Tag: মানববন্ধন
-
রামপালের খেজুরমহল টি আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষককে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে খেজুরমহল টি.আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক ইয়াহিয়া’র পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই ছাত্র সমাজ ও সাধারণ জনগণের আয়োজনে মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাষক ইয়াহিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাগার মোড়ে সাধারণ ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। সেখান থেকে ফিরে জনৈক কাজী রোকনকে দিয়ে যেসব ছাত্ররা আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের নামের তালিকা তৈরি করে। বিগত দিনে রাসুল (সাঃ) এর কটূক্তিকারী নাস্তিক মহেশ্বরের পক্ষ নিয়ে গোটা মুসলমান জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমতলা মাঠে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল বন্ধ করে দেয়। তার মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ আমির হামজা ছাত্র শিবির করার কারণে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া আরেক ছাত্র ফকির আয়াজকে ছাত্র লীগের নেতাদের সামনে এনে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া তিনি পবনতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকা গাবতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে ভূয়া রেজুলেশন ও বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাত করে। গাবতলা মসজিদে ১৫ বছরের অধিক পুরানো কমিটি না ঠিক রেখে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে। এছাড়াও তিনি প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন মুসল্লীকে মসজিদে আশা থেকে বিরত রাখে।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা তরফদার জিল্লুর রহমান, সরদার বাকী বিল্লাহ, সরদার মারুফ, খান লুৎফর রহমান, ছাত্রদল নেতা শেখ হাফিজ, মোঃ মেহেদী হাসান, খান তানভীর, মোঃ সোহেল, মোঃ জুয়েল।এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ইয়াহিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। কিছু লোক ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার বিরুদ্ধ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইন অনুযায়ী আমি যদি কোন অপরাধ করে থাকি তাহলে আইন আমাকে যে শান্তি দেয় তা মেনে নিবো। এছাড়া আমি এ সকল মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই। -
ওয়াজ মাহফিলে জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা করতেন পুলিশ কর্মকর্তা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি)’র মোল্যা লুৎফর রহমানের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় রামপাল উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা রামপাল প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায়।মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর, রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশস্থলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও ও গুলির হুমকি, আওয়ামী পুলিশ লীগ হয়ে নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উপর হামলা-মামলা, নির্যাতন ও অর্থ আত্মসাৎসহ মসজিদের সভাপতি থাকাকালীন মক্তবের প্রস্তাবিত এবং বায়নাকৃত সম্পত্তি নিজ নামে আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।একাধিকবার স্থানীয় মসজিদে বাৎসরিক মাহফিলে জোরপূর্বক সভাপতি হয়ে মাহফিল চলাকালীন সময়ে “জয় বাংলা ” স্লোগান দিয়ে মাহফিলের ভাবমূর্তি নষ্ট ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন তিনি।‘কাশিপুর এলাকার ভুক্তভোগী সরদার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি গরীব মানুষ, আমি বিএনপিকে ভালোবাসি। ২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে নিজের ব্যাটারি চালিত ভ্যানের ব্যাটারি বিক্রি করে বিএনপির সমাবেশে যাই। মালিবাগ মোড়ে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের দালাল মোল্লা লুৎফর আমাকে দেখে চড়াও হয়। সে বলে তোরা নাস্তিক, তোরা সরকার পতন করাতে এখানে এসেছিস। তোরা যদি এই মুহুর্তে এখান থেকে চলে না যাস, তাহলে তোদের গুলি করবো।’‘ভুক্তভোগী মোঃ সুমন জানান, আমরা জীবন বাঁজি রেখে বিএনপির সমাবেশে গেছিলাম। সেখানে আওয়ামী লীগ সরকারের দালাল হয়ে লুৎফর আমাদের বলে তোরা যদি এখন এখান থেকে চলে না যাস তোদের গুলি করে মেরে ফেলবো। আমরা প্রাণভয়ে স্থান ত্যাগ করি। পরবর্তীতে লুৎফর ছুটিতে বাড়ি এসে আমাদের নানান হুমকি ধামকি দেয়। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা রামপাল মোংলার নির্যাতিত জনগণ তার ফাঁসির দাবি জানাই।’আরেক ভুক্তভোগী শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, ইলিয়াস আহমেদ বলেন, পুলিশ লুৎফর কাশিপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি। সে মসজিদের পাশে মক্তবের বায়নাকৃত সম্পত্তি সে গোপনে দলিল করে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সে পুলিশ লীগ হয়ে এলাকায় অনেক অপকর্ম করেছে। সে একজন নারী লোভী। এতদিন সাধারণ মানুষ জেল খাটার ভয়ে কেউ মুখ খোলেননি। আমরা মোল্যা লুৎফর রহমানের ফাঁসি চাই।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সরদার মাহফুজুর রহমান চিক, শেখ আসাবুর রহমান, সরদার বিদার হোসেন, শেখ সাইফুল ইসলাম, শেখ মাছুদ পারভেজ প্রমুখ।মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁসি ফাঁসি চাই, লুৎফর মোল্লার ফাঁসি চাই বলে স্লোগান দেন।এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোল্যা লুৎফর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করে লাইন কেটে দিয়েছেন। -
বেলকুচিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সোহাগপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, লতিফা শাহজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুবিয়া সুলতানা, গাবের পাড়া ডি বি ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আবুল হোসেন, মেহেদী হাসান, আব্দুর সবুর খান, কবির হোসেন প্রমুখ।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়ার মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকবৃন্দ।
-
সেপটিক ট্যাংকিতে ৩ জন শ্রমিকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানববন্ধন।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে তিনজন নির্মান শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মাধবপুরে মানবন্ধন বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় এলাবাসীর আয়োজনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সামনে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ,প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর রহস্য উদঘটান করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
স্বজনদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বক্তব্য রাখেন আদাঐর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠান,কাউন্সিলর সামসুল ইসলাম পিন্টু পাঠান, আফজাল মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সারারণ সম্পাদক উজ্জল পাঠান,সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ জয়নাল আদাঐর ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য মিনারা বেগম ,জাকির হোসেন প্রমূখ।
পার্শবর্তী উপজেলা নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা বাজারের পাশে আহাদ আলীর স্ত্রীর নামে স্বপ্না মার্কেটে সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে থেকে গত (১৪ এপ্রিল) সকালে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃতদেহ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়।
নিহতরা হলেন হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের মোঃ নজব আলী ছেলে চুন্নু মিয়া (২২), মৌজপুর গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে সম্রাট মিয়া ( ২৩) ও মাধবপুর পৌরশহরের কৃষ্ণনগর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আলম মিয়া( ২২)।
-
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যা দোষীদের শাস্তির দাবীতে সন্তানদের মানববন্ধন গ্রেফতার-৭।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুরে মধ্য রাতে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জোৎসনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় কুপিয়ে আহত করা হয় নিহত নারীর স্বামী আলা উদ্দিনকে। খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এলাকাবাসী ও স্বজন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন। (১৭ এপ্রিল ) বুধবার সকাল ১১ টায় ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মেঘনা বাজারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন
নিহত জোসনার সন্তানেরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, খুনি সিরাজ, মাহফুজ, মিজান, রাশেদা বেগম, এরশাদ,রিপন, জাকির,রিমন, রাকিব, ইব্রাহিম সহ ৭ জন্য ফাঁসি চাই প্রশাসনের কাছে
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত জোসনার দুই ছেলে ও এক মেয়ে, ইসমাইল, ফেন্সি, রোজী, জোসনার, আসুরা, আবুল বাশার, ইউপি সদস্য সাখাওয়াত এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ কয়েক শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ইউপি সদস্য আহসান উল্লাহ মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে অবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করেন
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন,বসত বাড়ির পুকুর থেকে ড্রেজারে বালু উত্তোলন ও পানি সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে জোসনা ও তার স্বামী আলা উদ্দিনকে কুপিয়ে আহত করে ঘটনাস্থলে জোসনা মৃত্যু হয় মামলার পর থেকে র্যাব তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা নজরদারিতে অবশেষে মামলার ৬ জন এজাহারনামীয় ও ১ জন অজ্ঞাত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়
-
মসজিদের নির্মাণ কাজ চালুর দাবিতে দীঘিনালায় মানববন্ধন।
মাটিরাঙ্গা(খাগড়াছড়ি)প্রতিনিধিঃখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মিথ্যা, অপপ্রচার ও অপবাদ দিয়ে বন্ধ হওয়া মসজিদ নির্মাণ কাজ পুনরায় চালু করতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় মুসল্লী এলাকাবাসী।বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার মধ্য বেতছড়ি জামে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণে শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।স্থানীয় প্রবীণ মুসল্লী আবুল আসাদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম, স্থানীয় মুসল্লী মো. আবদুর রব বাবু ও মো. সেলিম প্রমূখ।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ হাঁচিলের লক্ষ্যে মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচার চালিয়ে নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দিয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রেখেছে। সেইসাথে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পায়তারা চালাচ্ছে।এ সময় বক্তারা পুনরায় মসজিদটির নির্মাণকাজ চালু করতে প্রধানমন্ত্রী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -
ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃমুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।বুধবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তায় সমবায় মার্কেটের সামনে সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের আমলে অদৃশ্য কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৯ বছরের ঐতিহ্য আলপনা সংসদের আয়োজনে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।এ সময় বক্তারা বলেন, শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে ৩৯ বছরের ঐতিহ্য প্রতি বছরই বৈশাখী মেলা উদযাপন করা হয় কিন্তু এ মেলা হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।বক্তারা আরো বলেন, পহেলা বৈশাখী মেলা বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের একটা রূপকার। এই মেলার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতি মনা প্রতিভাবান ব্যক্তিদের প্রতিভা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি। আর এই মেলা কোন এক অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে এ বছরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আজকের এই মানববন্ধন ও মৌন প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রশাসন সহ সকলকেই জানিয়ে দিতে চাই বাঙালিদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা করার অনুমতি প্রদান করা হোক।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অনুপম মনি, সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দাস, আল্পনার সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আবু মুহীউদ্দীন, উদীচির সভাপতি সেতারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সম্পা সাহা, কর্ণেট সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রবাল সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। -
বালিয়াডাঙ্গীতে সাংবাদিক রানা’র মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদ, সাংবাদিক রানার মুক্তি ও আইন অপব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টায় বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ও বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলের ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের কলম আটকানো যাবে না। ইতিপূর্বে জিডিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানী করা হয়েছে। এখন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে করা হচ্ছে। কোনটাতেই ভয় পায় না সাংবাদিকরা। অনতিবিলম্বে সাংবাদিক রানাকে মুক্তি দিতে হবে। নয়তো আরও কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক ভোরের কাগজের এন এম নুরুল ইসলাম বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের কলম চলবে। মামলা ও জেলের ভয় করিনা। মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।
দৈনিক দেশরুপান্তর পত্রিকার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ফিরোজ আমিন সরকার বলেন, সহকর্মীকে নি:শর্ত মুক্তি দিয়ে ইউএনও এবং এ্যাসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করতে হবে। সেই মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের আয়োজনে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন জীবন, দৈনিক দেশ রুপান্তরের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ফিরোজ আমিন সরকার রাসেল, দৈনিক ইত্তেফাকের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু, দীপ্ত টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মঈনুদ্দিন তালুকদার হিমেল, দেশ বাংলার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি সোহেল রানা, দৈনিক কালেরকণ্ঠের সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রশিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, সহ-সাগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সাদ্দাম, কোষাধ্যক্ষ মাজেদুল ইসলাম হৃদয়, দপ্তর সম্পাদক হাসান আলী, ক্রীড়া সম্পাদক মিলন আকতার, প্রচার সম্পাদক মোতালিব সম্রাট, নির্বাহী সদস্য জুলফিকার আলী শাহ, সাংবাদিক মুনিরুজ্জামান অনিক প্রমুখ এতে বক্তব্য দেন।
এ সময় বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের অন্যন্য সদস্যরা, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ও সুশিল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
-
রাণীশংকৈলে ‘কুলিক’ নদী রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ‘কুলিক’ নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তরাংশের ঠাকুরগাঁও উপজেলা ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বিল এলাকা থেকে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে হরিপুর উপজেলায় বাংলাদেশ অংশে পড়েছে।বাংলাদেশের প্রবাহপথে বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় রয়েছে। এছাড়াও নদীটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। রাজা টংকনাথের রাজপ্রাসাদ এই নদীর তীরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী। যার দৈর্ঘ্য বাংলাদেশ অংশে ৬.৩৬ কি মি এবং ভারতের অংশে ৭৫.৬৪ কি মি। নদীটি ভুটডাঙ্গী এলাকায় প্রস্থ ১০০ মি এবং সেখানে এর গভীরতা ৩০ মি ও অববাহিকার আয়তন ১৫০ বর্গ কি মি।একসময় এই নদীতে নৌকা, লঞ্চ, স্টিমার চললেও বর্তমানে এগুলো চলাচলের কোন দৃশ্য চোখে পড়ে না। সময়ের আবর্তনে একসময়ের চিরযৌবনা নদীটি হারিয়ে ফেলেছে তার স্বরূপ ও সৌন্দর্য।কুলিক নদীর মূল ধারাকে দখলমুক্ত করা এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র রক্ষার দাবিতে শনিবার (৯ মার্চ) সকালে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক রাণীশংকৈল ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, সাবেক পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম (ভিপি) প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সভপতি হুমায়ুন কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্পাদক আরথান আলী, যুগ্ন সম্পাদক জাকারিয়া হাবিব ডন, ছাত্রলীগ নেতা তামীম হোসেন প্রমুখ।এসময় মানববন্ধনে বক্তারা দাবি জানিয়ে বলেন, রাণীশংকৈল পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ‘কুলিক’ নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খননকার্য পরিচালনা করে নদীর গভীরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে, নদীর দুই পাড়ের ভাঙ্গন রোধে ব্লকপাথর দিয়ে বাধাঁই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, কুলিক নদীর দুই পাড়ে পর্যাপ্ত বৃক্ষ রোপন করার মাধ্যমে বনায়ন কার্যক্রম সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা, নদীর দুই পাড়ের দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে নদীর সৌন্দর্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুলিক নদীকে পর্যটক বান্ধব নদীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন, কুলিক নদীর পানিকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ কুলিক নদীতে ফেলা হইতে বিরত রাখতে হবে।যেহেতু বাংলাদেশের নদ-নদী সমূহ দেশের জাতীয় সম্পন্ন এবং নদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষন, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষন, অবৈধ অবকাঠামো নির্মান ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার ও নদীর যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণ নিশ্চিতকল্পে বিধি বিধান রয়েছে। এটি এখন রাণীশংকৈল বাসীর জন্য সময়ের দাবী বলেও বক্তারা জানান।ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, কুলিক নদীর পানিকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করতে হবে। এবং কুলিক নদীকে অতিথি পাখির নিরাপদ অশ্রয়স্থল অনিশ্চিত করতে হবে। -
কলেজ শিক্ষার্থী নাইমের খুনীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধন।
নিজস্ব প্রতিবেদক,জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি (পাস) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম নাইমের নৃশংস হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৩ইং, সকাল সাড়ে ১১ টার সময় কলেজ প্রাঙ্গন থেকে মিছিল শুরু হয়ে জেলা জজ কোর্ট সম্মুর্খে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় শিক্ষার্থী জাহেদা জান্নাত এর সভাপতিত্বে ও নাজমিন আক্তার তাহিবার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষার্থী জেমি বেগম, তাহমিনা ইসলাম, লাবনী সুলতানা, সুমাইয়া আক্তার, রিপা বেগম, নিসাত আক্তার, সামিয়া, মনীষা, জান্নাতুল প্রমুখ। মানববন্ধনে সংহতি রাখেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।মানববন্ধনে উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীরা জানান, ডিগ্রি ১ম বর্ষের রেজাউল করিম নাইমকে নৃশংস হত্যাকারী সকল ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। বিচারের দীর্ঘসূত্রার ঘুরপাকে যেন নাঈমের হত্যাকারীরা রেহাই না পায় আর যাতে কোন শিক্ষার্থী এরকম নৃশংস হত্যার শিকার না হয় সেই দাবি তাদের।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ইং, সন্ধ্যা সাতটার সময় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনী ঘাট ইউনিয়নের পাহাড় বর্ষিজোড়া গ্রামে নিজ বাসায় বাবা – মা ও বোনের সামনে ফেসবুক আইডি খুলাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির জেরে একই এলাকার নুরুল ইসলাম গংরা হামলা চালিয়ে কলেজছাত্র নাইমকে কুপিয়ে জখম করে। পরে সে মারা যায়।