Tag: বন্ধ

  • চাঁদাবাজি বন্ধসহ ৪ দফা দাবীতে অটোরিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ।

    চাঁদাবাজি বন্ধসহ ৪ দফা দাবীতে অটোরিকশা শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ।

    ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

    নীলফামারীর ডিমলায় পুলিশি হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ চারদফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকরা।

    শনিবার  (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সহযোগিতায় উপজেলার স্মৃতি অম্লান চত্বরে ‘ডিমলা উপজেলা সর্বস্তরের অটোরিকশা শ্রমিক’ ব্যানারে সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। দুই ঘন্টা  ঘণ্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক অটোরিকশা শ্রমিক ও শিক্ষার্থী।

    এ সময় অটোরিকশা থেকে বিভিন্ন সমিতির নামে দৈনিক চাঁদা আদায়সহ থানায় রিকুইজিশনের নামে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া প্রধান সড়কগুলোর ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেন তারা।দাবি না মানলে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা।

    তাদের  দাবীসমূহঃ

    ————————-

    ১। অবৈধভাবে বিনাপারিশ্রমিকে ইজিবাইক (অটো) শ্রমিকদের রিকোজিশন ডিউটির নামে প্রহসন বন্ধ কর। নাগরিক হিসাবে ইজিবাইক ( অটো)  শ্রমিকদের মানুষ হিসাবে নাগরিক অধিকার ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত কর।

    ২। যানজট নিরসনে ফুটপাতে অবৈধ অস্থায়ী দোকানসমূহ উচ্ছেদ এবং ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ কর।

    ৩। ব্যাটারিচালিত যানবাহন শ্রমকিদের উপর জুলুম, নির্যাতন ও চাঁদাবাজি বন্ধ কর। কার্ড-টোকেনের নামে অবৈধ চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রশ্রয় দাতাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে চাঁদাবাজি বন্ধ কর। ইতিপূর্বে সমবায় সমিতির নামে আদায়কৃত সকল অর্থ ফিরত দিতে হবে।

    ৪। ইজিবাইক (অটো) নিবন্ধন, চালক লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান করতে হবে। ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংগঠন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-চালক দ্বারাই পরিচালিত হবে, রাজনৈতিক ও বহিরাগত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

    ডিমলা উপজেলা সর্বস্তরের অটোরিকশা শ্রমিকের আহ্বায়ক আলম ইসলাম বলেন,বিগত ১৫ বছর এই উপজেলায় চলাচলকারি প্রায় তিন  হাজার অটোরিকশা থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতো সাবেক এমপি আফতাবের স্বজন ও তার লোকজন।

    ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকারের পতনে চালকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

    কিন্তু বর্তমানে এই সেক্টরটি হাত বদল হয়ে নতুন করে অটোরিকশা চালকদের নিকট থেকে আবারো চাঁদা আদায় শুরু করা হয়েছে। দালাল চক্রকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা না দিলে জোর-জবরদস্তি করে থানায় রিকুইজিশনে খাটানো হচ্ছে।

    উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা বলেন,উপজেলার সড়কগুলোতে চলাচল করতে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয় চালককে। সমিতির নামে দালাল চক্রের মাধ্যমে এসব চাঁদা আদায় করা হয়।আর থানা পুলিশ রিকুইজিশনের নামে অটোরিকশা চালকদের হয়রানি করছে।

    রিকুইজিশনে অধিকাংশ সময় চালকদের কাটাতে হয় অর্ধাহারে, অনাহারে ও অনিদ্রায়। ভাড়া কিংবা কোনো প্রকার পারিশ্রমিক না পেয়েও ডিউটি করতে বাধ্য করা হচ্ছে চালকদের। এই অবস্থার পরিত্রাণ চাই।

  • অবশেষে রামপালে বন্ধ হলো সেই যাত্রাপালা ও জুয়া ।

    অবশেষে রামপালে বন্ধ হলো সেই যাত্রাপালা ও জুয়া ।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ অবশেষে বাগেরহাটের রামপালে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বন্ধ করা হলো মাসব্যাপী আনন্দ মেলার নামে যাত্রাপালা ও জুয়া খেলার আয়োজন। জনতার প্রবল প্রতিরোধের মুখে রামপাল উপজেলা প্রশাসন এ আয়োজন বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
    গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে জরুরি এক বৈঠকের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    জানা গেছে, রামপাল প্রেসক্লাব’র নাম ব্যবহার করে উপজেলার গোনাইব্রিজ এলাকায় ক্লাবের সভাপতি ফকির আতিয়ার রহমান অতি গোপনে ক্লাবের অন্য সদস্যদের না জানিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
    অনুষ্ঠানটি আজ(১০ জানুয়ারি) উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। রামপালে এমন অশ্লীল যাত্রাপালা ও জুয়া খেলার আয়োজনের খবর শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়ে রামপাল উপজেলা ইমাম সমিতি ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। এর প্রেক্ষিতে ইমাম সমিতির পক্ষ থেকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
    পরবর্তীতে (৭ জানুয়ারি) ইমাম সমিতির উদ্যোগে ফয়লা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক জরুরি সভা করে মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে মিটিংয়ে যুক্তিপূর্ণ ও সাহসী বক্তব‍্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওঃ জিহাদুজ্জামান, ইমাম সমিতির সভাপতি মাওঃ নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি হাফেজ মাহাবুব মোল‍্যাসহ  জামায়াত, বিএনপি ও ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং  সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা বেগম নেলী সাংবাদিকদের জানান, রামপালে যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য বা অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড কোথাও করতে দেয়া হবে না। এ জাতীয় কোন কর্মকাণ্ড হলে তার দ্বায় উপজেলা প্রশাসন বহন করবে না। অতএব, সকলের দাবির প্রেক্ষিতে মাসব্যাপী যে আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
  • রামপালে যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল।

    রামপালে যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল।

    রামপাল(বাগেরহাট)প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে গোনাইব্রিজ এলাকায় শুভ এন্টারপ্রাইজের বালুর মাঠে রামপাল প্রেসক্লাব’র আয়োজনে মাসব্যাপী আনন্দ মেলার নামে যাত্রাপালা, জুয়ার আসর, লটারীসহ অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রামপাল উপজেলা ইমাম সমিতি ও তৌহিদী জনতা।

    বুধবার(৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের রণসেন মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফয়লাহাটের বাসস্ট্যান্ডে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।

    উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ ক্বারী মাহবুবুর রহমান’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর মল্লিক আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জিহাদুজ্জামান, জেলা ইমাম সমিতির সদস্য ক্বারী মিরাজ মাহমুদ প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, গতকাল(৭ জানুয়ারি) ইমাম সমিতির উদ্যোগে যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর বন্ধের দাবিতে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রধান করা হয়। স্মারকলিপিতে তারা যাত্রাপালা ও জুয়ার আসর অবিলম্বে বন্ধের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

    এ বিষয়ে রামপাল প্রেসক্লাব এর সভাপতি ফকির আতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

    এ বিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহাজালাল গাজী জানান, রামপাল প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে ক্লাবের সভাপতি ফকির আতিয়ার রহমান কাউকে না জানিয়ে এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ বিষয়ে আমরা কেউ অবগত নই। আমরা চাই এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয়া হোক।

    এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামপালে কোথাও মাসব্যাপী আনন্দ মেলার অনুমতি দেয়া হয়নি। উপজেলা ইমাম সমিতির পক্ষ থেকে আমি একটি স্মারক লিপি পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • বালিয়াডাঙ্গীতে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    বালিয়াডাঙ্গীতে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে কিন্ডার গার্টেনের আদলে গড়ে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অভিভাবক।
    বুধবার বিকালে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাব হলরুমে দুওসুও ইউনিয়নের পেট্টোলপাম্প সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মকবুল হোসেন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, সারাদেশের ন্যায় বালিয়াডাঙ্গীতে ব্যাঙের ছাতার মত মানহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্ডার গার্টেনের আদলে গড়ে উঠার পর ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনুমোদন নিয়ে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাচ্ছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করাতে হলে নির্ধারিত শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন। এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
    মকবুল হোসেনের অভিযোগ, কিন্ডার গার্টেনে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে এক প্রতিষ্ঠানে। জেএসসি ও এসএসসি পাবলিক পরীক্ষার নিবন্ধন নিকটস্থ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হচ্ছে। ফলাফলের সময় এক শিক্ষার্থীর ফলাফলকে দুই প্রতিষ্ঠান নিজেদের মত করে দাবি করছে, প্রচারণা চালিয়ে অভিভাবকদের প্রতারিত করছে। বছরঘুরে বই বিতরণের সময়ও এক শিক্ষার্থীর জন্য দুই সেট বই দুই প্রতিষ্ঠানকে দিতে হচ্ছে সরকারকে। এতে সরকারের অপচয় বাড়ছে। এসব বন্ধ করতেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
    এছাড়াও মকবুল হোসেন মনে করেন অনুমোদহীন এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার নামে বাণিজ্য করছেন। প্রতি বছর এক ক্লাশ থেকে পাশ করে অন্য ক্লাশে ভর্তির নামে অতিরিক্ত সেশন ফি নিচ্ছে। সরকারের বেধে দেওয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না। দীর্ঘদিন ধরে এসব চলে আসলেও প্রশাসন এসবে দেখেও চুপ আছেন। তাই তিনি বিষয়টি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গণমাধ্যমের দারস্থ হয়েছেন।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মকবুল হোসেন বলেন, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্থা বা ট্রাষ্টের নামে পরিচালনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতসহ সরকারকে কারফাঁকি অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষাবোর্ড থেকে নুন্যতম অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন মনে করছে না। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিমালার মধ্যে আনার দাবি তুলেন তিনি।
    জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার জানান, মাঠ পর্যায়ে এসব চলছে, আমাদেরও নজরে রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণলায় যদি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমরা সেটা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে পারবো। তাছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।
    সংবাদ সম্মেলনে বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনএম নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন জীবন, সিনিয়র সাংবাদিক হারুন অর রশিদ, দবিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
  • উল্লাপাড়ার সদাই গ্রামের নবনির্মিত কালর্ভাট ধ্বসে পড়ে চলাচল বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ।

    উল্লাপাড়ার সদাই গ্রামের নবনির্মিত কালর্ভাট ধ্বসে পড়ে চলাচল বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ।

     

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের সদাই গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত সদাইয়ের রাঘ থেকে ফুলজোর নদীর সংযোগ খালের উপর নবনির্মিত কালভার্টটি ধ্বসে পড়েছে। ফলে উভয় পাড়েরর লোকজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পরেছে সাধারন মানুষ। পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের প্রকল্প থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট চওড়া ৭ ফুট উচু ভীকল পদ্ধতিতে কালর্ভাটটি নির্মান করা হয়।

    ৩ মাস আগে এই কালর্ভাটটি স্থানীয় লোকজনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কালর্ভাট নির্মান প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আলীম।

    স্থানীয়দের অভিযোগ অনিয়ম দুর্নিতী ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কালভার্টটি তৈরি করায় এটি ভেঙ্গে পড়েছে। প্রকল্প সভাপতি বলছেন প্রবল বৃষ্টির কারণে দুই পাশ ও নিচের মাটি সরে যাওয়ায় কালভার্টটি ধ্বসে পড়েছে।

    সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুস সালাম শেফালী বেগম, আনোয়ার হোসেন,আবু সালেক,আরজান আলী ইসলামাইল হোসেন সবুজ আলী ও বেলাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই ওয়ার্ডের পাশাপাশি সদাই ও রাঘবড়িয়া গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে চলতি অর্থ বছরে সদাই গ্রামের মাদ্রাসা মাঠ মসজিদ ও মজিবরের বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। মাত্র ৩ মাস আগে এটির কাজ সম্পন্ন হবার পর জনগণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

    ইউনিয়ন পরিষদের কথিত তহবিলের প্রকল্পের প্রথম কিস্তি থেকে এটি নির্মানের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের কাজের সভাপতি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল আলীম।

    তিনি নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং সময় মতো কাজের তদারকি না করায় এটি নির্মানের ৩ মাসের মধ্যেই সামান্য বৃষ্টিতে ধ্বসে গেল। তারা অবিলম্বে এই বক্স কালভার্ট নতুন করে নির্মানের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি।

    এ ব্যাপারে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ও উক্ত প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল আলীম তার বিরুদ্ধে আনিত নিম্নমানের নির্মানের সামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্ট নির্মানের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তিনি উন্নত সামগ্রী ব্যবহার করেছেন এ কাজে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে খালের দুই পাশের মাটি এবং নিচের অংশের কিছু মাটি ধ্বসে যাওয়ায় কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়েছে। বর্তমানে খালে অনেক পানি। আগামী দু এক মাস পরে পানি কমে গেলে তিনি এই ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন।

    এ বিষয়ে পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম ফিরোজ জানান, ৩ লাখ টাকায় এই জাতীয় কালভার্ট যথাযথভাবে নির্মান করা কখনই সম্ভব নয়। তারপরেও স্থানীয় জনগণের সমস্যা সমাধানে তার সদস্য এটি তৈরি করেছিলেন। নতুন করে কালভার্টটি নির্মান করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
    মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
    বুধবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তায় সমবায় মার্কেটের সামনে সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের আমলে অদৃশ্য কারণে ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৯ বছরের ঐতিহ্য আলপনা সংসদের আয়োজনে বৈশাখী মেলা বন্ধের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
    এ সময় বক্তারা বলেন,  শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে ৩৯ বছরের ঐতিহ্য প্রতি বছরই বৈশাখী মেলা উদযাপন করা হয় কিন্তু এ মেলা হঠাৎ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    বক্তারা আরো বলেন, পহেলা বৈশাখী মেলা বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের একটা রূপকার। এই মেলার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতি মনা প্রতিভাবান ব্যক্তিদের প্রতিভা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারি। আর এই মেলা কোন এক অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে এ বছরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আজকের এই মানববন্ধন ও মৌন প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে প্রশাসন সহ সকলকেই জানিয়ে দিতে চাই বাঙালিদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ে বৈশাখী মেলা করার অনুমতি প্রদান করা হোক।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অনুপম মনি, সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দাস, আল্পনার সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আবু মুহীউদ্দীন, উদীচির সভাপতি সেতারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক সম্পা সাহা, কর্ণেট সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রবাল সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  • মাধবপুরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখে তৈরি করা হচ্ছে বাড়ি।

    মাধবপুরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখে তৈরি করা হচ্ছে বাড়ি।

    মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
    হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিক্ষকদের তিন মাসের বেতন ভাতা না দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    এ ব্যাপারে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর পঁচিশ জন শিক্ষক ও কর্মচারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় তহবিলের আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে গত তিন মাস যাবত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও বোনাস দেওয়া হচ্ছে না।
    অথচ বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা দিয়ে  এরচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের জন্য বিলাসবহুল পাঁচ বেডরুম বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই। শ্রেণী শিক্ষকদের হিসাবমতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বেতন বাবদ প্রায় ২৮ লক্ষ টাকা আদায় করে বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করেছেন।
    এছাড়াও ২০২৩ সালের বকেয়া আরও ছয় লাখ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করা হয়েছে। অথচ শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা না দিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের বাসার নামে বিলাসবহুল প্রসাদ নির্মাণে ব্যাস্ত পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।
    প্রধান শিক্ষক জানুয়ারি পর্যন্ত বেশিরভাগ শিক্ষকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে দাবি করলেও শিক্ষকরা তা অস্বীকার করেছেন। সরেজমিনে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের জন্য ছয় কক্ষ ও দুই ওয়াশরুম  বিশিষ্ট একটি বাড়ির ছাদ ডালাইসহ আশি ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
    বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে ইটের শুড়কি ট্রাক্টর দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির বাড়ির সামনে নিয়ে ফেলা হচ্ছে। এব্যাপারে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে, তারা জানান, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিজেদের ইচ্ছেমতো স্কুল চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে কিছু জানি না।
    একজন সদস্য জানান, আমি কোন মিটিংয়ে যাই না। কারণ সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দেখে মেজাজ ঠিক থাকে না। প্রধান শিক্ষক মো: নূরুল্লা ভূইয়া জানান, সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যে খাতে আয় সে খাতে ব্যয় করতে হবে। যে কারণে তহবিল সংকটের কারণে বেতন ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না।
    তবে জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন পেয়েছে বেশিরভাগ শিক্ষক। সভাপতির বাড়ির সামনে ইটের সুরকি নিয়ে ফেলার বিষয়ে তিনি বলেন এগুলো কিছু স্কুলের মাঠে ফেলা ও অতিরিক্ত কিছু বিক্রি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
    সেই হিসেবে সভাপতি ক্রয় করে নিয়েছেন হয়তো। তবে কত টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন প্রধান শিক্ষক তা বলতে পারেন নাই তিনি। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: নাসির উদ্দীন খান বলেন, শিক্ষকদের জানুয়ারি পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়েছে।তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
    স্কুলের ইটের সুরকি এক হাজার টাকা দিয়ে ট্রাক্টর ড্রাইভার এর নিকট থেকে ক্রয় করেছি। তবে বিক্রয়ের জন্য কোন রেজুলেশন করে কমিটির কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। প্রধান শিক্ষকের জন্য বাসভবন নির্মাণের জন্য কোন টেন্ডার হয়নি এবং কোন বাজেট হয়নি।
    একটি কমিটির মাধ্যমে যখন যা প্রয়োজন খরচ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এমনকি ভবন নির্মাণে এখন পর্যন্ত কত খরচ হয়েছে তিনি বলতে পারেনি।
     উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সাল জানান,” এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • রাণীশংকৈল ‘৯২ ব্যাচ এসোসিয়েশন বন্ধুদের দোয়া ও ইফতার।

    রাণীশংকৈল ‘৯২ ব্যাচ এসোসিয়েশন বন্ধুদের দোয়া ও ইফতার।

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
    ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল মাহে রমজানের রোজার ইফতার মাহফিল এসএসসি ৯২ ব্যাচ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
    অনুষ্ঠানে সকল মৃত, বন্ধু, আত্মীয় স্বজনদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশ জাতির শান্তি কামনা করে স্থানীয় শান্তা কমিউনিটি সেন্টারে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ।
     ৯২ ব্যাচের আহবায়ক রফিউল ইসলামের আহবানে অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে সাবেক মেয়র আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে ৯২ সালের এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা একত্রিত হয়ে ইফতার পার্টি মিলন মেলায় পরিণত করে। একে অপরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে অতীতকে আলিঙ্গন করেন সকল বন্ধুরা। এ সময় বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ইনভাটা সমিতির সভাপতি আহমদ হোসেন বিপ্লব,বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সরকারি শিক্ষা অফিসার এসোসিয়েশন সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম সবুজ, রাতোর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরৎচন্দ্র রায়, প্রভাষক সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম শিল্পী, প্রধান শিক্ষক মেরিনা আক্তার মেরি, এটি এম কামাল হোসেন শান্ত, ইশরাত জাহান মিতু, ইন্সপেক্টর সারোয়ার হোসেন, জিল্লুর রহমান প্রমূখ।
  • উল্লাপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা-এমপি শফিকুল ইসলাম।

    উল্লাপাড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা-এমপি শফিকুল ইসলাম।

    উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি :

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্টি অফিসের সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব গাজী শফিকুল ইসলাম শফি। সোমবার সকালে সাব-রেজিষ্টি অফিস চত্বরে দলিল লেখকদের উপস্থিতিতে এমপি শফি এ ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা, সাব-রেজিস্টার ফারহানা আজিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফয়সাল কাদের রুমি, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম মোস্তফা।

    এমপি শফি এ সময় বলেন, সরকার যেখানে সাধারণ মানুষের সেবাবৃদ্ধি ও সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। ঠিক তখনই উল্লাপাড়া সাব-রেজিষ্টি অফিসের দলিল লেখকেরা নিয়ম ভেঙ্গে, নিজস্ব নিয়মে সমবায় সমিতি গঠন করে অধিক অর্থ আদায় করে জমি নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করছে। এতে সাধারণ মানুষের উপর নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর নির্দেশে ও আইন সচিবের পরামর্শে সাধারণ মানুষের এই ভোগান্তি দুর করতে অবৈধ সমবায় ভিত্তিক কার্যক্রম আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এমপি এ ব্যাপারে সকল ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন সাব রেজিস্ট্রারকে।

    উল্লাপাড়া সাব-রেজিস্টার ফারহানা আজিজ বলেন, সরকারের নিয়ম অমান্য করে, নিজস্ব বলয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে ক্ষতি করে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ নেই। দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নিয়ম মেনে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, নিয়ম ভেঙ্গে অনিয়ম করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ভুক্তভোগী মেম্বর রিপন বলেন, স্থানীয় এমপি মহোদয়, ইউএনও এবং সাবরেজিস্টার মহোদয় কে ধন্যবাদ জানাই অবৈধ এই নিয়ম ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য।

  • রমজানে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ-রায় কাল।

    রমজানে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ-রায় কাল।

    ডেস্ক নিউজঃ রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল শুনানির জন্য আগামীকাল ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    এর আগে রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

    সোমবার (১১ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

    এরও আগে রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে পুরো রমজান মাসে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

    এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।