Tag: মাধবপুর

  • প্রেমের টানে বিয়ে করতে মাধবপুরে ছুটে এসেছে ফিলিপাইনী তরুণী।

    প্রেমের টানে বিয়ে করতে মাধবপুরে ছুটে এসেছে ফিলিপাইনী তরুণী।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি:
    প্রেমের টানে প্রেমিককে বিয়ে করতে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনে তরুনী জুবেলিন। কাতারে চাকরি করার সুবাদে মাধবপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের তরুন আশিকুর রহমান মিশুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৪ মার্চ ফিলিপাইনী ওই তরুনী প্রেমিক মিশুকে স্বামী হিসাবে কাছে পেতে বাংলাদেশে ছেলের গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।
    ৫ মার্চ মঙ্গলবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিয়ে প্রত্যাশিত প্রেমিক মিশুকে। জুবেলিন হবিগঞ্জ গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিজের জন্মভূমি ও ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জুবেলিন নাম পরিববর্তন করে জান্নাত রহমান নাম রাখা হয়।
    জানা গেছে, মাধবপুরের ধর্মঘর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান মিশুর কাতার প্রবাসী। কাতারে চাকরির সুবাদে প্রায় ৫ বছর আগে পরিচয় হয় ওই ফিলিপাইনী তরুনীর সঙ্গে। এরপরই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক হয়। সম্প্রতি মিশুর বাংলাদেশের বাড়ি ফিরে আসলে খবর পেয়ে ওই তরুনী প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন। ভিনদেশি তরুনীকে এক নজর দেখতে আশপাশের মানুষজন বাড়িতে ভিড় করছে।
    ছেলের চাচা আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য সকল বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। বিদেশি নব বধুকে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। পরিবার বলছে ছেলের সুখে আমরাই সুখি। পুরোপুরি বউয়ের মর্যাদা দিয়েই আমরা তাকে রাখবো। সে ঠান্ডা ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে।
  • মাধবপুর পৌরসভার সবজি বাজার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি ।

    মাধবপুর পৌরসভার সবজি বাজার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি ।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে মাধবপুর পৌরসভার প্রধান সবজি বাজার। রাস্তার উপর সবজির দোকান বসিয়ে ওই সিন্ডিকেট প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৮শ টাকা ভাড়া আদায় করছে। গত ১ মার্চ মাধবপুর বাজারের একটি মার্কেটে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাস্তা দখল করে সবজি বাজার বসানো ও সিন্ডিকেটের ভাড়া আদায়ের বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা প্রশাসনের। এর পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল সবজি বাজারে অভিযান চালিয়ে রাস্তার উপরের সকল দোকান উচ্ছেদ করেন। এর পর থেকে ওই সিন্ডিকেট মাধবপুর বাজারে কোন সবজি ব্যাবসায়ীকে বসতে দিচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছে মাধবপুর পৌর শহরের সাধারণ মানুষ।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সবজি ব্যাবসায়ী জানান, যারা রাস্তায় দোকান বসিয়ে ভাড়া আদায় করতো তারা সাধারণ সবজি ব্যাবসায়ীদের উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া জায়গায় বসতে দিচ্ছে না। তারা কৌশলে ওই জায়গায় নিজেদের নামে প্লট নিয়ে ভাড়া দিতে চায়।
    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল জানান, আমরা সবজি ব্যাবসায়ীদের জন্য জায়গা ঠিক করে দিয়েছি। তবে কোন ব্যাক্তির নামে কোন প্লট বরাদ্দ দেওয়া হবে না। সবজি বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে আমরা মাইকিং করে সবাইকে বিষয়টি জানিয়ে দিব। কেউ যদি সিন্ডিকেট করে দখল নিয়ে কোন দোকান ভাড়া দিতে চায় তাহলে বিষয়টি আমাদের জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
  • মাধবপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ’লীগের সমর্থন পেল এরশাদ আলী।

    মাধবপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ’লীগের সমর্থন পেল এরশাদ আলী।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগে’র প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ এরশাদ আলী’র সমর্থনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (০৪ মার্চ) দুপুরে দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রেমদাময়ী গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের মাঠে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মোঃ এরশাদ আলী’র সমর্থনে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ জাহেদ খাঁন, সঞ্চালনায় করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব খাঁন।
    প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান আতিক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম তাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ধর্মঘর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমেদ পারুল,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ফারুক পাঠান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক সুজন রায়, শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক ফকির মোহাম্মদ জাবেদ,পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ একরামুল আলম লেবু, ছাতিয়াইন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবেদ আলী,সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি কামাল হোসেন জিতু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান খোকন, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কাউসার আহমেদ সুজন প্রমুখ।
    এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ এরশাদ আলী।এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ জাতীয় শ্রমিক লীগ বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দরা।
  • মাধবপুরে চা বাগান থেকে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার।

    মাধবপুরে চা বাগান থেকে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চা বাগান থেকে ফজল মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ব্যাক্তি মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মাদারগড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াকুব মিয়ার ছেলে।
    রবিবার (৩ মার্চ) দুপুর সোয়া ১১ টার সময় উপজেলার নোয়াপাড়া চা বাগানের ২৫ নম্বর সেকশনে এলাকার লোকজন তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পায়।
    খবর পেয়ে মাধবপুর-চুনারুঘাট (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ও মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছেন।
    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফজল মিয়া কৃষি জমিতে  কাজ করতেন। শনিবার দুপুরেও সে চাচাতো ভাইয়ের জমিতে কাজ করেছে, বিকেল ৩টার পর থেকে তাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে রবিবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন চা বাগানের ভেতর তার মৃতদেহ দেখেতে পেয়ে মাধবপুর থানার পুলিশকে খবর দেয়।
    মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃরকিবুল ইসলাম খান এ তথ্যর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
  • বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাধবপুরের প্রবাসীর স্ত্রী ও মেয়ে।

    বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাধবপুরের প্রবাসীর স্ত্রী ও মেয়ে।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মাধবপুরের প্রবাসীর স্ত্রী ও মেয়ে। ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে সাততলা ভবনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাধবপুরের বিয়াংকা রায় (১৭) ও রুবি রায় (৪০) নামে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন।রুবি রায় মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর গ্রামের পোল্যান্ড প্রবাসী উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী ও বিয়াংকা রায় তার কন্যা।
    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মা মেয়ে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খাবার আনতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন।
    নিহত বিয়াংকা রায়ের বড় চাচা বিশ্নু রায় জানান, তার ছোট ভাই উত্তম কুমার রায় ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সে ওই কোম্পানির কাজের জন্য পোল্যান্ড যান। এ সময় তিনি স্ত্রী কন্যাকে দেশে রেখে যান। তারা ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।খবর পেয়ে উত্তম কুমার রায় পোল্যান্ড থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন এবং শনিবার স্ত্রী ও কন্যার মরদেহ নিয়ে মাধবপুর গ্রামের বাড়িতে আসবেন।
  • মাধবপুরে জাতীয় বীমা দিবসে মেয়াদ পূর্ণ গ্রাহকদের মাঝে চেক বিতরণ।

    মাধবপুরে জাতীয় বীমা দিবসে মেয়াদ পূর্ণ গ্রাহকদের মাঝে চেক বিতরণ।

    নাহিদ মিয়া, মাধবপুর প্রতিনিধিঃ
    করবো বীমা গড়বো দেশ,স্মাট হবে বাংলাদেশ,এই স্লোগান কে সামনে রেখে হবিগঞ্জের মাধবপুরে জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বীমা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১ মে ) সকালে সাড়ে ১০টার সময় উপজেলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতির সামনে থেকে জাতীয় বীমা দিবসে’র এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক হয়ে মাধবপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।
    এ সময় উপজেলা নিবার্হী অফিসার একেএম ফয়সাল সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সাত্তার বেগ, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ফয়সাল চৌধুরী, এ ভিপি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লিমিটেড মাধবপুর মনিটরিং এরিয়ার ইনচার্জ মোঃ সেলিম খাঁন,উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনু মাধব রায়,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম দাশগুপ্ত, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠান, আন্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সুজন রায়, সাংবাদিক সাব্বির হাসান, প্রমুখ। দিবসটি আলোচনা সভায় সঞ্চালনায় করেন উপজেলা যুবলীগের প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিঃ মাধবপুর আউলিয়াবাদ অফিসে এজিএম মোঃ সাজু মিয়া।
    এসময় অন্যাের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আশরাফ আলী জোন প্রধান, ইটাখোলা জোন আব্বাস, জালাল উদ্দিন, নজরুল ইসলাম এবং শ্যামল কুমার সহকারী জোনাল ইনচার্জ গণ প্রমুখ।এসময় বীমা গ্রাহকদের মধ্যে বিভিন্ন দাবীর মেয়াদ পূর্ণ ৪০ লক্ষ টাকা চেক বিতরণ করা হয়েছে।
  • রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পেলেন মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল।

    রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পেলেন মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
    রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পেয়েছেন হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁন। বিভিন্ন মামলার রহস্য উদঘাটন, গণমূখী পুলিশী সেবা নিশ্চিত করা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য তিনি পিপিএম-সেবা পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
    মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে জাতীয় পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পদক পরিয়ে দেন মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রকিবুল ইসলাম খাঁনকে।
    সূত্রে জানা গেছে, রকিবুল ইসলাম খাঁন ঢাকা বাড্ডা থানার এলাকার কৃতি সন্তান। তিনি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তেজগাঁ কলেজ থেকে অনার্স ও সরকারি তিতুমীর কলেজ ঢাকা থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন । রকিবুল ইসলাম খাঁন পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইনন্সপেক্টর হিসেবে ২০০৭ সালে যোগদান করেন। বিশেষ কাজের অবদানে এর আগে তিনি কমিশনার এওয়ার্ড, আইজিপি পদক ও জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা পদক পুরষ্কার প্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড়া তিনি দেশ ও দেশের বাইরে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
    ওসি রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, সততা, নিষ্ঠা, কর্তব্য ও উত্তম পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে আমি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বশেষ পদক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে ভূষিত হয়েছি।
    তিনি আরও জানান, আমি আমার চাকুরি জীবনে শেষ দিন পর্যন্ত আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব শত ভাগ সততার সহিত পালন করে যেতে চাই।
    অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান ও সহযোগিতার জন্য জেলা পুলিশ সুপারসহ সকল সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
    উল্লেখ্য:-পুলিশের এ সর্ব্বোচ স্বীকৃতি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পদে যারা ভূষিত হন তারা এককালীন অর্থ ও প্রতিমাসে ভাতা পান এবং নামের শেষে পদক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • মাধবপুরে পুরুষশূন্য বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-হামলা ভাংচুর,লুটপাট।

    মাধবপুরে পুরুষশূন্য বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-হামলা ভাংচুর,লুটপাট।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউপির মধ্যে বেজুড়া গ্রামে একটি জমিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত পাভেল হত্যাকান্ডের জেরধরে প্রতিপক্ষের পুরুষ শূণ্য বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হামলা ভাংচুর লুটপাট ও তান্ডবলীলা চালাচ্ছেন। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিপক্ষরা। শুধু তাই নয়, বাড়ি ঘরে কোন পুরুষ না থাকায় বাড়িতে থাকা নারীদের হেনস্তা করারও অভিযোগ উঠেছে। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষসহ পুরো গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা।
    জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারী মধ্য বেজুড়া গ্রামে একটি জমিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মাঝে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হলেও পাভেল (৩২) নামে এক যুবক আহত অবস্থায় মারা যায়।
    এ ঘটনায় হামিদ মিয়ার দায়ের করা মামলায় ৬৩ জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে ১নং আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ খানসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই মামলায় আটক ১৮ জন জেল হাজতে আছে। প্রতিপক্ষের মারুফ মিয়ার দায়ের করা জিআর ৫৮নং মামলায় গুরুতর অভিযুক্ত ব্যতিত অন্যান্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন রয়েছে। যদিও তারা এলাকায় যেতে পারছেন না।
    এদিকে, পাভেল হত্যা মামলার আসামী মৃত মহারাজ মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেনের বসত ঘরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী দিবাগত মধ্যরাতে পেট্রোল দিয়ে আগুণ ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা।
    এতে কোন রকম বসত ঘরে ঘুমিয়ে থাকা নারী ও শিশুরা দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচলেও ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুণে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে যায় ফ্রিজ, টিভি, হাস, মুরগসহ অন্তত ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। যদিও পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুণ নিয়ন্ত্রন করে।
    এর আগে গত ২০শে ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ১১টায় পাশ্ববর্তী বুল্লা এলাকায় জেল হাজতে আটক থাকা মাসুদ খানের মালিকানাধীন খাঁন ব্রিকস ফিল্ডে পাভেল হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন দেশিয় ধারলো অস্ত্র নিয়ে আসামি খোঁজার নাম করে হামলা করে। ৩০/৪০ জনের হামলাকারী মোবাইল, নগদ টাকা লুটে নেয়। এসময় ইট ভাটার ম্যানেজারকে জিম্মি করে অফিসের আলমারি তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা নেয়, মটর, ডিজেল চালিত মেশিন ও ভাটার শ্রমিকদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
    এছাড়াও স্টেক করা কাঁচা ইট ভেঙ্গে দিয়ে সকলকে হুমকি দিয়ে বলে ইট ভাটাটি বন্ধ রাখতে নতুবা পরে এসে শ্রমিকদের জবাই করে ফেলবে। এই ঘটনায় পরদিন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তদন্তের নামে এর কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। গত ৫ ফেব্রুয়ারী জগদীশপুর তেমুনিয়ায় মোড়ে মাসুদ খানের ব্যক্তিগত অফিসের তালা ভেঙ্গে ২টি আলমারি ও টেবিলের ডয়ার ভেঙ্গে মূল্যবান কাগজপত্র লুটে নেয় প্রতিপক্ষরা। লুট করা হয় তেমুনিয়ায় বাজারে প্রায় ৮টি দোকান থেকে মালামাল।
    এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আতিকুর রহমান জানান, একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা শুনে পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
  • মাধবপুরে ছাদ থেকে পড়ে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু।

    মাধবপুরে ছাদ থেকে পড়ে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে নির্মানাধীন আকিজ গ্লাশ ফ্যক্টরীর একটি দশতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে আসাদ মিয়া নাম এক নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।আসাদ মিয়ার বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার জালিয়াপাড়া গ্রামে।তার পিতার নাম সোলেমান মিয়া।
    সোমবার(২৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কাজ করার সময় আসাদ মিয়া আকিজ গ্লাশ ফ্যাক্টরীর একটি দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন।সহকর্মীরা দ্রুত তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষানিরীক্ষা করে সাথের লোকজনকে আসাদের ইসিজি করাতে পরামর্শ দেন।ইসিজি না করিয়েই দ্রুত আসাদকে নিয়ে সটকে পড়েন সাথের লোকজন।পরে আসাদ মারা যায়।
    মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক দ্বীন মোহাম্মদ ছাদ থেকে পড়ে নির্মান শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
  • জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ মাধবপুর উপজেলা পরিষদ।

    জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ মাধবপুর উপজেলা পরিষদ।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
    দুমাস পরেই তৃতীয় দফায় ১৭ মে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সাধারন মানুষের তেমন কোন আগ্রহ নেই। এর কারন হচ্ছে গত ১০ বছরে মাধবপুর উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা জনগনের কল্যাণে কোন অবদান রাখতে পারেনি। উপজেলা পরিষদের যোগাযোগ, রাস্তাঘাট, কৃষি সেচ আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য ও  পরিবার পরিকল্পনা, যুব ও ক্রীড়া, সমাজকল্যান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সহ ১৭ স্থায়ী কমিটি রয়েছে। এসব স্থায়ী কমিটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুজন ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রধান করে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। কিন্তু মাধবপুরে এসব কমিটি শুধু কাগজে কলমে। স্থায়ী কমিটির উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পরিষদের দপ্তর প্রধানদের নিয়ে কয়েক মাস অন্তর অন্তর মাধবপুর উপজেলার জনগনের সমস্যা শনাক্ত করে এগুলো বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও কার্যত কোন সভা করা হয়নি। এ নিয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ক্রোভ প্রকাশ করেছেন। মাধবপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিব উদ্দিন তালুকদার ওয়াসিম বলেন, মাধবপুর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যানদের তেমন কোন ভুমিকা নেই।
    স্থায়ী কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যানদের শুধুমাত্র কাগজে কলমে রাখা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের বাজেট প্রনয়ন, সরকারি উন্নয়ন পরিকল্পনায় এবং জনগনের চাহিদা মেটাতে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের কোন মতামত নেওয়া হয়না। উপজেলা পরিষদের রাস্তাঘাট,শিক্ষা , যোগাযোগ, কৃষিখাতে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোটা অংকের বরাদ্ধ থাকলেও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদের কোন প্রকল্প গ্রহন করা হয়না। প্রকল্প প্রনয়নে দলীয়করন, স্বজনপ্রীতি গ্রহণ করা হয়। মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শ্রীধাম দাশগুপ্ত বলেন, মাধবপুর উপজেলা পরিষদের ৩ জন জনপ্রতিনিধি গত ১০ বছরে মাধবপুর উপজেলা ৪ লাখ মানুষের উন্নয়নে আশানুরূপ অবদান রাখতে পারেনি।
    একারনে এবার মাধবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের তেমন কোন আগ্রহ নেই। এছাড়া বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোক দিবস, জাতীয় শিশু দিবস, জাতীয় শহিদ দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবস গুলো পালন করা হয়নি। এনিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তিনি আরো বলেন উপজেলা পরিষদের ১৭টি স্থায়ী কমিটি কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও কার্যকর করতে জাপান সহায়তা সংস্থা জাইকার পক্ষ থেকে প্রতি বছর ৫০ লাখ টাকার বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০ লাখ টাকা বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে প্রশিক্ষণ। তবে স্থায়ী কমিটি কার্যকর না হওয়ায় এসব প্রশিক্ষণ বাস্তবে কোন কাজে আসেনা।
    তেলিয়াপাড়া চা বাগানের শ্রমিক নেতা স্বরজিত পাশী বলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যানদের কাছে ৫টি চাবাগানে কয়েক হাজার শ্রমিকের অনেক চাওয়া পাওয়ার ছিল। কিন্তু গত ১০ বছরে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা চা শ্রমিকদের সার্বিক উন্নয়নে কোন ভুমিকা রাখেনি। প্রতি বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির জন্য বরাদ্ধ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও চা বাগানে চাশ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কোন বিশেষ বরাদ্ধ দেওয়া হয়নি। চা শ্রমিকদের অবহেলার চোখে দেখা হয়েছে। তাই এখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে চা শ্রমিকদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। মাধবপুর উপজেলা পরিষদ ডাল নেই তলোয়ার নেই যেন নিধিরাম সর্দার।  মাধবপুর উপজেলা পরিষদের দুবার নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডঃ সুফিয়া আক্তার হেলেন বলেন, মাধবপুর উপজেলা পরিষদের ১৭টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।
    এ সব স্থায়ী কমিটি সভাপতি হলেন দুজন ভাইস চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদের সরকারি দপ্তরের প্রধানরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সচিব। দুমাস অন্তর অন্তর স্থায়ী কমিটির সভায় উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো মাসিক সভায় উপস্থাপন করা হয়।কিন্তু স্থানীয় কমিটির কোন সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হয়না।
    উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদের টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এডিপি প্রকল্প থেকে কোন বরাদ্ধ দেওয়া হয়না। যেকারনে জনগনের উপকার করা সত্বেও কোন কোন উপকার করা যায়নি। মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান বলেন, গত ১০ বছরে মাধবপুর উপজেলার উন্নয়নে চেষ্টার কোন ক্রুটি ছিলনা। মানুষের আশা আকাঙ্খা পুরন করতে সক্ষম হয়েছি।