Tag: মাদ্রাসা

  • উল্লাপাড়ায় বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়ায় বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার(১৩ ফেব্রুয়ারী)সকাল ১০ টার সময় পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন যুবদল এর সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক মো. তাজমুল হাসান(দুলাল),যুগ্ন আহবায়ক মো.মানিক উদ্দিন, অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মো.মিজানুর রহমান সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. নায়েব আলী,নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মো. আজমল হোসেন সরকার, মো.আব্দুল হামিদ জাতীয় পতাকা উত্তলোন ও কবুতর উড়িয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

    এ সময় শরিরচর্চা শিক্ষক ইব্রাহিম খলিলের সার্বিক তত্বাবধানে সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসানের সহযোগিতায় ও সহকারী মাওলানা শিক্ষক মো. আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দশম শ্রেণির ছাত্র মো. আব্দুল্লাহ,ক্রীড়া শপথ বাক্য পাঠ করেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. সিয়াম ভূঁইয়া। স্কাউট লিডার দশম শ্রেণির ছাত্র মো. রিফাত এর নেতৃত্বে মাঠ মার্চের পরে মশাল দৌড়ের মধ্য দিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার খেলা শুরু হয়।

    বন্যাকান্দি আলিম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জাফর ইকবাল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম শামসুল হক,পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো.আব্দুল মালেক,সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. হায়দার আলী,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো.আব্দুস সালাম,বিএনপি নেতা মো. আবু সালেক,পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো.রাউফুল ইসলাম,যুগ্ন আহবায়ক মো. রেজাউল করিম,সেচ্চাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. রুবেল হোসেন,মো.মেরাজ আলী, বণিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ।

  • স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ৭ দফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।

    স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার ৭ দফা দাবীতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

    সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর ডিমলায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা শিক্ষকবৃন্দ প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন। ১৩ জানুয়ারী (রবিবার) সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা শিক্ষকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়ার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে সাত দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে স্বারকলিপি প্রদান করেন। তাদের দাবী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে জাতীয়করন ঘোষনা দিতে হবে। রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় রেজিষ্টার্ড স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দিতে হবে এবং বেতন-ভাতাদি দিতে হবে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপণের প্রাথমিক উদ্যোগ হিসাবে ভাড়া বাড়ী ও রুম ব্যবস্থাপনার শর্তে চালু করার অনুমতি দিতে হবে। প্রতিটি গ্রামে এবং শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সরকারী/বেসরকারী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্বীকৃত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে উবৃত্তি ফিডারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাসহ সকল মাদরাসা তদারকির জন্য মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত পৃথক ডিও, টিও এবং এটিও নিয়োগ দিতে হবে। ইবতেদায়ী মাদরাসাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় সমান সুযোগ সুবিধা প্রদানে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্ধ রাখতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জাফর, সাধারন সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম মানিক, উপজেলা উপদেষ্টা মো. লুৎফর রহমান সদস্য মো. জাকির হোসেন সহ বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখা শিক্ষকবৃন্দ।
    বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় সমন্বয় কমিটি ডিমলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জাফর বলেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকতার শুরু থেতে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক অবহেলায় শিকার হয়ে আজ মারাত্মক ভাবে বঞ্চিত, উপেক্ষিত এবং অবিভাবকহীন সারা দেশে বিশ হাজারেরও বেশি মাদরাসা চালু আছে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলোকে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। সাত দফা দাবী আদায়ের লক্ষে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রতি পতিত সরকারের বৈষম্যমুলক নীতি, সিদ্ধান্ত ও আচরনের দুরীকরন আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বরাববরে লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করি।

  • মাদরাসার সৌর বিদ্যুৎ থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

    মাদরাসার সৌর বিদ্যুৎ থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মাদরাসার সৌরশক্তি থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সুজানগর আইডিয়াল মাদরাসায় পল্লী বিদ্যুৎতের বড়লেখা জোনালে প্রথম নেট মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এই মিটারের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরকারি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সৌর থেকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
    মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে স্থাপিত সৌরবিদ্যুত থেকে দিনের বেলায় মাদরাসার প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে তা নেট মিটারের মাধ্যমে সরকারী লাইন জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হবে। মাদরাসা যখন বন্ধ থাকবে সেদিনের বিদ্যুৎ ও জাতীয় গ্রিডে চলে যাবে। আবার রাতের বেলা এবং দিনে যখন সূর্যের আলো থাকবেনা তখন জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের মাধ্যমে মাদরাসার সকল কার্যক্রম চলবে।
    সুজানগর আইডিয়াল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এই প্লান্টের মূল তত্ত্বাবধায়ক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সময় আমাদের মাদরাসা থেকে যে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যাবে সেই বিলের সাথে সমন্বয় করা হবে। আবার যদি দেখা যায় পুরো বছরে জাতীয় গ্রীড থেকে আমরা যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছি তার থেকে আমরা বেশী বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করেছি তাহলে সরকার আমাদেরকে বিদুতের মূল্য পরিশোধ করবে। এই ব্যাপারে আমরা চুক্তি করেছি সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে।
    তিনি আরও বলেন, এরকম একটি প্লান্ট আমার ভাগনা তৈরি করেছে। তার এটা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি এই কাজটি করি। প্রতিদিন ১৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ এখান থেকে উৎপাদন হবে। মাঝে মধ্যে কমবেশি হতে পারে। সূর্যের আলো থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আর এই বিদ্যুৎ পবিবেশ বান্ধব। কার্বন উৎপাদন কমায়। প্লান্ট তৈরিতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন ও মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এ.বি.এম মিজানুর রহমান আমাদের সহযোগিতা করেন।
    মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রামে সব সময় বিদ্যুৎতের সমস্যা থাকে। বিশেষ করে আবাসিক শিক্ষার্থীরা রাতে গরমের সময়ে প্রচণ্ড দূর্ভোগ পোহায়। তাদের এই দূর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমাদের কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের পরামর্শে আমরা কাজ শুরু করি।
    তিনি আরও বলেন, এই প্লান্ট রেডি করতে প্রথম পর্যায়ে আমরা ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্লান্টের কাজ সমাপ্ত করা হয়।
    মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বড়লেখা জোনাল অফিসের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সোহেল রানা চৌধুরী সাংবাদিক মোঃ জালাল উদ্দিনকে বলেন, সৌর থেকে গ্রাহক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ বিক্রি করবে। এটা করতে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যাতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎতের চাপ কম থাকে।
    তিনি আরও বলেন, যারা এইরকম করতে চায় আমরা তাদের একটি নেট মিটার দেই। তারা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রীডে অন্তর্ভুক্ত করলে আমরা তাদেরকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য টাকা দেব। আর যদি আমাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তাহলে সেই আলোকেই টাকা দিবেন। এটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আছে। বিশেষ করে বড় বড় ইন্ড্রাস্টিগুলোতে। তারা নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রীডে অন্তর্ভুক্ত করেন বিদুৎ।
  • প্রকাশ্যে ক্লাসরুমে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলা।

    প্রকাশ্যে ক্লাসরুমে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলা।

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় শ্রেণিকক্ষে ধূমপানের অপরাধে চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করায় মাদরাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ০২ অক্টোবর ২০২৪ ইং, দুপুরে বড়লেখা পৌর শহরের বড়লেখা মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
    মাদরাসা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শ্রেণিকক্ষে বসে মাদরাসার চার শিক্ষার্থীর ধূমপানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মাদরাসা পরিচালনা কমিটি চার ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী ছাত্রদলের কর্মী হওয়ায় ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম মাদরাসায় যান। একপর্যায়ে মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে মাদরাসায় ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
    হামলাকারী বহিরাগতরা হলেন- আরিফুল ইসলাম, শাহরিয়ার ফাহিম, আব্দুল কাদির পলাশ, সাকিব আফনান, সামিদ, আজাদ, জালাল প্রমুখ।
    মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আব্দুল কাদির বলেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য কিছু ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। সেই ঘটনায় কিছু লোক মাদরাসায় আসেন। তারা আসলে আমরা বলি অধ্যক্ষ জেলা শহরে গেছেন, তিনি আসলে বুঝা যাবে। এ ঘটনায় তারা মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কে কোন রাজনীতি করেন আমরা তো তাদের চিনি না।
    বড়লেখা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েছি এখানে ছাত্রশিবির অবস্থান করে ফরম কাটাচ্ছে এবং কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা এসেছিলাম। আসার পর তারা আমাদের ওপর হামলা চালালে আমরা পাল্টা হামলা করি।
    বড়লেখা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাজু আহমদ বলেন, ধূমপান করায় শিক্ষার্থীদের অভিযোগে ৪ জনকে বহিষ্কার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতরা ছাত্রদলের কর্মী হওয়ায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বিষয়টি নিয়ে মাদরাসায় এসে শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ছাত্র সংসদের ভিপি আব্দুর রহমান এবাদ এটার প্রতিবাদ করলে তার সাথেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তারা ভাংচুর চালায়। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধে ছাত্রদলের নেতারা পালিয়ে যায়। এখানে ছাত্রশিবিরের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
    বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদ বলেন, একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতরা মাদরাসায় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। ঘটনাটি শুনে আমরা মাদরাসায় যাই। সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ছিল। বিএনপি নেতারা বলেছেন তারা বিষয়টির উপযুক্ত সমাধান করে দেবেন। এরপর আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করি। তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যাদের বহিষ্কার করেছে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ঘটনায় ইন্ধনদাতা ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল কাদির পলাশ।
    দক্ষিণবাগ (উত্তর) ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, আমরা ঘটনা শুনে সেখানে যাই। সেখানে ছাত্রদল আর ছাত্রশিবিরের ছেলেরা ছিল। সেখানে গিয়ে শুনেছি ধূমপানের বিষয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রদল আর শিবিরের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। পরে দুই পক্ষ অবস্থান নিলে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করি। সেখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ছিল। ফয়ছল ভাই আর আমি মিলে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেই।
    তিনি বলেন, আগামীকাল আমরা বসে দুই পক্ষের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে সেটা সমাধান করে দেব। সেখানে অধ্যক্ষ ও প্রশাসন থাকবে।
    বড়লেখা মুহাম্মদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আলিম উদ্দিন বলেন, যে ছাত্রগুলোকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা আগে থেকেই সমস্যা তৈরি করে আসছিল। তারা ক্লাসে বসে ধূমপান, ছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেছিল। এজন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়। আজ আমি ডিসি অফিসে ছিলাম। পরে শুনেছি ওই শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে বহিরাগতরা মাদরাসায় একটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ তৈরি করে। দুই পক্ষের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
    এবিষয়ে বড়লেখা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল কাইয়ুম বলেন, খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফোর্স পাঠাই। সেনা সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি সবার উপস্থিতিতে বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ফয়ছল আহমদ ও বিএনপি নেতা আব্দুল জব্বার সামাধান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় বহিরাগতদের পক্ষে ছিলেন আব্দুল কাদির পলাশ। বর্তমানে এখানে কোনো ঝামেলা নেই। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান তিনি।
  • রামপালের খেজুরমহল টি আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষককে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন।

    রামপালের খেজুরমহল টি আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষককে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের রামপালে খেজুরমহল টি.আর আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক ইয়াহিয়া’র পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের কুমলাই ছাত্র সমাজ ও সাধারণ জনগণের আয়োজনে মাদ্রাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাষক ইয়াহিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাগার মোড়ে সাধারণ ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন। সেখান থেকে ফিরে জনৈক কাজী রোকনকে দিয়ে যেসব ছাত্ররা আন্দোলনে গিয়েছিল তাদের নামের তালিকা তৈরি করে। বিগত দিনে  রাসুল (সাঃ) এর কটূক্তিকারী নাস্তিক মহেশ্বরের পক্ষ নিয়ে গোটা মুসলমান জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আমতলা মাঠে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল বন্ধ করে দেয়। তার মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ আমির হামজা ছাত্র শিবির করার কারণে তাকে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া আরেক ছাত্র ফকির আয়াজকে ছাত্র লীগের নেতাদের সামনে এনে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া তিনি পবনতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকা গাবতলা বাইতুন নূর জামে মসজিদের নামে ভূয়া রেজুলেশন ও বিল ভাউচার করে টাকা আত্মসাত করে। গাবতলা মসজিদে ১৫ বছরের অধিক পুরানো কমিটি না ঠিক রেখে ক্ষমতায় অপব্যবহার করে। এছাড়াও তিনি প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন মুসল্লীকে মসজিদে আশা থেকে বিরত রাখে।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা তরফদার জিল্লুর রহমান, সরদার বাকী বিল্লাহ, সরদার মারুফ, খান লুৎফর রহমান, ছাত্রদল নেতা শেখ হাফিজ, মোঃ মেহেদী হাসান, খান তানভীর,  মোঃ সোহেল, মোঃ জুয়েল।
    এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ইয়াহিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।  আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। কিছু লোক ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার বিরুদ্ধ অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইন অনুযায়ী আমি যদি কোন অপরাধ করে থাকি তাহলে আইন আমাকে যে শান্তি দেয় তা মেনে নিবো। এছাড়া আমি এ সকল মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাই।
  • রমজানে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ-রায় কাল।

    রমজানে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ-রায় কাল।

    ডেস্ক নিউজঃ রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য আগামীকাল ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    এর আগে রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

    সোমবার (১১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

    এরও আগে রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে পুরো রমজান মাসে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

    এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

  • তাড়াশে ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা।

    তাড়াশে ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা।

    ডেস্ক রিপোর্টঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ঘুষ নিয়ে চাকরি না দেওয়ায় গোন্তা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টি আর মোঃ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। তিনি উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেনের মেয়ে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ তাড়াশ সহকারী জজ আদালতের পেশকার মোঃ মুনতাসীর মামুন।তিনি জানান বাদীর মামলা আদালত আমলে নিয়েছেন এবং ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন সিআইডি কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন মহামান্য আদালত।

    মামলা সূত্রে জানা যায়,গোন্তা আলিম মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ,অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিরাপত্তা কর্মী ও আয়াসহ মোট ৪টি পদের জন্য গেল বছর ২৭ জুন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যথানিয়মে আয়া পদে চাকুরির জন্য আবেদন করেন ফাতেমা। তৎকালীন তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্বাছ-উজ-জামানের উপস্থিতিতে চাকরি দেওয়ার শর্তে মাদরাসার উন্নয়ন তহবিলের নামে তার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেমা খাতুন জানান, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ২০২০ সালে অধ্যক্ষ টি আর মোঃ আব্দুল মান্নান আমার কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছেন।তিনি টাকা নিয়েছেন এমন ভিডিও আমার কাছে সংরক্ষিত আছে।

    গোন্তা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ টি আর মোঃ আব্দুল মান্নান টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,নিয়োগ বোর্ড ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির নির্দেশে ওই ৪ টি পদের নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে।

  • নাগরপুরে জাতীয় স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার ৫২ তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

    নাগরপুরে জাতীয় স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার ৫২ তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

    আব্দুল্লাহ খিজির, স্টাফ রিপোর্টার : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৫২ তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২১ জানুয়ারি) যদুনাথ ময়দানে (হাসপাতাল মাঠ) দিনব্যাপী এই ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান।
    এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছামিনা বেগম শিপ্রা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহীনুর ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি মো. ফজলুর রহমান, সরকারি যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজ প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শফিকুল ইসলাম সবুজ, গয়হাটা উদয় তারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়াল মিলন, ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সোহেল রানা সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় শিক্ষক বৃন্দ ও অন্যান্য সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
  • মাধবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।

    মাধবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর প্রতিনিধি
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে ২৮তম জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২০-নভেম্বর) দিনব্যাপী মাধবপুর  পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আল মনির ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসায় হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, মাধবপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
    প্রতিযোগিতায় উপজেলার ২০টি মাদ্রাসার ১শত ৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পরে পাঁচটি গ্রুপে ৫০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি গ্রুপ থেকে সাতজন করে মোট ৩৫ জন শিক্ষার্থী আগামী ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ায় সুযোগ পেয়েছে।
    অনুষ্ঠানে হুফ্ফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশন মাধবপুর উপজেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হাফেজ মাওলানা কেফায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে,সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মোবারক উল্লাহর সার্বিক ব্যবস্হাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সংগঠনটির জেলা শাখার নেতা হাফেজ আঃ সাত্তার ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন,মাধবপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কারী নুরুল আমিন আজাদী, হাফেজ মাওলানা মনিরুল ইসলাম,হাফেজ কাউসার আহমেদ,সংগঠনটির উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি ওয়াজেদ আলী, হাফেজ মাওলানা মুর্শিদুর রহমান,হাফেজ মুস্তাফিজুর রহমান,হাফেজ মেরাজুল ইসলাম,হাফেজ উমর ফারুক, হাফেজ সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
  • মাধবপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু।

    মাধবপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু।

    হবিগঞ্জের মাধবপুরে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তানভীর(৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
    শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মাধবপুর উপজেলার খড়কি কাশেমুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসার পুকুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
    মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিনের ন্যয় আজও মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীদের বেলা সাড়ে ১০টার সময় গোসলের ছুটি দেওয়া হয়। সবার সঙ্গে তানভীরও গোসল করতে পুকুরে যায়। গোসলরত সকলের অগোচরে তানভীর পানিতে ডুবে মারা যায়। নিহত তানভীর এক মাস আগে শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে।সে রহিম মিয়ার ছেলে।
    গোসল শেষে অধিকাংশ ছাত্র নিজের কিংবা লজিং বাড়ীতে খাবারের জন্য চলে যায়। কিন্ত তানভীর যে পানিতে ডুবে আছে কেউই জানতো না। পরে ওই মাদ্রাসার পরে শিক্ষকগন গোসলে নামলে ডুবন্ত তানভীরের দেহ এক শিক্ষকের পায়ে লাগে। পানির নিচ থেকে ওঠিয়ে আনা হয়। নিহত তানভীর এর মা শারমীন জানান, তার ছেলে সাতার জানতো না। এক মাস আগে চুয়াডাঙ্গা থেকে এনে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছে।
    মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক মৃত্যুের খবর শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।