Tag: মাধবপুর

  • মাধবপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
    সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার সময় মাধবপুর থানার মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মো: হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ঘিলাতলি আখড়া বাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪ কেজি গাঁজাসহ মো: শিপন মিয়া (২৮) ও মো: শাহীন মিয়া (৩০) নামে দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেন।
    গ্রেফতারকৃত মোঃ শিপন মিয়া মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন এর ছেলে ও মো: শাহীন মিয়া সাদ্দাম একই এলাকার মো: সফর উদ্দিন এর  ছেলে ।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
  • মাধবপুরে ডাকাতের হামলায় আহত- ৩।

    মাধবপুরে ডাকাতের হামলায় আহত- ৩।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলায় তিন ব্যাক্তি আহত হয়েছে।
    শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মো: মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে আজ রবিবার দুপুরে মাধবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,শনিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বেজুরা গ্রামের মামুনুর রশীদ, মো: হাবিবুর রহমান ও চেরাগ আলী মোটরসাইকেল যোগে মুরাদপুর গ্রামে গানের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে (গেইটঘর) শাহপুর থেকে দীঘিরপাড় রাস্তায় পৌঁছামাত্র ৫/৬ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের পথরোধ করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে তাদের তিনটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, সোনার আংটি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে বেধে রেখে মারধর করে।
    পরবর্তীতে রাত প্রায় সাড়ে এগারোটার দিকে স্থানীয় মেম্বার ফুরুক মিয়াসহ এলাকার লোকজন আসলে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
    এসময় মেম্বার ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এসআই অনিক চন্দ্র দেব কে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে আলোচিত পাবেল হত্যা মামলার ১৬ আসামি ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে আলোচিত পাভেল হত্যা মামলার আরো ১৬ আসামিকে ঢাকা শাহবাগ থানার মাজার গেইট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা ।
    জানা যায়, মাধবপুর থানার মামলার আসামীদের ঢাকা র‍্যাব-৩ এর সহযোগীতা তাদের আটকের বিষয়ে খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৬ জন আসামি র‍্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটিলিয়ান র‌্যাব-৩ এর সহযোগিতায় ঢাকার শাহবাগ থেকে গ্রেপ্তার পূর্বক নিজ হেফাজতে মাধবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
    গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন সিরাজ মিয়া,জহিরুল্লাহ পাঠান বশির,হাফিজুল্লাহ,শফিক মিয়া,বদিউজ্জামান,উম্মেত আলী,লোকমান মিয়া,সেলিম মিয়া,রাসেল মিয়া, আলমগীর, নুর আলী,নাসির মিয়া,শের আলী,সুমন আলী,ফারুক মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন।সকল আসামি বেজুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
    উল্লেখ্য গত রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত পাভেল মিয়া’র বড় ভাই হামিদ মিয়া বাদী হয়ে ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে মামলায় প্রধান আসামি জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ খানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর থানার পুলিশ।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃরকিবুল ইসলাম খাঁন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, র‌্যাবের সহযোগিতায় পাবেল হত্যা মামলার ঢাকা শাহবাগ থানা এলাকা থেকে ১৬’জন পলাতক আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে।
  • মাধবপুরে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ পাচারকারী গ্রেফতার-৭।

    মাধবপুরে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ পাচারকারী গ্রেফতার-৭।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায়, মাধবপুর থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খাঁনের তত্বাবধানে পৃথক দুটি অভিযানে ভারতীয় ১৪০ বোতল মদ ও ১৪ কেজি গাঁজা পাচারে ব্যবহৃত একটি সিএনজি এবং একটি মোটরসাইকেলসহ সাতজন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    থানা সূত্রে জানা গেছে,বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানাধীন কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি চৌকস পুলিশের দল  উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া আরিশপুর সাকিনস্থ ইটসোলিং রাস্তার মোড়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১০ কেজি গাঁজাসহ ৬’জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন।এসময় মাদক পাচারে ব্যবহৃত একটি সিএনজি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত হলেন- মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে আজগর আলী (৪৫), মুস্তু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০), ডা.খলিলুর রহমানের ছেলে সিএনজি চালক আরিফুর রহমান (৩০), একই ইউনিয়নের আনন্দ গ্রামের মো.লোকমান মিয়ার ছেলে মোটরসাইকেল চালক মো. ইসমাইল মিয়া (২৫),এবং নোয়াখালীর আলেকজান্ডার এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো,আরিফ (১৭), নোয়াখালী বেগমগঞ্জ থানার বিষ্ণুপুর এলাকার সুমন মিয়া ওরফে মহব্বত আলীর স্ত্রী মোছা.জোসনা বেগম (৩৫)।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানায় মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হতে উক্ত গাঁজা সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে তারা আলাদা ভাবে ঢাকা- চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছিল।
    অপর আরেকটি অভিযানে হরষপুর ( তেলিয়াপাড়া) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অনিক চন্দ্র দেব এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ১৪০ বোতল মদ ও ৪ কেজি গাঁজাসহ বহড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে কামরুল মিয়া (২৩)কে উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের গেইটঘর শাহপুর বাজার হতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
     এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু করে আসামিদেরকে আদালতে মাধ্যমে জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন,মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান থাকবে।
  • স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদক আসছে” মন্তব্য করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন গ্রেফতার।

    স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদক আসছে” মন্তব্য করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন গ্রেফতার।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
    স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদকদ্রব্য অবাদে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান জেলা বিএনপি নেতা মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানার সাথে  মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য দেওয়ায় মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
    মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ থেকে মাধবপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরীকে আটক করেছে। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।
    মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহনকারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে দেশ বিরোধী কাজ করেছেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। স্বামীর দেশ বলতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবনতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চেয়েছেন।তার এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।
    মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায় বলেন, একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি কোন অবস্থাতেই এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেনা। তার এ ধরনের উস্কানীমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
    মাধবপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শ্রীধাম দাশগুপ্ত বলেন, চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদের এ ধরনের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক।
    জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় এ ধরনের বক্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সাল জানান, চেয়ারম্যানের এ বক্তব্য দেওয়ার পর সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। সবাইকে অনুরোধ করার পর তারা শান্ত হন।
    মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • মাদক নির্মূলে সচেতনতার বিকল্প নাই-মাধবপুরে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক।

    মাদক নির্মূলে সচেতনতার বিকল্প নাই-মাধবপুরে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোছা: জিলুফা সুলতানা বলেন প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। প্রকৃতিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।” হাওর নদী পাহাড় বন, এই নিয়ে হবিগঞ্জের পর্যটন “। এতো সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ রেখে যেতে হবে।
    মাদক নির্মূলের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে, নাহলে আমরা কেউই নিরাপদ থাকতে পারবো না। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪ টায় মাধবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মাধবপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, নাগরিক সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল এর সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রফিকুল নাজিম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান, পৌর মেয়র মো: হাবিবুর রহমান মানিক, সহকারী কমিশনার( ভূমি) মো: রাহাত বিন কুতুব, মাধবপুর থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো: আব্দুর সাত্তার বেগ,উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো: মিজানুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়, , উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ফারুক পাঠান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীধাম দাশ গুপ্ত, চেয়ারম্যান মো: পারভেজ হোসেন চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান সোহাগ,সৈয়দ মো: সোহেল, ফারুক আহমেদ পারুল, মিনহাজ উদ্দিন কাসেদ, মীর খুরশিদ আলম,মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এরশাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সংকর পাল চৌধুরী,সিনিয়র সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সাংবাদিক আয়ূব খান, আজিজুর রহমান জয়, সাব্বির হাসান, মিজানুর রহমান,এসএম শামীম আহমেদ প্রমূখ।
  • মাধবপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ কুমার পাল’র শেষকৃত‍্য সম্পন্ন।

    মাধবপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ কুমার পাল’র শেষকৃত‍্য সম্পন্ন।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ কুমার পাল’র (৭৫) পরলোকগমন করেছেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মাধবপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বাজারে কালী মন্দিরে পাশে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর।
     শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ০৭টায় মাধবপুর বাজারে কালী মন্দিরে প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ কুমার পালের কফিননের সামনে রাষ্ট্রের সম্মান ও গার্ড অফ অনার প্রদান এবং ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে স্বর্গীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ কুমার পাল’র শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব, থানার তদন্ত ওসি আতিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায়, স্থানীয় কাউন্সিল, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণরা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা ছিলেন।
    জেলার পুলিশের একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ কুমার পাল’কে রাষ্টীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। পরে স্হানীয় মহাশ্মশানে তার শেষকৃত‍্য সম্পন্ন হয়।
  • মাধবপুরে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারতীয় ১২০ বোতল ফেনসিডিল ও ৬ কেজি গাঁজা’সহ কাজল মিয়া (২২) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাধবপুর পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী চৌমুহনী ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামের মৃত জিতু আহমেদ মিয়ার ছেলে।
    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার সময় গোপনে সংবাদের ভিত্তিতে কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ গোলাম মোস্তুফা নেতৃত্ব উপপরিদর্শক মোঃ আব্দুল কাদের সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলার চেঙ্গার-বাজারের উত্তরে হবিবপুর গ্রামের মোঃ কাজল মিয়া বসতঘরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১২০ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিল ও ৬ কেজি গাঁজা সহ কাজল মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
    এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম খাঁন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • মাধবপুরে সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সুভাষ পাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শ্রীবাস চন্দ্র পাল (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকালে মাধবপুর থানার এসআই মো: মনিরুজ্জামান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে পতেঙ্গা থানার পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। সে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডুবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর পুত্র। উল্লেখ্য পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১২ জানুয়ারী সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামের মৃত জয়চন্দ্র পাল এর বড় ছেলে ডা: সুভাষ পাল, শ্রীবাস চন্দ্র পাল ও সুমিত পালের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে সুভাষ পাল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
    এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী সুবর্না পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামিকে কিছুক্ষণ আগে চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর হবে।
  • মাধবপুরে গাঁজাসহ অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি। 
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে অভিনব কায়দায় ধানের কুড়ার বস্তায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৪০ কেজি গাঁজা পাচারকালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টায় গোপনে খবর পেয়ে মাধবপুর থানার এসআই সুজন শ্যাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে মাধবপুর পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড কিবরিয়া চত্বরের পশ্চিম পাশে এলাকার নাছির নগর রোডের সামনে উপর থেকে অভিযান চালিয়ে ধানের কুড়া বস্তায় করে ৪০ কেজি গাঁজা পাচারের কালে এক অটোরিকশা চালক রমজান আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত অটো রিকশা চালক হলো: রমজান আলী (৩৫), সে আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের আবেদ আলী ছেলে।
    এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  রকিবুল ইসলাম খাঁন দৈনিক সিলেটকে জানান, গাঁজা উদ্ধার কালে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত গাঁজা পাচারকারী বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।