Tag: মাধবপুর

  • মাধবপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।

    মাধবপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এড. মাহবুব আলীকে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মাধবপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের পরিচালনায় কামেশ রঞ্জন করের সভাপতিত্বে সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. আবু জাহির এমপি।
    হবিগঞ্জ -৪ মাধবপুর – চুনারুঘাট আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এড. মাহবুব আলী। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আলমগীর চৌধুরী, সহ সভাপতি এড. মনোয়ার আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, পৌর সাবেক মেয়র শাহ্ মো: মুসলিম।
    বর্ধিত সভায় উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ,তাতী লীগ,মহিলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
    নৌকার জয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে কাজ করতে নেতা কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এড. মাহবুব আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে, শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে তিনি মাধবপুর – চুনারুঘাটের জনগণের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।অতীতের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আওয়ামী লীগের আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে নৌকার জন্য ভোট চেয়েছেন।
  • নৌকার প্রার্থী মাহবুব আলীর মাধবপুর বাজারে জনসাধারণের সাথে সাক্ষাৎ।

    নৌকার প্রার্থী মাহবুব আলীর মাধবপুর বাজারে জনসাধারণের সাথে সাক্ষাৎ।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের নৌকা মনোনয়ন প্রার্থী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মোঃ মাহবুব আলী এমপির বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
    রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে মাধবপুর বাজারে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশাসহ ব্যবসায়ীদের সাক্ষাৎ করেন।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু,সাংগঠনিক সম্পাদক বেনু মাধব রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো: এরশাদ আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক মুহিত মিয়া,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম দাশ গুপ্ত, আন্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলম টিটু , উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সুজন রায়, পৌর যুবলীগ নেতা মো: নাহিদ মিয়া, উপজেলা উলামা লীগের সভাপতি হাফেজ মোবারক, উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো: রেজাউল হক শাওন সহ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
  • মাধবপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    মাধবপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রমজান আলী (৩০) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
    প্রতিবেশী সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় রমজান আলী তাঁর টিন সেটের বসত ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘরের মাচানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রমজান আলীর লাশ উদ্ধার করে। তার দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। জানাযায় দুই মাস আগে রমজান আলীর স্ত্রী তার ছেলে মেয়েদের তাদের নানা বাড়ি শ্রীমঙ্গলে রেখে সৌদি আরবে চলে যায়।এইদিকে রমজানের স্ত্রী চলে যাওয়ায় সে বাড়িতে একাই থাকত। রমজান মাদকাসক্ত ছিল, কখনো কখনো অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে পাগলের মতো আচরণ করতো। দুই মাস পূর্বেও সে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
    কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে এসআই ফজলুর রহমান এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হবে।
  • মাধবপুরে একাধিক পুলিশি মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ।

    মাধবপুরে একাধিক পুলিশি মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক সেলুন কর্মচারীকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক ধরে থানায় এনে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এক এসআই এর বিরুদ্ধে।এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।তিনি ঢাকায় সেলুন কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন।কিছুদিন আগে স্ত্রীর সিজারিয়ান অপারেশন করানোর প্রয়োজনে বাড়ি এসেছেন।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বেজুড়ার লস্কর আলী নামে এক ব্যক্তি নতুন বাড়ি থেকে পুরাতন বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তার বন্ধু একই গ্রামের শাহীন মিয়ার সাথে দেখা হয়।দুই বন্ধুর আলাপের মধ্যেই হঠাৎ মাধবপুর থানার একটি পুলিশ ভ্যান এসে থামে।ভ্যান থেকে নেমে এসআই আবু রায়হান দেশের অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে এতো রাতে তারা রাস্তায় কি করছে জানতে চান।এসময় লস্কর আলী জানান, নিজের গ্রামে বন্ধুর সাথে কথা বলার সাথে দেশের অবস্থার সম্পর্ক কি?
    ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই আবু রায়হান অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।
    এসময় সাথে থাকা ভ্যানচালক কনস্টেবল মোঃ আলমগীর দুজনের দেহ তল্লাশী শুরু করে পকেটে থাকা সাড়ে ২১ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে এসআই আবু রায়হানের হাতে দেন।এসআই রায়হান লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যান।তাদের মোবাইল কেড়ে নেন।থানায় নেওয়ার পর হেরোইন ও গাঁজার মামলায় কোর্টে চালান করার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন রায়হান।চাহিদা মতো টাকা দিলে তাদের ‘নরমাল’ মামলায় পুলিশ ফরোয়ার্ডিং দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়ার আশ্বাস দেন রায়হান। এতো টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই জানালে শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকায় নামেন এসআই আবু রায়হান।পরদিন (২৬ নভেম্বর) সকালে লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা অলিদ মিয়াকে ঘটনা জানালে অলিদ মিয়া এসআই রায়হানের সাথে কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান।উপায়ান্তর না দেখে ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা অলিদ মিয়ার হাতে তুলে দেন লস্কর আলীর ভাই শওকত মিয়া। ওই দিন (২৬ নভেম্বর)লস্কর আলী ও শাহীন মিয়াকে ১৫১ ধারায় কোর্টে চালান করে পুলিশ।ওইদিনই জামিন হয় তাদের।
    জামিন পাওয়ার পরদিন (২৭ নভেম্বর) ঘটনা উল্লেখ করে এসআই রায়হানের এমন কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী লস্কর আলী।অলিদ মিয়া জানান,’ লস্কর আলীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়ে কারো সাথে আমার কোনো কথা হয়নি।এরকম কিছুই আমি জানি না।
    এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার এসআই আবু রায়হান জানান, ‘আমি লস্কর আলী ও অপর একজনকে বেজুড়া থেকে থানায় এনেছি ঠিকই তবে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয়।
    ওসি রকিবুল ইসলাম খান জানান, এ রকম কিছু আমার জানা নেই তবে কেউ যদি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখবেন।
    ফোন রিসিভ না করায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

     

  • মাধবপুরে ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার।

    মাধবপুরে ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেফতার।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১শে নভেম্বর) ভোররাতে মাধবপুর থানাধীন কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ১হাজার পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার  করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের শিয়ালউড়ি গ্রামের তারন আলীর পুত্র আশরাফ আলী (৩৮) ও আমিন খান এর পুত্র মজিদ মিয়া (৩৪) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার মনিপুর গ্রামের আবু মিয়া’র পুত্র বাবুল মিয়া (২৮)। এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খাঁন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু প্রকৃয়াধীন।
  • মাধবপুরে দুই ডাকাত আটক।

    মাধবপুরে দুই ডাকাত আটক।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে মাধবপুর থানাধীন কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের চক রাজেন্দ্রপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের ফুল মিয়া’র পুত্র এনু মিয়া (৪৮) ও কসবা উপজেলার বিনাউটি গ্রামের হাবিল মিয়া’র পুত্র শাহীন মিয়া (৪২) কে আটক করে। এসময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে তাদের ১৪/১৫ জন সহযোগী পালিয়ে গেছে । এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি মো: রকিবুল ইসলাম খান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রকৃয়াধীন আছে। পলাতক ডাকাতদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা।

    প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    এক প্রবাসীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাধবপুর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে মামলাটি দায়ের করেছে ভিক্টিমের মা লিপি আক্তার৷ ভিক্টিম আহম্মদপুর গ্রামের আঞ্জব আলীর মেয়ে। তরুণীর বাবা ১২ থেকে ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাসে আছেন। সূত্রে জানায়, রোববার বিকেলে ৩ টায় মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের নিজ বাড়ির বসতঘরের বারান্দায় ভিকটিম ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে বসিয়ে রেখে তার মা বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে যান।
    এই সুযোগে পার্শ্ববর্তী বৈষ্টবপুর গ্রামের মরতুজ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী (৫০) এসে মেয়েটিকে টেনেহিঁচড়ে বসতঘরের একটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় মেয়ের মা গোসল শেষে ফিরে এসে মেয়েকে বারান্দায় না দেখে ডাকাডাকি করতে থাকেন।একপর্যায়ে বাথরুম থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়ে সেখানে ছুটে গেলে লিয়াকত দৌড়ে পালিয়ে গেছে। কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল কাদের জানান, ‘ওই মেয়েটি ঠিক মতো ঘুচিয়ে কথা বলতে পারে না।মাঝে মধ্যে একটুআধটু কথা বললেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। লিয়াকত প্রায় সময়ই আঞ্জব আলীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।মেয়েটি লিয়াকতকে দাদা ডাকতো।
    তিনি আরো জানান,‘আঞ্জব আলী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। ৪ মাস আগে তার বড় ছেলে রুবেল মিয়া (২২) কে মালয়েশিয়াতে নিয়ে গেছেন।অপর ছেলে রানা মিয়া (১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার পর থেকে লিয়াকত পলাতক। ভিকটিমের নানা আব্দুল হাশিমের সাথে কথা হয় মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসারের রুমে।তিনি জানান, ‘সরল মনে লিয়াকতকে আমরা বিশ্বাস করে ছিলাম।সে যে এমন দুঃশ্চরিত্র তা জানা ছিল না।
    এবিষয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
  • মাধবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।

    মাধবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর প্রতিনিধি
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ২৮তম জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২০-নভেম্বর) দিনব্যাপী মাধবপুর  পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আল মনির ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসায় হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, মাধবপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
    প্রতিযোগিতায় উপজেলার ২০টি মাদ্রাসার ১শত ৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে পাঁচটি গ্রুপে ৫০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি গ্রুপ থেকে সাতজন করে মোট ৩৫ জন শিক্ষার্থী আগামী ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ায় সুযোগ পেয়েছে।
    অনুষ্ঠানে হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন মাধবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হাফেজ মাওলানা কেফায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে,সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মোবারক উল্লাহর সার্বিক ব্যবস্হাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সংগঠনটির জেলা শাখার নেতা হাফেজ আঃ সাত্তার ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কারী নুরুল আমিন আজাদী, হাফেজ মাওলানা মনিরুল ইসলাম,হাফেজ কাউসার আহমেদ,সংগঠনটির উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি ওয়াজেদ আলী, হাফেজ মাওলানা মুর্শিদুর রহমান,হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান,হাফেজ মেরাজুল ইসলাম,হাফেজ উমর ফারুক, হাফেজ সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
  • মাধবপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,শনিবার ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই আবুল কাশেমের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে  উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার বড়জ্বালা বাজার থেকে  মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
    গ্রেফতারকৃত মোক্তার হোসেন উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের মৃত ছহল উদ্দীনের ছেলে।মোক্তার হোসেন দীর্ঘ দিন পলাতক ছিল। মামলা সূত্রে জানা যায়, সে মাধবপুর থানাধীন জি আর ১১৮/২১( মাধবপুর) মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী বিজ্ঞা আদালতে ১ বছরের কারাদণ্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড রায় হয়।
    এবিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রকিবুল ইসলাম খাঁন, জানান, গ্রেফতার কৃত আসামি মোক্তারকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মাধবপুরে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রসহ জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা।

    ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মাধবপুরে বীজ উৎপাদন কেন্দ্রসহ জমির ফসল ক্ষতির আশঙ্কা।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক শতাধিক হেক্টর আমন ধানের জমি। উপজেলার ইটাখোলা বিএডিসি‍‍`র বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে আমন ধান ও আলু চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
    গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ১৭ নভেম্বর শেষ রাত পর্যন্ত অব্যাহত ভারি বর্ষণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আমন ধান ও আলু চাষে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন চাষিরা।
    জানা গেছে ,ঘূর্ণিঝড় “মিধিলি”র কারণে মাধবপুর ইটাখোলা বিএডিসি সহ উপজেলার প্রায় ৬৫ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতির আশঙ্কা।
    বিএডিসি, ইটাখোলা-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২৭.৯৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান ও আলু চাষ করা হয় তার মধ্যে  ০৭ হেক্টর জমিতে আমন বীজ ফসলের ধান গাছ ও ০২ হেক্টর আলু চাষকৃত জমি বৃষ্টিপাতে পানিতে ডুবে যায়।
    উপজেলার মোক্তার হোসেন নামে এক কৃষকের সাথে কথা বললে জানান, তার প্রায় ১৫ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষয় ক্ষতি হয়।
    দিলীপ নামের অপর কৃষকের ২০ হেক্টর জমির ঝোড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি পানিতে আমন ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ব‍্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা।
    মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কিছু নিচু আমন ধানের জমি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তাছাড়া পানি নিষ্করনের ভালো ব্যবস্থা থাকলে আলু জমির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। মনে করছেন তিনি।