Tag: মহাসড়ক

  • টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কে সেফটি ট্যাংক নির্মান।

    টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কে সেফটি ট্যাংক নির্মান।

    আব্দুল্লাহ খিজির,স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়কের মধ্যে সেফটি ট্যাংক নির্মান করেছে রজব সিকদার।

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ফায়ারসার্ভিস অফিস সংলগ্ন উত্তর পাশে আর বি টাওয়ারের মালিক মো. রজব সিকদার তার ভবনের পশ্চিম পাশে প্রধান সড়কে সুগভীর ও বিশাল আকারের সেপটি ট্যাংক নির্মান করেছে।

    সরেজমিনে দেখা যায়, ভবন থেকে আঞ্চলিক মহাসড়কের গাড়ারিং (ইটের গাঁথুনি) পর্যন্ত বিশাল সেপটি ট্যাংক নির্মান করেছে। যা সড়ক লেভেল থেকে বেশ উঁচু। উল্লেখ্য এই স্থানটি দূর্ঘটনা প্রবন এবং প্রতিবছর সড়ক দূর্ঘটনায় এখানে প্রাণহীনর ঘটনা ঘটে।

    ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি উপজেলার ঘিওরকোল গ্রামের অংশে। রাতের আঁধারে রজব নির্মান করেন, এই গভীর সেপটি ট্যাংক। স্থানীয় লোকজন ও উপজেলা প্রশাসন একাধিক বার নিষেধ করার পরেও প্রশাসন কে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে, কর্ণপাত না করে কাজটি সম্পূর্ণ করেন তিনি।

    এলাকাবাসীর চাপা গুঞ্জনে শোনা যায়, দালালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকায় সবাইকে হাত করেছেন তিনি।

    এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের (সওজ)  নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, এই সড়কটি প্রস্থ করনের কাজ চলমান রয়েছে।

    বিষয়টি জানতে পেরে শুরুতেই আমরা মো. রজব সিকদার কে মৌখিক ও লিখিত ভাবে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করি। তিনি আমাদের কথার তোয়াক্কা না করে এমনটি করেছে। আমরা অতিদ্রুত মহাসড়কে সেফটি ট্যাংক নির্মানকারীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

  • বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ।

    বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ।

    কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:

    গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রায় ২ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে কারখানার শ্রমিকরা।বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হার্ডী কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ করেন। এতে মহাসড়কের ২ পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে লাঠিচার্জ করে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হার্ডী কারখানার শ্রমিকরা গত ২ মাসের বকেয়া বেতনের জন্য চন্দ্রা এলাকায় সকাল সাড়ে ১০:৩০ টায় মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এতে উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত চন্দ্রায়, চন্দ্রা-নবীনগর, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হওয়ায় দু্র্ভোগে পড়েন এই মহাসড়কে চলাচলকারী সকল যাত্রীরা।পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুপুর সাড়ে ১২ টায় শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় যাএীরা সাধারনভাবে চলাচল শুরু করে।

  • মাধবপুরে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা পার্কিং নিষেধ- ইউএনও 

    মাধবপুরে মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা পার্কিং নিষেধ- ইউএনও 

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে  উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান, পৌরসভার মেয়র মো: হাবিবুর রহমান মানিক,সহকারী কমিশনার ভূমি মো: রাহাত বিন কুতুব,মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রাকিবুল ইসলাম খান, উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন,সড়ক ও জনপথের সহ প্রকৌশলী মো:সাইফুল ইসলাম,চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল,মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: এরশাদ আলী,সাংবাদিক সাব্বির হাসান,মালিক ও শ্রমিক সংগঠনে প্রতিনিধি গোলাপ খান,শামীম আহমেদ,আলম খান প্রমূখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,মহাসড়কে কোন সিএনজি অটোরিকশা ল পার্কিং করে থাকতে পারবে না।
    মাধবপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া লাইনের কোন বাস অযথা দাড়িয়ে থাকতে বা পার্কিং করে থাকতে পারবে না। পিডিএল কোম্পানির গাড়ি বা ট্রাক্টর যত্রতত্র রাখা যাবে না। ট্রাফিক পুলিশের চেকিং পয়েন্ট সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে দিতে হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যানযট নিরসনে ঐ জায়গা ব্যবহার করা হবে।
  • মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে-পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।

    মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে-পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জের মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রকাশ্যে সিএনজি চালকরা মহাসড়কে অবাধে চালিত যাচ্ছে সিএনজি অটোরিকশা। রেজিস্ট্রেশন বিহীন এসব সিএনজির সামনে পেছনে প্রেস, মিডিয়া এবং সাংবাদিক লিখে মহাসড়কে চলাচল করছে। একটি সংঘবদ্ধ সাংবাদিক চক্র মাসিক হফতার বিনিময়ে মহাসড়কে অবৈধ সিএনজি চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে অনেকদিন ধরে।
    মহামান্য হাইকোর্ট ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার একটি অংশে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিএনজি। মহাসড়কে দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ তিনচাকার অবৈধ যানবাহনকে দায়ি করে থাকেন দুর পাল্লা পরিবহনের চালকেরা। ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত অবৈধ সিএনজি নিয়ে অনেকবার নিউজ হলেও অবৈধ সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়নি। মাধবপুরে এই অবৈধ সিএনজি নিয়ন্ত্রন করেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। তারা সিএনজি চালকদের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে এসব সিএনজি চলাচলে সুযোগ করে দেয়। স্টিকারে সাংবাদিক নাম, মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি দাপিয়ে বেড়ায় মহাসড়কে।
    সিএনজি চালকদের সাথে তারা মাসিক চুক্তি করেছেন। স্থানীয় থানা ও হাইওয়ে থানা ম্যানেজ করে মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে কাজ করছে এসব সাংবাদিক। স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন আর সাংবাদিকদের যুগ সাজসে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে চলছে অবৈধ সিএনজি অটো রিকশা। রক্ষকই যখন ভক্ষক সেখানে ব্যবস্থা নিবে কে? মাঝেমধ্যে হাইওয়ে থানা পুলিশ অভিযান চালালেও এসব মিডিয়া পরিবহনসহ সাংবাদিকের নামে থাকা সিএনজি থাকে ধরাছোয়ার বাইরে।
    বৃহস্পতিবার (০৭ডিসেম্বর ) মাধবপুরে মিডিয়া পরিবহনসহ এক সাংবাদিকের নামের স্টিকার দেখা যায় সিএনজির পিছনে। চালক জানান, হাইওয়ে পুলিশের কাছ থেকে বাচঁতেই এই স্টিকার লাগানো। বিনিময়ে নাম ব্যবহার করায় ওই সাংবাদিককে মাসে ২ থেকে ৩ হাজার করে টাকা দিতে হয়। ১৫/২০টি সিএনজি এসব স্টিকারে চলাচল করছে বলে জানান ওই চালক। এছাড়া রয়েছে সাংবাদিকের নামে চাবির রিং। এসব চাবির রিং বানিয়ে চালকদের হাতে ধরিয়ে দেয় সাংবাদিক। চাবির রিং হাইওয়ে পুলিশ কিংবা স্থানীয় পুলিশ দেখলে সিএনজি আর ধরে না।
    অন্যএক সিএনজিতে সাংবাদিকের নাম আর মোবাইল নাম্বার দেখে মনে হলো হয়তো নিজের পরিচিতির জন্য স্টিকার লাগিয়েছেন। চালক জানালেন না, পরিচিতির জন্য নয়। তার নামে মহাসড়কে সিএনজি চলে ৫টি। তার নাম দেখলে হাইওয়ে পুলিশ আটকাবে না। সব ম্যানেজ করা আছে।
    এসব সাংবাদিকরা ছোট ভাই, বড় ভাই, মামাতো ভাই, খালাতো ভাই বলে স্থানীয় পুলিশ, প্রশাসন ও টহলরত হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে তাদের মিডিয়ার নাম, নিজের নাম, পত্রিকার নামে স্টিকার বানিয়ে সিএনজিতে লাগিয়ে দেন। বিনিময়ে প্রতিমাসে ২ থেকে ৩হাজার টাকা মাসোয়ারা নিয়ে থাকে।
    শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল কবির জানান, সিএনজি মহাসড়কে চলাচল এমনিতেই নিষিদ্ধ। সাংবাদিক স্টিকার সিএনজিতে কেন লাগানো থাকবে। বিষয়টি আমি দেখে দু একদিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেবো।
  • মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বালু ব্যবসায়ীদের দখলে।

    মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বালু ব্যবসায়ীদের দখলে।

    মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বালু ব্যবসায়ীদের দখলে।



    হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার স্টেডিয়াম এর বিপরীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এলাকার বিভিন্ন অংশ বালু ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। ফলে মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। সাথে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
    জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন অংশে অন্তত ৪/৫টি স্থানে বালির স্তূপ রেখে ব্যবসা করে আসছে একদল বালু ব্যবসায়ীরা।
    সরেজমিনে দেখা যায়, মাধবপুর পৌরসভার স্টেডিয়ামের বিপরীতেসহ উপজেলার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কে বালি রেখে বিক্রি করছে। এখানে ট্রাক মহাসড়কের পাশে দাড় করিয়ে বালি লোড-আনলোড করা হয়। ফলে অনেক সময় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
    স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোঃ এরশাদ আলী জানান, মহাসড়কের ওপর পড়ে থাকা বালুর যানবাহনের আগ্রাসনের কারণে বিশেষ করে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে মোটরসাইকেল ও সাইকেল চালকরা। বালির মধ্যে চালাতে গিয়ে তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
    বাস সমিতি নেতা হাফেজ শামীম বলেন, ‘মহাসড়কের অর্ধেক দখল করে রেখেছে বালু ব্যবসায়ীরা। ফলে গাড়ি চালাতে আমাদের বাস  ড্রাইভার অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আবার অনেক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
    এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি একটি জরুরি মিটিংয়ে আছি, তবে বিষয়টি আমি দেখবো।
  • মাধবপুরে মহাসড়কে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৭।

    মাধবপুরে মহাসড়কে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৭।

    হবিগঞ্জ জেলায় মাধবপুর পৌরসভার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সুশান সিএনজি পাম্পের পাশে ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসযাত্রী ময়মনসিংহের মো. সাগর শিকদার সূত্রে জানা যায়,টাংগাইল  থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী শাহপরান পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৯৫১৭) একটি বাস রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সুশান সিএনজি পাম্পের কাছে রাস্তার পশ্চিম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের (ঝিনাইদহ ট-১১-১০৮৪) পিছনে বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে ধাক্কা দেয়।এতে বাসটি ট্রাকের পিছনে ডুকে গিয়ে দুমড়েমুচড়ে ৭ জন গুরুতর আহত হয়।
    আহতরা হলেন,টাঙ্গাইল ঘাটাইলের মো. রাসেল (১৮), আফরোজা (১৪),মাহবুবুর রহমান (২৩), আতাউর রহমান(২৫), টাঙ্গাইল মধুপুরের এলজয়েড সোম (২১), ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের আরিফুল ইসলাম (৪০) এবং সিলেট সুনামগঞ্জের মো. রহিম(২৫)।
    খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মো: মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে মাধবপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগীয় হাসপাতালে রেফার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন। দুর্ঘটনায় ঢাকা-সিলেট মহসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
    মাধবপুর থানার ওসি তদন্ত গোলাম কিবরিয়া ও এসআই মো. হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন ও মহাসড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন। দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাকের চালক পালিয়েছে।
    এ দিকে মাধবপুর পৌর মেয়র মো. হাবিবুর রহমান মানিক ও থানা পুলিশ অপেক্ষমাণ অন্যান্য যাত্রীদের নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে অন্য যাত্রীবাহী বাসে উঠিয়ে দেন। মাধবপুর থানার এসআই মো. হুমায়ুন কবির জানান,গাড়ি দুটিকে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ জব্দ করেছে এবং আইনিভাবে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
  • পরিবহণ সংকটে পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে মহাসড়কে।

    পরিবহণ সংকটে পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে মহাসড়কে।

    স্মৃতি রানি, স্টাফ রিপোর্টার, সাভার ঢাকাঃপরিবহণ সংকটে আটকে পড়ায় সাভার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানী সরকারি সাত কলেজের স্নাতক শ্রেণির ভর্তির পরীক্ষার্থীরা।

    (৫ নভেম্বর)শুক্রবার সকালে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভার বাসস্ট্যান্ডে প্রবেশপত্র হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে এই বিক্ষোভ।

    সেইসময় যোগ দান করেন রাষ্ট্রিয়ত্ত সাত ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কারীরাও। এসময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ যাত্রীরা।

    জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহণ শ্রমিক মালিকদের ডাকা ধর্মঘটে কলেজে ভর্তির এবং নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা সকাল থেকেই বিপাকে পড়েন। এতে মহাসড়কে ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে যানবাহন।

    ভর্তির পরীক্ষার্থীরা জানান ভোর বেলায় ভর্তি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মহাসড়কে এসে কোনো গাড়ি পাননি তারা। তাদের মতো অনেকেই মহাসড়কে যানবাহনের অপেক্ষায়। এক পর্যায়ে দীর্ঘ সময় অবস্থানের পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে তারা নিজেরাই মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন।

    যানবাহন সংকটের পাশাপাশি অবরোধের কবলে আটকে পড়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে ছোট ভাইকে নিয়ে যারা মারাত্মক ভোগান্তির কবলে পড়েন রফসান আহমেদ নামের একজন ব্যবসায়ী।
    এ সময় তিনি বলেন অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তেমনি পরিবহণ শ্রমিক মালিকরাও পরিবহণ যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে ধর্মঘট ডেকে বসেছেন।

    এক পরিবহন মালিক জানান, করোনার ধাক্কায় গত দুই বছরে তাঁরা নাজুক অবস্থায় পড়েছেন। একটি বাস থেকে প্রতিদিন গড়ে আয় হয় ২২০০ টাকা। তেলের দাম বাড়ার কারণে তা কমে এখন দাঁড়াবে ১৪০০ টাকায়। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সাথে সাথে সরকার ভাড়া বিন্যাস করলে এমন সংকট তৈরি হতো না।’ এ জন্য সরকারকেই দায়ী করেন তিনি।

    সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাভারে মালিক-শ্রমিকদের পরিবহন বন্ধের ডাকে আটকে পড়ার প্রতিবাদে ভর্তির শিক্ষার্থী ছাড়াও সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা আটকে পড়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। পরে তাদের বিভিন্ন বাসে তুলে দিয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

  • কানাইঘাটে বাইপাস সড়কের জায়গা পরিদর্শনে এমপি মজুমদার।

    কানাইঘাটে বাইপাস সড়কের জায়গা পরিদর্শনে এমপি মজুমদার।

    কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পৌরসভার নন্দিরাই হতে বিষ্ণুপুর করচটি পর্যন্ত বাইপাস সড়কের জায়গা পরিদর্শন করেছেন সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমদ মুজুমদার এমপি।

    শুক্রবার (০১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় বিষ্ণুপুর করিচটি শহীদ সমাধিস্থল এলাকায় গিয়ে বাইপাস সড়কের জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি।

    পরিদর্শন শেষে হাফিজ আহমদ মজুমদার বলনে, পৌর শহরের যানজট নিরসনে নন্দিরাই হতে বিষ্ণুপুর করচটি পর্যন্ত বাইপাস সড়ক দ্রুত কাবিটা প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ করে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

    এর আগে বিকেল ৪টায় হাফিজ আহমদ মজুমদার কানাইঘাট দারুল-উলূম মাদ্রাসায় প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন আল্লামা মুশাহিদ বায়মপুরী (রঃ) এর কবর জিয়ারত করেন। এছাড়া কানাইঘাট ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজে এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ শেষে দূর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজ পরিদর্শন করেন।

    এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন,কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান লুকমান আহমদ চৌধুরী,কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি,কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম,সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ,কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনমুন নাহার আশা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামীম,ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, আলী হোসেন কাজল,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম হারুন, সদস্য ইকবাল হোসেন,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম.আখতার হোসেন সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • মাধবপুরে মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান হাইওয়ে পুলিশ।

    মাধবপুরে মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান হাইওয়ে পুলিশ।

    মাধবপুরে মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান হাইওয়ে পুলিশ

    নাহিদ মিয়া,মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে মহাসড়কের অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলো শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ।

    শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মাজার গেইট এলাকায় ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের উপর নির্মিত অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুলি উচ্ছেদ করা হয়।

    শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মহাসড়কের উপরে কোন অবৈধ স্থাপনা রাখা যাবেনা। পর্যায়ক্রমে মহাসড়কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।