Tag: মনোনয়ন

  • চারঘাট-বাঘায় বইছে সংসদ নির্বাচনের হাওয়া তৎপরতা শুরু হয়েছে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের

    চারঘাট-বাঘায় বইছে সংসদ নির্বাচনের হাওয়া তৎপরতা শুরু হয়েছে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের

    মোস্তাফিজুর রহমান,বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে আগামী নির্বাচনের হাওয়া বইছে। এ আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে নেমেছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রত্যেকের দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ে পদ-পদবী আছে। তবে ৫ আগস্ট পদ পরিবর্তনের পর এসব প্রার্থীরা তৃণমূলের মানুষদের কাছে ছুটতে শুরু করেছেন। নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে এলাকায় নিজেদের অবস্থানকে শক্ত করার চেষ্টা করছেন। মূলত আগামী নির্বাচনকে ঘিরেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এসব নেতাদের দলীয় ও সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে।

    বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, চারঘাট-বাঘার আসনটিতে ৬৫ শতাংশ ভোট বিএনপির। নিজ দলের কর্মী সমর্থকদের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মিথ্যা তথ্য বা প্রোপাগান্ড চালিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা যাবে না। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল ম্যাসেজ যায়। অপর দিকে বিরোধীরা এতে সুযোগ নেয়। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর লড়াই করেছি। তারপর যদি মনে করি আমাদের লড়াই শেষ হয়ে গেছে তাহলে ভুল করবো। এখন একটা ভাসমান অবস্থায় আছি। যেকোনো মুহূর্তে ফ্যাসিবাদীরা তার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। ইতোমধ্যে চক্রান্তও শুরু করেছেন তারা। সেই চক্রান্ত প্রতিরোধ করাই আমাদের কাজ।’ ফ্যাসিবাদের দোসরা সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তিবর্গের প্রশ্রয়ে নানা অপকর্মে জড়িয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে। এব্যাপারে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। ‘বিএনপি ১৭ বছর ধরে লড়াই করে একটা ভিত্তি তৈরি করেছে। জেল জুলুম সহ্য করেই এখন অবদি টিকে আছে। এসব মাথায় রেখে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার যেটি অপরাজনীতি করার একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে। তাদেঁর ব্যাপারে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আমরা তাঁদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলাম। আগামীতেও তাঁদের নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার অপতৎপরতা বদ্ধে মাঠে থাকবো ইনশাআল্লাহ। সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, মন্দির, গির্জা পাহারা দিয়েছি। এখন তাঁদের নিয়ে একটি চক্র অপরাজনীতির খেলায় মেতেছে। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ভালোবাসা দিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় আমাদের মাঠে কাজ করতে হবে। এই কাজ করতে গিয়ে সুবিধাবাদী ফ্যাসিবাদের দোসররা মিথ্যা প্রোপাগান্ডও ছাড়াচ্ছে। আমরা এতে উদ্বিগ্ন নই। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্রক্ষমতার হাতবদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি।

    রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে আমি সব হারিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে। জেল-জুলুম, নির্যাতন করে আমাকে দমাতে পারেনি স্বৈরাচারী সরকার। আমি জেলে থাকা অশস্থায় মারা গেছেন আমার মা ও স্ত্রী। আমি জেলা বিএনপির দায়িত্ব নেওয়ার পর নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়েছে। দল আমাকে প্রার্থী করলে ভোটে বিজয়ী হব।

    বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান খাঁন মানিক বলেন, আমি আগের নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেয়ে ছিলাম,আগামী নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন চাইবো। দলের মনোনয়ন পেলে ভোটে বিজয়ী হবো। এ লক্ষ্যে এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগও বাড়িয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন দলীয় ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। নুরুজ্জামান খাঁন মানিকের বাড়ি বাঘা উপজেলায়।

    রাজশাহী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল চারঘাট-বাঘা এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। উজ্জ্বল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি জানান, এ আসনে দলের মনোনয়ন চাইবেন। এ লক্ষ্যে দীর্ঘদিন মাঠে কাজ করছেন। উজ্জ্বল আরও বলেন, শত প্রতিকূল পরিবেশেও সব সময় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম ও আছি। আমি চারঘাটের সন্তান। আমার প্রতি এলাকার নেতাকর্মীদের বিপুল সমর্থন আছে। তারা আমাকে ভালোবাসেন। দল আমাকে প্রার্থী করলে ভোটে বিজয়ী হবো।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মালয়েশিয়া মালাক্কা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিলাত বলেন, এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছি, আমি বাঘা উপজেলারই সন্তান। আমার প্রতি এলাকার নেতাকর্মীদের অনেক সমর্থন আছে। তারা আমাকে ভালোবাসেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দলীয় নেতা কর্মীদের বলিরপাঠা বানিয়ে ফাঁয়দা হাসিল করতে গিয়ে দলসহ সবাইকে বিপদে ফেলবেন না। প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, দলীয় ঐক্য গড়ে তুলুন। চাঁদাবাজি, দখলদারত্বসহ সকল অপকর্ম বন্ধ করতে হবে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। অপকর্মকারীদের কোনো দলীয় পরিচয় হয় না। দলের পরিচয়ে অপকর্ম করলে তাঁদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এ আসনে দলের মনোনয়ন চাইবো, দল আমাকে প্রার্থী করলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু। এর আগে একাধিকবার তিনি এ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।। রাজশাহী-৬ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশায় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। দল আমাকে প্রার্থী করলে ভোটে বিজয়ী হবো।

    সবাই এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন। চারঘাট ও বাঘা উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৬ আসন।

  • টাংগাইল-৬ আসনে বি.এন.পি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী লাভলুর গণসংযোগ।

    টাংগাইল-৬ আসনে বি.এন.পি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী লাভলুর গণসংযোগ।

    স্টাফ রিপোর্টারঃ টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর ও দেলদুয়ার) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল ( বিএনপি) থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী রবিউল আওয়াল লাভলু দুই উপজেলায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও বিএনপির নেতাদের সাথে নিয়ে সাধারণ জনগনের সাথে গনসংযোগ করেছেন।

    সোমবার ২৫ নভেম্বর সারাদিন ব্যাপি নাগরপুর সদর, মোকনা,পাকুটিয়া, মামুদনগর ইউনিয়ন এবং দেলদুয়ার উপজেলায় এলাসিন,আটিয়া, লাউহাটি ও ফাজিল হাটি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করেন।দুই শতাধিক মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করে।

    টাঙ্গাইল-৬( নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে বিএনপি নেতা রবিউল আওয়াল লাভলু সাহেবের বিকল্প নেই বলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন।

    গণসংযোগ ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সম্মানিত সদস্য রবিউল আওয়াল লাভলু।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে লাভলু বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর নির্দেশ”” বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজ, শৃংখলা ভঙ্গকারির,অবৈধ দখলদার, মাদক সেবির স্থান নেই ।

    সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। সভায় প্রধান অতিথি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সরকার কে নির্বাচন দেওয়ার জন্য আহবান করেন।দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলার নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্য করে বলেন নেতাকর্মী প্রতি ভোটারের সাথে সাক্ষাৎ করে দেশনায়ক তারেক রহমান এর সালাম পৌছে দিতে অনুরোধ করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জিএস ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকবাল কবির রতন, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হক স্বাধীন, সাবেক ভিপি আরিফুল ইসলাম নবা,সাবেক জি,এস,নুরুজ্জামান রানা নাগরপুর উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক,নাগরপুর উপজেলা তাঁতি দলের সভাপতি ও সম্পাদক উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ও সম্পাদক, গয়হাটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন হেলাল, গয়হাটা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক সোহেল খান সহ দেলদুয়ার উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভোটে নামতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা।

    গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভোটে নামতে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা।

    রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ

    দ্বিতীয় ধাপে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১০ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, মো. সেলিম মুন্সী ও ফকীর আব্দুল কাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. হুমায়ন কবির পলাশ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও মো. আব্দুল বাতেন অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেন।

    মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছালেহা আক্তার বুলবুল, মোছাঃ নার্গিস পারভীন ও মোছাঃ আফরোজা রাব্বানী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে।

    দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

    গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, আজ রোববার মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন ছিল। উপজেলা পরিষদের তিনটি পদে মোট ১০ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোননয়ন জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশিনের তফসিল অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও আপীল নিষ্পত্তি শেষে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হবে।

  • রামপালে মনোনয়ন দাখিলকৃত চেয়ারম্যান, ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর-১২ জন।

    রামপালে মনোনয়ন দাখিলকৃত চেয়ারম্যান, ভাইস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর-১২ জন।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ
    দরজায় কঁড়া নাড়ছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সারাদেশের মত বাগেরহাটের রামপালেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চা এর আড্ডা থেকে চলাফেরার পথে সর্বত্র আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে, কে হচ্ছেন  রামপালের নতুন উপজেলা  চেয়ারম্যান। আর এবারের উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকা না দেয়ার সিদ্ধান্ত  গ্রহণ করায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থান করছে।
    ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এ রামপালে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা (সংরক্ষিত ) ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত ইসলামীর মোট ১২ জন প্রার্থী উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
    সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন  ৫ জন।  তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জামিল হাসান জামু, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল মান্নান ও জেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ইকবাল হোসেন।
    ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৫ জন।  তারা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ নুরুল হক লিপন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, যুবলীগ নেতা মোল্যা মাসুদ বিল্লাল কাবির ,রামপাল উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মোঃ আসাদুজ্জামান ও মেহেদী হাসান মিন্টু।
    মহিলা(সংরক্ষিত)ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন,বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ হোসনেয়ারা মিলি ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা ছায়েরা খাতুন।
    উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আব্দুস সাত্তার জানান, আগামী (৮ই মে) প্রথম ধাপে রামপাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপজেলা মোট ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এবার ৪৯ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩০৩ জন। তারমধ্যে ৬৮ হাজার ৬১২ জন পুরুষ ও ৬৯ হাজার ৬৯১ জন নারী ভোটার। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা (সংরক্ষিত)ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে।
  • মৌলভীবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে বৈধ প্রার্থী ২৫জন,৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল।

    মৌলভীবাজারে ৪টি সংসদীয় আসনে বৈধ প্রার্থী ২৫জন,৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল।

    নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন। মৌলভীবাজার জেলায় মোট চারটি আসন। চারটি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ০৭ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ইং, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই পরে বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম নিশ্চিত করে ঘোষণা দেন।
    মৌলভীবাজার-১: আসনে পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ কাগজপত্রের কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমেদ এবং মোহাম্মদ ময়নুল ইসলামের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে।
    এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহাব উদ্দিন, জাতীয় পার্টির আহমেদ রিয়াজ উদ্দিন এবং তৃণমূল বিএনপির মোঃ আনোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
    মৌলভীবাজার-২: আসনে ১০জন প্রার্থীর মধ্যে বিকল্পধারা মনোনীত প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান সিমুর মনোনয়ন কাগজপত্রে ঘাটতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
    এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে.এম সফি আহমদ সলমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল মতিন, আওয়ামী লীগের শফিউল আলম চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোছাইন রহমানী, তৃণমূল বিএনপির এম এম শাহীন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব, জাতীয় পার্টির মোঃ আব্দুল মালিক, জাসদের মোঃ বদরুল হোসেন এবং জাতীয় পার্টির মোঃ মাহবুবুল আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
    মৌলভীবাজার-৩: আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহিদ, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ূম, ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মোঃ ফাহাদ আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
    এই আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মোসাব্বির, জাতীয় পার্টির মোঃ আলতাফুর রহমান, আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টির তাপস কুমার ঘোষ, জাতীয় পার্টির রুহুল আমিন ও এপিপির আবু বক্কর আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় মৌলভীবাজার-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম শহীদের সমর্থনকারী তালিকায় মৃতব্যক্তির নাম থাকায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে দেন রিটার্নিং অফিসার।
    মৌলভীবাজার-৪: আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী মুহিবুর রহমান আজাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
    এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ আব্দুস শহীদ, স্বতন্ত্র মোঃ নজরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের আনোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির মোঃ মস্তান মিয়া, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আব্দুল মুহিদ হাসানীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
    জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, মনোনয়নপত্র স্থগিত হওয়া প্রার্থীরা ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করে দিলে তাদেরকেও বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাদের জন্য আপিলের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
  • দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন ইমদাদুল হক।

    দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন ইমদাদুল হক।

    আনোয়ার হোসেন,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
    ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল উপজেলা নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে দীর্ঘ ২২ বছরেও কোনো আওয়ামীলীগ নেতাকে নৌকার টিকিট দিয়ে নির্বাচনে পাঠায়নি দলটি। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. ইমদাদুল হককে নৌকার টিকিট দেয়া হয়েছে।
    আওয়ামী লীগ ঘোষিত ২৯৮ আসনের মনোনীত প্রার্থীর তালিকায় রোববার ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে এই সাবেক এমপির নাম এসেছে।
     দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে মোকলেসুর রহমান ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ জয় পান এবং তিনি ধরে রাখেন আসনটি।
    পরে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ইমদাদুল হক দল থেকে মনোনয়ন পেয়েও জোটগত কারণে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়। ২০০৮ সালে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়ে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টির একজন করে প্রার্থী থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন আলী।
    আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আসনটি আবারও ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হন ইয়াসিন আলী, কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ দেখা দেয়। নির্বাচনে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করেন ইমদাদুল হক। আর এই বিভাজনের কারণে তাদের দুজনই বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। বিগত নির্বাচনগুলোতে জোটগত কারণে এ আসনটিতে নৌকার প্রার্থীকে নৌকা না দিয়ে শরিক দলের প্রার্থীকে নির্বাচনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
    নারী সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা বলেন, ‘দীর্ঘ ২২ বছর পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে মনোনীত করায় আমরা আনন্দিত। আমরা চেয়েছিলাম এখানে আওয়ামী লীগের নেতাকে নৌকা মার্কার জন্য মনোনীত করা হোক।’
    রানীশংকৈল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আনন্দিত এবং সাধারণ মানুষও আনন্দিত। দীর্ঘদিন এখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেতা নৌকার প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে চেনা আসনটির কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হতে চলেছিল।’
    আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা ইমদাদুল হক বলেন, ‘তৃণমূলের মানুষ অনেক খুশি। নাম ঘোষণার পর থেকে সাধারণ মানুষের ফোন ধরলেই তাদের আনন্দ অনুভব করছি। এর আগেও নৌকা পেয়েও ছেড়ে দিতে হয়েছিল।’এবারও এমন শঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এবার এমন কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। নৌকাকে বিজয়ী করে আসনটি পুনরুদ্ধার হবে।
  • টানা চতুর্থ বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেলেন হাবিবুন নাহার ।

    টানা চতুর্থ বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেলেন হাবিবুন নাহার ।

    মল্লিক জামান,রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে  ৯৭ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে টানা চতুর্থ বারের মতো  আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন সাবেক বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য,খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক’র সহধর্মিণী বেগম হাবিবুন নাহার।

    রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৪.০০ টায়  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের  তালিকায়  সংসদীয় ৯৭ বাগেরহাট -৩ আসনে বেগম হাবিবুন নাহারের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (এমপি)।
    বেগম হাবিবুন নাহার একজন বাংলাদেশী  নারী রাজনীতিবিদ ও জাতীয় সংসদের বারবার নির্বাচিত সদস্য।  তিনি ১৯৫৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিখ্যাত বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এরপর তালুকদার আব্দুল খালেকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
    ২০০৮ সালে প্রথম বাগেরহাট-৩ আসন থেকে   আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আবারও নৌকা প্রতীক দিয়ে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ,  বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ও তিনি সফল ভাবে সে দায়িত্ব পালন করেন।
    উল্লেখ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে মোট ১০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিচার-বিবেচনা করে আবারও এ আসন থেকে হাবিবুন নাহারকে নৌকার টিকিট প্রদান করা হয়। হাবিবুন নাহারকে মনোনয়ন দেওয়ায় রামপাল  উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
  • সিলেট-৫ আসনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন জমা দিলেন জুলিয়ান চৌধুরী রাহী।

    সিলেট-৫ আসনে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন জমা দিলেন জুলিয়ান চৌধুরী রাহী।

    মিজানুর রহমান লাভলু,কানাইঘাট(সিলেট)প্রতিনিধিঃ

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কানাইঘাট-জকিগঞ্জ (সিলেট ৫ আসন) থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে প্রার্থী হতে চান তরুণ ও প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিবীদ, যুক্তরাষ্ট্র নিউ জার্সি যুবলীগের সভাপতি জুলিয়ান চৌধুরী রাহী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।

    জুলিয়ান চৌধুরী রাহী যুক্তরাষ্ট্র নিউ জার্সি যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। নির্বাচনী এলাকায় হাসপাতাল ও স্কুল প্রতিষ্ঠা, বিদ্যুতায়ন ও রাস্তাঘাট নির্মাণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি এলাকায় নিজের সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে জুলিয়ান চৌধুরী রাহী (সিলেট-৫ আসন) থেকে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তখন শেখ হাসিনা তাকে এলাকায় গিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন।

    জুলিয়ান চৌধুরী রাহী এলাকার সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে অংশ নিতে তিনি প্রার্থী হতে চান।ছাত্রাবস্থায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থাকার পাশাপাশি এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন বন্ধু হয়ে।যুক্তরাষ্ট্র তিনি যুবলীগের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। জুলিয়ান চৌধুরী রাহী আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে যুবলীগের রাজনীতিতে অন্তঃপ্রাণ।জুলিয়ান চৌধুরী রাহী বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্র নিউ জার্সি যুবলীগের সভাপতি হিসাবে।

    আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম জমাদান শেষে জুলিয়ান চৌধুরী রাহী বলেন, কানাইঘাট-জকিগঞ্জ উপজেলা বাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করতে পারেন।

  • নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন ফর্ম কিনলেন হাবিবুন নাহার।

    নৌকার মাঝি হতে মনোনয়ন ফর্ম কিনলেন হাবিবুন নাহার।

    মল্লিক জামান, রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসন থেকে আবারও নৌকার প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম  কিনেছেন  খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল  খালেক এর সহধর্মিণী  বেগম হাবিবুন নাহার।
    বাগেরহাট-৩  আসন থেকে বেগম হাবিবুন নাহার তিন বার আওয়ামী লীগের  মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এরপর  সে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
    রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার হাত থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ রেদওয়ান মারুফ।
    মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির  সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল হোসেন, মোংলা উপজেলা আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মিলন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দিলীপ কুমার মন্ডল, ধানমণ্ডি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সুজাউদ্দিন (তুহিন), ঢাকা দক্ষিনের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সদস্য পিন্টু মজুমদারসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, বেগম হাবিবুন নাহার  একজন বাংলাদেশী নারী রাজনীতিবিদ ও বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ ও ২০১৮ সালের উপ-নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয়  সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন  মন্ত্রনালয়ে  উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।
    উপমন্ত্রী বেগম  হাবিবুন নাহার ২০০৮ সালে বাগেরহাট-৩ থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে তার স্বামী তালুকদার আবদুল খালেক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন  করতে তালুকদার আবদুল খালেক পদত্যাগ করেন।  ২০১৮  সালের জুন মাসে  এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হাবিবুন নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
  • হবিগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আ.লীগ নেতা অসীম।

    হবিগঞ্জ-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আ.লীগ নেতা অসীম।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।
    “‌‌ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান”স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মানের লক্ষ্যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ -৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে নৌকার পক্ষে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কাছে ভোট প্রার্থনা করে নির্বাচনী মাঠ চোষে বেড়াচ্ছেন, হবিগঞ্জ জেলা  আওয়ামী লীগে’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম। তিনি মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া গ্রামের মৃত হাবিব আলী বাচ্ছু চৌধুরীর ছেলে।
    তিনি ১৯৮৭ইং এসএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষা শান্তি প্রগতির শ্লোগানে উজ্জীবিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভাবে আওয়ামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা। ১৯৮৮ সালে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য” তারপর হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে জেলার সকল কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত। তারপরের কমিটিতে জেলার সকল ছাত্রলীগের কাউন্সিলারদের সরাসরি ভোটে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।
    অতপরঃ জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক। ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ হতে না হতেই সেবা,শান্তি,প্রগতির শ্লোগানে মুখরিত সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। ২০০৩ সালে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। ১০ বছর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন।২০১৩ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে কাউন্সিলারদের সরাসরি ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত।
    ৬ বছর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন” ২০০৯ সালে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে মাধবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।নির্বাচিত হবার পর মাধবপুর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা যোগাযোগ শিক্ষা ও তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশেষ সেবার উপহার স্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতিতে সারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।২০১৮সালে থেকে হবিগঞ্জ জেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  দায়িত্ব পালন করছেন।
    এ ছাড়া তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সারা ফেলেছেন।তাঁর নির্বাচনী এলাকায় দিন-রাত দলীয় তৃনমূল নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহণ করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছেন। ইতিমধ্যেই দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
    মাধবপুর-চুনারুঘাট বিভিন্ন এলাকার তৃনমূল নেতা কর্মী-সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়নন প্রত্যাশী জাকির হোসেন চৌধুরী অসীমের বিকল্প দেখছেন না তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাই মাধবপুর -চুনারুঘাট নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এ আসনে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন দিতে তাঁর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে লিফলেট বিতরণ করছেন।
    আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি হবিগঞ্জ -৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচিত হবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের সেবা করাসহ, অবহেলিত মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনকে স্মার্ট বাংলাদেশের আওতায় আনাসহ স্মার্ট নাগরিক,স্মার্ট সমাজ-অর্থনৈতিক ও সরকার। এছাড়াও সমাজ থেকে দূর্নীতি, দারিদ্র ও মাদক দূর করে স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি এলাকার চাহিদা অনুযায়ী রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টসহ অবকাঠামো নির্মান ও সংস্কার করা। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে সরকারী ও বেসরকারী সহযোগীতার উদ্যোগ নেয়া। এলাকায় সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা, আমার গ্রাম-আমার শহর, প্রতিটি গ্রামে নগর সুবিধা নিশ্চিত করাসহ টেকসই উন্নয়ন অব্যাহত রাখাবেন বলে জানান দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম।