Tag: বাড়ি

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি বাড়ি আগুনে পুরে ছাই;৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি বাড়ি আগুনে পুরে ছাই;৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।

    ঠাকুরগাঁওয়ে ৩টি বাড়ি আগুনে পুরে ছাই;৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি।


    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিন টি বাড়ি। উপজেলার ৭ নং রাতোর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ভাটপাড়া নামক গ্রামে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার ৮ মার্চ বিকালে ভাটপাড়া গ্রামের মফিজুলের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের আরও দুইটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।খবর পেয়ে রাণীশংকৈল থানার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

    এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক নির্ধারণ করা সম্ভব না হলেও প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোরবান আলী। তার নগদ দুই লক্ষ টাকা সহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান স্হানিয়রা ।মফিজুল ইসলামের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় ,আলমের প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়।

    ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন জানান, ঘরে থাকা নগদ টাকা, চাল-ডাল, খাদ্যসামগ্রী ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। আগুনে সুখের সংসার তছনছ হয়ে গেল। এখন কী করবেন, কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।

    ৭ নং রাতোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু শরৎচন্দ্র রায় বলেন,অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। তিনটি ঘরের যাবতীয় আসবাব পত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে এবং আরও কয়েকটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    রাণীশংকৈল উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নাসিম ইকবাল জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এতে তিন টি বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

    উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, আগুনে বাড়ি ঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি কালকে সকালে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পরিদর্শনে আসবেন বলে জানান তিনি।

  • লক্ষ্মীপুরের গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের বাড়িতে এমপির জামাইয়ের হামলার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের বাড়িতে এমপির জামাইয়ের হামলার অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের বাড়িতে এমপির জামাইয়ের হামলার অভিযোগ।


    লক্ষ্মীপুরে ৩তিন লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে শাকিল হোসেন নামে এক গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের (এআই) বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম সাইদুল বাকিন ভূঁইয়া। তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের মেয়ের জামাই। সোমবার (৭সাত মার্চ) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পশু চিকিৎসক শাকিল হামলার অভিযোগ করেন।

    এরআগে রোববার (৬ছয় মার্চ) রাতে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ছবিলপুর গ্রামের মীরগঞ্জ বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় ঘরের ১০ টি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। একটি প্রসূতি গরুকে মারধর করে হামলাকারীরা। এতে গরুটির বাচ্চা মারা যায়। ঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়।

    অভিযুক্ত বাকিন পাশ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের লুধুয়া ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা। অভিযোগ করে শাকিল, তার বাবা আনোয়ার হোসেন ও মা কুলসুম বেগম জানায়, এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য বাকিন ভূঁইয়া তাদের কাছ থেকে ৩তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু এতো টাকা দেওয়ার সামর্থ তাদের নেই। এতে গত একবছর ধরে বিভিন্নভাবে তাদেরকে মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে শাকিলকে মীরগঞ্জ বাজারে বাকিন ভূঁইয়াসহ তার লোকজন আটকে রাখে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় বাকিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক এসে শাকিলদের বাড়ির জানালা ও ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় বাড়ির লোকজন হামলাকারী একজনকে আটকে রাখে। পরে রাত ১০ টার দিকে পুলিশ নিয়ে এসে বাকিন আটক ওই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের একটি প্রসূতি গরুকে মারধর করা হয়। এতে গর্ভে থাকা গরুর বাচ্চাটি মারা যায়।

    শাকিল হোসেন বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় বাকিন ভূঁইয়া আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। আমাকে মারার জন্য আটকে রাখে। পরে তারা আমার বাড়িতে ঢুকে আমিসহ আমার বাবা, মাকে মারধর করে। পরে আমি পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। বাকিন ভূঁইয়া এমপির জামাই হওয়ায় স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটাচ্ছেন।

    সাইদুল বাকিন ভূঁইয়া জানান, শাকিলের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আদালতে গরু চুরির মামলা চলমান। তিনি ১৮ দিন কারাগারে ছিলেন। আদালতে যাওয়ার পথে শাকিল ও তার লোকজন ওই মামলার স্বাক্ষীদের আটকে রাখে। স্বাক্ষীদের ছাড়াতে গেলেই শাকিলসহ ৪-৫ জন আমার ওপর হামলা করে। আশপাশের লোকজন না বাঁচালে তারা আমাকে মেরে ফেলতো। এখন তারা আমার নামে মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • পীরগঞ্জে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন।

    পীরগঞ্জে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন।

    পীরগঞ্জে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে অনশন।


    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে  স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে ৩ দিন ধরে অনশন করছে ঝর্ণা রাণী নামে এক যুবতী।ঝর্ণা রাণী রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের লেহেম্বা গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ রায়ের মেয়ে।

    সোমবার (২৮ ফ্রেরুয়ারী) উপজেলার ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নের কানারী গৌসাইপুর গ্রামে সরেজমিনে গেলে এই অনশনের চিত্র চোখে পড়ে।

    আইন অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ বন্ধনে বিয়ের ৩’মাস অতিবাহিত হলেও স্বীকৃতি দিচ্ছেন না তার স্বামী ও তার পরিবার। তাই এই অনশন করছেন ঝর্ণা রাণী।

    জানা গেছে, কানারী গোসাইপুর গ্রামের সত্যেন্দ্রনাথের ছোট ছেলে কমলা কান্তের সাথে গত বছরের ১৯’নভেম্বর হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার হয় কমলাকান্ত ও ঝর্না দম্পতির।

    বিয়ের পর থেকেই কমলাকান্তের বড় ভাই জ্যোতিসের কু’পরামর্শে ও পারিবারিক চাপে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে করে দেন কমলাকান্ত এমনটাই বলে জানান অনশনকারী ঝর্ণা রাণী।

    স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অংশনকারী ঝর্ণা রাণী জানান, কমলা কান্ত’র পরিবার মেনে নিচ্ছে না পুত্রবধু হিসেবে। আমাকে তারা মারপিট করছে এবং কমলার বড় ভাই পীরগঞ্জ উপজেলার জুনিয়র পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জ্যোতিষ রায় তাকে বিভিন্ন রকম হুমকিসহ অপবাদ দিচ্ছে।

    এ বিষয়ে কমলা কান্তের ভাই জ্যোতিষ রায় বলেন, অনেক ভেজালে আছি দাদা। আমরা বিষয়টি আপোষ করার চেষ্টা করছি। যে টাকা যৌতুক দিয়েছিল তারা সেগুলো উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে আমরা জমা দিয়েছিলাম তারা টাকাটা ফেরত নিয়ে গেছে।

    এ বিষয়ে সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, আমরা এই বিষয়টি রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সমাধান করার চেষ্টা করছি।

  • গ্রামবাসীর দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহতের ঘটনায় ভয়ে দলে দলে বাড়ি ছাড়ছেন।  

    গ্রামবাসীর দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহতের ঘটনায় ভয়ে দলে দলে বাড়ি ছাড়ছেন।  

    বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে দিনভর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি দক্ষিণপাড় মহল্লার খলিল মোল্লা ও লতিফ প্রামাণিক এ দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ২ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছে। নিহত ইয়ারমিন (৩৫) ওই গ্রামের মোল্লা গোষ্ঠির ইউনুস মোল্লার ছেলে বলে জানা গেছে। আহতদের শাহজাদপুর, বেড়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

    এ সময় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে। প্রাণভয়ে মহল্লাবাসী গরু,ছাগল, আসবাবপত্রসহ দলে দলে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১০ জনকে গ্রেফতার করে। উভয় পক্ষই থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুনরায় সংঘর্ষের আশংকায় মহল্লাবাসী বিচলিত হয়ে পড়েছে।

    সরেজমিন পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বাঘাবাড়ি দক্ষিণপাড় মহল্লার মোল্লা গোষ্ঠির আমিরুল মোল্লা কর্তৃক সন্ত্রাসী তান্ডব,চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই,ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর মোল্লা গোষ্ঠির সাথে প্রামানিক গোষ্ঠির হামলা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধের সৃষ্টি হয়।

    এ বিরোধের জের ধরে এ দিন সকাল সাড়ে ৭টায় দু‘পক্ষের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের লোকজনই হাসুয়া,রামদা,লাঠি,ফালা, হলেঙ্গা,ঢাল,সর্কি নিয়ে একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,ইট পাটকেল নিক্ষেপ, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

    এ বিষয়ে প্রামানিক গোষ্ঠির মিজানুর রহমান, আব্দুল লতিফ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মোল্লা গোষ্ঠির আমিরুল মোল্লা কর্তৃক সন্ত্রাসী তান্ডব, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা চলতে থাকলেও মোল্লা গোষ্ঠির লোকজন এর প্রতিকার ও সুবিচার না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এদিন সকালে তারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করে। আমরা বাঁধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    অন্যদিকে, মোল্লা গোষ্ঠির কামাল আহমেদ বাবু, ‘খলিল মোল্লা, মিন্টু মোল্লা বলেন, কোন কারণ ছাড়াই তারা অতর্কিতে আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের ফালার আঘাতে আমাদের ১ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।’

    এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে মৃদু লাঠি চার্জ করে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোন পক্ষ মামলা করেনি। মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • দেওয়ানগঞ্জে কৃষকের বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই;লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি। 

    দেওয়ানগঞ্জে কৃষকের বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই;লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি। 

    ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ শনিবার ২০ নভেম্বর দুপুরের দিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের সানন্দবাড়ী পাঠাধোয়া পাড়া গ্রামের মোঃ ইকবাল হোসেন নামের এক কৃষকের বাড়ী আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।এ ঘটনায় ওই কৃষকের লক্ষাধীক টাকার নগদ অর্থসহ কৃষি পণ্য ক্ষতি হয়েছে।
    জানা যায়, আজ ২০ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে তালাবদ্ধ ঘরে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। সংবাদ লেখা পর্যন্ত আগুন লাগার উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এতে নগদ অর্থ সহ লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ীটি পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, স্থানীয় সরকারের তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাহায্য করার ব্যবস্থা করা হবে।
  • পরিক্ষা শেষ করে বাবার মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরা হলোনা স্কুলছাত্রী আরিফার।

    পরিক্ষা শেষ করে বাবার মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরা হলোনা স্কুলছাত্রী আরিফার।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ফুলকলি কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের ছাত্রী আরিফা খাতুন(৮) পরিক্ষা শেষ করে বাবার মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত। বাবার মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফেরা হলো না আরিফার ।

    ১৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় উপজেলার সলপ ইউনিয়নের সলপ স্টেশন-কৃষকগঞ্জ বাজার আঞ্চলিক সড়কের রামগাঁতী গ্রামে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়।

    জানা যায় আটবাকী গ্রামের আমিরুল ইসলাম তার মেয়ে আরিফার পরিক্ষা শেষে মোটরসাইকেলের পিছ বসিয়ে কৃষকগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ফুলকলি কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে রামগাঁতি গ্রামের ভিতরে আসলে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে চাপা দিলে মোটরসাইকেলের আরোহী আরিফা খাতুন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলামও আহত হন।

    নিহত আরিফা খাতুন উপজেলার সলপ ইউনিয়নের আটবাকী গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে ও কৃষগঞ্জ ফুলকুলি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের নার্সারী ক্লাসের ছাত্রী।

    স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সিমেন্টবাহী ওই ট্রাকটি ভাংচুর করে এবং ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ।

    এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির আমারজমিকে জানান, পুলিশ ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।

  • মাধবপুরে বিজিবি’র উদ্যোগে মাদক ব্যবসায়ী’র বাড়ি চিহ্নিত।

    মাধবপুরে বিজিবি’র উদ্যোগে মাদক ব্যবসায়ী’র বাড়ি চিহ্নিত।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিজিবি’র উদ্যোগে সীমান্তবর্তী এলাকায় কয়েকটি গ্রামে বাড়ি চিহ্নিত করতে ‘বাড়ির সামনে মাদক কারবারি বাড়ি’ লেখা লাল রং এর ডিজিটাল সাইনবোর্ড টানানো হচ্ছে। হঠাৎ করে এসব দেখে যে কারোর চোখ আটকে যাবে।

    মাধবপুর উপজেলার বহরা,চৌমুহনীসহ সীমান্তবর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের মাদক কারবার জড়িতদের বাড়ি এভাবেই চিহ্নিত করে রাখতে দেখা যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’কে।

    জানা যায়, মূলত মাদক কারবারিদের বাড়ি চিহ্নিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়ির সামনে ডিজিটাল ব্যানারের সাইনবোর্ড লাগিয়ে এ উদ্যোগ কার্যকর করছেন তারা।

    গত সোমবার সকাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের মনতলা,হরিণখোলা ও রাজেন্দ্রপুর বিওপির সদস্যরা বিভিন্ন গ্রামের ১০টি বাড়িতে গিয়ে এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করে বিজিবি।

    বিজিবি’র সকাল-সন্ধ্যা অভিযানে সারাদিন চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়িতে গিয়ে সীমানা প্রাচীর, বাড়ির রাস্তায় কিংবা,দেয়ালে লাল রং এর ডিজিটাল ব্যানারের সাইনবোর্ডে ‘মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি’ও চোরাকারবারির বাড়ি’ লাগিয়ে দিয়েছেন।

    বিজিবি কর্তৃক চিহ্নিত ১০টি বাড়ি হলো: মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের বলু মিয়া,রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আহাদ মিয়া, শ্রীধরপুর গ্রামের কবির মিয়া, চৌমুহনী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের ধনু মিয়া, কাউছার মিয়া, জয়নাল মিয়ার ও সফু মিয়া, কমলপুর গ্রামের স্বপন মিয়া,খালেক মিয়া,জানু মিয়ার বাড়ি। এই ১০ জন মাদক কারবারি বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়ে। বিজিবির এ ব্যাতিক্রমী উদ্যোগে খুশী স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিজিবির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সমাজে প্রত্যেকটি অপরাধীর মুখোশ এভাবেই উন্মোচন করা দরকার। এতে করে সমাজে ঘৃণ্য ব্যক্তিদের মুখোশ খানিকটা হলেও উন্মোচিত হবে।বিজিবি’র এ উদ্যোগের ফলে বেশ সুফল মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা। একই সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত প্রত্যেকের বাড়িতেই যেনো এভাবে চিহ্নিত কার্যক্রম অব্যহত থাকে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

    বিজিবির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, তাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চলতি মাসে এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন থেকে নিয়মিত এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

    বিজিবির মনতলা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু বকর, হরিণখোলা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাদেক আলী এবং রাজেন্দ্রপুর ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল হাফিজ এর নেতৃত্বে একার্যক্রম পরিচালিত হয়।এ মাদকবিরোধী সচেতনামূলক অভিযানে গিয়ে বিজিবি’র পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাদক সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি এসব সাইবোর্ড যেন কেউ তুলে না ফেলে বা মুছে না ফেলেন সে বিষয়েও কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

    এ কার্যক্রম সম্পর্কে বিজিবি হবিগঞ্জ ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী জানান, বিজিবির হাতে ধরা পড়া চিহ্নিত মাদক কারবারিদের বাড়িতে এভাবে সাইনবোর্ড লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ মাদক নির্মূলে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন।

  • রায়পুরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার লুট।

    রায়পুরে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার লুট।

    সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুর রায়পুরে সৌদি প্রবাসী হানিফ মিয়ারজির বাড়ি থেকে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা।

    এঘটনায় সন্দেহপ্রবন হয়ে মোঃআজাদ নামের এক যুবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।

    বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ভোর ৪ টার সময় উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের মধ্য কেরোয়া গ্রামের হানিফ মিয়ারজির বাড়িতে এঘটনা ঘটে। গত বছরের একই বাড়িতে সেপ্টেম্বর মাসেও একবার ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিলো। এঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে
    প্র
    বাসি রিয়েল মিয়াজীর বাবা হানিফ মিয়াজি (৬৫) বলেন, বাড়ির কলাপসিবল গেট বন্ধ করে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। বারান্দার গ্রীল কেটে ১০-১৫ জনের ডাকাত দল ঘরের ভিতর এসে ৩টি কক্ষে ঢুকে অস্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৩টি মোবাইল ফোন ও মালামালসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালমাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিলে গৃহবধুকে আহত করেছে।

    এই ঘটনায় প্রবাসীর বাবা হানিফ মিয়াজি বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

    লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ডাকাতি হওয়া বাড়ি পুলিশ পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • নলডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ীর বসত বাড়ি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার।

    নলডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ীর বসত বাড়ি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার।

    নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের নলডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল শেখের বসত বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে গাঁজার গাছ উদ্ধার করেছে।ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ছিলেন নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

    এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় কিন্তু তার চাষ করা গাঁজার গাছ উদ্ধার করেন আদালত।

    বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভূষণগাছা গ্রামের জুয়েল শেখের বাড়ি ভিতর হতে একটি মাদকদ্রব্য গাঁজার গাছ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। এ সময় গাঁজা ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্মিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। গাজা ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ ওই গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,নাটোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার ভূষণগাছা গ্রামের জুয়েল শেখের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় গাঁজা ব্যবসায়ী জুয়েল শেখের বাড়ির ভিতর থেকে অনুমান ৩ কেজি ওজনের একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

    পরে ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ পালিয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • মানবতার ফেরিওয়ালা দৌলতখানের ইউএনও অসহায় শিশু মারুফের বাড়িতে

    মানবতার ফেরিওয়ালা দৌলতখানের ইউএনও অসহায় শিশু মারুফের বাড়িতে

    গরিব, অসহায়, নিপীড়িত, ও কর্মহীন মানুষের জন্য আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে কাজ করেন দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার। বর্তমানে তিনি দৌলতখানে অল্প সময়ে সবার ভরসার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন।

    মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, শিক্ষার্থীসহ অসহায় মানুষের বিপদের বন্ধু তিনি। দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই তিনি প্রাধান্য দেন।

    খবরের কাগজ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অসহায় মানুষের খবর আসলে সহায়তা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন তাদের বাড়ি। সম্প্রতি দৌলতখানে অসহায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান শিশু মারুফের পা ভেঙে অর্থের অভাবে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে দরিদ্র পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

    বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনওথর নজরে আসলে তিনি ওই পরিবারটির বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। সেখানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহুয়া আফরোজ উপস্থিত ছিলেন।

    এ ছাড়াও তিনি পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার কে অসহায় মারুফের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার অসহায় শিশুর চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন। তিনি মারুফের চিকিৎসার সকল খরচ বহন করবেন বলে আশ্বাস দেন।

    করোনাকালীন সময়ে প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজের অর্থে অনেকের পাশে থেকে হয়েছেন তাদের পরিবারের একজন।

    ইউএনও মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার দেশের করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই নিজের জীবনের পরোয়া না করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে সর্বোত্রে মাঠে থেকে কাজ করছেন। করোনার শুরু থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লকডাউন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ত্রাণ হতদরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়াসহ মাস্ক না পরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, নির্দিষ্ট সময়ের পর দোকানপাট বন্ধ রাখতে ছুটছেন দিনরাত।

    বর্তমান কঠোর লকডাউনে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য কাজ করছেন। ঘরবন্দি মানুষকে বাঁচাতে ত্রাণ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। এছাড়াও ৩৩৩-তে ফোন দিলেই মধ্যবিত্ত মানুষের ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ।

    দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার বলেন, আমি ইউএনও হিসেবে নয় অসহায় প্রতিটি পরিবারের একজন সদস্য হয়ে বাঁচতে চাই। ছাত্রজীবন থেকে মানুষের কষ্ট দেখলে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি। চাকরি সূত্রে আমি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যতটুকু পেরেছি নিজ থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি ‘মানুষথ, এটাই আমার সবচেয়ে বড় বিশেষণ। কতটুকু সফল হতে পেরেছি জানি না। প্রতিদিন যদি আমি একটি মানুষেরও সামান্য উপকারে আসতে পারি এটাই আমার স্বার্থকতা।