গায় প্রতিবেশীর জানাজার পাশে বসে কাঁদলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। 

    নলডাঙ্গায় প্রতিবেশীর জানাজার পাশে বসে কাঁদলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। 

    নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর ইউনিউয়ের চেঁউখালি গ্রামের আজাদ মৌলভী মারা গেছেন।

    শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার সময় চেঁউখালি কেন্দ্রীয় গোরস্থান মাঠে ৫২ বছর বয়সী মরহুম আজাদ মৌলভীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মৃত্যুর পর অনুষ্ঠিত জানাজায় উপস্থিত মুসল্লীরা যখন জানাজার কাতারে দাঁড়িয়ে,তখন প্রতিবেশী হিন্দুরা অশ্রুভেজা চোখে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে চিরচেনা প্রিয় মানুষ আজাদ মৌলভীর জানাজার দিকে। ছোট বেলা থেকে সুখে দুঃখে একসাথে বাস করা আজাদ মৌলভীর হঠাৎ মৃত্যুতে তারা আজকে গভীরভাবে শোকাহত।

    ধর্মের দূরত্ব থাকলেও মানুষ হিসেবে সে দূরত্ব যেন আজ কিছুই নয় । প্রতিবেশীর চিরবিচ্ছেদে ভারাক্রান্ত হৃদয় তখন শুধুই এক হাহাকার। হিন্দু হয়ে মুসলিম কারো মৃত্যুতে তাদের কষ্টভরা এমন অনুভূতি নিয়ে জানাজার পাশে হতবাক হয়ে বসে থাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে চেঁউখালি ঝুপদুয়ার গ্রামের গোবিন্দ প্রাং বলেন, আজাদ কাকা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। উনি একজন মৌলভী হয়েও আমাদেরকে সবসময় স্নেহ ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন। ধর্মীয় কারনে তাঁর জানাজায় দাঁড়ানোর সুযোগ নেই বলে দূরে বসে তাকে বিদায় জানিয়েছি।

    একই গ্রামের নৃত্যনন্দ ছলছল জলভরা চোখে বলেন,আজাদ ভাইয়ের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত,তাঁর বিদায়বেলা উপস্থিত থাকাটা আমার মানবিক দ্বায়িত্ব।

    ধর্মীয় উন্মাদনায় যখন চারিদিকে আগুন আর রক্তপাত,সেখানে আজকের এই দৃশ্যটা যেন মানবতার পথে অন্যরকম এক উদাহরণ। মানুষে মানুষে এমন সম্প্রীতি,এ যেন সত্যিকার অর্থেই মানুষের বিজয়।

  • বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাওরাঞ্চলের মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সরকার-পরিকল্পনা মন্ত্রী।

    বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাওরাঞ্চলের মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছেন সরকার-পরিকল্পনা মন্ত্রী।

    ফজল উদ্দিন,ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে মহাসমাবেশে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এম পি বলেছেন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি হাওরাঞ্চলের মানুষের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সরকার । গরীব দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে উন্নয়নের মহা সড়কে নিয়ে গিয়েছেন।

    সকল বিভেদ ভূলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে আওয়ামিলীগ নেতা কর্মীদের কাজ করতে হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ছাতকে চেলা ইছামতী স্থলবন্দর স্থাপন, ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়ক সংস্কার,ছাতকে ৫০ শয্যা থেকে উন্নিত করে ১০০ শয্যা হাসপাতাল নির্মানসহ নানা উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের পতিশ্রুতি দান কালে এসব কথা বলেছেন।

    ২ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদ সদস্য আজমল হোসেন সজলের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী,ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামীম, শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ শাহেল,সাইফুল ইসলাম,দেওয়ান পীর আব্দুল খালিক রাজা,আবুল হোসেন,নূর উদ্দিন,জহিরুল ইসলাম,পৌর কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া,আওয়ামিলীগ নেতা রেজা মিয়া তালুকদার, যব লীগ নেতা কামাল হোসেন,ছাত্র লীগ নেতা রিয়াদ আহমদ চৌধুরী।

    এ সময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মামুনুর রহমান, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আহবাব মিয়া তালুকদার সাজু,সাবেক পৌর কাউন্সিলর দিলোওয়ার হোসাইন যুবলীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ শাহীন আহমদ প্রমূখ।

    এর আ‌গে পৌরসভার কার্যালয় পরিদর্শন ও পৌর পরিষদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে এক মতবিনিময় ও ছাতক সরকারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার শুভ উদ্ভোধন ও বঙ্গবন্ধু ম্যুারাল এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন,চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ক‌রে‌ছেন তি‌নি।

    সমা‌বেশ শে‌ষে সাবেক ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের নিজ গ্রাম গোবিন্দ নগর চেয়ারম্যান বাড়িতে সোনালী অতীত ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এম এ মান্নান এমপি বাংলাদেশ পরিকল্পনামন্ত্রী পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। তিনি এলাকার উন্নয়নের কাজ করবেন বলে এলাকাবাসী কে আশ্বস্ত করেছেন।

  • হাজারো মানুষের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সজিব।

    হাজারো মানুষের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সজিব।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ হাজারো মানুষের অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সজিবের। সজিব নৌকার এজেন্ট থাকায় নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুবরন করেন।

    সোমবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানেই তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।জানাযায় উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

    সজিব রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর হাজীবাড়ীর মৃত আবদুর চাত্তারের ছেলে।

    সজিব নিহতের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও কোন সন্ত্রাসী গ্রেফতার না হওয়ায় উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    রবিবার ইছাপুর ইউনিয়নে ভোট চলাকালে নযনপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহানাজ আক্তারের নৌকার এজেন্ট হিসেবে সজিব দ্বায়িত্বরত অবস্থায় নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন খানের আনারস মার্কার সমর্থকরা ব্যালট পেপার আলাদা করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে সিল মারার চেষ্টা করলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব বাধা দিলে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়।

    এই সময় মাসুদ ও মাহবুব রামদা দিয়ে সজিবকে কোপিয়ে মারাত্বক আহত করে। একইসঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ করে গুলি ছোড়ে তারা পালিয়ে যায়।

    স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

  • দেওয়ানগঞ্জে একটি রাস্তা সংস্কারের অভাবে অতি কষ্টে হাজার হাজার মানুষ।

    দেওয়ানগঞ্জে একটি রাস্তা সংস্কারের অভাবে অতি কষ্টে হাজার হাজার মানুষ।

    ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের হারুয়াবাড়ী মৌজার হারুয়াবাড়ী রহমানিয়া মাদ্রাসা মোড় হতে শুরু করে পুর্বদিকে আঃ গফুর আকন্দ এর বাড়ী পর্যন্ত, সেখান হতে দক্ষিণে হারুয়াবাড়ী পুরাতন মসজিদ হয়ে পূর্ব দিকে হারুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১২০০ মিটার রাস্তা।
    রাস্তা টি সংস্কারের অভাবে রাস্তা বিহীন আবদ্ধ হয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এ গ্রাম গুলোর মানুষের চলাচলের দুর্গতি অপরিসীম। দুঃখ দুর্দশা যেনো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়েছে। এই দুঃখ দুর্দশা থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় এলাকার হাজার হাজার নিরীহ মানুষ।
    জানা যায়, সানন্দবাড়ী টু রৌমারী রাস্তার হারুয়াবাড়ী রহমানিয়া মাদ্রাসা মোড় হতে পুর্বদিকে (ম্যাপে) সরকারি রাস্তা বহাল থাকলেও বর্তমানে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
    এলাকার মুরুব্বিদের ভাষ্যমতে- এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতো হারুয়াবাড়ী পশ্চিম পাড়া, মধ্যে পাড়া, পুর্বপাড়া, আকন্দপাড়া, কাজীপাড়া, চটাংপাড়া ও পান্তামারী, সহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ, চলতো গরু মহিষের গাড়ি সহ বহনকৃত মালামালের গাড়ি। এযাবৎ নির্ভিগ্নে চলাচল করলেও কালের পরিবর্তনে আজ রাস্তা বিহীন। মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে রাস্তা হতে পাটি কর্তন, অবৈধ ভাবে রাস্তা বেদখল নেওয়া, দুপাশ হতে রাস্তা চাপিয়ে আসা এসব কারণে সরকারি রাস্তাটি আজ প্রায় বিলুপ্তের পথে।
    রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।
    জনসাধারণের মঙ্গলার্থে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের মাধ্যমে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।