বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
Tag: বিএনপি
-
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ।
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
বৃহস্পতিবার বিএনপি জেলা কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।জেলা বিএনপির আয়োজনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্যারিস, জেলা কৃষকদলের সভাপতি আনারুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: কায়েস প্রমুখ।বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা বিএনপি, যুবদল, কৃষকদল, ছাত্রদল, মহিলাদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার নামে সকল মামলা প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচনের জোর দাবি জানান। -
শ্রীমঙ্গলে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল।
শ্রীমঙ্গলে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি উপজেলা শাখা ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার ২৭ এপ্রিল ২০২২ইং,(২৫ রমজান) শহরের মহসিন কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপির সাবেক মৎসজীবি বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ লিটন আহমেদ সাজু এর সভাপতিত্বে ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোঃ সালাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্র দলের সভাপতি রুবেল মিয়া।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি সামসুল ইসলাম রেনু, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম সিতু, সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিরাস মিয়া (মেম্বার), সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লতিফ মিয়া,জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট মোঃ মোশাহিদ আহমেদ,সিন্দুরখান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোহাম্মদ আলী,সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম,যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইউসুফ মিয়া,পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ লুৎফুর রহমান লিটন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান শিপু,সিন্দুরখান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন,আশিদ্রোণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ কাওছার আহমেদ সবুজ ও কালাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ তবারক হোসেন প্রমুখ।ইফতার মাহফিল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।এসময় বিএনপি চেয়ারপারর্সন ও সাবেক জনপ্রিয় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।এছাড়া বিএনপির প্রয়াত নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। -
নাগরপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালন।
নাগরপুর উপজেলা বিএনপির প্রতিকী অনশন কর্মসূচি পালন।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের ন্যায়, লাগামহীন দ্রব্য মূল্য উর্ধগতির প্রতিবাদে প্রতিকী অনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২২ বেলা ৩ ঘটিকায় নাগরপুর উপজেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে,লাগামহীন দুর্নীতি ও দ্রব্য মূল্য উর্ধমুখী নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ,সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ছালাম এর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হবি এ-র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী।
উক্ত প্রতিকী অনশনের প্রধান অতিথি গৌতম চক্রবর্তী নবগঠিত কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ছালাম ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হবি কে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গেন।
এ-সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা গোলাম, নাগরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফনির হোসেন ভূঁইয়া, সদস্য সচিব দিপন,যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান লাভলু, নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মীর খালিদ মাহবুব রাসেল, সদস্য সচিব শহিদুর রহমান মনির নাগরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আসলাম, সদস্য সচিব মনির প্রমুখ।
-
ওসমানীনগরে বিএনপি’র সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশ।
ওসমানীনগরে বিএনপি’র সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশ।
সিলেটের ওসমানীনগরে অনিয়মন্ত্রান্তিক ভাবে উপজেলা বিএনপি’র মনগড়া কমিটি গঠনের অভিযোগে নব গঠিত কমিটির কার্যক্রমে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হবে না তা জনতে উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা বিএনপির অনিয়মে অভিযুক্ত ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির নব ঘোষিত কমিটির সভাপতি দয়ামীর ইউপি চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ। গত ২৮ মার্চ সোমবার এই দুই নেতাকে এই নোটিশ প্রদান করেন আদালত।
এর আগে, অনিয়মন্ত্রান্তিক ভাবে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের অভিযুগে সিনিয়র সহকারী জজ বালাগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেন ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস সৈয়দ এনামুল হক এনাম পীর। মামলাটি আগামী ১১ এপ্রিল বিচারের জন্য ধার্যকার হয়েছে।দলীয় সূত্রে জানা গেছে,সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গঠিত কমিটির অভিযোগে ১৩ মার্চ দায়েরকৃত মামলা আদালত আমলে নিয়ে সিলেট জেলা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করে করেন।
এর আগে দলের ত্যাগী নেতাদের কৌশলে বঞ্চিত করে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিলেট বিভাগের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ এ জাহিদ হোসেন এর কাছেও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
মামলা ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ছয় বছর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী গোপন ভোটের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্মন্ন করার জন্য পূর্ব থেকে সব রখমের প্রস্তুতি নেয়া হয়।সম্মেলনের দিন কয়েকেজন নেতাদের কুটকৌশলে গোপন ভোট না করে মনগড়াভাবে নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠন করেন। গোপন ব্যালটে নির্বাচন না করে মৌখিকভাবে ভোট গ্রহণ করে ইচ্ছে মতো ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি বিএনপি‘র দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি হওয়ায় স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দাবি জানালেও তা কর্নপাত না করে কতিপয় নেতারা প্রকাশ্যে ইন্দন জুগিয়ে ৪০ জন কাউন্সিলরের মৌখিক ভোট গ্রহণের অভিযোগ উঠে।
মামলা বাদি পক্ষের আইনজীবি মাসউদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদকে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলাটি আগামী ১১ এপ্রিল বিচারের দিন ধার্য করা হয়েছে।
-
বিএনপি নির্বাচন অংশগ্রহণে ভয় পায়-ড.হাছান মাহমুদ।
বিএনপি নির্বাচন অংশগ্রহণে ভয় পায়-ঠাকুরগাঁওয়ে ড.হাছান মাহমুদ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, এমপি বলেছেন, গত ১৩ বছরের সরকারের উন্নয়নের কারণে রাজনৈতিক পরাজয়ের শঙ্কায় বিএনপি ও তারা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আজ দেশের সব মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। গত ১৩ বছরের বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আগের তুলনায় দেশর মানুষ অনেক ভাল আছে। আর এ জাতীয় উন্নয়ন যাদের পছন্দ হয়না বিএনপি ও তাদের দোসররা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এবং দেশের মানুষের মধ্যে তারা নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বুধবার দুপুরে (০৯ মার্চ) জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম বিডি হলে জেলা আ.লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আ’লীগ গণমানুষের সংগঠন এবং বাঙালির সমস্ত অর্জন এসেছে আ’লীগের মাধ্যমে। বাঙ্গালীর স্বাধীনতার সংগ্রামের নেতৃত্বে দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গন্ধুর স্বপ্ন পুরনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯৯তম। শস্য উৎপাদনের দিক দিয়ে ২য়, আলু উৎপাদনে সপ্তম, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে সেরা। আজ আমি ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছি তৃনমূলের নেতাদের সাথে কথা বলার জন্য, সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য।যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা প্রদান করার জন্য।
প্রথমত বিএনপি নির্বাচন অংশগ্রহণে ভয় পায়। তাদের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির জন্য তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শাস্তিপ্রাপ্ত ও দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। সে কারনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবে না। তাদের নির্বাচনে কোন আগ্রহ নাই। এজন্য তারা তাদের দলকেও নির্বাচনমুখী করতে চায় না। আগামী নির্বাচনে তাদের যে পরাজয় হবে এটি মোটামুটিভাবে তারা নিশ্চিত হয়েছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ও বিএনপির নেতারা আমাকে উদ্দেশ্যে করে বিভিন্ন কথা বলছেন। আমি গ্রামের এমপি। গত ২০ বছরে আমি সব সময় আমার নির্বাচনী এলাকায় মাঝে মধ্যেই যাই। কিন্তু মির্জা ফখরুলেরা সব সময় নয়াপল্টনে বসে থাকেন। সেখানেই খান,সেখানেই ঘুমান। সে কারনে তারা দেশের অবস্থা জানেন না। আমরা যে সারাদেশ বিচরন করি। সারাদেশ আমরা ঘুরে বেড়াই। মির্জা ফখরুল ও রিজভী সাহেবরা কার্যালয়ে বসে থাকতে থাকতে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। আর তারা যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করছেন সেগুলো জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
করোনা ও ইউক্রেন রুশ যুদ্ধের জন্য ২/১ টি পন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়াও বিএনপি পন্থী ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট তো রয়েছে এতে। এটা শুধু আমাদের দেশে না সারা বিশ্বে পন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবিষয়ে ইতিমধ্যে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
সাধারণ মানুষ যাতে ক্রয়সীমার মধ্যেই যেকোন পণ্য সামগ্রী পেতে পারে এজন্য টিসিবির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি স্বল্প আয়ের মানুষকে এ টিসিবির পন্য দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে। সে সকল ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
পরে প্রধান অতিথি আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, আমরা আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ধিত সভা করছি। সভার অর্থ হলো আবার সংগঠনকে গতিশীল করা। দীর্ঘদিন পরে হলেও আমরা একত্রে মিলিত হয়েছি।
যারা এবারের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছেন আপনাদের জানা উচিত কিভাবে চেয়ারম্যান হয়েছেন। যারা হতে পারেননি বিভিন্ন কারনে বা দলীয় কোন্দলের কারনেহেরেছেন। আমরা একমাত্র হরিপুর ছাড়া জেলার প্রত্যেকটা উপজেলা,থানায় ভাল ফলাফল করেছি। এজন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নিজেদের কোন্দলের কারনে কিছু হেরে গেছেন।সদর উপজেলার হারার কথা না। ২২টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা।
আমরা প্রত্যেকটা জিততে পারতাম। কিন্তু ৫/৬ টা হেরেছি নিজেদের কোন্দলের কারনে। এ কারনে অনেক নেতা কর্মী বহিস্কার হয়েছেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করা হয়েছে। এখন থেকে আপনাদের বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা গুলি চিহ্নিত করতে পারলে সেগুলো সমাধান করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমরা আবার নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে আসবো। আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমেই তারা আসুক।
অনুষ্ঠানে জেলা আ.লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ: সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য ও সাবেক এমপি এ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সদস্য ও সাবেক এমপি এ্যাড. সফুরা বেগম রুমি প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়।
অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসম গোলাম ফারুক রুবেল, এ্যাড. মোস্তাক আলু টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী ভুট্টো, ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, প্রত্যেক উপজেলার আ’লীগের সভাপতি, সম্পাদক,সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আ’লীগের বিভিন্ন সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
-
ত্যাগীদের বঞ্চিত করে অনিয়মতান্ত্রিক বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্নর অভিযোগ।
ত্যাগীদের বঞ্চিত করে অনিয়মতান্ত্রিক বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্নর অভিযোগ।
দলের ত্যাগী নেতাদের কৌশলে বঞ্চিত করে অনিয়তান্ত্রিক ভাবে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে উপজেলা বিএনপির কমিটির নামে প্রহসন কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।অভিযোগ রয়েছে,ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দলের নীতি আদর্শ ভুলে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কমিটি ঘোষনা দিয়ে উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনকে ধ্ধংস করার হীন উদ্দেশ্যে মেতে উঠেছেন ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রশিদির লুনার অনুসারী উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নূল হক চৌধুরী। এনিয়ে উপজেলা বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ করছে।
একাধিক ত্যাগী নেতারা বিষয়টি নিয়ে দলের মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগসহ অনিয়মের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিতে শুনা গেলেও অনেকে আবারও মূয়নূল হক চৌধুরী সিন্ডিকেটের ভয়ে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনিত হয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অক্লান্ত প্ররিশ্রমে ময়নূলহক চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মকান্ড থেকে নিজেকে আড়াল রাখার পাশাপাশি বিএনপির তথা জিয়াউর রহমানের নীতি আদর্শ ভুলে তিনি হয়ে উঠেন দিনের আওয়ামীলীগ ও রাতের বিএনপি।
এ ক্ষেত্রে দিনের বেলা সরকারী বা সামাজিক অনুষ্টনের দোয়াই দিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে আতাতের রাজনীতি চালিয়ে গেলেও রাতে ইলিয়াস পত্নী লুনার সাথে যোগাযোগ করে বিএনপি বনে বিগত পঁাচ বছর কাঠিয়ে দিলেও আগামী উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সমর্থন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ ক্ষেত্রে তঁার নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কমর্ীদের হুমকি-ধামকি অব্যাহত রাখছেন। নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠনে কলকাটি নাড়েন।
এমতাবস্থায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এই কমিটি বাতিল করে গোপন ভোটের মাধ্যমে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। অভিযোগ রয়েছে, গোপন ব্যালটে নির্বাচন হবার বিধান থাকলেও মৌখিকভাবে ভোট গ্রহণ করে ইচ্ছে মতো ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যা বিএনপি‘র দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি।স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের নিয়ম থাকলেও নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে ৪০ জন কাউন্সিলরের মৌখিক ভোট গ্রহণ করেন।
এতে ভোটাররা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ দ্বারা প্রভাবিত হন বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।জানা গেছে,দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার দয়ামীর বাজারে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপিথর চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপিথর আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী। কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনের অলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপিথর আহবায়ক জরিদ আহমদ। ২য় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপিথর আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।দ্বিতীয় অধিবেশনে দয়ামীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা বিএনপিথর সভাপতি ঘোষণা করা হয়।সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় মৌখিক ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়।
পদ পদবী বঞ্চিত বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান,পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাউন্সিলারদের প্রকাশ্যে প্রভাবিত করে এস টি এম ফখর উদ্দিনকে সভাপতি,মুজাহিদুল ইসলামকে সহ সভাপতি, আব্দুল্লাহ মিছবাহকে সাধারণ সম্পাদক, কয়েছ আহমদ চৌধুরীকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,রায়হান আহমদকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষনা দিয়ে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির আশিংক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কাউন্সিলের পূর্বে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রাথর্ীতা প্রত্যাহারকারী এক বিএনপি নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এসব অনিয়মতান্ত্রিক বিষয়গুলো পূর্ব থেকে আচঁ করতে পেরে মান-সম্মানের ভয়ে নিজের প্রাথর্ীতা প্রত্যাহার করেছি।সদ্য ঘোষনাকৃত মনগড়া কমিটির মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেটের মিশন বাস্থাবায়নর হলেও বিএনপি ও ইলিয়াস আলীর নীতি আদর্শকে ধংস্স করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী গয়াছ মিয়া বলেন, বিএনপি‘র আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কার্যক্রমের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।গোপন ব্যালটে নির্বাচন হবার বিধান থাকলেও মৌখিকভাবে ভোট গ্রহণ করে ইচ্ছে মতো ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোনভাবেই এই ভোটকে স্বচ্ছ বলা যায় না। এটা দলের কাউন্সিলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অবৈধ।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ এনামুল হক পীর এনাম বলেন বিএনপিথর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে,ভোটার তালিকা প্রণয়ণ করে কাউন্সিলের ভোট গ্রহণের বিধান রয়েছে। কিন্তু উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দ সারি বেধে প্রকাশ্য টেবিলে বসে ভোটারদের ভোট নেন। এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ময়নূল হক চৌধুরী ভোটারদের প্রভাবিত করে নিজ স্বাথ হাছিলে পকেট কমিটি ঘোষনা দিয়ে বিএনপির ঘাটি খ্যাত ওসমানীনগরে বিএনপিকে ধংস্স করার পায়তারায় মেতে উঠেছেন।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী সৈয়দ এনায়েত হোসেন বলেন, কাউন্সিলের অন্তত ৭ দিন পূর্বে প্রার্থী ও ভোটারদের ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। কাউন্সিলের মাত্র ২ দিন আগে (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী) তাজপুর, গোয়ালাবাজার ও উসমানপুর ইউপিতে মনগড়া কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটিতে যোগ্যতার বিচার না করে ময়নূল হক চৌধুরী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তঁার পছন্দের লোকদের অন্র্Íভূক্ত করিয়েছেন। রাতারাতি (২৮ ফেব্রুয়ারী) উপজেলা বিএনপি সম্মেলনের আয়োজন করে ইউনিয়ন বিএনপির ভোটারদের একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রভাবিত করে ভোটের নামে প্রহসন করে মনগড়া কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।এখানে ভোটাধিকার হচ্ছে জাস্ট আইওয়াশ। বিএনপি নেতা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী আড়ালে থেকে এসব নীল নকশার বাস্তবায়ন করে বিএনপিকে ধংস্স করে দিচ্ছেন।
এ ব্যপারে জানতে ওসমানীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা বিএনপি নেতা ময়নূল হক চৌধুরীর মুঠো ফোনে শনিবার একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভি করেননি।
সিলেট জেলা বিএনপিথর আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন,কমিটি গঠন এটা আমাদের দলীয় অভ্যান্তরীণ বিষয়।এটা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করাই ভালো। ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের ব্যাপারে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন,এটা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে লাভ নেই এ বিষয়ে কেন্দ্রে লিখিত ভাবে অভিযোগ করতে পারেন। -
ভূতের মুখে রামের নাম;বিএনপি নেতাদের বক্তব্যঃ ওবায়দুল কাদের।
ভূতের মুখে রামের নাম;বিএনপি নেতাদের বক্তব্যঃ ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন তারা নাকি বিভক্তের রাজনীতি করেন না। তাদের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রাম নাম ধ্বনি ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন,রাজনীতিতে বিএনপিই বিভাজন রেখা ও ঐক্যের সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা উল্লেখ করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের পরিকল্পিতভাবে লাগাতার মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করেন। সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তাই নয়, সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক হলো বিএনপি।
তাদের চাতুর্যপূর্ণ কথামালার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর কুৎসিত পরিকল্পনা। তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন যাদের অস্থিমজ্জায়, দুর্নীতি আর লুটপাট যাদের রাজনীতি তারা যতই চটকদার কথা বলুক না কেন জনগণ এখন আর তাদের এসব অপকৌশলে আস্থা রাখে না।
স্বৈরশাসন, অপপ্রচার, গুজব, মিথ্যাচার,দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও ধর্মান্ধতা নির্ভর রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
-
যুবদল নেতা আকবর হত্যাকারীদের গ্রেফতারে বিএনপি’র ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আলী আকবরের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়।জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি অমর কৃঞ্চ দাসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হারুন অর রশিদ খান হাসানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
এসময় তিবি বলেন,নিহত আলী আকবর সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বলে আমরা মনে করি। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন,গত ৩০ ডিসেম্বর বেগম খালেজা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবীতে জেলা বিএনপি’র সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আ’লীগ-বিএনপি’র নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় যারা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছিলো তাদের ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমরা মনে করি পুলিশ ইচ্ছে করলে যুবদল নেতা হত্যাকান্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হবে।
জেলা বিএনপি আয়োজিত এসংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর আলম, দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ,যুব বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা যুব দলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু,জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক শেখ মোঃ এনামুল হক,তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাংবাদিক এম.দুলাল উদ্দিন আহমেদ,সহ-প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক রেজাউল করিম খান,এনায়েতপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস ছালাম,জেলা যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ময়নুল ইসলাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্না, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আহসান হাবিব উজ্জ্বলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গ,গত বুধবার (২ জানুয়ারী) রাত ৮টার দিকে বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনীবাড়ী বাজারে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আলী আকবরকে গুলি করে হত্যা
করে দুর্বৃত্তরা। নিহত যুবদল নেতা আলী আকবর হোসেন সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড় সারুটি গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের । -
তাড়াশে ২মাস পর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা বিএনপি’র নব গঠিত পুনার্ঙ্গ কমিটির পরিচতি সভা ২মাস পর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ জানুয়ারী শনিবার সকালে তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি স,ম আফসার আলীর সভাপত্বিতে মহুরী অফিস সংলগ্ন অস্থায়ী কার্যালয়ে বিএনপির নব গঠিত পুর্নাঙ্গ কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখের স্বাক্ষরিত জেলা বিএনপি’র সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু এই কমিটির অুনমোদন দিয়েছেন।
এতে উপজেলা বিএনপির নব গঠিত কমিটির সহ সভাপতি বেনজির আহমেদ শফি, গোলাম আজম, বদিউজ্জামন,আশুতোষ স্যান্যাল,হায়দার আলী, সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আমিনুর রহমান টুটুল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক দুলাল হোসেন, প্রভাষক মহববত উল্লাহ মুক্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক সাইদুর রহমান, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এম সানোয়ার হোসেন সাজুসহ কমিটির ১০১জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
-
লক্ষ্মীপুরের বিএনপি মা-ছেলের সমিতি সংসদে এমপি নয়ন।
লক্ষ্মীপুর- রায়পুর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, বিএনপি নেতা ওবায়দুর রহমানের সহধর্মিনী; তিনি বলেছিলেন, এই বিএনপি হলো মা-ছেলের সমিতি। অর্থাৎ কখনো তারা স্বাধীনতার বিরোধী সমিতি, কখনো মা-ছেলের সমিতি। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও প্রস্তাব আলোচনা বিষয়ে এসব কথা বলেন এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। সংসদের শুরুতে স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আলোচ্য বিষয় অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের প্রশংসা করেন এমপি নয়ন।
এই সময় এমপি নয়ন আরো বলেন, দুর্নীতিতে যখন তারা নিমজ্জিত হয়েছিল; যখন হাওয়া ভবন, খোয়াবন সৃষ্টি করে রাজনৈতিক পথকে কলুষিত করেছিল; রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছিল, সরকারের কেভিনেটের ডিশিসনের আগে হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হতো। এমনি ধরনের একটি নষ্ট এবং ভ্রষ্ট রাজনীতির জনক যখন তারা হয়েছিল; সেই বিএনপির কাছে আমরা যখন রাজনীতির কথা শুনি, গণতন্ত্রের কথা শুনি, আদর্শের কথা শুনি, উন্নয়নের কথা শুনি, তখন আমাদের আসলেই কষ্ট লাগে।