Tag: প্রার্থী

  • ডিমলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী চুড়ান্ত।

    ডিমলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী চুড়ান্ত।

    নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনটি ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী-লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড।

    গত ০৯ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সরকারী বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিমলা উপজেলার টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম,গয়াবাড়ী ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন সরকার ও খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকার মাঝি চুড়ান্ত করা হয়েছে।

    এ সময় প্রার্থীরা জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত হয়েছি। আগামী ১৭ জুলাই (সোমবার) জনগনের ভোটে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

  • মহেশখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীর হিড়িক।

    মহেশখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীর হিড়িক।

    মহেশখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভব্য প্রার্থীর হিড়িক।


    কক্সবাজারের মহেশখালীতে কালার মার ছড়া ও বড় মহেশখালী দুটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের

    হাওয়া বইতে শুরু করেছে।ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ।এতে দেখা দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শন,একদিকে যেমন ছাত্র রাজনীতি অন্য দিকে গোত্র রাজনীতি প্রভাব বিস্তার করছে।

    কালারমার ছড়া এবং বড় মহেশখালী ইউনিয়ন দুটি উপজেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। ভোট গণনায় মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় মহেশখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

    রাজনৈতিক নেতারা ইতিমধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে সময় কাটাচ্ছেন নিজেকে প্রার্থী হিসাবে পরিচয় জানান দিচ্ছে। বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় সরকার দলীয়র মধ্যে চেয়ারম্যান পদে একাধিক সম্ভব্য প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।এতে নিজ দলের মধ্যে অন্তর্দন্দের মাত্রা বেড়েই চলছে। এ কারনে সাধারণ জনগোষ্ঠী গোলযোগের আশঙ্কা প্রকাশ করছে।

    আওয়ামীলীগের সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন গত নির্বাচনে নৌকা নিয়ে আশা সেলিম চৌধুরী নিজেকে এবারও প্রার্থীতা ঘোষণা করছেন। তাছাড়াও আখতারুজ্জামান বাবু, মোহাম্মদ জাকরিয়া,ফজলে আজিম মোহাম্মদ ছিবগাতুল্লাহ, তারেক বিন ওসমান শরীফ,মাষ্টার রুহুল আমিন, সহ আওয়ামীলীগ থেকে আরোও নাম আসতে পারে।

    অন্য দিকে বিএনপি থেকে সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে এখলাছুর রহমান,ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা ওসমান গনীর নাম শোনা যাচ্ছে ।

    বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শা আ ম এনায়েত উল্লাহ বাবুল (স্বতন্ত্র), আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল নিশান, সিরাজ মিয়া বাঁশি, মোস্তাক তালুকদার, ইসলামী আন্দোলন থেকে বেলাল হোসাইনের নাম শোনা যাচ্ছে।

  • ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সকল প্রার্থীদের নিয়ে বিট পুলিশিং সভা।

    ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সকল প্রার্থীদের নিয়ে বিট পুলিশিং সভা।

    রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আগামী ৭ফেব্রুয়ারি ইউপি নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাইনীমুখ বাজারে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার (২৬জানুয়ারী) দুপুর ১২টার সময় মাইনীমুখ বাজারে লংগদু উপজেলার সকল ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউপি সদস্য প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে লংগদু থানা পুলিশ।
    সভায় লংগদু থানা অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিনের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,রাঙ্গমাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ,সহকারী পুলিশ সুপার বাঘাইছড়ি সার্কেল আব্দুল আওয়াল চৌধুরী,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, লংগদু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম সহ  উপজেলার সকল চেয়ারম্যান, মেম্বার প্রার্থী ও জনসাধারণ।
    এসময় পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম আগামী ৭ফেব্রুয়ারি লংগদু উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ কোন রকম আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আপনাদের সহযোগীতা চাই। আপনাদের সমস্যা হলে আমাদের জানান আমরা ব্যবস্থা নিবো। নির্বাচনে যথেষ্টসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকবে বলেও জানান তিনি।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, লংগদু উপজেলার ইউপি নির্বাচন হবে একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এখানে কোন রকম আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে কেউ ছাড় পাবেনা।
    এসময় উপস্থিত প্রার্থীদের সকলকে মত প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া হয়,মত প্রকাশে সকলেই একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন। অপর দিকে এতো সুন্দর ভাবে মত প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়ায় লংগদু থানা অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জনসাধারণ।
  • বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলা।

    বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলা।

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইন এর প্রচারনার সিএনজি উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭ টার সময় পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের আলি মিয়ার দোকান নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
    এ ঘটনায় উত্তর জলদী ৩ নং ওয়ার্ডের বদি আলমের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (২১) উত্তর জলদি ৫ নং ওয়ার্ডের শওকত আকবরের ছেলে মোহাম্মদ তানভীর (২২) ও ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত দুলা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (২৭) গুরুতর হয়।
    এ সময় প্রচারণার কাজে নিয়োজিত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মাইক ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় আহতদেরকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
    এ বিষয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ সরকারদলীয় নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টিসহ ভাংচুর চালায়। তারা আমাকে ও আমার লোকজনদের নানাভাবে হুমকী দিয়ে আসছে।
    গত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে আমার বাড়ির পাশে গিয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি তারা একটি ফায়ার ছুঁড়েও জনমনে আতংকের সৃষ্টি করে। ভোটাররা আসন্ন ভোটেরদিন যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না পারে সে পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি।
    আমার জনপ্রিয়তা দেখে তারা নানাভাবে আমাকে ও আমার লোকজনদের ভীতি প্রদর্শন করছে।
    তিনি আরও বলেন, বুধবার দিবাগত রাত আমার বাড়ির সামনে গিয়ে প্রতিপক্ষের বহিরাগত সন্ত্রাসীরা মিছিল করে, ফায়ার ছুঁড়ে। পরে বিষয়টি আমি বাঁশখালী থানা পুলিশকে অবহিত করি। বাঁশখালী থানা পুলিশ সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছান।
    অবাধ ও নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে বহিরাগত সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর থাকলে আমি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা রাখতে পারি।
  • ইউপি নির্বাচন:ওসমানীনগরে আ’লীগে বিদ্রোহীর আশঙ্কা,কৌশলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    ইউপি নির্বাচন:ওসমানীনগরে আ’লীগে বিদ্রোহীর আশঙ্কা,কৌশলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    জিতু আহমদ,ওসমানীনগরঃ আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যা প্রার্থীরা। ভোটের মাঠ দখলে নিতে আগেবাগেই মাঠে নেমেছেন বিএনপিপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে,দলীয় প্রতিক পেতে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা এখনো রয়েছেন কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে।

    জানা গেছে,উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে আ’লীগের তৃণমূলের ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের পর থেকে ভিতরগত দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। ফলে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীর আশঙ্কায় রয়েছে।

    একই ইউনিয়ন থেকে একাধিক প্রার্থী থাকায় আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ন পদদারী নেতারও বিদ্রোহী হওয়ার গুঞ্জুন শুনা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীলরা ভূমিকা না নিলে বৃদ্ধি পেতে পারে দলীয় কোন্দল। এমনটিই মনে করছেন আওয়ামীলীগের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা।

    একটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী ছাড়া বাকি ৭ ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় সমঝতা না হওয়ায় অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের ভোট। তৃণমূলের ভোটের পর থেকে নানা অভিযোগ তুলে একাধিক প্রার্থীরা বিদ্রেহী হয়েও নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

    এদিকে,দলীয় ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন না করলেও কৌশলে বিএনপির একাধিক প্রার্থীরা সতন্ত্র হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। সতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে আগেবাগেই নেমে পরেছেন প্রচার প্রচারণায়। নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে নির্বাচনী সভারও আয়োজন করছেন প্রার্থীরা। সভায় দিচ্ছেন নানা প্রতিস্রুতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনী হাওয়া বইছে ওসমানীনগর উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে। সাধারণ ভোটরদের মনেও দেখা দিয়েছে উচ্ছাস।

    ইতিমধ্যে প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে শুরু করছেন। তফসিল ঘোষণার পরপরই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামলীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূলের নির্বাচনে যারা এগিয়ে রয়েছেন মনোনয়ন নিশ্চত করতে এখন তারা হয়েছেন কেন্দ্রমুখী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন তৃণমূলে পিছিয়ে পরা একাধিক প্রার্থীও।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রাখা হয়েছে ৩ জানুয়ারি। বাছাই ৬ জানুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহন হবে ৩১ জানুয়ারি।

  • ইউপি নির্বাচনে নৌকা পেতে কেন্দ্রমুখী ওসমানীনগরের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    ইউপি নির্বাচনে নৌকা পেতে কেন্দ্রমুখী ওসমানীনগরের আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

    জিতু আহমদ,ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নড়েচড়ে বসেছেন। দলীয় প্রতিক পেতে তফসিল ঘোষনার পর থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন দৌড়ঝাঁপ।

    দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে ইতিমধ্যে তৃণমূলের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে ওসমানীনগরে। তৃণমূলের নির্বাচনে যারা এগিয়ে রয়েছেন মনোনয়ন নিশ্চত করতে এখন তারা হয়েছেন কেন্দ্রমুখী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন তৃণমূলে পিছিয়ে পরা একাধিক প্রার্থীরাও। দলীয় ও স্থানীয় একাধিক সূুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ২৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নের আবেদপত্র ফরম সংগ্রহ ও জমা প্রধানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই দলীয় ফরম সংগ্রহ ও জমাদানে কেন্দ্রমুখী হয়েছেন তৃণমূলে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা। পিছিয়ে পরা প্রার্থীরাও মনোনয়ন নিশ্চত করতে ঢাকায় অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছেন জুর লবিং।

    জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রত্যেক ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেছেন। তফসিল ঘোষনার পর পরই একাধিক আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন পেতে কেন্দ্র মুখী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের একই ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রার্থী বাছাইয়েও হিমশিমে ছিলেন দায়িত্বশীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার একটি কমিউিনিটি সেন্টারে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূলের মতামত নিতে গোপন ভোটের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। একটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী ছাড়া বাকি ৭ ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় সমঝতা না হওয়ায় অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূলের ভোট।

    তৃণমূলের গোপন ভোটে এগিয়ে যারা: উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পীর মজনু মিয়া, তাজপুর ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের লন্ডন মহানগর যুবলীগের সধারণ সম্পাদক ফয়সল হোসেন সুমন, উমরপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুকিদ মিয়া, দয়ামীর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিরণ মিয়া, সাদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলী, উসমানপুর ইউনিয়নে সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদ ওয়ালী উল্যাহ বদরুল, পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান এবং বুরুঙ্গা ইউনিয়নে ৪ প্রার্থীর মধ্যে ২জন প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন তারা হলেন, আখলাকুর রহমান ও শানুর মিয়া।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু বলেন, উপজেলার প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা গোপন ভোটের মাধ্যমে নিজ নিজ ইউনিয়নের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিষয়ে রায় প্রদান করেছেন। খুব দ্রুত প্রার্থীদের তালিকা জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নীতিনিধারকদের কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ড থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনিত করা হবে।

    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রাখা হয়েছে ৩ জানুয়ারি। বাছাই ৬ জানুয়ারি। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহন হবে ৩১ জানুয়ারি।

  • ইউপি নির্বাচনে ওসমানীনগের তৃণমূলের রায়ে আ.লীগের প্রার্থী যারা।

    ইউপি নির্বাচনে ওসমানীনগের তৃণমূলের রায়ে আ.লীগের প্রার্থী যারা।

    জিতু আহমদ,ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ আসন্ন ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের ওসমানীনগরে ৮ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বিশেষ বর্ধিত সভা ও তৃর্নমূলের মতামত নিতে গোপন ভোটের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামীলীগ।

    মঙ্গলবার উপজেলার দয়ামীরস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভায় এই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহন পূর্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন,সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী,প্রধান বক্তা ছিলেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খাঁন,বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সুজাত আহমদ।

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন,বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মস্তাকুর রহমান মফুর,জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী,জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফতেখার হোসেন পিয়ার,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা কবির উদ্দিন আহমদ,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম,গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী পীর মজনু মিয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া,জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দাল মিয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি পিনাক পানি ভট্টাচার্য্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া,সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া,লুৎফুর রহমান,অরুনোদয় পাল ঝলক,যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুকিদ মিয়াসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাসহ ছাত্রলীগ যুবলীগ,স্বেচ্ছা সেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে তৃর্নমূলের ভোটে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে যারা এগিয়ে রয়েছে। গোয়ালাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পীর মজনু মিয়া।তাজপুর ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের লন্ডন মহানগর যুবলীগের সধারণ সম্পাদক ফয়সল হোসেন সুমন,উমরপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুকিদ মিয়া,দয়ামীর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিরণ মিয়া,সাদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা শাহজাহান আলী,উসমানপুর ইউনিয়নে সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদ ওয়ালী উল্যাহ বদরুল,পশ্চিম পৈলনপুরে প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হান্নান এবং বুরুঙ্গা ইউনিয়নে ৪ প্রার্থীর মধ্যে ২জন প্রার্থী সমান ভোট পেয়েছেন তারা হলেন,আখলাকুর রহমান ও শানুর মিয়া।

    ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু বলেন,উপজেলার প্রতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা গোপন ভোটের মাধ্যমে নিজ নিজ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিষয়ে রায় প্রদান করেছেন।

    খুব দ্রুত প্রার্থীদের তালিকা জেলা আওয়ামীলীগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নীতিনিধারকদের কাছে পাঠানো হবে।পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ড থেকে যাদেরকেই মনোনিত করা হবে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তার পক্ষেই মাঠে কাজ করে ওসমানীনগরের ৮টি ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগের বিজয় হবে বলে আশাবাদি তিনি।

  • ইউপি নির্বাচনে ওসমানীনগরে আ.লীগ প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ মঙ্গলবার দলীয় প্রার্থী বাছাই।

    ইউপি নির্বাচনে ওসমানীনগরে আ.লীগ প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ মঙ্গলবার দলীয় প্রার্থী বাছাই।

    জিতু আহমদ,ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরপরই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নড়েচড়ে বসেছেন। দলীয় প্রতিক পেতে তফসিল ঘোষনার দিন রবিবার রাত থেকেই চালিয়ে যাচ্ছেন দৌড়ঝাপ। ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় প্রতিকি পেতে বিভিন্ন কৌশলে চালাচ্ছেন জুড় লবিং।

    আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ছাড়াও বিএনপির প্রার্থীরা সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিবেন। এছাড়া সতন্ত্র প্রার্থীরাসহ আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন চেয়ে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার সাটিয়ে নিজের প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন।
    এদিকে, ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনিত প্রার্থী নির্ধারণের জন্য বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করেছে ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ।

    আগামী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার আধুনিক কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা অনুষ্টিত হবে। বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে দলীয় প্রার্থী নির্ধান করবে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    এক বিজ্ঞপিতে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের যথা সময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহবান জানিয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু।

    জানা গেছে, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রত্যেক ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রচারণা শুরু করেছেন। তফসিল ঘোষনার পর পরই একাধিক আওয়াামীলীগের প্রার্থী কেন্দ্র মুখি হয়েছেন। নৌকা প্রতিকের একই ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকায় প্রার্থী বাছাইয়েও হিমশিম খেতে পারে বিশাল এই দল। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা উর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে নিজ নিজ পক্ষে শক্তিশালী সমর্থক বলয় তৈরি করে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত রয়েছেন।

    তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রাখা হয়েছে ৩ জানুয়ারি। আর বাছাই ৬ জানুয়ারি, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৪ জানুয়ারি। ভোট গ্রহন হবে ৩১ জানুয়ারি। সবগুলো ইউপিতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

  • লক্ষ্মীপুরের হামছাদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ।

    লক্ষ্মীপুরের হামছাদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ।

    সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলা হামছাদী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. নজরুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি ও তার প্রচা- প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এমরান হোসেন নান্নু ও তার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রার্থী তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

    মো: নজরুল ইসলাম বলেন,নৌকার প্রার্থীর লোকজন বিভিন্নভাবে আনারস প্রতীকের কর্মীদের ও তাকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এই ছাড়া প্রচার-প্রচারণায় বাধাসহ নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে করে সুষ্ঠু নির্বাচন ও জীবনের নিরাপত্তহীনতায় শঙ্কিত রয়েছেন জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রতিকার দাবি করেন। অভিযোগ শেষে এলাকার নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ১৩টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন স্বতন্ত্র এই প্রার্থী। উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী সহ ১৫টি ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সব ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্রসহ ৭৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

  • আমি চাল চোর নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে বললেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।

    আমি চাল চোর নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে বললেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।

    আনোয়ার হোসেন আকাশ,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
    ‘আমি চাল চোর নই, আমি চাল চুরি করিনি। তবুও এই মামলার দায়ে আমাকে নৌকার প্রতীক হারাতে হলো’। অশ্রুসিক্ত নয়নে সমর্থকদের উদ্দেশ্য নিজের ভাবনা তুলে ধরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলোরহাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।
    বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢোলোরহাট বাজারে সমর্থকদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন সীমান্ত। এসময় তিনি কেঁদেছেন, সেই সাথে কাঁদিয়েছেন উপস্থিত হাজারো সমর্থকদের।
    আসন্ন ২৬ তারিখের নির্বাচনকে ঘিরে বেশ জলঘোলা হয়েছে ঢোলোরহাট ইউনিয়নে। এই ইউনিয়ন থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান সীমান্তকে প্রথমে নৌকা মার্কার প্রতীক দেয় আওয়ামী লীগ। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেরদিন দুদকের করা চাল আত্মসাতের মামলার দায়ে তার নৌকা প্রতীক পরিবর্তন করা হয়। দেওয়া হয় স্কুল শিক্ষক অখিল চন্দ্র রায়কে।
    এর দুইদিন পরেই গত ৩০ নভেম্বর চাল আত্মসাতের মামলায় দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা দায়রা জজ আদালত মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় তাকে। কিন্তু নৌকার মনোনয়ন আর ফেরত পাননি তিনি। এ অবস্থায় সীমান্ত কুমার বর্মন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেন। মটর সাইকেল প্রতীকে প্রচারণাও শুরু করেন তিনি।
    ঢোলোরহাট বাজারে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ। ঢোলোরহাট বাজারে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সীমান্ত কুমার বর্মণ।
    এদিকে নৌকার মনোনয়ন পেলেও নির্বাচন কমিশন থেকে ঋনখেলাপীর দায়ে মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় অখিল চন্দ্রের। আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে না পাওয়ায় পরে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। এতে করে হাইকোর্টের রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পায় অখিল। এরপর সীমান্ত কুমার রায়কে দলীয়ভাবে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ানোর চাপ দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ না থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ান সিমান্ত কুমার বর্মন।
    সমর্থকদের মাঝে নির্বাচনী ভাবনা অবগত করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি একজন স্কুল শিক্ষক এবং সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও ২০১৬ সালে ভোট দিয়ে আপনারা আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।এই ঢোলারহাট ইউনিয়নের কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তির চক্রান্তে চাল আত্মসাৎ এর মামলা হয় আমার নামে। মামলা করার পেছনে অনেক কারণও রয়েছে, সেদিকে আমি আর বলছিনা। সেই মামলায় আমি ৪৭ দিন জেলে হাজতে ছিলাম। জেল হাজতে আমি অনেক কষ্টে ছিলাম। পরে, আমি উচ্চ আদালত হতে জামিনে মুক্ত হই ।
    তিনি বলেন, আমি নির্দোষ বলেই আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাই। আমাকে দেওয়া নৌকা মার্কা পরিবর্তন করে পরে অখিল চন্দ্র রায়কে দিলেও আমার কোন দুঃখ নেই। আপনারা আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি চেয়ারম্যান না থাকলেও আপনাদের সুখে দুখে পাশে আছি, ছিলাম,থাকব।
    তিনি অশ্রুসজল কণ্ঠে আরও বলেন,আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে আপনাদের ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছিলাম। আজ নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করতে পারছি না। দলের শৃঙ্খলা মাথা পেতে নিয়ে নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ালাম। এ সময় শতশত কর্মী সমর্থক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।