Tag: মরদেহ
-
ঠাকুরগাঁওয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার।
(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ে গোরস্থান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর ভূল্লী বাঁধ গোরস্থান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন।ওসি মো. দুলাল উদ্দীন জানান, দুপুরে ওই গোরস্থানে স্থানীয় কিছু লোক বাঁশ কাটা সময় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সিআইডি টিম যায়। তারা সেখানে কাজ করছেন।তিনি আরও জানান, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির ধর থেকে মাথা আলাদা, ধর থেকে পা আলাদা পাওয়া গেছে। মাথাটি প্রায় কঙ্কাল হয়ে গেছে ও দেহে মাংস নেই বললেই চলে। ধারণা করা হচ্ছে এটি প্রায় ৭-৮ মাস আগের মরদেহ হবে। তবে এটি কবর থেকে শেয়াল বা অন্য কোনো পশু তুলেছে কিনা বা এটি কোনো হত্যাকাণ্ড কিনা তা এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তার নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এবিষয়ে আমার তদন্ত করছি।লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। -
কানাইঘাটে পূর্বশক্রতার জেরে হত্যা সুরমা নদীর চরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার।
কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কানাইঘাটে আবারো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সালিক আহমদ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে লাশ সুরমা নদীর বালুচরে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সাতবাঁক ইউনিয়নের লোভারমুখ বাজার থেকে নদী পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে হত্যাকান্ডের স্বীকার হন উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পুর্ব ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষীপুর (মনিপুর) গ্রামের মৃত আজিজুর রহমান ছেলে সালিক আহমদ। থানায় লাশ নিয়ে আসার সালিকের স্ত্রী ও ৭ ছেলে-মেয়েদের বার বার কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে। তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে খুনীদের ফাঁসির দাবী করেছেন।
নিহতের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার রাতে লোভারমুখ বাজার থেকে কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরছিলেন সালিক আহমদ। স্থানীয় চরিপাড়া গ্রামের ফয়জুর রহমানের নৌকা দিয়ে সুরমা নদী পার হয়ে বাড়িতে ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ৮/৯ জন দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সালিক আহমদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে লাশ নদীর বালুচরে ফেলে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের হামলায় নৌকার মালিক ফয়জুর রহমান গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে এ নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিহতের বড় ভাই আব্দুল খালিক সহ স্বজনরা জানান, অনুমান ২ মাস পূর্বে নিহত সালিকের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে মাঠে গরু চরানো নিয়ে একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সায়েল আহমদের সাথে মারামারি হলে সায়েলের পরিবারের লোকজন জাহাঙ্গীরকে মারপিট করে। এতে তার পিতা সালিক আহমদ কানাইঘাট থানায় সায়েল আহমদ ও তার পিতা ইসলাম উদ্দিন সহ কয়েকজনকে আসামী করে অভিযোগ দেন।এ নিয়ে গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজনদের নিয়ে সালিশ বিচার বসলে সালিশেও ইসলাম উদ্দিন গংরা সালিক আহমদের হামলার চেষ্টা করে। হামলার ঘটনায় আবারো থানায় সালিক আহমদ অভিযোগ দেন। কেন থানায় অভিযোগ দেয়া হলো এ নিয়ে ইসলাম উদ্দিন সহ তার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের কতিপয় মাতব্বররা সালিক আহমদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সমাজচ্যুত ও গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেন। বিষয়টি সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য সালিক আহমদ পাশর্^বর্তী সাতবাঁক ইউপির চরিপাড়া গ্রামের মুরব্বীয়ানদের স্মরনাপন্ন হলে তার প্রতিপক্ষ লোকজন আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এ ঘটনার জের ধরে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির ইন্ধনে ও মদদে ইসলাম উদ্দিন, তার ভাই আশিক উদ্দিন গংরা সালিক আহমদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত সালিক আহমদের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শুনেছি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে খুন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।
-
উল্লাপাড়ায় হাত-পা বাধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার।
উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হাত-পা বাঁধা মনিরুল ইসলাম(১৯) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছেন সলঙ্গা থানা পুলিশের সদস্যরা।
নিহত মনিরুল ইসলাম তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ফুলজার হোসেনের ছেলে।
উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দবিরগঞ্জ গ্রামের মামা মোন্নাফের রান্না ঘরে এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় মনিরুল ইসলাম ছোট থেকে তার নানা বাড়িতে বসবাস করে।ছোট মামি শিল্পী খাতুন ও তার ভাসুর জানান মোন্নাফের বাড়ির রান্না ঘরে বাঁশের আড়ার সাথে মনিরুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করে উঠি।আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং নিহত মনিরুলের মরদেহ রান্না ঘরে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
সলঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজিৎ কুমার নন্দী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। হত্যা বা আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। আপাতত থানায় একটি ইউডি মামলা রজু করা হয়েছে।
-
রামপালে চারদিন ধরে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার।
রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপালে গত চারদিন ধরে নিখোঁজ হওয়া শিশু মোঃ আবু তাহলা (৪) শিশুর মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে দাউদখালী নদীর সগুনা দক্ষিণ পাড়া এলাকায় মোঃ আজিজ শেখের জাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশু আবু তালহা উপজেলার পার গোবিন্দপুর এলাকার মোঃ তারেক শেখ ও সাদিয়া বেগম দম্পতির সন্তান।
শিশুটি গত চারদিন আগে তার বাড়ি থেকে ফয়লা বাজারে আসতে গিয়ে পথিমধ্যে হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তার সন্ধান পায়না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শিশুটি হারিয়ে গিয়েছে বলে একাধিক পোস্ট করা হয়। পরবর্তীতে শিশুর বাবা রামপাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার ১২টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে মাছ ধরার জাল দেখা যায় একটি বাচ্চার মরদেহ। পরবর্তীতে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নিখোঁজ হওয়া তালহার পরিবারকে জানায়, তারা এসে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি তালহার বলে শনাক্ত করে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা জানান, বাইনতলা ইউনিয়নের দাউদখালী নদী থেকে নিখোঁজ হওয়া শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
-
কালিয়াকৈরে অজ্ঞাত যুবকের মরাদেহ উদ্ধার।
কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
কালিয়াকৈরে অজ্ঞাত যুবকের মরাদেহ উদ্ধার ৭নং ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের পড়নে সাদা কালো টি-শার্ট ও খয়েরি রঙের লুঙ্গি ছিল।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মন্ডলপাড়া এলাকার গজারীবনের ভেতর এক যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।খবর পেয়ে পুলিশ নিহত অজ্ঞাত যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতনামা ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
-
মাধবপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইরা বানু (৫৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বৈষ্ণবপুর গ্রাম থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে মাধবপুর থানা পুলিশ।ইরা বানু উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আয়লাবই গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী। নিহতের ছেলে আবু বক্কর জানান, বুধবার সন্ধ্যায় আমার মা পাশের গ্রাম বৈষ্ণবপুরে আমাদের নানা বাড়িতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়।পরদিন সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি নানার বাড়ির পাশের আদিল শাহ মাজারের কাছে একটি জমিতে মায়ের মৃতদেহ পড়ে আছে।মাধবপুর থানার কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহেল রানা জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। প্রাথমিকভাবে লাশের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। -
শ্রীমঙ্গলে নারী সহ দুই ব্যাক্তির মরদেহ উদ্বার।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা অধীনে কালিঘাট চা বাগান ও ডলুছড়া পাহাড়ি এলাকায় পৃথক দু’স্থান থেকে অজ্ঞাতনামা নারীসহ দুজনের মৃতদেহ উদ্বার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কালিঘাট চা বাগান এবং দুপুরে ডলুছড়া থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সকালে উপজেলার কালিঘাট চা বাগান থেকে আবুল খায়ের (৩০) নামে একজনের মরদেহ উদ্বার করে পুলিশ। তার গলায় ধারোলো ছুরির দাগ রয়েছে।নিহত আবুল খায়ের উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকার আনসার আলীর ছেলে। সে পেশায় টমটম চালক।
অপরদিকে, দুপুরে উপজেলার ডলুছড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ৩৫ বছর বয়সের এক নারীর মরদের উদ্বার করেছে পুলিশ। তার পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি।শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান,সকালে কালিঘাট চা বাগান থেকে আবুল খায়ের (৩০) নামে একজনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে এবং তার গলায় ধারোলো ছুরির দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কোনো বিরোধ থেকে তাকে হত্যা করা হয়েছে,এবং দুই মরদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। -
রাণীশংকৈল কুলিক নদীতে বস্ত্রহীন নারীর মরদেহ উদ্ধার।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে নদী থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় রেজিয়া (৬০) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য; চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বাচোঁর ইউনিয়নের কুলিক নদীর বাকশা সুন্দরপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রেজিয়া একই উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই সাতঘরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, সকালে স্থানীয়রা কুলিক নদীতে ওই মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। বস্ত্রহীন থাকায় মরদেহ নিয়ে নানাবিধ রহস্যও দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাকে মেরে ফেলে দিয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে। এমন ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। আর আত্মহত্যা করলেও শরীরে কাপড় পরিধানের কথা। কিন্তু কোনো কাপড় ছিল না। এখানে খুব বড় কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে।
নিহত রেজিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম জানায়, তার মা দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বাড়ি হতে রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মা বাড়িতে না ফেরাই তাকে আমরা অনেক জায়গায় খোজাখুজি করেছি কিন্তু পাইনি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কুলিক নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মায়ের মরদেহ স্থানীয় এক কৃষক নদীর পাড়ে ধান কাটতে গিয়ে দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে নদী থেকে মরদেহ টি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, পারিবারিক কোন অভিযোগ না থাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বরাবর লাশ দাফনের অনুমতির জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছে।অনুমতি পেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে
এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে পুলিশ ওই নারীর বস্ত্রহীনতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
-
রাজধানীর রংধনু আবাসিক হোটেল থেকে সামিয়া রহমান সৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার।
ডেস্ক নিউজঃ
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানের রহমানের মেয়ে মোছাঃ সামিয়া রহমান সৃষ্টির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ক্যামব্রিয়ান স্কুল সংলগ্ন রংধনু আবাসিক হোটেলের ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ সাব্বির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যার পর হোটেল কতৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২১০ নম্বর কক্ষ থেকে সামিয়া রহমান সৃষ্টি নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জানালার গ্রিলের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন তিনি। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃত সামিয়া রহমান উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডে স্বামী তানিমের সাথে থাকতেন। আর তার বাবা চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। আজ দুপুরে যাত্রাবাড়ীর ওই আবাসিক হোটেলে উঠেন। ইফতারির সময় হোটেল কতৃপক্ষ ইফতার নিয়ে ওই কক্ষের দরজা নক করে। তবে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হোটেলের রুমের দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।