Tag: মাধবপুর

  • মাধবপুরে বাসের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ও মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু।

    মাধবপুরে বাসের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ও মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাসের চাকায় পৃষ্ট হয়ে রিপন মিয়া(৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছে মোটরসাইকেলের আরেক আরোহী তার ভাগ্নে জহুরুল ইসলাম।  শুক্রবার রাত ৭টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার দরগা গেইট এলাকায় এঘটনা ঘটে।

    মাধবপুর থানার উপ-পরিদর্শক সামসুল আরেফিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান,রাত ৭ টার সময় ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার গামী এনা পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় উল্লেখিত স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের মূখোমূখি সংঘর্য হয়।

    এসময় মোটরসাইকেলটি একটি অংশ বাসের নিচে ঢুকে পড়ে। এতে মোটরসাইকেল আরোহী মাধবপুর উপজেলার রামপুর গ্রামে মৃত গেদু মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া (৩০)ঘটনাস্থলেই নিহত হন ও তার ভাগ্নে নাসিরনগর উপজেলার পুর্বভাগ গ্রামে নাসিম মিয়ার জহিরুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হন। আশংকাজনক অবস্থায় জহিরুল ইসলাম কে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

    দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে প্রায় ১ঘন্টা যানচলাচল বিঘ্ন ঘটে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগন্জ হাইওয়ে ও মাধবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্হলে পৌছে যানচলাচল স্বাভাবিক করে। শায়েস্তাগন্জ হাইওয়ে থানার ওসি মাইনুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • মাধবপুরে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরন।

    মাধবপুরে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরন।

    মাধবপুরে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরন

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে করোনাকালীন সময়ে কৃষি প্রণোদনার আওতাধীন ১৩৫০ জন উফশী ধান বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে বিতরন করা হয়।

    বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা চত্বরে কৃষি পূর্ণবাসন ও কমিটির উদ্যোগে সার ও বীজ বিতরনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক,সহকারী কমিশনার( ভুমি) মহিউদ্দিন আহম্মেদ,কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসানসহ ইউনিয়নে কর্মরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন।পরে আন্দিউড়া ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে রবি মৌসুমের ৫ কেজি ধান বীজ,১০ কেজি এমওপি,১০ কেজি ডিএপি সার বিতরন করা হয়।

  • মাধবপুরে আদাঐর ইউপি’র নির্বাচনে নৌকা মাঝি হতে চান তাজুল ইসলাম।

    মাধবপুরে আদাঐর ইউপি’র নির্বাচনে নৌকা মাঝি হতে চান তাজুল ইসলাম।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: ৩৬০ জন আউলিয়ার পূণ্যভূমি সিলেটের প্রবেশদ্বার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ডিসেম্বরে ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আওয়ামী লীগের নৌকা মাঝি হতে চান তাজুল ইসলাম (তাজু) চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর দৌঁড়ে রয়েছেন আরো অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা এলাকায় নানাভাবে গণসংযোগ, কুশল বিনিময়ও করছেন।

    বর্তমানে বেশির ভাগ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে দলীয় টিকেট পেতে তৃণমূল থেকে দলের হাইকমান্ডের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। বলতে গেলে এসব প্রার্থীরা নৌকা মনোনয়নের জন্য এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অনুকম্পা পেতে কয়েকদিন ধরে জেলা ও রাজধানী ঢাকা অবস্থান করছেন ।

    মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন মাধবপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু। বর্তমান বসবাস করেন আদাঐর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হিসাবে। তিনি মাধবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলার যুবলীগের সাবেক সভাপতির ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এলাকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

    আওয়ামী লীগের তৃনমুলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪নং আদাঐর ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রার্থী সংখ্যা বাড়লেও সব প্রার্থী কিন্তু সমানভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি ভোটের মাঠে। সাংগঠনিক দক্ষতা ও ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন প্রার্থী ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তায় রয়েছেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু। আওয়ামীলীগের নৌকা মনোনয়ন পেলে বেশির ভাগ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।

    মূলত আঞ্চলিকতার ইস্যুতে সে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রার্থী। এছাড়া তৃণমূলে সাধারণ ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝেও সমান জনপ্রিয়তা তার। বাকিরাও যে যার মতো ভাল অবস্থানে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের সমর্থকরা।

    তাজুল ইসলাম জানান,বিগত আদাঐর ইউনিয়ন দুইটি নির্বাচন আমি অনেক ভোটে বিজয়ী হয়েছি। নির্বাচনী মৌসুম থেকে আমি নির্বাচন করার জন্য ইউনিয়নবাসীর সমর্থন ও দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে ইউনিয়ন এলাকায় কাজ করছি। বিগত সময়গুলোতে যারা দলীয় নৌকা মনোনয়ন নিয়ে মাঠে এসেছেন জননেত্রীর শেখ হাসিনার প্রার্থী মনে করে তাদের সাথে কাজ করেছি।আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবার আমাকে মূল্যায়ন করবেন, বিএনপি জোট সরকার আমলে আমার উপরে হামলা ও মামলা শিকার হয়।

  • মাধবপুরে শীতের আগমনী বার্তায় বেড়েছে লেপ তোষকের চাহিদা।

    মাধবপুরে শীতের আগমনী বার্তায় বেড়েছে লেপ তোষকের চাহিদা।

    নাহিদ মিয়া, মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি: শীতের আগমনী বার্তায় চা বাগান কোলঘেঁষা হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুরে শীত নিবারণের উপকরণ তৈরির ব্যাস্ততায় ফিরছে লেপ- তোষক কারিগররা। শীত মানেই প্রশান্তির ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ঋতু। আর এই শীত জেঁকে বসার আগেই ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।এ মাসেই উপজেলায় শীতের আমেজ অনেকটা শুরু হয়েছে। ভোররাতে হালকা ঠান্ডা আর সকালের মৃদু শীত শীত ভাব বলে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীতের আগমনী বার্তা।

    সেইসঙ্গে ভোরের মিষ্টি রোদে মাঠের সবুজ ঘাসের গায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দুর ঝলকানি শীতের সকালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে উপজেলাবাসীকে ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শীতের আগমনী বার্তা শীতকালে হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তা ঋতুর সাথে তাল মিলছে না। গ্রাম বাংলায় আজও প্রবাদ আছে আশ্বিনে গা করে শিন-শিন। কিন্তু প্রকৃতির লীলা খেলায় কার্তিক মাসের শেষ ভাগে সকাল হলেই ঘন কুয়াশার আচ্ছন্ন আর শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে।

    আবার সূর্য ওঠার কয়েক ঘণ্টার পরেই রোদের তাপে শীত কুয়াশা দূর হয়ে গরমে ঘাম ঝরছে এই এলাকার মানুষের।এদিকে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে প্রায় সারারাত ধরেই মাঝারি ধরনের শীতের কারণে অনেক বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু হয়েছে।

    আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে শিশু ও বৃদ্ধদের শীতজনিত নানা ধরনের রোগের পাদুর্ভাব কিছুটা দেখা দিয়েছে।এদিকে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে প্রায় সারারাত ধরেই মাঝারি ধরনের শীতের কারণে অনেক বাসা-বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু হয়েছে।

    আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে শিশু ও বৃদ্ধদের শীতজনিত নানা ধরনের রোগের পাদুর্ভাব কিছুটা দেখা দিয়েছে।লেপ তৈরির কারিগররা শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে অর্ডার নিলেও যথা সময়ে সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে।মাধবপুর উপজেলা, ধর্মঘর, চৌমুহনী,মনতলা,শাহাজানপুর,জগদীশ, মাধবপুর সদরে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিত আর কারিগরদের ধুনুক দিয়ে তুলা ফাটানোর সরগরমেই যেন বলে দিচ্ছে লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে।মাধবপুর উপজেলার পৌরসভা বাজারে লেপ-তোষক ব্যবসায়ী ইকরা এন্ড নিষপা বেডিং ষ্টোর, মোঃ সৈয়দ মিয়া জানান,এ সময়ে অনেকে ক্রেতারা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক,বালিশসহ শীতবস্ত্র বানাতে দিচ্ছেন ও অনেকেই আবার বানিয়ে নিয়েছেন।

    তবে লেপ-তোষক তৈরির কাঁচামাল তুলা ও কাপড়ের দাম একটু বেশি।তিনি আরও বলেন, বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা (সাদা) ৮০ থেকে ১২০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা (কালো) ৩০ থেকে ৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, কার্পাস তুলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। আরেক মাধবপুর বাজারে ব্যবসায়ী মোঃ ইলিয়াস মিয়া জানান, এ বছর লেপ-তোষক তৈরিতে গত বছরের চেয়ে দুই থেকে তিনশত টাকা বেশি লাগছে। তাছাড়া একটি তোষক এক হাজার থেকে দুইহাজার পাঁচশত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

     

  • মাধবপুরে বিজিবি’র উদ্যোগে মাদক ব্যবসায়ী’র বাড়ি চিহ্নিত।

    মাধবপুরে বিজিবি’র উদ্যোগে মাদক ব্যবসায়ী’র বাড়ি চিহ্নিত।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিজিবি’র উদ্যোগে সীমান্তবর্তী এলাকায় কয়েকটি গ্রামে বাড়ি চিহ্নিত করতে ‘বাড়ির সামনে মাদক কারবারি বাড়ি’ লেখা লাল রং এর ডিজিটাল সাইনবোর্ড টানানো হচ্ছে। হঠাৎ করে এসব দেখে যে কারোর চোখ আটকে যাবে।

    মাধবপুর উপজেলার বহরা,চৌমুহনীসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের মাদক কারবার জড়িতদের বাড়ি এভাবেই চিহ্নিত করে রাখতে দেখা যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’কে।

    জানা যায়, মূলত মাদক কারবারিদের বাড়ি চিহ্নিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়ির সামনে ডিজিটাল ব্যানারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে এ উদ্যোগ কার্যকর করছেন তারা।

    গত সোমবার সকাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের মনতলা,হরিণখোলা ও রাজেন্দ্রপুর বিওপির সদস্যরা বিভিন্ন গ্রামের ১০টি বাড়িতে গিয়ে এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করে বিজিবি।

    বিজিবি’র সকাল-সন্ধ্যা অভিযানে সারাদিন চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়িতে গিয়ে সীমানা প্রাচীর, বাড়ির রাস্তায় কিংবা,দেয়ালে লাল রং এর ডিজিটাল ব্যানারের সাইনবোর্ডে ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’ও চোরাকারবারির বাড়ি’ লাগিয়ে দিয়েছেন।

    বিজিবি কর্তৃক চিহ্নিত ১০টি বাড়ি হলো: মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের বলু মিয়া,রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আহাদ মিয়া, শ্রীধরপুর গ্রামের কবির মিয়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ধনু মিয়া, কাউছার মিয়া, জয়নাল মিয়ার ও সফু মিয়া, কমলপুর গ্রামের স্বপন মিয়া,খালেক মিয়া,জানু মিয়ার বাড়ি। এই ১০ জন মাদক কারবারি বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। বিজিবির এ ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে খুশী স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিজিবির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সমাজে প্রত্যেকটি অপরাধীর মুখোশ এভাবেই উন্মোচন করা দরকার। এতে করে সমাজে ঘৃণ্য ব্যক্তিদের মুখোশ খানিকটা হলেও উন্মোচিত হবে।বিজিবি’র এ উদ্যোগের ফলে বেশ সুফল মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত প্রত্যেকের বাড়িতেই যেনো এভাবে চিহ্নিত কার্যক্রম অব্যহত থাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

    বিজিবির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চলতি মাসে এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন থেকে নিয়মিত এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

    বিজিবির মনতলা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু বকর, হরিণখোলা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাদেক আলী এবং রাজেন্দ্রপুর ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল হাফিজ এর নেতৃত্বে একার্যক্রম পরিচালিত হয়।এ মাদকবিরোধী সচেতনামূলক অভিযানে গিয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাদক সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি এসব সাইবোর্ড যেন কেউ তুলে না ফেলে বা মুছে না ফেলেন সে বিষয়েও কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

    এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিজিবি হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী জানান, বিজিবির হাতে ধরা পড়া চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়িতে এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ মাদক নির্মূলে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন।

  • মাধবপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার।

    মাধবপুরে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ইউপি সদস্য গ্রেফতার।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ মোঃ দুলাল মিয়া কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন (৪৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাধবপুর থানার এস আই মমিনুল ইসলাম (পিপিএম) রোববার বিকালে ঢাকার উত্তরার ৩নং সেক্টরের একটি বাড়ি থেকে রফিক কে গ্রেফতার করে।

    মাধবপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক সত্যতা নিশ্চত করে জানান রফিক মেম্বার ওই মামলার ২নং আসামী।সে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বনগাও গ্রামের আব্দু সাত্তারের ছেলে।গত বুধবার দুপুরে বনগাও গ্রামে রফিকের ভাই সন্তাসী আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্ব একদল লোক যুবলীগনেতা শেখ দুলাল কে হত্যার উদ্দেশ্যে পথরোধ করে এলোপাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখে।পরে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্বার করে স্বজনরার ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তী করে।

    এঘটনায় দুলালের ভাই শেখ আমির হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে এর পর পুলিশ আসামী গ্রেফতারে মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম রোবরার দিনভর ঢাকার বিভিন্ন স্হানে চালায়। একপর্যায়ে উত্তরা থানা পুলিশের সহায়তায় উত্তরার ৩নং সেক্টরের একটি বহুতল ভবনে আত্বগোপনে থাকা রফিক কে গ্রেফতার করে রাতে মাধবপুর থানায় নিয়ে আসে।

    এর আগে এলাকার সংসদ বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। উপজেলা যুবলীগ সমাবেশ করে গ্রেফতারের দাবি জানান।সোমবার ইউপি সদস্য কে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

    মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন অন্য আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

  • আ,লীগ কার্যালয়ে নৌকার মনোনয়ন জমা দিলেন সিংড়ার চামারী ইউপি প্রার্থী স্বপন মোল্লা

    আ,লীগ কার্যালয়ে নৌকার মনোনয়ন জমা দিলেন সিংড়ার চামারী ইউপি প্রার্থী স্বপন মোল্লা

    আ,লীগ কার্যালয়ে নৌকার মনোনয়ন জমা দিলেন সিংড়ার চামারী ইউপি প্রার্থী স্বপন মোল্লা

    আগামী ২৩ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদকে সামনে রেখে নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন জমা দিলেন চামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান স্বপন মোল্লা। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রধান কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তুলে জমা দেন তিনি।

    এসময় তাঁর সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তৃণমুলের নেতা কর্মী। দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া পর স্বপন মোল্লা তাঁর ফেসবুক ওয়ালে সকলের কাছে দোয়া ও সুচিন্তিত পরামর্শ এবং সমর্থন প্রার্থনা করেন।

  • মাধবপুরে শেখ দুলালকে হাসপাতালে দেখতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা মিসির আলী।

    মাধবপুরে শেখ দুলালকে হাসপাতালে দেখতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা মিসির আলী।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৬নং শাহজাহানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ দুলালকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে কৃখ্যাত মাদক ব্যাবসায়ী আশরাফ ও তার বাহিনী। গত বুধবার দুপুরে তেলিয়াপাড়ায় চা বাগানে ১৬নং সেকশনে এ ঘটনা ঘটেছে তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

    গতকাল শুক্রবার বিকালে দিকে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এস এম মিসির আলী দেখতে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাধবপুর উপজেলা শাহাজানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ দুলাল মিয়াকে তিনি বলেন যুবলীগের কর্মীর উপর হামলায় বিচার চেয়ে আরো তিনি বলেন মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আশরাফ কে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এস এম মিসির আলী।

  • মাধবপুরে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর যাত্রী ছাউনি এলাকা থেকে ১০ নভেম্বর বুধবার বিকালে ২ কেজি গাঁজাসহ মোহাম্মদ হোসেন(২৮) নামের এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    জানা যায় গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মাধবপুর থানার উপ-পরির্দশক মমিনুল ইসলাম(পি পি এম) মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন।

    আটক মোহাম্মদ হোসেন পাশ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মোঃ তছির মিয়ার ছেলে।যাত্রী বেশে গাঁজাসহ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল সে। এ সময় থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। তাকে তল্লাশি করে ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক সত্যতা নিশ্চত করে জানান আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

  • মাধবপুরে বিরোধের জেরে হামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গুরুত্বর আহত।

    মাধবপুরে বিরোধের জেরে হামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গুরুত্বর আহত।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গুরুতর আহত হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ১৬ নম্বর এলাকায় চা শ্রমিক অপু গোয়ালা’র সাথে চুক্তি করে তার জমিতে গাছ লাগায় শাহজাহানপুর ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বনগাঁও গ্রামের রফিক মিয়া মেম্বারের ছোটভাই আশরাফ উদ্দিন।

    ইতিমধ্যেই কিছু গাছ কাটার উপযুক্ত হলে জমির মালিক থেকে তার অংশের গাছ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শেখ মো:দুলালের বড় ভাই শেখ আবু মিয়া কিনে নেয়।

    বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে আশরাফ উদ্দিন গাছ কাটতে গেলে খবর পেয়ে শেখ দুলাল গিয়ে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আশরাফ উদ্দিন ও তার লোকজন দুলালকে মাথা ও পায়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

    স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। তবে আশরাফ উদ্দিন হামলার কথা অস্বীকার করেছে।

    এ ঘটনার প্রতিবাদে শাহজাহান পুর ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে সন্ধ্যায় তেলিয়াপাড়া বাজারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আয়ূব খানের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন শাহজাহান পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আপন মিয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী হুমায়ুন প্রমূখ।