Tag: বালিয়াডাঙ্গী
-
বালিয়াডাঙ্গীতে জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা ও কম্বল বিতরণ।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ক্যান্সার, কিডনি ও জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্তসহ বিভিন্ন অসহনীয় রোগে ভুগছেন অনেক মানুষ। তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাওয়া এসব অসহায় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদে ৩৩ জন রোগীর মাঝে ১৫ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকার চেক এবং ১০০ জনের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) তুলে দেওয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার দেবনাথের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি চেক ও কম্বল বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শরিফুল ইসলাম, ফিল্ড অফিসার শফিউল আলম সরকার, উপজেলা আনসার কর্মকর্তা সাহারা বানু, উপজেলা বণিত সমিতির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।স্থানীয় সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৩০ জন উপকারভোগীকে ৫০ হাজার টাকার চেক এবং তিনজনকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি শীত নিবারণের জন্য ১০০ জন দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।চেক গ্রহণকারী রোগীদের চোখে-মুখে ছিল কৃতজ্ঞতার ছাপ। একাধিক রোগী জানান, এই অর্থ তাদের চিকিৎসার খরচ চালাতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। -
বালিয়াডাঙ্গীতে বেকার নারীদের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাইমেশিন বিতরণ।
(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:বেকার নারীদের স্বাবলম্বী করতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ৪০ জন নারীকে দুই মাস প্রশিক্ষণ প্রদানের পর বিনামূল্যে সেলাইমেশিন প্রদান করা হয়েছে।আজ দুপুরে আন্তজার্তিক দাতা সংস্থা ওয়েলবিং বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে গ্লোবাল রিলিফ ট্রাষ্টের অর্থায়নে বালিয়াডাঙ্গী পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়।সেলাইমেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ।জমিরিয়া ইহয়াউল উলুম মাদরাসার সভাপতি আলহাজ্ব বাবর আলীর সভাপতিত্বে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মাহবুবর রহমান, উপজেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক মকবুল হোসেন, গ্লোবাল রিলিফ ট্রাষ্টের উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি মুফতি শরিফুল ইসলাম, বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন জীবন এতে বক্তব্য দেন।এ সময় গণউন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি বেলাল উদ্দীন, জমিরিয়া মাদরাসার শিক্ষক রবিউল আউয়াল প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন।বক্তারা আন্তজার্তিক দাতা সংস্থা ওয়েলবিং বাংলাদেশ সোসাইটির এবং গ্লোবাল রিলিফ ট্রাষ্ট এমন মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে আগামীতে আরও এ ধরণের কাজ বৃদ্ধির আহ্বান জানান। -
বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের হাতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আটক
(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে অনুপ্রবেশের পর শেখ আলিমুর রহমান (৪৬) নামের এক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে আটক করেছে বিএসএফ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্তের ৩৮০ মেইন পিলার থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করলে বড় বিল্লা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ভারতের গোয়ালপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহমেদ প্রতিনিধিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আমরা আশা করছি, সেখানে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে ফেরত পাওয়া যাবে।’
বিএসএফের হাতে আটক সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ আলিমুর রহমান খুলনা জেলার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম ডা. রহমান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ কোর্সের লেফটেন্যান্ট পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
বিজিবি’র কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই তারা বিএসএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন। বিজিবি’র পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পথে আলোচনা চালিয়ে আটককৃত নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলছে, সীমান্ত এলাকায় কদিন ধরে ভবঘুরের মতো ঘোরাফেরা করছিলেন শেখ আলিমুর রহমান। গতকাল তিনি সীমান্তের নাগর নদী পার হয়ে অপর পারে চলে যান। সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার ফলে সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত ওই ব্যক্তিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে বিজিবি’র প্রতি তাদের আস্থা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজিবি কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং আটককৃত ব্যক্তিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
-
বালিয়াডাঙ্গীতে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে কিন্ডার গার্টেনের আদলে গড়ে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অভিভাবক।বুধবার বিকালে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাব হলরুমে দুওসুও ইউনিয়নের পেট্টোলপাম্প সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, সারাদেশের ন্যায় বালিয়াডাঙ্গীতে ব্যাঙের ছাতার মত মানহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্ডার গার্টেনের আদলে গড়ে উঠার পর ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন নিয়ে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাচ্ছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাতে হলে নির্ধারিত শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।মকবুল হোসেনের অভিযোগ, কিন্ডার গার্টেনে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে এক প্রতিষ্ঠানে। জেএসসি ও এসএসসি পাবলিক পরীক্ষার নিবন্ধন নিকটস্থ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হচ্ছে। ফলাফলের সময় এক শিক্ষার্থীর ফলাফলকে দুই প্রতিষ্ঠান নিজেদের মত করে দাবি করছে, প্রচারণা চালিয়ে অভিভাবকদের প্রতারিত করছে। বছরঘুরে বই বিতরণের সময়ও এক শিক্ষার্থীর জন্য দুই সেট বই দুই প্রতিষ্ঠানকে দিতে হচ্ছে সরকারকে। এতে সরকারের অপচয় বাড়ছে। এসব বন্ধ করতেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।এছাড়াও মকবুল হোসেন মনে করেন অনুমোদহীন এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার নামে বাণিজ্য করছেন। প্রতি বছর এক ক্লাশ থেকে পাশ করে অন্য ক্লাশে ভর্তির নামে অতিরিক্ত সেশন ফি নিচ্ছে। সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না। দীর্ঘদিন ধরে এসব চলে আসলেও প্রশাসন এসবে দেখেও চুপ আছেন। তাই তিনি বিষয়টি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গণমাধ্যমের দারস্থ হয়েছেন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মকবুল হোসেন বলেন, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্থা বা ট্রাষ্টের নামে পরিচালনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতসহ সরকারকে কারফাঁকি অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষাবোর্ড থেকে নুন্যতম অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন মনে করছে না। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার মধ্যে আনার দাবি তুলেন তিনি।জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, মাঠ পর্যায়ে এসব চলছে, আমাদেরও নজরে রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণলায় যদি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা সেটা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে পারবো। তাছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।সংবাদ সম্মেলনে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনএম নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন জীবন, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, দবিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। -
বালিয়াডাঙ্গীতে বসেছিলো বিনা পয়সার বাজার, সদাই কিনলেন ২’শ দরিদ্র মানুষ।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:আধা ঘন্টার জন্য বিনা পয়সার বাজার বসেছিল ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, মাছ-মাংস, লবন-চিনি ও শীতকালীন সবজি বিনা পয়সা সদাই কিনেছেন ২’শ দরিদ্র মানুষ।মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ওয়েলবিং বাংলাদেশ সোসাইটির আয়োজনে গ্লোবাল রিলিফ ট্রাষ্টের অর্থায়নে উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি মুফতি শরিফুল ইসলামের তত্বাবধানে দ্বিতীয় বার বালিয়াডাঙ্গীতে বিনা পয়সার বাজার বসানো হয়।বাজারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন গ্লোবাল রিলিফ ট্রাস্টের হেড অব প্রোগাম এন্ড অপারেটর জব্বার ইকবাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্তজার্তিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও জিরআরটির এ্যাম্বাসেডর মারইয়াম মাসুদ, তার বাবা মাসুদুর রহমান, গন উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি বেলাল উদ্দীন, জমিরিয়া মাদরাসার শিক্ষক রবিউল আউয়াল, বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম প্রমুখ।এর আগেও গত বছরের এপ্রিল মাসে বিনা পয়সার বাজারের আয়োজন করেছিল আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাটি। -
বালিয়াডাঙ্গীতে লাইসেন্স বিহীন করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে লাইসেন্স বিহীন করাতকল পরিচালনা করার দায়ে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার বিকালে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও এ্যাসিল্যান্ড মোহাম্মদ আরাফাত হোসাইন এ দণ্ড প্রদান করেন।দণ্ডপ্রাপ্ত করাতকল মারিক মোখলেস (৩০) উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের হলদিবাড়ী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। বালিয়াডাঙ্গী-নেকমরদ মহাসড়কের কাচকালী বাজারের উত্তরপার্শ্বে র্দীঘদিন ধরে লাইসেন্স বিহীন করাতকল চালিয়ে আসছিলেন।ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক এ্যাসিল্যান্ড মোহাম্মদ আরাফাত হোসাইন জানান, লাইসেন্স বিহীন করাতকল পরিচালনা করার দায়ে করাতকল মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের রায় দেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে করাতকল মালিক লাইলেন্সের জন্য এক মাসের সময় চেয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট। সময়ের মধ্যে লাইসেন্স না করলে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। -
বালিয়াডাঙ্গীতে ব্রি ধান-১০৩ নমুনা শস্য কর্তন শুরু।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে প্রথমবার চাষাবাদ হওয়া আমন ধানের নতুন জাত ব্রি ধান-১০৩ এর নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে এ শস্য কর্তন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল।
এ সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লতিফুল হাসান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাকেরিনা ইসলামসহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল জানান, এবারেই প্রথমবার আমন মৌসুমে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ২টি প্রদর্শনীতে ১২ বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে ব্রি ধান ১০৩। আমন মৌসুমে এ ধানটি বীজতলা থেকে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলতে মাত্র ১২৮-১৩৩ দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘায় ২৪-২৫ মণ ধান ফলন হয়েছে। যা অন্য আমন ধানের চেয়ে ৫-৭ মণ বেশি। আমরা আশা করছি আগামী মৌসুমে ব্রি ধান ১০৩ এর চাষাবাদ আরও বাড়বে।
কৃষক রাজু ইসলাম জানান, ৬ বিঘা জমিতে ব্রি ধান ১০৩ চাষাবাদ করেছি। রোগ বালাই খুবই কম হওয়ার কারণে অতিরিক্ত স্প্রে লাগে না, তাই উৎপাদন খরচ কম। বিঘা প্রতি ২৫ মণ ধান ফলন হচ্ছে। অথচ অন্য সব ধরনের আমন ধান ১৮-২০ মণ প্রতি বিঘায় ফলন হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছ, দুটি প্রদর্শনীতে ১২ বিঘা জমিতে আবাদ এবং স্থানীয় শতাধিক কৃষককে প্রশিক্ষণ চলাকালে ব্রি ধান ১০৩ আবাদে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে। আগামীতে নতুন জাতের এই ধানটি আবাদের পরিধি ব্যাপক ভাবে বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
-
বালিয়াডাঙ্গীতে বিনাধান-১৭’র নমুনা শস্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবস।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন আগাম আমন ধানের জাত বিনাধান-১৭ এর নমুনা শস্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের হরিণমারী নয়াপাড়া গ্রামে এ শস্য কর্তন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিট (বিনা) রংপুর উপকেন্দ্র কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী।বাংলাদেশ পরমনু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযাগিতায় শষ্য কর্তন কার্যক্রম ও কৃষক মাঠ দিবসে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, বুরহান উদ্দীন প্রমুখ এতে বক্তব্য দেন। এ সময় স্থানীয়রা কৃষক-কৃষানীরা উপস্থিত ছিলেন।রংপুর বিনা উপকেন্দ্র কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, বিনাধান-১৭ বীজতলা থেকে ধান কেটে ফসল ঘরে তুলতে মাত্র ১০৫-১১০ দিন সময় লাগে। যা অন্যান্য আমন ধানের তুলনায় ১ মাস কম। এ ধান উৎপাদন করলে কৃষকরা খুব সহজেই আমন এবং বোরো ধানের মধ্যবর্তী সময়ে আগাম জাতের আলু ও সরিষার আবাদ করতে পারবে।উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ সোহেল বলেন, চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনাধান-১৭ এর বীজ ও সার কৃষকদের নিকট বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে।কৃষক সহেদ আলী অন্যান্য চাষীরা বলেন, বিনাধান-১৭ প্রতি বিঘায় ২০-২২ মণ ফলন পাওয়া যায়। অল্প সময় জীবনকাল হওয়ার ফলে আমন কেটে একই জমিতে আলু অথবা সরিষা আবাদের পর বোরো চাষ করা যাবে। এই ধান আবাদ করলে এক কথায় এক জমিতে বছরে ৪টি ফসল উৎপাদন সম্ভব। -
বালিয়াডাঙ্গীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মোন্তাকিম আলিফের মৃত্যু।
স্বার্থপরতার এই দুনিয়ায় মোন্তাকিম আলিফ (২৫) একেবারেই ব্যতিক্রম। জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও মেয়ে সহকর্মীর প্রাণ বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত সহকর্মীকে সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেও নিজেই রক্ষা পাননি। তাদের ছুরিকাআঘাতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় আলিফের। তবে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হলেও মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন এই যুবক। ঘটনাটি ঘটছে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায়। মোন্তাকিম আলিফ রাজধানীর একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করতেন।জানা গেছে, অফিসের নাইট শিফট শেষ করে ভোররাতে আলিফ তার সহকর্মীকে (নারী) বাসায় এগিয়ে দেওয়ার সময় কুড়িল ফ্লাইওভারের সামনে তিনজন বখাটে ছেলে ছিনতাই ও মেয়েটিকে উত্যক্ত করার জন্য কাছে আসে। এসময় মোন্তাকিম আলিফ মেয়েটিকে ছিনতাইকারীদের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। এবং তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। মেয়েটির ভাষ্যমতে আলিফ ওই তিনজনকে মারধরও করেছে। তবে ছিনতাইকারীরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলো। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আলিফ মেয়েটিকে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বলে যাতে মেয়েটির কিছু না হয়।এসময় ছিনতাইকারীরা আলিফের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। তৎখানিক আলিফকে হাঁসপাতালের নিলে প্রচণ্ড রক্তক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়।আলিফের এমন মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর। আলিফের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের দোগাছি মধুপুর গ্রামে। থাকেন জেলা শহরের টিকাপাড়ায়। আলিফের মৃত্যুর খবরে তাঁর বাড়িতে ভিড় করছে আত্মীয়স্বজনরা। তাঁর বাবা জুলফিকার আলী ও মা কহিনুর বেগমকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন প্রতিবেশীরা। উপস্থিত সবার চোখে পানি।আলিফের মায়ের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, আমার কলিজার ধনকে আনে দেও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আহা রে ধনটা কই গেল। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য ঢাকা শহরে ভালো কলেজ ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কাকে টাকা পাঠাব। এখন আমি কাক নিয়ে বেঁচে থাকব। আমাক একা করে এভাবে চলে যাবি। আমাকে সঙ্গে করে কেনে নিয়ে গেলি না।মোন্তাকিম আলিফ ২০১৬ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে রাজধানীর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। পড়াশোনার পাশাপাশি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতেও চাকুরি করেন।একটি মেয়েকে বাঁচাতে আলিফের এমন মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে মৃত্যুঞ্জয়ী আখ্যা দিচ্ছেন।আলিফের বন্ধু মুনিজা হোসেন প্রিথিলা তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, একটা মানুষ নিজের জীবনের শেষটুকু দিয়ে একটা মেয়ের জীবন বাঁচিয়ে গেলো। আসলে কত বড় মন হলে এবং কতটুকু ভালো মানুষ হলে একজন নিজের জীবনের শেষ সময়েও আরেক জনের জীবন বাঁচায়? কেউ বলতে পারবেন? অনেক রাগ ছিলো আমার প্রতি তোর। মাফ করে দিস আমাকে আলিফ।শাহারিয়ার জাকির রিম্পু লিখেন, আলিফের জন্য আমরা গর্বিত। ওর বাবা-মাকে কোনোভাবেই সান্ত্বনা দেওয়া যাবে না। প্রিয় সন্তান আলিফকে হারানোর অভাব কেউ কোনো দিনই ওর বাবা-মাকে পূরণ করে দিতে পারবে না। কিন্তু আলিফকে নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি। সেটি হলো, আমাদের তরুণ, যুবক সমাজ এখনো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে, পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়ায়নি। আমরা আশান্বিত হতেই পারি, সমাজে এখনো আলিফের মতো যুবকরা আছে, যারা নিজের সমূহ সর্বনাশ হতে পারে জেনেও মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একজন নারীকে রাক্ষুসদের হাত থেকে রক্ষ করে।শ্রাবণী বর্মণ নামে আরেক বন্ধু লিখেন, সকাল সকাল এই নিউজটা পেয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেছে। ওর বাসা পার হয়েই আমার বাসা যেতে হতো, সেই সুবাদে আলিফকে রাস্তায় প্রায়শই দেখতাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোন চাপতে। আলিফ শুধু ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতেই নিহত হয়নি,একজন মেয়েকে তাদের হাত থেকে সর্বোচ্চ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়েছে।আলিফের আরেক বন্ধু লিখেছেন, ‘আহ জীবন! আমার সহপাঠী, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শুরু থেকে যার সাথে ওঠাবসা, ওরে আজ হারাইলাম; অন্যকে বাঁচাইতে গিয়ে সে নিজে চলে গেল না ফেরার দেশে। আমি বাকরুদ্ধ। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক, ভাই।মানসুরুল হক (বাবু) লিখেন, আলিফের মৃত্যুতে একটি মেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেও তাঁর মা-বাবা কখনো ভুলতে পারবেন না ছেলের এভাবে চলে যাওয়া। তবে মহাকাল সবকিছুকে ধ্বংস করে দিলেও কিছু কর্ম, ত্যাগ, সৃষ্টি কখনো বিলীন হয় না। তেমনি মহৎ -
ঢাবিতে যুবককে হত্যা: আটক বালিয়াডাঙ্গীর ফিরোজ, হয়রানি না করার আকুতি বাবা-মার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে (ঢাবি) তোফাজ্জল নামে এক যুবকের হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে একমাত্র ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান ফিরোজ কবিরের বাবা ও মা।আজ শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার গ্রামে প্রতিবেদককে ফিরোজ কবিরের বাবা কাঠমিস্ত্রি ফাইজ উদ্দীন ও মা ফিরোজা বেগম এ কথা বলেন।ফিরোজের বাবা ফাইজ উদ্দীন জানান, গতকাল স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছেলের ছবি তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের তালিকায় দেখে তাকে জানান। পরে তিনি বাড়ির পাশে স্কুলহাটে গিয়ে দোকানের টিভিতে খবরে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন। এর আগে তার ছেলে ফিরোজ কবির গত ৩ দিন ধরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ।ফিরোজের বাবা আফসোস করে বলেন, আমি আমার পরিশ্রম, জায়গা-জমি বিক্রি করে ফিরোজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছি। পড়াশোনা শেষ করে ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে, এই স্বপ্নে সব কষ্ট ভুলে যাই। বাড়ির অবস্থা এত জরাজীর্ণ হওয়ার পরও ওর পেছনে সব ব্যয় করছি। গতকালকে ঘটনা শোনার পর থেকে নির্ঘুম দিন কাটছে। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি সবাই।ফিরোজের মা ফিরোজা বেগম জানান, ‘মোর বাপ তো সহজ-সরল, এলাকাত কাকো এরা জোড়ে কাথা কহেনি। সেই ছুয়াডা কাকো মারে ফিলাবে, এইডা মি বিশ্বাস করবা পারছু নি। মোর বাপের মোবাইল বন্ধ, তিনডা দিন গেল কুনো কাথা কহেনি মোর সঙ। মি কেংকরে ধরিম মোর বেটা কাকো মারে ফিলাইজে। যুদি মোর বেটা এমন কাজ করে, তাহলে ওয়াক শাস্তি দোক। না হইলে মোর বেটাক পড়াশোনা শেষ করবা দোক। হামারতো ফিরোজ ছাড়া কুনো সম্পত্তি নাই।’সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁশের বেড়া আর ছাউনি দিয়ে জরাজীর্ণ দুটি ঘরে বসবাস করেন ফিরোজের বাবা, মা ও দুই বোন। ফিরোজের ছোট বোন ফারজিনা আক্তার নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।ফারজিনা বলেন, ভাইয়ার এমন খবর শোনার পর থেকে বাবা-মা ভেঙে পড়েছেন। তাকে পড়াশোনা করাতে গিয়ে বাড়ি পর্যন্ত মেরামত করেননি বাবা। গোয়ালঘরের মত ঘরগুলোয় বসবাস করছি। তার ভাই জড়িত না থাকলে হয়রানি মুক্ত রাখার অনুরোধ করেন।ফিরোজের খবর গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই তার বাড়িতে এসে সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেধাবী ছিলেন ফিরোজ। এলাকায় তার আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ ছিলেন সকলেই। তার এমন খবরে প্রতিবেশীরাও অবাক হয়েছেন।ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফিরোজ তার চাচা আইজ উদ্দীনকে ফোন করেছিলেন। তার চাচা জানান, ফিরোজ তাকে ফোন দিয়ে বাবা ও মাকে সান্ত্বনা দিতে বলেছেন। ঘটনার সময় ফিরোজ টিউশনিতে ছিলেন। বন্ধুরা তাকে ফাঁসিয়েছেন বলে চাচার কাছে দাবি করেছেন। তবে এরপর থেকেই ফিরোজের মোবাইল বন্ধ।ফিরোজের সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করেছেন সহপাঠী শামীম উদ্দীন। গতকালের খবরের তিনিও দুপুরে এসেছেন সহপাঠীর বাড়িতে। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে কোনো ঝামেলায় জড়াতো না ফিরোজ। টিভিতে তোফাজ্জল হত্যায় জড়িতদের সঙ্গে তার ছবি দেখে সকলেই অবাক হয়েছি।তবে অনেক প্রতিবেশী ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো না। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই। সেখানে ফিরোজ জড়িত থাকলেও। নাহলে পরিবারটিকে যেন হয়রানি না করা হয়।ফিরোজ কবির হরিণমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, রত্নাই বগুলাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক এবং সমির উদ্দীন স্মৃতি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিজ্ঞান নিয়ে ৪র্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে গত বুধবার রাতে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।মামলার পর মো. জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হুসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম নামে ছয় শিক্ষার্থীকে আটকের পর গণমাধ্যমে আসে ফিরোজের নাম ও ছবি। এরপর থেকে কয়েকদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ফিরোজের কবিরের এলাকা।