Tag: ভারত

  • ভারতের মণিপুর রাজ্যের গহীন জঙ্গলে অস্ত্রাগারের সন্ধান।

    ভারতের মণিপুর রাজ্যের গহীন জঙ্গলে অস্ত্রাগারের সন্ধান।

    ভারতের মণিপুর রাজ্যের চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপি জেলার গহীন জঙ্গলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি ‘অস্ত্রাগারের’ সন্ধান পেয়েছে ভারতের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। সেখান থেকে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

    শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতীয় সেনাবাহিনী, মনিপুর পুলিশ, কেন্দ্রীয় এলিট ফোর্স সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের যৌথবাহিনীর টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপি জুড়ে বিস্তৃত গহীন জঙ্গলে ওই গোপন অস্ত্রাগারটির সন্ধান পাওয়া যায়। এ সময় অস্ত্রাগার থেকে বেশ কিছু যুদ্ধাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়া প্রসঙ্গে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনাকে ফেরত দেয়া প্রসঙ্গে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জার্মানির বার্লিনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করা প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এ কথা বলেন।

    সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চাইবে। ভারত কি এমন অনুরোধ বিবেচনা করবে?

    জয়শঙ্কর বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা স্পষ্টতই এই সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। এটি আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে করি, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়।’

    উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনি এখন ভারতেই অবস্থান করছেন।

  • ঠাকুরগাঁওয়ের দুই সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁওয়ের দুই সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    দীর্ঘ ৭০ বছর ভারতের দখলে থাকার পর ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল ও বালিয়াডাঙ্গী বেউরঝাড়ি  সীমান্তবর্তী ৯১ বিঘা বাংলাদেশি জমি অবশেষে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন । উদ্ধার করা জমিতে সাদা পতাকা (নিশানা) টানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
    সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত ৯১ বিঘা জমিতে প্রবেশের অধিকার ফিরে পাওয়ায় সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। জমিগুলো উদ্ধারে গত প্রায় ১ মাস আগে কাজ শুরু করে বিজিবি।
    বাহিনীটি জানিয়েছে, ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর সুচারু পরিকল্পনা এবং সময়োপযোগী উদ্যোগে বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি দলের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করে তারা।
    সেই হিসাবে অধীনস্থ রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার  বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ-ভারতের সার্ভে বিভাগের যৌথ জরিপের মাধ্যমে ভারতের দখলে থাকা জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ১৫ বিঘা জমি এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় ৭৬ বিঘা জমি (মোট  ৯১ বিঘা) উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশের অনুকূলে প্রাপ্ত জমির মধ্যে ৭৭ বিঘা আবাদি জমি, ১১ বিঘা চা বাগান ও ৩ বিঘা নদীর চর রয়েছে।
    ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন স্ট্রীপ ম্যাপ পর্যালোচনা করে পূর্ব থেকেই নিশ্চিত ছিলো জমিগুলো বাংলাদেশের। বিজিবির আহ্বানে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে জমিগুলো বাংলাদেশের বলে বিজিবির পক্ষ হতে জোরালো দাবী উপস্থাপন করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ হতে আরও বলা হয় যে, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সার্ভেয়ারের মাধ্যমে যৌথ জরিপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
    উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৬ ও ৭ মার্চ  বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সহকারী জরিপ ও চার্জ অফিসার এবং ভারতীয় সার্ভে বিভাগের সহকারী চার্জ অফিসার এর সমন্বয়ে— বিজিবি-বিএসএফ এর উপস্থিতিতে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ জগদল এবং বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্যে যৌথ জরিপ ও পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। সেই  কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৬ মার্চ জগদল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ১৫ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায় এবং অপরদিকে প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়। এরপর গত ৭ মার্চ বেউরঝাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ৭৬ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায়। অপরদিকে প্রায় ১৬ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়।
     উল্লেখ্য, উক্ত জরিপে বাংলাদেশের প্রাপ্ত জমির পরিমান ৯১ বিঘা এবং ভারতের প্রাপ্ত জমির পরিমান ২৩ দশমিক ৫ বিঘা।
    বাংলাদেশ ও ভারতের সার্ভে বিভাগের যৌথ জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত বাংলাদেশি জমিগুলো স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তরের লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) এর পক্ষ হতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে।
    রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তবর্তী এলাকার ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আনসারুল ইসলাম বলেন, “আমি ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি এই জমিগুলো ভারতের অধীনে এবং ভারতের লোকজন এগুলাতে চাষ করে আসছে। কিছুদিন আগেই জমিতে একজন বাংলাদেশি যাওয়ার কারণে তাকে গুলি করে মারা হয়। প্রায় ৭০ বছর পর আমরা জমিগুলো ফিরে পেয়েছি। এতে আমাদের মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ-উৎসাহ বিরাজ করছে। আজকে থেকেই জমিগুলো আমরা চাষবাদ করতে পারব এবং এইগুলো বাংলাদেশের জমি, যেগুলো এতদিন ভারতের মানুষ ভোগ করে আসছিল।”
    বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝাড়ি গ্রামের সীমান্তবর্তী বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, “এই যে গম ক্ষেত এটা ভারতের। আমি ছোটকাল থেকেই দেখতেছি। আমরা কখনো এই জমিতে যেতে পারি না। এই জমিতে ভারতের লোকজন চাষবাদ করে। আমাদেরকে কখনো যেতে দেয় নাই। এখন শুনতে পেয়েছি যে এই জমি নাকি বাংলাদেশ পেয়েছে। এতে আমাদের এলাকার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ উৎসব চলছে। সবার মনে অনেক আনন্দ। এখানে প্রায় ৭৬ বিঘা জমি পেয়েছে বাংলাদেশ। এগুলোতে আমাদের স্থানীয় লোকজন চাষবাদ করতে পারবে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাংলাদেশের দিকে আসছে। এর ফলে নদীর ওইপারে যে জমিগুলো রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশের। জমিগুলো ভারত দখল করে নিয়েছিল। এখন বাংলাদেশ বিজিবি এটি উদ্ধার করেছে।”
    ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তানজীর আহম্মদ বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারি যে এই জমিগুলো বাংলাদেশের এবং জগদল ও বেউরঝাড়ি সীমান্তের কিছু অংশ বাংলাদেশের জমি হিসাবে আমরা ধারণা করি। তারই প্রেক্ষিতে আমরা ভারতের সাথে কথা বলি এবং জরিপ করার জন্য আহ্বান জানাই। তাদেরকে আমরা অনুরোধ করি তারা যেন প্রকৃতপক্ষেই জমির মাপের কাজটি করা হয়। বাংলাদেশ বিজিবি এবং বিএসএফের যৌথ জরিপের মাধ্যমে আমরা এই জমিগুলো পেয়েছি।
  • মৌলভীবাজারে সাড়ে ২১ লাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ চিনি ও নাসির বিড়িসহ গ্রেফতার-১।

    মৌলভীবাজারে সাড়ে ২১ লাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ চিনি ও নাসির বিড়িসহ গ্রেফতার-১।

    নিজস্ব প্রতিবেদক:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও রাজনগরে সাড়ে ২১ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি ও নিষিদ্ধ নাসির উদ্দিন বিড়ি আটক করা হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ইং, বেলা ২টার সময় কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রাধানগর এলাকায় অভিযান চালানো সময় অবৈধভাবে আসা চিনি আটক করা হয়ে।
    জানা যায়, কমলগঞ্জে চোরাইপথে আসা ২৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অভিযানে অবৈধভাবে আমদানি করা ৫০ কেজির ২৯০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করলেও পাচারে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক আটক করা যায়নি। এ সময় চিনির গোডাউন সিলগালা করা হয়।
    শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকনজী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় একটি কোম্পানির ২৯০ বস্তা মোট ১৪ হাজার ৫০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৯ লাখ টাকা।
    স্থানীয়রা জানান, চিনি পাচারকারী এই চক্রের সদস্যরা মিলে দীর্ঘ দিন ধরে ভারত থেকে চোরাই পথে কম দামে ভারতীয় চিনি এনে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছিল। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি চক্র ভারত থেকে চোরাই পথে কম দামে চিনি নিয়ে আসে। ওই চিনি দেশীয় কোম্পানির চিনির বস্তায় ভর্তি করে চক্রটি। পরে তা দেশীয় কোম্পানির চিনি হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করে।
    অভিযানের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে চিনি গোডাউনে রেখে বাকি চিনি ভর্তি দুটি ট্রাক মৌলভীবাজারের দিকে চলে যায়।
    এছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি। এতে চোরাকারবারীরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। ঠকছেন ভোক্তারা। সীমান্ত এলাকা থেকে প্রাই ট্রাক ও পিকআপ ভর্তি চিনি আসার কারণে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কুলাউড়ার ফুলতলা, চাতলাপুরসহ সীমান্তের কয়েকটি স্থান দিয়ে প্রতিদিন আনা হচ্ছে ভারতীয় চিনি। সাধারণত ভোর রাতে অবৈধ চিনি আনা হয়। শমশেরনগরের স্থানীয় চোরাকাবারীসহ কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধ চিনি ব্যবসার সাথে সংপৃক্ত। সীমান্ত অতিক্রম করেই তারা ভারতীয় বস্তা পরিবর্তন করে দেশীয় বস্তা দিয়ে চিনি পরিবহন করে। ফলে প্রশাসন ইচ্ছে করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। সীমান্ত এলাকার নিরীহ সাধারণ লোকদের দৈনিক ভিত্তিতে মজুরি প্রদান করে এই ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শমশেরনগর বাজারের দু’জন ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় চিনি কিনে বিক্রি করছি। শমশেরনগর ভেতর বাজারের এক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে তুলনামূলক কম দামে ভারতীয় চিনি পাওয়া যাচ্ছে। তিনি যদি একবার অকশনের মাল ক্রয় করেন পরে পুরো মাস অবৈধভাবে আসা চিনি সরবরাহ করেন।
    পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মৌলভীবাজার এর সহকারী পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, আসলে এই বিষয়টি পুলিশ দেখলে ভালো হয়। সেখানে মামলার বিষয়ও জড়িত রয়েছে। তারপরও অভিযানে আসলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
    এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রেজুয়ান, অভিযানকালে ঘটনাস্থলে কোনো ট্রাক পাওয়া যায়নি। তবে ২৯০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    অন্যদিকে এসআই অরূপ সরকার বলেন, একদল পুলিশ রাজনগরের টেংরা বাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালান। এ সময় একজন আসামিকে সাদা রংয়ের করোলা প্রাইভেট কারসহ আটক করা হয়েছে। টের পেয়ে একজন আসামি পালিয়ে যায়। আটক গাড়ি তল্লাশি করে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ শলাকা আমাদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাসির উদ্দিন বিড়ি, যার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
    রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালেক জানান, আটক আসামি ও পলাতকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকাসহ বিড়ি জব্দ করা হয়।
  • ভারত থেকে আমদানি করা ছোলার চালান খালাস দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস।

    ভারত থেকে আমদানি করা ছোলার চালান খালাস দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস।

    আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারত থেকে টিসিবি’র ৪’শ মেট্রিকটন আমদানি করা ছোলার প্রথম চালানটি গতকাল সোমবার খালাস দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস। খালাস পাওয়া ১২টি গাড়িতে ৪’শ টন ছোলা রয়েছে।

    বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র সিং ৪’শ টন ছোলা আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এ সময় তিনি জানান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রথম চালানে ৪’শ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে। ছোলার গুণগত মান নির্ণয় করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানান,আমদানির ক্ষেত্রে খরচ প্রতি কেজি ছোলার দাম ৮৫ টাকা পড়লেও ৪৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে ৫৫ টাকায় খোলাবাজারে টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রি করা হবে।

    দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার ২০২২ সালে ১ কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির মাধ্যমে কম মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেন সরকার। এ ছাড়া রমজানের মধ্যে ছোলার পাশাপাশি ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।

    এবার রমজানের জন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ডাল ও পেঁয়াজ আমদানি চলমান আছে। নতুন করে ৪ হাজার টন ছোলা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম চালানে ৪০০ টন ছোলা বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। সাধারণ ব্যবসায়ীদেরও শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচা ছোলা আমদানির সুযোগ দিয়েছে সরকার। তবে সে সুযোগের কোনো সুফল পাচ্ছেন না ক্রেতারা। গত বছরে ছোলার কেজি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা থাকলেও এবার কোনো কারণ ছাড়া ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সরকারিভাবে ছোলা আমদানি হওয়ায় বাজারে ছোলার দাম কমে আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন ক্রেতারা।

    টিসিবির পরিবার কার্ডধারী একজন গ্রাহক বর্তমানে ৩০ টাকা কেজি দরে মাসে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারছেন। রমজানে ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি ছোলাও কিনতে পারবেন।

    রায়হান সোবহান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম কমলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ উপকৃত হবো। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙলে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না।’

    বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, রোজায় টিসিবির অর্ধেক মূল্যে পণ্য নিম্ন আয়ের মানুষ পেলে তারা খুব উপকৃত হবেন।

    বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম খবরের কাগজকে জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে ছোলাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে যেন দ্রুত ছোলার চালান খালাস দেওয়া যায় সেজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

  • স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদক আসছে” মন্তব্য করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন গ্রেফতার।

    স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদক আসছে” মন্তব্য করায় ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন গ্রেফতার।

    মাধবপুর(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
    স্বামীর দেশ ভারত থেকে মাদকদ্রব্য অবাদে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান জেলা বিএনপি নেতা মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানার সাথে  মতবিনিময় সভায় এ বক্তব্য দেওয়ায় মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
    মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ থেকে মাধবপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরীকে আটক করেছে। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর থানার ডিউটি অফিসার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে।
    মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহনকারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক পাঠান বলেন, বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে দেশ বিরোধী কাজ করেছেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। স্বামীর দেশ বলতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবনতি ঘটিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চেয়েছেন।তার এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল।
    মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুকোমল রায় বলেন, একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি কোন অবস্থাতেই এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেনা। তার এ ধরনের উস্কানীমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
    মাধবপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শ্রীধাম দাশগুপ্ত বলেন, চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদের এ ধরনের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক।
    জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভায় এ ধরনের বক্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম ফয়সাল জানান, চেয়ারম্যানের এ বক্তব্য দেওয়ার পর সভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। সবাইকে অনুরোধ করার পর তারা শান্ত হন।
    মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান, সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • মণিপুরে ভারতীয় সৈন্যদের কাছ থেকে ১২ বাংলাদেশী উদ্ধার।

    মণিপুরে ভারতীয় সৈন্যদের কাছ থেকে ১২ বাংলাদেশী উদ্ধার।

    ১২ জনকে স্থানীয় নেতার হাতে হস্তান্তর করা হবে। এরপর আমাদের সেনা কলামগুলো তাদের কর্ডন তুলে নেয়। অভিযানে জঙ্গীদের কাছ থেকে যে সব অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধ-উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছিল সেগুলো নিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।

    দিল্লির বৈঠক নিয়েও বিরোধ এদিকে শনিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক সর্বদলীয় বৈঠকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম দিন থেকে মণিপুর পরিস্থিতির ওপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছেন এবং পরিপূর্ণ সংবেদনশীলতা নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন।

    ভারতের প্রধান বার্তা সংস্থা পিটিআই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে।

    এর আগে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন নীরব, এই প্রশ্নে ভারতে সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এমন কী, আমেরিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদির সদ্যসমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফরেও তাকে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

    পিটিআইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, সর্বদলীয় বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান গত ১৩ জুন থেকে মণিপুরে একটিও প্রাণহানি হয়নি এবং রাজ্যের পরিস্থিতি যে ‘ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে’ এটি তারই একটি উদাহরণ।

    প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস অবশ্য অমিত শাহর ডাকা এই বৈঠককে পুরোপুরি ‘লোকদেখানো’ বলে বর্ণনা করেছে।

    কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করে অভিযোগ করেছেন, বৈঠকে তাদের প্রতিনিধি ছিলেন মণিপুরের সবচেয়ে সিনিয়র রাজনীতিবিদ তথা তিনবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিং – কিন্তু তাকে তার বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।

    সূত্র : বিবিসি

  • প্রেমের টানে ভারতীয় নারী বাংলাদেশে।

    প্রেমের টানে ভারতীয় নারী বাংলাদেশে।

    প্রেমের টানে বাংলাদেশের প্রেমিক মোঃ জুয়েল সরকার(২৪) বাড়িতে চলে এসেছে ভারত(পর্শ্চিমবঙ্গের) হাওড়া জেলার দশনগর থানার ধারসা ছোট মল্লিক পাড়া গ্রামের মোছাঃ নাইসা মল্লিক(২৬) নামের এক তরুণী। সে খাইরুল আলম মল্লিকের তৃতীয় কন্যা।

    এমন ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের বালসাবাড়ি এলাকার দাঁদপুর গ্রামের ইরান আলীর বাড়িতে।

    প্রেমিক ও প্রেমিকাকে এক নজর দেখার জন্য ভীর জমাচ্ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা উৎসক জনতা।পর্শ্চিমবঙ্গের নাইসার সাথে কথা বলে জানার চেস্টা করছে তাদের প্রেমের গোপন গল্পের কথা। জিজ্ঞাসা করলে শুনাচ্ছেন জুয়েল-নাইসার প্রেমের গোপন কাহিনী।

    গত ১জুন বৃহস্পতিবার দেশের প্রচলিত আইন মেনে আদালতের মাধ্যমে জুয়েল ও রাইসার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।

    নাইসার সাথে ফেসবুক মিডিয়ায় পরিচয় হয়।এর পর মোবাইলের ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপে কথাবার্তা শুরু হয়। একপর্যায় তার সাথে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। আমার ফ্যামেলি ট্যাটার্স জানানোর পর সে আমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।আমি মনেপ্রাণে নাইসাকে চেয়েছিলাম,তাকে বধূ হিসাবে কাছে পেয়ে আত্মতৃপ্তি পেয়েছি। দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চায় এমন প্রত্যাশায় মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের দোয়া প্রার্থনা করেন তারা। এভাবেই জুয়েল তার দীর্ঘ দেড় বছরের আংশিক প্রেম ও ভালোবাসার গল্প শুনালেন। কোর্টের মাধ্যমে বিয়ের পর সামাজিক ভাবে অনুষ্ঠান করেছি।

    প্রেমিক জুয়েল বয়সে আমার ছোট হলেও পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পেরে নিজেকে সুখী মনে করছি।আমাদের প্রেমের সম্পর্ক আমার পরিবার মেনে নেয়নি।ভালোবাসার টানে বিয়ে করবো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পাসপোর্ট ও ভিসা পেয়ে নিজের দেশ ভারত ত্যাগ করে বাংলাদেশে এসেছি।এ দেশের আইন অনুযায়ী জুয়েলের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। বাংলাদেশ ও স্বামীর বাড়ির পরিবেশ আমার ভালো লেগেছে। স্বামী,শ্বশুর শ্বাশুড়ি ও পরিবারের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে জীবন সংসার শুরু করেছি।জীবন যৌবন উৎসর্গ করে একজন গৃহিণী হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।

    আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ জানান গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সিরাজগঞ্জ আদালতে সকল ফর্মালেটি মেইনটেইন করেই জুয়েল নাইসা দাম্পত্যর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। নাইসা(২৬) ভারতের পর্শ্চিমবঙ্গ হাওড়া জেলার দশনগড় থানার ধারসা ছোট মল্লিক পাড়া গ্রামের খাইরুল আলম মল্লিকের মেয়ে, জুয়েল সরকার(২৪)বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বালসাবাড়ি(দাঁদপুর) গ্রামের ইরান আলীর ছেলে।

  • ভারতে মহানবী (সা.)কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ।

    ভারতে মহানবী (সা.)কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ।

    ভারতে মহানবী (সা.)কে কটূক্তির প্রতিবাদে রাণীশংকৈলে বিক্ষোভ

    ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপীর মুখপাত্র নুপুর শর্মাসহ দুই নেতা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ও নবীর সহধর্মিণী মা আয়শা (রাঃ)কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের
    প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে  রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়।
    মুসলিম সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে
    হাজার হাজার স্থানীয় মুসল্লি এ কর্মসূচি পালন করে। এতে প্রায় ঘন্টাব্যাপী শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
    সোমবার (১৩ জুন) বিকাল ৩ টার সময় প্রথমে শেখ রাসেল মিনি স্টোডিয়াম হ্যালিপ্যাড মাঠ থেকে মিছিল সহকারে চতুর্দিক থেকে পৌর শহরের অভিমুখে জমায়েত হতে শুরু করে। সকলে একত্রিত হয়ে রাণীশংকৈল,বালিয়াডাঙ্গী, হরিপুর  সম্মিলিত উলামা পরিষদের আহবানে শহরের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মুসল্লিরা।
    প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বন্দর চৌরাস্তা মোড়ে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
    পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় মুসুল্লিরা বক্তব্য রাখেন। এতে মসজিদের ইমাম ও সম্মিলিত উলামা পরিষদের ওলামাসহ হাজার হাজার মুসুল্লিগণ অংশগ্রহন করেন। এসময় তারা ভারতে মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) কে কটুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ধিক্কার জানান। নুপুর শর্মা’র বিচারের দাবী জানান তারা।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই আমাদের প্রিয় নবীকে অপমান এর জন্য, তিনি যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে এর তীব্র নিন্দা জানান। যখন গোটা বিশ্ব নবীর অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে । তখন আমাদের উচিত প্রতিবাদ জানানো। সেই সাথে নুপুর শর্মা ও নাভিন কুমার জিন্দালালের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
    এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপী সরকারের মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও নাভিন কুমার জিন্দালাল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি করেছে । তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
    ভারতের মত একটি সভ্য রাষ্ট্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (সা:) কে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে গোটা বিশ্বের মুসলিমকে আঘাত করেছে। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আজ শুধু বাংলাদেশ নয় গোটাবিশ্বে তাদের প্রতি ঘৃণার জন্ম নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যত প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
    অবিলম্বে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সকল পণ্য বয়কট করার আহবান জানান তারা।
    এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিবাদ না করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় । মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে আরও কঠোরতম কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন মুসলিম সংগঠনের নেতারা।
    এসভায় তিন দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয় ।
    দাবীগুলো হলে, রাসুলে করিম (সঃ) ও মা আয়শা (রাঃ)কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে রাস্ট্রীয়ভাবে তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা, ভারতীয় রাস্ট্রদুতকে তলব করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো, রাস্টীয়ভাবে ভারতীয় পন্য বর্জন করার ঘোষনা দেয়া হয় ও এ দুই কুলাঙ্গার অপরাধীদের গ্রেফতার পুর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদসরুপ ভারত সরকারকে চাপ প্রয়োগ করর আহবান জানানো হয়।
    পরে  মুসল্লিরা মোনাজাতের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শেষ করেন।
    প্রসঙ্গত; সম্প্রতি ভারতের একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন নুপুর শর্মা। পরে এই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দেন নাভিন কুমার জিন্দালাল। যা মুসলিম সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে।
  • ভারতের বিজেপি নেতা কর্তৃক রাসূল(সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ।

    ভারতের বিজেপি নেতা কর্তৃক রাসূল(সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ।

    ভারতের বিজেপি নেতা কর্তৃক রাসূল(সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ


    ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতাদের কর্তৃক মহানবী (সাঃ)কে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশের ন্যায় নাগরপুরেও বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    শুক্রবার (১০ জুন ) বাদ জুম’আ নাগরপুর উপজেলা সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামদের সার্বিক ব্যবস্হাপনায় সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    বিক্ষোভ মিছিলটি নাগরপুর সরকারি কলেজ গেইট থেকে বের হয়ে সদর বাজারের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ গেইটে বিশাল প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শেষ করা হয়।

    বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মওলানা মো.রফিকুল ইসলাম( দা.বা)

    প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, নাগরপুর বাজার জামে মসজিদের খতিব মাও: রফিকুল ইসলাম ও কওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাও: মো. রফিকুল ইসলাম আমিনি, হাফেজ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

    এসময় বক্তরা বলেন- বিজেপি’র মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও বিজেপির দিল্লি মিডিয়া অপারেশন প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল কর্তৃক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও হজরত আয়েশা (রা.) কে নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করে বিশ্বের সকল মুসলমানসহ শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের কলিজাকে দগ্ধ করেছে। এটি জঘন্য ও ক্ষমাহীন অপরাধ। এই নিন্দনীয় কাজ প্রতিটি মুসলমানসহ বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে।

    নেতৃবৃন্দগণ আরও বলেন, মুসলিমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, মুসলিমদের জীবনের চেয়েও প্রিয় মহানবী (সাঃ) কে অবমাননা করলে আমরা চুপ থাকবো। বরং সুশৃঙ্খল পন্থায় এর প্রতিবাদ জানানো প্রতিটি মুসলমানের ঈমানেরই দাবী। আমরা অবিলম্বে রাসূল সা. কে অবমাননাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় এর প্রতিবাদ অনেকগুন বাড়বে।

    উল্লেখ্য, বিজেপি’র জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মা গত সপ্তাহে এক টিভি বিতর্কে মহানবী সা. ও হযরত আয়েশা রা. সম্পর্কে অপমানসূচক মন্তব্য করেন। এই বিতর্ক নিয়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে নুপুরের সহকর্মী জিন্দাল টুইটারে মহানবী সা. সম্পর্কে আরো কিছু কটূক্তি করেন। ফলে মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

    এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিলে নাগরপুর সরকারি কলেজ মসজিদ এর ইমাম ও খতিব মুফতি সাদিক( দা.বা),দুযাজানী কলেজ পাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি হাদী (দা.বা),অধ্যাপক আলহাজ্ব এম.এ.সালাম,অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম আল মামুন সেলিম,অধ্যাপক আলী আকতার,শিক্ষক মো.শওকত আল, মাওলানা মঈন উদ্দিন, হাফেজ লতিফ,মাওলানা ছামিনুর ইসলাম,হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা.ওয়াহাব,বণিক নেতা স্বাধীন,সাবেক ছাত্রনেতা মো.গোলাম মোস্তফা গোলাম ও বিপুল সংখ্যক মিডিয়াকর্মীসহ নাগরপুরের সর্বস্তরের তৌহিদী ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ উপস্থিত ছিলেন।